Tag: Maoists

Maoists

  • Chattisgarh: ‘বিজেপি ছাড়ো, নয়তো মরো’, ছত্তিশগড়ে দুই প্রাক্তন প্রধানকে হত্যা করে লিফলেট ছড়াল মাওবাদীরা

    Chattisgarh: ‘বিজেপি ছাড়ো, নয়তো মরো’, ছত্তিশগড়ে দুই প্রাক্তন প্রধানকে হত্যা করে লিফলেট ছড়াল মাওবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) দুজন প্রাক্তন প্রধানকে নৃশংসভাবে হত্যা করল মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের বিজাপুর জেলায় এই হত্যালীলা চালিয়েছে মাওবাদীরা (Maoists)। দুজন নিহত প্রাক্তন প্রধানের নাম শুক্ল ফর্সা ও সুখরাম অভলাম। জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করার জন্যই তাঁদেরকে হত্যা করে মাওবাদীরা। ওই দুই নেতাকে হত্যা করার পরে মাওবাদীরা তাঁদের নিহত শরীরের কাছে লিফলেট ছড়িয়ে গিয়েছে এবং সেখানে লেখা রয়েছে, ‘হয় বিজেপি ছাড়ো নয়তো মরো’।

    আরও পড়ুন: আগরতলা-কলকাতার ২ কূটনীতিককে জরুরি তলব করল বাংলাদেশ সরকার

    বুধবার সকালেই উদ্ধার হয় ওই দুই নেতার দেহ (Chattisgarh)

    প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সকালেই (Chattisgarh) উদ্ধার হয় ওই দুই নেতার দেহ। এরপরই সারা জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে, পুরো একদিন ওই দুই নেতা নিখোঁজ ছিলেন। এদের মধ্যে শুক্ল ফর্সা দুটি ধাপে স্থানীয় বিলিয়াভূমি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলেছেন। নিজের ব্লকের বিজেপির কিষাণ মোর্চার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, সুখরাম অভলামও ছিলেন প্রাক্তন গ্রাম প্রধান।

    অপহরণ করে খুন (Chattisgarh)

    চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যা বেলায় শুক্ল ফর্সাকে অপহরণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা (Chattisgarh) জানিয়েছেন, যখন তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, তখন তিনজন মাস্ক পরা মাওবাদী (Maoists) তাঁকে সেখান থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপরই তাঁকে হত্যা করা হয়। অন্য আরেক নিহত নেতা সুখরাম, তাঁকে স্থানীয় কাদের গ্রাম থেকে গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অপহরণ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহত সুখরামকে দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় জঙ্গলে। পরবর্তীকালে কাদের গ্রামের কাছেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh Odisha: ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী, ওড়িশায় আটক কুখ্যাত নেত্রী অ্যান্টি মাদভি

    Chhattisgarh Odisha: ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী, ওড়িশায় আটক কুখ্যাত নেত্রী অ্যান্টি মাদভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh Odisha) কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্যোগে বিশেষ অভিযান। গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী (Maoists)। ধৃত এই মাওবাদীদের মধ্যে রয়েছেন কুখ্যাত কোসা পুনমে ওরফে হাডমা। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২ লাখ টাকা। এদিকে, ওড়িশার মালকানগিরি থেকে কুখ্যাত মাওবাদী ক্যাডার অ্যান্টি মাদভিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর মাথার দামও ঘোষণা করা হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা। দুই রাজ্যের বিজেপি সরকার যে মাওবাদী দমনে আরও কড়া মনোভাব পোষণ করেছে, এই দুটি ঘটনাই তার প্রমাণ। 

    মাও দমনে অভিযান (Chhattisgarh-Odisha)

    গত ২৯ নভেম্বর ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Odisha) বীজাপুর এলাকায় গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনেই লুকিয়ে ছিল নিষিদ্ধ সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (মাওবাদী Maoists) জাগারগুণ্ডা এলাকার নেত্রী হাডমা। গত কয়েক বছর ধরে ফেরার ছিলেন তিনি। অভিযানে বীজাপুরের তারেম থানা থেকে ৩ জন, আওয়াপল্লি থেকে ৫ জন এবং জংলা থানা এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ, কোবরা বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া অধিকাংশ মাওবাদীর বয়স ১৯ থেকে ৪০-এর মধ্যে। তাঁরা প্রত্যেকে সক্রিয় ভাবে নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছ থেকে টিফিন বোমা, বিস্ফোরক যন্ত্র, বিস্ফোরক দড়ি, গুলি, অস্ত্র ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে।

    হাডমা কে?

    হাডমা (Maoists) হলেন বস্তার (Chhattisgarh Odisha) এলাকার একজন ভয়ঙ্কর মাওবাদী নেতা। বেশ কিছু নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। জাগারগুন্ডা এলাকায় তিনিই নেতৃত্ব দিয়ে নাশকতামূলক কাজকর্ম চালাতেন। একাধিকবার নিরাপত্তা বাহিনী এবং সামরিক বাহিনীর উপর হামলার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ‘পরিবারের যত্ন নিন’, ওড়িশায় দলীয় বৈঠকে কর্মীদের ‘পরামর্শ’ প্রধানমন্ত্রীর

    অ্যান্টি মাদভি কে?

    অন্যদিকে, পুলিশ অ্যান্টি মাদভিকে (Maoists) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাতে জানা গিয়েছে, তিনি ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে মাওবাদী কার্যকলাপের নেতৃত্ব দিতেন। তিনি লেকি নামেও পরিচিত। তাঁর বাড়ি পুলহার গ্রামে। ছত্তিগড়ের বীজাপুর জেলা জংলা সীমান্তে সক্রিয় ভাবে কাজ করতেন তিনি। পশ্চিম বাস্তারের ১২ নম্বর প্লাটুনের ডেপুটি কমান্ডার সুক্রমের নেতৃত্বে ২০১৭ সালে মাওবাদী দলে যোগদান করে ছিলেন তিনি।

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Odisha) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেছিলেন, “গত ১১ মাসে ২১০জনেরও বেশি মাওবাদীকে নিকেশ করা গিয়েছে। নাগরিক জীবনকে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করাই বিজেপি সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। ২০২৬ সালের মধ্যেই রাজ্যে লাল সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ মাওবাদী

    Chhattisgarh: বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমন (Maoists) অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে ৩০ মাওবাদী। এরপরে ওই এলাকা থেকে একে-৪৭ সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রশাসন। ছত্তিশগড় পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এনিয়ে বলেন, ‘‘ঠিক কত পরিমাণে অস্ত্র ও গোলা, বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটা এখনই বিস্তারিতভাবে বলা সম্ভব নয়। শনিবার নিহত মাওবাদীদের পরিচয় জানার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’’

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই অঞ্চলে অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী

    জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই অঞ্চলে অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই মতো ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) বৃহস্পতিবার মাওবাদী অভিযান শুরু করে। গোভেল, নিন্দুর থুলথুলি প্রভৃতি গ্রামে (Chhattisgarh) অভিযান চালানো হয়। এই সময়ে জঙ্গলে শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নিকাশ করতে সম্ভব হয় ৩০ মাওবাদীকে। তবে আরও বেশ কয়েকজন মাওবাদী (Maoists) গভীর জঙ্গলে চলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের খোঁজে প্রশাসনও অভিযান জারি রেখেছে।

    এই জঙ্গল (Chhattisgarh) পরিচিত অবুঝমাড়ের জঙ্গল নামে

    প্রসঙ্গত, এই জঙ্গল (Chhattisgarh) পরিচিত অবুঝমাড়ের জঙ্গল নামে। ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত এই জঙ্গল। এই এলাকাকে অনেকেই ‘অপরিচিত পাহাড়’ বলে অবিহিত করেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানকার প্রায় ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা কেউ কখনও জরিপ করেনি। ঠিক এই কারণেই এই ঘন জঙ্গল মাওবাদীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বহু মাওবাদী নেতা এই জঙ্গলে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    সাম্প্রতিককালে মাওবাদী দমন অভিযানে এটা অনেক বড় সাফল্য বলে জানিয়েছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘জওয়ানদের এই সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের অদম্য সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাই। ছত্তিশগড় থেকে নকশালবাদ শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য। নকশালবাদ শেষ করেই আমাদের লড়াই থামবে। এর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বড় চ্যালেঞ্জ হল মাওবাদীরা। ২০২৬ সালের মার্চের পর এদেশে মাওবাদী থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই এমন সাফল্য এল মাওবাদী দমনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    NIA: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের একটি মাওবাদী নাশকতা এবং মাওবাদী সংগঠন সংক্রান্ত তদন্তে রাজ্যের (West Bengal) ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ (NIA)। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আসানসোল এবং পানিহাটিতে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর সদস্যদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে জগদ্দলেও। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তা পাল এবং শিপ্রা চক্রবর্তী নামের দুই মহিলার বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতেই তাদের এই অভিযান।

    কোথায় কোথায় হানা? (NIA)

    জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদী নাশকতার ফান্ডিং ও সংগঠন সংক্রান্ত তদন্তে নেমে এ রাজ্যের সাত জায়গার নাম জানতে পারে এনআইএ (NIA)। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোদপুরের পল্লিশ্রী এলাকায় মানবাধিকার কর্মী শিপ্রা চক্রবর্তী ও তাঁর স্বামী মানবেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশি চলছে। আসানসোলের দুটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। একজনের নাম অভিজ্ঞান সরকার, যিনি মূলত গবেষক হিসেবেই পরিচিত। যাদবপুরের এই প্রাক্তনী এর আগে সিঙ্গুর আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। পরবর্তীকালে দেউচা পাচামি আন্দোলনের সময়েও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে, আসানসোলের সুদীপ্তা পাল, তিনিও একজন মানবাধিকার কর্মী। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। তল্লাশি অভিযান চলছে আসানসোলের ডিসেরগড় এলাকাতেও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তা এবং শিপ্রা নানা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়লাখনির শ্রমিকদের অধিকারের দাবিতেও সামনের সারিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। ‘অধিকার’ নামক একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। পরে ‘মজদুর অধিকার’ নামে একটি সংগঠন শুরু করেন এবং কয়লাখনির শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা আন্দোলন করেন। অভিযোগ, ছত্তিশগড়ের মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন সুদীপ্তা এবং শিপ্রা।

    আরও পড়ুন: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    পাঁচিল টপকে বাড়িতে এনআইএ

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আসানসোলের একাধিক জায়গায় বাড়িভাড়া নিয়ে থেকেছেন সুদীপ্তা এবং শিপ্রা। বছর পাঁচেক আগে শিপ্রা আসানসোল থেকে চলে যান। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির পল্লীশ্রী এলাকায়। তবে শিপ্রা পানিহাটি চলে যাওয়ার পর ডিসেরগড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন সুদীপ্তা। মঙ্গলবার সকালে পানিহাটি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লীশ্রী এলাকায় শিপ্রার বাড়িতে যান এনআইএ আধিকারিকেরা। প্রথমে ডাকাডাকি করা হলেও ভিতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। পরে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকেন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

    এনআইএ আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এনআইএ (NIA) এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রত্যেকের সঙ্গেই মাওবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে। ‘আর্বান নকশাল’ হিসেবে তাঁরা চিহ্নিত। তাঁদের সঙ্গে ছত্তিশগড়ের নাশকতার কী যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় আইইডি বিস্ফোরণে আহত হন সিআরপিএফ জওয়ান। আহতদের রায়পুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময়ে সিআরপিএফের ১৫৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। তখনই তাঁরা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) দেখতে পান। তাঁরা নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই বিস্ফোরণ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists Attack: ‘কোবরা’র ট্রাকে আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, হত ২ জওয়ান

    Maoists Attack: ‘কোবরা’র ট্রাকে আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, হত ২ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে কোমর কষে নেমেছে কেন্দ্র। তাতে সাফল্যও মিলেছে। গত কয়েক মাসে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে বেশ কয়েকজন মাওবাদী। এমতাবস্থায় পাল্টা আঘাত হানল ‘বনপার্টি’। রবিবার আধাসামরিক বাহিনী ভর্তি একটি ট্রাকে হামলা চালায় মাওবাদীরা (Maoists Attack)। আইইডি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ট্রাকটি। শহিদ হন আধাসামরিক বাহিনীর দুজন।

    শহিদ দুই জওয়ান (Maoists Attack)

    ছত্তিশগড়ের সুকমার ঘটনা। বাহিনীর যে দুজন শহিদ হয়েছেন, তাঁরা সিআরপিএফের জওয়ান। মাও-বিরোধী কোবরা বাহিনীর সদস্য ছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ সুকমার সিলগের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে একটি ট্রাক ও বাইকে করে টেকুলাগুদেম গ্রামের দিকে রুটিন টহল দিতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। শহিদ হন কোবরা বাহিনীর বিষ্ণু আর এবং শৈলেন্দ্র (Maoists Attack)।

    আইইডি-ই বড় বাধা

    পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে আরও বাহিনী। মাওবাদীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে মাওবাদী দমনে সব চেয়ে বড় বাধা এই আইইডি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাস্তার পাশের ঘন জঙ্গলের কোনও গাছে বেঁধে রাখা হয় এই বিস্ফোরক। পরে প্রশাসনের লোকজন দেখলেই ঘটানো হয় বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে।

    সিআরপিএফের বিশেষ গেরিলা বাহিনী হল কোবরা। পুলিশ জানিয়েছে, সেনার ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন বিষ্ণু। সঙ্গে ছিলেন শৈলেন্দ্র। বস্তার পুলিশের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০১ কোবরা ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা বাইক ও ট্রাক নিয়ে যখন এগোচ্ছিলেন, তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। যে জওয়ান ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন তিনি এবং আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।”

    আর পড়ুন: তৃতীয়বার সফল অবতরণ ‘পুষ্পকে’র, ইসরোর মুকুটে নয়া পালক

    গত মাসেই ছত্তিশগড়ের অবুঝমাড়ের জঙ্গলে মাওবাদী গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই হয়। বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলায় এই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আট মাওবাদীর। নিহত হন নিরাপত্তাবাহনীর এক জওয়ানও।

    ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সে রাজ্যে নকশাল- বিরোধী অভিযানের গতি বেড়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে নয়া সরকার গঠিত হওয়ার পর ৭২টি অভিযানে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়েছে। খতম হয়েছে ১৩৬ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৯২জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পন করেছে ৩৯৯জন (Maoists Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jharkhand: ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড! বাহিনীর গুলিতে নিহত চার মাওবাদী

    Jharkhand: ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড! বাহিনীর গুলিতে নিহত চার মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। সোমবার সাতসকালে মাওবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রক্ত ঝরল ঝাড়খণ্ডে। দু’‌পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই হলেও মাওবাদীরা এঁটে উঠতে পারেনি। পশ্চিম সিংভূম জেলায় গুলির লড়াইয়ে চার জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছে পুলিশ। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Maoists Encounter) 

    জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) টন্টো এবং গোইলকেরা এলাকায় কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় রাজ্যের পুলিশ। খবর পেয়েই মাওবাদী দমনে গোপন অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানের শুরুতেই লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা অতর্কিতে পুলিশবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় গুলির লড়াই। আর সেই গুলির লড়াইতেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জন মাওবাদীর। একইসঙ্গে এদিন একজন মহিলা মাওবাদী নেত্রী সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক অস্ত্র। ঘটনার পরে এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনায় যুক্ত আরও কয়েকজন মাওবাদী সেই এলাকায় লুকিয়েও থাকতে পারে।  

    আরও পড়ুন: বহরমপুরে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    সিংভূম জেলার পুলিশ সুপারের মন্তব্য  

    এ প্রসঙ্গে সিংভূম জেলার পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর বলেছেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। সে সময় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। তখনই এনকাউন্টারে মৃত্যু (Maoists Encounter) হয় চার জন মাওবাদীর।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে চারজন মাওবাদীর মৃত্যু (Maoists Encounter) হয়েছে তার মধ্যে ছিল—একজন জোনাল কমান্ডার, একজন সাব জোনাল কমান্ডার এবং একজন এরিয়া কমান্ডার। তাছাড়া একজন সাধারণ মাওবাদীও ছিল। আর যে দু’জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন এরিয়া কমান্ডার। আর একজন সাধারণ মাওবাদী। 

    উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগেও মাওবাদীদের উৎপাত শুরু হয়েছিল। আর এবার লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেও মাওবাদীরা দাপট দেখাচ্ছে। দিন দুয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড়ের জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআইএমএল (মাওবাদী)-র অন্তত আট সদস্যের। আর এই ঘটনার দুদিনের মধ্যেই আবারও ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) মাওবাদী দমনে সাফল্য এল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoist Attack: ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত ৮ মাওবাদী, শহিদ ১ জওয়ান

    Maoist Attack: ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত ৮ মাওবাদী, শহিদ ১ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকালে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআইএমএল (মাওবাদী)-র (Maoist Attack) অন্তত আট সদস্যের। নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান। গুরুতর জখম দু’জন।

    দুই পক্ষের গুলির লড়াই

    ছত্তিশগড় পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে মাওবাদী গেরিলা বাহিনী পিএলজিএ-র ‘গতিবিধির’ খবর এসেছিল নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া এবং বিজাপুর জেলার সীমানাবর্তী পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকা থেকে। তার পরই তল্লাশি অভিযানে নামে ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গ্রুপ (ডিআরজি), ছত্তিশগড় পুলিশের মাওবাদী দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা আইটিবিপি-র যৌথবাহিনী। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় গত ২ দিন ধরে চলছে মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই। এরই মাঝে শনিবার অবুঝমারহর পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে দুই পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়।

    মাওবাদীদের পোক্ত ডেরার সন্ধান

    ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার আওতায় পড়ে অবুঝমারের জঙ্গল। পাহাড়ি উপত্যকার এই জঙ্গল সুবিশাল।  দাবি করা হয়, এই আবুঝমারহ জঙ্গল মাওবাদীদের পোক্ত ডেরা। আর সেই জেরা ভাঙতেই তৎপর নিরাপত্তাবাহিনী। শনিবার সকাল থেকেই জঙ্গলে দুই পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়েছে।  নারায়ণপুর, কোন্দাগাঁও, কঙ্কর, দান্তেওয়ারার ডিআরজি, এসটিএফ, আইটিবিপির ৫৩ ব্যাটালিয়ান মিলিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সুবিশাল ফোর্স এই মাওবাদী (Maoist Attack) দমন অভিযানে নামে। শুরু হয় গুলির যুদ্ধ। ৪০০০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকায় বিস্তীর্ণ এই জঙ্গলে দুই পক্ষের গুলির লড়াইতে এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৮ মাওবাদী। শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান।

    আরও পড়ুন: উষ্ণ আলিঙ্গন বাইডেনকে, খালিস্তানি সমস্যার মধ্যেও ট্রুডোর হাতে হাত রেখে সৌজন্য মোদির

    মাওবাদী দমনে ধারাবাহিক অভিযান

    সকালে গুলির লড়াই শুরুর পরেই এলাকায় বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) পুলিশ। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটপর্বের পর থেকে মাওবাদী (Maoist Attack) উপদ্রুত বাস্তার ডিভিশনে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। চলতি সপ্তাহেই নারায়ণপুরে সংঘর্ষে পাঁচ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় এলাকা তল্লাশির সময়, দুটি .৩০৩ রাইফেল, একটি .৩১৫ বোরের রাইফেল, ১০টি বিজিএল (ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার) শেল, একটি এসএলআর ম্যাগাজিন, একটি কুকার বোমা সহ আরও নানা বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। মিলেছিল গুলির প্যাকেট, কার্তুজ, মাওবাদী ফেস্টুন ও নানা কাগজপত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Odisha: ওড়িশায় আত্মসমর্পণ করল ২ মহিলা ক্যাডার সহ ৯ জন মাওবাদী, জানেন কেন?

    Odisha: ওড়িশায় আত্মসমর্পণ করল ২ মহিলা ক্যাডার সহ ৯ জন মাওবাদী, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল ২ জন মহিলা ক্যাডার (Female cadres) সহ ৯ জন মাওবাদী। ৭ মে, মঙ্গলবার ওড়িশার (Odisha) ভুবনেশ্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআই (মাওবাদী) এর ৯ জন সদস্য একসঙ্গে ওড়িশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই ২ মহিলা ক্যাডার সহ ৯ জন মাওবাদী এর আগে কুখ্যাত কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এদিন বৌধ জেলায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা।  

    পুলিশ তরফে জানানো হয়েছে 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা ক্যাডার যোগী মাদভি ওরফে জ্যোতি এবং পোজে মাদভি সহ নয়জন মাওবাদীই পার্শ্ববর্তী ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া জেলার মুলের গ্রামের বাসিন্দা। যোগী যখন ২০১৯ সালে সিপিআই (মাওবাদী) তে যোগ দিয়েছিল তখন তিনি মাওবাদী নেতা সিলা ওরফে নাগমনির ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এরপরে ২০২০ সালে কেকেবিএন বিভাগের চতুর্থ কোম্পানির বিভাগীয় কমিটির সদস্য (DCM) বিকাশ ওরফে জগদীশের সঙ্গে চরমপন্থী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। 

    কী বলল আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা?

    আত্মসমর্পণকারী অন্যদের মধ্যে কেকেবিএন বিভাগের ডিসিএম সাময় মাদকাম ওরফে নরেশও রয়েছে। তিনি ডিভিশনের চতুর্থ কোম্পানিতে ১ম প্লাটুনের কমান্ডার ছিল এবং এর আগে ওডিশার কান্ধমাল, বৌধ এবং নুয়াপাদা জেলায় তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এই দুজন ছাড়া বাকিরা মাওবাদী (Maoists) সংগঠনে দলীয় সদস্য হিসেবে কাজ করছিল। মাদকাম পুলিশের কাছে জানিয়েছে, দলের মধ্যে নিচুতলার কর্মী-সদস্যদের ওপর ভীষণভাবে শোষণ ও নীপিড়ন হতো। বিশেষ করে, মহিলা সদস্যদের ওপর লাগাতার যৌন নির্যাতন চলত। এসব দেখে তারা মূলস্রোতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।

    আরও পড়ুন: বাংলায় তিন দফায় ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশংসা কমিশনের

    ছত্তিশগড়েও মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ (Maoists surrender)

    অন্যদিকে সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া জেলায় ৩৫জন মাওবাদী, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। রবিবার দান্তেওয়াড়া পুলিশের প্রচার অভিযানের জেরে ওই রেঞ্জের ডি আই জি পুলিশ কমললোচন কাশ্যপ এবং সিআরপিএফ ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সামনে তারা আত্মসমর্পণ করে। জানা গিয়েছে ভইরামগড় এবং কাটেকল্যাণ এলাকায় মাওবাদী (Maoists) সংগঠনের কাজকর্মে যুক্ত ছিল তারা। এদের বিরুদ্ধে রাস্তা অবরোধ সহ বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chhattisgarh Encounter: ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ২ মহিলা সহ ৭ মাওবাদী

    Chhattisgarh Encounter: ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ২ মহিলা সহ ৭ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মধ্যেই ফের মাওবাদী বিরোধী অভিযানে সাফল্য। আগামী ৭ মে তৃতীয় দফায় ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Encounter) সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ (Lok sabha vote 2024) হবে। আর তার আগেই ছত্তিশগড়ের (Chhatisgarh) বস্তার লাগোয়া জঙ্গলে একসঙ্গে ৭ মাওবাদীকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলাও রয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা রিজার্ভ গার্ড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) যৌথ ভাবে নারায়ণপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ওই সাত জনকে নিকেশ করেছে।

    ঘটনার বিবরণ (Chhattisgarh Encounter)

    সূত্রের খবর, ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর কাঙ্কের সীমান্তে অবুঝমাড়ের জঙ্গলে মাওবাদীদের (Maoists) আস্তানার খোঁজ পেয়ে সেখানে হানা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর মঙ্গলবার সকালে সেখানেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াইয়ের পরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে জখম হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করে। জানা গেছে, একটি একে ৪৭ (AK47) এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে দুষ্কৃতী দলের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ (Police) জানিয়েছে, গুলির লড়াই এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Encounter) নারায়ণপুরের জঙ্গল থেকে ২ মহিলাসহ ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “পাকিস্তানকে সবার আগে ফোনে জানিয়েছিলাম”, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে বড় খোলসা মোদির

    পুলিশের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Encounter) বস্তার রেঞ্জের পুলিশ কর্তা জানান, “সকাল ৬টা নাগাদ সংঘর্ষ শুরু হয়। অবুঝমাড় জঙ্গলের টেকমেটা এবং কাকুর গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় বাহিনী দেখে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। জঙ্গলে মাওবাদীদের কয়েকজন শীর্ষ নেতা ঘাপটি মেরে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল। সেই মতো রাত থেকেই তল্লাশি শুরু করে যৌথ বাহিনী।” তবে এই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর (security forces) কেউ আহত হননি। উল্লেখ্য গত ১৫ দিনের মধ্যে এটাই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বড়সড় অভিযান। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল কাঙ্কের জেলায় গুলির লড়াইয়ে ২৯ জন মাওবাদীকে খতম করেছিল জেলা রিজার্ভ গার্ড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (STF) যৌথ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists Killed: ছত্তিশগড়ে নিকেশ হওয়া মাওবাদীদের শনাক্ত করল পুলিশ, কারা রয়েছে তালিকায়?

    Maoists Killed: ছত্তিশগড়ে নিকেশ হওয়া মাওবাদীদের শনাক্ত করল পুলিশ, কারা রয়েছে তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ এপ্রিল নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয়েছিল ২৯ জন মাওবাদী (Maoists Killed)। শেষমেশ তাদের শনাক্ত করার কাজ শেষ করল ছত্তিশগড়ের পুলিশ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মাওবাদীদের ডিভিশনাল কমিটি সদস্য শঙ্কর রাও, রীতা সালামে, বিনোদ গদে, সুখলাল পাড্ডা, রাজিতা, গীতা ওরফে পুন্নিয়া, এরিয়া কমিটির সব সদস্য যাদের মধ্যে রয়েছে রবি ওরফে বাচনু, পিপিসিএম এবং এসএমসি স্কোয়াডের কমান্ডার।

    খতম মাওবাদীদের মাথার দাম

    জানা গিয়েছে, এনকাউন্টারে যারা (Maoists Killed) নিকেশ হয়েছে, তাদের মাথার সম্মিলিত মাথার দাম ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। মৃত মাওবাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্রের দাম ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ওই এনকাউন্টারে যারা মারা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ১৭ জনের মাথার দাম ছিল আট লাখ করে টাকা। আর রবি ওরফে বাচনুর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। তার বাড়ি বীজাপুর জেলার গাংগ্লুর থানা এলাকায়। শঙ্কর ছিত্তাল মণ্ডল থানার ছালাঙ্গারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিল। ওই দিন এনকাউন্টারে যারা খতম হয়েছিল তাদের মধ্যে একমাত্র শঙ্করই একে ৪৭ নিয়ে ঘুরে বেড়াত। রীতার কাছে থাকত ইনসাস রাইফেল। আর বিনোদ ঘুরত এসএলআর নিয়ে। রীতার বাড়ি ছিল সীতাপুর থানা এলাকায়। কোখা থানা এলাকায় থাকত গদে। মাওবাদীদের সাব জোনাল অ্যাকশান টিম কমান্ডার বদ্রু বাদসে ঘুরে বেড়াত ৩০৩ রাইফেল নিয়ে। জেন্নি ওরফে জেইনি কাছে রাখত ১২ বোরের রাইফেল।

    আরও পড়ুুন: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    ভয়ঙ্কর মাওবাদী গ্রেফতার

    এদিকে, সোমবার ভয়ঙ্কর এক মাওবাদীকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল দেড় লাখ টাকা। ধৃতের নাম দিলীপ মতিরাম পেনদাম। বছর চৌত্রিশের ওই মাওবাদীকে এদিন বমরাগড় অঞ্চলে স্থানীয় গ্রাম ও লাগোয়া জঙ্গলে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তরক্ষীদের। জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয় তাকে। গত বছর মার্চে পেনদামের বিরুদ্ধে মাইন পুঁতে রাখা এবং দুটি প্রেসার কুকার বম্ব ব্লাস্টের অভিযোগ উঠেছিল। টহলদাররত নিরাপত্তারক্ষীদের হত্যা করে তাঁদের অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এটা করেছিল সে। যদিও তার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয় (Maoists Killed)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share