Tag: Maoists

Maoists

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কি মাওবাদীরা নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠল। মুর্শিদাবাদ থেকে দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করার ঘটনা সেই সন্দেহকে নতুন করে উস্কে দিল। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল ও বুলেট উদ্ধার করেছে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  সুতি থেকে মন্টু মল্লিক ও প্রতীক ভৌমিক নামে দুই মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও ৬’টি বুলেট।

    চলছিল তথ্য জোগাড় (Murshidabad)  

    সাত মাস আগে মাওবাদী নেতা প্রদীপ মণ্ডল ওরফে ‘ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশ সীমান্তে ‘মাও করিডর’ তৈরির কাজ করছে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরা। তথ্য পেয়ে পুলিশ দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, মন্টু মল্লিক ওরফে রবি বা ভজা নামে পরিচিত। বেহালার সরশুনা এলাকার বারুইপাড়া রোডের বাসিন্দা তিনি। অন্যদিকে প্রতীক ভৌমিক ওরফে কাঞ্চনের বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর হাতে আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তখনই পুলিশ জানতে পারে, তিনি মাও কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তবে সে-ব্যাপারে পুলিশের হাতে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ ছিল না।

    বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার

    কিন্তু তাঁর ওপরে ধারাবাহিক নজরদারি চালিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর মোবাইলও ট্র্যাক করা হয়। একটা সময় পুলিশ নিশ্চিত হয়, ঝাড়খণ্ড ও রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মন্টু এবং প্রতীক। তখন থেকেই প্রতীক ও মন্টুর ওপর নজর রাখতে শুরু করে এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকার একটি গোপন স্থানে দুই মাওবাদী নেতা বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন। বাইকে করে যাওয়ার পথেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: বানচাল নাশকতার ছক, ছত্তিশগড়-মহারাষ্ট্র সীমানায় পুলিশের গুলিতে নিহত চার মাওবাদী 

    Chhattisgarh: বানচাল নাশকতার ছক, ছত্তিশগড়-মহারাষ্ট্র সীমানায় পুলিশের গুলিতে নিহত চার মাওবাদী 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআরপিএফ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সীমানায় গঢ়চিরৌলিতে মাওবাদীদের চার কমান্ডার নিহত হলেন। নাগপুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে কোলামার্কা পাহাড়ে অন্তত চার সন্দেহভাজন মাওবাদীকে খতম করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। এই চার কমান্ডারের মাথার দাম ছিল ৩৬ লক্ষ টাকা। মৃতদের মধ্যে দু’জন নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র উচ্চস্তরীয় বিভাগীয় কমিটির সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। 

    নির্বাচনের আগে হামলার ছক

    জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলের দিকে গোপন সূত্রে গঢ়চিরৌলি পুলিশের কাছে খবর আসে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh)-মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সীমানার কাছে মাওবাদীদের তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটির কিছু সদস্য জড়ো হয়েছেন। সেই দলে চার জন কমান্ডার আছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণ করেছিল পুলিশ। পুলিশ আরও জানতে পারে, তেলঙ্গানা থেকে প্রাণহিতা নদী পেরিয়ে গঢ়চিরৌলিতে ডেরা বেঁধেছিল ওই দলটি। লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনও হামলার ছক থাকতে পারে, এই আশঙ্কায় দুই রাজ্যের সীমানায় অভিযান চালায় সিআরপিএফ এবং গঢ়চিরৌলি পুলিশের যৌথবাহিনী।

    খবর পেয়েই অভিযান

    পুলিশ সুপার বলেন, ‘মাওবাদীদের রাজ্যে প্রবেশের তথ্য নিশ্চিত করার পরই আমরা অবিলম্বে পুলিশের একাধিক দল গঠন করি। কমব্যাট অভিযানে অভিজ্ঞদের নিয়ে সেই দল গঠন করা হয়। পাশাপাশি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কুইক অ্যাকশন টিমও এই অভিযানে সামিল হয়। এই দলগুলিতে তেলাঙ্গানার সীমান্তবর্তী এলাকায় তল্লাশির জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই দলগুলির মধ্যে একটি ছিল এলিট অ্যান্টি-নক্সাল স্কোয়াড সি-৬০। তারা রেপনপল্লীর কাছে কোলামার্কা পাহাড়ে গিয়েছিল। এই দলটি পাহাড়ি এলাকায় প্রবেশ করলে মাওবাদীরা তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এর জবাবে নিরাপত্তাকর্মীরাও পালটা গুলি চালায়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার ভোরে মাওবাদীদের খতম করা হয়। ভোরে প্রায় দুই ঘণ্টা এই গুলির লড়াই চলেছিল।’

    আরও পড়ুন: দেশে কবে থেকে চলবে বুলেট ট্রেন? কী বললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব?

    নিহত মাওবাদীদের পরিচয়

    গোলাগুলির লড়াই বন্ধ হয়ে গেলে যৌথবাহিনীর তরফে তল্লাশি শুরু করা হয়৷ তল্লাশিতে উদ্ধার হয় চার মাওবাদীর দেহ ৷ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটা একে-৪৭, একটা কার্বাইন ও ২টি দেশি পিস্তল ৷ পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে মাওবাদী বিষয়ক বইও। ইতিমধ্যেই চার মাওবাদীর পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ৷ তারা হল, ডিভিসিএম ভারগীশ৷ সে মাঙ্গি ইন্দ্রভেল্লি এরিয়া কমিটির সেক্রেটারি এবং কুমুরাম ভীম মাঞ্চেরিয়াল ডিভিশনাল কমিটির সদস্য ছিল৷ দ্বিতীয় জন হল ডিভিসিএম মাঙ্গটু৷ সে সিরপুর চেন্নুর এরিয়া কমিটির সেক্রেটারি ছিল৷ এছাড়াও ছিল মাওবাদী সংগঠনের দুই সদস্য কুরসাং রাজু, কুদিমেত্তা ভেঙ্কাটেশ ৷ জেলা পুলিশ সন্দেহ করছে যে এনকাউন্টারের পরে কয়েকজন মাওবাদী এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ঘরে ঢুকে মাথায় গুলি! ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু বিজেপি নেতার

    Chhattisgarh: ঘরে ঢুকে মাথায় গুলি! ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদী হামলা। মাওবাদীদের গুলিতে ফের প্রাণ গেল এক বিজেপি নেতার৷ এ বার সরাসরি স্থানীয় নেতার বাড়ির ভেতর ঢুকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই গুলি করে খুন করল মাওবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায়। গতকাল দু’জন মাওবাদী হঠাৎ নারায়ণপুরের জেলা সহ-সভাপতি সাগর সাহুর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে৷ তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ স্থানীয় পুলিশ এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে৷

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ছত্তিশগড়ে নারায়ণপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি সাগর সাহুর বাড়িতে ঢোকে দু’জন। তারা নিজেরাই জানায় যে তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য। এর পর বিজেপি নেতার মাথায় গুলি করে তারা। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, একটি বাইক করে আততায়ীরা এসেছিল। গুলি করে চম্পট দেয় তারা। এই ঘটনার আগে বেশ কয়েকবার সাগর মাওবাদীদের হুমকি পেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছে তাঁর পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘আমাকেও মাঝে মধ্যে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    পুলিশের তরফে নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার পুষ্কর শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সাগর সাহুর বাড়িতে মোটর বাইকে চেপে দু’জন এসেছিলেন। ওই বিজেপি নেতাকে গুলি করা হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও সাগরকে প্রাণ বাঁচানো যায়নি। এ ছাড়া আর কোনও তথ্য মেলেনি। ঘটনাস্থলের আশেপাশে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।”

    এই একই রকমের ঘটনা ঘটেছিল ৫ ফেব্রুয়ারি৷ মাওবাদীরা আরেক বিজেপি নেতা নীলকান্ত কেরেকামের উপর হামলা করে৷ তিনি ছিলেন উসুরের বিজেপি ব্লক সভাপতি৷ মাওবাদীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করে৷ এর পরেই তিনি মারা যান৷ বিশাল সংখ্যক বিজেপি সমর্থক, তাঁর অনুগামীরা পাকারাম গ্রামে বিজেপি নেতা নীলকান্তের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেন৷ ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্তে রীতিমত প্রাণসংশয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতারা এর আগেই অভিযোগ করেছেন যে মাওবাদীরা ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের কিছু নেতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এর পরেই একের পর এক হামলা করেই চলেছে মাওবাদীরা। পরপর এই দু’টি মাওবাদী হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী৷ 

LinkedIn
Share