Tag: matua

matua

  • Suvendu Adhikari: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে”, মতুয়া ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে”, মতুয়া ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে। তাই সনাতনীদের যত খুশি আক্রমণ করা যায়।” মতুয়া ইস্যুতে (Matua Issue) ঠিক এই ভাষায়ই দলবদলু তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বলেছিলেন মহুয়া? (Suvendu Adhikari)

    মহুয়া কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তৃণমূলের টিকিটে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন তিনি। দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরের একটি সভা থেকে মহুয়াকে বলতে শোনা যায়, “সারা বছর ধরে তৃণমূল, আর ভোটের সময় সনাতনী! এটা কী অঙ্ক ভাই?” তিনি আরও বলেন, “কাজের সময় মমতা, রাস্তার সময় মমতা। কাঠের মালা পরে সব তো চলে আসেন ভাই ভাতা নিতে! তখন কী হয়?” তাঁর অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভান্ডারে অন্যদের তুলনায় তফশিলি জাতি, জনজাতির মহিলারা বেশি টাকা পান। তাও মতুয়া প্রধান বিভিন্ন বুথে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, “আমার কথা টিভিতে দেখানো হয়, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না!”

    আক্রমণ শুভেন্দুর

    তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্য (Matua Issue) ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে মতুয়া সমাজে। সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর তীব্র নিন্দে করেন মহুয়ার। এবার তাঁকে নিশানা করলেন শুভেন্দু। মহুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় কৃষ্ণনগরেই সভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানেই তৃণমূল সাংসদকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখানকার সাংসদের কত বড় সাহস! একবার নয়, বারেবারে হিন্দু সংস্কৃতি, বৈষ্ণব, নমঃশূদ্র, মতুয়া এবং তাঁদের ধর্মীয় রীতিনীতি, তাঁদের গুরুদেবের দেখানো পথকে অপমান করেন। প্রতিবাদ হয় না কেন? আমাদের সংস্কৃতি আমরাই রক্ষা করব।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা এই বাংলা দিয়ে গিয়েছেন আমাদের। এই বাংলা আমরা বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দেব না।” ছাব্বিশের (Suvendu Adhikari) নির্বাচনে হিন্দুদের আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, “করিমপুর হাতে রয়েছে, তেহট্ট যায় যায় করছে, চাপড়া, কালীগঞ্জ, দেবগ্রামের কী অবস্থা, শিবরাত্রির সলতের মতো টিম টিম করে জ্বলছে কৃষ্ণনগরটা। ধুবুলিয়া অবধি এসে গিয়েছে। আর ১৭ কিলোমিটার বাকি রয়েছে।”

    মতুয়া সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ

    প্রসঙ্গত, এই বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন মহুয়া। তিনিও দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় ১০০টি ভোটের মধ্যে ৮৫টি যায় বিজেপিতে, আর বাকি ১৫টি যায় অন্য দলে (Matua Issue)। মহুয়ার ওই বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মতুয়ারা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক সুকেশচন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন, মহুয়ার মন্তব্য মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজের ধর্মীয় অনুভূতি ও আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। চিঠিতে তাঁর দাবি, ‘আচারমালা নিয়ে কটাক্ষ করে মহুয়া কাঠের মালা বলে যা বলেছেন, তা ঘোরতর অবমাননাকর।’ এত কিছুর পরেও (Suvendu Adhikari) ক্ষমা চাননি মমতা। কেন তিনি ক্ষমা চাননি, সেই প্রশ্নের উত্তরই এদিন দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মহুয়া ক্ষমা চাননি কেন? কারণ তিনি মমতার ছোট বোন। তিনি ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে। তাই জানেন, সনাতনীদের যত খুশি আক্রমণ করা যায় (Suvendu Adhikari)।”

  • Bomb Threat: বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেইল, নেপথ্যে কারা জানেন?

    Bomb Threat: বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেইল, নেপথ্যে কারা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এবার এল মেইল (Bomb Threat)। স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মেইলগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মেইলে লেখা হয়েছে, ‘এই বার্তা সবার জন্য। শ্রেণিকক্ষের বাইরে বোমা রাখা আছে। আগামিকাল সকালে যখন স্কুলে বাচ্চারা থাকবে, তখন বোমাগুলি ফাটবে। আমাদের লক্ষ্য বেশি সংখ্যক মানুষকে রক্তস্রোতে ভাসিয়ে দেওয়া।’ বার্তার শেষে লেখা হয়েছে, ‘ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদী চিং ও ডল।’

    হুমকি মেইল (Bomb Threat)

    পুলিশের তরফে অবশ্য এ (Bomb Threat) ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভাইরাল হওয়া এক স্ক্রিনশটে দেখা গিয়েছে, ‘হ্যাপিহটডগ১০১’ নামের মেইল আইডি থেকে ওই হুমকি মেইল পাঠানো হয়েছে। মাধ্যম অবশ্য স্ক্রিনশটটির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে কোন কোন স্কুল এই হুমকি মেইল পেয়েছে, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়ির কয়েকটি স্কুলও, এই হুমকি মেইল পেয়েছে বলে খবর। কলকাতার একটি স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল মেইল প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বোমা মেরে স্কুলটি উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই হুমকি মেইল!

    লোকসভার নির্বাচন দোরগোড়ায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। গোটা দেশের কয়েকটি কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে এ রাজ্যেরও তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এদিন। তার জেরে আঁটসাঁট নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজ্য। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। তার মধ্যেই বিভিন্ন স্কুলে পাঠানো হয়েছে হুমকি মেইল।

    আরও পড়ুুন: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    প্রসঙ্গত, বাংলায় এনআরসি হলে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে এদিনই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, চিঠিটি পাঠিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তৈবা। সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ পোস্টঅফিসের মাধ্যমে তাঁদের কাছে চিঠিটি এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। এ নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ (Bomb Threat) শানিয়েছেন ঠাকুরবাড়ির এই বিজেপি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    BJP: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল সংশোধন না করলে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন গাইঘাটার বিধায়ক বিজেপির (BJP) সুব্রত ঠাকুর। কেবল মতুয়ারা নন, তৃণমূল সুপ্রিমোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজবংশীরাও। দুই সম্প্রদায়ের এহেন হুঁশিয়ারিতে যারপরনাই বিব্রত তৃণমূল নেত্রী। নেত্রীকে বাঁচাতে দলের তরফে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হয়েছে বটে, তবে তাতে যে কাজ হয়নি, সুব্রতর হুঁশিয়ারিতেই তা স্পষ্ট।

    তৃণমূল নেত্রীর বেফাঁস মন্তব্য

    ২৮ অগাস্ট ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্বশরীরের এক একটি অঙ্গের সঙ্গে তুলনা করছিলেন এক একটি জাতিকে। মতুয়া ও রাজবংশীদের তিনি তুলনা করেন তাঁর পায়ের সঙ্গে। তৃণমূল নেত্রীর এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। মমতার বক্তব্যের নিন্দা করে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন মতুয়ারা

    বুধবার ক্ষোভ উগরে দেন মতুয়ারাও (BJP)। মতুয়া মহাসংঘের মহাসংঘাধিপতি তথা বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, “এর আগেও উনি (মমতা) আমাদের ঠাকুর সম্পর্কে বিকৃত মন্তব্য করেছেন। সমাজের পিছিয়ে রাখা মানুষগুলোকে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে যাচ্ছেন। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের শোভা পায় না। আমরা রাজবংশীদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিবাদ করব।” তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুুন: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    তিনি (BJP) লিখেছেন, “রাজবংশী শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল গিয়ে ‘রাজকীয় সম্প্রদায়’ অথবা ‘রাজার বংশধর’। ব্যুৎপত্তিবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী কোচ রাজবংশের উত্তরাধিকারীদের একটি ধারা রাজবংশী জনজাতিগোষ্ঠীর সূচনা করেছিলেন। রাজবংশীদের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দ্বিধায় তাঁদের নিজের পায়ের সঙ্গে তুলনা করে দিলেন। করতে পারলেন এমন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় যে বিভিন্ন সম্প্রদায় কতটা প্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা বোঝাতে গিয়ে উনি নিজের দেহের অংশবিশেষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, তাহলে কাউকে প্রশংসা করার জন্য নয়নের মণি, হৃদয় অথবা কর্মঠ বাহুর সঙ্গে তুলনা টানতেন। কখনও শুনেছেন কাউকে পায়ের সঙ্গে অথবা নখের সঙ্গে তুলনা করতে, প্রশংসাসূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে? কেউ তা করেন না। কারণ তা অপমানের শামিল বলেই গণ্য হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ক্ষমা চান, না হলে নবান্ন অভিযান হবে’, মতুয়া বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি পরিষদের

    Suvendu Adhikari: ‘ক্ষমা চান, না হলে নবান্ন অভিযান হবে’, মতুয়া বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মতুয়া (Matua) সম্প্রদায়ের গুরুর নাম বিকৃত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেজন্য মালদহের গাজোলে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার এই দাবিতে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এই দুই বিজেপি নেতার অভিযোগ, গাজোলের একটি সভা থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের আরাধ্য হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করেছেন মমতা। শনিবার নদিয়ার একটি জনসভায় এনিয়ে ফের সরব হন শুভেন্দু। আগামী সাত দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু-শান্তনু।

    মতুয়া…

    আন্তর্জাতিক মতুয়া পরিষদের আহ্বায়ক সুকেশ চৌধুরী। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেই সময় মতুয়া পরিষদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাত দিনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এই সময়সীমার মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরাও।

    এদিন নদিয়ার সভা শেষে শান্তনু বলেন, শুধুমাত্র একটা সম্প্রদায়ের মানুষকে খুশি করার জন্য, ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহের গাজোলে দাঁড়িয়ে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতি করে উচ্চারণ করেছেন। তাঁকে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। এর পরেই শুভেন্দুও বলেন, গাজোলে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মতুয়া সম্প্রদায়ের পথেই হাঁটতে হবে গোটা রাজ্যের মানুষকে। এর আগেও ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তখনও তিনি জানিয়েছিলেন, গুরুচাঁদের নাম বিকৃত করে মতুয়া ও নমঃশুদ্র সমাজকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সারাজীবন মতুয়া সমাজকে ভোট ব্যাঙ্ক ভেবেছেন, মন থেকে সম্মান করেননি।

    আরও পড়ুুন: সবাই নাগরিক হলে ৭১- এর দলিল চায় কেন? সিএএ প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, গাজোলের একটি জনসভায় মতুয়াদের ধর্মগুরুর নাম ভুল বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে তখন থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘ। বিষয়টি নিয়ে পথে নামবেন বলে ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় বিক্ষোভেও শামিল হন মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। তৃণমূল ভোট চাইতে এলে মতুয়াদের লাঠি নিয়ে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: মতুয়া ধর্মগুরুদের নাম বিকৃতি, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: মতুয়া ধর্মগুরুদের নাম বিকৃতি, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মতুয়া (Matua) ধর্মগুরুদের নাম বিকৃতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার মালদহের গাজোলের একটি জনসভায় মতুয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া ধর্মগুরুদের নাম ভুল বলেছিলেন। এর পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে নাম বিকৃত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন শান্তনু। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও  (Suvendu adhikari)।  

    মতুয়া সমাজের গুরু…

    মতুয়া সমাজের গুরুর আসনে রয়েছেন দুজন। একজন হরিচাঁদ ঠাকুর, অন্যজন গুরুচাঁদ ঠাকুর। গাজোলের ওই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নাম ‘রঘুচাঁদ’ ও ‘গরুচাঁদ’ বলে উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি।

    শান্তনু বলেন, গুরুচাঁদকে গরুচাঁদ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওঁর ভুলে যাওয়া রোগ রয়েছে কিনা, জানি না। ভাষণের সময় পিছনে নামটি জেনেও ভুল বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা সমগ্র মতুয়া সমাজ ও আমাদের আরাধ্য দেবতাকে অপমান করা। ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যঙ্গাত্মক শব্দ ব্যবহারের জন্যও ওঁকে মতুয়াদের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। যতক্ষণ না ক্ষমা চাইবেন, ততক্ষণ ওঁকে আমাদের সমাজ ক্ষমা করবে না। আগামিদিনে মতুয়ারা ভোটবাক্সে ওঁকে জবাব দেবে।

    তোপ দেগেছেন শুভেন্দুও (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, গুরুচাঁদের নাম বিকৃত করে মতুয়া ও নমঃশুদ্র সমাজকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সারাজীবন মতুয়া সমাজকে ভোট ব্যাঙ্ক ভেবেছেন, মন থেকে সম্মান করেননি।  

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মতুয়া মনজয়ের চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই তুলেছিলেন মতুয়া আখ্যান। সে যে তাঁর পক্ষে বুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘এত ‘গোপন প্রেম’ কীসের? জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’’, সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share