Tag: Md Yunus

Md Yunus

  • India Bangladesh Border: চোরাচালান, অনুপ্রবেশে মদত করতেই কি সীমান্তে বিএসএফকে বেড়া দিতে বাধা বিজিবি-র?

    India Bangladesh Border: চোরাচালান, অনুপ্রবেশে মদত করতেই কি সীমান্তে বিএসএফকে বেড়া দিতে বাধা বিজিবি-র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে উড়ছে কোটি কোটি টাকা। কাঁটাতারের বাইরে ফাঁকা অংশে নজর বাংলাদেশের (India Bangladesh Border) চোরাচালানকারীদের। হু হু করে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। দোসর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বা বিজিবি। বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে এবার ফাঁকা অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। রাজ্যের একাধিক জেলার সীমান্ত এলাকায় এখন কাঁটাতার দেওয়ার কাজ চলছে। আর সেখানে বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজিবি। আর তাতে মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। তবে, বিএসএফের কড়া হুঁশিয়ারিতে বার বার পিছু হটছে বিজিবি।

    রোহিঙ্গাদের অনুপ্রেবেশের স্বার্থেই কি বিজিবির এই বিরোধিতা? (India Bangladesh Border)

    মালদা, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া সহ একাধিক জায়গায় বিজিবি সীমান্তে (India Bangladesh Border) বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিচ্ছে। মূলত, সীমান্তে চোরাচালান, অনুপ্রবেশে ইউনূস সরকারের মদত রয়েছে। সরকারের নির্দেশ পেয়ে সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিজিবি। নানা অছিলায় বিএসএফকে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মূলত, সীমান্তে যাতে বেড়া দিতে না পারে তার উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, প্রতিবারই বিএসএফের চাপে পিছু হটছে বিজিবি। জানা গিয়েছে, মালদার ভারত-বাংলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনে আবারও বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় পূর্ত সড়ক বিভাগকে বাধা দেয়। তাদের দাবি, বেড়া নির্মাণের জন্য খুঁটির গর্ত খোঁড়া যাবে না। যেখানে গর্ত খোঁড়া হচ্ছে, সেই জায়গা নাকি বাংলাদেশের। তাদের বাধায় বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধ হয়ে যায় বেড়া দেওয়ার কাজ। বিকেলে ইংরেজবাজারের মহদিপুরে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। সেই বৈঠকে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ম্যাপ খুলে সবকিছু দেখানোর পর, তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে। শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে বেড়া দেওয়ার কাজ, বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক। তবে সীমান্ত লাগোয়া এলাকার ভারতীয়রা বলছেন, এর পিছনে রয়েছে বাংলাদেশের অভিসন্ধি। যেখানে তারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, সেখানে সীমান্তের ওপারে রোহিঙ্গারাও জড়ো হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। তবে কি বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের অনুপ্রেবেশের স্বার্থেই কি বিজিবির এই বিরোধিতা? প্রশ্ন তুলছেন এপারের মানুষ।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    বেড়া দিতে বার বার বাধা দিচ্ছে বিজিবি!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি ইন্দো-বাংলা সীমান্তের (India Bangladesh Border) অরক্ষিত সীমান্তে ত্রিস্তর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকদেবপুরেও চলতি সপ্তাহে সেই কাজ শুরু হয়। কিন্তু গত সোমবার সেখান প্রথমবার কাজে বাধা দেন বেশকিছু বাংলাদেশি। তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে আসে বিজিবিও। তারা দাবি করে, যেখানে বেড়া দেওয়া হচ্ছে সেই জায়গা বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে। যদিও কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লক প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ম্যাপ খুলে বিজিবিকে প্রমাণ দেন, যে তাদের দাবি সঠিক নয়। মঙ্গলবার কাজ ফের শুরু হয়। একদিন কাজ হতে না হতে ফের বাধা আসে। নকশা অনুযায়ী, কাঁটাতারের বেড়া দিতে ওই এলাকায় মরাগঙ্গা নদীর ধারে মোট ৪০০টি খুঁটি পুঁততে হবে। তার জন্য ইতিমধ্যে শতাধিক গর্ত করা হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজিবির তরফে দাবি করা হয়, যে জায়গায় গর্ত খোঁড়া হচ্ছে, সেটা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার মধ্যে পড়ে।

    স্থানীয় প্রধান কী বললেন?

    বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবদুর রহিম জানাচ্ছেন, “বিজিবি ও অল্প কিছু সংখ্যক বাংলাদেশির (India Bangladesh Border) বাধায় বারবার এই কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত এই বেড়া দেওয়া হোক। এতে এলাকার নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমনই চোরা কারবার আর অনুপ্রবেশের উপরেও নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অস্থির অবস্থা চলছে। বিনা কারণে বাংলাদেশিরা কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় জমিতে চাষ করতে যাওয়া চাষিদের গালাগালি করছে। তবে বিএসএফ সক্রিয় রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সুকদেবপুরের বাসিন্দা (India Bangladesh Border) মহম্মদ ফইজুদ্দিন, বাবলু শেখরা বলেন, “এমনিতেই এই এলাকা দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই জাল নোট কিংবা নেশার কফ সিরাপ উদ্ধার হয়। বিএসএফ জওয়ানদের ওপর বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনাও ঘটেছে। নিজেদের নিরাপত্তায় আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার সেই কাজ শুরু করেছে। যে কোনও মূল্যে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে।” স্থানীয় রমজান আলির বক্তব্য, “আমরা খবর পেয়েছি, এই অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের এদেশে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে বিজিবি। সেই কারণেই তারা বারবার ঝামেলা পাকাচ্ছে। বিএসএফ আমাদের একবার সুযোগ দিক, আমরা সব ঠান্ডা করে দেব।”

    বিএসএফের কর্তা কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) এক আধিকারিক (India Bangladesh Border) হনুমান প্রসাদ জানাচ্ছেন, “বিজিবির বাধায় গতকাল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমস্যা মেটাতে মহদিপুরে দু’দেশের ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে।  ফের কাজ শুরু হয়েছে। সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুকদেবপুর বিওপি থেকে শবদলপুর বিওপি পর্যন্ত জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হিন্দু হওয়ায় বাংলাদেশে চাকরি থেকে তাড়ানো হল দুই সরকারি আধিকারিক, প্রধানশিক্ষককে

    Bangladesh: হিন্দু হওয়ায় বাংলাদেশে চাকরি থেকে তাড়ানো হল দুই সরকারি আধিকারিক, প্রধানশিক্ষককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনার পতনের পর ক্ষমতায় ইউনূস প্রশাসন। আর এই সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে হিন্দু নিধন শুরু হয়েছে। একদিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য হিন্দুদের নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। না মানলে খুন করে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দু মা, বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। এর পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন পদে যে সব হিন্দুরা রয়েছেন, তাঁদের নানা অছিলায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য করছে ইউনূস প্রশাসন। এককথায় প্রাণে না মেরে ভাতে মারতে চাইছে প্রশাসন। সম্প্রতি, দুজন হিন্দু আধিকারিককে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Bangladesh)

    ইউনূস প্রশাসন দুজন সরকারি আধিকারিককে (Bangladesh) চাকরি ছাড়তে বাধ্য করিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথম জন বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জনেন্দ্রনাথ সরকার এবং অন্যজন চট্টগ্রামের শিল্প এলাকার সহকারি পুলিশ সুপার রণজিৎ কুমার বড়ুয়া। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজশাহীর মেধাবী ছাত্র জনেন্দ্রনাথ সরকার বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একাদশ ব্যাচের সভাপতি। ১৯৯৩ সালে জেলাশাসকের সহকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রশাসনের অন্দরে দক্ষ আমলা হিসেবে পরিচিত। স্বতন্ত্র নাগরিক সহ একাধিক মন্ত্রকেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলে ছিলেন তিনি। ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই তিনি রোষানলে পড়েন। একাধিক জায়গায় বদলি করার পর এবার তাঁকে চাকরি থেকে তাড়ানো হল। এছাড়াও সামাজিক সংগঠনে কর্মরত থেকে তাড়ানো হয়েছে চট্টগ্রাম শিল্প প্রশাসনের সহকারি পুলিশ সুপার রণজিৎ কুমার বড়ুয়াকে। চাকরি থেকে তাড়ানোর পথ প্রশস্ত হয় গত নভেম্বরেই। তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এনে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

     হিন্দু প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হল!

    অন্যদিকে, চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক প্রধান শিক্ষককে (Bangladesh) জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। এর পিছনে স্কুল পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু, বাস্তবে প্রধান শিক্ষক হিন্দু হওয়ার কারণে তাঁকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হল। পদত্যাগের পর ওই শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বরৈয়া ঠান্ডা মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার শিকার ওই প্রধান শিক্ষকের নাম চন্দন মহাজন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় একদল চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ লোক প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজনের (Bangladesh) বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থী ছাড়াও কিছু অভিভাবককে উস্কে দেয়। এদের মধ্যে স্কুল পরিচালনা কমিটির দখল নিতে চাওয়া লোকজনও আছে। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, চন্দন মহাজন ইসলামবিদ্বেষী কথাবার্তা বলেছেন। দাড়ি রাখলে জঙ্গি বা হিজাব-নিকাব নিয়ে কটুক্তি করেছেন-এমন অভিযোগও তোলেন তাঁরা। এছাড়া অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়। এসবের পিছনে মৌলবাদীরা রয়েছে। তারা পিছন থেকে স্কুল পড়ুয়াদের মগজ ধোলাই করে ওই প্রধান শিক্ষককে চাকরি ছাড়াতে বাধ্য করিয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজনকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডাকা হয়। কিন্তু ওই সময় হঠাৎ করে একদল শিক্ষার্থীকে সেখানে নিয়ে আসা হয়। তারা তদন্ত ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজন।

    স্কুলের এক শিক্ষক কী বললেন?

    স্কুলটির (Bangladesh) একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজনকে ফাঁসানোর জন্যই বেশিরভাগ অভিযোগ তোলা হয়েছে। ছোট ছোট শিশুদের আন্দোলনে যেতে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এদের অনেকে জানেই না শিক্ষকের অপরাধ কী?” স্থানীয় এক অভিভাবক অভিযোগ করেন, “এই হেনস্থার ঘটনার নেপথ্যে মূলত কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব। বাকি অভিযোগগুলো সাজানো।” এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজনের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ, মৌলবাদীদের দাপাদাপির কারণে তাঁর চাকরি গিয়েছে তা সহকর্মীদের কথাতেই স্পষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Fishermen: ‘‘উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে’’! বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন মৎস্যজীবীরা

    Indian Fishermen: ‘‘উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে’’! বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন মৎস্যজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবী বেশ কয়েকদিন আটকে ছিলেন বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে তাঁরা ফিরেছেন ঘরে। মূলত ভারত এবং বাংলাদেশ, দুই দেশের মৎস্যজীবীদের বিনিময় করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় নিজেদের দেশে। এর মধ্যে দেশে ফেরা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (Indian Fishermen) অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই সব মৎস্যজীবীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছে বাংলাদেশের নৌসেনা ও কোস্টগার্ড। দেশে ফিরে শোনালেন বাংলাদেশে আটকে থাকাকালীন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কেউ জানালেন, “নগ্ন করে আমাদের মারা হয়েছে। সেই ছবিও তোলা হয়েছে।” কেউ আবার  বললেন, “শেখ হাসিনাকে ভারতের মা বলে বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে।” শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি বন্দিদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এক ভারতীয় মৎস্যজীবীকে তো খুন করা হয়েছে। এক কথায় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের পরিষ্কার কথা, তাঁরা বাংলাদেশের নৌসেনাদের অত্যাচারের স্মৃতি ভুলতে পারছে না।

    উলঙ্গ করে আগোপিছু ছবি তুলেছে (Indian Fishermen)

    গোপাল মান্না নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের ২০ তারিখ আমাদের ধরেছিল। তারপর পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যায়। এরপর ওদের দেশের (Bangladesh) নৌবাহিনী আমাদের মাছগুলো (Indian Fishermen) নিয়ে চলে যায়। তারপর আমাদের আধার কার্ড চায়। এরপর উলঙ্গ করে অনেকের আগুপিছু ছবি তুলেছে। আমরা কিছু বলিনি। কারণ যদি আরও মারধর করে। বারবার বলছে জামা কাপড় খোল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের আগে যাঁদের ধরেছে তাদের তো বেদম মেরেছে। এত মেরেছে যে পায়খানার সঙ্গে রক্ত বের হত। ওই মার চোখে দেখা যায় না। পশুর ওপরও ওরকম অত্যাচার করা হয় না। এরপর ওইখানকার থানায় নিয়ে যায়। খাবার দিয়েছে। মেডিক্যাল করল। তারপর শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে পুলিশ বলল, তোদের মা নেই। মা মরে গিয়েছে। চলে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ

    বছর ষাটের গুণমণি দাসকে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে। এমনিতে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের (Indian Fishermen) অকথ্য অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত মৎস্যজীবীর কাকদ্বীপের বাড়িতে বুক ফাটা কান্না। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে ট্রলারে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবী গুণমণি দাস। ৬টি ট্রলারে মোট ৯৫ জন রওনা দেন মাছ শিকার করতে। দু’মাস পরে গুণমণি দাস ছাড়া ঘরে ফিরেছেন সকলে। ফিরে আসা মৎস্যজীবীর দাবি, ১৬ অক্টোবর মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে যায় ট্রলারের ইঞ্জিন। সেই সময়ে সীমান্ত পার করে চরম বিপদের মুখে পড়েন সকলে। বাংলাদেশের কোস্টগার্ড দেখতে পেয়ে সজোরে ধাক্কা মারে গুণমণি দাসের ট্রলারে। ট্রলার থেকে ছিটকে সমুদ্রে পড়ে যান ৫ মৎস্যজীবী। ৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও গুণমণিকে তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে গুণমণিকে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছেন ফিরে আসা এক ভারতীয় মৎস্যজীবী। সেই সঙ্গে, তাঁর আরও অভিযোগ, আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে নিরীহ মৎস্যজীবীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আঘাতের জেরে দেহের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে মৎস্যজীবীদের। আহত ২২ জন মৎস্যজীবীর চিকিৎসা হয় কাকদ্বীপ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: পেটে খিদে মুখে যুদ্ধ! সেই ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন চাল আমদানি বাংলাদেশের

    Bangladesh: পেটে খিদে মুখে যুদ্ধ! সেই ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন চাল আমদানি বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত-বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার স্বপ্ন দেখছেন মৌলবাদীরা। কিন্তু, দেশবাসীর মুখে দুবেলা অন্ন জোগানের ব্যবস্থা করতে পারেনি ইউনূস প্রশাসন। বন্ধু পাকিস্তানও এই সংকটে পাশে এসে দাঁড়ায়নি। যে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীরা, খিদে মেটাতেই সেই ‘শত্রু দেশ’ ভারতের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে। ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল কেনার (Indian Rice) সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের।  ওই যে কথায় বলে, পেটের জ্বালা বড় জ্বালা!

    ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এমনই দাবি করা হল বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠ’-র রিপোর্টে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত এক মাসে বাংলাদেশে খুচরো বাজারে প্রতি বস্তা চালের (Indian Rice) দাম ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে। এই আবহে সেখানের বাজারে সরু চালের দাম কেজি প্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা এবং মোটা চালের দাম কেজি পিছু ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)।

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    কেন চাল কিনবে?

    জানা গিয়েছে, মূলত ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে ইউনূস সরকার। আর সেই কারণে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার চাল কিনতে টেন্ডার ডেকেছিল। সেই টেন্ডারে সর্বনিম্ন দর দিয়েছিল ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই আবহে তাদের থেকে ৪৫৮.৮৪ মার্কিন ডলার প্রতি টন হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে বাংলাদেশ। এই চাল (Indian Rice) কিনতে বাংলাদেশের পকেট থেকে খসবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৫৫.০৬ টাকা।

    নভেম্বর-ডিসেম্বরেও ভারতের চালে পেট ভরেছে বাংলাদেশের

    এই প্রথম নয়। এর আগে, গত ডিসেম্বরেই ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছিল ইউনূস সরকার। ৪ ডিসেম্বর প্রতি কেজিতে ৫৬.১২ টাকা দরে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল ঢাকা। তার পর, ১৮ ডিসেম্বর ৫৪.৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে ভারত থেকে চাল কেনার (Indian Rice) জন্যে সবুজ সংকেত দিয়েছিল ইউনূস সরকার। এরও আগে, গত ২১ নভেম্বর ভারতের এসএইএল অ্যাগ্রি কমোডিটিজের থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এই আবহে গত কয়েক মাসে ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ টন চাল কিনেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এবার ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে ইউনূস সরকার।

    ভারত থেকে ৬ লক্ষ টন চাল আমদানিতে অনুমতি

    এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছর সেদেশে ২০ লাখ ৫২ হাজার টন চালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যার মধ্যে আবার ভারত থেকেই ৬ লাখ টন চাল (Indian Rice) আমদানির নীতিগত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি! কারণ, পাকিস্তান হোক বা তাইল্যান্ড কিংবা ভিয়েতনাম— এসব জায়গা থেকে চাল আমদানি করতে বেশি খরচের ভার বহন করতে হবে ইউনূস প্রশাসনকে, যার আগে থেকেই কার্যত ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থা। এই আবহে আপাতত বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় এখন ইউনূস সরকার। যতদিন যাচ্ছে ইউনূস প্রশাসনের কদর্য রূপ বিশ্ববাসীর কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর কত মিথ্যা বলবে বাংলাদেশ? এবার ইউনূসের সেনার মিথ্যার মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ (BSF)। ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিলোমিটার ভূখণ্ডকে ‘ভারতের দখলমুক্ত’ করা হয়েছে বলেই দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই বিবৃতি দিয়ে জানাল বিএসএফ।

    ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক? (BSF)

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিলা সীমান্ত (India-Bangladesh Border) ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে কোদলা বা কোদালিয়া নদী। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নিয়েই বিতর্ক। বিএসএফ (BSF) এবং বিজিবি— উভয়েই তাদের কোদালিয়া নদীর পাশে দায়িত্ব পালন করে। ওই এলাকাটি কাঁটাতার বিহীন হওয়ায়, চোরাচালান এবং সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকে সর্বদাই। বিএসএফ এই এলাকা থেকে আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখন এই এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নগণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দাবি করেছে, এই ভূখণ্ড নাকি তাদের। কিন্তু, সেখানে কোনও বাংলাদেশি মাছ ধরতেও যেতে পারত না। দুই দেশেরই টহল চলে এই এলাকায়। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    নদীতে না নামার হঁশিয়ারি

    নদীতে কেউ নামবেন না, কারণ কোদালিয়া নদীটি পুরোপুরি বাংলাদেশের মধ্যে। বাংলাদেশের বিজিবি-র পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী ভারতের সীমান্তের মধ্যে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিএসএফ (BSF) রেঞ্জের অধীনঘাট রংঘাট, কৃষ্ণ প্রতাপপুর সহ একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে। সেই সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের মাঝে একটি কোদালিয়া নদী রয়েছে। এই নদীটি উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে,  দীর্ঘদিন ধরেই সেটা ভারত সীমান্তের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ সেনা মাইক প্রচার করছে সেই নদী নাকি তাদের দখলে। সেই কারণে কোনও ভারতীয় যাতে সেই নদীতে না নামেন, কিংবা না ব্যবহার করেন। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী দীর্ঘদিন ধরেই ভারত সীমান্তর মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই নদী বিভিন্ন স্নানের কাজে অথবা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে আসছেন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফে কিছু সিমেন্টের পিলার ছিল সীমানা নির্ধারিত করার জন্য, সেই পিলারগুলিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুলে দিয়েছে। ভারতীয়রা মনে করছেন, বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সঙ্গে একটি ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভারতের যে অংশ সে অংশ যাতে বাংলাদেশ সরকার কখনও দখল করতে না পারে। সেই কারণেই পাকাপোক্তভাবে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে।

    বিএসএফ কী বলল?

    বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, ওই এলাকাটি ভারতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা ব্লকের রাংঘাট গ্রামের অন্তর্গত, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত কোদালিয়া নদীর পাশ দিয়ে চলছে। নদীপথের কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে রেফারেন্স পিলার ভালভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ডিউটি প্যাটার্নের কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি, জানাল বিসিএফ

    ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা ১৯৭৫’-এর বোঝাপড়া অনুযায়ী, প্রকৃত স্থল পরিস্থিতি অক্ষুণ্ণ এবং উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ আধিপত্যের অধীন— এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করে তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, গত ১৯ ডিসেম্বর বিজিবি সদস্যরা নদীর ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে মোটর চালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা  টহল শুরু করেছিল। এটি একটি মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়। ৫৮ বিজিবির নবনিযুক্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিক ইসলামের করা মিথ্যা, মন গড়া দাবিগুলি অস্বীকার করা হয়েছে। এই ধরনের নিবন্ধ এবং মিডিয়া রিপোর্ট দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সদ্ভাবকে নষ্ট করবে বলেই সতর্ক করেছে বিএসএফ। পাশাপাশি বিএসএফ আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি বা ভবিষ্যতেও প্রতিপক্ষের দ্বারা দখল করা হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ধরেছিলেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। ক্ষমতায় এসেই প্রথম যে কাজটি তিনি করেছিলেন, সেটা হল বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার বন্দিদশা ঘোচানো। খালেদাকে মুক্ত করে বিএনপির ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছিল ইউনূস প্রশাসন। শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস জমানায় নিশ্চিন্তে চলতে থাকে সংখ্যালঘু পীড়ন। তাতে আরও উল্লসিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে! (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর দল আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হিংসার ঘটনাও ঘটে। ছন্নছাড়া হয়ে যায় হাসিনার সাধের আওয়ামি লিগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ফাঁকেই ক্ষমতা আঁকড়ে বসে থাকার পরিকল্পনা ছকে ফেলেন ইউনূস! বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, খালেদাকে মুক্তি দিয়ে এবং মৌলবাদীদের সমর্থন কুড়িয়ে ‘হিরো’ বনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইউনূস। তবে ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে যাওয়ায় দেশে সাধারণ নির্বাচন আপাতত করাতে চাইছে না সে দেশের তদারকি সরকার। দিন কয়েক আগে স্বয়ং ইউনূসের কথায়ই মিলেছিল তার ইঙ্গিত। তিনি বলেছিলেন, “২০২৫ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন করা হবে।

    বিএনপির সাফ কথা

    ইউনূসের এহেন মন্তব্যের পরেই খালেদার দল বিএনপি বুঝে গিয়েছিল ঘুঁটি সাজাতেই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। তার জেরে বিএনপির সঙ্গে ইউনূসের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে নয়া ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমাদের দল (বিএনপি) এই চক্রান্তের সামনে মাথা নত করবে না।” শনিবার ছিল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন ফখরুল। তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সামনে আমরা মাথা নত করব না। সব জায়গায় বৈষম্য রয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ফখরুলের এহেন বাক্য-বাণের আগে বিএনপি (Bangladesh Crisis) অভিযোগ তুলেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূস সরকার নানা টালবাহানা করে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে (Yunus Government)। এই পরিস্থিতিতে ফখরুল আবার ‘জনগণের সরকার’ তৈরির কথা মনে করিয়ে দিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্বন্ধে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁদের একাংশের মতে, মূলত দুটো কারণে দেশে সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। এক, ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা যতটা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর দুই, ইউনূসরা নিজেরাই একটি দল গঠন করতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। হাসিনার দেশ ছাড়া, তাঁর দলের ছন্নছাড়া হওয়া, খালেদার অসুস্থতা, মাস দুয়েকের জন্য চিকিৎসা করাতে তাঁর লন্ডনে চলে যাওয়া ইউনূসের কাছে বিরাট একটা সুযোগ। এই সুযোগে ইউনূস দল গঠনের কাজটা করে নিতে চাইছেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে ইউনূসের নয়া দল যাতে শেকড় গাড়তে পারে, তাই ‘টাইম কিল’ করছেন ইউনূস ও তাঁর অনুগামীরা।

    বিএনপির ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বিএনপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখতে বর্তমানে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও চাল চালা হচ্ছে। সেই কারণেই মহম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করছেন না।” গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছিল এডিএসএম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখনই তারা জানিয়েছিল, নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়া হবে। এই নতুন দলটির সদস্য সংগ্রহ, দেশজুড়ে শাখা স্থাপন, সম্পদ সংগ্রহ এবং একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণের মাধ্যমে সংগঠিত হতে সময় লাগবে।

    ফের ‘রাজপক্ষের দল’ !

    বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক বলেন, “এটা স্পষ্ট যে মহম্মদ ইউনূস ও এডিএসএম নেতারা, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, নির্বাচন স্থগিত করতে চান যতক্ষণ না নতুন ‘রাজপক্ষের দল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনূস এবং তাঁর সহকর্মীরা সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।” আরও একধাপ এগিয়ে ফখরুল বলেন, “এটি (ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটি অনির্বাচিত সরকার। তাই এটি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, “সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।”

    জামাতের প্রভাব বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের (Bangladesh Crisis) মতে, ইউনূসের আমলে জামাতের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে জামাত ঘনিষ্ঠদের। এই সব কারণে ইউনূস প্রশাসনের ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিএনপি। খালেদার দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পাক সেনার হয়ে কাজ করছিলেন। রাজাকার ঘাতক বাহিনীর নেতা হিসেবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। ইউনূস জমানায় সেই জামাতের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকা নিয়েও (Yunus Government) বিএনপি ক্ষুব্ধ।

    কী বলছে বিএনপি?

    আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক নির্বাচন সংস্কার সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে, যা সংসদীয় নির্বাচন পরিচালনার পূর্বশর্ত। দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ইত্যাদিতে বড় ধরনের সংস্কার শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় সংসদ করতে পারে। বড় ধরনের সংস্কার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়।” আলমগীর খালেদার ছেলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারেক লন্ডনে থাকেন। তবে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তদারকি সরকারকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে আলামগীর বলেন, “শীঘ্রই একটি দৃঢ় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে মানুষকে রাস্তায় নামার ডাক দেবে আমার দল।” বিএনপির আর এক ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত মাহমুদ বলেন, “নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে ইউনূসের সমর্থন দেওয়া নৈতিক ও নীতিগতভাবে ভুল।”

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    অরাজনৈতিক হওয়া উচিত

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইউনূস একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এই সরকারের কাজ সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক হওয়া উচিত। এর ম্যান্ডেটও সীমিত। নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দেওয়া এবং নতুন দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার অজুহাত দেওয়া খুবই ভুল। গ্রহণযোগ্যও নয়। ইউনূস যে খেলা খেলছেন, তা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের মানুষ।” আলমগীর বলেন, “নির্বাচনী সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির কাজ হল সংস্কারের সুপারিশ করা। কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব দেওয়া (Bangladesh Crisis) শোভন নয়।”

    বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত!

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার সাদাকাত আলি বলেন, “বিএনপি এবং ইউনূসের মধ্যে একটি তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কারণ ইউনূস দিন দিন আরও সাহসী হয়ে উঠছেন।” তিনি বলেন, “ইউনূস এখনও পর্যন্ত চুপ ছিলেন। কারণ তিনি নিজের জন্য সমর্থন সংগঠিত করার আগে বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়াতে চাননি। তবে এটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। কারণ তিনি (Yunus Government) ইসলামপন্থীদের এবং অন্যদের সমর্থন পেয়েছেন। শীঘ্রই তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানবেন (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হু হু করে বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্ব! সরকারি রিপোর্টে চাপে ইউনূস সরকার

    Bangladesh: হু হু করে বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্ব! সরকারি রিপোর্টে চাপে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশজুড়ে হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়ে সেখানে যুদ্ধের জিগির তুলছে মৌলবাদীরা। মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। এই আবহের মধ্যে এবার বাংলাদেশের হু হু করে বেকারত্ব বেড়ে চলার তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেটাও সেখানকার সরকারি হিসেব অনুসারে! মূলত, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেই এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম চাপে পড়ে গিয়েছে ইউনূস সরকার। ভারত বিরোধী জিগির তুলে বেকারত্ব বৃদ্ধির দায়কে এড়িয়ে যেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

    বেকারের সংখ্যা কত? (Bangladesh)

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স বা বিবিএস-এর হিসেব বলছে, চলতি আর্থিক বছরের (২০২৪-২৫) দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪) বাংলাদেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬ লক্ষ ৬০ হাজার! রবিবার বিবিএস-এর তরফে শ্রম শক্তি সমীক্ষা ২০২৪-এর যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই সামনে এসেছে এই তথ্য। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সকারের পতন এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন। আর, তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের তুমুল ভারত বিদ্বেষ ও হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের ওপর নিদারুণ নিপীড়ন!

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    নয়া বেকারত্বের সংখ্যা নির্ধারণের নিয়ম

    বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল ঢাকা ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ লেবার স্ট্যাটিস্টিক্স’ বা ১৯তম আইসিএলএস-এর নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশের (Bangladesh) নয়া বেকারত্বের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়ম অনুসারে, যে সমস্ত ব্যক্তিরা কোনও উৎপাদনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও পণ্য বিক্রি বা বাজারে কোনও পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে যুক্ত থাকেন না, তাঁদের বেকার বা কর্মহীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিবিএস-এর একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই প্রথম এই ফরমুলায় দেশে সমীক্ষা চালানো হল এবং বেকারদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হল। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এত দিন ১৩তম আইসিএলএস অনুসারে বেকারত্ব ও শ্রমশক্তির হিসেব করা হত। এবার, নতুন ফর্মুলা (১৯তম আইসিএলএস) অনুযায়ী, সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

    কেন বাড়ছে বেকার?

    বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল কালের কণ্ঠ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বেকারত্ব বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মূলত দু’টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন অর্থনীতিবিদরা। প্রথমত, গত একবছরে বাংলাদেশে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ না হওয়া এবং দ্বিতীয়ত, লাগাতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অস্থিরতা। এর ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের কৃষি ক্ষেত্র। গত এক বছরে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন! লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এর আগে ১৩তম আইসিএলএস ভিত্তিক করা সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশে (Bangladesh) কর্মরত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬০ লক্ষ। যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৭৪ লক্ষ ৯০ হাজার এবং মহিলার সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ ৭০ হাজার। আগের এই সমীক্ষা অনুসারে, উপরোক্ত শ্রমিক শক্তির অধীনে অন্তত ৬ কোটি ৭৫ লক্ষ ১০ হাজার এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা মজুরি পাওয়ার জন্য সাতদিনে অন্তত একঘণ্টা শ্রম দান করেন। এই তালিকায় পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৭০ হাজার এবং ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার। এই বিশেষ গোষ্ঠীটিকে কর্মরত বা কর্মহীন— এই দুইয়েরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়া, প্রবীণ, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত, গৃহবধূ এবং সেইসব ব্যক্তি- যাঁরা নানা কারণে কাজ করে রোজগার করতে পারেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার যে আগুন (Bangladesh Secretariat Fire) লেগেছিল, তা কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ না কি অন্তর্ঘাত, তা খুব তাড়াতাড়িই জানা যাবে। এমনই জানাল সে দেশের মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

    ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Bangladesh Secretariat Fire)

    বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। জানা গিয়েছে, আগুনের বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে রাত ১টা ৫২ মিনিটে জানানো হয়। ১টা ৫৪ মিনিটেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে পঞ্চম তলায় প্রথমে আগুন দেখা যায়।

    আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত

    পরে ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওপরতলায়। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই দমকলের প্রায় আটটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে আরও ১১টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন সোহানুজ্জামান নয়ন নামে এক দমকলকর্মী। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। যে বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে, সেখানেই রয়েছে অর্থমন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রকের অফিস, যুব ও ক্রীড়া, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়, শ্রম ও কর্মসংস্থানের অফিস। দমকল সূত্রে খবর, সচিবালয়ের ওই ভবনে আগুন লাগায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা। সেখানে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    স্থানীয় সরকার (Bangladesh Secretariat Fire), পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভুঁইয়ার অভিযোগ, ঘটনাটি নাশকতার। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও লিখেছেন, “স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থ লোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমা্ণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে (Md Yunus), তা এখনও জানা যায়নি (Bangladesh Secretariat Fire)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: পেটে খিদে, ভাত দিন! ভারতের কাছে হাত পাতলেন ইউনূস, যাচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

    Bangladesh: পেটে খিদে, ভাত দিন! ভারতের কাছে হাত পাতলেন ইউনূস, যাচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। ৫২টি জেলায় হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অন্তত ২ হাজারটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং শারীরিক আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। অত্যাচারের ঘটনায় বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। তাতে জ্বলন ধরে ইউনূসের। এমনকী অন্যান্য উপদেষ্টারাও লাগাতার ভারতকে আক্রমণ করতে শুরু করে। কার্যত এক পা এগিয়ে ভারতের সমস্ত জিনিস বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। কেউ কেউ তো আবার কলকাতা, এমনকী দিল্লি দখল করার দিবাস্বপ্ন দেখছিলেন। হুমকি দিচ্ছিলেন পরমাণু বোমার! বাস্তবে কাজে আসল না কোনও হুঁশিয়ারি! এবার সত্যি সত্যিই ভারতের কাছে হাত পাতল ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশে সব্জি, আনাজের হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে ভারতের থেকে চাল চাইল বাংলাদেশ।

     ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি!(Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ইউনূস সরকার (Bangladesh) প্রথমে ভারতকে ততটা গুরুত্ব দিতে চায়নি। তাই, দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দিতে চাল, ডাল কিংবা অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ভারতের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে। চিন, পাকিস্তান কিংবা তুরস্ক থেকে চাল কিংবা পেঁয়াজ কেনা হবে বলে চিন্তাভাবনা শুরু করে ইউনূস। কিন্তু তা যে সম্ভব নয় তা কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যায়। অবশেষে, দিনরাত গালাগালি দেওয়া ভারতের কাছে হাত পাততে হল ইউনূসকে। কলকাতা দখল তো দূরের কথা, ভারতের ওপর নির্ভর করতে হল ইউনূস সরকারকে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘বাংলা ট্রিবিউনে’-এর খবর অনুযায়ী, দেশের মানুষের জন্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় ইউনূসের সরকার। আর তাই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা, এমনটাই দাবি বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?

    বাংলা ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। যেখানে খাদ্য মন্ত্রকের (Bangladesh) শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ বৈঠকে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এবং তা গৃহীত হয়। লজ্জার মাথা খেয়ে সমস্ত কিছু ভুলে দেশবাসীর ভাত জোগাড় করার জন্য কার্যত ভারত থেকেই চাল কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে পরবর্তী কাজ শুরু হবে বলেও প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, সে দেশের বাজারে সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম হতে হচ্ছে আমজনতাকে।

    চাল ছাড়াও ভারতের কাছে হাত পেতে আর কী নিয়েছে ইউনূস?

    এই বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh) ভয়াবহ বন্যার কারণে চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ, বন্যায় আনুমানিক ১.১ মিলিয়ন টন চাল ধ্বংস হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। আর এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য ইউনূস সরকারকে বিদেশের দিকে হাত বাড়াতে বাধ্য করেছে। জানা গিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মজুতের পরিমাণ ১১.৪৮ লক্ষ টন থেকে নেমে হয়েছে ৭.৪২ লক্ষ টন। প্রধান খাদ্য হিসেবে ভাতের ওপর বেশি নির্ভর করে এমন একটি জাতির জন্য এটি উদ্বেগজনকভাবে কম। এই পরিস্থিতি সরকারকে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমদানি এবং দেশীয় ক্রয় উভয়ই জোরদার করতে বাধ্য করেছে। স্থানীয় মজুত বাড়ানোর জন্য সরকার চলতি মরশুমে ৮ লক্ষ টন আমন চাল সংগ্রহ করার এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকে বোরো ধান মজুত করার পরিকল্পনা করেছে। যাই হোক, এই প্রচেষ্টা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ ক্ষতিপূরণের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গত দু’দিন আগেই ভারত থেকে আরও একবার আলু পাঠানো হয় বাংলাদেশে। কার্যত সে দেশের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনতে যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর দিয়ে আলু পাঠানো হয়। প্রায় এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু গিয়েছে। এমনকী গিয়েছে পেঁয়াজ ও ডিমও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী ক্ষমতায় ইউনূস সরকার। ৫ অগাস্টের পর থেকেই আমূল বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ছবিটা। একে একে মুছে ফেলা হয়েছে হাসিনা আমলের সব চিহ্ন। ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ভবন থেকে স্থাপত্য সব মুছে ফেলতে উদ্যত বাংলাদেশের চরমপন্থী নেতারা। এই পরিস্থিতিতেই বিজয় দিবস পালন। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের দিন। তবে, মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ইউনূস সরকারের সমর্থনকারীদের হাতে আক্রান্ত হন আওয়ামি লিগের কর্মীরা।

    স্মৃতিসৌধে হাসিনার পাঠানো রক্তগোলাপ

    হাজার নজরদারি, মারধরের আতঙ্ক জয় করে ‘বিজয় দিবস’-এ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে (Bangladesh) গেরিলা কায়দায় ঢুকে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পক্ষ থেকে সবুজ পাতায় মোড়া রক্তগোলাপের স্তবক দিয়ে এলেন আওয়ামি লিগের কর্মীরা। দিনের বিভিন্ন সময়ে জনস্রোতে ভেসে বারে বারে দলের বিভিন্ন শাখা ও সংগঠনের কর্মীরা পৌঁছে যান জাতীয় স্মৃতিসৌধের চত্বরে। শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরেও যান নিভৃতে। চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা বা খুলনা- সর্বত্র শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে সবার আগে পৌঁছে গিয়ে দলের নাম লেখা ফুলের স্তবক রেখে ‘বিজয় দিবস’-এর শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন আওয়ামি কর্মীরা। এক্স হ্যান্ডলে বার্তাও দিয়েছেন হাসিনা।

    আওয়ামি লিগের কর্মীদের ওপর হামলা

    জানা গিয়েছে, দেশ (Bangladesh) জুড়ে যখন বিজয় দিবস পালন চলছে, তখন ঢাকার পল্টন ময়দান দাপিয়ে তখন জনসভা করছে জামাতে ইসলামি— একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর হানাদারির সঙ্গী হয়েছিল যারা। পরাজিত বাহিনীর সেই সঙ্গীরা এ দিন ‘বিজয় দিবস’ পালন করল বিজয়ের সঙ্গী ভারতের বিরুদ্ধে দফায় দফায় জিগির তুলে। তার পরে মোটরবাইক মিছিল সামনে রেখে রাজপথ কাঁপিয়ে শোভাযাত্রা করে জামাত ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলি। হাতে হাতে তাদের ধর্মীয় পতাকা। এ দিন সকালে কিছু তরুণ ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হলে সরকার সমর্থিত কিছু সশস্ত্র যুবক পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের প্রচণ্ড মারধর করে। এর পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জানায়, আওয়ামি লিগের এই কর্মীরা মিছিল করার চেষ্টায় ছিল।

    কী বললেন ইউনূস?

    অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের ‘লক্ষ লক্ষ শহিদ’কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। এমনকি, যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের জন্ম, তার নামও নেননি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। কারণ, পাকিস্তান এখন এই সরকারের বন্ধু দেশ। ইউনূসের ‘বিজয় দিবস’-এর বক্তৃতা জুড়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনের জয়গান। সঙ্গে আওয়ামি লিগকে তীব্র আক্রমণ তিনি।

    হাসিনা পুত্র কী বললেন?

    এদিনই এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে (Bangladesh) বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে পোস্ট করলেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। হাসিনা-পুত্র লিখেছেন, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়ে গণহত্যা চালানো যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিরা আজ অবৈধ সরকারের সান্নিধ্যে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখা বয়োজ্যেষ্ঠদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বহনকারী প্রতীকগুলো বিনা বাধায় ধ্বংস করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান এখনও ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে অনীহা প্রকাশ করে চলেছে। স্বাধীনতা, পতাকা, সার্বভৌমত্ব এবং মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা দলকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হচ্ছে। তবে গত পাঁচ দশকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একই ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু এই দেশের জনগণ সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে পরাজিত করেছিল। এ বিজয় দিবসে আমার আহ্বান হল– সব বিভেদ ভুলে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংসের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জয় বাংলা!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share