Tag: Md Yunus

Md Yunus

  • Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ধরেছিলেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। ক্ষমতায় এসেই প্রথম যে কাজটি তিনি করেছিলেন, সেটা হল বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার বন্দিদশা ঘোচানো। খালেদাকে মুক্ত করে বিএনপির ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছিল ইউনূস প্রশাসন। শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস জমানায় নিশ্চিন্তে চলতে থাকে সংখ্যালঘু পীড়ন। তাতে আরও উল্লসিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে! (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর দল আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হিংসার ঘটনাও ঘটে। ছন্নছাড়া হয়ে যায় হাসিনার সাধের আওয়ামি লিগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ফাঁকেই ক্ষমতা আঁকড়ে বসে থাকার পরিকল্পনা ছকে ফেলেন ইউনূস! বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, খালেদাকে মুক্তি দিয়ে এবং মৌলবাদীদের সমর্থন কুড়িয়ে ‘হিরো’ বনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইউনূস। তবে ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে যাওয়ায় দেশে সাধারণ নির্বাচন আপাতত করাতে চাইছে না সে দেশের তদারকি সরকার। দিন কয়েক আগে স্বয়ং ইউনূসের কথায়ই মিলেছিল তার ইঙ্গিত। তিনি বলেছিলেন, “২০২৫ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন করা হবে।

    বিএনপির সাফ কথা

    ইউনূসের এহেন মন্তব্যের পরেই খালেদার দল বিএনপি বুঝে গিয়েছিল ঘুঁটি সাজাতেই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। তার জেরে বিএনপির সঙ্গে ইউনূসের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে নয়া ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমাদের দল (বিএনপি) এই চক্রান্তের সামনে মাথা নত করবে না।” শনিবার ছিল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন ফখরুল। তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সামনে আমরা মাথা নত করব না। সব জায়গায় বৈষম্য রয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ফখরুলের এহেন বাক্য-বাণের আগে বিএনপি (Bangladesh Crisis) অভিযোগ তুলেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূস সরকার নানা টালবাহানা করে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে (Yunus Government)। এই পরিস্থিতিতে ফখরুল আবার ‘জনগণের সরকার’ তৈরির কথা মনে করিয়ে দিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্বন্ধে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁদের একাংশের মতে, মূলত দুটো কারণে দেশে সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। এক, ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা যতটা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর দুই, ইউনূসরা নিজেরাই একটি দল গঠন করতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। হাসিনার দেশ ছাড়া, তাঁর দলের ছন্নছাড়া হওয়া, খালেদার অসুস্থতা, মাস দুয়েকের জন্য চিকিৎসা করাতে তাঁর লন্ডনে চলে যাওয়া ইউনূসের কাছে বিরাট একটা সুযোগ। এই সুযোগে ইউনূস দল গঠনের কাজটা করে নিতে চাইছেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে ইউনূসের নয়া দল যাতে শেকড় গাড়তে পারে, তাই ‘টাইম কিল’ করছেন ইউনূস ও তাঁর অনুগামীরা।

    বিএনপির ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বিএনপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখতে বর্তমানে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও চাল চালা হচ্ছে। সেই কারণেই মহম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করছেন না।” গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছিল এডিএসএম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখনই তারা জানিয়েছিল, নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়া হবে। এই নতুন দলটির সদস্য সংগ্রহ, দেশজুড়ে শাখা স্থাপন, সম্পদ সংগ্রহ এবং একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণের মাধ্যমে সংগঠিত হতে সময় লাগবে।

    ফের ‘রাজপক্ষের দল’ !

    বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক বলেন, “এটা স্পষ্ট যে মহম্মদ ইউনূস ও এডিএসএম নেতারা, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, নির্বাচন স্থগিত করতে চান যতক্ষণ না নতুন ‘রাজপক্ষের দল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনূস এবং তাঁর সহকর্মীরা সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।” আরও একধাপ এগিয়ে ফখরুল বলেন, “এটি (ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটি অনির্বাচিত সরকার। তাই এটি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, “সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।”

    জামাতের প্রভাব বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের (Bangladesh Crisis) মতে, ইউনূসের আমলে জামাতের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে জামাত ঘনিষ্ঠদের। এই সব কারণে ইউনূস প্রশাসনের ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিএনপি। খালেদার দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পাক সেনার হয়ে কাজ করছিলেন। রাজাকার ঘাতক বাহিনীর নেতা হিসেবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। ইউনূস জমানায় সেই জামাতের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকা নিয়েও (Yunus Government) বিএনপি ক্ষুব্ধ।

    কী বলছে বিএনপি?

    আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক নির্বাচন সংস্কার সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে, যা সংসদীয় নির্বাচন পরিচালনার পূর্বশর্ত। দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ইত্যাদিতে বড় ধরনের সংস্কার শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় সংসদ করতে পারে। বড় ধরনের সংস্কার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়।” আলমগীর খালেদার ছেলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারেক লন্ডনে থাকেন। তবে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তদারকি সরকারকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে আলামগীর বলেন, “শীঘ্রই একটি দৃঢ় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে মানুষকে রাস্তায় নামার ডাক দেবে আমার দল।” বিএনপির আর এক ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত মাহমুদ বলেন, “নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে ইউনূসের সমর্থন দেওয়া নৈতিক ও নীতিগতভাবে ভুল।”

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    অরাজনৈতিক হওয়া উচিত

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইউনূস একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এই সরকারের কাজ সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক হওয়া উচিত। এর ম্যান্ডেটও সীমিত। নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দেওয়া এবং নতুন দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার অজুহাত দেওয়া খুবই ভুল। গ্রহণযোগ্যও নয়। ইউনূস যে খেলা খেলছেন, তা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের মানুষ।” আলমগীর বলেন, “নির্বাচনী সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির কাজ হল সংস্কারের সুপারিশ করা। কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব দেওয়া (Bangladesh Crisis) শোভন নয়।”

    বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত!

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার সাদাকাত আলি বলেন, “বিএনপি এবং ইউনূসের মধ্যে একটি তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কারণ ইউনূস দিন দিন আরও সাহসী হয়ে উঠছেন।” তিনি বলেন, “ইউনূস এখনও পর্যন্ত চুপ ছিলেন। কারণ তিনি নিজের জন্য সমর্থন সংগঠিত করার আগে বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়াতে চাননি। তবে এটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। কারণ তিনি (Yunus Government) ইসলামপন্থীদের এবং অন্যদের সমর্থন পেয়েছেন। শীঘ্রই তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানবেন (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হু হু করে বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্ব! সরকারি রিপোর্টে চাপে ইউনূস সরকার

    Bangladesh: হু হু করে বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্ব! সরকারি রিপোর্টে চাপে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশজুড়ে হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়ে সেখানে যুদ্ধের জিগির তুলছে মৌলবাদীরা। মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। এই আবহের মধ্যে এবার বাংলাদেশের হু হু করে বেকারত্ব বেড়ে চলার তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেটাও সেখানকার সরকারি হিসেব অনুসারে! মূলত, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেই এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম চাপে পড়ে গিয়েছে ইউনূস সরকার। ভারত বিরোধী জিগির তুলে বেকারত্ব বৃদ্ধির দায়কে এড়িয়ে যেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

    বেকারের সংখ্যা কত? (Bangladesh)

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স বা বিবিএস-এর হিসেব বলছে, চলতি আর্থিক বছরের (২০২৪-২৫) দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪) বাংলাদেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬ লক্ষ ৬০ হাজার! রবিবার বিবিএস-এর তরফে শ্রম শক্তি সমীক্ষা ২০২৪-এর যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই সামনে এসেছে এই তথ্য। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সকারের পতন এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন। আর, তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের তুমুল ভারত বিদ্বেষ ও হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের ওপর নিদারুণ নিপীড়ন!

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    নয়া বেকারত্বের সংখ্যা নির্ধারণের নিয়ম

    বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল ঢাকা ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ লেবার স্ট্যাটিস্টিক্স’ বা ১৯তম আইসিএলএস-এর নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশের (Bangladesh) নয়া বেকারত্বের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়ম অনুসারে, যে সমস্ত ব্যক্তিরা কোনও উৎপাদনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও পণ্য বিক্রি বা বাজারে কোনও পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে যুক্ত থাকেন না, তাঁদের বেকার বা কর্মহীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিবিএস-এর একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই প্রথম এই ফরমুলায় দেশে সমীক্ষা চালানো হল এবং বেকারদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হল। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এত দিন ১৩তম আইসিএলএস অনুসারে বেকারত্ব ও শ্রমশক্তির হিসেব করা হত। এবার, নতুন ফর্মুলা (১৯তম আইসিএলএস) অনুযায়ী, সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

    কেন বাড়ছে বেকার?

    বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল কালের কণ্ঠ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বেকারত্ব বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মূলত দু’টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন অর্থনীতিবিদরা। প্রথমত, গত একবছরে বাংলাদেশে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ না হওয়া এবং দ্বিতীয়ত, লাগাতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অস্থিরতা। এর ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের কৃষি ক্ষেত্র। গত এক বছরে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন! লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এর আগে ১৩তম আইসিএলএস ভিত্তিক করা সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশে (Bangladesh) কর্মরত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬০ লক্ষ। যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৭৪ লক্ষ ৯০ হাজার এবং মহিলার সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ ৭০ হাজার। আগের এই সমীক্ষা অনুসারে, উপরোক্ত শ্রমিক শক্তির অধীনে অন্তত ৬ কোটি ৭৫ লক্ষ ১০ হাজার এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা মজুরি পাওয়ার জন্য সাতদিনে অন্তত একঘণ্টা শ্রম দান করেন। এই তালিকায় পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৭০ হাজার এবং ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার। এই বিশেষ গোষ্ঠীটিকে কর্মরত বা কর্মহীন— এই দুইয়েরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়া, প্রবীণ, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত, গৃহবধূ এবং সেইসব ব্যক্তি- যাঁরা নানা কারণে কাজ করে রোজগার করতে পারেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার যে আগুন (Bangladesh Secretariat Fire) লেগেছিল, তা কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ না কি অন্তর্ঘাত, তা খুব তাড়াতাড়িই জানা যাবে। এমনই জানাল সে দেশের মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

    ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Bangladesh Secretariat Fire)

    বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। জানা গিয়েছে, আগুনের বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে রাত ১টা ৫২ মিনিটে জানানো হয়। ১টা ৫৪ মিনিটেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে পঞ্চম তলায় প্রথমে আগুন দেখা যায়।

    আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত

    পরে ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওপরতলায়। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই দমকলের প্রায় আটটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে আরও ১১টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন সোহানুজ্জামান নয়ন নামে এক দমকলকর্মী। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। যে বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে, সেখানেই রয়েছে অর্থমন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রকের অফিস, যুব ও ক্রীড়া, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়, শ্রম ও কর্মসংস্থানের অফিস। দমকল সূত্রে খবর, সচিবালয়ের ওই ভবনে আগুন লাগায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা। সেখানে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    স্থানীয় সরকার (Bangladesh Secretariat Fire), পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভুঁইয়ার অভিযোগ, ঘটনাটি নাশকতার। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও লিখেছেন, “স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থ লোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমা্ণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে (Md Yunus), তা এখনও জানা যায়নি (Bangladesh Secretariat Fire)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: পেটে খিদে, ভাত দিন! ভারতের কাছে হাত পাতলেন ইউনূস, যাচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

    Bangladesh: পেটে খিদে, ভাত দিন! ভারতের কাছে হাত পাতলেন ইউনূস, যাচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। ৫২টি জেলায় হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অন্তত ২ হাজারটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং শারীরিক আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। অত্যাচারের ঘটনায় বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। তাতে জ্বলন ধরে ইউনূসের। এমনকী অন্যান্য উপদেষ্টারাও লাগাতার ভারতকে আক্রমণ করতে শুরু করে। কার্যত এক পা এগিয়ে ভারতের সমস্ত জিনিস বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। কেউ কেউ তো আবার কলকাতা, এমনকী দিল্লি দখল করার দিবাস্বপ্ন দেখছিলেন। হুমকি দিচ্ছিলেন পরমাণু বোমার! বাস্তবে কাজে আসল না কোনও হুঁশিয়ারি! এবার সত্যি সত্যিই ভারতের কাছে হাত পাতল ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশে সব্জি, আনাজের হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে ভারতের থেকে চাল চাইল বাংলাদেশ।

     ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি!(Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ইউনূস সরকার (Bangladesh) প্রথমে ভারতকে ততটা গুরুত্ব দিতে চায়নি। তাই, দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দিতে চাল, ডাল কিংবা অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ভারতের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে। চিন, পাকিস্তান কিংবা তুরস্ক থেকে চাল কিংবা পেঁয়াজ কেনা হবে বলে চিন্তাভাবনা শুরু করে ইউনূস। কিন্তু তা যে সম্ভব নয় তা কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যায়। অবশেষে, দিনরাত গালাগালি দেওয়া ভারতের কাছে হাত পাততে হল ইউনূসকে। কলকাতা দখল তো দূরের কথা, ভারতের ওপর নির্ভর করতে হল ইউনূস সরকারকে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘বাংলা ট্রিবিউনে’-এর খবর অনুযায়ী, দেশের মানুষের জন্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় ইউনূসের সরকার। আর তাই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা, এমনটাই দাবি বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?

    বাংলা ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। যেখানে খাদ্য মন্ত্রকের (Bangladesh) শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ বৈঠকে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এবং তা গৃহীত হয়। লজ্জার মাথা খেয়ে সমস্ত কিছু ভুলে দেশবাসীর ভাত জোগাড় করার জন্য কার্যত ভারত থেকেই চাল কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে পরবর্তী কাজ শুরু হবে বলেও প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, সে দেশের বাজারে সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম হতে হচ্ছে আমজনতাকে।

    চাল ছাড়াও ভারতের কাছে হাত পেতে আর কী নিয়েছে ইউনূস?

    এই বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh) ভয়াবহ বন্যার কারণে চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ, বন্যায় আনুমানিক ১.১ মিলিয়ন টন চাল ধ্বংস হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। আর এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য ইউনূস সরকারকে বিদেশের দিকে হাত বাড়াতে বাধ্য করেছে। জানা গিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মজুতের পরিমাণ ১১.৪৮ লক্ষ টন থেকে নেমে হয়েছে ৭.৪২ লক্ষ টন। প্রধান খাদ্য হিসেবে ভাতের ওপর বেশি নির্ভর করে এমন একটি জাতির জন্য এটি উদ্বেগজনকভাবে কম। এই পরিস্থিতি সরকারকে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমদানি এবং দেশীয় ক্রয় উভয়ই জোরদার করতে বাধ্য করেছে। স্থানীয় মজুত বাড়ানোর জন্য সরকার চলতি মরশুমে ৮ লক্ষ টন আমন চাল সংগ্রহ করার এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকে বোরো ধান মজুত করার পরিকল্পনা করেছে। যাই হোক, এই প্রচেষ্টা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ ক্ষতিপূরণের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গত দু’দিন আগেই ভারত থেকে আরও একবার আলু পাঠানো হয় বাংলাদেশে। কার্যত সে দেশের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনতে যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর দিয়ে আলু পাঠানো হয়। প্রায় এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু গিয়েছে। এমনকী গিয়েছে পেঁয়াজ ও ডিমও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী ক্ষমতায় ইউনূস সরকার। ৫ অগাস্টের পর থেকেই আমূল বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ছবিটা। একে একে মুছে ফেলা হয়েছে হাসিনা আমলের সব চিহ্ন। ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ভবন থেকে স্থাপত্য সব মুছে ফেলতে উদ্যত বাংলাদেশের চরমপন্থী নেতারা। এই পরিস্থিতিতেই বিজয় দিবস পালন। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের দিন। তবে, মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ইউনূস সরকারের সমর্থনকারীদের হাতে আক্রান্ত হন আওয়ামি লিগের কর্মীরা।

    স্মৃতিসৌধে হাসিনার পাঠানো রক্তগোলাপ

    হাজার নজরদারি, মারধরের আতঙ্ক জয় করে ‘বিজয় দিবস’-এ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে (Bangladesh) গেরিলা কায়দায় ঢুকে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পক্ষ থেকে সবুজ পাতায় মোড়া রক্তগোলাপের স্তবক দিয়ে এলেন আওয়ামি লিগের কর্মীরা। দিনের বিভিন্ন সময়ে জনস্রোতে ভেসে বারে বারে দলের বিভিন্ন শাখা ও সংগঠনের কর্মীরা পৌঁছে যান জাতীয় স্মৃতিসৌধের চত্বরে। শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরেও যান নিভৃতে। চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা বা খুলনা- সর্বত্র শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে সবার আগে পৌঁছে গিয়ে দলের নাম লেখা ফুলের স্তবক রেখে ‘বিজয় দিবস’-এর শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন আওয়ামি কর্মীরা। এক্স হ্যান্ডলে বার্তাও দিয়েছেন হাসিনা।

    আওয়ামি লিগের কর্মীদের ওপর হামলা

    জানা গিয়েছে, দেশ (Bangladesh) জুড়ে যখন বিজয় দিবস পালন চলছে, তখন ঢাকার পল্টন ময়দান দাপিয়ে তখন জনসভা করছে জামাতে ইসলামি— একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর হানাদারির সঙ্গী হয়েছিল যারা। পরাজিত বাহিনীর সেই সঙ্গীরা এ দিন ‘বিজয় দিবস’ পালন করল বিজয়ের সঙ্গী ভারতের বিরুদ্ধে দফায় দফায় জিগির তুলে। তার পরে মোটরবাইক মিছিল সামনে রেখে রাজপথ কাঁপিয়ে শোভাযাত্রা করে জামাত ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলি। হাতে হাতে তাদের ধর্মীয় পতাকা। এ দিন সকালে কিছু তরুণ ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হলে সরকার সমর্থিত কিছু সশস্ত্র যুবক পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের প্রচণ্ড মারধর করে। এর পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জানায়, আওয়ামি লিগের এই কর্মীরা মিছিল করার চেষ্টায় ছিল।

    কী বললেন ইউনূস?

    অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের ‘লক্ষ লক্ষ শহিদ’কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। এমনকি, যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের জন্ম, তার নামও নেননি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। কারণ, পাকিস্তান এখন এই সরকারের বন্ধু দেশ। ইউনূসের ‘বিজয় দিবস’-এর বক্তৃতা জুড়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনের জয়গান। সঙ্গে আওয়ামি লিগকে তীব্র আক্রমণ তিনি।

    হাসিনা পুত্র কী বললেন?

    এদিনই এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে (Bangladesh) বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে পোস্ট করলেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। হাসিনা-পুত্র লিখেছেন, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়ে গণহত্যা চালানো যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিরা আজ অবৈধ সরকারের সান্নিধ্যে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখা বয়োজ্যেষ্ঠদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বহনকারী প্রতীকগুলো বিনা বাধায় ধ্বংস করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান এখনও ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে অনীহা প্রকাশ করে চলেছে। স্বাধীনতা, পতাকা, সার্বভৌমত্ব এবং মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা দলকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হচ্ছে। তবে গত পাঁচ দশকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একই ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু এই দেশের জনগণ সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে পরাজিত করেছিল। এ বিজয় দিবসে আমার আহ্বান হল– সব বিভেদ ভুলে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংসের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জয় বাংলা!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: জল্পনার অবসান! বাংলাদেশে নির্বাচন কবে, দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন ইউনূস

    Bangladesh: জল্পনার অবসান! বাংলাদেশে নির্বাচন কবে, দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে চর্চা রয়েছে। মৌলবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আওয়ামি লিগের ওপর ক্রমাগত হামলা হচ্ছে। ফলে, এখন বিরোধী বলতে কেউ নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে এবার বিএনপি শিবিরও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা দ্রুত নির্বাচন চাইছে। এই বিতর্কের আবহে বাংলাদেশের নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।

    কবে বাংলাদেশে নির্বাচন? (Bangladesh)

    বাংলাদেশি (Bangladesh) সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করাতে চায় ইউনূসের সরকার। সোমবার বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ অগাস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা করা হয় ইউনূসকে। ইউনূস প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইতিউতি প্রশ্ন উঠতে থাকে নির্বাচনের বিষয়ে। কবে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে কৌতূহল জন্মাতে থাকে সে দেশের সাধারণ মানুষের মনে।

    আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

    বিএনপি নেতারা কী বললেন?

    খালেদা জিয়ার-পুত্র তথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেও এ নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন ইউনূসের প্রশাসনকে। রাষ্ট্র সংস্কারের (Bangladesh) জন্য আর কত মাস প্রয়োজন? তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তারেক। সম্প্রতি লন্ডনে এক ভার্চুয়াল বক্তৃতায় খালেদা-পুত্র বলেছেন, “বাংলাদেশে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্র করছে। তাদের লক্ষ্য বিএনপির হাত থেকে সম্ভাব্য জয়কে কেড়ে নেওয়া।” বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়িয়ে এবং ভোটার তালিকা সংস্কার করে নির্বাচন করতে ৩-৪ মাসের বেশি লাগে না। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ করে, সে কথাও বলেছিলেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্টে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইউনূস জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এছাড়া ইউনূস প্রশাসনের অন্যতম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ নির্বাচন হতে পারে। তার আগে অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকারের আর এক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: নতুন আলু ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ১২৫! ইউনূস সরকারের আমলে আকাশছোঁয়া বাজারদর

    Bangladesh: নতুন আলু ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ১২৫! ইউনূস সরকারের আমলে আকাশছোঁয়া বাজারদর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের (Bangladesh) পতন ঘটিয়ে ইউনূস সরকার (Yunus Government) ক্ষমতায় এসেছে। নতুন সরকারের আমলে ভালো কিছু হবে আশা করেছিলেন দেশবাসী। আর দেখলেন কী? দেশজুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার। ভারত বিরোধী স্লোগান। পন্য বয়কট করে ক্ষমতা দেখাল মৌলবাদীরা। আর পরিণতি হল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম। সকালে উঠে থলে হাতে নিয়ে বাজার করতে গিয়ে হারে হারে টের পাচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষ। সন্ত্রাসের ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    নতুন আলু ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ১২৫! (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারদর শুনলে চমকে যাবেন যে কেউ! আলু, পেঁয়াজ এখন অগ্নিমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। কলকাতার বাজারে নতুন আলুর দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা। ঢাকার বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়। মানে দ্বিগুণেরও বেশি। কলকাতায় কেজি প্রতি পেঁয়াজের দর ৬০ টাকা। ঢাকায় সেটা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২৫ টাকা কিলো দরে। আর কলকাতায় যখন এক একটি ডিম সাড়ে ৭ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, তখন ঢাকার বাজারে চারটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মানে এক একটি ১২ টাকারও বেশি। পুরনো আলুও কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকা কিলো দরে। বাংলাদেশের বাজারগুলিতে সবজির দাম শুনলে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড়! দামের দাপটে বাজার করতে গিয়ে কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে আমজনতাকে। ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা। টমেটো ১৩০ টাকা। কেজি প্রতি বিট ২২০ টাকা! এমনকী বরবটিও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। অথচ মাস খানেক আগেও বাংলাদেশের বাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। অভিযোগ, দিকে দিকে হিংসার পরিবেশের জেরে জনজীবন ব্যাহত হচ্ছেই। তার ওপর দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও পদক্ষেপ নেই। পরিবর্তে বাজারের আগুন পরিস্থিতির দিক থেকে নজর ঘোরাতে পরিকল্পিতভাবেই হিংসার পরিবেশ জিইয়ে রাখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    জিনিসপত্রের দাম নিয়ে ক্ষোভ সামলাতেই যুদ্ধ জিগির!

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সাধারণ মানুষ যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন, তখন কোন সাহসে বাংলাদেশ যুদ্ধের জিগির তুলে চলেছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা আসলে নজর ঘোরানোর কৌশল। সাধারণ মানুষের মনে যাতে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে ক্ষোভ না তৈরি হয়, সেজন্যই যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ তৈরি করে তাদের ভুলিয়ে রাখছেন বাংলাদেশের নেতারা। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশ বিভিন্ন জিনিসের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করলে তাদের বাজারের তো এই হাল হবেই। যুদ্ধের জিগির তুলে কতদিন এসব জ্বলন্ত সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘুরিয়ে রাখতে পারবে বাংলাদেশ? প্রশ্ন সেটাই।

    সাধারণ মানুষ কী বলছেন?

    পরিস্থিতির জন্য অবশ্য ইউনূসের সরকারকেই (Bangladesh) দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের মতে, অকারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেছে বাংলাদেশ। এমনকী এখনও সম্পর্ক উন্নতির বিষয়ে সেদেশের সরকারের বিশেষ কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। ফলে পাকিস্তানে যেমন আটার জন্য মানুষকে এখন হাহাকার করতে দেখা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বাংলাদেশেও। সাধারণ আমজনতার কথায়, যেভাবে হু হু করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে সরকার এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে মানুষকে না খেতে পেয়ে মরতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘ইউনূসের অবৈধ সরকার মানছি না”, বাংলাদেশ জুড়ে ফের গর্জে উঠল আওয়ামি লিগ

    Bangladesh: ‘‘ইউনূসের অবৈধ সরকার মানছি না”, বাংলাদেশ জুড়ে ফের গর্জে উঠল আওয়ামি লিগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মৌলবাদীরা। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত নির্যাতন চলছেই। আক্রান্ত হচ্ছে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা। আর এই চার মাসের মধ্যেই হাওয়া ঘুরে গেল বাংলাদেশে (Bangladesh)? রাজধানী ঢাকায় মিছিল করলেন আওয়ামি লিগের সদস্যরা। শুধু মিছিল করল বলা ভুল হবে। উঠল মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে স্লোগান। তাহলে কি ফের সমর্থন বাড়ছে হাসিনার প্রতি?

    ইউনূস সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে আওয়ামি লিগের মিছিল (Bangladesh)

    ইউনূসের জমানায় (Bangladesh) মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্তে আওয়ামি লিগ (Awami League) শেষ হয়ে গিয়েছে তা ধরেই নিয়েছিল কট্টরপন্থিরা। বিশেষ করে আওয়ামি লিগের সরকারের পতন হতেই শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়, গ্রেফতারি। আওয়ামি লিগের সদর দফতরে হামলা, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একাধিক আওয়ামি লিগের নেতাকে হত্যার অভিযোগও উঠেছে।  রাজনৈতিক পালাবদলের পর লাগামছাড়া অত্যাচার চালানোর পরও আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের যে কোনওভাবে দমানো যায়নি তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার। ঢাকার ধানমুন্ডিতে মিছিল করে আওয়ামি লিগ। মিছিলে ছাত্র, যুবদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ওই মিছিল থেকে আওয়াজ উঠল, ‘‘ইউনূসের অবৈধ সরকার মানছি না, মানব না”। শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমর্থনেও স্লোগান ওঠে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    ফের সংগঠিত হয়ে উঠছে আওয়ামি লিগ?

    আওয়ামি লিগ সূত্রের খবর, সোমবার ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫৪তম বর্ষ পালন করবে বাংলাদেশ। এই বিজয় দিবসকে (Bangladesh) সামনে রেখে দল একাধিক সভা-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউনূস সরকার দিনটির গুরুত্ব খাটো করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। রাজনীতির বাইরে থাকা মানুষও এতে বিরক্ত। ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে মানতেও আপত্তি করেছে ইউনূস সরকার। তাতেও বিরক্ত দেশবাসী। আওয়ামি লিগ দেশবাসীর এই আবেগকে মর্যাদা দিতেই ঝুঁকি নিয়ে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউনূস সরকারের ভয়ে স্থানীয় মিডিয়া আওয়ামি লিগের এই কর্মসূচির খবর প্রকাশ করেনি। এই মিছিলের পরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ফের সংগঠিত হয়ে উঠছে বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ? এদিনের মিছিলের পর অনেকেরই মনে প্রশ্ন, ভয় কাটিয়ে আবার কি পথে নামছে আওয়ামি লিগ?

    আওয়ামি লিগের গর্জন নিয়ে কী বললেন জামায়াতে ইসলামির নেতা?

    শুক্রবার রাত থেকে দেশের (Bangladesh) নানা জায়গায় সভা-সমাবেশ করল আওয়ামি লিগ। ঢাকা-সহ দেশের সব বড় শহরে একাধিক সভা হয়। কোথাও কোথাও পুলিশ ও সেনা এসে বাধা দিলেও বেশিরভাগ জায়গায় তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ক’দিন আগেও আওয়ামি লিগের সভা-সমাবেশে হামলা করেছে পথচলতি মানুষ। এমন অনেকেই শুক্রবারের সভায় ভিড় করেছেন। শুনেছেন আওয়ামি লিগের স্থানীয় নেতাদের কথা। ঢাকার একাধিক সরকারি সূত্র বলছে, কীভাবে আওয়ামি লিগ সভা এভাবে সভা করতে পারল তা নিয়ে সরকারের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। গোয়েন্দা ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন উপদেষ্টারা অনেকেই। শেখ হাসিনার দলের আচমকা রাজপথে গর্জন নিয়ে প্রশাসনের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জামাতে ইসলামির আমির শফিকুল রহমান। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘স্বৈরাচারী আওয়ামি লিগকে রাজনীতিতে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিছু লোক আওয়ামি বিরোধী মুখোস পরে হাসিনার দলের হয়ে কাজ করছে।’’

    বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখল ইউনূস সরকার

    ইউনূস সরকার (Bangladesh) এবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত বলে কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় দেশবাসী। অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানের প্রতি সখ্যের বার্তা দিতেই ইউনূস সরকার কুচকাওয়াজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ১৬ ডিসেম্বর হল পাকিস্তানের জন্য এক চরম অস্বস্তিকর দিন। ১৯৭১ সালের ওই দিন ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক সেনাবাহিনী। এর আগে একমাত্র করোনার বছরগুলি বাদে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কখনও বন্ধ থাকেনি বাংলাদেশে। দিনটি ভারতীয় সেনা বাহিনীও বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে। লক্ষণীয় হল, কলকাতায় ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠাতে গোড়ায় গড়িমসি করেছে ইউনূস সরকার। ভারতের বিদেশ সচিবের ঢাকা সফরের পর সিদ্ধান্ত বদলের আভাস মিলেছে। পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর সূত্রের খবর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কলকাতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: শিল্পে ধাক্কা, কর্মসংস্থান শূন্য, বিপুল রাজস্ব ঘাটতি, নজর ঘোরাতেই কি ইউনূস সরকারের ভারত-বিদ্বেষ?

    Bangladesh: শিল্পে ধাক্কা, কর্মসংস্থান শূন্য, বিপুল রাজস্ব ঘাটতি, নজর ঘোরাতেই কি ইউনূস সরকারের ভারত-বিদ্বেষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারে পতনের পর দেশে পরিবর্তন আনতে নতুন ইউনূস সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। আর এই তদারকি সরকার আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। নতুন কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনার কথা শোনাতে পারেনি এই সরকার। বরং, এই চারমাসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু-হু করে বাড়ছে। যে বস্ত্র শিল্পের ওপর ভিত্তি করে এই দেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে থাকে, সেই শিল্প এখন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি মহম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি। তাই, দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরাতেই কি তোলা হল ভারত-বিদ্বেষের জিগির? উঠছে প্রশ্ন।

    রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৩১ হাজার কোটি টাকা (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠ’ সূত্রে খবর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, অর্থবর্ষের চার মাসেই রাজস্ব আয়ে টানাটানি চলছে। ঘাটতি ছাড়িয়েছে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ১১২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এই সময়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর-এই তিন খাতের কোনওটিতেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। উল্টে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। চার মাসে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। আয়কর খাতে আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ ঘাটতির কারণ, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানই তৈরি হয়নি। আমদানি খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসা- বাণিজ্য কমে আসায় তার প্রভাব পড়েছে আমদানি খাতে।

     বাংলাদেশের টাকার দামে পতন

    মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে বাংলাদেশে। খাদ্যপণ্যের দামও চড়া। এবার আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। বুধবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক সূত্রে এই ঘোষণা করা হয়েছে, এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এ। বাংলাদেশি টাকায় এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৭ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। ঋণের টাকা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশের টাকার দামে পতন ঘটেছে। নতুন হিসেবে ভারতের ১ টাকা মানে বাংলাদেশের ১ টাকা ৪১ পয়সা। আরও স্পষ্ট করে বললে, ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের ১৪১ টাকা ২৬ পয়সা।

    বস্ত্রশিল্পে ধাক্কা!

    পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ (Bangladesh) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম, চিনের পর। বেশ কিছু বড় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই দেশে পোশাক তৈরি বা সংগ্রহ করে। এসব পোশাক তারপর দেশে বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়। তবে দেশের চলমান অস্থিরতা এই ব্র্যান্ডগুলির ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশ বর্তমানে পাকিস্তানের মতো দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ক্ষতি কমানোর জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ভারতীয় উৎপাদকদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

    ভ্যাট আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা

    বাংলাদেশে (Bangladesh) ভ্যাট আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ৩৬ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এই সময়ে এই খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ে বড়সড় ধস নেমেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। তাই প্রশ্ন উঠছে, অকর্মণ্যতা থেকে নজর ঘোরাতেই কি ভারত-বিদ্বেষের জিগির তুলছেন ইউনূস? হিন্দু নিপীড়ন জারি রেখে নিজের অপদার্থতা ঢাকতে চাইছেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীরাও! ইউনূসের রোষে দিন কাটছে জেলে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীরাও! ইউনূসের রোষে দিন কাটছে জেলে

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ প্রথম পর্ব।

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আওয়ামি লিগ সরকারের পতন হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার পর থেকেই সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে, এমন অভিযোগ বারবার উঠছে। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকার এতদিন পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বার বার বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এই ধরনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বরাবর দাবি করে এসেছে, বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ভুল প্রচার হচ্ছে। যে ভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সেখানে তুলে ধরা হচ্ছে, বিষয়টি আদৌ তেমন নয়। প্রয়োজনে বিদেশি সাংবাদিকদের ঢাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসতেও বলা হয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই সম্প্রতি ঘরোয়া বৈঠকে সংখ্যালঘুদের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এমনকী নিজেদের কেরামতি দেখাতে গিয়ে ইউনূস প্রশাসন যে তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে, তাতে তারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কথা এই প্রথম স্বীকারও করে নিয়েছে। আসুন এবার ফিরে দেখা যাক, কীভাবে ইউনূস সরকার বিরোধী শিবিরে একের পর এক নির্মম আঘাত হেনেছে। আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকেও রেয়াত করা হয়নি। বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড তাঁদের আটক করেছে অথবা তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই লেখায় সেই তথ্যই তুলে ধরা হল।

    টার্গেট সংখ্যালঘু নেতা-জনপ্রতিনিধি

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)  ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং জলসম্পদমন্ত্রী এমএম রমেশচন্দ্র সেনকে পুলিশ আটক করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৬ অগাস্ট নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন হাসিনা জমানার এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি সেন জানিয়েছিলেন, গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ কর্মীরা বলেছিল, ভালোর জন্যই নাকি রমেশবাবুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আবার ৩০ মিনিটের মধ্যে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে। তবে পরেই রমেশবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশি হেফাজতে ছিলেন রমেশচন্দ্র সেন। এখন রয়েছেন জেলে।

    একইভাবে, বাংলাদেশের প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গ্রেফতার করে। এছাড়া এমপি ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু এবং সাবেক মন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারকেও আটক করা হয়। বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের প্রাক্তন এমপি নারায়ণচন্দ্র চন্দকে আটক করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। 

    রেহাই পাননি মন্ত্রীও

    এছাড়া, বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) আওয়ামি লিগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আসিমকুমার কিল, তাঁর স্ত্রী এবং সংসদ সদস্য অপু কিল সহ আরও অনেক জনপ্রিয় নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই নেতাদের মধ্যে প্রাক্তন সংসদ সদস্য বীরেন সিকদার, স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং আওয়ামি লিগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও রয়েছেন।

    এখানেই শেষ নয়। প্রতিহিংসার খিদে যত দিন গিয়েছে, বেড়েই গিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসন থেকে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামি লিগের মনোনয়ন নিয়ে পরপর চারবার সংসদ সদস্য হন জেলা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক সাধনচন্দ্র মজুমদার। ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আওয়ামি লিগের বিগত সরকারেও খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশে জোর ধাক্কা পোশাক শিল্পে! ভারত হতে পারে বিশ্বের নয়া গন্তব্য

     রোষে আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সমর্থকরাও

    এছাড়া, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, যিনি ১২তম সংসদ নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এবং আরও অনেক নেতাকে টার্গেট করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন আনন্দিত সরকার, প্রণবগোপাল দত্ত, সংসদ সদস্য মৃণালকান্তি দাস, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন এবং আনন্দিত রায়।

    এই দমন-পীড়ন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সমর্থক এবং তৃণমূল স্তরের নেতাদের ওপরও এই নিপীড়ন চালানো হয়েছে সমান ভাবে। এই নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলাও রয়েছে। বাংলাদেশে এই সময়ে সংখ্যালঘু নেতাদের প্রতি এই ধরনের নির্যাতন এবং দমন-পীড়ন এক দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংকটের প্রতিফলন, যা দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

    ছাড় পাননি পুলিশ অফিসাররাও। তাঁদের ওপরও নানা ভাবে শাস্তির খাঁড়া নামিয়ে আনা হয়েছে। পরের কিস্তিতে আমরা সেই বিষয়েই বিশদে আলোচনা করব।                                                                   (…..চলবে)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share