Tag: Md Yunus

Md Yunus

  • Bangladesh: ঘরে-বাইরে চাপ! ড্যামেজ কন্ট্রোলে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ইউনূসের

    Bangladesh: ঘরে-বাইরে চাপ! ড্যামেজ কন্ট্রোলে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। লাগাতার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। দেশের মধ্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন সংখ্যালঘুরা। হিন্দুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারকে একাধিকবার বার্তা দিয়েছে ভারত। এমনকী, বিশ্ব দরবারে সমালোচিত হচ্ছে ইউনূস সরকার। অবশেষে ঘরে-বাইরে চাপের কাছে নতিস্বীকার করল ইউনূস প্রশাসন। জাতীয় ঐক্য নিয়ে মত বিনিময় করতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনূস।

    বৈঠকের পর কী বললেন ইউনূস? (Bangladesh)

    বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) ডাকে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ সহ সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতারা বৈঠকে যোগ দেন। এদিন বিকালে রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ইউনূস বলেন, ‘‘আলাদা আলাদা মতামত থাকলেও আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমরা সকলেই বাংলাদেশি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও হামলা হলে তৎক্ষণাৎ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।” বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন ইউনূস।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ইউনূস

    এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা। এক বিবৃতিতে ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান নিয়ে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন মহম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র নেতাদের সঙ্গে, বুধবার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। আর বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের বৈঠক করলেন। মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আগে দেখা হয়েছে। এখন সবার সঙ্গে দেখা হল, ভালো লাগছে। সরকারের কাছে তারা কী চাইছে, কী আশা করছে, সেগুলো জানতে চাইলাম।” ছাত্র নেতাদের ইউনূস রাষ্ট্রের অভিভাবক উল্লেখ করে বলেন, ‘‘তোমাদের কারণেই আজ বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব আছে রাষ্ট্র যেন ঠিক পথে চলে, যেন বিচ্যুত না হয়।”

    ইউনূসকে চিঠি দিলেন ভারতের বিশিষ্ট মুসলিমরা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে ইউনূসকে বৃহস্পতিবারই চিঠি দিয়েছেন ভারতের বিশিষ্ট মুসলিমরা। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি, দিল্লির সাবেক উপরাজ্যপাল নাজিব জং, প্রাক্তন সাংসদ ও নইদুনিয়া কাজের সম্পাদক শাহিদ সিদ্দিকি, দেশের অবসরপ্রাপ্ত উপ সেনাপ্রধান লেফট্যান্যান্ট জেনারেল জামিরউদ্দিন শাহ এবং শিল্পপতি শাহিদ মুস্তাফা শেরওয়ানি। বৃহস্পতিবার ইউনুসকে লেখা চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনায় মুসলিম হিসেবে আমরা লজ্জিত ও ব্রিবত বোধ করছি। ইসলাম কখনও এই ধরনের হিংসা অনুমোদন করে না। ইসলাম বরং সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাই শেখায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে সংবিধান, প্রশাসন ইত্যাদি সংস্কারে ৬টি কমিশন ইউনূসের, নেই কোনও সংখ্যালঘু!

    Bangladesh: বাংলাদেশে সংবিধান, প্রশাসন ইত্যাদি সংস্কারে ৬টি কমিশন ইউনূসের, নেই কোনও সংখ্যালঘু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে (Bangladesh) আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকারের আমলে সেখানে হিন্দুদের ওপর নৃশংসভাবে অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের কথা বলা হচ্ছে। কমিশন গঠনেও কি মৌলবাদীদের দাপাদাপি, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। 

    কমিশনে নেই কোনও সংখ্যালঘু! (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা মতো ছ’টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হল। পূর্ণাঙ্গভাবে ঘোষিত ছয়টি কমিশনের মোট সদস্য ৫০ জন। এর মধ্যে সাবেক আমলা ১৫, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ২, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ৮, বিচারপতি ও বিচারক ৫, আইনজীবী ৬, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ৬ এবং অন্যান্য পেশার (এনজিও, মানবাধিকারকর্মী, বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি) ৮ জন। এসব পেশাজীবীর মধ্যে নারী পাঁচজন। শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছয়জনের মধ্যে শুধু একজনের নাম জানানো হয়েছে। এর বাইরে চারটি কমিশনের শুধু প্রধানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০টি কমিশনের প্রধান পদে নারী স্থান পেয়েছেন মাত্র একজন। তা-ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, সংস্কার কমিশনগুলিতে আমলাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রাখা হয়েছে। তবে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষকদের প্রাধান্য বেশি (পাঁচজন)। কিন্তু তার একটিতেও রইলেন না সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা! যা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। পাশাপাশি, ছ’টি সংস্কার কমিশনে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বও ‘অনেক কম’ বলে অভিযোগ উঠল।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    চাকমা সার্কেলের প্রধান সরব হয়েছেন

    সংস্কার কমিশনগুলিতে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (Bangladesh) প্রতিনিধিত্ব না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশিস রায়। ১৩ অক্টোবর তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘(সংস্কার কমিশনে) আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, নারী এবং অন্যান্য প্রান্তিক বা সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা হয় সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত বা দৃশ্যমানভাবে অপর্যাপ্ত। এটা একজন নোবেলজয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে।’ রাজা দেবাশিস রায় প্রথম আলোকে বলেন, “সংস্কার কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আমাকে ওই কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর কীভাবে সেই নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেল, সেটি আমি বলতে পারব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    Bangladesh: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা এসেছিল মুক্তিযুদ্ধের পর। আর তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভারত তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। অতীতের সেই স্মৃতি এবার অতল গহ্বরে চলে যেতে চলেছে। কারণ, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ঘোষিত হওয়া আটটি জাতীয় দিবসকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এগুলি জাতীয় দিবস হিসেবে ওপার বাংলায় পরিচিত ছিল। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবার এই সব ছুটি ও জাতীয় দিবসগুলি বাতিল করতে চলেছে বলে খবর।

    বাতিলের তালিকায় কোন কোন তারিখ রয়েছে? (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীঘ্রই এই দিনগুলি জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাতীয় দিবসের তকমা হারানোর তালিকায় রয়েছে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। ১৫ অগাস্ট মুজিবরের মৃত্যুবার্ষিকী, ৮ অগাস্ট হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন, ৫ অক্টোবর হাসিনার ভাই শেখ কামালের জন্মদিন এবং ১৮ অক্টোবর হাসিনার অপর ভাই শেখ রাসেলের জন্মদিনকেও জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রমনায় মুজিবরের ভাষণকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাসিনার সরকার। সেটিকেও বাতিল করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাসিনার আওয়ামী লিগ শাসিত সরকার। ওই দু’টি দিনকেও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

    আরও পড়ুন: ঘুচল অন্ধত্ব, হাতে তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, নব কলেবরে ‘লেডি অফ জাস্টিস’

    চলতি বছরের হাসিনা সরকারের পতন

    চলতি বছরেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। যা পরবর্তী পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রূপ নেয়। প্রায় দু’মাস ধরে চলা আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে হয় হাসিনাকে। বাধ্য হন দেশ ছাড়তে। আপাতত অর্থনীতিবিদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে রয়েছে বাংলাদেশের শাসনভার। নতুন করে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    PM Modi: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাশাপাশি, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করার আহ্বানও জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমাজ মাধ্যমের পাতায় মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) লিখেছেন, ‘‘নতুন দায়িত্ব পাওয়ার মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা। আশা করি বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’ তারপরেই তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’’

    ৮৪ বছর বয়সি ইউনূস ২০০৬ সালেই পেয়েছিলেন নোবেল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট বার্তায় আরও জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের জনগণের যৌথ আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রসঙ্গত, ৮৪ বছর বয়সি মহম্মদ ইউনূস হলেন একজন অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ২০০৬ সালে তাঁর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ভাবনার জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি, নানান জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের সম্মানও পেয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, মোদিকে (PM Modi) চিঠি ছাত্রীর

    প্রসঙ্গত, অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা খুবই খারাপ। বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশা নিয়ে এক কিশোরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লেখেন। বৃহস্পতিবারই সামনে আসে ওই চিঠি। হিন্দুদের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘‘এ দেশে সব চেয়ে খারাপ যে জিনিসটা ঘটছে, তা হল হিন্দুদের ওপর নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ ও নির্যাতন। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি, যা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের ওপর অকল্পনীয় নির্যাতন শুরু করেছে। মহিলারা ধর্ষিত (Bangladesh Crisis) হচ্ছেন। ওরা বাড়িঘর-মন্দিরে গুলি চালাচ্ছে। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। লাখ লাখ টাকা চাঁদা চাইছে। না দিলে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই যা দেখছে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা। আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে। এ দেশে সব অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি একে চিরতরে বাজে লোকদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মধ্যে ভালো কিছু দেখি না। বরং এই অপশক্তিকে রুখতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আমি মনে করি, এ পৃথিবীতে ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muhammad Yunus: ৬ মাস জেল! শ্রম আইনে দোষী সাব্যস্ত নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস

    Muhammad Yunus: ৬ মাস জেল! শ্রম আইনে দোষী সাব্যস্ত নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রম-আইন ভাঙার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী সমাজ কর্মী মহম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus)। সোমবার ইউনুসকে দোষী সাব্যস্ত করে ঢাকার আদালত। সেই সঙ্গে ছ’মাসের জেলের সাজাও দেওয়া হল তাঁকে। আদালত তাঁকে হাজতবাসের সাজা দিলেও অবশ্য তাঁকে জেলে যেতে হয়নি। তিনি এবং তাঁর সংস্থার চার কর্মী অবিলম্বে জামিনও পেয়ে যান। 

    কেন দোষী ইউনুস

    বাংলাদেশর সমাজকর্মী তথা একমাত্র নোবেলজয়ী ইউনুসের (Muhammad Yunus) বয়স এখন ৮৩। তাঁর সংস্থা গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘন করে বেআইনি ভাবে কাজ চালানোর মামলা চলছিল। সোমবার সেই মামলায় ইউনুস-সহ তাঁর সংস্থার চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ঢাকা আদালত। সোমবার ঢাকা আদালতে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রতিনিধিও। রায় ঘোষণার পর তিনিও এই রায়ের সমালোচনা করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি স্পষ্ট বলেন, ‘‘এই নির্দেশ বিচারের নামে প্রহসন। ঢাকা আদালত আদতে বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছা এবং সিদ্ধান্তে আইনি ছাপ দিল। শ্রম আইনের অপপ্রয়োগ করে হেনস্তা করা হল সেই নোবেলজয়ীকে, যিনি তাঁর দেশকে গর্বিত করেছেন।’’

    আরও পড়ুন: বছরের পয়লা দিনেই ফের হিংসা ছড়াল মণিপুরে, নিহত ৩, কারফিউ জারি ৫ জেলায়

    ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন ইউনুস (Muhammad Yunus)। তাঁকে ওই সম্মান দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে তাঁর তৈরি মাইক্রোফিন্যান্স ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য। ওই ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে ইউনুস বাংলাদেশের লক্ষাধিক দরিদ্র মানুষকে দারিদ্রসীমা থেকে টেনে তুলেছেন বলে মনে করেছিল নোবেল প্রদানকারী সংস্থা। যদিও বাংলাদেশ সরকার কখনওই তাঁর পাশে ছিল না। ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য আমরা কিছু করিনি।” আর মহম্মদ ইউনুসের আইনজীবী খোয়াজা তনভির বলেন, “এই মামলার কোনও মানে নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বিশ্বের দরবারে ইউনুসের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতেই এই কাজ করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share