Tag: MEA

MEA

  • Waziristan Attack: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তানে হত ১৩ সেনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Waziristan Attack: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তানে হত ১৩ সেনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের দিব্যিই মদত জুগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে সেই বিষবৃক্ষের ফল যে সে দেশেই বিষ উগরে দেবে, তা বোধহয় জানা ছিল না শাহবাজ শরিফের দেশের। তাই ওয়াজিরিস্তানে (Waziristan Attack) ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের দায় ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল ইসলামাবাদ (Pakistan)।

    পাক অভিযোগ খারিজ ভারতের (Waziristan Attack)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াজিরিস্তানে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন পাক সেনার। এই হামলার পরে ইসলামাবাদ অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারতের দিকে। এনিয়ে বিবৃতিও জারি করেছে পাক সরকার। তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। শনিবার রাতেই পাল্টা বিবৃতি জারি করে পাকিস্তানের অভিযোগ খারিজ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের নজরে এসেছে পাক সেনার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে ২৮ জুন ওয়াজিরিস্তানে হওয়া হামলার ঘটনায় ভারতকে দায়ী করা হয়েছে। এই বিবৃতির তীব্র নিন্দা করছে ভারত। একই সঙ্গে বিবৃতিতে ওঠা দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানানো হচ্ছে এরকম কোনও কিছুর সঙ্গে ভারত যুক্ত নয়।”

    আত্মঘাতী বোমা হামলা

    প্রসঙ্গত, শনিবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আত্মঘাতী এক বোমা হামলায় নিহত হন ১৩ জন পাক সেনা। সে দেশের সেনা আধিকারিকের দাবি, এই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন সেনা-সহ মোট ১৯ জন সাধারণ মানুষও জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ছয় শিশুও (Waziristan Attack)। জানা গিয়েছে, এদিন একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িটি নিয়ে ঢুকে পড়ে সামরিক কনভয়ে। তার পরেই ঘটে বিস্ফোরণ। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও।

    আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে হাফিজ গুল বাহাদুর গোষ্ঠীর আত্মঘাতী ইউনিট। এটি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত একটি দল। তার পরেও আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতে পাকিস্তান ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উল্লেখ্য, চলতি বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে সরকার বিরোধী (Pakistan) বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৯০ জন। এঁদের সিংহভাগই পাক সেনা (Waziristan Attack)।

  • Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এপার বাংলাতেও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শনিবারই এই ইস্যুতে রাস্তায় নামে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে (MEA) বলেন, ২০২৫ সালের ৮ জুন একদল দুষ্কৃতী গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বাংলাদেশে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত ভবনে এই হামলা আসলে চরমপন্থীদের দ্বারা সহনশীলতার প্রতীকগুলিকে মুছে ফেলার আরও একটি উদাহরণ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকার যেন এই হামলার সঙ্গে জড়িত দোষীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এমন কঠোর পদক্ষেপ করে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে। এখানেই অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি। বর্তমানে এই বাড়ি জাদুঘর হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। গত রবিবার সেখানে মোটরসাইকেলের পার্কিং ফি নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ও কিছু দর্শনার্থীর মধ্যে বচসা বাধে। পরে সেখান থেকেই মারপিট হয়। এরপর মঙ্গলবার স্থানীয় একদল লোক জড়ো হয় কবিগুরুর ওই বাড়ির সামনে। যারা সংখ্যায় ছিল ৫০-৬০ জন। এরপরেই বিক্ষোভের নামে জাদুঘরে হামলা চালানো হয়। জানালা-দরজা এবং আসবাবপত্রে ভাঙচুর করা হয় (MEA)।

    চাপে পড়ে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি ইউনূস সরকারের

    অবশেষে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে ইউনূস সরকার। এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভাষা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করে। দেশের মানুষ তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা জানায়। রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘটে যাওয়া এই অনভিপ্রেত ঘটনার পরই প্রশাসন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করেছে।”

    তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে বাংলাদেশ সরকার

    প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে এবং এই কাজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই পৈতৃক বাড়ি, যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরেই এই তিন সদস্যের কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।

    কী বলছেন কছারি বাড়ির কর্মী হাবিবুর রহমান?

    অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ির দেখভাল করেন যিনি, সেই হাবিবুর রহমান এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনার পরে কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ভারত সরকারের প্রবল চাপ এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েই ইউনূস সরকার এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে।

    তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ধামি

    অন্যদিকে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই যে এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, এমনটা নয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাসস্থানের উপর এই হামলাকে তিনি মর্মান্তিক এবং অনভিপ্রেত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে, এই ঘটনায় ইউনূস সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতেই সংঘটিত হয়েছে। ভাঙচুরের থেকেও বড় কিছু হয়েছে এই ঘটনা, এমনই মত প্রকাশ করছেন তিনি এবং এই ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পিত, তাও তিনি জানিয়েছেন নিজের বিবৃতিতে। ভারতের সভ্যতা, চেতনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর এই আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

    ১৮৪০ সালে এই বাড়ি কিনেছিলেন কবিগুরুর পিতামহ

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা কিনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সেটি ছিল ১৮৪০ সাল—অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের আগেই কেনা হয়েছিল ওই বাড়ি। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়শই ওই স্থানে যেতেন। এ বাড়ি নিয়ে তিনি একদা তাঁর নিজের ভাগ্নি ইন্দিরা দেবীকে একখানি চিঠি লেখেন। সেখানে কবিগুরু লিখেছিলেন, “আমি অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এখানে বসে লিখতে অনেক বেশি প্রেরণা পাই।”

    ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ওই বাড়িটি

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। এখানেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত পাণ্ডুলিপি, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সমেত আরও অন্যান্য অনেক কিছু। বর্তমানে এটি একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। আর এই উনিশ শতকের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রের ওপরেই ইউনূস জমানার বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীরা হামলা চালাল।

  • Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে যে বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানোর সুবিধার্থে নাগরিকত্বের পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া যেন দ্রুত শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকাকে এই কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণদীপ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘যে সমস্ত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক হোক বা অন্য কোনও দেশের, আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে, যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের সরকারকে ইতিমধ্যে তাদের জাতীয় নাগরিকত্ব যাচাই করতে বলেছি।’’ রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতের কাছে ২৩৬০ জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকের তালিকা রয়েছে। যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। জানা গিয়েছে এই বিপুল সংখ্যার মধ্যে অনেকেই বর্তমানে জেলেও রয়েছে।

    অবৈধ বাংলাদেশিরা গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, অবৈধ বাংলাদেশিরা (Illegal Bangladeshi) গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। কোনও রকমের বৈধ নথি ছাড়া। যার ফলে এ দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার, ১২১ অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এরা সকলে ৮৩১ জনের একটি গোষ্ঠীর অংশ, যারা সাম্প্রতিককালে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। এদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  এর আগে,  মে মাসে শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমের দক্ষিণ সালমারা জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে কমপক্ষে পাঁচ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে আবার বাংলাদেশ ফেরত পাঠায়।

    দেশজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান

    এপ্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশে তাঁত শিল্পের পতনের কারণে বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ভারতে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘‘বিগত কয়েক মাসে আমরা এক হাজার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছি। অসমে গ্রেফতার করার পরেই তাদেরকে আবার পুনরায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে দিল্লিতে ও পুলিশ প্রশাসন অভিযানে নামে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছয় জন বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) মহিলাকে আটক করা হয়। এছাড়া গুজরাটেও একই ধরনের অভিযান চালানো হয় এবং সেখানে ১০০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ ও জোর করে দখলে রাখা এলাকা ছেড়ে দিক পাকিস্তান (India Pakistan Relation)। তাহলেই সীমান্তে শান্তি ফিরবে। পাকিস্তানের কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই কথা বলেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে সহায়তা প্রদান শান্তি ও নিরাপত্তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আখড়া! সন্ত্রাসবাদের যে বীজ পাকিস্তান বপন করেছে, তার ফল তাদেরকে ভুগতে হচ্ছে, বলে জানান রণধীর।

    পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা

    সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক মার্কিন পডকাস্টে পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথম শপথ গ্রহণের সময় তখনকার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেন যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর প্রতিটি প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে শান্তির উদ্দেশ্যে লাহোরে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, আমি বিশেষভাবে পাকিস্তানকে আমার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যেন আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারি। তবুও, শান্তির প্রতি আমার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের মুখে পড়েছিল।” কিন্তু এই পডকাস্ট প্রচারের পর পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে। পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত রেষারেষি করছে। পাক-ভূমে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে দিল্লি। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, বালোচ বিদ্রোহীরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তারা আফগানিস্তানের রিং লিডারদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল। ভারত এই ঘটনার মজা নিয়েছে।

    গুজব ছড়ানোর প্রয়াস

    পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফকত আলি খান দাবি করেছিলেন, “ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। বিশেষত, জাফর এক্সপ্রেস হামলায়, সন্ত্রাসীরা তাদের হ্যান্ডলারদের এবং রিং লিডারদের সঙ্গে আফগানিস্তানে যোগাযোগ করেছিল।” ভারত এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করেছে। দিল্লির তরফে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাকিস্তানের মিথ্যা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছি। পৃথিবী জানে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের উৎস কোথায়। পাকিস্তানকে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর বদলে নিজেদের ভেতরে দেখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিদ্বেষে ভরা। ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর এটি একটি নবতম পন্থা। সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ আন্তর্দেশীয় কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান যেমন বীজ বপন করবে, তেমন ফসলই পাবে।’’

    কাশ্মীর নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার

    রণধীর দাবি করেন, পাকিস্তান (India Pakistan Relation) গুজব না ছড়িয়ে বরং জোর করে ভারতের যে যে জায়গা তারা দখল করে রেখেছে তার ওপর থেকে সরে যাক। পাক দখলীকৃত জায়গা দিল্লিকে ফিরিয়ে দিলেই, ভারত সেখানে উন্নয়নের জোয়ার আনবে। সম্প্রতি কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা ইউনাইটেড নেশনসে গিয়েছি। কাশ্মীরের একাংশ দখলের ঘটনাকে বিতর্ক বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে অপরাধী কে? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা? আমাকে ক্ষমা করবেন। ওই বিষয়ে আমার এই রকম অনেক প্রশ্ন আছে।’ এর পরই রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা শক্তিশালী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জের দরকার নিরপেক্ষতা। শক্তিশালী গ্লোবাল অর্ডারে কিছু বেসিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা যেমন দরকার, তেমন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলারও প্রয়োজন।’

    ভারতকে দোষারোপের কারণ নেই

    বিদেশমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত (India Pakistan Relation) এবং অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে এই বলে বারবার সতর্ক করেছে যে, সন্ত্রাস এবং হিংসার সংস্কৃতির কারণে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। পাকিস্তানের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা কোনও যুক্তিযুক্ত সমাধান হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক। দিল্লির দাবি, অন্যের দিকে আঙুল তোলা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য বহিরাগত শক্তিকে দোষারোপ করার পরিবর্তে পাকিস্তানের আত্মসমালোচনা করা উচিত।

  • USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ (USAID Fund Controversy) করেছিল জো বাইডেন প্রশাসন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শুক্রবার সেই বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করল নয়াদিল্লি (Modi Govt)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) জানিয়েছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। গোটা বিষয় সংশ্লিষ্ট দফতর খতিয়ে দেখছে বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের অভিমত

    সম্প্রতি, আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ভারত-সহ একাধিক দেশে বরাদ্দ (USAID Fund Controversy) বাতিলের কথা জানায়। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই দফতর জানায়, ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে আমেরিকা যে ১৮২ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) দিয়েছিল, তা দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে। শুক্রবার এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের (Modi Govt) মুখপাত্র রণধীর বলেন, ‘‘সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের তরফে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’’ তার পরই রণধীর জানান, ভারত সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুরো বিষয়টি যাচাই না করে জনসমক্ষে মন্তব্য করা অনুচিত বলে মনে করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার কয়েকটি কাজ এবং অর্থ জোগান নিয়ে মার্কিন প্রশাসন যে তথ্য সামনে এনেছে, সেটা আমরা দেখেছি। বিষয়টির গভীরে গিয়ে পরবর্তীকালে আমরা ওই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারব বলে আশা করছি।”

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ভারতে ভোটাদানের (USAID Fund Controversy) হার বৃদ্ধি করার জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার (খরচ করা হয়েছে)! ভারতের ভোটদানের হার নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা কীসের? আমাদের যথেষ্ট সমস্যা আছে। আমরা আমাদের ভোটাদানের হার বাড়াতে চাই।’ এরপরই ভারতে ভোটারদের ভোটমুখী করতে যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল, তা বন্ধের কথা জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাঁর দাবি, “আমার মনে হয়, কাউকে জেতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।” ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী কেন বৈদেশিক সহায়তা চাইছিলেন।

  • Illegal Immigrants: অবৈধ অভিবাসীরা ভারতীয় নাগরিক কিনা যাচাই করেই দেশে ফেরানো হবে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    Illegal Immigrants: অবৈধ অভিবাসীরা ভারতীয় নাগরিক কিনা যাচাই করেই দেশে ফেরানো হবে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় ১৮ হাজার ভারতীয়কে অবৈধ অভিবাসীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন সূত্রে খবর, এই অবৈধ অভিবাসীদের (Illegal Immigrants) ভারতে ফেরানো হবে। বুধবার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ভারত সরকার বরাবরই অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরানোর পক্ষে।

    কী বললেন রণধীর জয়সওয়াল (Illegal Immigrants)

    শুক্রবার একই কথা বললেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি জানান, যাঁদের অবৈধ অভিবাসী বলা হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক কিনা, তা যাচাই করে তবেই দেশে ফেরানো হবে। জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal) বলেন, “আমরা অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে নানা সংগঠিত অপরাধ যুক্ত থাকে। শুধু আমেরিকা কেন, বিশ্বের যে কোনও দেশে যদি ভারতীয় নাগরিকরা ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও থেকে যান, অথবা তাঁদের কাছে সেই দেশে থাকার যথাযথ নথিপত্র না থাকে, তাহলে তাদের ফিরিয়ে নিতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। তবে তার আগে সেই দেশকে প্রমাণ দিতে হবে, তাঁরা প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা সত্যিই ভারতীয় নাগরিক কিনা, আমরা তা যাচাই করব। যদি তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হন, আমরা তাঁদের ফিরিয়ে আনব।”

    ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও জোর দিয়েছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী ও বহুমুখী। দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কও অত্যন্ত ভালো। যে কোনও বিষয় অথবা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে আলোচনার পথ খোলা আছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি (Randhir Jaiswal) হল, দুই দেশের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গঠনমূলক ভাবে সমস্ত বিষয়ের সমাধান করা। আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।”

    ডোনাল্ড ট্রাম্প

    ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দেশের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তার পরেই তিনি আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের (Illegal Immigrants) স্বদেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ধরপাকড়ও শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে। হোয়াইট হাউসের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “কেবল আমেরিকা বলে নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যদি কোনও ভারতীয় অবৈধভাবে বসবাস করেন, আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। তবে আমাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টের নথিপত্র ভাগ করে নিতে হবে, যাতে আমরা যাচাই করতে পারি তিনি সত্যিই ভারতীয় কিনা। যদি তা হয়, আমরা তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।”

    ভারতীয় অভিবাসী

    প্রসঙ্গত, আমেরিকায় কোনও অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী থাকলে, তাঁদের দেশে ফেরাতে কোনও আপত্তি নেই। দিল্লির অবস্থান এদিন ফের (Randhir Jaiswal) স্পষ্ট করে দিল বিদেশমন্ত্রক। শুধু আমেরিকা নয়, বিশ্বের যে কোনও দেশের ক্ষেত্রেই অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে একই অবস্থান নরেন্দ্র মোদি সরকারের। এ ক্ষেত্রে অবশ্য শর্তও বুঝিয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে যাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাঁদের বিষয়ে তথ্য এবং প্রয়োজনীয় নথি ভারতকে দিতে হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় কিনা, তা যাচাই করতে পারে দিল্লি। ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বস্তুত তিনি ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। পরে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে নয়াদিল্লির নীতিগত অবস্থানও বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনিও জানিয়েছিলেন, দিল্লি কখনওই অবৈধ অভিবাসন সমর্থন করে না।

    অবৈধ অভিবাসী 

    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের নজর রয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ওপর। চুরি-ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় করতে ‘লেকেন রিলে অ্যাক্ট’ নামে নয়া একটি নতুন আইন আনার পথে এগোচ্ছে আমেরিকা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকার সেনেটে এ সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে ৬৪-৩৫ ভোটে। বিলটি আইনে পরিণত হলে অভিযুক্ত অভিবাসীদের আটক করতে পারবে আমেরিকার প্রশাসন। সূত্রের খবর, সেনেটে বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছেন ১২ জন ডেমোক্র্যাটও। বিলটি এবার যাবে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে। সেখানে বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্টের সবুজ সঙ্কেত মিললেই তা পরিণত হবে আইনে। উল্লেখ্য, এই বিল অনুযায়ী, চুরি, ছিনতাই, লুটপাট বা দোকান থেকে জিনিসপত্র (Randhir Jaiswal) হাতানোর মতো ঘটনায় অভিযুক্ত অভিবাসীদের আটক করতে পারবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (Illegal Immigrants)।

  • S Jaishankar: “কন্ট্যাক্ট, কেমিস্ট্রি, ক্রেডিবিলিটি”! সাফল্যের তিনটি চাবিকাঠির কথা বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “কন্ট্যাক্ট, কেমিস্ট্রি, ক্রেডিবিলিটি”! সাফল্যের তিনটি চাবিকাঠির কথা বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পেশাগত কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, সাফল্যের শর্ত ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার ‘লিভ হোয়াইল ইউ আর অ্যালাইভ’ বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সফলতার তিনটি ‘সি’ নিয়ে কথা বললেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কন্ট্যাক্ট (যোগাযোগ), কেমিস্ট্রি (সম্পর্কের সুমধুরতা) এবং ক্রেডিবিলিটি (বিশ্বাসযোগ্যতা) হল সফলতার চাবিকাঠি।” 

    সাফল্যের তিন চাবিকাঠি

    শিব খেরা লিখিত বইটি উদ্বোধন করার সময় জয়শঙ্কর বলেন, “সফলতার জন্য যাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা যায়, তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ভুল হতে পারে, তবে ভুলের প্রতি ভয় নয়, বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তা সংশোধন করার পরবর্তী ধাপেই সফলতা নিহিত থাকে।” মজার ছলে জয়শঙ্কর জানান, বইটি ক্রনিক স্ট্রেস (অতিরিক্ত মানসিক চাপ) এড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তাঁর কথায়, “কেরিয়ার হিসাবে মন্ত্রী হওয়া এবং ক্রনিক স্ট্রেস এড়ানো একসঙ্গে চলে না।” বিদেশমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ছয় বছরের অভিজ্ঞতা এবং ৪১ বছরের কূটনৈতিক জীবন থেকে তাঁর অভিমত, জীবন খুবই অপ্রত্যাশিত, তবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা পরিচালনা করা সম্ভব।

    আরও পড়ুন: ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    জীবন থেকে শিক্ষা

    জয়শঙ্করের কথায়, “কোনও মানুষই নিখুঁত নয়”, আর বিশেষ করে তরুণদের তিনি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। জয়শঙ্কর জানান, তিনি যেমন ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরীক্ষায় পাস করেছেন, তেমনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT)-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করেননি। প্রায় ৩০ মিনিটের বক্তৃতায়, কূটনৈতিক এই অভিজ্ঞ নেতা তাঁর পেশাগত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কোভিড সময়কালে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার এবং ইউক্রেন সংকটের সময় ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি সফলতার তিনটি ‘সি’ এর উপর জোর দেন— এক) কন্ট্যাক্ট (যোগাযোগ), দুই) কেমিস্ট্রি (সম্পর্কের সুমধুরতা) এবং তিন) ক্রেডিবিলিটি (বিশ্বাসযোগ্যতা)। শিব খেরার বই সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে এই বইয়ে— ১. অপ্রত্যাশিত পরিকল্পনার জন্য প্রস্তুত থাকুন, ২. সম্পর্ক বিনিয়োগ করুন, ৩. আপস নয়, ৪. বিষাক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন, ৫. সময়ের মূল্য বুঝুন এবং ৬. ভালো ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: মমতার মন্তব্যে ঢাকার অসন্তোষ, দিল্লি কড়া বার্তা দিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে

    Bangladesh: মমতার মন্তব্যে ঢাকার অসন্তোষ, দিল্লি কড়া বার্তা দিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলার সভা মঞ্চ থেকে বাংলাদেশিদের (Bangladesh) আশ্রয় দান সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিতর্কিত মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকা, এ নিয়ে ভারতকে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আপত্তিবার্তার কথা স্বীকার করেছেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সংবিধানের পাঠ দিয়ে জানানো হয়েছে, অন্য কোনও দেশ বা বৈদেশিক বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ করার অধিকার কোনও রাজ্য সরকারের নেই। সংবিধান সেই অধিকার কখনও দেয়নি কোনও রাজ্যকে। বিষয়টি একান্তভাবে ভারত সরকারের অধীনে রয়েছে।

    কী বললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র?

    বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের কাছ থেকে আমরা একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি। আপনারা (সংবাদমাধ্যম) রিপোর্টে যেমনটা দেখেছেন, খানিকটা সে রকমই (নোট পাঠানো হয়েছে)।’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে বিদেশ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় এবং অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিষয়ের এক্তিয়ার একমাত্র ভারত সরকারের।’’ ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের মন্তব্য, ‘‘এই বিষয়টি যৌথ তালিকায় নেই। আর অবশ্যই রাজ্যের তালিকায় নেই। আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট, সাংবিধানিক এক্তিয়ারের বাইরের কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’’

    প্রেক্ষাপট

    প্রসঙ্গত ২১ জুলাই মমতা বলেছিলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষ দরজায় কড়া নাড়লে রাজ্যে তাঁদের আশ্রয় দেবেন। মমতার এই মন্তব্য ঘিরেই শোরগোল শুরু হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী এই অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, এ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা উচিত। রাজ্য ওঁর একার নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রয়েছে দেশে।’’

    বাংলাদেশের (Bangladesh) চিঠি

    মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি, ওঁর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক আমাদের। তবে ওঁর মন্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে যথেষ্ট। তাই ভারত সরকারকে এ নিয়ে নোট দিয়েছি আমরা।’’ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মমতা মন্তব্য করেছেন বলেও জানান হাসান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ট্রুডোর বক্তৃতা চলাকালীনই খালিস্তানের দাবিতে স্লোগান, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Justin Trudeau: ট্রুডোর বক্তৃতা চলাকালীনই খালিস্তানের দাবিতে স্লোগান, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালসা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। টরেন্টোর সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীনই স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে। রবিবারের ওই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ভারত।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক? (Justin Trudeau)

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ঘটনা ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মাস সাতেক আগেই খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে নিশানা করেছিলেন ট্রুডো (Justin Trudeau)। তার জেরে ভারত-কানাডা সম্পর্ক গিয়ে ঠেকে তলানিতে। গত সাত মাসেও উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-অটোয়ার(কানাডার রাজধানী) সম্পর্ক। এহেন পরিস্থিতিতে কানাডার মাটিতে ফের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন মাথা চাড়া দেওয়ায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। ট্রুডোর বক্তৃতা চলাকালীনই খালিস্তানপন্থীদের এই ‘ঔদ্ধত্য’ ভালো চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি।

    কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    সোমবার ভারতে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে বলে বলা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে। জানা গিয়েছে, ট্রুডো সরকারের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান প্রিভি কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট হরজিৎ সিং সজ্জন খালিস্তানপন্থী হিসেবেই পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে খালিস্তানপন্থীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কানাডার পার্লামেন্টে একটি সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্রুডো। গদি বাঁচাতে তাঁকে সাহায্য নিতে হচ্ছে নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা জগমীত সিংয়ের। জগমীত নিজেও ঘোষিত খালিস্তানপন্থী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই ভারতের চাপ সত্ত্বেও কার্যত অসহায় ট্রুডো। তাই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে ট্রুডো সরকার কড়া কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    কানাডার মাটিতেই খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর। তার পরেই অটোয়ার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে আক্রমণ শানান ট্রুডো। ঘটনার জেরে কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে মোদি সরকার কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। নিজ্জর খুনে ভারতের যে কোনও হাত নেই, তাও সাফ জানিয়ে দেয় মোদি সরকার (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের চাবাহার বন্দরের পর এবার দ্বিতীয় ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার অধিকার পেল ভারত। সিটওয়ে (Myanmar Sittwe Port) নামের এই বন্দরটি রয়েছে কালাদান নদীর ওপর। এই বন্দর পরিচালনার জন্য ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের একশো শতাংশ মালিকানাই পোর্টস, শিপিং এবং জলপথ মন্ত্রকের।

    চিন-ভারত রেষারেষি! (Myanmar Sittwe Port)

    বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারে মেতেছে চিন ও ভারত। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের দায়িত্ব নিয়েছে চিন। আফ্রিকার ডিজবাউটি বন্দরের দায়িত্বও নিয়েছে ড্রাগনের দেশ। বাংলাদেশ ও মলদ্বীপের বন্দরেও লগ্নি করবে বলে ওই দুই দেশের সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে বেজিং। চিনের এই অর্থনৈতিক আগ্রাসনের জেরে উদ্বেগে ভারত। তার পরেই একের (Myanmar Sittwe Port) পর এক ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার ভার নিতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই তালিকায় প্রথমেই ছিল ইরানের ছাবাহার বন্দর। এবার তালিকায় ঢুকে পড়ল মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরও। এই বন্দরটি কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট পরিবহন প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল, কলকাতার সমুদ্র বন্দরকে সমুদ্রপথে সিটওয়ে বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা। গত বছরের মে মাস থেকে সিটওয়েতে নোঙর করছে মালবাহী জাহাজ।

    ভারতীয় জাহাজকে স্বাগত মায়ানমারে

    কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে যায় প্রথম জাহাজটি। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন পোর্টস, শিপিং ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল এবং মায়ানমারের তরফে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডমিরাল তিং আং সান। মায়ানমারের এই বন্দরের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগের যোগাযোগ সুগম হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাইপাসের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যাবে বাংলাদেশে। মায়ানমারের এই বন্দরের মাধ্যমে যে লেনদেন হবে, পুরোটাই হবে ভারতীয় মুদ্রায়। জানা গিয়েছে, বন্দর পরিচালনার পুরো দায়িত্বই থাকবে ভারতের হাতে। ভারতের নিজস্ব বন্দরগুলির রাশ যেভাবে রয়েছে স্বদেশের হাতে, তেমনিই সিটওয়ের রশিও থাকবে ভারতের হাতে। মনে রাখতে হবে, ছাবাহার বন্দরের চেয়েও সিটওয়েতে (Myanmar Sittwe Port) ভারতের দখলদারি বেশি। কারণ, ছাবাহারে মাত্র দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করতে পারে ভারত। সিটওয়ের ক্ষেত্রে করবে পুরোটাই।

    কী লাভ হল ভারতের?

    সিটওয়ের ক্ষেত্রে চুক্তি পুনর্নবীকরণ হবে প্রতি তিন বছর অন্তর। বন্দরের লিজের মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ায় উপকৃত হবে ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইন প্রদেশের সিটওয়ে বন্দরটিতে ভারত বিনিয়োগ করবে ৪৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের অধীনে হবে সিটওয়ের কাজ। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের জলপথ ও সংযোগকারী রাস্তা চালু হয়ে গেলে সিটওয়ে বন্দরের মাধ্যমে ভারতের পূর্ব উপকূলকে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। মিজোরাম ও হলদিয়া বা কলকাতা বা কালাদান নদীর মধ্যে দিয়ে যে কোনও ভারতীয় বন্দরের মধ্যে একটি বিকল্প জলপথ হয়ে উঠবে। যে পথে অনায়াস হবে কার্গোশিপ পরিবহন। কালদান প্রজেক্টের মাধ্যমে উপকৃত হবে উত্তরপূর্বের রাজ্য ত্রিপুরাও। জানা গিয়েছে, সিটওয়ে বন্দরের রাশ ভারতের হাতে চলে আসায় কলকাতা ও ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা এবং মিজোরামের রাজধানী আইজলের মধ্যে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে পঞ্চাশ শতাংশ। সময়ও প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    উদ্বেগের কারণ

    গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমার (Myanmar Sittwe Port)। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সে দেশে চলছে সেনার শাসন। তা সত্ত্বেও মায়ানমারকে ভারত বরাবর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে তার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কারণে। আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, উত্তর-পূর্বের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভারতের প্রয়োজন মায়ানমারের সাহায্য। এমতাবস্থায় মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ায় অ্যাডভান্টেজ নয়াদিল্লি। মায়ানমারের এই বন্দরের রাশ ভারতের হাতে এলেও, উদ্বেগ কমেনি এতটুকুও। কারণ যে রাখাইন প্রদেশে সিটওয়ে বন্দরটি রয়েছে, সেটি সামরিক শাসক ও বিদ্রোহীদের সংঘাতে দীর্ণ। সিটওয়ে প্রকল্পটির আয়ু কতদিন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ বিদ্রোহীরা রাখাইন প্রদেশের দখল নিয়ে নিলে, এই বন্দরে কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে ভারতের। তবে ভূকৌশলগত অবস্থান বিবেচনা করেই সিটওয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত (Myanmar Sittwe Port)।

    আরও পড়ুুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share