Tag: MEA

MEA

  • Russia Ukraine War: দিল্লির দাবিকে মান্যতা দিয়ে রুশ বাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হল ভারতীয়দের

    Russia Ukraine War: দিল্লির দাবিকে মান্যতা দিয়ে রুশ বাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হল ভারতীয়দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা অঙ্কের টাকার চাকরি দেওয়ার অছিলায় লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War)। যুযুধান এই দুই দেশের সীমান্তে রুশ বাহিনীর সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

    ভারতীয়দের অনুরোধ করা হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়তে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যেই যেসব ভারতীয় রুশ বাহিনীতে সহায়কের কাজ করছিলেন, তাঁদেরও মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। বন্ধু দেশ ভারতের দাবি মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে রাশিয়ার তরফে। সোমবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Russia Ukraine War) এও জানিয়েছে, রুশ সেনাবাহিনী থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত মুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনাকেই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    রুশ বাহিনীতে নিয়োগ 

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে দু বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেই কারণে রাশিয়ার তরফে বাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে বিদেশি নাগরিকদের। ইতিমধ্যেই রুশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ২০০ নেপালিকে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, যেসব নেপালি যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ১০ জন। নিখোঁজ শতাধিক। এসব খবর সামনে আসতেই নড়চড়ে বসে ভারত।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, গুচ্ছ নির্দেশিকা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    জানা গিয়েছে, রাশিয়া সেনার নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়ক হিসেবে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, রুশ সেনার সঙ্গে থাকা ভারতীয়রা মুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছে। এ সংক্রান্ত কিছু ভুল রিপোর্ট সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। বিদেশ মন্ত্রক জানায়, প্রতিটি বিষয় মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের নজরে আনা হয়েছে। রাশিয়ার প্রশাসনের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রকের নজরে আসা বিষয়গুলি নিয়েও দিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রকের কথায়, ফল স্বরূপ বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে ইতিমধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে নয়াদিল্লি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সকল ভারতীয়কে সতর্ক হতে ও এই সংঘাত থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করব (Russia Ukraine War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine War: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না’, ভারতীয়দের সতর্ক করল নয়াদিল্লি

    Russia Ukraine War: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না’, ভারতীয়দের সতর্ক করল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না।’ ভারতীয়দের এই মর্মেই সতর্ক করে দিল নয়াদিল্লি। সম্প্রতি ভারত সরকার জানতে পেরেছে, মোটা অঙ্কের বেতনের লোভ দেখিয়ে ভারতীয়দের লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের কাজে (Russia Ukraine War)। সেই কারণেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের।

    বিবৃতি জারি বিদেশ মন্ত্রকের

    শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল্প কিছু ভারতীয় রুশ সেনায় যোগ দিয়েছেন। তাঁদের যাতে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কোয় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা সকল ভারতীয় নাগরিককে বলছি, তাঁরা যেন দ্বন্দ্ব (রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ) থেকে দূরে থাকেন।” সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছেন ভারতীয়রা।

    সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে বহু ভারতীয়

    জানা গিয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যদের সিকিউরিটি হেল্পার হিসেবে নিযুক্ত হতে চুক্তিতে সই করছেন বহু ভারতীয়। পরে তাঁদের জোর করা হচ্ছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সৈন্যদের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু ভারতীয়ও। মারিউপোল, খারকিভ এবং রোস্তভ অন ডভ সীমান্তে এ ছবি দেখা যাচ্ছে আকছার। রাশিয়ার (Russia Ukraine War) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে কয়েকজন ভারতীয় নিহতও হয়েছেন বলে খবর। রাশিয়ান সেনা দলে যেসব ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দিতেও রাশিয়াকে অনুরোধ করেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অধরা, রাষ্ট্রসংঘকে দেওয়া অনুদান অর্ধেক করল ভারত

    জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ২০০ নেপালিকে সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করেছে রুশ সরকার। গত ডিসেম্বরে নেপালের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৬ জন নেপালি। তার পর নেপাল সরকারও রুশ সেনায় নেপালিদের নিয়োগ না করতে অনুরোধ করেছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই রুশ সেনায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের যেন অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয়, সেই অনুরোধও রাশিয়াকে করেছে নেপাল সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল যে যুদ্ধ, তা চলছে এখনও (Russia Ukraine War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • India-Maldives Relationship: মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানো নিয়ে কী জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক?

    India-Maldives Relationship: মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানো নিয়ে কী জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপে বিমান চলাচল করতে পারে এমন পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারস্পরিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে ভারত। মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) থেকে সেনা সরানো নিয়ে এমনই বিবৃতি দিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। চিন ঘেঁষা দ্বীপ রাষ্ট্রের মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানোর জন্য ভারতকে ‘আর্জি’ জানিয়েছে। রীতিমতো সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

    নয়াদিল্লির বিবৃতি 

    মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) থেকে ভারতের সেনা সরানোর বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে,  “মলদ্বীপের মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে ভারতীয় বিমানগুলির চলাচল জারি রাখা জরুরি। এই কাজের পরিবেশ বজায় রাখতে উভয় পক্ষই একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।” মলদ্বীপ এবং ভারতের সম্মতিক্রমে একটি নির্দিষ্ট দিন বেছে নিয়ে পরবর্তী আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। নভেম্বর মাসে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মুইজ্জু বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমরা ফেরত পাঠাব।’’ এ ক্ষেত্রে মুইজ্জু নাম না-করলেও স্পষ্ট ভাবেই ভারতকে নিশানা করেন। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ভারতীয় সেনা।

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    মলদ্বীপ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘পলিটিক্স ইস পলিটিক্স। আমরা এটা গ্যারান্টি দিতে পারি না যে রোজ প্রতিটি দেশ আমাদের সমর্থন করবে অথবা আমাদের কথায় একমত হবে। কখনও এটা ভালো না হতে পারে।’ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে ‘মলদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ’ বিতর্ক। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই মোদি এবং ভারতকে নিয়ে আপত্তিজনক কিছু মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী। এরপর থেকেই ওঠে মলদ্বীপ বয়কটের রব। এই আবহে চিন সফরে যান মুইজ্জুর। চিন থেকে দেশে ফিরেই শনিবার মুইজ্জু হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, কাউকে ধমকানোর ছাড়পত্র দেয়নি তার সরকার। এমনকী ১৫ মার্চের মধ্য়ে ভারতকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথাও বলা হয়। তারপরই পদক্ষেপ করল দিল্লি। বিদেশমন্ত্রী জানান, কোনও দেশের সরকারের সঙ্গে মতবরোধ হলেও ভারত সে দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেই কাজ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MEA: নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে আমেরিকা, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    MEA: নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে আমেরিকা, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠিত অপরাধী, বন্দুকবাজ, সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বিষয়ে ভারতকে তথ্য দিল আমেরিকা। সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল ভারত ও আমেরিকা। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকেই ভারতের হাতে নানা তথ্য তুলে দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেশের প্রতিনিধি। এই বৈঠকে দুই দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও হয়েছে আলোচনা।

    কী বললেন অরিন্দম বাগচি?

    ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমেরিকার দেওয়া এই তথ্যগুলিকে ভারত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। যেহেতু এর সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়গুলি যুক্ত রয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তথ্যগুলি দুই দেশের পক্ষেই উদ্বেগের কারণ। এজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমেরিকার দেওয়া তথ্যগুলিকে ভারত সিরিয়াসলি নিচ্ছে। যেহেতু এগুলি ভারতের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। আমেরিকার দেওয়া তথ্যগুলি সংশ্লিষ্ট বিভাগ যাচাই করেও দেখেছে।”

    ২+২ বৈঠক

    নভেম্বরের ১০ তারিখে ২+২ বৈঠকে বসে ভারত ও আমেরিকা। বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ও সে দেশের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ভারতের তরফে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক (MEA) বাণিজ্য, নিরাপত্তা, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ সহ নানা বিষয় উঠে এসেছে। কানাডায় বৃদ্ধি পাওয়া সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ভারতের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ‘হিন্দুইজম’ নয়, সনাতন ধর্মকে বোঝাতে ব্যবহৃত হোক ‘হিন্দুত্ব’, সিদ্ধান্ত হিন্দু কংগ্রেসে

    গত জুন মাসে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। এই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। সেই সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসন সাফ জানিয়েছিল, কানাডার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের বিচার ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। আমেরিকার এমন অবস্থান ভাল চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি। সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার বুকে দাঁড়িয়েই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “কানাডা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক। আমাদের উচিত এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ভারত সব সময় এর বিরোধিতা করবে। আমেরিকা যখন কানাডা নিয়ে কথা বলে তখন তাদের দৃষ্টিভঙ্গী অন্যরকম থাকে। আমরা যখন কানাডা নিয়ে কথা বলি, তখন আমরা অনেক কিছু খুঁজে পাই। এনিয়ে আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক (MEA) দৃঢ়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Qatar: ৮ প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড কাতার আদালতের! সমস্ত আইনি সহায়তার আশ্বাস ভারতের

    Qatar: ৮ প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড কাতার আদালতের! সমস্ত আইনি সহায়তার আশ্বাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক অবিশ্বাস্য রায়ে ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল কাতারের (Qatar) একটি আদালত। গত এক বছর ধরে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে সেদেশে। এই রায়ে স্তম্ভিত দিল্লি। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই ৮ জনকে সমস্ত রকম ‘আইনি সহায়তা’র আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা?

    এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, কাতারে (Qatar) আল দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামের এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ওই ৮ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী। এই সংস্থাটি কাতারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর স্থানীয় ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল। ওই বেসরকারি সংস্থায় মূলত কাতারের সেনা সম্পর্কিত কিছু পরিষেবা সরবরাহ করা হয়, এছাড়াও দেওয়া হয় সেনা সম্পর্কিত ট্রেনিং। ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে এই ৮ জনকে আটক করে কাতারের ইন্টালিজেন্স সার্ভিসেস তথা গোয়েন্দা বিভাগ। সেই থেকে এই প্রাক্তন সামরিক কর্মীরা জেলেই রয়েছেন। একাধিকবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কাতার সরকার কখনই ওই ভারতীয় সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে খোলসা করে কিছু জানায়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ভারতীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ছিল কাতারের। 

    কী জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক?

    এদিনের রায়ের প্রেক্ষিতে, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। এই খবর পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লির বিদেশ মন্ত্রক। কাতারের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে বিশদ রিপোর্ট তলব করেছে তারা। এদিন একটি বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‘ফাঁসির সাজার খবর শুনে আমরা স্তম্ভিত। পূর্ণাঙ্গ রায়ের জন্য অপেক্ষা করে আছি। এই আট প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আইনি টিমের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। সমস্ত আইনি বিতর্কগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। গোটা ঘটনার উপর নজর রাখা হচ্ছে। সমস্ত আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। কাতার (Qatar) কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’

    সূত্রের খবর, যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন— ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কামান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকার পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা ও নাবিক রাগেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) শান্ত হোক। সংখ্যালঘুদের জীবন হোক সুরক্ষিত। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (EU) পার্লামেন্ট। জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

    অরিন্দম বাগচির ট্যুইট-বার্তা

    বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এই ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন। আমরা দেখেছি, ইউরোপিয় সংসদ মণিপুর নিয়ে আলোচনা করেছে এবং একটি তথাকথিত জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।”  

    পার্লামেন্টে পেশ করা প্রস্তাব

    ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে ভারত, মণিপুরের পরিস্থিতি নামে একটি প্রস্তাব পেশ করে সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের প্রগতিশীল জোট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (Manipur) জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধ করার ও সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছে ইউরোপীয় সংসদ। মণিপুরের হিংসার স্বাধীন তদন্ত করার জন্য অনুমতিও চেয়েছে পার্লামেন্ট। বিবদমান সমস্ত পক্ষকে উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকেও ভারতের কাছে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। মণিপুরে (Manipur) ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। প্রেস বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য দাবি তুলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মণিপুরের হিংসার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করতে দিক।

    আরও পড়ুুন: “আইফেল টাওয়ারেও মিলবে ইউপিআইয়ের সুবিধা”, বললেন মোদি

    হিন্দু মেইতি ও খ্রিস্টান কুকি জনজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মাস দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর। মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন উপত্যকায়, কুকিরা পাহাড়ি এলাকায়। মেইতিরা নিজেদের তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি জানান। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য। যার জেরে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Operation Kaveri: যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান! আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজে বায়ুসেনা ও নৌসেনা

    Operation Kaveri: যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান! আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজে বায়ুসেনা ও নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সুদান থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ (Operation Kaveri) চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। তৃতীয় দফায় ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করেছে সেনা। বুধবার ভোরে সুদানে আটকে থাকা মোট ১৩৫ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে বায়ুসেনার আইএএফ সি-১৩০জে বিমানে করে সৌদি আরবের জেদ্দায় আনা হয়।

    অপারেশন কাবেরী

    সোমবারই সুদানে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়ে দেন গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদান থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা। প্রথম পর্যায়ে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। এবার ‘অপারেশন কাবেরী’-র (Operation Kaveri) দ্বিতীয় পর্যায়ে সুদান বন্দরের বাকি ২৫০ জন ভারতীয়কে বিমান বাহিনীর দুটি আইএ এফ সি-১৩০ জে ( IAF C-130 J) হারকিউলিস বিমানের সাহায্যে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। মঙ্গলবারই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী সৌদি আরবের জেদ্দায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান স্কুল, যেখানে ভারতীয়দের সাময়িকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন।

    চলছে উদ্ধারকাজ

    ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ভারতীয় সুদানের বন্দরে এসে পৌঁছেছেন। আরও অন্তত পাঁচশো ভারতীয় বন্দরে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে একটি অংশকে নিয়েই প্রথম উদ্ধার অভিযান শুরু করে আইএনএস সুমেধা। ভারতীয় নৌ-সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএনএস সুমেধা কমপক্ষে তিনবার সুদান থেকে জেদ্দা যাতায়াত করবে। যত সম্ভব ভারতীয়দের নিয়ে সুদানের বন্দর থেকে রওনা দেবে আইএনএস সুমেধা। উত্তর ও দক্ষিণ সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারে অবশ্য অন্য রাস্তা ভাবতে হয়েছে বিদেশমন্ত্রককে। সৌদি আরব, ফ্রান্স, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি মতো বন্ধু দেশগুলির মাধ্যমে তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তর সুদান থেকে বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে উদ্ধার করেছে সৌদি আরব, আমেরিকা ও ফ্রান্স।

    সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল-বুরহান এবং আধাসেনা আরএসএফ বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হামদান ডাগলো ওরফে হেমেত্তির বাহিনীর লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই হাজার ছুঁতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শুধু বিদেশি নাগরিকেরাই নয়, রাজধানী খার্তুম এবং তার ‘যমজ শহর’ ওমদুরমান-সহ সুদানের বিভিন্ন শহর থেকে সাধারণ মানুষও পালাতে শুরু করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ‘পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি’, ইমরানকে গুলির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের

    Imran Khan: ‘পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি’, ইমরানকে গুলির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবাদ মিছিল করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তার পর থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত অশান্ত হয়ে ওঠেনি ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশটির পরিস্থিতি। তবে ঘটনার জেরে ভারত পাকিস্তানের পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে বলেই জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)।

    বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার পর পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনা আমরা সবে মাত্র জেনেছি। গোটা ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখছি। এ নিয়ে যাবতীয় খবরের দিকে আমাদের নজর রয়েছে। এখনই এনিয়ে ভারত কোনও মন্তব্য করতে চায় না।

    লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত আজাদি মার্চের ডাক দিয়েছিল ইমরানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ, সংক্ষেপে পিটিআই। ওই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার-রাজনীতিক ইমরান খান (Imran Khan)। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক ব্যক্তি। গুলি লাগে ইমরানের ডান পায়ে। মাটিতে পড়ে যান প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর পায়ে তিন থেকে চারটি গুলি লেগেছে। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লাহোর হাসপাতালে। কেবল ইমরান নন, ফয়জল জাভেদ ও আহমেদ ছাত্তাহা নামে তাঁর দলের আরও দুই নেতাও গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নতুন জীবন পেলাম! বললেন ইমরান, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসছে করাচি থেকে পেশোয়ার

    পিটিআইয়ের প্রবীণ নেতা আসাদ উমর বলেন, ইমরানকে (Imran Khan) সড়ক পথে লাহোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। তবে তাঁর গুলি লেগেছে। ঘটনার জন্য অবশ্য তিনি কাউকে দোষারোপ করেননি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি কোনও গোষ্ঠী।

    ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ঘটনাটি চরম নিন্দনীয়। কড়া ভাষায় এর নিন্দে করছি। গুলি চালানোর ঘটনায় অবিলম্বে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছি। আমি ইমরান খানের (Imran Khan) দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আহতদের যাতে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
  • DCI: ‘উদ্বেগজনক’, কেনিয়ায় দুই ভারতীয় খুন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    DCI: ‘উদ্বেগজনক’, কেনিয়ায় দুই ভারতীয় খুন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেনিয়ার (Kenya) নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করার কারণে খুন করা হয়েছে দুই ভারতীয় যুবককে। এবার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল দেশের বিদেশমন্ত্রক। সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, “গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারত। ইতিমধ্যেই কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার। কেনিয়া সরকারের কাছে এই হত্যার ঘটনা নিয়ে বিশদ তদন্তের দাবিও জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেনিয়ায় দুই ভারতীয় যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি সামনে এসেছে। যদিও, কেনিয়া সরকারের তরফে এই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।

    আরও পড়ুন: কমল সিত্রাংয়ের দাপট! আজ সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে অরিন্দম বাগচি বলেন, “কেনিয়া সরকারের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। দুই ভারতীয় যুবক আদৌ খুন হয়েছেন কিনা, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেনিয়া সরকারকে। ভারতে নিযুক্ত কেনিয়ার হাই কমিশনারকেও ডেকে পাঠিয়ে এই বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। জুলাই মাস থেকে দুই ভারতীয় যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে কেনিয়া সরকারের কাছে।” 

    বিষয়টিতে কেনিয়া সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “দুই যুবক এখন কোথায় রয়েছেন, আদৌ তাঁরা বেঁচে আছেন কিনা, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই কেনিয়া প্রশাসনের কাছে। কেনিয়া সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। ইতিমধ্যেই আমরা প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর কাছে আমাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছি। ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ।”

    উল্লেখ্য, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় একটি সংস্থাকে প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি রুটো। ওই সংস্থায় কাজ করতেন জুলফিকার এবং মহম্মদ জইদ নামের দুই ভারতীয়। রাষ্ট্রপতির সহায়ক ইতুম্বি  জানিয়েছেন, গত জুলাইতে রোড এলাকা থেকে ট্যাক্সিচালক নিকোদেমাস মাওয়ানির সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। সেই ঘটনার চার মাস পর ওই দুই ভারতীয় খুন হয়েছেন জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ মহল। 

    যদিও এখনও ওই দুই ভারতীয়র খুনের ব্যাপারে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি কেনিয়া সরকার। তবে এই খুনের বিষয়ে কেনিয়ার তদন্তকারী সংস্থা ডিসিআই-র একটি শাখা স্পেশাল সার্ভিস ইউনিট বা এসএসইউ-র দিকে আঙুল তুলেছেন রুটো সমর্থকরা। এসএসইউ-র বিরুদ্ধে এর আগেও বার বার বিনা বিচারে আটকে রাখা, অপহরণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, গত নির্বাচনে রুটোর জয় আটকানোর সবরকম চেষ্টা চালিয়েছিল তাঁরা। সম্প্রতি এসএসইউ-র ২১ জন গোয়েন্দাকে রাজধানী নাইরোবিতে তলব করা হয়। এর পরই তদন্তকারী সংস্থা ডিসিআই-র ওই শাখাটিকে ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই এই খুন করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Canada: ‘সজাগ থাকুন’, কানাডাবাসী ভারতীয়দের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক

    Canada: ‘সজাগ থাকুন’, কানাডাবাসী ভারতীয়দের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada) বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। সেই দেশে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষমূলক অপরাধ, বিচ্ছিন্নতাবাদী হিংসা এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ভারতীয় নাগরিদের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কানাডার সরকারের কাছে, এই ঘটনাগুলির বিষয়ে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এবং কানাডার ভারতীয় দূতাবাস উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তদন্ত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।”      
     
    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এখনও পর্যন্ত এই সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কানাডা। এই ধরণের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। তাই কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ও শিক্ষার্থী এবং যাঁরা ভ্রমণের জন্যে কানাডা যাচ্ছেন তাঁরা সজাগ থাকুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করুন।”

    আরও পড়ুন: মোটা মাইনের টোপ, মায়ানমারে বন্দি বহু ভারতীয়, সতর্কবার্তা বিদেশ মন্ত্রকের

    ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের ওট্টাওয়া, টরোন্টো বা ভ্যাঙ্কুভারের ভারতীয় দূতাবাসে নাম নথিভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ভারত সরকারের ওয়েবসাইট madad.gov.in-এ ভারতীয় নাগরিকেরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। কোনও বিপদের সময় বা জরুরি অবস্থায়, কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় সঙ্গে যাতে দূতাবাস সহজেই যোগাযোগ করতে পারে তাই এই ব্যবস্থা। 

    এর আগে বৃহস্পতিবার, কানাডায় ‘খালিস্তান গণভোট’- এর তীব্র নিন্দা করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “একটি মিত্র দেশে যেভাবে চরমপন্থীদের এমন একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যকলাপ করতে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত আপত্তিজনক।” বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, ভারত কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এই বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কানাডাকে সমানে চাপ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে তরুণী রিসর্ট কর্মীকে ‘হত্যা’ ছেলের, প্রাক্তন মন্ত্রীকে বহিষ্কার বিজেপির

    গত এপ্রিল মাসে টরন্টো শহরে এক ভারতীয় পড়ুয়াকে মেট্রোস্টেশনের সামনে গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সম্প্রতি টরন্টোয় স্বামীনারায়ণ মন্দিরের সামনে ভারত বিরোধী স্লোগান ঘিরে বিস্তর বিতর্ক হয়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share