Tag: Meeting

Meeting

  • Conflict: ডানা ছাঁটা হল টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    Conflict: ডানা ছাঁটা হল টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গোষ্ঠী কোন্দলে (Conflict) জেরবার টিটাগড় পুরসভা। চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল (Conflict) এমন পর্যায় গিয়েছে যে পুরবোর্ড আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নজরে রাখছিল। এবার বিধানসভায় তলব করে টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউয়ের ডানা ছাঁটা হল। সোমবার সোমবার বিধানসভায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয়। বৈঠকে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই টিটাগড় পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলের জেরে অচলাবস্থা নিয়ে কথা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল জেলা নেতৃত্বের সামনে বলেন, চেয়ারম্যান সকলের সামনে অপমান করেছে। এভাবে বোর্ড মিটিংয়ে এই ধরনের আচরণ করতে পারে না। তাই, আমরা মিটিং ওয়াক আউট করেছিলাম। বিষয়টি জানার পর জেলা নেতৃত্ব নতুন করে কমিটি গঠন করে পুরসভা পরিচালনার কথা বলেন। ঠিক হয়েছে, গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict) কমাতে পুরসভায় এককভাবে চেয়ারম্যান কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। একইসঙ্গে পুরসভা পরিচালনার জন্য ৯ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে কারা কারা থাকবে তা দলের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ৯ জনের কমিটিতে পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, তিনজন সিআইসি, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, টাউন সভাপতি, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি এবং যুব সভাপতিকে রাখা হয়েছে। এই আটজনের কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রতি মাসে বৈঠক করতে হবে বলে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এইধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। এর আগে টিটাগড় পুরসভা পরিচালনা করতে গিয়ে দলকে এভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। বৈঠকের পর টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ বলেন, জেলা নেতৃত্ব যা নির্দেশ দিয়েছে সেই মতো এবার পুরসভা পরিচালনা হবে। নতুন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই সব কাজ করা হবে। অন্যদিকে,  টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, দল যা দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব।

    টিটাগড়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল কেন? Conflict

    গত ৩ মার্চ টিটাগর পুরসভায় একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলে (Conflict) পুরবোর্ড মিটিং সরগরম হয়ে ওঠে। ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৩ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড থেকে ওয়াক আউট করেন। মূলত, পুরবোর্ডে সকলের সামনে ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে চেয়ারম্যান খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকী ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বিল্ডিং অনুমোদন দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য হয়। চেয়ারম্যান এক তরফাভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে বোর্ডের একটি বড় অংশ প্রশ্ন তোলে। ৩ মার্চ থেকে পুরবোর্ড আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পুরসভা পরিচলনার হাল ফেরাতেই জেলা নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের  প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড! কোথায় দেখে নিন

    Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন আগে দলীয় সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়া কঠিন। কারণ, সামনের পাঁচ বছর কার হাতে এলাকার ক্ষমতার রাশ থাকবে নিয়ে লড়াই চলবে। মন্ত্রীর এই কথা যে কতটা সত্যি তা মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানাপাড়া বুথ কমিটির তৃণমূল কর্মীরা অক্ষরে অক্ষরে টের পাচ্ছেন। কারণ, এখনও পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Candidate) ঠিক করা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কিছুতেই যেন থামতে চাইছে না শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল।পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী (Candidate)  বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে সংঘাত।বুথ কমিটির বৈঠকে তুলকালাম। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ থেকে ধাক্কাধাক্কি। উপস্থিত দলীয় নেতৃত্বের সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। সমগ্র ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল।

    বৈঠকে কী নিয়ে গন্ডগোল? Candidate

     হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানা পাড়া বুথে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ছিল।উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।সেখানেই পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য প্রার্থী (Candidate)  তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়।প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে দুইজনের নাম।একজন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা বাসন্তী দাস এবং অপরজন ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সাগর দাস। কিন্তু, এই দুটি নাম উঠে আসতেই বিবাদ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষ দাবি করে, প্রার্থী (Candidate)  হিসেবে বাসন্তী দাস ছাড়া অন্য নাম যাবে না। এই নিয়ে তাঁরা নেতৃত্বকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে নেতৃত্বের সামনে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষই। উপস্থিত নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

    আর এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তৃণমূল একটা জায়গাতেও জিততে পারবে না। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর বিজেপির ঘাঁটি। প্রার্থী নিয়ে ওদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন,কোনও মারামারি বা ধাক্কাধাক্কি হয়নি।  একটা বুথেই আমাদের হাজারের বেশি কর্মী এসেছে বৈঠকে।দল বড় হয়েছে তাই প্রার্থী( Candidate)  হিসেবে একাধিক জনের নাম উঠে আসতেই পারে। এখানে বিরোধীরা প্রার্থী (Candidate)  দিতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    Madan Mitra: রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) । তিনি বেলঘরিয়ায় দলীয় সভায় প্রকাশ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশকে বলছি, আপনারা ভুলে যান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে রথতলায় ৫০টি মাইক বেঁধে সিপিএম সভা করল। আপনার চুপচাপ বসে বসে মজা দেখছিলেন। তবে, সব পুলিশ এক নয়। পুলিশের মধ্যে কিছু চড় রয়েছে। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় তৃণমূলের কাছে সেই মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে।বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। মুখ্যমন্ত্রী একধারে পুলিশমন্ত্রীও। শাসক দলের দাপুটে এই নেতার পুলিশ নিয়ে এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কী বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে না। কী কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কামারহাটির কালারফুল বয় (Madan Mitra) করলেন তা তিনি খোলসা করেননি। তবে, দলের অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নে। আসলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

    কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে একী বলেন তৃণমূল বিধায়ক? Madan Mitra

    সাগরদিঘিতে বিরোধীদের অশুভ আঁতাত হয়েছে বলে মদন মিত্র (Madan Mitra) বারবার সোচ্চার হয়েছেন। এবার বিরোধীদের অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে কামারহাটিতে ধিক্কার মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক( Madan Mitra) বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম মনে রাখবেন এই তিনজনকে বান্ডিলে প্যাক করে প্রয়োজনে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় কি করে তর্পন করতে হয়, ন্যাড়া করতে হয় তা আমরা জানি। এরপর কৌস্তভ বাগচির নাম না করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ন্যাড়া হয়ে   আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। যা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বালুরঘাটে। এত মাঠ থাকার পরও কেন রঞ্জি ক্রিকেট খেলার মাঠেই সভা? এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ খোলার পর থেকে গোটা মাঠে বিশালাকৃতির বড় বড় গর্ত নজরে এসেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমী থেকে বিরোধীরা। শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বা যুবভারতীতে এরকম ভাবে সভা করতে পারতেন? এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার।”

    সভার জন্য বাতিল হয়েছিল খেলা (Dakshin Dinajpur)?

    মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) প্রশাসনিক সভা প্রথমে হওয়ার কথা ছিল শহরের টাউন ক্লাব বা ফ্রেন্ডস উনিয়ন মাঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাস্থল নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট স্টেডিয়ামে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক অ্যাথলেটিক মিট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যা গত জানুয়েরির ২৯ ও ৩০ তারিখে ওই মাঠে এই খেলা ছিল। এমনকি চলতি সপ্তাহের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারিতে সিএবি-র অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই মাঠে। তাও সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়েছে। কিছু খেলা অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

    সভার পরেও বড় বড় গর্ত!

    বছর কয়েক আগে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রঞ্জি ক্রিকেট ম্যাচ। এই মাঠে রয়েছে চারটি ক্রিকেট পিচ। মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য ক্রিকেট পিচে গর্ত করা না হলেও তার চারপাশ দিয়ে বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারী ভারী লরি ওই পিচের উপর দিয়ে গেছে। যার ফলে বহু অংশে বসে গেছে পিচ। যেখানে খেলা একপ্রকার সম্ভবই নয়।

    ক্রীড়া প্রেমীদের বক্তব্য

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুঘাটের (Dakshin Dinajpur) এক ক্রীড়াপ্রেমী বলেন, “আরও অনেক মাঠ বালুরঘাটে ছিল। সেগুলোতে এই সভা করা যেত। কী কারণে বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হল তা বুঝতে পারলাম না। মাঠটি এই মরসুমে খেলার অনুপযোগী হয়ে গেল।” এবিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ বলেন, “জেলা প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করছেন। মাঠটি পূর্বের অবস্থা যাতে করা হয় তার আবেদন প্রশাসনের কাছে করব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “জেলার একমাত্র বালুরঘাট স্টেডিয়ামে রঞ্জি ম্যাচ খেলার মত পরিকাঠামো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এই মাঠে চলতি মরসুমে কোনও টুর্নামেন্ট করা যাবে না। জেলায় আসার পরও জেলাবাসী কিছু পেল না। অথচ যুব সমাজের চরম সর্বনাশ করে গেলেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “সভা হবে এটাও যেমন ঠিক তেমনি মাঠটাকে পূর্বের মত করতে হবে এটাও ঠিক। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাঠটি খেলার উপযোগী করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: শাহি-সাক্ষাত! ইডির উপর হামলা, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠক

    CV Ananda Bose: শাহি-সাক্ষাত! ইডির উপর হামলা, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিসেব দিতে পারলেই কেন্দ্র সব বকেয়া মিটিয়ে দেবে। বাংলার মানুষ বঞ্চিত হন তা প্রধানমন্ত্রী মোদি কখনওই চান না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর স্পষ্টভাবে একথা জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। একইসঙ্গে রাজ্য অরাজকতা, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলা সব বিষয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের সর্বময় প্রধান।

    রাজ্যের বকেয়া প্রসঙ্গ

    রাজ্যের বকেয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, “আমাদের দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়। তবে রাজ্যের যা প্রাপ্য আছে সেটা অবশ্যই রাজ্য পাবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়া হবে। আমি মানুষের উদ্বেগের কথা বুঝি। আমিও নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার কাছে এই বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হয়। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলার মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন, সেটা প্রধানমন্ত্রী দেখছেন।”

    আরও পড়ুন: আজই শপথ চম্পাই সোরেনের, ১০ দিনের মধ্যে প্রমাণ করতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা

    ইডির উপর হামলা প্রসঙ্গ

    এখন দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ কথাও হয়েছে। যদিও প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর কী নিয়ে কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। পরে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছেন বোস। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। এর পর ভিডিয়ো বার্তায় বোস বলেন, ‘‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি নির্দিষ্ট অপরাধের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি এটুকু বলতে পারি, আইন আইনের পথেই চলবে। যে সব কড়া পদক্ষেপ বিগত দিনে দেখা গিয়েছে, তা ভবিষ্যতেও জারি থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যা করার শীঘ্রই তা আপনারা দেখতে পাবেন। ইডিকে নিজের কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইডি কাজ করেছে। আগামী দিনেও করে চলবে।’’ এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও যান রাজ্যপাল। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দেন বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

    Mamata Banerjee: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভার জন্য দেওয়া হয়েছিল বাস। তবে, পাঁচটি বা দশটি বাস নয়, সবমিলিয়ে সাড়ে তিনশো বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও প্রাপ্য টাকা পাননি পশ্চিম বর্ধমানের সাড়ে তিনশো মিনিবাসের মালিকরা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বকেয়া টাকা পাওয়ার আশায় দরবার করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Mamata Banerjee)

    এবছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভা ছিল। সেখানে দুর্গাপুর, আসানসোল, অন্ডাল, রানিগঞ্জ থেকে মোট তিনশোটি মিনিবাস গিয়েছিল বর্ধমানে। মিনিবাসের জন্য জ্বালানি তেল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মীদের খাওয়াদাওয়া এবং দিনের খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকা এখনও পাননি। প্রথমে ৬০ লিটার করে তেল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বাস মালিকরা তেলের পরিমাণ বাড়াতে বলায় ৭০ লিটার করে তেল দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়াদাওয়া বাবদ ৯০০ টাকা ও দিনের খরচ বাবদ ১০০০ টাকা, মিনিবাস পিছু মালিকদের মোট ১৯০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। সেই টাকা আজও আসেনি। বাস মালিকদের অভিযোগ, প্রায় ন’মাস ধরে তাঁদের টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে।

    বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের কী বক্তব্য?

    মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এবং মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এই দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভার জন্য প্রায় শতাধিক বাস নেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, দিন দশেকের মধ্যে সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও তা আর হয়নি। এমনিতেই মিনিবাস পরিষেবা ধুঁকছে। তার উপরে সরকারি কর্মসূচিতে মিনিবাস দিয়েও পাওনা না পেলে আমরা কী করব?

    জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা পরিবহণ আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী বলেন, ‘আমি এখানে নতুন কাজে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারব না।’ তবে পরিহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফাইল ঊর্ধ্বতন দফতরের মাধ্যমে রাজ্য পবিহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে সমস্যার সমাধান হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    CV Ananda Bose: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ করতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনে উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে সে কথা জানালেন তিনি। একই সঙ্গে কোনও কিছুতে কান না দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে উপাচার্যদের কাজ করে যেতে বললেন আচার্য। রবিবার রাজভবনে গবেষণা ও পঠন-পাঠন নিয়ে দীর্ঘ দু’ঘণ্টা উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    কী নির্দেশ রাজ্যপালের

    সূত্রের খবর, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী সমস্যা, উপাচার্যদের কাছে জানতে চান আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্বস্তরে বাংলার শিক্ষাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যান, এমনও বার্তা দেন উপাচার্যদের। এদিন মাতৃভাষায় পড়াশোনার উপর জোর দেন আচার্য। একইসঙ্গে সিভি আনন্দ বোস বলেন, এবার থেকে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি কাজ করছে কি না, তা তিনিই তদারকি করবেন। আলাদা আলাদা করে প্রত্যেক উপাচার্যের কাছ থেকে সমস্যার কথা শোনেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গেও ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয় তাঁর। রাজ্যপাল নির্দেশ দেন, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক সময়ে যেন ভর্তির ব্যবস্থা হয় ও পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।

    বিদেশ সফরে রাজ্যপাল

    বিদেশের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মৌ স্বাক্ষরিত হচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় ধরে ধরে এদিন তা পর্যালোচনা করেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণা ও পঠন-পাঠনের জন্য গত জুন মাসে শেষের দিকেই “কলকাতা কমিটমেন্ট” চালু করেছিলেন রাজ্যপাল। তার লক্ষ্যপূরণে কতটা এগোতে পারল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, তা এদিন উপাচার্যদের থেকে জানতে চান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্সে নিয়ে যেতে হবে। যে কোনও অভিযোগ এলেই তার নিষ্পত্তি দ্রুত করতে হবে। চলতি সপ্তাহে আপনাদের সঙ্গে আরও একবার আলোচনা করব। যে কোনও সমস্যা হলে আপনারা রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। রাজভবন সব সময় আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    মঙ্গলবারই বিদেশ সফরে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেন, ‘আমি কয়েকদিনের জন্য বিদেশে যাচ্ছি। ইউএন সিকিউরিটি জেনারেলের আমন্ত্রণে যাচ্ছি। সেখানে বৈঠক হবে আমার। কয়েকটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব আমি। মউ করা হবে। আমি ২ বা ৩ তারিখেই ফিরে আসব।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে কোন্দল প্রকাশ্যে! গরহাজির একাধিক কাউন্সিলার

    TMC: তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে কোন্দল প্রকাশ্যে! গরহাজির একাধিক কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভায় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারদের মধ্যে কোন্দল মেটাতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে জেলা নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন। তবে, দক্ষিণ দমদম নয়, বরানগরে সেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আর সেই বৈঠকে তৃণমূল কাউন্সিলারদের হাজিরার সংখ্যায় শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রমাণ করে দিল। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশকে যে তারা আমল দিতে নারাজ তা প্রকাশ্যে চলে এল। যা নিয়ে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    জেলা নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে যাননি কতজন কাউন্সিলার?

    বৃহস্পতিবার জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দক্ষিণ দমদম পুরসভার সব কাউন্সিলারকে ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে তৃণমূলের (TMC) দমদম বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়, সাংসদ সৌগত রায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, দলের যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৫। তার মধ্যে একজন কাউন্সিলার মারা গিয়েছেন। দুজন কাউন্সিলার নির্দল। ৩২ জন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারকে এদিন ডাকা হয়েছিল। এরমধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত। আর একজন মহিলা কাউন্সিলার ব্যক্তিগত কারণে বৈঠকে আসতে পারেননি। বাকী ৩০ জন কাউন্সিলারের বৈঠকে থাকার কথা। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল, ১৬ জন কাউন্সিলার বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। ১৪ জন কাউন্সিলার বৈঠকে যাননি। তাদের বক্তব্য, দুই নির্দল কাউন্সিলার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রীতা রায়চৌধুরীকে ডাকতে হবে। জেলা নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে একসঙ্গে এতজন কাউন্সিলারের গরহাজিরার ঘটনায় দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যদিও পুরসভার চেয়ারপার্সন কস্তুরি চৌধুরী বলেন, আমরা সব ওয়ার্ডে কাজের সমবন্টন করি। কি কি কাজ হচ্ছে তাও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয় বৈঠকে। কাজের ক্ষেত্রে কাউকেই বৈষম্য করা হয় না।

    কাউন্সিলারদের গরহাজিরা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    বৈঠকে অনুপস্থিত কাউন্সিলারদের ওপরে অসন্তুষ্ট হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়। তিনি বৈঠকে বলেন, কাউন্সিলারদের অভিযোগ নিয়েই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে এসে তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি বলতে পারত। আমি সমস্ত বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাবো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পরই হামলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুজনের, জখম একাধিক কর্মী, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Attack: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পরই হামলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুজনের, জখম একাধিক কর্মী, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল চোপড়া। প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘাবানা এলাকায়। দলীয় কর্মীদের হামলায় (Attack) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুজন তৃণমূল কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম ফয়জুল রহমান (৫৪) এবং হাসু মহম্মদ (৪৫)। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়জুলের মৃত্যু হয়। হাসু মহম্মদকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন জখম হন। তাঁদের দলুয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।

    প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পর কেন গুলি চলল? Attack

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে এদিন দিঘাবানা এলাকায় বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে কে এবার প্রার্থী হবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। প্রার্থী ঠিক করার জন্য কোর কমিটির সদস্যরা আসেন। বহু আলোচনার পর দুজনের নাম ঠিক হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নাসিরের এক অনুগামীকে প্রার্থী হিসেবে ঠিক করা হয়। আর শামসুল রহমান নামে অন্য এক তৃণমূল কর্মীর নাম ঠিক হয়। মৃত তৃণমূল কর্মী ফয়জুলের ভাই শামসুল। কিন্তু, বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত নাসির ও তাঁর অনুগামীদের পছন্দ হয়নি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সকলেই বেরিয়ে আসেন। শামসুলের অনুগামীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। যেটা নাসির ও তাঁর অনুগামীরা সহ্য করতে পারেনি। মৃত তৃণমূল কর্মীর ভাই মহম্মদ আব্বাস বলেন, নাসিররা একজনের নাম পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু, বৈঠকে কোর কমিটির নেতারা দুটি নাম নিয়ে যান। সেটা নাসির ও তার দলবলের পছন্দ হয়নি। বৈঠক শেষে সকলেই বাড়ি ফিরছিলাম। সবাই আনন্দে ছিলাম। আচমকা রাস্তায় উঠতেই নাসির ও তার লোকজন হামলা (Attack)  চালায়। আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালানো শুরু করে। সূত্রের খবর, বুথ কমিটির বৈঠকে পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে দুই শিবিরের বচসা হয়। তখনকার মতো মিটেও যায়। কিন্তু, বাড়ি ফেরার সময় বাইরের কিছু দুষ্কৃতী এসে ফয়জুল ও হাসু মহম্মদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেখানেই দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। গুলি লাগে আরও কয়েকজনের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এগুলি সবই ছড়রা গুলি।

    কী বললেন মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে? Attack

    মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে কাদের রহমান বলেন, বুথের মিটিং দেখতে এসেছিল বাবা। এবার পঞ্চায়েতে যে প্রার্থী হবে তার দিকে বাবার সমর্থন রয়েছে। এটাই অপরাধ। এরজন্যই বাবাকে ওরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে দিল। আরও অনেকের গুলি লেগেছে। বাবা মাটিতে পড়ে যেতেই আমরা ছুটে যাই। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানেই বাবার মৃত্যু হয়। যাদের গুলিতে আমার বাবার প্রাণ গেল, তারা সবাই তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট। এলাকায় তৃণমূল এখন দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? Attack

    গোষ্ঠীকোন্দলকে কেন্দ্র করে শাসক দলের মুখ পুড়েছে। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃত পরিবারের লোকজন। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিজেপির সহ সভাপতির কী বক্তব্য? Attack

    বিজেপির সহ সভাপতি সুরজিত্ সেন বলেন, প্রার্থী নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। দলীয় কর্মী খুন হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট আসার আগে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। আর পঞ্চায়েত ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা বোঝাই যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের প্রশাসন দলদাস হয়ে গিয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে। এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম-১ ব্লকে। এই ব্লকের তৃণমূলের (TMC) সভামঞ্চে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এক আসনে বসে রয়েছেন কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল। যুব তৃণমূল ও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ডাকে শহিদ মিনার চলো প্রস্তুতির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লক অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি সভা ঘর তৈরি করা হয়। এই সভাগৃহে শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠান হয়। আর সেখানেই দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠান না হয়ে, তৃণমূলের (TMC) রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর ওই কর্মসূচিতে দেখা গেল খোদ কেতুগ্রাম -১ নম্বর ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালকে। রাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ, বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি রাজবিহারী হালদার। এই দুজনের পাশে বসে ছিলেন কেতুগ্রাম- ১ নম্বর ব্লকের বিডিও। তৃণমূলের (TMC) সেই সভামঞ্চে বিডিওর উপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিডিও? TMC

    সভাগৃহে প্রচুর তৃণমূল (TMC)  কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। সভাগৃহের পিছনের দেওয়ালে বড় ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, শহিদ মিনার চলো। আর এই ফ্লেক্সের সামনেই বসে রয়েছেন বিধায়ক ও তৃণমূলের (TMC)  যুব বর্ধমানের নেতা রাজবিহারী হালদার এবং কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের বিডিও। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের সাফাই, আসলে ওই সভাগৃহে সবসময় সরকারি অনুষ্ঠান হয়। সভাতে প্রধান, উপ প্রধানরা ছিলেন। সরকারি প্রকল্প নিয়ে প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রয়োজন ছিল। সেই মিটিং করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার পিছনে একটি দলের ফ্লেক্স লাগানো রয়েছে তা আমি দেখিনি। এটা আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। সরকারি সভাগৃহে রাজনৈতিক সভা হয় না, এখন প্রশ্ন তাহলে রাজনৈতিক সভা কি করে হল ওই সভাগৃহে? বিডিও এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, সরকারি সভাগৃহে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হয় না। কে বা কারা দলীয় ফ্লেক্স লাগিয়ে দিয়েছিল জানি না। আর বিডিও প্রধান, উপ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তৃণমূলের (TMC) দুজন নেতা সেখানে চলে আসে। আগামিদিনে ওই সভাগৃহে যাতে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান না হয় তা দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? TMC  

    বিজেপির জেলা নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, প্রশাসন আর তৃণমূল (TMC) যে এক হয়ে গিয়েছে তা এই ঘটনা প্রমাণ করে। আসলে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, প্রশাসনকে ব্যবহার করে কী করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবে তার রণকৌশল ঠিক করা হচ্ছে। আর সরকারি ভবনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হওয়ার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share