Tag: MHA

MHA

  • Flood Relief: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    Flood Relief: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় বিধ্বস্ত (Flood Relief) উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র এবং ডিভিসিকে দোষারোপ করছেন। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের বন্যায় ৪৬৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Amit Shah) তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে বন্যার জেরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি দল পাঠানো হবে। সেই কেন্দ্রীয় দল যে রিপোর্ট দেবে, তার উপর ভিত্তি করে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত সাহায্যের অনুমোদনও দেওয়া হবে।

    কেন্দ্রের সাহায্য

    বন্যা মোকাবিলায় (Flood Relief) মঙ্গলবার রাজ্যকে ৪৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও ১৩টি রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৪টি রাজ্যের জন্য ৫৮৫৮.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা এক্স হ্যান্ডলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্র যে রাজ্যগুলির পাশে রয়েছে, সেকথা জানান তিনি। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল সেন্ট্রাল টিম (আইএমসিটি) বিভিন্ন রাজ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই আইএমসিটি বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রক্রিয়া মেনে এনডিআরএফ থেকে আরও আর্থিক সাহায্য করা হবে। চলতি বছরে ২১টি রাজ্যকে সবমিলিয়ে ১৪ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    দোষারোপের পালা

    রাজ্যে বন্যার (Flood Relief) জন্য ডিভিসিকে তোপ দেগে কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্যেরও আবেদন জানান তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছর বর্ষায় ভারী বৃষ্টি, বন্যা, ধসের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে এই রাজ্যগুলি। সে কারণেই অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্য ছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সেনা, বায়ুসেনার দল পাঠানো হয়েছে। আগে বহুবার কেন্দ্রের উপর আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তবে সবসময়ই রাজ্যের দোষারোপকে উপেক্ষা করেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • RG Kar: আরজি করে সিআইএসএফ-এর সঙ্গে অসহযোগিতা রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে গেল শাহের মন্ত্রক

    RG Kar: আরজি করে সিআইএসএফ-এর সঙ্গে অসহযোগিতা রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে গেল শাহের মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার সরকারের (Mamata Government) বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের কাছে অমিত শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ও হামলার পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। অথচ, তাঁদের থাকা বা খাওয়ার কোনও ব্যবস্থাই করেনি রাজ্য সরকার। আরও অভিযোগ, জওয়ানদের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও করেনি মমতার সরকার। শুধু তাই নয়, আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মেটাল ডিটেক্টর-এর মতো একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসও দেওয়া হয়নি জওয়ানদের (RG Kar)। শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির জবাব দেয়নি রাজ্য (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, সিআইএসএফ জওয়ানদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতার উপকণ্ঠে এক জায়গায়। সেখান থেকে তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছাতেই সময় লাগছে এক ঘণ্টা। এর ফলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিআইএসএফ (Supreme Court) কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে সে প্রশ্ন উঠছে, আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্যকে। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নজরে আসার পরেই গত ২ সেপ্টেম্বর এই মর্মে মমতা সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে অনুরোধ জানানো হয় জওয়ানদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি।

    আদালত অবমাননা তার সঙ্গে সংবিধান বিরোধী কাজ করছে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে ৯ অগাস্টের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা এবং ১৪ অগাস্ট হাসপাতালে হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০ অগাস্ট আরজি কর মামলার শুনানিতে ওই হাসপাতালে সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মতো ২২ অগাস্ট থেকে ২ কোম্পানি সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। এরপর থেকেই জওয়ানদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ উঠতে থাকে রাজ্যের বিরুদ্ধে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে এই অসহযোগিতা করেছে রাজ্য সরকার যা শুধুমাত্র আদালতের অবমাননা নয় সংবিধান বিরোধীও বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    CV Anand Bose: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালকে (CV Anand Bose) নানা সময় অসম্মান প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের ছোট-বড় নেতাকেও। কটু কথা বলতে শোনা গিয়েছে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকেও। এবার রাজ্যপালের অফিসকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA Action)। কলকাতার ডিসি এবং ডিসিপি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    রাজ্যপালের চিঠি (CV Anand Bose)

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের পাঠানো চিঠিতে নাম গিয়েছিল ডিসি বিনীত গোয়েল এবং ডিসিপি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের। গোয়েল ও মুখোপাধ্যায়কে অপসারণের আর্জি জানিয়ে নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস, আইপিএস ক্যাডার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তথা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। তার জেরেই পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। যদিও দুই পুলিশ কর্তাই জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। রাজ্যের তরফেও এখনও কিছু জানানো হয়নি তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে রা কাড়েনি রাজভবনও।

    বাংলা থেকে সরানোর চক্রান্ত!

    এদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিব গোপালিকার বিরুদ্ধেও আইএসএস কার্যবিধি লঙ্ঘন ও দুর্নীতিতে সাহায্য করা ও উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে রাজ্যপাল এও লিখেছেন, বাংলা থেকে তাঁকে সরাতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেই চক্রান্তে শামিল রয়েছেন এই আধিকারিকরাও। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনের এক কর্মী। ওই মহিলা প্রথমে অভিযোগ জানান রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যপাল তাঁকে কু-ইঙ্গিত করছিলেন। সেদিন সন্ধেয় চেম্বারে ডেকে পাঠিয়ে অশালীন আচরণ করেন বলেও অভিযোগ। রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে অভিযোগ জানানোর পর তিনি সটান চলে যান হেয়ারস্ট্রিট থানায়।

    আর পড়ুন: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা না গেলেও, অভিযোগকারিণীর বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করতে (MHA Action) শুরু করে কলকাতা পুলিশ। এর পরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট ডিসির বিরুদ্ধে ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেসে’র অফিসারদের আচরণবিধি সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ (CAA) অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির স্থান-কাল জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আপাতত এই শংসাপত্র বিলি হবে পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে প্রথমবার তিনশো জন আবেদনকারীকে সিএএ-র শংসাপত্র বিলি করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে এই শংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং।

    সিএএ শংসাপত্র বিলি শুরু (CAA)

    বুধ-সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০২৪ এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব শংসাপত্র মঞ্জুরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ প্রথম দফার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে পশ্চিমবঙ্গের এমপাওয়ার্ড কমিটি। একইভাবে হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডেও বুধবার থেকে প্রথম দফার আবেদনপত্রগুলির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এমপাওয়ার্ড কমিটি।

    সিএএ

    গত ১১ মার্চ, দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ। যদিও ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। বিলটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সব অ-মুসলিম মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে বাস করছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    সিএএ আইনের ব্যাখ্যায় যাঁরা পাঁচ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদেরও আবেদনের কথা ভাবতে হতে পারে। এই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যাঁদের ভারতে জন্ম, তাঁদের বাবা-মা দুজনেই ভারতীয় হলে, তিনিও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজন ভারতীয় নাগরিক না হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে তাঁদের সন্তানের নাগরিকত্ব (CAA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cyber Slaves Rescued: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাইবার ক্রাইম করানো, কম্বোডিয়াতে উদ্ধার ৩৬০ ভারতীয়

    Cyber Slaves Rescued: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাইবার ক্রাইম করানো, কম্বোডিয়াতে উদ্ধার ৩৬০ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বোডিয়াতে উদ্ধারকাজে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় দূতাবাস। জানা গিয়েছে বিগত কয়েক মাস ধরেই ৩৬০ জন ভারতীয় নাগরিককে মোটা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কম্বোডিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে সেখানে তাঁদেরকে দিয়ে জোর করে সাইবার ক্রাইমের (Cyber Slaves Rescued) কাজ করানো হয়। বিষয়টি জানা মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারত সরকার এবং কম্বোডিয়ার ভারতীয় দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এঁদের প্রত্যেককে উদ্ধার করা হয়।

    ভারতীয় দূতাবাস কী জানাল 

    সে দেশের ভারতীয় দূতাবাস নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, বিদেশে ভারতীয়দের উদ্ধার কাজে সদা তৎপর থাকে সরকার। উদ্ধার করা নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে কম্বোডিয়া সরকারকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সহযোগিতার জন্য। জানা গিয়েছে, বিগত ৪-৫ মাস ধরেই মোট ৩৬০ জন ভারতীয়কে জোর করে সাইবার ক্রাইম করানো হয় (Cyber Slaves Rescued)। এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান সাইবারক্রাইম কো-অর্ডিনেসন সেন্টারের  সিইও রাজেশ কুমার। প্রসঙ্গত, প্রথম ব্যাচে ৬০ জনকে ফেরানো হয়েছে দেশে। আগামী সপ্তাহে আরও  ৬০ জনকে ফেরানো হবে। এইভাবে ধাপে ধাপে প্রত্যেকে দেশে ফিরে আসবেন।

    উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন 

    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়া, মায়ানমার, লাওস প্রভৃতি দেশগুলিতে সাইবার ক্রাইম এর ঘটনা বেড়েই চলেছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ্যবস্তু বানানো ভারতকে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে চলতি মাসের ১৬ তারিখে ভারত সরকার প্রতিটি দেশের সঙ্গে ইন্টার-মিনিস্টিয়াল কমিটি তৈরি করেছে যাতে সাইবার হানা ঠেকানো যায়। ওই কমিটির চেয়ারম্যান (Cyber Slaves Rescued) করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্পেশাল সেক্রেটারিকে। এর পাশাপাশি কমিটিতে রয়েছেন বিদেশ মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন, সিবিআই এনআইএ প্রভৃতির আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যে এই কমিটির দুবার মিটিংও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Force: কমিশনের অসহযোগিতাতেই বাহিনী নিয়ে জটিলতা, পাল্টা তোপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Central Force: কমিশনের অসহযোগিতাতেই বাহিনী নিয়ে জটিলতা, পাল্টা তোপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার যাবতীয় দায় শনিবার দুপুরেই রাজীব সিনহা কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখা গেল রাজীবের তত্ত্ব মিথ্যা। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাহায্য করেনি বলেই বাহিনী যথা সময়ে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গে। সহযোগিতা পেলে ভোটের আগে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী হাজির হত বাংলায়।

    রাজ্য জুড়ে হিংসা ও রাজীবের সাংবাদিক সম্মেলন

    ভোটের সকাল থেকেই জেলায় জেলায় হিংসা, বোমাবাজি, মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে তড়িঘড়ি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে রাজীব সাংবাদিক বৈঠক করেন দুপুর ২ টো নাগাদ। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। শনিবার পর্যন্ত ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছতে পেরেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসতে এত দেরি হল কেন? আমরা তো বাহিনী চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম ২২ জুন। তারপর মনেও করিয়েছিলাম বেশ কয়েক বার। তা সত্ত্বেও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী দিতে জুলাই মাসের ৩ তারিখ হয়ে গেল! আমার মনে হয় আরও কিছু আগে বাহিনী এলে সুবিধা হত।’’

    অমিত শাহের মন্ত্রকের পাল্টা উত্তর

    রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, যে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) ছিল, সেখানে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বরং কোনও বুথ দখলের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখলেই কড়া হাতে দমন করেছে বাহিনী। কিন্তু কোন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে আর কোন বুথে থাকবে না, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেলাশাসক। স্পর্শকাতর বুথগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা ছিল কমিশনের কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি বলেই জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। এই ইস্যুতে একাধিক অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে এনেছে স্বরাষ্ট মন্ত্রক। মন্ত্রকের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য অনেক দেরিতে অনুরোধ করেছে কমিশন। রাতারাতি বাহিনী পাঠনো যায় না, তাদের প্রশিক্ষণ সমেত অন্যান্য ব্যবস্থা করতে সময় লাগে। অমিত শাহের মন্ত্রক আরও জানাচ্ছে, বাহিনীকে কোথায় নামতে হবে, কোথায় তাদের থাকার ব্যবস্থা হবে, এনিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছে কমিশন। তারা বার বার দায় সেরেছে একটা কথাতেই, ‘জেলাশাসক’ নির্দেশ দেবেন এব্যাপারে। এছাড়া কমিশনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, কিছু বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় নামে, এই বাহিনীকে স্ট্রংরুমের পাহারার কাজে লাগানো যেত। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কমিশন।

    অশান্তির ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) সম্পর্ক নেই, দাবি বিএসএফের

    প্রথম দিন থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েনের তালিকা ও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েও পাননি বিএসএফ এবং সিআরপিএফ কর্তারা। অন্য দিকে তাঁরা জানাচ্ছেন, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে যেখানে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ ওই জায়গায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল।

     

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MHA: জেলে মৌলবাদ ভাবাদর্শ প্রচার করা বন্দিদের আলাদা রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    MHA: জেলে মৌলবাদ ভাবাদর্শ প্রচার করা বন্দিদের আলাদা রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে সব বন্দি (Jail Inmates) মৌলবাদের ভাবাদর্শ প্রচার করছে, যারা নঞর্থক চিন্তাভাবনা প্রচার করার চেষ্টায় রয়েছে, তাদের জন্য আলাদা কুঠুরির ব্যবস্থা করতে বলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। সম্প্রতি এই মর্মে বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কেবল ওই ধরনের বন্দিই নয়, যাদের মাদক এবং ওষুধ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জন্যও পৃথক এনক্লোজারের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই সব বন্দিরা যাতে জেলের অন্য আবাসিকদের সঙ্গে মেলামেশা করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকে। তারা যাতে ওই সব বন্দির সঙ্গে মেলামেশা করে তাদের ভাবধারা সঞ্চারিত করতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আচরণবাদী বিশেষজ্ঞ…

    মৌলবাদের ভাবাদর্শ প্রচারের অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং যারা জেল খাটছে তাদের মধ্যে থেকে মৌলবাদের চিন্তাভাবনা দূর করতে হবে। সেজন্য মাঝে মধ্যে সেশন করতে হবে। এই সেশন করতে হবে জেলের মধ্যেই। সেজন্য সংশোধন ও আচরণবাদী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসতে হবে। তাঁরাই বন্দিদের মধ্যে থেকে উপড়ে ফেলবেন মৌলাবাদী চিন্তাভাবনার শেকড়। বিপথে চালিত হওয়া বন্দিরা যাতে ফের সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে পারে তাই এই সেশনের আয়োজন করতে হবে। এবং সেটা করতে হবে নিয়মিত।

    আরও পড়ুুন: ‘চিন সেনা মোতায়েন করলেও, ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত’, বললেন সেনা প্রধান

    জানা গিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিব এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির ডিজি এবং কারা দফতরের আইজিকে। প্রিজন ম্যানেজমেন্ট যাতে ঠিকঠাকভাবে করা হয়, সে ব্যাপারেও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। মডেল প্রিজন ম্যানুয়াল ২০১৬-ও অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। ওই ম্যানুয়েলে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, তাও অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। বন্দিরা যাতে নিরাপদে থাকে এবং তাদের সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারেও নজর দিতে বলা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ-মুসলিম (Non Muslims) শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে গুজরাটে (Gujarat)। এবার ওই কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গেল দেশের অন্যত্রও। জানা গিয়েছে, দেশের নটি রাজ্যের ৩১ জেলার জেলাশাসক ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ওই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা।

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্ট ২০২১-২২। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ৪১৪ জন শরণার্থী এসেছেন ভারতে। এঁদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।  

    দেশের মধ্যে গুজরাটেই প্রথম শুরু হয়েছে এভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে গুজরাটে আসা অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act), ১৯৫৫ অনুযায়ী এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তিন দেশ থেকে আসা যেসব শরণার্থী গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাস করছেন, তাঁদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেও (Citizenship Act) পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিম এই সমস্ত শরণার্থীদের দেওয়া যায়। তবে যেহেতু তা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং সরকার এখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করে উঠতে পারেনি, এই আইনের আওতায় এখনও নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি কাউকেই।

    কোন কোন রাজ্য পেয়েছে ক্ষমতা?

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ জেলার কালেক্টর এবং নটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এঁরা উল্লিখিত শরণার্থীদের শংসাপত্র দিতে পারবেন। যে রাজ্যগুলিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই ক্ষমতা এখনও দেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Citizenship: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Indian Citizenship: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) দুই জেলায় বসবাসকারী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship)। নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। সোমবার এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর না হওয়ায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাও প্রযোজ্য হবে না।

    ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অর্জন করা যায়। এগুলি হল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে, কোনও ভারতীয়কে বিয়ে করে, নাবালক, শিশু যার বাবা মা ভারতের নাগরিক, ভারতের বিদেশি নাগরিক এবং ভারতীয় কনস্যুলেটে একটি শিশুর রেজিস্ট্রেশন। তবে গুজরাটের দুই জেলার যাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এগুলির কোনওটিই প্রযোজ্য নয়। তা সত্ত্বেও তাঁদের নাগরিকত্ব দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিল ভারত। অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের অভিমত এমনই।

    গত বছরই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই কারণে গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মোট ১৩টি জেলায় বসবাসকারী অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৯ সালের নিয়ম অনুযায়ী এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছিল। কারণ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, ২০১৯ এ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু এই আইনের অধীনে বিধিগুলি এখনও সরকার প্রণয়ন করেনি, তাই এখনও পর্যন্ত কাউকে এই আইনের অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি। ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০২১ সালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা এই পাঁচটি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার কালেক্টরদের বৈধ নথিতে ভারতে আসা ছটি সম্প্রদায়ের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দান করে।

    আরও পড়ুন: ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে সমাজসেবা, সবার ওপরে মাতৃত্ব…’, জানুন আরএসএসের মহিলা সংগঠনের আদর্শ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • WB Govt Soft on PFI: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    WB Govt Soft on PFI: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উগ্রপন্থা এবং নাশকতার কাজে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে পিএফআই (PFI Banned) ও তাদের বেশ কয়েকটি শাখা সংগঠন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারির পর বিভিন্ন রাজ্য পদক্ষেপও করেছে। এমনকি কেরল (Kerala) সরকারও কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে সে রাজ্যে ব্যাপক ধরপাকড় এবং পিএফআইয়ের (Popular Front of India) কার্যকলাপ বন্ধে নেমেছে। ব্যতিক্রম শুধু পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) পিএফআই নিয়ে কোনও সক্রিয়তা চান না। ফলে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ, এসটিএফ কিংবা সিআইডি পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় পিএফআই শাখাগুলোর কাজকর্ম বন্ধ করতে কোনও কিছুই করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কলকাতা (Kolkata) শহরে বেনিয়াপুকুর এবং কড়েয়া থানা এলাকায় পিএফআই সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। দলীয় অফিস রয়েছে তিলজলাতে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে নেপথ্যে আসল শক্তি ছিল পিএফআই। সংগঠনের মূল কর্মকাণ্ড অবশ্য মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্র করেই চলছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক থেকে পদাধিকারীদের অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলার। এই সব জেলাগুলিতেই ১৭টি শাখা খুলে গত পাঁচ-ছয় বছরে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। বেশ কয়েকটি জঙ্গি কার্যকলাপে অভিযুক্তের আইনি সহায়তা দিচ্ছে পিএফআই। বাংলাদেশ এবং নেপাল সীমান্তে পিএফআই নেতাদের গতিবিধিও চিন্তাজনক। এনআইএ এবং ইডি পিএফআইকে রাষ্ট্রবিরোধী সংস্থা হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও এজেন্সি ব্যবস্থা নিলে আমরা সাহায্য করব। কিন্তু পিএফআই নেতাদের রাজ্য পুলিশ আগ বাড়িয়ে গ্রেফতার করবে না, তাদের দফতরে তল্লাশি চালাতে যাবে না।

    কেন? পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, এনআইএ (NIA) এবং ইডির (ED) কাছে পিএফআইয়ের বিষয়ে যাবতীয় নথি রয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এ সবে জড়াবে না। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে গোয়েন্দাদের সমন্বয় বৈঠকে পিএফআই (PFI) সংক্রান্ত সমস্ত নথি বিনিময় করা হয়েছে। দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার আগেও রাজ্যের মতামত নেওয়া হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার পিএফআই নিয়ে নরম মনোভাব নিলে তা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না।

    আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাদের হত্যা থেকে হাওয়ালা কারবার! কী কী করত পিএফআই, জানেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করবেন। তাঁর ভাইপো বিজেপি কর্মীদের কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন। জাতীয়তাবাদী শক্তি দমনে পুলিশ এরাজ্যে সক্রিয়। কিন্তু নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বয়ানের জেরে বিক্ষোভের সময় ১৪ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হলেও মমতার পুলিশ চুপ থাকে। পিএফআইয়ের মতো নাশকতা চালানো শক্তি জানে মমতা প্রশাসন তাদের বন্ধু। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে এমন শক্তির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।

LinkedIn
Share