মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সুলতানপুরীর ড্রাগ কুইনে’র (Drug Queen) প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দিল্লি পুলিশের। বাজেয়াপ্ত প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির সুলতানপুরী এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা কুসুমের ওই বাড়ি থেকেই (Mini Mansion) মাদক চক্র চালানো হত বলে অনুমান পুলিশের। গত মার্চ মাস থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে কুসুম। মার্চ মাসেই সুলতানপুরীর ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলেকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক ও নগদ অর্থ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুলতানপুরীর ড্রাগ কুইনের মোট ৮টি অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টিই রয়েছে সুলতানপুরীতে, একটি রোহিণীর সেক্টর ২৪-এ। কুসুমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এনডিপিএস আইনের অধীনে ১২টি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি, বিশেষত সুলতানপুরী অঞ্চলে অবৈধ মাদক সরবরাহ চক্রের মূল চক্রীই এই কুসুম।
তল্লাশিতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মাদক (Drug Queen)
জানা গিয়েছে, মার্চ মাসে পুলিশের ওই তল্লাশিতে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ হেরোইনের প্যাকেট, ট্রামাডল নামের মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ওষুধ, নগদ ১৪ লাখ টাকা এবং একটি মাহিন্দ্রা স্করপিও গাড়ি। তার পরেই পুলিশ জানতে পারে, এই মাদক চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত। তদন্তে নেমে পুলিশ সুলতানপুরীর একটি বহুতলের হদিশ পায়। সেখানে ভেতরের দেওয়াল ভেঙে চারটি আলাদা আলাদা ফ্ল্যাটকে এক করে গড়ে তোলা হয়েছে একটি চারতলা প্রাসাদোপম মিনি ম্যানশন। বাইরে থেকে বোঝার উপায়ই নেই, যে বাড়িটি এত বিশাল।
সন্দেহের তালিকায় কুসুমের দুই মেয়েও
তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন কুসুমের (Drug Queen) দুই মেয়েও। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় পুলিশের। গত ১৮ মাসে ড্রাগ কুইনের মেয়েদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রায় ২ কোটি টাকা জমা পড়ছে। তবে এক সঙ্গে নয়। জমার অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ২ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে। এভাবে এ বছরই প্রায় ৭০ লাখ টাকা জমা পড়েছে। তাঁদের অ্যাকাউন্টে এত টাকা কোথা থেকে এল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কুসুমের মেয়েরা।
জানা গিয়েছে, পুলিশ কুসুমের এই বাড়ি সংক্রান্ত তথ্য (Mini Mansion) দিল্লি পুরসভাকে পাঠিয়েছে। বাড়িটির বৈধতা ও অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুরসভা (Drug Queen)।