Tag: minority

minority

  • Pakistan: পাকিস্তানে জুম্মার নমাজে নির্বিচারে গুলি, জখম বেশ কয়েকজন

    Pakistan: পাকিস্তানে জুম্মার নমাজে নির্বিচারে গুলি, জখম বেশ কয়েকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের নমাজের জমায়েতে নির্বিচারে গুলি (Terror Attack) চালাল এক বন্দুকধারী। পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জার প্রদেশের রাবওয়া শহরের ঘটনা। এদিন জুম্মার নমাজ আদায় করতে বাইট-উল-মাহদি আহমদিয়া মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। আচমকাই এক বন্দুকধারী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। আহমদিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চালানো এই গুলিবৃষ্টির দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। গুলির ঘায়ে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    জুম্মার নমাজে হামলা (Pakistan)

    বাইট-উল-মাহদি হল আহমদিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান কেন্দ্র। পুলিশ এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ছ’জন জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এদিন এক বন্দুকধারী মসজিদের গেটের দিকে এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবক ও প্রহরীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করেন মসজিদে জড়ো হওয়া লোকজন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মসজিদের এক প্রহরী পাল্টা গুলি চালান। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বন্দুকধারী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পাক পাঞ্জাবের পুলিশ জানিয়েছে, মসজিদের মেন গেটে পৌঁছানোর পর হামলাকারী কর্তব্যরত আহমদিয়া স্বেচ্ছাসেবক প্রহরীদের ওপর গুলি চালায়। প্রহরীদের একজন হামলাকারীকে হত্যা করে। শনিবার বিকেল পর্যন্তও এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন (Pakistan)।

    কী বলছে আহমদিয়া সম্প্রদায়?

    আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মুখপাত্র আমির মাহমুদ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানে এমন ঘৃণামূলক প্রচার ও হামলাকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয়।” তিনি এও বলেন, “এমন ফতোয়া রয়েছে যা মানুষকে আহমদিয়াদের হত্যা করতে উৎসাহিত করে, যখনই তারা তাদের মুখোমুখি হয়। নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় আহমদিয়াদের সুরক্ষার জন্য আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক প্রচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।” আহমদিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অন্যতম, যারা ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি হামলা ও অন্যান্য নৃশংসতার শিকার হয়ে আসছে। হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও বারবার নিপীড়ন, জোরপূর্বক গুম ও ধর্মান্তরের অভিযোগ তুলে আসছে (Terror Attack)।

    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-সহ অন্যান্য সংগঠনও পাকিস্তানে আহমদিয়া সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে (Pakistan)।

  • India in UNHRC Meet: ‘শেখাতে এলে, আয়না দেখিয়ে দেব’! সুইৎজারল্যান্ডকে কড়া বার্তা ভারতের, জবাব পাকিস্তানকেও

    India in UNHRC Meet: ‘শেখাতে এলে, আয়না দেখিয়ে দেব’! সুইৎজারল্যান্ডকে কড়া বার্তা ভারতের, জবাব পাকিস্তানকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে সুইৎজারল্যান্ডকে কড়া জবাব দিল ভারত (India in UNHRC Meet)। সুইৎজারল্যান্ড রাষ্ট্রসংঘে বলেছিল, “ভারতকে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে।” এরই পাল্টা ভারত জবাব দিল, “আমরা চাইলে সুইৎজারল্যান্ডকে সাহায্য করতে পারি রেসিজম, সিস্টেমেটিক ডিসক্রিমিনেশন আর জেনোফোবিয়া মোকাবিলায়।” ভারত সরাসরি আঘাত করল সেই জায়গায় যেটা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলো চুপ করে থাকে। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এটাই নতুন ভারতের কূটনীতি— “তুমি আমাকে শেখাতে এলে, আমি তোমায় আয়না দেখিয়ে দেব”।

    ভারতকে কী বলেছিল সুইস দূত

    রাষ্ট্রসংঘে মানবাধিকার পরিষদের ৬০ তম অধিবেশন চলছে। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতের (India in UNHRC Meet) বিরুদ্ধে সরব হয় সুইৎজারল্যান্ড (India’s Reply to Switzerland)। শুধু তাই নয়, ভারতে সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলেও অভিযোগ করেন সুইশ কূটনীতিকরা। ভারতকে ‘সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার’ পরামর্শ দিয়েছিলেন সুইস দূত। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে সুইস প্রতিনিধি সংখ্যালঘুদের রক্ষা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমকে সমুন্নত রাখার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান। এর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ করতে বলা হয় ভারতকে। এর জবাবে ইউরোপীয় দেশটিকে তাদের নিজের মাটিতে ‘বর্ণবিদ্বেষ, পদ্ধতিগত বৈষম্য এবং জেনোফোবিয়া (বিদেশিদের প্রতি আতঙ্ক)’ সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেন ভারতীয় কূটনীতিক। অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের সমস্যারর দিকে মনোনিবেশ করার জন্য সুইৎজারল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানায় ভারত।

    ভারতের পাল্টা জবাব

    রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে সুইৎজারল্যান্ডকে ভারতীয় (India in UNHRC Meet) কূটনীতিক ক্ষিতীশ ত্যাগী স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দিকে আঙুল তোলার আগে, নিজের দেশকে শোধরান। বর্ণবিদ্বেষ, পদ্ধতিগত বৈষম্য আর বিদেশিদের উপরে হামলার ঘটনায় গোটা সুইশ সমাজ বিব্রত।’ এখানেই থামেননি তিনি। সঙ্গে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম এবং বহুমাত্রিক গণতন্ত্র হিসেবে চিরকাল বহুত্ববাদকে হৃদয়ে ধারণ করা ভারত, সুইৎজারল্যান্ডকে এই সব সমস্যায় সাহায্য করার জন্য সদা প্রস্তুত।’ সুইস প্রতিনিধির মন্তব্যকে ‘আশ্চর্যজনক, অগভীর এবং ভুল তথ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন ত্যাগী। দেশটিকে তাদের নিজস্ব ইস্যুতে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন যে সুইৎজারল্যান্ড ভারতের বাস্তবতার সঙ্গে অবগত নয়। ভারতীয় দূত বলেন, ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার সুইৎজারল্যান্ডের বিস্ময়কর, অগভীর ও ভুল মন্তব্যের জবাব দিতে চাই। যেহেতু তারা ইউএনএইচআরসির (রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন) সভাপতিত্বে রয়েছে, তাই সুইৎজারল্যান্ডের পক্ষে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা মিথ্যা এবং আবাস্তব এমন কোনও আখ্যান দিয়ে কাউন্সিলের সময় না নষ্ট করে। বরং বর্ণবিদ্বেষ, পদ্ধতিগত বৈষম্য এবং জেনোফোবিয়ার মতো নিজস্ব চ্যালেঞ্জগুলির দিকে মনোনিবেশ করা উচিত তাদের।’

    পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ

    রাষ্ট্রসংঘের (India in UNHRC Meet) সভায় এদিন পাকিস্তানকেও একহাত নেন ক্ষিতীশ। ‘আন্তর্জাতিক খয়রাতির উপরে টিকে থাকা এক দেশ’ বলে সরাসরি কটাক্ষ করেন ইসলামাবাদকে। তাঁর কথায়, ‘আমরা নিজেদের রক্ষা করতে জানি। জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক কোনও দেশ যেন আমাদের নৈতিক শিক্ষা দিতে না আসে। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার করা একটা রাষ্ট্র, যার নিজেরই কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ ৯/১১ হামলা এবং পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন হামলায় নিহত আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের কথা উল্লেখ করে ভারতীয় দূত ত্যাগী বলেন, ‘আমাদের ৯/১১ হামলার কথা ভুলে গেলে চলবে না। আগামিকাল সেই হামলার বর্ষপূর্তি। আর আজ আমরা তাদের ভণ্ডামি প্রত্যক্ষ করছি যারা সেই আক্রমণের মাস্টারমাইন্ডকে আশ্রয় দিয়েছিল। যারা সেই জঙ্গি নেতাকে শহিদ হিসাবে গৌরবান্বিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলওয়ামা, উরি, পাঠানকোট, মুম্বইয়ের কথা ভুলে গেলে চলবে না। তালিকাটা অন্তহীন।’

    উপদেশ নেব না

    এবারই প্রথম নয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনেই পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বলে তোপ দেগেছিলেন ক্ষিতীশ। সোজাসুজি বলেছিলেন, ‘সেনা এবং জঙ্গিদের বানানো মিথ্যা কথাই বলে চলেছেন পাকিস্তানের তথাকথিত নেতা এবং প্রতিনিধিরা।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের দাবিকেও ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং বিদ্বেষপূর্ণ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবারও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে ভারতীয় দূত বলেন, “পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের মাপা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আমরা আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষায় কোনও আপস করব না। সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, সংখ্যালঘু নিপীড়ক এবং বিশ্বাসযোগ্যতা হারানো একটি রাষ্ট্র থেকে আমরা উপদেশ নেব না।”

  • Uttarakhands Minority Education Bill: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা, কী আছে এতে?

    Uttarakhands Minority Education Bill: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা, কী আছে এতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল, ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা (Madrasa)। এই বিলটি পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারের নীতিগত কাঠামো সংস্কারের একটি প্রচেষ্টা,  যেটি মূলত মাদ্রাসাগুলির ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছিল এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে অগ্রাহ্য করেছিল (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন (Uttarakhands Minority Education Bill)

    ১ জুলাই ২০২৬ থেকে এই বিল কার্যকর হয়ে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৬ এবং উত্তরাখণ্ড বেসরকারি আরবি ও ফার্সি মাদ্রাসা স্বীকৃতি বিধিমালা, ২০১৯ বাতিল করবে। যা এই বিলটিকে পূর্ববর্তী আইনগুলির থেকে আলাদা করে তা হল এর অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সংশোধনাত্মক চরিত্র। উত্তরাখণ্ড বিল মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকেও স্বীকৃতি দেয় এবং সংখ্যালঘু মর্যাদার সুবিধা দেয়। এখানে শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্শি এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কংগ্রেস সরকারের শাসনকালে এগুলিকেই পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিলটির মূল লক্ষ্য হল, উত্তরাখণ্ডের সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। পূর্ববর্তী আইনগুলি মাদ্রাসার জন্য একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা তৈরি করেছিল, যা বিদ্যালয় ব্যবস্থার অনুরূপ হলেও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে আইনগত স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে রেখেছিল।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    মাদ্রাসার ঘাটতি এবং অ-মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবহেলার মূল কারণ উত্তরাখণ্ডের পূর্বতন কংগ্রেস সরকার তুষ্টিকরণের রাজনীতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সংস্কার করার পরিবর্তে কংগ্রেস সরকার ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির স্বার্থে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অনিয়ম ও অপূর্ণ সম্ভাবনায় ভরপুর একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছিল। ইসলামি মৌলবাদীদের ক্ষোভের ভয়ে কংগ্রেস সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সমতা প্রতিষ্ঠার প্রতি নজর দেয়নি (Uttarakhands Minority Education Bill)। এরই ফলস্বরূপ মাদ্রাসায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে ছিল বৃত্তি বিতরণে অনিয়ম, মিড-ডে মিল কর্মসূচিতে অসঙ্গতি এবং মাদ্রাসা পরিচালনায় স্বচ্ছতার অভাব। এই কারণে সংস্কার অনিবার্য হয়ে উঠেছিল (Madrasa)।

    মাদ্রাসার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ

    সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় বেআইনি মাদ্রাসার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেক মাদ্রাসা অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে, অননুমোদিত নির্মাণ হচ্ছে অথবা শিক্ষার আড়ালে উগ্রপন্থী মতবাদ প্রচার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ। এনসিপিসিআর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মাদ্রাসার কার্যক্রমের মূল সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। এগুলি হল, ইসলাম ধর্মের উচ্চতা প্রচারে অতিরিক্ত জোর, শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে এনসিইআরটির বই অন্তর্ভুক্তি, প্রায়ই অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার অভাবে পুরনো শিক্ষাদান পদ্ধতি, এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, যা ছাত্রছাত্রীদের মূলধারার সুযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহুবিধ পদক্ষেপ

    নয়া এই বিলটি শিক্ষার আড়ালে ছড়িয়ে পড়া উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহু দিক থেকে পদক্ষেপ করেছে। প্রথমত, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রচারের জন্য গুরুমুখী ও পালি ভাষা পড়াশোনার বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সব সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান পরিচালনার তদারকির জন্য উত্তরাখণ্ড স্টেট অথরিটি ফর মাইনরিটি এডুকেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই বিলে ইউএসএমইএ নামে একটি নতুন ১২ সদস্যের সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে ছ’জন করে শিক্ষাবিদ এবং একজন সমাজকর্মীকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা (Madrasa)।

    উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত

    শিক্ষার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে এই বিলটি অবশ্যই উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিধান দিয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনা পদ্ধতি এবং পাঠ্যক্রমের মান একরকমভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি সরাসরি এনসিপিসিআর রিপোর্টে উল্লিখিত উদ্বেগগুলি মোকাবিলা করে। নয়া কাঠামোর আওতায় ইউএসএমইএ এবং ইউবিএসই দ্বারা প্রণীত নিয়মাবলী সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্ত শিক্ষাগত, প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে প্রযোজ্য হবে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, সামঞ্জস্য ও গুণগত মান উন্নত হবে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    বিলটিতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা

    বিজেপি সরকারের আনা এই বিলটি ধর্মীয় স্বাধীনতার সংরক্ষণ ও সমন্বিত শিক্ষাগত মান বজায় রাখার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ ও ২৬ ধর্ম বিশ্বাস প্রকাশ এবং পালন করার অধিকার সুরক্ষিত করেছে। তবে দুটিই যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধের আওতায় থাকে। আনজুম কাদারি বনাম ভারত সংঘ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য করেছে। এটি হল, একদিকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় নির্দেশনা ও প্রবর্তন অনুচ্ছেদ ২৮-এর কারণে সীমিত (Madrasa)।

    উত্তরাখণ্ডের এই বিলটি এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এটি ধর্মীয় শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করছে না, বরং এনসিইআরটি এবং রাজ্য বোর্ডের মানদণ্ড মেনে চলার শর্ত দিয়ে তার ক্ষেত্র নির্ধারণ করছে। বিলটি সংখ্যালঘু অধিকার হরণ করছে এমন দাবি থেকে বহু দূরে, বরং এটি (Madrasa) নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় স্বাধীনতা শিক্ষাগত মানের সঙ্গে সুসঙ্গতভাবে বজায় থাকবে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

  • BJP: বিজেপির সংখ্যালঘু নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: বিজেপির সংখ্যালঘু নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য হুগলির গোঘাটের শানবাঁধি এলাকায়। মৃতের নাম শেখ বাকিবুল্লা। তিনি গোঘাটে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। শনিবার বাড়ির দোতলার বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ প্রথমে দেখতে পান তাঁর স্ত্রী। খবর (TMC) পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ। পুলিশের অনুমান, রাতেই কেউ বাড়িতে ঢুকে হাত-পা বেঁধে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই এই খুন। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও সরব হন স্থানীয়দের একাংশ। খবর পেয়ে এলাকায় যান পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, “বাকিবুল্লা এলাকার জনপ্রিয় সংখ্যালঘু মুখ ছিলেন। তাই এই খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত থাকতে পারে।”

    কী বলছেন মৃতের বাবা (BJP)

    মৃত বিজেপি কর্মীর বাবা শেখ আবদুল্লা বলেন, “আগে বলেছিল এ (বাকিবুল্লা) সিপিএম করে, একে মার। তৃণমূলের ছেলেরা মারল। আমরা ছাড়ালাম। জ্বালা-যন্ত্রণায় বিজেপিতে ঢুকেছিল। তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এল। ভাইপোরা বলল, চল তৃণমূলে ঢুকি। ছোটটা তৃণমূল করে। সেই সূত্রে ও তৃণমূলে ঢুকতে গেল। যোগ দিল বিজয় মিছিলে। সেখানেও আমার ছেলে দুটোকে ওরা মারল। সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, ওরা যেটা করেছে, সেটা তোলা থাকবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির (BJP) আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুকান্ত বেরা বলেন, “পূর্বপরিকল্পিত। বিজেপি কর্মী। খুব সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সব সময় মানুষের পাশে থাকতেন। ওঁকে যেভাবে হাতে দড়ি বেঁধে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার ধিক্কার জানাই। যারা এ কাজ করেছে, আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, তারা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করব।” তিনি বলেন, “আমরা লাশ নিয়ে থানায় যাচ্ছি। ওখান থেকে আমরা ডেপুটেশন দেব। ডেপুটেশনের মাধ্যমে যেসব দুষ্কৃতী আজও এখানে ঘোরাঘুরি করছে, যেভাবে ওঁকে হত্যা করেছে, যদি তার প্রতিবাদ না করা হয়, তাহলে আগামিদিনে এখানে আর থাকা যাবে না। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ জন্য যতদূর যেতে হয়, আমরা যাব।”

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের লজ্জাজনক অবস্থা। তৃণমূলের (TMC) শাসনে বাংলায় কোনও গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। এটি কোনও একক ঘটনা নয়, একটি ধারাবাহিক প্যাটার্নের অংশ। এখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের টার্গেট করা হয়, তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হয় এবং হত্যা পর্যন্ত করা হয় (BJP)।”

  • Pakistan: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    Pakistan: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংখ্যালঘু শিখ (Sikh Minority) সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পাকিস্তানে (Pakistan)। গত তিন মাসে এ নিয়ে চারবার হামলা হল সে দেশে বসবাসকারী শিখদের ওপর। ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের এক পদস্থ কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ জানাল নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে পাক দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছে ‘ইউনাইটেড শিখস’ নামে শিখদের একটি সংগঠন।

    শিখদের ওপর হামলা

    পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। কখনও ব্যক্তিগত রোষের জেরে, কখনওবা জোর করে সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অছিলায়, কখনও আবার ধর্মীয় কারণে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছেই। গত কয়েকদিনে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে আক্রান্ত হয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি। এঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসক। তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার হিংসার বলি হন মনমোহন সিংহ নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী।

    পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি

    পুলিশ সূত্রে খবর, পেশোয়ারের রশিদগঢ়হী বাজারের কাছেই একটি দোকান চালাতেন মনমোহন। শনিবার দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় বাইকে চড়ে মনমোহনের (Pakistan) পিছু নেয় দুই দুষ্কৃতী। কিছুটা দূরে গিয়ে মনমোহনের পথ আগলায় তারা। তার পরেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিখ সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তির।  

    শুক্রবার রাতেও স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা হয়। তাঁকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে তাঁর পায়ে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সবকটি ঘটনাই ঘটে পেশোয়ার শহরে। আফগান সীমান্তবর্তী পেশোয়ারে হাজার পনের শিখের বাস। সেখানেই ঘটে চলেছে একের পর এক হামলার ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: ঝাড়গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় থানার ওসির, ভাইরাল ভিডিও

    পাঁচ বছর আগে এই পেশোয়ারেই (Pakistan) গুলি করে খুন করা হয় শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতা চরণজিৎ সিংহকে। তিন বছর আগে ফের গুলি করে খুন করা হয় সংবাদ মাধ্যমের সঞ্চালক বিন্দর সিংহকে। এই পেশোয়ারেই ২০১৬ সালে খুন হয়েছিলেন সুরেন সিংহ। তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা তথা জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। শনিবারের ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট নামে একটি সংগঠন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Suvendu Adhikari: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    Suvendu Adhikari: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এবার ভাতিজা রুমাল মাথায় দিয়েছিল, কিন্তু টুপি পরেনি। সাগরদিঘিতে সংখ্যালঘু আর নন্দীগ্রামে সনাতনীদের গুঁতোয় এই পরিস্থিতি।’’ প্রসঙ্গত, ইদের দিন একই স্থানে মমতা বন্দোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সেদিনই পাল্টা সভা করার ঘোষণা করেছিল গেরুয়া শিবির। এদিনের সভায় ভালই ভিড় হয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন বগটুইয়ের মিহিলাল শেখ।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    রেড রোডের সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারবাদ, তোষণবাদ, দুর্নীতিবাদের চাষ করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে বিকাশবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা। সংখ্যালঘু মানুষরা বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজ্যের তৃণমূল সরকার তাদের কাজের ব্যবস্থা করেনি। এমএসডিপি-র টাকায় ব্যাপক চুরি, দুর্নীতি হয়েছে।’’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি-র ভয় দেখাচ্ছেন। অশান্তি লাগিয়ে, বিভাজনের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইদের নমাজের মঞ্চেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির বার্তা দিয়েছেন। সংখ্যালঘুরা রাজ্যের বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ৪৫ লক্ষ পরিযায়ী বাইরের রাজ্যে রয়েছেন।’’ এঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও কিছুর বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’

    এনআরসি-র মিথ্যে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী

    এর আগেও রিষড়াকাণ্ডের পর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, ‘‘একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল করে জানেন, এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসি-র মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।’’ শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোথায় এনআরসির কথা বলছেন, বলছেন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশান্তি লাগিয়ে এনআরসির জুজু দেখিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘ইদের দিন ধর্মীয় সভা থাকলেও, সেই সভাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক সভায় পরিণত করেছিলেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Ujjwala Yojana: পিএম উজ্জ্বলা যোজনার ৩৭% উপভোক্তাই সংখ্যালঘু, বলছে পরিসংখ্যান 

    PM Ujjwala Yojana: পিএম উজ্জ্বলা যোজনার ৩৭% উপভোক্তাই সংখ্যালঘু, বলছে পরিসংখ্যান 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী (Modi) পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প উপহার দিয়েছেন দেশবাসীকে। তার মধ্যে রয়েছে, পিএম আবাস যোজনা, পিএম মুদ্রা যোজনা, পিএম কিষান, পিএম উজ্জ্বলা যোজনার মত একাধিক জনপ্রিয় প্রকল্প। কিন্তু এত কিছুর পরেও বিজেপিকে হিন্দুর সরকার এবং নরেন্দ্র মোদিকে হিন্দুর প্রধানমন্ত্রী বলতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি। প্রধানমন্ত্রী যতবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে দেশটি ধর্ম নিরপেক্ষ এবং তিনি গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী, ততই যেন হিন্দুত্ববাদীর তকমা মোদির গায়ে সাঁটতে আরও রে রে করে ছুটে এসেছেন বিরোধীরা। 

    আরও পড়ুন: ফের চিনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ১২ হাজারের কম দামের চিনা স্মার্টফোন নিষিদ্ধ হচ্ছে ভারতে

    কিন্তু লোকসভায় সরকারের পেশ করা এক পরিসংখ্যানে উঠে এল এক সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। সেই পরিসংখ্যানে দেখা গেল পিএম উজ্জ্বলা যোজনার (PM Ujjwala Yojana) উপভোক্তাদের ৩৭% – ই সংখ্যালঘু(Minority)। সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রকে প্রাক্তন মন্ত্রী মুক্তার আকবর নকভি পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ২.৩১ কোটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩১% বাড়ি ২৫টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দেওয়া হয়েছে। কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের উপভোক্তাদের মধ্যেও ৩৩% -ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এছাড়াও, পিএম উজ্জ্বলা যোজনার উপভোক্তাদেরও ৩৭% সংখ্যালিওঘু।”

    আরও পড়ুন: দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    সংখ্যালগু কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯২ – এর অধীনে ভারতের মোট পাঁচ সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তকমা দিয়েছে ভারত সরকার। মুসলিন, খ্রিষ্টান, শিখ, বুদ্ধিস্ট এবং পার্সি। এই সম্প্রদায়গুলির জন্যে একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পও রয়েছে সরকারের। ভারতের অন্যান্য  নাগরিকদের থেকে কিছু বাড়তি সুবিধাও পেয়ে থাকেন এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকরা। 

    এই দেশে সংখ্যালঘুরা কত শান্তিতে এবং সুরক্ষিত রয়েছেন লোকসভায় সে প্রসঙ্গও তোলেন নকভি। তিনি এও বলেন, “সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং কল্যাণ বরাবরই ভারত সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘শিখ অউর কামাও’ এবং ‘উস্তাদ’ – এর মতো প্রকল্প শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্যেই এলেছে ভারত সরকার। 

    এছাড়া দেশে ২০১৪ সালের পর থেকে কীভাবে শিক্ষা, রোজগারের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অগ্রগতি হয়েছে সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি। ভারতে যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে সে দাবিও করেন মন্ত্রী। 

LinkedIn
Share