Tag: mizoram

mizoram

  • Assembly Elections 2023: রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচন মিজোরামে, কংগ্রেস কি মুছে যাবে?  

    Assembly Elections 2023: রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচন মিজোরামে, কংগ্রেস কি মুছে যাবে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচন হবে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামে (Assembly Elections 2023)। সব মিলিয়ে প্রার্থী রয়েছেন ১৭৪জন। ভোটার ৮.৫২ লাখ। রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। জোরামা পিপলস মুভমেন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেসও দখল করতে চাইছে মিজোরামের কুর্সি।

    ৩০টি বুথ ক্রিটিক্যাল

    চলতি বছর চার রাজ্যে হবে বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে যেমন ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান রয়েছে, তেমনি রয়েছে মিজোরামও। সব কটি রাজ্যের ফলই ঘোষণা করা হবে ৩ ডিসেম্বর। নির্বাচন নির্বিঘ্নে সাঙ্গ করতে মিজোরামে ৫০ কোম্পানি সিএপিএফ মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ৩০টি বুথকে ক্রিটিক্যাল পোলিং স্টেশন বলে চিহ্নিত করেছে তারা। সোমবার বিকেলের মধ্যেই ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে ভোট কেন্দ্রের দিকে রওনা দিয়েছেন ভোটকর্মীরা।

    মণিপুরের নির্বাচনী ধারা

    মণিপুরের নির্বাচনী ধারা (Assembly Elections 2023) বলছে, প্রতি দুটো টার্ম অন্তর সরকার পরিবর্তন হয় মিজোরামে। সেই ধারা মেনেই ২০১৮ সালে পতন হয় সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের। সেবার কুর্সি দখল করেছিল এমএনএফ। সেই একই ধারা বজায় থাকলে এবারও ক্ষমতায় ফেরার কথা তাদেরই। ৪০ আসন বিশিষ্ট মিজোরাম বিধানসভায় সেবার এমএনএফ পেয়েছিল ২৭টি। টানা এক দশক ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৪টি আসন। ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী দলের প্রাক্তন নেতা, প্রাক্তন আইপিএস লালডুহোমার সদ্য গঠিত জেডপিএম জিতেছিল ৮টি আসনে। নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি না মেলায় সেবার অবশ্য ওই দলের প্রার্থীরা লড়েছিলেন নির্দল হয়ে।

    আরও পড়ুুন: বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে এ রাজ্যের রেশন দুর্নীতির যোগ খুঁজে পেল ইডি!

    গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারও কংগ্রেস মিজোরামে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারবে না বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। পাঁচ দফায় প্রায় ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রীর পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন প্রবীণ নেতা লাল থানহাওলা। তাঁকে এবার টিকিট দেয়নি কংগ্রেস। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মঙ্গলবারের নির্বাচনে তার একটা ভাল প্রভাব পড়তে পারে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে।

    উত্তর-পূর্বে উন্নয়ন আর মাদক কারবার দমনের প্রসঙ্গই প্রচারে গিয়ে তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতারা। মিজোরামে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন মাত্র একজন। তিনি বুদ্ধধন চাকমা। ইতিমধ্যেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন (Assembly Elections 2023) তিনি। মনে রাখতে হবে, কেন্দ্রে যখন যে দলের সরকার থাকে, সেই দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলে উত্তর-পূর্বের সিংহভাগ রাজ্যই। গতবারের মতো এবারও তার বিপ্রতীপ ছবি দেখা যেতে পারে মিজোরামে। সাম্প্রতিক একাধিক সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, মিজোরামে এবার হ্যাং বিধানসভা হতে পারে। তবে ঠিক কী হবে, তা জানা যাবে (Assembly Elections 2023), ৩ ডিসেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mizoram Bridge Collapse: রেলের সেতু ভেঙে মিজোরামে বড় বিপর্যয়, মৃত ১৭, আহত অন্তত ৪০

    Mizoram Bridge Collapse: রেলের সেতু ভেঙে মিজোরামে বড় বিপর্যয়, মৃত ১৭, আহত অন্তত ৪০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে রেলের সেতু ভেঙে (Mizoram Bridge Collapse) মৃত ১৭ জন। ভাঙা সেতুর নিচে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। মূলত মাটি ধসে যাওয়ার জন্য নির্মীয়মাণ রেলের সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটারে দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে মুখ্যসচিবকে খোঁজ নিতে বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানকার প্রশাসন উদ্ধারকাজে তৎপর।

    কোথায় ঘটল বিপত্তি (Mizoram Bridge Collapse)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০ টায় রেলের সেতু (Mizoram Bridge Collapse) তৈরির কাজ চলছিল। সেই সময় মাটি ধসে যাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটে। মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থল হল সাইরাং। এখানে কুরুং নদীর উপর একটি রেলের সেতু তৈরি হচ্ছিল। এলাকায় সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ১৭ জন। সেই সঙ্গে ভাঙা সেতুর নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন ৩৫ থেকে ৪০ জন মানুষ।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামাথাঙ্গা এই সেতু বিপর্যয়ের (Mizoram Bridge Collapse) ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ছে। আহতদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধর করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার করতে সরকারি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রে আরও জানা গেছে এই সেতুর উচ্চতা ছিল ১০৪ মিটার। এই সেতুপথেই মিজোরামকে দেশের রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিশেষ প্রকল্পে কাজ চলছিল।

    থাকতে পারেন মালদার শ্রমিকরা

    আইজলের এই সেতু ভেঙে দুর্ঘটনার (Mizoram Bridge Collapse) জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মালদা থেকে বেশ কিছু শ্রমিক সেখানে কাজ করতে গেছেন। তাঁদের অবস্থা জানার জন্য ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Mizoram: ভারতের সবথেকে সুখী রাজ্য মিজোরাম! কেন জানেন?

    Mizoram: ভারতের সবথেকে সুখী রাজ্য মিজোরাম! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সর্বাধিক সুখী রাজ্য মিজোরাম (Mizoram)। সম্প্রতি একটি গবেষণার রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। গুরুগ্রামের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক রাজেশ কে পিলানিয়ার সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে অনেকের মনে হতেই পারে, কোনও দেশ বা রাজ্য কতটা সুখী, তা কীভাবে পরিমাপ করা যায়। তবে জানিয়ে রাখা উচিত, সেই নির্দিষ্ট দেশের মানুষের জীবনধারার উপর নির্ভর করেই এই সুখ পরিমাপ করা হয়।

    সব কাজই সমান

    সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুসারে, মিজোরাম (Mizoram) ১০০ শতাংশ সাক্ষরতা অর্জনের ক্ষেত্রে ভারতের দ্বিতীয়। ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কেরল। সুখের খোঁজ ছটি প্যারামিটারে করা হয়েছে। পরিবারের সম্পর্ক, কাজ, সামাজিক কাজ, মানবপ্রীতি, ধর্ম, কোভিডের কতটা প্রভাব পড়েছিল এই রাজ্যে, রাজ্যবাসীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা-এসবের নিরিখেই রাজ্যটি একেবারে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মিজোরামে সবাই কাজ করেন। মিজো সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা ১৬-১৭ বছর থেকেই কোনও না কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত। মানুষ এখানে কোনও কাজকেই ছোট মনে করেন না। এর জন্য তারা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়। এছাড়াও এখানে ছেলে-মেয়ের মধ্যেও কোনও ভেদাভেদ নেই। একইসঙ্গে মিজো সমাজের পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই নিজেদের জীবন উপভোগ করার শিক্ষা দেওয়া হয়। ফলে এখানে মানুষ সুখে থাকেন।

    আরও পড়ুন: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    ছাত্র-শিক্ষক বন্ধুত্ব

    গবেষণায় মিজোরামের (Mizoram) এক ছাত্র জানিয়েছেন, সেখানকার শিক্ষকরা ছাত্রদের সেরা বন্ধু। এক ছাত্রের কথায়, “আমরা শিক্ষকদের সাথে কোনও কিছু ভাগ করতে ভয় পাই না বা লজ্জিত নই। আমাদের শিক্ষকরা নিয়মিত অভিভাবকদের সাথে দেখা করেন। যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে তা সমাধান করতে এগিয়ে আসেন।” পড়াশোনার জন্য পিতামাতারা চাপ কম দেন। মিজোরামের সামাজিক কাঠামোও সেখানকার যুব সম্প্রদায়ের খুশি থাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা জানিয়েছেন, সেখানে পারিবারিক শিক্ষার জন্য যুব সম্প্রদায় সুখে থাকে। শুধু তাই নয়, তাদের সমাজে জাতিগত ভেদাভেদ নেই। একইসঙ্গে পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও কোনও নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিতে জোর করেন না। এর ফলে তারা সুখে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Army: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    Army: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে প্রশিক্ষণ চলার সময় জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই জওয়ানের। এছাড়াও আরও এক জওয়ান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে সেনা (Army) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম লেংখোলাল এবং অলড্রিন হিমিংথানজুয়ালা। লেংখোলাল নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। আর সিপাই পদে কর্মরত ছিলেন অলড্রিন। দুজনেই ১৬ নম্বর আসাম রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। একজনের বাড়ি নাগাল্যান্ড। অন্যজনের বাড়ি মিজোরাম। ইতিমধ্যেই দুই সেনা (Army) জওয়ানের দেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। নিয়ম মেনে মৃতদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। তবে, প্রশিক্ষণ চলাকালীন এই ঘটনা কী করে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী করে মৃত্যু হল দুই সেনা জওয়ানের? Army

    বুধবার বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে অ্যাসল্ট রিভার প্রশিক্ষণ নামে বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছিল। মূলত, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেনা জওয়ানদের দড়ি ধরে জলাশয়ের ওপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। সেনা (Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, আসাম রেজিমেন্ট থেকে ওই জওয়ানরা এই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন। ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বিশাল জলাশয়ের ওপর চলছিল এই প্রশিক্ষণ। নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ করা হয়। দুর্ঘটনার দিন ৬ জন জওয়ানকে নিয়ে প্রশিক্ষণ চলছিল। প্রথম তিনজন নিয়ম মেনেই দড়ি ধরে জলাশয় পারাপার করেন। কারও কোনও সমস্যা হয়নি। পরের তিনজন দড়ি ধরে ওই জলাশয়ের ওপর দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। দড়ি ছিঁড়ে তিনজন জওয়ান জলাশয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তলিয়ে যান। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশিক্ষকের উদ্যোগে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনজনকে জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন এখনও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তবে, এই ধরনের দুর্ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি। তাই, প্রশিক্ষণ করতে এসে দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Migrant Workers: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের 

    Migrant Workers: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের প্রকল্পে টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে সেই টাকা খরচ হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা খয়রাতি প্রকল্পে। তার জেরে রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজ। হা শিল্প দশা। অগত্যা রুজির টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার দিন আনি দিন খাই পরিবারের রোজগেরে সদস্যরা (Migrant Workers)। তারপর তাঁদের অনেকেই ফিরছেন লাশ হয়ে। সংসারের রোজগেরে মানুষটার অকাল মৃত্যুতে আক্ষরিক অর্থেই পথে বসছেন মৃতের পরিবার।

    দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃতের তালিকা…

    এই যেমন মালদহের হবিবপুরের তিন মণ্ডল পরিবার। রাজ্যে কাজ না পেয়ে গত বছর নভেম্বরে শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালুকদার পাড়ার প্রেমকুমার মণ্ডল, রতন মণ্ডল এবং অলোক মণ্ডল কাজ করতে গিয়েছিলেন মিজোরামের (Mizoram) আইজল জেলায়। ২৬ জানুয়ারি গার্ডওয়ালের কাজ করার সময় ধ্বস নামে। মৃত্যু হয় তিন যুবকেরই। পরিবার সূত্রে খবর, তিনজনেরই ৩১ জানুয়ারি বাড়ির ফেরার কথা ছিল। সেজন্য টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য ৩১ জানুয়ারির আগেই বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। তবে কফিনবন্দি হয়ে। ঘটনায় কান্নার রোল গ্রামে। শোকস্তব্ধ গোটা তল্লাট।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। মৃতদের মধ্যে প্রেমকুমার ও রতন সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই। তিনজনই বিবাহিত। অলোকের আবার আট মাসের এক শিশুপুত্রও রয়েছে। পরিবারের রোজগেরে সদস্যদের মৃত্যুতে অথৈ জলে তিন মণ্ডল পরিবার। মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, রাজ্যে কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়ে অকালে প্রাণ চলে যাচ্ছে জেলার ছেলেদের।

    অবশ্য এই প্রথম নয়। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে অকালে প্রাণ খুইয়েছেন এ রাজ্যে অনেক শ্রমিক (Migrant Workers)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা। মাস পাঁচেক আগে চেন্নাইয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন মালদহেরই রতুয়ার ছেদু মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর রতুয়া পূর্ব পাড়া গ্রামে। ছেদুও বাড়ি ফিরেছিলেন লাশ হয়ে।

    কম করুণ নয় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার রামগড় পূর্ব হাট পাড়ার কাহিনিও। মাস কয়েক আগে গুজরাটের জামনগর অডনার জেটিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন ওই পাড়ার বছর তেইশের যুবক মোহনলাল মহলদার। মাথায় রডের আঘাত লেগে ওপর থেকে সমুদ্রে পড়ে যান তিনি। সমুদ্র অবশ্য গিলে খায়নি তাঁকে। ফিরিয়ে দিয়েছিল। মোহনলালও বাড়ি ফিরেছিলেন কফিনবন্দি হয়ে। তরতাজা যুবকের অকাল মৃত্যুতে পরিবারের সে কি কান্না!

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    ইদে বাড়ি ফেরা হয়নি মুর্শিদাবাদের আরও একজনের। তিনি ইদুল হাসান। বছর বাহান্নর ইদুল জলঙ্গির ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কেরলের প্রেম্বাবুর থানা এলাকায় জলের পাইপ বসানোর কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ইদের দিন কয়েক আগের এক সকালে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন ইদুল। তিনিও ফিরেছিলেন লাশ হয়ে। ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন মুর্শিদাবাদেরই সূতির ইন্দ্রনগর কলোনির বাসিন্দা রাজকুমার হালদারও। ওড়িশায় এক কন্ট্রাক্টরের অধীনে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন তিনি। পরে বাড়ি ফেরে রাজকুমারের নিথর দেহ। বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চন্দন মহালদারও। নিথর দেহে বাড়ি ফিরছিলেন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মহাবুল মিঞাও। কেরলের ত্রিশুরের পালাঘাট এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যু মিছিলের এই তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাঁচ শ্রমিকও। সিকিমের পেলিং স্কাইওয়াক এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই তো ডিসেম্বরে। প্রাণে বেঁচে ফেরেননি তাঁরাও।

    একের পর এক তরতাজা যুবক (Migrant Workers) রাতারাতি আকাশের তারা হয়ে যাওয়ার পরেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। কখনও দাক্ষিণ্য বাবদ কিছু টাকা, কখনওবা কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করে, কখনও আবার স্রেফ কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েই হাত ধুয়ে ফেলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর পরিবারের জলজ্যান্ত মানুষটাকে হারিয়ে চোখের জল সম্বল করে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন নিহতদের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share