Tag: mla

mla

  • Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় ও হিমালয় পাদদেশের পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন শিলিগুড়ির বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা। দীর্ঘ ৪০ বছরের গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছেন। এই আনন্দের দিনেও পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর নাম পদ্মশ্রী (Padma Shri) সম্মানের জন্য ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের শুভেচ্ছা আসার পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাতে। আনন্দের এই আবহেও  তিনি বলেন, পাহাড় নিয়ে ছেলেখেলা করা ঠিক হচ্ছে না। সম্প্রতি সিকিমের যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, পাহাড় অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। এর চরিত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া মারাত্মক ভুল এবং বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    কীভাবে উত্তোরণ? (Padma Shri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কাকা কে সামনে রেখে একলব্য শর্মার পথ চলা শুরু। কাকা টিকারাম শর্মা ছিলেন খ্যাতনামা পরিবেশবিদ। পরিবেশ রক্ষায় তিনি গবেষণা করেছেন। কাজেই ছোটবেলা থেকে বাড়িতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সামনে থেকে দেখেছেন। এই আবহে কাকাকে আদর্শ করে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন একলব্য শর্মা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে, তাঁর জন্ম কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ের সেন্ট আলফানসো স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে পিএইচডি করেন। তারপর নেপালের কাঠমান্ডুতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। তারপর সিকিমের জিবি পন্থ ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের মুখ্য গবেষক পদে যোগ দেন। একলব্য শর্মা ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাকাদেমির একজন অন্যতম গবেষক। পরে তিনি দিল্লির টেরি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদেও ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরাখন্ডের জিপি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টের মুখ্য উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।

     বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের অভিনন্দন

    একলব্য শর্মাকে (Padma Shri) তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই কৃতি বিজ্ঞানীর সঙ্গে দেখা করার পর বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমরা খুব খুশি। কারণ, উত্তরের এক বিজ্ঞানী তথা পরিবেশবিদ পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। হিমালয় তথা হিন্দুকুশ পর্বতের উপর তাঁর গবেষণা এক অনন্য নজির। আগামীতে এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন,পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ভূমিকা থাকবে।

    কী বললেন একলব্য শর্মা?

    হিমালয়ের ওপর সামগ্রিক আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাঁর গবেষণা। কোথাও প্রাকৃতিক কারণে হিমালয়ের ক্ষতি। কোথাও বা মানুষের দ্বারা ভূমি, বন, জীবজন্তুর ওপর আঘাত তিনি মেনে নিয়ে পারেননি। তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর হিমালয়কে রক্ষা করার জন্যই তিনি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সবাই “হিমালয়ের পাহারাদার” বলে ডাকেন। একলব্য শর্মা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবনে আমার লক্ষ্য ছিল হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা। পদ্মশ্রী সম্মান পাব ভেবে ভালো লাগছে। হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমানের মূর্তি নির্মাণ করে পুজো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সনাতনী সমাজের

    Murshidabad: রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমানের মূর্তি নির্মাণ করে পুজো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সনাতনী সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দিরের উদ্বোধন হল। এই উপলক্ষে বহরমপুরের গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে শ্রীরাম পুজোর আয়োজন করা হয় মহা সাড়ম্বরে। সোমবার সকালে এই পুজোকে কেন্দ্র করে হাজির হন সনাতনী সমাজের প্রত্যেক সদস্য, বহু ভক্ত এবং শহরের বহু সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে গঙ্গার জল আনতে যাওয়া হয় বহরমপুরের গোরাবাজার ঘাটে। আজকের দিনে বহরমপুরে (Murshidabad) গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে এই শ্রীরাম পুজোর আয়োজনে নেতৃত্ব দেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র কাঞ্চন।

    শ্রীরাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তিতে পুজো (Murshidabad)

    অযোধ্যায় আজ মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মন্দিরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ভারতবর্ষের সনাতনীরা এই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় ছিল। আজ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যার সঙ্গে বাংলাও শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি নির্মাণ করে পুজোতে মেতেছে। বহরমপুর (Murshidabad) সায়দাবাদে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তি তৈরি করে পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে চলেছে আগত ভক্তদের মধ্যে লাড্ডু ও ভোগের প্রসাদ বিতরণ। পাশাপাশি চলে ভজন-কীর্তন। একই সঙ্গে আয়োজকদের উদ্যোগে ২০০ জন গরিব মানুষকে প্রদান করা হয় শীতবস্ত্র।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বহরমপুরের (Murshidabad) বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “রামায়ণে প্রভু রামের ১৪ বছর বনবাস হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সনাতনীদের কাছে ৫০০ বছর ধরে অজ্ঞতাবাসে রাখা হয়েছে রামলালাকে। আজ অযোধ্যায় যুগাবতার রামচন্দ্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্দিরের জন্য অনেক রাম ভক্তদের রক্ত ঝরেছে। দেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু কেউ প্রভু রামের মন্দির নির্মাণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেনি। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একান্ত চেষ্টায় মন্দির নির্মাণ-উদ্বোধন হয়। আজ আমরা সকল হিন্দু সংগঠন হিসাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, সনাতনী সমাজের পক্ষ থেকে প্রভু রামের পুজো করছি। আজকের দিন আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের এবং গৌরবের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Galsi: দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, ছুড়ে ফেলা হল পতাকা, তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    Galsi: দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, ছুড়ে ফেলা হল পতাকা, তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পর এবার গলসি (Galsi)। ফের তৃণমূলের কোন্দলের ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে ভাঙচুর হল দলীয় কার্যালয়। রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হল দলের পতাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গলসির জগুলিপাড়া মোড়ে। আর এই ঘটনার জেরে কার্যত মুখ পুড়েছে শাসকদলের নেতাদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Galsi)

    গলসি-১ (Galsi) নম্বর ব্লকে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন এবং বর্তমান ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই এই তিন জনের তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর। এর আগেও বেশ কয়েক বার গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িয়েছে তিন গোষ্ঠী। গত ২ জানুয়ারি বিধায়ক নেপালের গোষ্ঠী এবং ব্লক সভাপতি জনার্দনের লোক জনের মধ্যে গন্ডগোলে এলাকায় বোমাবাজিরও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে ফের কোন্দল সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, গলসির জাগুলিপাড়া মোড়ে তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় সেটির উদ্বোধন করেছিলেন। তখন থেকে তাঁর অনুগামীরাই মূলত ওই কার্যালয়ে বসতেন। অভিযোগ, রবিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের ছাউনির একাংশ এবং শহিদ বেদি ভেঙে দেওয়া হয়। বসার বেঞ্চগুলো ছুড়ে বাইরে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কের মধ্যে একাধিকবার গন্ডগোলে ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এই গন্ডগোল এবং ভাঙচুর নিয়ে গলসির (Galsi) বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অবশ্য জানান এ নিয়ে তাঁরা অবহিত। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে জানব, কারা এই কাজ করেছেন। আর দলীয় অফিস যারা ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                

  • Kamarhati: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Kamarhati: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউট। তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি (Kamarhati) এলাকায়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মীর নাম আসিফ ওরফে কাল্লু। তাঁর হাতে ও পা গুলি লেগেছে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের খাসতালুকে দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা জানা গিয়েছে, আসিফ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে তিনি প্রথম সরব হয়েছিলেন। লিফলেট করে সচেতন করেছিলেন। আর দালাল চক্রের সঙ্গে তৃণমূলের এক কর্মী জড়িত বলে তিনি প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে কিছুদিন আগে কামারহাটির (Kamarhati) রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। এবার সেই বিদ্রোহী তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জানা গিয়েছে, এদিন কামারহাটির ষষ্ঠীতলা এলাকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূলকর্মী। বাইকে করে ৪ দুষ্কৃতী তাঁকে পিছন থেকে ধাওয়া করে। পর পর চারটি গুলি চালায়। দুটি গুলি গিয়ে লাগে কাল্লুর শরীরে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কী কারণে গুলি তা এখনও জানা যায়নি। এলাকায় কাল্লু সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে পরিচিত। রাজনৈতিক কোনও কারণেই কাল্লুকে গুলি করা হল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুলি চালনার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে ওই এলাকায়।

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী কী বললেন?

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাই, এই হামলা। এদিন আচমকা পটকা ফাটার মতো আওয়াজ শুনতে পাই। প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি। পরে, রাস্তায় বেরিয়ে দেখি, আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার স্বামীকে যে বা বা যারা খুন করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর আফসানা খাতুন বলেন, গুড্ডুদের বন্ধু কাল্লু। ওরা তোলাবাজি করে। আমি বাধা দিয়েছিলাম। আমি মানুষের পাশে রয়েছি। কিন্তু, তোলাবাজি করতে দেব না কাউকেই। রিঙ্কুয়ার বন্ধু কাল্লু। ওই তোলাবাজরাই আমাদের দল খেয়ে ফেলছে। আর তোলাবাজরা কোনও দলের হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ‘দলে প্রবীণদের সফটওয়্যার আপডেট নেই’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণের

    North 24 Parganas: ‘দলে প্রবীণদের সফটওয়্যার আপডেট নেই’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অন্দরে নবীন এবং প্রবীণদের নিয়ে যখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে, সেই আবহে এবার নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ফের একবার উসকে দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাটন ধরেছেন তিনি। একধাপ এগিয়ে দলের প্রবীণদের টার্গেট করে নতুন প্রজন্মের হাতে তৃণমূল থাকলে বাংলা তথা ভারতের মানুষের কাছে দল অধিক গ্রহণযোগ্য হবে বলেই জোর সওয়াল করেছেন অশোকনগরের বিধায়ক।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূলের বিধায়ক? (North 24 Parganas)

    দলের ব্যাটন নবীনদের হাতে থাকা নিয়েও জোর সওয়াল করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। দলের জন্য পরিশ্রমের নিরিখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই বলেই মত প্রকাশ করেছেন নারায়ণ। মঙ্গলবার অশোকনগের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নারায়ণ বলেন, ‘দলের মধ্যে এমন অনেক প্রবীণ আছেন, যাঁদের সফটওয়্যার আপডেট নেই। সেটা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না। যে কোনও কাজ যুবকরা যা করতে পারেন, ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ সেটা পারবেন না।’ তিনি দলের মধ্যে প্রবীণদের যে তিনি কোণঠাসা করতে চেয়েছেন, সেটা বিধায়কের এই উদাহরণেই যথেষ্ট। অশোকনগরের বিধায়ক মনে করেন, ‘প্রবীণরা পরামর্শ দেবেন। তাঁদের গঠনমূলক পরামর্শ নিয়ে যুব সম্প্রদায় এগিয়ে চলবে। এই কাজে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই।’ জেলার রাজনীতিতে নবীন-প্রবীণ নিয়ে নারায়ণ গোস্বামীর এই মন্তব্যে ফের একবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    জেলার কোর কমিটির চেয়ারম্যান কী বললেন?

    যদিও একথা মানতে নারাজ তাঁর দলের বর্ষীয়াণ নেতা বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা কোর কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, বয়সের সঙ্গে পদের কোনও বিষয় নেই। যাঁর মধ্যে কর্মক্ষমতা রয়েছে, স্বচ্ছতা রয়েছে, তাঁদের সকলেরই দলে প্রয়োজন আছে। ফলে, জেলার দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার এদিন ভিন্ন মত পোষণে এই জেলায় নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি, কী হল অভিষেকের দেখানো স্বপ্নের?

    Dhupguri: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি, কী হল অভিষেকের দেখানো স্বপ্নের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর ২ সেপ্টেম্বর বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার ডেডলাইন উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বলা ভালো স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। যে স্বপ্ন ফেরি করেই উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন, তা হল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়ি মহকুমা গঠন করা হবে। কিন্তু, কথা রাখেনি তৃণমূল। কারণ, নিয়ম মেনে ধূপগুড়িকে মহকুমা করতে সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। তাই, এবার মহকুমার দাবিতে বুধবার থেকে ধূপগুড়ির বিধায়কের বাড়ির সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ধর্নায় বসতে চলেছে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ।

    নাগরিক মঞ্চের এক কর্মকর্তা কী বললেন? (Dhupguri)  

    ধূপগুড়ি (Dhupguri) মহকুমা নাগরিক মঞ্চের এক কর্তা অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, মহকুমা গঠনের জন্য অনেক তৎপরতা দেখলাম। আমাদের এসব দেখে খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু, বাস্তবে এই ঘোষণা যদি শুধুমাত্র ভোটের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা ধূপগুড়ির মানুষকে অপমান করা। আমরা তো বিশ্বাস করেছিলাম। সেটা রাখা হল না। আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হল। আমরা খুবই হতাশ। এভাবে তো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হল। আমরা এর প্রতিবাদ করব। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    মহকুমা গঠনের কথা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন

    ১১ সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভোটের ফল প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় মমতার মন্ত্রিসভায়। একাধিক ক্ষেত্রে সংস্কারের আশা দেখে অকাল হোলিতে মেতেছিলেন ধূপগুড়িবাসী। নতুন বছর শুরু হয়ে যাওয়ার পরও গঠন হল না মহকুমা। সেই দাবিতেই এবার খোদ বিধায়কের বাড়ির সামনে ধর্নার ডাক দিল নাগরিক মঞ্চ।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    বিধায়ক নির্মল রায় বলেন, ‘মহকুমা যে হচ্ছে, এটা জোর দিয়ে বলাই যায়। আইনি প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে, সেই কারণেই সময় লাগছে। তবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। ধূপগুড়ির (Dhupguri) মানুষকে আমি আশ্বস্ত করছি, খুব শীঘ্রই সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।’ কিন্তু, তাঁর এই আশ্বাসে নাগরিক মঞ্চ খুশি নয়। তাই, তাঁরা মহকুমার দাবি আদায়ে আন্দোলনের পথকে বেছে নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা

    South 24 Parganas: স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের বিধায়ক, মন্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধে। আর প্রতারিত হয়েছেন তৃণমূলেরই অন্য এক যুব নেতা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি এলাকায়। প্রতারিত যুব নেতার নাম পৃথ্বীরাজ তাঁতি। তিনি রায়দিঘির কৌতলা অঞ্চলের যুব সভাপতি। আর প্রতারকের নাম প্রীতম কলা। তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের মহেশপুর কেদারপুর এলাকার রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা। তিনি নিজেকে তৃণমূলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ যুব নেতা বলতেন।

    কীভাবে প্রতারণা? (South 24 Parganas)

    পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেবাংশু ভট্টাচার্য  সহ একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে ফটো তুলে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন প্রীতম কলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রীতমের সঙ্গে পরিচয় হয় পৃথ্বীরাজের। প্রতারক প্রীতম কলা বিভিন্ন মন্ত্রী, এমএলএ ও যুব নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছবি দেখিয়ে যুব নেতাকে প্রভাবিত করেন বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। ভুয়ো ডাক্তার ও তার সহকারি সাজিয়ে ইন্টারভিউয়ের নাম করে তিনি কয়েক দফায় যুব তৃণমূলের নেতার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নেন। দেওয়া হয় ভুয়ো নিয়োগপত্র। প্রতারণার চক্রের খপ্পরে পড়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে যান যুব তৃণমূলের নেতা পৃথ্বীরাজ। হাসপাতালের সুপার বুঝতে পারেন, নিয়োগপত্র জাল। গোপনে পুলিশকে খবর দেন সুপার। পুলিশ আসার আগে বুঝতে পেরে সেখান থেকে সরে পড়েন তিনি। এইভাবে প্রতারণার চক্রে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে হতাশায় ভুগছেন ওই যুবনেতা।

    প্রতারিত যুব নেতা কী বললেন?

    প্রতারিত যুব নেতা পৃথ্বীরাজ তাঁতি বলেন, দলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে প্রতারকের ছবি দেখে আমি প্রভাবিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি কয়েক দফায় ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বুঝতে পারি, প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: নির্মল ঘোষের পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা অধরা

    Panihati: নির্মল ঘোষের পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কিংবা উৎসবে ভিড়ের মধ্যে শ্লীলতাহানি বা কোনও অপরাধ রুখতে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা তো রয়েইছে। এসবের পরও এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পানিহাটিতে (Panihati)। তিনি বর্তমানে রাজ্য পুলিশের র‍্যাফে কর্মরত রয়েছেন। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা পুলিশকর্মী খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, ঘটনা ঘটার পর প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল, পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    গত ২৩ ডিসেম্বর পানিহাটি (Panihati) উৎসবে ডিউটিতে গিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। গায়ে উর্দি পরেছিলেন তিনি। ঘড়িতে তখন রাত আনুমানিক দশটা থেকে সাড়ে দশটা। অভিযোগ, সেই সময় একদল মদ্যপ যুবক র‍্যাফের ওই মহিলা কর্মীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। অভিযুক্তরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ওই মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে মহিলা পুলিশকর্মী বলেছিলেন, আমাকে সেখানে গালিগালাজ করা হয়েছিল। এমনকী ধাক্কাধাক্কির সময় অভব্য আচরণও করা ও হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যে সেখানে কর্তব্যরত অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছিলেন। এরপরই খড়দা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাই।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সরব হয়েছেন

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্যোশাল মিডিয়ায় মহিলার অভিযোগপত্র তুলে ধরে লিখেছেন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ পরিচালিত পানিহাটি (Panihati) উৎসবে তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এক মহিলা পুলিশকর্মীকে হুমকি, গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানি করা হয়। ৬দিন হতে চলল পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্যে নারী সুরক্ষার হাল এতটাই খারাপ যে সাধারণ মহিলা তো বটেই , কর্তব্যরত মহিলা পুলিশও ছাড় পান না তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে।

    অভিযোগে কী লিখেছেন মহিলা পুলিশ কর্মী?

    অভিযোগপত্রে মহিলা পুলিশকর্মী কাউকে চিনতে না পারার কারণে, কারও নাম উল্লেখ করেননি। এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর উপর চড়াও হওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে খড়দা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ কর্মী সুরক্ষিত না হলে সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা কে দেবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    Barrackpore: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে জড়িতে সন্দেহে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার করার পর থেকেই সরগরম বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। শুক্রবার পাপ্পুকে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের আবেদন জানানো হয়। বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ভিকি যাদব খুনে অন্যতম অভিযুক্ত পঙ্কজ সিং, ইফতিকার আলম শুক্রবার আদালতের তোলা হয়েছিল। বিচারক এই দুজনকেও চার দিনের পুলিশ হেপাজতের  নির্দেশ দিয়েছেন। পঙ্কজ এবং পাপ্পুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।  

    বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন অর্জুন অনুগামীরা

    বৃহস্পতিবার বারাকপুরে (Barrackpore) গোয়েন্দা দফতরে পুরানো একটি মামলায় তদন্তের স্বার্থে হাজিরা দিতে এসে পাপ্পু সিং গ্রেফতার হন। তারপরই পরেই অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই জগদ্দল, ভাটপাড়া এলাকায় তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের  সঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। যদিও পুলিশ প্রশাসনে কড়া নজরদারি থাকায় রাতে বড় কোনও গন্ডগোল হয়নি। তবে শুক্রবার সকালে ভাটপাড়ার অর্জুন সিংয়ের খাস তালুক মজদুর ভবনের সামনে পাপ্পু সিং এর অনুগামীরা সোমনাথ শ্যামের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ভিকি যাদব খুনের অন্যতম অভিযুক্ত পঙ্কজ সিং সোমনাথের ঘনিষ্ঠ। জন্মদিনের পার্টিতে সোমনাথ সিং পঙ্কজকে কেক খাওয়াতে দেখা গিয়েছে। পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হলে এই খুনের ঘটনায় সোমনাথকে গ্রেফতার করতে হবে।

    বারাকপুর (Barrackpore) আদালতে দিনভর কী হল?

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই পাপ্পু সিংকে কোর্ট লকআপে নিয়ে আসা হয়। বেলা বাড়তে আদালতের সামনে অর্জুন অনুগামী ও পাপ্পু সিং এর অনুগামীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। পাপ্পুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে রীতিমতো তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূল কর্মীদের ভিড়ে আদালতের সামনের এস এন ব্যানার্জি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পাপ্পু সিংকে মুক্তির দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন। যার জেরে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিশেষ করে রিভার সাইড রোডে প্রচুর স্কুল রয়েছে। স্কুলের ছেলেমেয়েদের অনেকটা ঘুরে যেতে হয়। দুপুরের  দুটো নাগাদ মামলাটি আদালতে ওঠে। বিচারক ছিলেন রাহুল ভট্টাচার্য। পাপ্পু সিংয়ের হয়ে প্রায় শতাধিক আইনজীবী সওয়াল করেন। আইনজীবীদের বক্তব্য, পাপ্পুকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারক রাহুল ভট্টাচার্য তদন্তকারী অফিসারের কাছে বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চান। তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় ১২ ই ডিসেম্বর পাপ্পু সিং যুক্ত থাকার বিষয়টি সামনে আসে। তাই ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত পেন্ডিং রাখার পর সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বিচারক পাপ্পু সিংকে পাঁচ দিনে পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দেন।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম?

    এদিকে সোমনাথ শ্যাম বলেন, আগেও বলেছি এখনও বলছি পাপ্পু তার কাকাকে (অর্জুন সিং) জিজ্ঞেস না করে কোনও কাজ করে না। পুলিশি তদন্তে পাপ্পু জড়িত থাকার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই, এই খুনের পিছনে অর্জুন সিংহের হাত রয়েছে। আমরা তার গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    সাংসদ অর্জুনের কী বক্তব্য?

    অর্জুন সিং বলেন, পাপ্পু গ্রেফতার করে কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে না। তৃণমূলে ক্ষতি করা যাবে না। অর্জুন সিংয়ের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। রোজ পাপ্পু সিং তৈরি করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। আমরা পাপ্পুর জন্য আইনি লড়াই লড়ব। মিথ্যা সব সময় মিথ্যায় প্রমাণিত হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ‘চোর কাটমানি খোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই’, কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    Hooghly: ‘চোর কাটমানি খোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই’, কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বিলিকে কেন্দ্র করে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। পরে, বেশ কিছুদিন তিনি চুপচাপ ছিলেন। দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে তাঁকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। এবার ফের বেসুরো তিনি। নাম না করে দলের নেতা-নেত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Hooghly)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলির (Hooghly) বলাগড় বিধানসভা এলাকায় টিকিট বিলিবন্টন নিয়েও বিরোধ হয়েছে তৃণমূল নেতা তপন দাস, রুনা খাতুনের গোষ্ঠীর সঙ্গে মনোরঞ্জনের। এখানেই শেষ নয়, বলাগড় কলেজ পরিচলন সমিতি আগে ছিল বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। বর্তমানে তা রয়েছে মনোরঞ্জন ব্যপারীর। ফলত সেই কলেজে অন্য কেউ মাথা হয়ে উঠুক তা মোটেই পছন্দ নয় বিধায়কের তাই দলের একাংশকে তোপ দেগেছেন বলেন রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘এতো ট্রেলর হ্যায়,পিকচার অভি বাকি হ্যায় দোস্ত। একটু অপেক্ষা কর সব কিছু পরিষ্কার হবে। চোর কাটমানি খোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই। আমি দিদির আশীর্বাদ নিয়ে বলাগড়ে এসেছি। চোর মাটি মাফিয়া জুয়া বোর্ডের মালিক যে যা পারিস করে নে।’

    পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    জিরাট পঞ্চায়েতের প্রধান তপন দাস বলেন,বিধায়ক এর আগেও বলাগড়ের প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধে কিছু না কিছু বলেছেন। বাদ ছিলাম আমি। বিধায়কের আমার বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য থাকলে দলের ভিতর বলতে পারতেন, এভাবে কেন করলেন জানি না। তাঁর সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে ফেসবুকে যা সব লিখেছেন তিনি তাতে বলাগড়বাসীর মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এসব নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share