Tag: mla

mla

  • Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় এক কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট কি সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে আসানসোলের (Bardhaman) বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল কটাক্ষের সুরে বলেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যুবরাজের নিরাপত্তার জন্য মোতায়ন দু’হাজার রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য মাত্র ২২০০ আধা সেনা। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! 

    কী বললেন বিধায়িকা?

    বিজেপি নেত্রী (Bardhaman) বলেন, রাজ্যে এই নির্বাচনের সময় নতুন জুটি তৈরি হয়েছে রাজীব সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই জুটি রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বাজারে নেমেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা ও মানুষ খুনের খেলায় মত্ত এই জুটিকে আটকাতে বাংলার মানুষ সর্বত্র নামছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ২২ কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে করলে অবশ্যই রক্তগঙ্গা বইবে, যদি না অতিরিক্ত আধা সেনা আসে। এই বিষয়ে আমরা আদালতের দারস্থ হব।

    প্রশাসনকে নিয়ে কী বললেন?

    দেগঙ্গায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের ফের খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! বিজেপির বুকের পাটা আছে বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এককভাবে মনোনয়ন জমা করছে। অন্যদিকে তৃণমূল নির্বাচনে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছে। পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূল প্রার্থীরা একত্রিত হয়েছে বলেই মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। দুদিনের মধ্যেই তৃণমূল ১০০% জায়গায় তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। তা না হলে দু-মিনিট করে সময়ে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারে! অন্যদিকে এই পুলিশ পশ্চিম বর্ধমানে (Bardhaman) বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করার কাজে বাধা দিতে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

    তৃণমূল বিধায়কের দল ছাড়া নিয়ে কী বললেন?

    হুগলির বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়িকা বলেন, তিনি দলে থাকবেন, না বেরিয়ে যাবেন, তা তৃণমূলের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যাঁরা তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে লড়াই করে এসেছেন, তাঁদের জায়গা বর্তমানে মঞ্চের নিচে। কেবল মাত্র যুবরাজের জায়গা মঞ্চের উপরে। বর্তমানে যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সুপার মুখ্যমন্ত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপরে।

    বুধবার বর্ধমানের (Bardhaman) বিজেপি সদর কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। এছাড়াও আসানসোল, বীরভূম ও বর্ধমান সদর জেলার সভাপতি  এবং  অন্যান্য নেতৃত্বরা বৈঠকে ছিলেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলকে এলাকায় জেতালেও নিজের মেয়েকে দলীয় টিকিটে দাঁড় করাতে পারলেন না চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হামিদুল রহমান। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে টিকিট বন্টন (Panchayat Election) করা হয়েছে। অভিযোগের তীর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। অপরদিকে, যারা টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে, দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে করিম চৌধুরীর অনুগামী হিসেবে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন। আর তার ফলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব খানিকটা বিপাকে পড়েছে। মেয়েকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতাতে মরিয়া বিধায়ক হামিদুল রহমান। এই ঘটনায় আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

    কেন প্রার্থী (Panchayat Election) করা হল না বিধায়কের মেয়েকে?

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয় চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগমকে। নির্বাচনে প্রায় ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাজকর্ম পছন্দ না হওয়ায় অর্জুনা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী হয়ে কাজকর্ম করেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিদ্রোহী বিধায়ক করিম চৌধুরীর মনোনীতদের প্রার্থী তালিকার বাইরে রেখেছেন বলে অভিযোগ। বাতিলদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুন বেগমও। শুধুমাত্র করিম চৌধুরীর অনুগামী হবার কারণেই তাঁকে জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়নি বলে অভিযোগ।

    দলের বিরুদ্ধেই তোপ বিধায়কের

    অপরদিকে মেয়েকে প্রার্থী না করায় জেলা সভাপতিকে এক হাত নিয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। বিধায়কের অভিযোগ, একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন জেলা সভাপতি। চার নম্বর আসনে দল যাকে প্রার্থী (Panchayat Election) করেছে, সে নিজের এলাকাতেই জিততে পারবে না। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ফারহাদ বানু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব হওয়ার পরেও তাঁকেও প্রার্থী করা হয়নি। বিধায়কের আরও অভিযোগ, রাজ্যের সমস্ত জেলায় বিধায়কদের প্রার্থী নির্বাচনের প্রধান দায়িত্ব থাকলেও একমাত্র ইসলামপুরের বিধায়ককে সেই দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে। জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, জেলা সভাপতি তাঁদের প্রতি অবিচার করেছেন। তাই তাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন।

    কী জবাব দিলেন দলের জেলা সভাপতি?

    অপরদিকে, এ বিষয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল ফোনে জানিয়েছেন, “টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কে টিকিট পাবে না পাবে, সমস্তটাই দল ঠিক করেছে। দলের ওপরে আমরা কেউ নই। দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে (Panchayat Election) সেটাই মেনে চলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলের সুপ্রিমো যতই চাপ সৃষ্টি করুক তাতে চিন্তিত নন করিমসাহেব। দলীয় নেতা কর্মীরা দলের অফিসিয়াল প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের আবেদন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। শনিবার দলের বৈঠকে নির্দল প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী বললেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

     উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও বহু তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা কর্মীরা প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ইসলামপুর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামীরা দলের প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিমুক্ত,স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গঠন করতে দলনেত্রীর কাছে স্বচ্ছভাবমূর্তি থাকা মানুষদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন। দল সেই তালিকা অনুমোদন করেনি। দলের এই ভূমিকায় হতাশ হয়ে পড়েন কর্মীরা। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে যারা আমার হয়ে নির্বাচনে পরিশ্রম করেছেন তাঁদের দলে রাখতেই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের হয়ে আমি প্রচারেও যাবে। দলের বিধায়ক হয়েও দলের কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচার বা বিরুদ্ধে কিছুই করব না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন ইসলামপুর ব্লক নিয়ে যেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তিনি। পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে নির্দল প্রার্থীদের যাতে হেনস্থা না করেন তাঁর আবেদন করেছেন বিদ্রোহী এই বিধায়ক।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, তৃণমূল (TMC)  কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা দলবিরোধী কাজ। কোনও নেতা বা বিধায়কের মদতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর উপযুক্ত প্রমাণ পেলে দল ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) বলাগড় এখন বিখ্যাত। প্রাথমিক শিক্ষার নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডের মাথা শান্তনু-কুন্তলদের খাসতালুক এই বলাগড়। এবার বলাগড় শিরোনামে মূলত পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে। প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে বেশ কিছু এলাকার মতো বলাগড়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। উঠে এসেছে টাকা দিয়ে প্রার্থী করার মতো গুরুতর অভিযোগ। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি। একে অপরের নামে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন। মূল দ্বন্দ্ব টাকা নিয়ে জেলখাটা দুষ্কৃতীদের কেন টিকিট দেওয়া হয়েছে!

    কেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছিল বলাগড়ের (Hooghly) তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। শনিবার বিকালে তার গণবিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিন হুগলির বলাগড়ের জিরাটে একটি লজে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি। আর সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের কর্মীরা। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির আগের বারের বোর্ডের ছজন বিজয়ী কর্মাধ্যক্ষ বাদ পড়েছেন, একাধিক প্রধান, উপ-প্রধান এমনকী ব্লক সভাপতি, সহ-সভাপতিদেরও টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এর পিছনে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিশেষ হাত রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল দলেরই কর্মী-সমর্থকরা।

    ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    ব্লক (Hooghly) সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি বলেন, যে কোনওদিন দল করেনি, এরকম, এমনকি বিজেপির লোককেও টিকিট দিয়েছেন বিধায়ক। এখন দল বলছে ভোট করতে হবে। কর্মীরা যারা সারা বছর কাজ করে, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দলকে সব জানিয়েছি। দেখি কী হয়। ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুজয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে। বিদায়ী বোর্ডের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বাদল সরকার বলেন, প্রথম থেকে দল করছি। প্রতি বছরই টিকিট নিয়ে এই ধরনের গন্ডগোল হয়। বাইরে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, আর ভিতরে দলের টিকিট নিয়ে লড়াই করতে হয়। তবে এবারে পঞ্চায়েতে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে, তাতে দলের কর্মীদের কথা শোনা হয়নি বলে জানান তিনি।

    বিধায়ক গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে বলাগড়ের (Hooghly) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ২৩৮ টা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৯০ টা আমি নিয়েছি। যারা আমাকে জেতাতে সাহায্য করেছিল, তাদের দেওয়া হয়েছে। আমি একটাকাও নিইনি। টাকা নিয়ে টিকিট দিয়েছে ব্লক সভাপতি স্বয়ং। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে ব্লক সভাপতি তাদের টিকিট দিতে পারছে না বলে এসব বলছেন। বিজেপিকে টিকিট ওরাই দিয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সব কানে যাচ্ছে বিজেপির। মুচকি মুচকি হাসছে তারা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, যে দলের কোনও গণতন্ত্র নেই, যে দলের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র টাকা কামানো, সেই দলের মিটিংয়ে বলাগড়ে যেটা হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক। আজ যারা টাকা দিয়েছে, তারা টিকিট পেয়েছে। আর যারা দেয়নি, তারা পায়নি। যার ফলেই ঝামেলা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। অথচ বৃহস্পতিবার দেখা গেল, দলেরই সিম্বলে মনোনয়নপত্র জমা করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরী সাহা। আর এর পরই বিরোধীরা ‘চোর চোর’ স্লোগানে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিধায়ক-পত্নীকে।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে কী ঘটল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ইতিমধ্যেই সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। মনোনয়নকে ঘিরে কোথাও চলেছে বোমা, আবার কোথাও চলেছে গুলি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীকে দেখা গেল মনোনয়নপত্র জমা করতে। উল্লেখ্য, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করে বেরিয়ে আসছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্লক অফিসের ভিতরেই মনোনয়ন দাখিলের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিরোধী দলের বিজপি প্রার্থীরা বিধায়কের স্ত্রী টগরী সাহাকে দেখেই চোর চোর স্লোগান তোলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিরোধী প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে পারছিলেন না। অথচ বিধায়ক-পত্নী কোনও লাইন না দিয়েই নিজের মনোনয়ন জমা করেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিধায়ক-পত্নী মনোনয়ন জমা করতে এসে থেমে থাকেননি। তিনি সুযোগ পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতরেই বিরোধীদের কুকুর-ছাগলের মতো আচরণ করেন বলে অভিযোগও শোনা গেছে। আর এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগও করা হয়।

    বিজেপির অভিযোগ

    ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় বুথ সহ সভাপতি ইলিয়াস শেখ বলেন, এতকাল এই তৃণমূল বিধায়ক (Murshidabad) কেবল চুরিই করে গেলেন, প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করলেন! আজ সেই বিধায়কের পত্নী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করলেন। আমরা সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমাদের সময়ের কোনও দাম নেই। অথচ একজন বিধায়কের পত্নীর জন্য সব সুবিধা প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বললেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কের পত্নীকে মনোনয়ন জমা করতে এসে লাইনে দাঁড়াতে হল না। ব্লক অফিসের আধিকারিকরা বিরোধী দলের প্রতি অসহযোগিতা করছেন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ করেন ইলিয়াস শেখ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নেই নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন। কেউ কাউকে মানে না। একশ্রেণির নেতারা এই দলটাকে শেষ করছে। যাদের কথা শুনে দল প্রার্থী ঠিক করছে সেই প্রার্থীর দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। এখানে আমার কিছু করার নেই। দলের কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তেহট্টের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা।

    নদিয়ায় (Nadia) মনোনয়নকে ঘিরে কী হয়েছে?

    উল্লেখ্য, এক দফা পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। আজ তার শেষ দিন। সেইমতো তেহট্ট (Nadia) বিডিও অফিসে দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা। আর সেখানেই পছন্দের প্রার্থীদের নাম না থাকায় দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। 

    বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কী বললেন?

    নির্বাচনে মনোনয়নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এই তৃণমূল বিধায়ক (Nadia) বলেন, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি এবং আমি একসঙ্গে বসে দলের নির্দেশে যে তালিকা দলকে পাঠিয়েছিলাম, সেখান থেকে অনেকের নাম বাদ গেছে। অথচ দল যেভাবে বলেছে, সই করে নাম সেই ভাবেই পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের অনেকের নাম বাদ গেছে। আমরা বুঝতে পারছি, কেউ দলকে শেষ করার জন্যই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের আইপ্যাক এবং দলের শীর্ষ স্তর থেকেও কেউ কেউ এই নাম বদল করেছেন বলে অভিযোগ করেন। বলেন, আমার তালিকার বাইরে যে নামগুলি এসেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নেবো না! আর আমার দেওয়া যে সমস্ত নাম দল নির্বাচিত করেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। পাশাপাশি তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। জেলা সভাপতি, আইপ্যাক, অঞ্চল সভাপতিদের মধ্যে কোনও সংযোগ নেই। দলের তরফ থেকে নেই কোনও বিশেষ নির্দেশিকাও। এই প্রসঙ্গে আরও স্পষ্ট করে বলেন, দলের একটা অংশের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটছে এবং এই বিষয়ের মধ্যে প্রদেশের কিছু নেতা যুক্ত হয়ে তৃণমূল দলকে নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে বীরভূমে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। জেলায় কোর কমিটি গঠন করে সংগঠন মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এসব করার পরও অনুব্রতের গড়ে তৃণমূলের বড়সড়় ভাঙন ধরাল বিজেপি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ুরেশ্বর- ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে। এর আগেও এই জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক দলত্যাগের ঘটনায় এই জেলায় ফের অস্বস্তিতে শাসক দল।

    বিজেপিতে কারা যোগ দিলেন?

    ময়ুরেশ্বর- ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলে ভাঙন ধরবে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মূলত, এই এলাকায় পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, দলের অন্য পক্ষ তাঁদের মেনে নিতে পারছে না। প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে। এদিন দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শিউলি দে-এর নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ জন কর্মী ও সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে শিউলি দে বলেন, তৃণমূল চোরের দল। এই দল আর করা যায় না। তাই কয়েকশো কর্মী, সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা বলেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) এখন জেলে। জেলায় তৃণমূলের এখন ছন্নছাড়া অবস্থা। এই এলাকায় আমাদের সংগঠন মজবুত। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলের প্রধান সহ বহু কর্মী, সমর্থক আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    মাইক হাতে রাস্তায় নেমে কী বার্তা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক?

    এতদিন পর বিরোধীদের কথা মনে পড়ল শাসক দলের বিধায়কের! ২০১৩, ২০১৮ সালে লাভপুর বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য ছিল। শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপি সহ বিরোধীরা কেউ প্রার্থী দিতে পারেনি। বলা ভালো, প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। সেই লাভপুরে কি না তৃণমূল বিধায়ক অভিজিত্ সিংহ রবিবার মাইক হাতে নিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। শাসক দলের নেতার এই ভিজে বিড়ালের মতো পাল্টি খাওয়া দেখে এলাকার লোকজনও হাসাহাসি শুরু করেছেন। অনেকে আড়ালে আবডালে বলতে শুরু করেছেন, কেষ্ট (Anubrata Mondal) এখন জেলে। বিপাকে পড়ে বিধায়ক এখন এই ভেক ধারণ করেছেন। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, বিরোধীরা যেন মনোনয়ন জমা দেয়। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী বাধা দেয় বা আটকানোর চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সেই কর্মী বা সমর্থকদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তেমনি প্রশাসনও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ঘটনায় আহত প্রায় ১৪ জন। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর দুই ব্লকের অন্তর্গত সালারে তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল আবার। পুরো এলাকা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কী হয়েছে?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী কারা হবেন এবং মনোনয়নপত্র জমা কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় এবং আহত প্রায় ১৪ জন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক চলছিল সালারে। সেই সময় এলাকার শিরিষতলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং তারপরই তা ব্যাপক সংঘর্ষের রূপ নেয়। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও সালারের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিবাদ বাধে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সালার ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা এসে ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হাতে গোনা কয়েকদিন বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগেই সালারে ফের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

    কী বলেন বিধায়ক

    সালারের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি মিটিং-এ গিয়েছিলাম। যতটা সময় আমি উপস্থিত ছিলাম, কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, দলের নেতৃত্বে সরকার চলছে। সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইব পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। দলের জন্য কোন্দল কাম্য নয়, আমাদের দলের প্রতি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সকল কর্মীকে বলব এই সময়ে নিজেদের সংযত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সকলের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনও অসুবিধা হবে না কারও। আইনশৃঙ্খলা ঠিক যাতে থাকে, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। অপর দিকে সালার তৃণমূল ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেছন, বক্ল অফিসে মিটিং-এর পরে আমি চলে আসি, বিধায়কের সঙ্গে আমার কোনও মতভেদ নেই। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে তিনি জানান। 

    তৃণমূলই যদি তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কতটা গণতান্ত্রিক মত প্রকাশ করতে সুরক্ষিত থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বড়ঞায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে দিল জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত আফ্রিকা হিমঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দলীয় কার্যালয় ছিল বলে সূত্রে জানা গেছে। অবশেষে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। সবটাই আইন মেনে, প্রশাসনের উপস্থিতিতে হয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই অবৈধ ভবন তৃণমূলের কার্যালয় ছিল না। 

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) অভিযোগ কী ছিল?

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বড়ঞায় আফ্রিকা মোড়ে এই ভবনটি মূলত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, যা বেআইনিভাবে পূর্ত দফতরের (Murshidabad) সরকারি জায়গায় তৈরি হয়েছিল। এই অবৈধ নির্মাণের বিষয়কে সমানে রেখে স্থানীয়রা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা হয়। এরপর কোর্টের রায় ঘোষণা হলে বেআইনি তৃণমূল ভবনটি ভাঙা হয়। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বেআইনিভাবে এখানে তৃণমূলের পার্টি অফিস গড়ে তুলেছিলেন বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এই তৃণমূল বিধায়ক জেলে রয়েছেন। বিধায়কের অফিস ভাঙাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ভাঙা হয়েছে?

    গত ২৪ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এই অবৈধ ভবনটি ভাঙার জন্য! সেই মতো ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভবন ভাঙার জন্য আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও রক্ষা হয়নি ভবন নির্মাণকারীর আবেদন। অবৈধ এই নির্মাণটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ৫ টি বুলডুজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। যদিও বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি কোনও দলীয় কার্যালয় ছিল না, তবে এখানে দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, দলের কার্যালয় বলে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবৈধ নির্মাণ এবং ভেঙে ফেলার বিষয় থেকে নিজেরা রক্ষা পেতে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বলেছেন, অবৈধ ভবনটি দলীয় কার্যালয় নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share