Tag: mla

mla

  • TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠন মজবুত করার বার্তা দিতেই তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেই বৈঠকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। জেলা সভাপতির সামনেই জগদ্দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তাঁর বিক্ষোভের জেরে নড়েচড়ে বসে জেলা নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি তাপস রায় জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। সেই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। সত্যেনবাবুর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন জেলা সভাপতি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচি সফল করে তুলতে টিটাগরের জেলা তৃণমূল (TMC) দফতরে মিটিং করলেন দমদম বারাকপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। নব জোয়ারের মিটিং এর শেষে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল জেলা অফিসেই। পরে, তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এইভাবে কথা বললে সমস্যা অনেক মিটে যায়। আমি কয়েক দিনের মধ্যে ভাটপাড়া পুরসভায় গিয়ে একটি মনিটরিং মিটিং করব। আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) কাউন্সিলর?

    এদিন বৈঠক চলাকালীন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ভাটপাড়া পুরসভা ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকে আমি দল করছি। অথচ যারা কয়েকদিন আগে দল ঢুকল তারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরসভায় ঢুকে আমার উপর চড়াও হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা নেতৃত্বের সামনে সমস্ত সমস্যার কথা বললাম। আশানুরূপ বিচার না পেলে আমি পদত্যাগ করব।

    কী বললেন জগদ্দল বিধায়ক?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, কাউন্সিলররা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। কোনও মারধর করা হয়নি। এখন তিনি মারধরের কথা কেন বললেন জানি না। দলীয় নেতৃত্ব সমস্ত বিষয়টি দেখছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    Uttar Dinajpur: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) সরকারি অনুষ্ঠানে ইসলামপুরের বিধায়ককে ব্রাত্য করে রাখার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূলের ওই বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাত্য রেখে শুধুমাত্র ইসলামপুর পুরসভার পুরপিতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর এই ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কী ঘটেছিল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুরে?

    বুধবার ইসলামপুর মহকুমা (Uttar Dinajpur) প্রশাসনের উদ্যোগে স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। আমন্ত্রিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক, ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, পুরপিতা, বিডিও এবং মহকুমা যুব আধিকারিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা। তবে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁকে আমন্ত্রণই জানাননি মহকুমা প্রশাসক, এমনটাই অভিযোগ করেন ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনায় জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    তৃণমূলের বিধায়ক বনাম উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) জেলা সভাপতি

    বেশ কিছু দিন ধরে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতির বিবাদ চরমে উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নবজোয়ার যাত্রায় যাননি বিধায়ক। বিধায়কের এই ভূমিকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসার পর দলের নেতাদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের অভিযোগ ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের পর কেবলমাত্র নামেই বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি। আবার সূত্রে জানা যায়, বিধায়ক জেলা সভাপতির উপর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছিলেন। বিধায়কের সেই শর্তের মান্যতা দেওয়া জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পক্ষে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতার বিবাদ এবার প্রশাসনের কাজের উপর পড়ল বলে মনে করছে রাজনীতিকদের একাংশ।

    মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে ইসলামপুর বিধায়কের ক্ষোভ

    বুধবার বিধায়ককে বাইরে রেখেই ইসলামপুর স্টেডিয়ামে খেলার উদ্বোধন হল। মহকুমা (Uttar Dinajpur) প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি জানান, মহকুমা শাসক একজন আইএএস অফিসার। উন্নয়নের কথা বললেই, তিনি আইন দেখান। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানো কোন আইনে আছে? তাঁকে চক্রান্ত করেই সরকারি অনুষ্ঠানে ব্রাত্য রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন এই তৃণমূলের বিধায়ক।

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    অন্যদিকে, ইসলামপুরের মহকুমা (Uttar Dinajpur) শাসক মহঃ আব্দুল শাহিদ বলেন, স্টেডিয়ামের উদ্বোধন আগেই হয়েছিল। আজ একটি মাত্র ফুটবল খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরপর বড় কোনও খেলার প্রতিযোগিতা হলে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েই করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”, মদনের পর বিস্ফোরক তাপস রায়

    TMC: “যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”, মদনের পর বিস্ফোরক তাপস রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের পর এবার বেসুরো হলেন বরানগরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস রায়। মন্ত্রী, সাংসদ, চেয়ারম্যান যারা হয়েছেন তাদের অনেকের যোগ্যতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুললেন। একদা মমতা ঘনিষ্ঠ বর্ষীয়ান এই তৃণমূল (TMC) নেতার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। যার এক ফোনেই পিজিতে রোগী ভর্তি হওয়া শুধু নয়, ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট হত তাঁর। সেই মদন নিজে খোদ পিজিতে সশরীরে হাজির হয়ে রোগী ভর্তি করতে পারেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর যতটা না বেশি ক্ষোভ, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি তাঁর সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তাপসবাবুর এই বেসুরো মন্তব্য তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

    ঠিক কী বলেছেন বরানগরের বিধায়ক?

    বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “যে নতুন প্রজন্ম উঠে এসেছেন, তাঁরা লোকসভা, রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন, মন্ত্রী, বিধায়ক, মেয়র, চেয়ারম্যান হয়েছেন, এঁদের সকলের যে যোগ্যতা আছে তা মনি করি না। দল সমস্ত দিকে নজর রাখছে, সকলে জায়গা পাবে না। আমারও মন্ত্রীসভায় জায়গা হয়নি। যোগ্যতায় আমার ধারেকাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”। এমনিতেই তাপসবাবু মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তাপসবাবুর এই বেসুরো মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে রাজ্য মন্ত্রীসভায় রদবদল হয়। সেখানে তাপস রায়ের ঠাঁই পাওয়া নিয়ে জল্পনা ছিল। কিন্তু, দল তার উপর আস্থা না রেখে বারাকপুর মহকুমার অন্য এক বিধায়কের উপর আস্থা রেখেছিল। শুধু বারাকপুর বলে নয় রদবদলে রাজ্যের একাধিক তরুণ বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছিলেন। তারমধ্যে হুগলির এক বিধায়কও রয়েছেন। যারা মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন সকলেই অভিষেক ঘনিষ্ঠ। স্বাভাবিকভাবে অভিষেকের নির্দেশে নতুন মন্ত্রীসভায় নতুনরা ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু, অভিষেক যাদের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী করেছেন তাঁদের অনেকেই যে যোগ্য নন তা তাপসবাবুর মন্তব্যে স্পষ্ট। কার্যত তাপসবাবু তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে অভিষেকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বিধায়ক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৯ মে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলামকে কার্যত এক হাত নিয়েছিলেন। বিধায়কের বিস্ফোরক এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিধায়কে কার্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। বিধায়কের সামনেই তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারী সকলেই তৃণমূল কর্মী। পরে, তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাতে সাতজন জখম হন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬:২৫মিনিট নাগাদ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে তৃণমূল সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। অভিযোগ, তখনই ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাইপো তাজ মহম্মদের নেতৃত্বে ব্লক সভাপতির কিছু অনুগামী গিয়ে অতর্কিতে লাঠি- বাঁশ নিয়ে হামলা চালান। বিধায়ক কার্যালয়ের পাশাপাশি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয়। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভরতপুর এলাকা। ঘটনার পর ভরতপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে কোনও দলীয় কোন্দল নেই। আসলে এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আমার নিরাপত্তারক্ষী আজকে ছুটিতে রয়েছে, সেই খবর আগে থেকেই ব্লক সভাপতি জানতো। তাই,  ব্লক সভাপতির অনুগামীরা আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে। আমার অনুগামীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার কার্যালয়ে চড়াও হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে সোমবার থেকে ভরতপুরে কে রাজ করে তা দেখিয়ে দেব।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    হামলার ঘটনা নিয়ে পাল্টা বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের উপর দায় চাপিয়েছেন ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ভাইপো এবং আমার কিছু অনুগামী হাঁটতে হাঁটতে ব্লকের দিকে যাচ্ছিল তখনই আমার ভাইপো সহ আমার অনুগামীদের উপর চড়াও হয় বিধায়কের অনুগামীরা। আমরা কোনও হামলা চালাইনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River Bridge: বিধায়কের আশ্বাসও জলে! বাঁশের সেতুর বদলে পাকা সেতুর দাবি অধরাই

    River Bridge: বিধায়কের আশ্বাসও জলে! বাঁশের সেতুর বদলে পাকা সেতুর দাবি অধরাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট শহর সংলগ্ন রঘুনাথপুর থেকে ওপারের কালিকাপুর সংযোগকারী আত্রেয়ী নদীতে বাঁশের সেতুর বদলে পাকা সেতুর (River Bridge) দাবি স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা এই দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু দিনের পর দিন তাঁরা প্রতিশ্রুতিই শুনে এসেছেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনকী বিধায়কের আশ্বাসও বিফলে গেছে।

    জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের এপারে আনতে হয়

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাটের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত আত্রেয়ী নদী। বালুরঘাট শহর সংলগ্ন রঘুনাথপুর ও কালিকাপুরের মাঝখানে থাকা আত্রেয়ী নদীর উপরেই রয়েছে অস্থায়ী বাঁশের সেতু। রঘুনাথপুর বা শহরের মানুষজনকে কাজের প্রয়োজনে ওপারে যেতে হয়। কিন্তু ওপারে থাকা কালিকাপুর, বেলাইন, ধাওল, ডাকরা, চন্দ্রদৌলা, পার্বতীপুর, মাহাতোপাড়া, কাশীপুর সহ আরও বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে রোজ সেতু পেরিয়ে সদর বালুরঘাট সহ অন্য যে কোনও প্রান্তে যেতে হয়। বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে রয়েছে জেলা হাসপাতাল। ফলে ওপারের মানুষকে এপারে আসতে হয় এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের এপারে আনতে হয়। বর্ষার কয়েকমাস নৌকায় পারাপার চললেও সারা বছর মানুষ যাতায়াত করে বাঁশের সেতু বানিয়ে। ২০১৭ সালে এলাকার একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী তথা ওই এলাকার সেই সময়কার বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা বাঁশের সেতুর বদলে পাকা সেতু (River Bridge) করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেতু তৈরির ব্যাপারে কাউকে একধাপও এগতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।

    বাসিন্দারা কী বলছেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা রিন্টু সূত্রধর, মন্টু পাল অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ি নদীর ওপারে। সারাদিনের কাজকর্ম করতে আমাদের বালুরঘাটে যেতে হয়। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে বালুরঘাটে আসতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এদিকে সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে একেকজনকে নদী পারাপারের জন্য ১০ টাকা করে ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আমরা এর আগে ব্রিজের দাবি করেছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আমরা চাই রঘুনাথপুর থেকে কালিকাপুর পর্যন্ত ব্রিজ (River Bridge) হোক। তবেই আমাদের যাতায়াতের সমস্যা মিটবে।

    ফের আশ্বাস পঞ্চায়েতের

    এই বিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু বলেন, আমরা বালুরঘাট ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ওখানকার বাসিন্দাদের যে দাবি রয়েছে, তা নিয়ে ওপরমহলে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পাকা সেতু (River Bridge) হলে দুই পারের মানুষেরই সুবিধা হবে। আমরা চেষ্টা করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে তুলনা, তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল

    TMC: কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে তুলনা, তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মিদের আন্দোলনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করা হবে। কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতার মতো আচরণ করছেন। সরকারকে টেনে নামানোর চেষ্টা যাঁরা করছেন, তাঁদের কোনওভাবেই সমর্থন নয়। কুড়মি আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। ১৪ ই মে মেদিনীপুর শহরে আদিবাসী জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্যে শাসকদলের সঙ্গে কুড়মি সমাজের সংঘাত বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অজিত মাইতি?

    এবার কুড়মিদের সঙ্গে কার্যত সম্মুখ সমরে শাসকদল তৃণমূল (TMC)।  উল্লেখ্য, এস টি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সিআরআই রিপোর্টের ওপর রাজ্যের তরফে জাস্টিফিকেশন পাঠাতে হবে কেন্দ্রের কাছে, এই দাবিকে সামনে রেখে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। গত এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে টানা প্রায় পাঁচদিন অবরুদ্ধ হয়েছে রেল এবং জাতীয় সড়ক। রাজ্যের তরফে বৈঠকের ডাক পেয়েও আশানুরূপ ফল না মেলায় কুড়মিদের দেওয়ালে কোনও রাজনৈতিক প্রচার নয় বলে সম্প্রতি ফরমান জারি করেছে কুড়মি সংগঠন ঘাঘরগেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। জঙ্গলমহলের একাধিক এলাকায় কুড়মিরা রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন মুছে সেখানে জয় গরাম লিখে দিয়েছে। এই আবহেই অজিত মাইতির গলায় রীতিমতো হুমকির সুর। তৃণমূল (TMC) বিধায়ক বলেন, কুড়মি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল ও সরকারকে ছোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতার মতো আচরণ করছেন। তাই এই আন্দোলনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করা হবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, কুড়মি আন্দোলনের পিছনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মদত রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে, দেওয়াল লিখন করতে দেওয়া হবে না বলে কুড়মিদের পক্ষ থেকে যে ফরমান জারি করা হয়েছে, তা মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অজিতবাবু।

    কী বললেন কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি?

    পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত বলেন, আমরা নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। কিন্তু, অজিতবাবুর মতো নেতার কাছে এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য আমি আশা করিনি। তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে এলে বিনয়ের সঙ্গে আমাদের কথা বলেন। অজিতবাবুর সেটা মেনে চলা উচিত। জঙ্গলমহলে অশান্তি ছড়ালে তার দায় অজিত মাইতিকে নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat Housing: প্রতিশ্রুতির পরেও ঘর মেলেনি ইন্দিরা কলোনির আবাসিকদের! ভোট বয়কটের ডাক

    Barasat Housing: প্রতিশ্রুতির পরেও ঘর মেলেনি ইন্দিরা কলোনির আবাসিকদের! ভোট বয়কটের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরা কলোনিতে দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছেন প্রায় ২৬০টি পরিবার। এঁরা সকলেই ১৯৭১ সালে ওপার বাংলা থেকে চলে আসেন এপারে। এপারে এসে কোনওরকমে বসবাস শুরু করেন বারাসত শহরের ইন্দিরা কলোনিতে। সকলেই দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করেন৷ সেখানে নিজেদের ক্ষমতায় পাকা বাড়ি তৈরি অনেকটাই স্বপ্নের মতো দিন আনা দিন খাওয়া এই মানুষগুলোর কাছে। কয়েক বছর ধরেই এই কলোনিতে পাকা ঘরের দাবি ছিল পরিবারগুলির। বাসিন্দাদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এই কলোনিতে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘শহর আবাসন জনপ্রকল্প’-এর (Barasat Housing) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তিনি। তখনই ঠিক হয়, কলোনির ২.৪ একর জমিতে চারতলা আবাসন গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি তৈরি করবে রাজ্য সরকারের পৌর দফতরের আওতাধীন কেএমডিএ। কিন্তু এই শিলান্যাসের পর এক বছর কেটে গেলেও এখনও গড়ে ওঠেনি আবাসন। তাই এবার ওই বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন।

    উন্নয়নের নামে ছিনিমিনি খেলা, তোপ বিরোধী দলের

    বস্তিবাসীদের এই (Barasat Housing) অভিযোগে কার্যত সহমত প্রকাশ করেন বারাসত পৌরসভার বিরোধী দলনেতা ও পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর বরুণ ভট্টাচার্য। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়। উন্নয়নের নামে মানুষের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলে আসছে শাসকদল। বারাসত শহরের যাবতীয় উন্নয়ন যা হয়েছে, তা বিগত বাম পৌরবোর্ডের আমলেই হয়েছে। তৃণমূল পৌরবোর্ড আসার পরে এখনও কিছুই করতে পারেনি। ক্ষমতায় এসে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেছে শাসক দল। মানুষ ওদের এই ভাঁওতাবাজি এখন ধরে ফেলেছে।

    প্রকল্প হবেই, আশ্বাস তৃণমূল নেতার

    যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছেন পৌর পারিষদ তথা বারাসত শহর তৃণমূলের সভাপতি অরুণ ভৌমিক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি একটি বড় প্রজেক্ট। যে কোনও প্রজেক্টের কাজ শুরু হওয়ার আগে অনেকগুলো ধাপ থাকে। জমি, আর্থিক বরাদ্দ, ভেটিং-সহ নানা বিষয় ৷ জমিজটের বিষয়টি আপাতত কেটে গিয়েছে। প্রকল্পের ভেটিং-ও যাদবপুর ইউনিভার্সিটি-কে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, ভেটিং হয়ে গেলেই আবাসন প্রকল্পের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যাবে। হয়তো দেরি হচ্ছে বলেই সেখানকার বস্তিবাসীরা একটু অধৈর্য হয়ে পড়েছে। প্রকল্প হবেই। আটকে থাকার কোনও ব্যাপার নেই। এই আবাসনের জন্য ইতিমধ্যেই বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে ১৬ কোটি ২৯ লাখ ৬২ হাজার ১৭১ টাকা। তবে, ইন্দিরা কলোনির যে জমির ওপর আবাসন প্রকল্পটি (Barasat Housing) গড়ে ওঠার কথা, সেই জমিটি শিক্ষা দফতরের হাতে থাকায় তা নিয়ে প্রথমে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরে অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে সেই জটিলতা কেটে যেতেই জমি হস্তান্তর করা হয় পৌরসভার হাতে। তবে এবার দেখার বিষয়, কত দিনে ওই ইন্দিরা কলোনির আবাসনের বাসিন্দাদের স্বপ্ন পূরণ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুব্রতের গড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অনুব্রতের গড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের দুবরাজপুর থানার বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আগোয়া গ্রাম। ফুল মহম্মদ নামে এক বিজেপি (BJP) কর্মীসহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বারিক খান তা প্রতিহত করেন। ইতিমধ্যেই থানায় দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর শনিবার গ্রাম পুরুষশূন্য। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এমনিতেই বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এই পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আসমানা খাতুনের ভাসুর হচ্ছেন এলাক খান। তিনি দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে কারও কথা বলার সাহস নেই। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি, তৃণমূল সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এরইমধ্যেই বিজেপি (BJP) কর্মী ফুল মহম্মদের বাড়়িতে পটকা ফাটাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এলাক খানের অনুগামী মহিবুল দলবল নিয়ে এসে বাড়িতে বোমা মজুত করার অভিযোগ তুলে ফুল মহম্মদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বারিক খান ছুটে আসেন। তাঁরা তৃণমূলী হামলা প্রতিহত করেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বারিক খানের নেতৃত্বে বিজেপি (BJP)  কর্মীরা এলাক খানের গাড়ি ভাঙচুর করে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দুবরাজপুরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বারিক খানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিজেপি-র সংগঠন মজবুত হচ্ছে। তৃণমূল বুঝতে পারছে বিজেপি-র সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার মতো ক্ষমতা নেই। তাই, নানা অছিলায় সন্ত্রাস করে ওরা আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করছে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ফুল মহম্মদের বাড়িতে প্রচুর বোমা মজুত করা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়। আর তার জেরেই  ওরা হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,  আসলে  বিজেপি-র (BJP) কোনও সংগঠন নেই। এখন বোমাবাজি, সন্ত্রাস করে ওরা পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CPM: দিনের বেলায় সিপিএমের কার্যালয়ে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    CPM: দিনের বেলায় সিপিএমের কার্যালয়ে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে সিপিএমের (CPM) দলীয় কার্যালয়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। পরে, দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বরানগরের বনরিণি এলাকায়। ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বনরিণি পার্টি অফিসে সিপিএম (CPM) কর্মীরা লেনিনের জন্মদিন পালন করেন। সেখানে একাধিক কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কার্যালয়ে স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ওই পার্টি অফিসে জানলা খোলা ছিল। দরজা বাইরে থেকে লাগানো ছিল। আচমকাই পার্টি (CPM) অফিসের ভিতর থেকে আগুন দেখে আমরা ছুটে যাই। সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নিই। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন সিপিএম (CPM) নেতৃত্ব?

     সিপিএম (CPM) নেতা স্বপন মজুমদার বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে দেওয়াল লিখতে তারা বাধা দেয়। আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। আর দলীয় কার্যালয়ে যে বা যারা আগুন লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নই। আসলে ওই পার্টি অফিসটির কিছু অংশ ভাঙা রয়েছে। দিনের বেলায় কী করে আগুন লাগল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ১২ বছর ধরে আমি বিধায়ক রয়েছি। এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আর ওই এলাকায় এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে, দলের বা সিপিএমের কেউ কিছু জানাইনি। তবে, কোনও কিছু হলে সিপিএম (CPM) সবার পিছনে তৃণমূল রয়েছে অভিযোগ করে। এক্ষেত্রেও সেই অভিযোগ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের পদ বিক্রি! নাম জড়াল বিধায়ক সোহমের আপ্ত সহায়কের

    TMC: টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের পদ বিক্রি! নাম জড়াল বিধায়ক সোহমের আপ্ত সহায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরে চণ্ডিপুর বিধানসভার ভগবানপুর-১ ব্লকে ঘটা করে ব্লক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এবার সেই কমিটি গঠনকে অবৈধ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। প্রকাশ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করেই তৃণমূলের (TMC) একটি গোষ্ঠী এই অভিযোগ তুলেছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ব্লক কমিটি নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  বিক্ষুব্ধ নেতারা?

    পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া, ব্লক কমিটিতে জায়গা করে দেওয়া, চাকরি দেওয়াসহ একাধিক কারণে বহু টাকা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর আপ্তসহায়ক সৌম্যজিৎ সেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারই ভগবানপুর-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল বিধায়ক সোহম। সেই তালিকা  নিয়ে ক্ষোভ জানাতে গিয়ে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ভগবানপুরের কিছু তৃণমূল (TMC) নেতা। তৃণমূলের ব্লক কমিটি সম্পাদক অসিত কুমার মণ্ডল বলেন, আমি নতুন ব্লক কমিটিতে রয়েছি। তারপরও বলছি, সাংবিধানিক নিয়ম না মেনেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কমিটিই অবৈধ। আর পঞ্চায়েতে যোগ্য কর্মীরা কমিটি থেকে বাদ গিয়েছেন। তাঁদের বাদ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা সম্ভব নয়। নির্বাচনে ভাল ফল করবে না দল। তাই, আমরা কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি। আর এই বিষয়ে জেলা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অন্য এক তৃণমূল (TMC) কর্মী ইকবাল হোসেন, বিধায়কের আপ্ত সহায়ক সৌম্যজিত্ সেন এই এলাকায় চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তুলেছেন। পাশাপাশি ব্লক কমিটিতে পদ দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছে টাকা তুলেছেন তিনি। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণও রয়েছে। জানা গিয়েছে, এর আগে চাকরির নামে টাকা তোলাসহ একাধিক অভিযোগে সোহম চক্রবর্তীর পূর্বতন আপ্তসহায়ক সজল মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। নতুন আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে ফের আর্থিক কেলেঙ্কারি ওঠায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    ভগবানপুর-১ ব্লক তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি রবীনচন্দ্র মণ্ডল বলেন, নিয়ম মেনে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে। জেলা সভাপতির অনুমতি নিয়েই নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। আর, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর আপ্তসহায়কের নামে যে সব অভিযোগ করছেন তা পুরোপুরি মিথ্যা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি স্বপন রায় বলেন, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ভরাডুবি হবে। তা বুঝে গেছেন তৃণমূল নেতারা। বহু তৃণমূল নেতা তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। ভগবানপুর কেন, পুরো রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করবে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share