Tag: Mock Drill

Mock Drill

  • Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই আবহে বুধবার (৭মে) সারা দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মহড়ায় (Mock Drill) সাধারণ নাগরিক, নেতা-কর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাল সর্বভারতীয় বিজেপি ও এবিভিপি। মঙ্গলবারই এনিয়ে সর্বভারতীয় বিজেপির এক্স হ্যান্ডল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই নাগরিকদের মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই আবেদন রেখেছে এবিভিপি।

    নিজেদের বিবৃতিতে কী জানাল এবিভিপি (Mock Drill)

    যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহড়া নিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে এসেছে। সেখানে তারা স্পষ্ট ভাবে বলছে, ‘‘এই মক ড্রিল কোনও সামান্য ব্যাপার নয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। যেভাবে আমাদের দেশে নিরাপত্তার হুমকি আসছে, তা প্রতিরোধ করতে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শন দেখা যাবে এই মক ড্রিলে।’’ এই সংগঠন আরও বলেছে, ‘‘দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর উপরেই নয়। দেশের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেকটি সাধারণ জনগণকে নিতে হবে। বিশেষত যুব সমাজকে। আমাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, এই সমস্ত জায়গাতে এই সচেতনতা ছড়াতে হবে। সতর্কতা বাড়াতে হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার প্রস্তুতি চালাতে হবে।’’

    কী বললেন এবিভিপির (ABVP) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডক্টর বীরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। মক ড্রিল (Mock Drill) নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ স্বাগত জানাচ্ছে সিভিল ডিফেন্সকে। আমরা সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং দেশের আপামর জনগণের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়ায়। এভাবেই গড়ে উঠবে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত।’’ এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘‘মহড়ার প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে, আজকের ভারত যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে জবাব দিতে প্রস্তুত। প্রত্যেক নাগরিকের এটা স্মরণ করা উচিত। প্রত্যেক নাগরিক যেন মনে রাখেন দেশের এই সংকটের পরিস্থিতিতে তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’’

    এবিভিপির আহ্বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলায় নাগরিক মক ড্রিল-এ (Mock Drill) অংশগ্রহণের জন্য এবিভিপির এমন আহ্বানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এবিভিপি তাদের যেকোনও আন্দোলনেই তুলে ধরে নেশন ফার্স্ট স্লোগান। আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের এই আহ্বানে তাদের সেই নীতিই প্রতিফলিত হলে বলে মনে করা হচ্ছে। জাতীয় কর্তব্য পালনে এবং দেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ করা ঠিক কতটা জরুরি, সেই বিষয়টিও এবিভিপি নিজেদের বার্তায় তুলে ধরেছে। প্রসঙ্গত, এই নাগরিক মহড়ায় সাইরেন যেমন বাজবে, তেমনই ব্ল্যাকআউটও করা হবে অর্থাৎ বড় বড় শপিং মল, বাড়ি-ঘর, শিল্প-কলকারখানা এই জায়গাগুলিতে আলো বন্ধ করা হবে। এর পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কীভাবে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া যায় সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ রেডার স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে এই ধরনের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মহড়ায় অংশ নিতে আবেদন এবিভিপির

    একই সঙ্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন সম্পূর্ণভাবে এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন পড়ুয়াদের উৎসাহিত করে মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে সেই আহ্বানও জানিয়েছে এবিভিপি। এই ছাত্র সংগঠনের মতে, এর ফলেই গড়ে উঠবে আত্মনির্ভরশীল এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত। প্রসঙ্গত, বুধবার সব মিলিয়ে দেশের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া চলবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। সারা দেশের পাশাপাশি, বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় ‘মক ড্রিল’ হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে এমন মহড়া হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের আগে। তারপরে ৫৪ বছর পরে তেমনটা হতে চলেছে বুধবার।

    সবার উপরে দেশ, স্মরণ করাল বিজেপি-এবিভিপি

    এই মহড়া (Mock Drill) মূলত হবে বিমান হামলা হলে নাগরিকরা কী ধরনের পদক্ষেপ করবেন সেটা নিয়ে। দেশের সব রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে বার্তা পাঠিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, বুধবারের মহড়ায় খতিয়ে দেখে নিতে হবে, বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে কি না। এর পাশাপাশি রাতে যদি হামলা হয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়ামাত্র হঠাৎ করে সমস্ত আলো বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে শত্রুপক্ষকে বিভ্রান্ত করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সবার উপরে দেশ এই কথা স্মরণ করিয়ে, নাগরিকদের যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানাল বিজেপি-এবিভিপি।

  • Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জঙ্গি হানা’, ‘অপহৃত’ ভিআইপি! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার বাহিনীর

    Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জঙ্গি হানা’, ‘অপহৃত’ ভিআইপি! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে জঙ্গি হানা খাস কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial)! আর্মি, নেভি, সিআইএসএফ সবাই হাজির। খবর রটল, জঙ্গিরা নাকি এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে অপহরণ করে বন্দি করে ফেলেছে। তাঁকে উদ্ধারেই এসেছে সেনা বাহিনী। সকাল ৯টা নাগাদ ভিক্টোরিয়া চত্বর ঘিরে ফেলেছেন জওয়ানরা (Indian Army)। জঙ্গি হানার এমন খবর শুনে অনেকেই এলাকা ছেড়ে দৌড়লেন। কয়েকজন অবশ্য থেকে গেলেন, দূর থেকে সেনা-জঙ্গির মুখোমুখি লড়াইয়ের ‘লাইভ’ দেখবেন বলে! বুকে হেঁটে অতি সন্তর্পণে মাটি কামড়ে সাউথ গেট দিয়ে ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) মাঠে ঢুকল সেনা! বাইরে তখন পজিশনে রয়েছে সিআইএসএফ। ভেতর থেকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে খবর এল এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে ঘিরে ফেলেছে ৮ জঙ্গি! কয়েক মিনিটের মধ্যে শুরু হল অপারেশন।

    কী বলছেন সেনা কর্তা (Indian Army)?

    সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা, টানা আধ ঘণ্টা ধরে চলল এই অপারেশন। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছিল, ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) শ্বেত পাথরের মূর্তির আড়ালে দু’জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। আগেই অবশ্য ৬ জন জঙ্গিকে পাকড়াও করেন জওয়ানরা। পরে বাকি দু’জনকে আটক করার পরে অপারেশন শেষ হয়। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে। কিন্তু সেনা প্রহরায় থাকা ভিক্টোরিয়ার কীভাবে ঢুকে পড়ল জঙ্গি? এনিয়ে সেনা কর্তা প্রদীপ অগ্নিহোগ্রী বলেন, ‘‘এটা আসল কোনও জঙ্গি হানার ঘটনা নয়। মক ড্রিল অর্থাৎ নকল অভিযান (Mock drill)। হঠাৎ করে জঙ্গি হানা ঘটলে বা জঙ্গিরা কোনও এক ‘ভিআইপি’-কে যদি জঙ্গি অপহরণ করে, সেক্ষেত্রে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তার মহড়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছিল (Victoria Memorial)।’’ তিনি আরও জানান, এই মক-ড্রিলে অংশ নেন স্থলসেনা, নৌসেনা, এনএসজি ও সিআইএসএফ জওয়ানরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আন্তঃবাহিনী সমন্বয় গড়ে তোলাই লক্ষ্য এই মহড়ার (Mock drill)।

    মনে করাল ২৬/১১-র জঙ্গি হানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের তাজ প্যালেস হোটেলে ১৬ বছর আগে ২৬/১১-র হামলা এখনও মনে রেখেছে গোটা দেশ-বিশ্ব। তাজ হোটেলে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে তিরিশ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল। মরণাপন্ন লড়াইয়ের পর উদ্ধার করা হয়েছিল অপহৃতদের। ভারতীয় সেনা, ভারতীর নৌসেনার মার্কোস কমান্ডো, এনএসজি কমান্ডো উদ্ধারকার্যে নেমেছিলেন। জানা গেল, তারপর থেকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে সেনার তরফ থেকে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। এবার এই মহড়া (Mock drill) কলকাতায় হচ্ছে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে সি-ভিজিল (Sea Vigil-24)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Covid: করোনা প্রস্তুতি কেমন? খতিয়ে দেখতে দেশজুড়ে দু’ দিনের মক ড্রিল

    Covid: করোনা প্রস্তুতি কেমন? খতিয়ে দেখতে দেশজুড়ে দু’ দিনের মক ড্রিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid)। দেশে আবারও করোনার ঢেউ এলে তার মোকাবিলা যাতে করা যায় সেজন্য শনিবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হল মক ড্রিলের কথা। এপ্রিলের ১০-১১ দুদিন ধরে দেশজুড়ে হবে ওই মক ড্রিল (Mock Drill)। কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত, মূলত তা দেখতেই আয়োজন করা হচ্ছে মক ড্রিলের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি এই মহড়ায় অংশ নেবে। মহড়ায় দেখা হবে করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে কিনা।

    করোনা (Covid) পরিস্থিতি…

    দিল্লিতে মক ড্রিলে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, যদি করোনা (Covid) সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তার জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবাই যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, তা নিশ্চিত করতেই এই মহড়া। এদিন দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মহড়ায় যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেক্রেটারি রাজেশ ভূষণ জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে ধাপে ধাপে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে সিংহভাগ করোনা সংক্রমিতের খবর মিলেছে কয়েকটি রাজ্য থেকে। যেহেতু ব্যাপক করোনা টিকাকরণ হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হারও কম, তা সত্ত্বেও বাড়ছে সংক্রমণ।

    জানা গিয়েছে, মক ড্রিলের সময় দেখা হবে কোন জেলায় করোনা (Covid) চিকিৎসার কী ব্যবস্থা রয়েছে, করোনা সংক্রমিতদের জন্য হাসপাতালে কত বেড রয়েছে।এক সঙ্গে কতজন রোগীর জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা সম্ভব, হাসপাতালে কতজন করোনা সংক্রমিতকে অক্সিজেন দেওয়া যাবে, তাও খতিয়ে দেখা হবে মক ড্রিলে। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপের কী ব্যবস্থা রয়েছে, কী প্রয়োজন, তাও নথিভুক্ত করা হবে। কেবল হাসপাতালের বেড বা অক্সিজেন নয়, জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কতটা প্রস্তুত, তাও দেখা হবে।

    আরও পড়ুুন: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    কোভিড মোকাবিলায় কতজন প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, তাও দেখা হচ্ছে। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ব্যবহারে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী কতজন রয়েছেন, তাও দেখা হবে এই মক ড্রিলে। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট যাতে কোনওভাবেই না ছড়ায় সেজন্য বছর শেষে উৎসবের মরশুমে চূড়ান্ত তৎপরতা। মাস্ক পরার পাশাপাশি দেশবাসীকে কোভিড বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mock Drill: অতিমারি মোকাবিলায় প্রস্তুত দেশ? দেশজুড়ে হাসপাতালগুলোতে চলল কোভিড ‘মক ড্রিল’

    Mock Drill: অতিমারি মোকাবিলায় প্রস্তুত দেশ? দেশজুড়ে হাসপাতালগুলোতে চলল কোভিড ‘মক ড্রিল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ফের নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। চিনে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েই চলেছে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সেও সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে। আর এবারে দেশেও যাতে করোনার বাড়বাড়ন্ত না হয়, তার জন্যই কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে এদিন দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ‘মক ড্রিল’ (Mock Drill) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মক ড্রিল চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন।

    কী এই ‘মক ড্রিল’?

    কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ দেশজুড়েই চলবে নজরদারি, আর একেই বলা হচ্ছে ‘মক ড্রিল’ (Mock Drill)। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ অনুসারে, কোভিড ১৯ সম্পর্কিত যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাসপাতালগুলি তৈরি কিনা তার নজরদারিই হল মক ড্রিল। করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সমস্ত প্রস্তুতি যে একেবারে পাকা, তা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাসপাতালে মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা টিকার ভাঁড়ার শূন্য! সাফাই শাসকদলের, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

    মক ড্রিলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য নিজে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান। এরপর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) ডাক্তারদের সঙ্গে আজ বৈঠকও আছে তাঁর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন – বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল যেভাবে প্রস্তুত, আমরা চাই অন্যান্য হাসপাতালগুলিও প্রস্তুত থাকুক। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা যাতে নিশ্চিত করেন যে সর্বত্র প্রোটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে।”

    কী কী বিষয় খতিয়ে দেখা হবে মক ড্রিলে?

    এই মক ড্রিলে (Mock Drill) দেখা হবে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা, অক্সিজেনযুক্ত বেডের সংখ্যা, আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর যুক্ত বেডের সংখ্যা। এছাড়া চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সর্বোচ্চ কতসংখ্যক ফ্রন্টলাইন কর্মী রয়েছেন, তাও খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও মক ড্রিলে জোর দেওয়া হচ্ছে কোভিড মোকাবিলায় পেশাদাররা কতটা প্রশিক্ষিত তার ওপরে। গুরুতর পরিস্থিতির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রশিক্ষিতরা কতটা ভেন্টিলেটরি ম্যানেজমেন্ট করতে পারছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি অ্যাডভান্স এবং বেসিক লাইফ সাপোর্ট, পিএসএ প্ল্যান্টের পরিচালনায় কর্মীরা কতটা দক্ষ তাও খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স, পরীক্ষার সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় ওষুধের ওপরেও নজর রাখা হবে।

LinkedIn
Share