Tag: Modi Government

Modi Government

  • Modi Government Success: মোদি সরকারের সাফল্য, ১৭ কোটি ভারতবাসী দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    Modi Government Success: মোদি সরকারের সাফল্য, ১৭ কোটি ভারতবাসী দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government Success) ভাল কাজের স্বীকৃতি দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ১৭ কোটি (১৭১ মিলিয়ন) মানুষকে চরম দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাল তারা। এপ্রিল ২০২৫-এ প্রকাশিত “প্রভার্টি এন্ড ইক্যুয়িটি ব্রিফ অফ ইন্ডিয়া (Poverty and Equity Brief for India” রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, চরম দারিদ্র্য (প্রতিদিন ২.১৫ ডলারের নিচে আয়) ২০১১-১২ সালের ১৬.২ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে কমে এসেছে মাত্র ২.৩ শতাংশে। বিশেষ করে গ্রামীণ ভারতে এই পতন ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য—সেখানে চরম দারিদ্র্য কমেছে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে। অন্যদিকে শহরে এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ১.১ শতাংশে। ফলে, গ্রাম ও শহরের মধ্যে দারিদ্র্যের ফারাক ৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশে—যা বার্ষিক ১৬ শতাংশ হারে কমেছে।

    বহু মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank) জানিয়েছে, “গ্রামীণ চরম দারিদ্র্য ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে এবং শহুরে চরম দারিদ্র্য ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে নেমে এসেছে—ফলে গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ফারাক বছরে ১৬ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে।” ভারত এখন নিম্ন-মধ্য আয়ের (Lower Middle Income Country) তালিকায় প্রবেশ করেছে। ৩.৬৫ ডলার দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে এলএমটিসি (LMIC) দারিদ্র্যসীমায় দারিদ্র্য ৬১.৮ শতাংশ থেকে কমে ২৮.১ শতাংশ হয়েছে, যার ফলে ৩৭.৮ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠে এসেছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য সেখানে ৬৯ শতাংশ থেকে কমে ৩২.৫ শতাংশ হয়েছে, আর শহরাঞ্চলে তা ৪৩.৫ শতাংশ থেকে কমে ১৭.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

    কমেছে বহু মাত্রিক দারিদ্র

    বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল পাঁচটি রাজ্য—উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ—২০১১-১২ সালে দেশের ৬৫ শতাংশ চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করত। তারা ২০২২-২৩ সালে এই চরম দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে। তবে এই রাজ্যগুলো এখনও দেশের ৫৪ শতাংশ চরম দরিদ্র এবং ৫১ শতাংশ বহু-মাত্রিক দারিদ্র্যের (২০১৯-২১) প্রতিনিধিত্ব করে। বহু-মাত্রিক দারিদ্র্য (MPI) ২০০৫-০৬ সালে যেখানে ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, তা ২০১৯-২১ সালে কমে হয়েছে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে।

    কর্মসংস্থানে অভাবনীয় অগ্রগতি

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২১-২২ সাল থেকে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধির হার কর্মক্ষম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শহুরে বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬.৬ শতাংশ, যা ২০১৭-১৮ সালের পর সর্বনিম্ন। পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন বাড়ছে, অন্যদিকে, গ্রামীণ নারীদের কৃষিখাতে অংশগ্রহণ বেড়েছে। যদিও যুব বেকারত্বের হার ১৩.৩ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে তা ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এছাড়া, অ-কৃষিখাতে বেতনের চাকরির মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ চাকরি ফরমাল এবং অধিকাংশ কৃষিভিত্তিক কর্মসংস্থান এখনও অনানুষ্ঠানিক রয়ে গিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, স্বনির্ভরতা গ্রামীণ নারীদের মধ্যে বাড়ছে। তবে এখনও লিঙ্গ বৈষম্য প্রকট—২৩৪ মিলিয়ন বেশি পুরুষ অর্থপূর্ণ কর্মে নিযুক্ত।

    সরকারি তথ্যের সাথে মিল

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই পর্যবেক্ষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, গত এক দশকে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের বাইরে এসেছে। সরকারের হাউসহোল্ড কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে অনুযায়ী, ১.৯০ ডলার পিপিপি-র দারিদ্র্যসীমার নিরিখে ভারতের চরম দারিদ্র্য ২০২৩-২৪ সালে ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এলএমআইসি ৩.৬৫ ডলার পিপিপি দারিদ্র্যসীমায় দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ৫২ শতাংশ ছিল, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে হয়েছে ১৫.১ শতাংশ। এসবিআই বা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারতের গ্রামীণ দারিদ্র্য কমে হয়েছে ৪.৮৬ শতাংশ (২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ছিল ২৫.৭ শতাংশ), এবং শহুরে দারিদ্র্য নেমেছে ৪.০৯ শতাংশে। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, নগরায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, কৃষি সংস্কার ও সামাজিক কল্যাণমূলক নীতির সফল বাস্তবায়নের ফলে ভারত দারিদ্র্য হ্রাসে এক বিশাল সাফল্যের নজির গড়েছে। নারীশক্তির অংশগ্রহণ বেড়েছে। আত্মনির্ভর হচ্ছে দেশ।

  • India Bangladesh Relations: ভারত-বিরোধিতার মাশুল! বাংলাদেশকে মোক্ষম শিক্ষা দিল দিল্লি, মাথায় হাত ইউনূসের

    India Bangladesh Relations: ভারত-বিরোধিতার মাশুল! বাংলাদেশকে মোক্ষম শিক্ষা দিল দিল্লি, মাথায় হাত ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করতে তৎপর ইউনূসের বাংলাদেশ। ভারত-বিরোধিতা (India Bangladesh Relations) এখন পদ্মাপাড়ের মূলমন্ত্র। যে মানচিত্র ভারতের হাত ধরে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই মানচিত্রের গ্রাফটাই এখন বদলে গিয়েছে। হাসিনা পরবর্তী যুগে সোনার বাংলাদেশ এখন ছারখার। জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল। তাই চুপ করে কতদিন থাকা যায়! কয়েকদিন আগেই চিনে গিয়ে ভারতের নিন্দা করে এসেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। বলেছিলেন, ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি ‘ল্যান্ড লকড’। তাদের সমুদ্রপথের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ওই এলাকার সমুদ্রপথের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ। ইউনূসের ওই মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এবার সহজে বাংলাদেশের বাণিজ্যের রাস্তা বন্ধ করে দিল দিল্লি। তৃতীয় কোনও দেশে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করতে ব্যবহার করা যাবে না ভারতের কোনও বন্দর বা বিমানবন্দরের শুল্ককেন্দ্র। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। তবে, ছাড় দেওয়া হয়েছে ভুটান ও নেপালের ক্ষেত্রে। ভারতের ভূখণ্ড হয়ে ভুটান ও নেপালে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহণে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে দিল্লি। অর্থাৎ, ভারত দিয়ে এই দুই দেশে আগের মতোই রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ইউরোপ বা অন্য বাকি দেশে পণ্য পাঠাতে পারবে না ঢাকা।

    ভারতের সিদ্ধান্ত

    কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৮ এপ্রিলের পর থেকে ভারতের উপর দিয়ে ভুটান ও নেপাল বাদ দিয়ে আর কোনও দেশে পণ্য রফতানির জন্য ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন (LCS) বা শুল্ক কেন্দ্র ব্যবহার করতে পারবে না বাংলাদেশ (India Bangladesh Relations)। এতদিন এই সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজস্ব পণ্য ভারতে নিয়ে এসে এখানকার বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পাঠাতে পারত। এটি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। বাংলাদেশের সামগ্রী বিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানির জন্য এই ‘‘ট্রান্স-শিপমেন্ট’’ সুবিধা প্রত্যাহার করা হল। এর জন্য কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) ২০২০ সালের জুন মাসের একটি নিয়ম বাতিল করল, যা বাংলাদেশের পণ্য ভিনদেশে রফতানির জন্য ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরের ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন ব্যবহার করতে দিত। এতে বিভিন্ন দেশে পণ্য পাঠাতে ভারতের পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে এক ছাদের নিচে সব সুযোগ সুবিধা পেত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ফলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এবার থেকে ওই সব দেশে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বাড়বে। সময়ও বেশি লাগবে। খরচও বেশি হবে।

    কেন এই নির্দেশ

    পড়শি দেশকে (India Bangladesh Relations) এই সুবিধা দেওয়া বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছিল ভারতীয় রফতানিকারক সংস্থাগুলি। বিশেষ করে বস্ত্র রফতানি সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এই অনুরোধ করা হয়েছিল। ২০২০ সালের জুন মাস থেকে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়ে আসছিল ভারত। ভিন দেশে পণ্য রফতানির জন্য এই সুবিধা ব্যবহার করত বাংলাদেশ। ৮ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত পূর্ববর্তী নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে যে সব পণ্য ইতিমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে, সেগুলিকে পূর্বের নির্দেশিকা অনুসারে ভারত থেকে বেরোতে দেওয়া হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে ওই সুবিধা দেওয়ার ফলে এ দেশের বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলিতে ভিড় বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এর ফলে ভারতীয় সংস্থাগুলির রফতানিতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণে বাংলাদেশকে ওই সুবিধা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, নেপাল এবং ভুটানে পণ্য রফতানি করতে বাংলাদেশের কোনও সমস্যা হবে না।

    ভারতের সুবিধা

    সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় বিমানবন্দর এবং বন্দরগুলির এলসিএস-গুলিতে বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক-শিপমেন্ট এসে ভিড় জমাত। এতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত সময় ও টাকা খরচ হচ্ছিল। অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (AEPC) চেয়ারম্যান সুধীর শেখরি বলেছেন, “ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের নিষ্পত্তি হল। প্রতিদিন ২০-৩০ বাংলাদেশি পণ্য বোঝাই ট্রাক দিল্লিতে এসে অপেক্ষা করত ভিনদেশে যাওয়ার জন্য। এতে আমাদের এক্সপোর্টাররা সমস্যার পড়ছিলেন। কার্গোতে আমাদের পণ্যের পর্যাপ্ত জায়গা হচ্ছিল না।” এই সিদ্ধান্তের ফলে বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান পাথর এবং গয়নার ক্ষেত্রে ভারতীয় রফতানিকারক সংস্থাগুলির সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, বস্ত্র রফতানি ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হল বাংলাদেশ। ভারতীয় রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন’ (এফআইইও)-এর মহাপরিচালক অজয় সহায় বলেন, “এর ফলে ভারতীয় রফতানি পণ্যের জন্য বিমানে আরও বেশি জায়গা পাওয়া যাবে। অতীতে রফতানিকারক সংস্থাগুলি প্রায়শই অভিযোগ করত, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য তারা কম জায়গা পাচ্ছে।”

    কূটনীতিকদের অভিমত

    সম্প্রতি চিনে গিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরে এসেছিলেন ইউনূস। নিজেদের সমুদ্রের অভিভাবক বলে চিনকে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাংলাদেশে (India Bangladesh Relations) এসে ব্যবসার জন্য, প্রচুর জিনিস বানাতে। বিক্রির জন্য বাংলাদেশের বাজার উন্মুক্ত। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বন্ধুত্ব ভারত ভালো চোখে দেখেনি। তার ওপর যখন শিলিগুড়ির চিকেনস্ নেকের কাছে বাংলাদেশের মাটিতে চিনকে বিমানঘাঁটি তৈরির আহ্বান জানিয়ে বসেন ইউনূস, তখন ভারত আর চুপ করে বসে থাকেনি, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। চিন সফরে গিয়ে ইউনূসকে বলতে শোনা যায়, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই একই ইচ্ছা চিনের। যদিও সেই চৈনিক চাল বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এবার বাংলাদেশের মুখে এমন মন্তব্যে দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না ভারতের। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কফিনের অন্যতম পেরেক ইউনূসের এই মন্তব্য। তাই এবার ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করে ঢাকাকে বার্তা দিল দিল্লি।

    বিপদে বাংলাদেশ

    ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতের এই এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি ও ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। বিশেষত ঢাকার বস্ত্র রফতানি এতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হবে। এতদিন ধরে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর পণ্য পাঠাত বাংলাদেশ, বিশেষত জামাকাপড়। ভারতের মাটি, বায়ুপথ ও বন্দরের শুল্ককেন্দ্র ব্যবহার করে অনেক কম খরচ ও কম সময়ে ভিনদেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য পাঠাত বাংলাদেশ। কিন্তু এবার সেই সুযোগ বন্ধ হল। এখন থেকে বাংলাদেশকে সমুদ্রপথ বা আকাশপথে রফতানির বিকল্প ভাবতে হবে, যা তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল। লজিস্টিক সমস্যা ও সময়ে পণ্য পৌঁছতে দেরি হবে। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে ঢাকা। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলছেন, “বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের রফতানি এবার মার খাবে। এতদিন ভারত যে সুবিধা দিত তাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শুধু অনেক টাকাই বাঁচত না, সময়ও বাঁচত।” তিনি আরও জানান, গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশকে সন্তানসুলভ প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে ভারত। পণ্যের উপর শূন্য শুল্ক থেকে অগ্রাধিকার— কী না দেওয়া হয়নি। মদ ও সিগারেট ছাড়া নেপাল, ভুটানের মতো দেশে বাংলাদেশ সব পণ্য বিনা শুল্কে এতদিন পাঠিয়ে এসেছে। তাও ভারত-বিরোধিতা (India Bangladesh Relations) করতে পিছপা হননি ইউনূস। তাই পরিবর্তিত বাংলাদেশকে শিক্ষা দিতেই এই পদক্ষেপ ভারতের।

  • Waqf Bill: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ বিল পাশ করেছে মোদি সরকার, মত মওলানা শাহাবুদ্দিনের

    Waqf Bill: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ বিল পাশ করেছে মোদি সরকার, মত মওলানা শাহাবুদ্দিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য পাশ হয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। এবার এই বিলকেই সমর্থন করলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের জাতীয় সভাপতি মওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভী (Waqf Bill)। তাঁর মতে, মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপে ভারতের মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। বিলটি পাস হওয়ার পরে নিজের প্রকাশ্য় বিবৃতিতে মওলানা শাহাবুদ্দিন মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল সাধারণ মুসলমানদের জন্য এক আশীর্বাদ। কোনওভাবেই তা ক্ষতিকারক নয়। এই বিল তাদের জন্য ক্ষতিকারক যারা অবৈধভাবে মূল্যবান জমি দখল করে রেখেছে।

    মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ বিল (Waqf Bill)

    মওলানা তাঁরা সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, বিলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল মুসলিম সম্প্রদায়ের দরিদ্র এবং দুর্বল অংশের স্বার্থ রক্ষা করা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ওয়াকফ (Waqf Bill) জমি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব দরিদ্র মুসলিমদের (Shahabuddin Razvi) আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নতির জন্য ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, “ওয়াকফ জমি থেকে প্রাপ্ত আয় দরিদ্র মুসলিমদের কল্যাণে, নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের উন্নত শিক্ষা পেতে সহায়তা করবে। এটি এতিম ও বিধবাদের আর্থিক উন্নয়নেও সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে”

    মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই বিল কখনও প্রভাব ফেলবে না

    ধর্মীয় স্থানের ওপর এই বিলের (Waqf Bill) প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এই বিল মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান বা মাজারের জন্য কোনও হুমকি তৈরি করেনি। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি অক্ষত থাকবে। সরকার কোনওভাবেই তাদের উপর হস্তক্ষেপ করবে না। এর পাশাপাশি বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেন, কিছু রাজনীতিবিদ তাঁদের নিজস্ব স্বার্থে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছেন। আমি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাব তাঁদের উস্কানিতে পা না দেওয়ার জন্য।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে রাজ্যসভায় দীর্ঘ বিতর্কের পর ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি পাশ হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর ১২৮টি ভোট পক্ষে এবং ৯৫ ভোট বিপক্ষে পড়ে। এরপরেই বিলটি অনুমোদিত হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর বিলটি এর আগে লোকসভায় পাশ হয়েছিল।

  • LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় বিরাট বড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষাকে আরও জোরদার করতে দেশে তৈরি ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) বা এলসিএইচ কেনায় চূড়ান্ত ছাড়পত্র (Defence Acquisition) দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindusthan Aeronautics Limited) বা হ্যালের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি করতে চলেছে সরকার। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মোদি মন্ত্রিসভা যে এই হেলিকপ্টার কেনায় ছাড়পত্র দিতে চলেছে, তা আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। সেই কথাই সত্যি হল।

    মার্চ মাসে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় ছাড়পত্র

    এর আগে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল মোদি সরকার (Modi Government)। একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের (T-90 Bhisma) জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়। এবার, ৬২ হাজার কোটি টাকার হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) কেনায় ছাড়পত্র দিল মোদি সরকার।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড (LCH Prachand) দেশের গর্ব

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এই সামরিক চপার (অ্যাটাক হেলিকপ্টার) তৈরি হবে কর্নাটকে হ্যালের বেঙ্গালুরু ও টুমকুরের কারখানায়। এটাই এখনও পর্যন্ত হ্যালের সবচেয়ে বড় মূল্যের প্রতিরক্ষা বরাত হতে চলেছে। এই ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এর ফলে, একদিকে যেমন ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র (LCH Prachand) বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    হ্যাল-নির্মিত ‘প্রচণ্ড’ বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

  • Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওলা-উবেরের রমরমা শেষের পথে। ওলা বা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাবকে টক্কর দিতে কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’ (Sahkar Taxi) পরিষেবা। খুব শীঘ্রই এই ক্যাব পরিষেবা আনা হবে বলে সংসদে ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সমবায়-ভিত্তিক এই পরিষেবা ক্যাব চালকদের সরাসরি সুবিধা দেবে। ওলা এবং উবরের মতো অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবার আদলে তৈরি এই উদ্যোগটি সমবায় সমিতিগুলিকে চালকদের আয় থেকে মধ্যস্থতাকারীদের কোনও কর ছাড়াই দু’চাকার যান, ট্যাক্সি, রিকশা এবং চার চাকার যানবাহন রেজিস্টারের অনুমতি দেবে।

    আসছে সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ অর্থাৎ সহযোগিতায় সমৃদ্ধিলাভের যে স্বপ্ন তাকেই সত্যি করে তুলবে এই পরিষেবা। এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটা একটা স্লোগানমাত্র নয়। সমবায় মন্ত্রক গত সাড়ে তিন বছর ধরে একে সার্থক করে তুলতে চেষ্টা করে চলেছে। আর কয়েকমাসের মধ্যে এক প্রধান সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা (Sahkar Taxi) শুরু হয়ে যাবে। যা থেকে সরাসরি লাভবান হবেন চালকরা।” কেননা এক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্থতাকারী থাকবেন না। ফলে সরাসরি লভ্যাংশ তাঁদের কাছেই যাবে।

    কেন এই ভাবনা

    ওলা, উবরের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এই প্রকল্প আনছে কেন্দ্র সরকার। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে বুকিং করতে গেলে রাইডের ভাড়ায় তারতম্য হয় বলে সম্প্রতি এক অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারী অভিযোগ জানান। এর পরই কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ) সম্প্রতি উভয় কোম্পানিকে নোটিশ জারি করে। অভিযোগের জবাবে, ওলা বৈষম্যের দাবি অস্বীকার করেছে। সিসিপিএ-কে তাদের দাবি, “আমাদের সব গ্রাহকের জন্য সমমূল্য কাঠামো রয়েছে। ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে কোনও পার্থক্য করা হয় না।” উবেরও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, “দাম কোনও যাত্রীর ফোন মডেলের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় না। আমরা কোনও যাত্রীর ফোন প্রস্তুতকারকের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করি না।” ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ধরনের বৈষম্যমূলক দাম নির্ধারণকে “অনৈতিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি” হিসেবে দাবি করেছেন।

  • LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে গত সপ্তাহেই ৬১ হাজার কোটি টাকার সামরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই আরও একটি চুক্তিতে অনুমোদন দিতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’-র (LCH Prachand) ১৫৬টি ইউনিট কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করতে পারে কেন্দ্র। এই হাল্কা অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) ভারতীয় স্থলসেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে।

    দ্বিমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি!

    কয়েকদিন আগেই, ভারতীয় সেনাপ্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বর্তমান সময়ে ভারতের সামনে দ্বিমুখী যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হওয়াটা কোনও কল্পনা নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এর সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ফলে, ভারতকে দুই দিকেই (চিন ও পাকিস্তান) প্রতিরক্ষাকে জোরদার করে রাখতে হবে। সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও দিন দ্বিমুখী সংঘাত পরিস্থিতির জন্য। আর সেই জন্য, সামরিক দিকগুলোয় যেখানে যা দুর্বলতা বা ফাঁকফোকড় রয়েছে, তা দ্রুত ভরাট করতে হবে। সূত্রের দাবি, পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে নিরাপত্তা অভিযান বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হেলিকপ্টারগুলি অধিগ্রহণের পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করছে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড দেশের গর্ব (LCH Prachand)

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এই ১৫৬টি হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-য় জোর, গুরুত্ব আত্মনির্ভর ভারত-কে

    মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে এবং আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে ইতিমধ্যেই হ্যালকে ৮৩টি এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছে এবং আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যেই, এবার ১৫৬টি এলসিএইচ-এর (LCH Prachand) বরাত পেতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার পরিষদ বা কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (এটিএজিএস) কেনার জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তিও অনুমোদন করেছে, যা বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য প্রত্যাশিত। এই হাউইৎজারগুলি ভারত ফোর্জ এবং টাটা গ্রুপ দ্বারা উৎপাদিত হবে।

  • Modi Government: মোদি জমানায় নয়া মাইলফলক, চলতি অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন কয়লা উত্তোলন ভারতের

    Modi Government: মোদি জমানায় নয়া মাইলফলক, চলতি অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন কয়লা উত্তোলন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা উত্তোলনে (Coal Production) নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল ভারত। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন (এক লক্ষ কোটি কেজি) কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক পেরিয়ে গেল। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে নয়া কৃতিত্ব অর্জন করল দেশ। এ নিয়ে এক্স মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Government) লেখেন, ‘‘এটা একটা গর্বের মুহূর্ত প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে। আমরা এক বিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক পার করেছি। এই সাফল্যে প্রতিফলিত হচ্ছে আমাদের দেশের শক্তি নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং আত্মনির্ভরতা।’’ এর পাশাপাশি এমন সাফল্য কয়লা ক্ষেত্রের সঙ্গে নিযুক্ত কর্মীদের কঠিন পরিশ্রমকেও প্রতিফলিত করছে বলে জানিয়েছেন মোদি।

    মোদি জমানায় (Modi Government) দেশের কয়লা উত্তোলন বেড়েই চলেছে

    অন্যদিকে এই মাইলফলক স্পর্শে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়বে আগামীদিনে। এর পাশাপাশি ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও ঘটবে। প্রসঙ্গত, ভারতের কয়লা উত্তোলন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৮৯৩.১৯১ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন হয়েছিল। পরের বছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা পৌঁছে যায় ৯৯৭.৮৩ মিলিয়ন টনে। আর এবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১ বিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল ভারত।

    ৩৫০ কয়লা খনিতে কাজ করেন ৫ লাখ শ্রমিক

    জানা গিয়েছে, দেশে বর্তমানে ৩৫০টি কয়লা খনি রয়েছে। ৫ লাখ শ্রমিক এই সমস্ত কয়লা খনিগুলিতে কাজ করেন। ইতিমধ্যে নিলামের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিও যাতে অংশ নিতে পারে, সে জন্য আইন সংশোধনও করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government)। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জেরেই কয়লা উত্তোলন বেড়েছে। উল্লেখ্য, দেশের ৭৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লাকে ব্যবহার করে। ফলে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধির ফলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে।

  • Alakran-L VMIMS: চিন-সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে ভারত মোতায়েন করেছে এই ঘাতক কামান

    Alakran-L VMIMS: চিন-সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে ভারত মোতায়েন করেছে এই ঘাতক কামান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-সীমান্তে (India China Border) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আর্টিলারি বা কামান-শক্তি বাড়াতে এবার স্বদেশীয় অত্যাধুনিক ‘ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম’ (ভিএমআইএমএস), সংক্ষেপে ভিমিমস্-ও বলা হয়ে থাকে, মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেনা সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষের দিকে মোতায়েনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Atmanirbhar Bharat) উদ্যোগের আওতায় দেশে তৈরি ‘আলাক্রান-এল’ নামের এই অত্যাধুনিক মর্টার (Alakran-L VMIMS) সিস্টেমের সিকিমে মোতায়েন ভারতীয় সেনাকে বিরাট বড় একটা সুবিধা প্রদান করবে এবং একইসঙ্গে ‘ড্রাগনের দেশ’কে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    সিকিমে ‘ভিমিমস্’ মোতায়েন কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে ভিমিমস্। আবার, চিন-সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের দিক দিয়ে সিকিম অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা। অতীতে, এই সিকিমেই একাধিকবার ভারত ও চিনা ফৌজের মধ্যে সংঘাত বেঁধেছে। ফলে, এই সিমান্তাঞ্চলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার (Modi Government)। যার জেরে, এবার সিকিমের উঁচু, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আলাক্রান-এল হাল্কা মর্টার সিস্টেমকে (Alakran-L VMIMS) মোতায়েন করেছে সেনা। এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) সিকিমে ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম (ভিএমআইএমএস) মোতায়েন করেছে। এই স্বনির্ভর ব্যবস্থা বাহিনীর গতিশীলতা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া বা জবাব দেওয়ার যোগ্যতা এবং গোলাবারুদের ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভারতের স্বনির্ভরতা এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির উন্নতি ঘটাবে।’’ সেনার মতে, এই সিস্টেম সমর পরিস্থিতিতে বাহিনীকে কঠিন ও দুর্গম ভূখণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ করার সুযোগ করে দেবে।

    ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম কী?

    আলাক্রান-এল মর্টার সিস্টেমে (Alakran-L VMIMS) একটি ৮১ মিমি কামান রয়েছে যা আর্মার্ড লাইট স্পেশালিস্ট ভেহিক্যেল (এএলএসভি) নামে পরিচিত একটি বিশেষ সামরিক গাড়িতে স্থাপন করা হয়। ভারতে এই গাড়িটিকে ‘আর্মাডো’ বলা হয়। এই গাড়ির দুদিকে থরে থরে সাজানো থাকে কামানের বিশেষ গোলা। এই গাড়িটির জন্য কামানটিকে অল্প সময়েই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। ফলে, দ্রুত জায়গা পাল্টে আক্রমণ করার সুযোগ পায় বাহিনী (Indian Army)। যার ফলে, সেনার সমক্ষতা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

    আলাক্রান-এল ভিমিমস্-এর কার্যকারিতা ও গুরুত্ব

    দুর্গম অঞ্চলেও যাতে সহজে মর্টার সিস্টেমকে সহজে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যায়, তা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই সিস্টেমটি। নেভিগেশন এমন ডিজাইন করা হয়েছে, যা অপারেশনাল রেসপন্সিভনেস বাড়ায়।

    এই সিস্টেমে দ্রুত কামান মোতায়েন ও গোলা নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে। দ্রুত সেটআপ এবং ফায়ারিংয়ে সহায়তা করার জন্য ‘আলাক্রান-এল’ মর্টার সিস্টেমটি (Alakran-L VMIMS) সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।

    এই সিস্টেমটি শত্রুর অবস্থানগুলিকে সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ৮১ মিমি শক্তিশালী মর্টার ব্যবহার করে সেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।

    ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Atmanirbhar Bharat) উদ্যোগকে সমর্থন করে মাহিন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেমস লিমিটেড এবং মিলানিয়ান এনটিজিএস যৌথভাবে এই সিস্টেমটি তৈরি করেছে।

    ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে জায়গা করে নিয়েছিল আলাক্রান-এল মর্টার সিস্টেম (Alakran-L VMIMS)। এতেই পরিষ্কার, ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) কাছে এর গুরুত্ব কতটা অপরিসীম।

  • Defence Acquisition: একদিনেই ৬১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের, তালিকায় কী কী?

    Defence Acquisition: একদিনেই ৬১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের, তালিকায় কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার (Defence Acquisition) বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বৃহস্পতিবার একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়।

    দেশের তিন সীমার সুরক্ষা বৃদ্ধিতে বিরাট পদক্ষেপ

    জল-স্থল-আকাশ, দেশের তিন সীমার সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে বিরাট পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Defence Acquisition) বৃহস্পতিবার এক বারেই বিপুল সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র কেনার অনুমোদন দেয়। সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে স্থলসেনার অন্যতম ভরসা টি-৯০ (T-90 Tank) যুদ্ধট্যাঙ্কের জন্য আরও উন্নত ইঞ্জিন। বর্তমানে এই ট্যাঙ্কে ব্যবহার করা হয় ১০০০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন। মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার এই ট্যাঙ্কে আরও শক্তিশালী ১৩৫০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন বসানো হবে। এই নতুন ইঞ্জিন কেনার জন্য এদিন ‘অ্যাকসেপট্যান্স অফ নেসেসিটি’ (এওএন) বা প্রয়োজনীয়তার গ্রহণযোগ্যতা প্রদান করে প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন উন্নত ইঞ্জিনের ফলে, ট্যাঙ্কটির শক্তি বনাম ওজনের অনুপাত ভালো হবে। এর ফলে, দুর্গম অঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে এই ট্যাঙ্কগুলির গতিশীলতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।

    বিপুল সংখ্যায় বরুণাস্ত্র টর্পিডো কিনবে নৌসেনা

    একইভাবে, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দেশীয়ভাবে তৈরি বরুণাস্ত্র টর্পিডো (Varunastra) কেনার জন্য অনুমোদন (Defence Acquisition) দিয়েছে কাউন্সিল। দেশীয় সংস্থা নেভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি নির্মিত জাহাজ থেকে নিক্ষেপযোগ্য এই সাবমেরিন-বিধ্বংসী টর্পিডোর বিপুল সংখ্যায় কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে, দেশের জলসীমা আরও নিরাপদ হবে। আবার, আকাশসীমার নিরাপত্তায় ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম কেনার বিষয়েও অনুমোদন দিয়েছে ডিএসি। এর ফলে, বায়ুসেনার সক্ষমতা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে, যা বিভিন্ন সমরাস্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে যুদ্ধের সম্পূর্ণ পট-পরিবর্তন করতে সক্ষম।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক ‘এটিএজিএস’

    রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একদিকে ৫৪ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় অনুমোদন (Defence Acquisition) দেওয়ার আগে, একই দিনে ৭ হাজার কোটি টাকার দেশে তৈরি ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) প্রতীক ১৫৫ মিমি অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) অধিগ্রহণের অনুমোদন দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি। সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং উচ্চ মারণশক্তির এই আর্টিলারি গান (কামান) ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যকরী ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত। ৫২ ক্যালিবার ব্যারেল সমন্বিত এটিএজিএসের পাল্লা ৪০ কিমি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনায় এর অন্তর্ভুক্তি যুদ্ধে গেমচেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। বর্তমানে সেনায় যে সমস্ত ১০৫ মিমি এবং ১৩০ মিমি আর্টিলারি গান রয়েছে, সেগুলিকে দ্রুত প্রতিস্থাপন করে এই নতুন শক্তিশালী, উন্নত এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আর্টিলারি গান মোতায়েন করা হবে। বিশেষ করে, দেশের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তে এটির মোতায়েন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং শক্তি বৃদ্ধি করে উল্লেখযোগ্য কৌশলগত সুবিধা প্রদান করবে।

    সময়ের অপচয় রুখতে নির্দেশিকা জারি…

    ২০২৫ সালকে ‘সংস্কারের বছর’ হিসাবে উদযাপন করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যে কারণে, সামরিক কেনাকাটাকে (Defence Acquisition) আরও ত্বরাণ্বিত করার ওপর জোর দিচ্ছে মোদি সরকার (Modi Government)। সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে যাতে সময়ের অপচয় না হয় এবং বিষয়টি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি গাইডলাইনও অনুমোদন করেছে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা পরিষদ। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মোদি সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) লক্ষ্যকে মাথায় রেখে বিপুল পরিমাণ দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম কেনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, সরকারের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনাথ সিং প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৩-২৪ সালে প্রতিরক্ষা উত্পাদন ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছিল। ২০২৫-২৬ সালে তা আরও অতিক্রম করে মধ্যে ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা রফতানি (India Defence Exports), যা ২১ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছিল ওই একই সময়ে, এবার তা বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

  • Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government) বড় সিদ্ধান্তে এবার কেদারনাথে (Kedarnath) যাওয়া আরও সহজ হল। মন্দির দর্শনের জন্য পাহাড়ি রাস্তায় আর ট্রেক করতে হবে না ভক্তদের। রোপওয়েতে চড়েই পৌঁছানো যাবে যাবেন কেদারনাথে। জাতীয় রোপওয়ে উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে এবার উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ের অনুমোদন দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, ১২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে পথের অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার। এই রোপওয়ে তৈরি করতে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রাপথ মাত্র ৩৬ মিনিটেই পার করা সম্ভব হবে। আধ ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে কেদারনাথ (Kedarnath)।

    প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন (Kedarnath)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের রোপওয়েটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে তৈরি ও চালানো হবে। অনুমান করা হচ্ছে রোপওয়েতে প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। বিশেষ করে প্রবীণ ভক্তদের জন্য এই রোপওয়ে খুব সুবিধাজনক হবে। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১,৯৬৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির। আপাতত সোনপ্রয়াগ থেকে ২১ কিমি পথ পেরিয়ে কেদারনাথে পৌঁছাতে হয় ভক্তদের। সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত রয়েছে ৫ কিমি রাস্তা। অন্যদিকে, গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১৬ কিমি ট্রেক করতে হয়। রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে এই পথ পাড়ি দেওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে।

    উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত রোপওয়ে

    শুধু কেদারনাথই নয়, একইসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে প্রকল্পের উন্নয়নেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্প চালু করতে মোট খরচ হবে ২,৭৩০ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। এটি হেমকুণ্ড সাহিবে আগত ভক্তদের এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে আগত পর্যটকদের পৌঁছতে সুবিধা করে দেবে।

LinkedIn
Share