Tag: Modi Government Success

  • Census 2027: মোদি সরকারের অভিনব আদমশুমারি! জিও-ট্যাগিংয়ের আওতায় আসবে দেশের সব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

    Census 2027: মোদি সরকারের অভিনব আদমশুমারি! জিও-ট্যাগিংয়ের আওতায় আসবে দেশের সব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আদমশুমারি, আর এই আদমশুমারি (Census 2027) ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে বড় তথ্য সংগ্রহ প্রকল্প হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই আদমশুমারিতে শুধুমাত্র দেশের বিপুল জনসংখ্যার গণনা করা হবে, এমনটাই নয়—এই জনগণনার সময়ে প্রত্যেকটি বাড়ি এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জিও-ট্র্যাগিং (Geo Tag) করারও পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    এতদিন ব্যবহার হত হাতে আঁকা মানচিত্র

    এই অভিনব উদ্যোগটিকে (Census 2027) ঐতিহাসিক মাইলফলকও বলা যায়। কারণ, এর মাধ্যমে সঠিক ও স্বচ্ছ তথ্য উঠে আসবে। এর আগে সাধারণভাবে হাতে আঁকা মানচিত্রের উপর নির্ভর করতে হত, এবং এগুলো ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ হত। কিন্তু এবার জিও-ট্র্যাগিংয়ের ফলে সে সমস্যা আর থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে যখন আদমশুমারি হতো, তখন কর্মীরা গ্রাম ও শহরগুলিতে ঘুরে হাতে আঁকা মানচিত্র ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে বর্তমান আমলে, যখন দ্রুত নগরায়ন ঘটছে, সেখানে উন্নয়নের গতি দেখে এই সমস্ত হাতে আঁকা মানচিত্র একেবারেই কার্যকর ছিল না।

    নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ করে ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হবে

    ২০২৭ সালের মধ্যে এই পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল লেআউট ম্যাপিং চালু হবে এবং জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ করে ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হবে। এ নিয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে (Census 2027) পূর্বের ভুল আর হবে না এবং গ্রাম ও শহরের প্রতিটি আবাসনের স্বচ্ছ রেকর্ড রাখা যাবে। এক্ষেত্রে বাড়িগুলিকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হবে—যেমন, যেখানে মানুষ বসবাস করেন সেগুলি আবাসিক, যেখানে কেউ থাকেন না সেগুলি অনাবাসিক, আংশিকভাবে বসবাসযোগ্য বাড়ি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ও সরকারি ভবন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ভারতে মোট ৩৩.০৮ কোটি বাড়ি ছিল

    ২০১১ সালের আদমশুমারির সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি পরিবার মানে একসঙ্গে থাকা এবং একই রান্নাঘর ব্যবহার করা কয়েকজন মানুষকে বোঝানো হয়। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে মোট ৩৩.০৮ কোটি বাড়ি ছিল। এর মধ্যে ৩০.৬১ কোটি ছিল বসবাসযোগ্য এবং বাকি ২.৪৬ কোটি বাড়ি ছিল খালি। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রামীণ ভারতে বাড়ির সংখ্যা ছিল ২২.০৭ কোটি এবং শহরাঞ্চলে ছিল ১১.০১ কোটি। কিন্তু বিগত দশকে দ্রুত বেড়েছে নগরায়ন। ফলে ২০২৭ সালের আদমশুমারিতে শহরাঞ্চলে বাড়ির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে, যাতে শহর পরিকল্পনা, পরিকাঠামো এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সঠিকভাবে নেওয়া যায়।

    দুটি ধাপে হবে আদমশুমারি

    জানা যাচ্ছে, ২০২৭ সালের আদমশুমারি সম্পন্ন হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপ শুরু হবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। এই পর্যায়ে হাউস লিস্টিং অপারেশন (Geo Tag) চলবে। এই ধাপে যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন, তাঁরা বিভিন্ন আবাসন, আবাসনের মালিকানা ও জিও-ট্যাগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। দ্বিতীয় ধাপে হবে আসল জনগণনা, যেটি ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশের বেশিরভাগ অংশে অনুষ্ঠিত হবে।

  • Modi Government Success: মোদি সরকারের সাফল্য, ১৭ কোটি ভারতবাসী দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    Modi Government Success: মোদি সরকারের সাফল্য, ১৭ কোটি ভারতবাসী দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government Success) ভাল কাজের স্বীকৃতি দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ১৭ কোটি (১৭১ মিলিয়ন) মানুষকে চরম দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাল তারা। এপ্রিল ২০২৫-এ প্রকাশিত “প্রভার্টি এন্ড ইক্যুয়িটি ব্রিফ অফ ইন্ডিয়া (Poverty and Equity Brief for India” রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, চরম দারিদ্র্য (প্রতিদিন ২.১৫ ডলারের নিচে আয়) ২০১১-১২ সালের ১৬.২ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে কমে এসেছে মাত্র ২.৩ শতাংশে। বিশেষ করে গ্রামীণ ভারতে এই পতন ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য—সেখানে চরম দারিদ্র্য কমেছে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে। অন্যদিকে শহরে এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ১.১ শতাংশে। ফলে, গ্রাম ও শহরের মধ্যে দারিদ্র্যের ফারাক ৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশে—যা বার্ষিক ১৬ শতাংশ হারে কমেছে।

    বহু মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank) জানিয়েছে, “গ্রামীণ চরম দারিদ্র্য ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে এবং শহুরে চরম দারিদ্র্য ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে নেমে এসেছে—ফলে গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ফারাক বছরে ১৬ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে।” ভারত এখন নিম্ন-মধ্য আয়ের (Lower Middle Income Country) তালিকায় প্রবেশ করেছে। ৩.৬৫ ডলার দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে এলএমটিসি (LMIC) দারিদ্র্যসীমায় দারিদ্র্য ৬১.৮ শতাংশ থেকে কমে ২৮.১ শতাংশ হয়েছে, যার ফলে ৩৭.৮ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠে এসেছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য সেখানে ৬৯ শতাংশ থেকে কমে ৩২.৫ শতাংশ হয়েছে, আর শহরাঞ্চলে তা ৪৩.৫ শতাংশ থেকে কমে ১৭.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

    কমেছে বহু মাত্রিক দারিদ্র

    বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল পাঁচটি রাজ্য—উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ—২০১১-১২ সালে দেশের ৬৫ শতাংশ চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করত। তারা ২০২২-২৩ সালে এই চরম দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে। তবে এই রাজ্যগুলো এখনও দেশের ৫৪ শতাংশ চরম দরিদ্র এবং ৫১ শতাংশ বহু-মাত্রিক দারিদ্র্যের (২০১৯-২১) প্রতিনিধিত্ব করে। বহু-মাত্রিক দারিদ্র্য (MPI) ২০০৫-০৬ সালে যেখানে ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, তা ২০১৯-২১ সালে কমে হয়েছে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে।

    কর্মসংস্থানে অভাবনীয় অগ্রগতি

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২১-২২ সাল থেকে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধির হার কর্মক্ষম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শহুরে বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬.৬ শতাংশ, যা ২০১৭-১৮ সালের পর সর্বনিম্ন। পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন বাড়ছে, অন্যদিকে, গ্রামীণ নারীদের কৃষিখাতে অংশগ্রহণ বেড়েছে। যদিও যুব বেকারত্বের হার ১৩.৩ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে তা ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এছাড়া, অ-কৃষিখাতে বেতনের চাকরির মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ চাকরি ফরমাল এবং অধিকাংশ কৃষিভিত্তিক কর্মসংস্থান এখনও অনানুষ্ঠানিক রয়ে গিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, স্বনির্ভরতা গ্রামীণ নারীদের মধ্যে বাড়ছে। তবে এখনও লিঙ্গ বৈষম্য প্রকট—২৩৪ মিলিয়ন বেশি পুরুষ অর্থপূর্ণ কর্মে নিযুক্ত।

    সরকারি তথ্যের সাথে মিল

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই পর্যবেক্ষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, গত এক দশকে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের বাইরে এসেছে। সরকারের হাউসহোল্ড কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে অনুযায়ী, ১.৯০ ডলার পিপিপি-র দারিদ্র্যসীমার নিরিখে ভারতের চরম দারিদ্র্য ২০২৩-২৪ সালে ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এলএমআইসি ৩.৬৫ ডলার পিপিপি দারিদ্র্যসীমায় দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ৫২ শতাংশ ছিল, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে হয়েছে ১৫.১ শতাংশ। এসবিআই বা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারতের গ্রামীণ দারিদ্র্য কমে হয়েছে ৪.৮৬ শতাংশ (২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ছিল ২৫.৭ শতাংশ), এবং শহুরে দারিদ্র্য নেমেছে ৪.০৯ শতাংশে। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, নগরায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, কৃষি সংস্কার ও সামাজিক কল্যাণমূলক নীতির সফল বাস্তবায়নের ফলে ভারত দারিদ্র্য হ্রাসে এক বিশাল সাফল্যের নজির গড়েছে। নারীশক্তির অংশগ্রহণ বেড়েছে। আত্মনির্ভর হচ্ছে দেশ।

LinkedIn
Share