Tag: Modi Government

Modi Government

  • Defence Acquisition: একদিনেই ৬১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের, তালিকায় কী কী?

    Defence Acquisition: একদিনেই ৬১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের, তালিকায় কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার (Defence Acquisition) বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বৃহস্পতিবার একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়।

    দেশের তিন সীমার সুরক্ষা বৃদ্ধিতে বিরাট পদক্ষেপ

    জল-স্থল-আকাশ, দেশের তিন সীমার সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে বিরাট পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Defence Acquisition) বৃহস্পতিবার এক বারেই বিপুল সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র কেনার অনুমোদন দেয়। সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে স্থলসেনার অন্যতম ভরসা টি-৯০ (T-90 Tank) যুদ্ধট্যাঙ্কের জন্য আরও উন্নত ইঞ্জিন। বর্তমানে এই ট্যাঙ্কে ব্যবহার করা হয় ১০০০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন। মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার এই ট্যাঙ্কে আরও শক্তিশালী ১৩৫০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন বসানো হবে। এই নতুন ইঞ্জিন কেনার জন্য এদিন ‘অ্যাকসেপট্যান্স অফ নেসেসিটি’ (এওএন) বা প্রয়োজনীয়তার গ্রহণযোগ্যতা প্রদান করে প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন উন্নত ইঞ্জিনের ফলে, ট্যাঙ্কটির শক্তি বনাম ওজনের অনুপাত ভালো হবে। এর ফলে, দুর্গম অঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে এই ট্যাঙ্কগুলির গতিশীলতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।

    বিপুল সংখ্যায় বরুণাস্ত্র টর্পিডো কিনবে নৌসেনা

    একইভাবে, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দেশীয়ভাবে তৈরি বরুণাস্ত্র টর্পিডো (Varunastra) কেনার জন্য অনুমোদন (Defence Acquisition) দিয়েছে কাউন্সিল। দেশীয় সংস্থা নেভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি নির্মিত জাহাজ থেকে নিক্ষেপযোগ্য এই সাবমেরিন-বিধ্বংসী টর্পিডোর বিপুল সংখ্যায় কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে, দেশের জলসীমা আরও নিরাপদ হবে। আবার, আকাশসীমার নিরাপত্তায় ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম কেনার বিষয়েও অনুমোদন দিয়েছে ডিএসি। এর ফলে, বায়ুসেনার সক্ষমতা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে, যা বিভিন্ন সমরাস্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে যুদ্ধের সম্পূর্ণ পট-পরিবর্তন করতে সক্ষম।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক ‘এটিএজিএস’

    রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একদিকে ৫৪ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় অনুমোদন (Defence Acquisition) দেওয়ার আগে, একই দিনে ৭ হাজার কোটি টাকার দেশে তৈরি ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) প্রতীক ১৫৫ মিমি অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) অধিগ্রহণের অনুমোদন দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি। সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং উচ্চ মারণশক্তির এই আর্টিলারি গান (কামান) ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যকরী ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত। ৫২ ক্যালিবার ব্যারেল সমন্বিত এটিএজিএসের পাল্লা ৪০ কিমি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনায় এর অন্তর্ভুক্তি যুদ্ধে গেমচেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। বর্তমানে সেনায় যে সমস্ত ১০৫ মিমি এবং ১৩০ মিমি আর্টিলারি গান রয়েছে, সেগুলিকে দ্রুত প্রতিস্থাপন করে এই নতুন শক্তিশালী, উন্নত এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আর্টিলারি গান মোতায়েন করা হবে। বিশেষ করে, দেশের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তে এটির মোতায়েন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং শক্তি বৃদ্ধি করে উল্লেখযোগ্য কৌশলগত সুবিধা প্রদান করবে।

    সময়ের অপচয় রুখতে নির্দেশিকা জারি…

    ২০২৫ সালকে ‘সংস্কারের বছর’ হিসাবে উদযাপন করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যে কারণে, সামরিক কেনাকাটাকে (Defence Acquisition) আরও ত্বরাণ্বিত করার ওপর জোর দিচ্ছে মোদি সরকার (Modi Government)। সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে যাতে সময়ের অপচয় না হয় এবং বিষয়টি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি গাইডলাইনও অনুমোদন করেছে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা পরিষদ। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মোদি সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) লক্ষ্যকে মাথায় রেখে বিপুল পরিমাণ দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম কেনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, সরকারের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনাথ সিং প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৩-২৪ সালে প্রতিরক্ষা উত্পাদন ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছিল। ২০২৫-২৬ সালে তা আরও অতিক্রম করে মধ্যে ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা রফতানি (India Defence Exports), যা ২১ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছিল ওই একই সময়ে, এবার তা বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

  • Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government) বড় সিদ্ধান্তে এবার কেদারনাথে (Kedarnath) যাওয়া আরও সহজ হল। মন্দির দর্শনের জন্য পাহাড়ি রাস্তায় আর ট্রেক করতে হবে না ভক্তদের। রোপওয়েতে চড়েই পৌঁছানো যাবে যাবেন কেদারনাথে। জাতীয় রোপওয়ে উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে এবার উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ের অনুমোদন দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, ১২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে পথের অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার। এই রোপওয়ে তৈরি করতে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রাপথ মাত্র ৩৬ মিনিটেই পার করা সম্ভব হবে। আধ ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে কেদারনাথ (Kedarnath)।

    প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন (Kedarnath)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের রোপওয়েটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে তৈরি ও চালানো হবে। অনুমান করা হচ্ছে রোপওয়েতে প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। বিশেষ করে প্রবীণ ভক্তদের জন্য এই রোপওয়ে খুব সুবিধাজনক হবে। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১,৯৬৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির। আপাতত সোনপ্রয়াগ থেকে ২১ কিমি পথ পেরিয়ে কেদারনাথে পৌঁছাতে হয় ভক্তদের। সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত রয়েছে ৫ কিমি রাস্তা। অন্যদিকে, গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১৬ কিমি ট্রেক করতে হয়। রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে এই পথ পাড়ি দেওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে।

    উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত রোপওয়ে

    শুধু কেদারনাথই নয়, একইসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে প্রকল্পের উন্নয়নেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্প চালু করতে মোট খরচ হবে ২,৭৩০ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। এটি হেমকুণ্ড সাহিবে আগত ভক্তদের এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে আগত পর্যটকদের পৌঁছতে সুবিধা করে দেবে।

  • Budget 2025: আগামী সপ্তাহে আসছে নয়া আয়কর বিল, কী কী সুবিধা মিলবে করদাতাদের?

    Budget 2025: আগামী সপ্তাহে আসছে নয়া আয়কর বিল, কী কী সুবিধা মিলবে করদাতাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যক্ষ কর তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স ব্যবস্থায় এবার বড়সড় সংস্কার আনতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। আজ শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Budget 2025) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কারের কথা স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, নতুন আয়কর বিল তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড (New Income Tax Bill) আগামী সপ্তাহে সংসদে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, নতুন এই কর আইনটি আয়কর সংক্রান্ত জটিলতা একেবারেই কমাতে সক্ষম হবে। এর পাশাপাশি, দেশের বিপুল সংখ্যক করদাতাদের জন্য এটি আরও সহজবোধ্য হবে। পাশাপাশি, নয়া এই আইনের লক্ষ্য হতে চলেছে কর সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা হ্রাস করা। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ক আইনের কিছু অস্পষ্টতা দূর করাও এই সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য বলেই মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

    কেন প্রয়োজন নতুন প্রত্যক্ষ কর বিধি (Budget 2025)?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আমাদের দেশে ১৯৬১ সালের আয়কর আইন কার্যকর রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কর দেন দেশের নাগরিকরা। জানা গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংশোধনের মাধ্যমে অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে এই আইনটি (Budget 2025)। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে এই আইনে ২৩টি অধ্যায় ও ২৯৮টি ধারা রয়েছে, যা সাধারণ করদাতাদের জন্য বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে, নতুন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে আয়কর আইনের পৃষ্ঠাসংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ কমানো হবে। এছাড়া, নয়া আয়কর আইন আনার উদ্দেশ্য হল দেশের কর ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল উপযোগী করে তোলা। নতুন প্রত্যক্ষ কর বিধির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি ঠিক কী কী। সেই নিয়েই আমাদের আলোচনা।

    নয়া বিধির মূল বৈশিষ্ট্য (Budget 2025)

    ১. আয়কর কাঠামো সরল করা

    বর্তমানে আয়কর ব্যবস্থায় (Budget 2025) দুই ধরনের কর ব্যবস্থা চালু রয়েছে (পুরনো কর ব্যবস্থা ও নতুন কর ব্যবস্থা) রয়েছে। তবে নতুন বিধি চালু হলে দুটি বিকল্প ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে দেশের সব নাগরিকদের করদাতাদের জন্য একটি অভিন্ন কর কাঠামো কার্যকর হবে।

    ২. অর্থবর্ষ ও হিসাববর্ষের বিভ্রান্তি দূর করা

    বর্তমান ব্যবস্থায় আর্থিক বছর (FY) এবং হিসাব বর্ষ (AY) রয়েছে। এটা নিয়ে অনেক করদাতাই বিভ্রান্ত হয়ে যান। নতুন প্রত্যক্ষ কর তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স ব্যবস্থায় খুব সম্ভবত এই আলাদা আলাদা বছরের ব্যাখা বিলুপ্ত করা হবে, এরফলে কর প্রদানের সময়ে করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

    ৩. করের হার সংক্রান্ত পরিবর্তন (Budget 2025)

    নতুন বিধি অনুযায়ী, উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে করের হার কমানোও হতে পারে। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে? সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি হল—

    উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে (বর্তমানে ৩০ শতাংশ + সারচার্জ রয়েছে)।

    ডিভিডেন্ড ইনকাম (যা বর্তমানে করদাতার আয়ের সঙ্গে যোগ করে স্ল্যাব অনুযায়ী কর নির্ধারণ করা হয়) ১৫ শতাংশ নির্দিষ্ট হার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে

    ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের জন্য পৃথক মূলধনী লাভ কর (Capital Gains Tax) কাঠামো বাতিল করে অভিন্ন করহার চালু করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৪. বিমা নীতির আয়ের ওপর বসতে পারে কর

    বর্তমানে এলআইসি-র মতো জীবন বিমা একেবারে আয় করমুক্ত। তবে নতুন বিধিতে এই আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে কর বসানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৫. কর নিরীক্ষার দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে

    বর্তমানে কর নিরীক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে (Tax Audit) শুধুমাত্র চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টরাই (CA) করতে পারেন। তবে নতুন আইনে কোম্পানি সেক্রেটারি (CS) এবং কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (CMA) জন্যও কর নিরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সরকার কীভাবে নতুন আইন তৈরি করছে?

    জানা গিয়েছে, এই আইন প্রণয়নের আগে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটির অধীনে ছিল ২২টি সাব-কমিটি। এরাই বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করেছে। এছাড়া, গত বছরের অক্টোবর মাসে এবিষয়ে সরকার সাধারণ জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতও আহ্বান করে। জানা গিয়েছে, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে ৭,০০০টির বেশি পরামর্শ জমা পড়ে।

    নতুন আয়কর আইন: কী প্রভাব ফেলবে?

    সাধারণ করদাতাদের জন্য সহজতর হতে চলেছে কর ব্যবস্থা

    কর দাখিলের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সরল হবে

    ব্যবসা ও করপোরেট সংস্থাগুলোর জন্য কম জটিলতা

    উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে করের বোঝা বাড়তে পারে

    এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়িত হলে ভারতের আয়কর ব্যবস্থায় বৃহৎ পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করছেন অনেকে। এরফলে, করদাতাদের অভিজ্ঞতা সহজ করবে ও আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে।

  • Budget 2025: ১২ লাখ পর্যন্ত দিতে হবে না আয়কর, বাজেটে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    Budget 2025: ১২ লাখ পর্যন্ত দিতে হবে না আয়কর, বাজেটে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Budget 2025) আয়কর ছাড় ১২ লাখ পর্যন্ত, বড় ঘোষণা মোদি সরকারের (Modi Government)। চাকরিজীবীদের এই ছাড় হবে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কারণ তাঁরা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ছাড় পান। এর ফলে খুশির হাওয়া মধ্যবিত্ত মহলে। এদিন বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় আমাদের মূল লক্ষ্যই হল ব্যক্তিগত আয়করে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সুরাহা দেওয়া। সেই সঙ্গে স্বেচ্ছায় আয় ঘোষণার পথ প্রশস্ত করা। তা ছাড়া উৎসমূলে কর আদায়ের হার কমিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা করে দেওয়া।’’ এরপরেই নির্মলা সীতারামন এদিন ঘোষণা করেন ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। একইসঙ্গে ষাটোর্ধ্ব বা প্রবীণ নাগরিকদের প্রাপ্ত সুদের ওপর কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ১ লক্ষ টাকা।

    নয়া কর কাঠামো

    বাজেটে জানানো হয়েছে, নতুন কর কাঠামোয় শূন্য থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ। এর পর চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে পাঁচ শতাংশ, আট থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ  কর দিতে হবে। তবে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে বিভিন্ন ভাবে করে ছাড় দেবে সরকার। যার জেরে, ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত হবে। এছাড়া, চাকরিজীবীরা অতিরিক্ত ৭৫ হাজারের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পান। ফলে, তাঁদের ক্ষেত্রে, এই ঊর্ধ্বসীমা ১২.৭৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ।

    এর পর, ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা যাঁদের আয়, তাঁদের দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স। ১৬ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে। ২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা আয়ে ২৫ শতাংশ। এরপর ২৪ লাখের বেশি রোজগার হলে ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে। গত বছরের বাজেটে আয়করে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ থেকে ৭৫ হাজার করা হয়েছিল। এবছর, তাতে বদল করা হয়নি।

    এছাড়া অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন, আগামী সপ্তাহে পেশ করা হতে চলেছে নতুন আয়কর বিল। একইসঙ্গে প্রবীণদের জন্যও বড় ঘোষণা করা হল এদিনের বাজেটে। ৫০ হাজার থেকে বেড়ে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় পাবেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, প্রবীণদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে সুখবর। অন্যদিকে, ২ লক্ষ ৪০ হাজার বেড়ে টিডিএস-এ ৬ লক্ষ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হল। নতুন বিলে আয়কর কাঠামো আরও সরল করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    শুক্রবারই দুর্গা এবং লক্ষ্মীর আশীর্বাদ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল শুক্রবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাজেট জনকল্যাণমুখী হতে চলেছে।গতকালই তিনি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য দুর্গা এবং লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদ কামনা করেছিলেন।শনিবার বাজেট পেশের সময় সেটাই স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

  • 8th Pay Commission: আগামী বছর থেকেই অষ্টম বেতন কমিশন, কত মাইনে বাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের? 

    8th Pay Commission: আগামী বছর থেকেই অষ্টম বেতন কমিশন, কত মাইনে বাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তিতে কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের উপহার দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বৃহস্পতিবার অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ফের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। ন্যূনতম বেতন কত হবে, কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, মহার্ঘভাতায় কতটা বৃদ্ধি দেখা যাবে, সবই এখন আলোচনা সাপেক্ষ। তবে, অষ্টম পে কমিশন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই লাগু হতে চলেছে, বলে খবর। খুব শীঘ্রই এই কমিশনের জন্য চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে নিয়োগ করবে কেন্দ্র, জানিয়েছেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    কত টাকা হবে বেতন

    শেষবার ২০১৬ সালে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করেছিল কেন্দ্র। শেষ গঠিত কমিশনের হাত ধরে এক ধাক্কায় ১১ হাজার টাকা বেসিক পে বেড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। এবার পালা অষ্টম বেতন কমিশনের (8th Pay Commission) । শোনা যাচ্ছে এবার, ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ ২.৫৭ থেকে বাড়িয়ে ২.৮৬ হতে পারে। এর অর্থ কর্মীদের বেসিক বেতন বাড়বে হু হু করে। অর্থাৎ কারও বেসিক বেতন যদি ১৮ হাজার টাকা থাকে, তাঁর বেসিক বেতন বেড়ে হবে ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা। ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ হল বেতন এবং পেনশন গণনার জন্য ব্যবহৃত একটি একক। ৫০ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এর ফলে বেসিক থেকে, অ্য়ালাওন্সেস, পেনশন ও অন্য়ান্য সুযোগ সুবিধা- সবেতেই লাভবান হবেন। এর জেরে একদিকে ডিএ বাড়বে, বাড়বে পেনশনভোগীদের ডিআর। প্রসঙ্গত, ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগীরা এই পে কমিশনের সুবিধা পাবেন। স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়ে গিয়েছে হিসেব কষা।

    রাজ্যের সঙ্গে ফারাক

    বেতন কমিশন (8th Pay Commission) নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘অষ্টম বেতন কমিশনের সিদ্ধান্তে জীবনযাত্রার মান বাড়বে, কেনাকাটার বাজার চাঙ্গা হবে।’’ কেন্দ্রীয় সচিবালয় সার্ভিস ফোরাম এই সিদ্ধান্তের জন্য মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, নয়া কমিশন রাজ্য সরকার ও সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারপরই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে এখন ষষ্ঠ বেতন কমিশন চলছে। যার মেয়াদ ২০২৫-এর শেষে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। আজ কেন্দ্রের (Modi Government) সিদ্ধান্তের পরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করবে? এমনিতেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক এখন ৩৯ শতাংশ। এরপর তা আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 8th Pay Commission: অষ্টম পে কমিশনকে অনুমোদন মোদি সরকারের, মমতাকে ডিএ নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

    8th Pay Commission: অষ্টম পে কমিশনকে অনুমোদন মোদি সরকারের, মমতাকে ডিএ নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় কর্মরত চাকরিজীবীদের বেতন ও মহার্ঘভাতার কাঠামো নির্ধারণ করে থাকে এই বেতন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেয় বেতন বৃদ্ধির বিষয়েও। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির নেতৃত্বেই নতুন বেতন কমিশন গঠনে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। যদিও এই খবর সামনে আসতে না আসতেই রাজ্যকে তীব্র খোঁচা দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ঠিক কতটা ‘বঞ্চনার’ শিকার হচ্ছেন সেই তথ্য তুলে ধরে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ রাজ্যকে

    কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ৩৯ শতাংশ। দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ কেন্দ্রিক মামলার শুনানি বছরের পর বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিরা অবসর নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানির দিন ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে কেন্দ্র সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের অনুমোদন দিতেই শুভেন্দু লেখেন, “যশস্বী প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অষ্টম পে-কমিশনের অনুমোদন দিয়েছেন। যার ফলে ৪৯ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৮ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।” এরপরই রাজ্যের বৈষম্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে খোঁচা দিয়ে লিখছেন, “ঋণে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার ষষ্ঠ পে-কমিশনে বাঁধা পড়ে রয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের পরদিন ঋণ বাড়িয়ে চলেছেন।”  

    অষ্টম বেতন কমিশনের ফলে সুবিধা

    বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে অষ্টম পে কমিশন (8th Pay Commission) গঠনের। গঠিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি কমিটিও। প্রসঙ্গত, সপ্তম পে কমিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের আগামী ৩১ ডিসেম্বর। সুতরাং ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি লাগু হতে চলেছে অষ্টম পে কমিশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘শীঘ্রই কমিশনের জন্য চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে নিয়োগ করবে কেন্দ্র।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে পাকিস্তান। তার জেরে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের। এই সুযোগটাকেই সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়ে দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বুধবার দুবাইয়ে আলোচনার টেবিলে বসলেন ভারত ও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা (India Taliban Officials Meet)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রিম মিস্রির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির। উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিক।

    আলোচনার টেবিলে ভারত-আফগানিস্তান (India Taliban Officials Meet)

    ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের এমন বৈঠক হল। এই বৈঠকের ঠিক দু’সপ্তাহ আগেই আফগানিস্তানের মাটিতে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। এই হামলার দু’সপ্তাহের মাথায় কাছাকাছি এল ভারত ও আফগানিস্তান। সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে (India Taliban Officials Meet) আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর (Chabahar Port) থেকে পণ্য চলাচল পরিবহণ ও ক্রিকেট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    ট্র্যাক-টু কূটনীতি

    প্রসঙ্গত, গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও, এখনও রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত-সহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মোদি সরকারও (Modi Government) তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি (India Taliban Officials Meet)। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লি-কাবুল কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এহেন আবহে মোদি সরকার ট্র্যাক-টু কূটনীতির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে আফগানিস্তানের শাসকদের সঙ্গে। বিপদের সময় পাশে থাকায় ভারত সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আফগানিস্তানের মন্ত্রী। দুই দেশই ভারত ও আফগানিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ওপর জোর দেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ভারত-আফগানিস্তান কাছাকাছি চলে আসায় প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারত ও আফগানিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে (India Taliban Officials Meet) পাকিস্তানকে আরও একবার মাত দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (Modi Government)। এর আগে আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ‘মানবিক সাহায্য’ পাঠিয়েছিল ভারত। এদিনের বৈঠকে সেজন্য নয়াদিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রী। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। মৃত্যু হয়েছিল মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। সোমবারই ওই হামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল ভারত। তার ঠিক দু’দিনের মধ্যেই আলোচনার টেবিলে বসে গেল নয়াদিল্লি ও কাবুল (India Taliban Officials Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: নতুন বছরে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের, কৃষকদের জন্য ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের

    Modi Government: নতুন বছরে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের, কৃষকদের জন্য ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে কৃষকদের জন্য বড় উপহার দিল মোদি সরকার (Modi Government)। এদিন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রথম ক্যাবিনেট বা মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখান থেকেই কৃষকদের জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করা হল। কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ‘ফসল বিমা যোজনা’ (PM Fasal Bima Yojna) স্কিমকে আরও এক বছরের জন্য বর্ধিত করল। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্যও এই স্কিম চালু থাকবে কৃষকদের জন্য। শুধু তাই নয়, এই স্কিমে (PM Fasal Bima Yojana) এবার ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

    কৃষকদের জন্য নতুন বছরের উপহার

    ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) নেতৃত্বে বুধবার কৃষকদের জন্য নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে (Crop Insurance) আরও অতিরিক্ত ৮২৪ কোটি টাকার ফান্ড বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র, যাতে কৃষিক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডলে এদিন একটি পোস্ট শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘আমাদের সরকার কৃষকদের কথা চিন্তা করে নানারকম উদ্যোগ নিয়ে থাকে। আমরা আমাদের দেশের সমস্ত কৃষক ভাই-বোনেদের জন্য গর্বিত যাঁরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। ২০২৫-এর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক সেই কৃষকদের সমৃদ্ধির জন্যই উৎসর্গ করা হল। আমি খুশি যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত সেখানে নেওয়া হয়েছে’।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত

    এদিনের মন্ত্রিসভার (Modi Government) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য কৃষকদের সুবিধার্থে ফসল বিমা যোজনায় (PM Fasal Bima Yojna) আরও ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসল নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে কৃষকদের সাহায্য করবে এই বিমা। এই স্কিমের প্রয়োগের জন্য বড় মাপের প্রযুক্তিগত উপাদানের প্রয়োজন হয়, যার জন্য বরাদ্দ ফান্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ফান্ড ফর ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯টি রাজ্যে এই প্রযুক্তি অবলম্বন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অসম, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক ইত্যাদি।

    সারের দাম নিয়ন্ত্রণ

    কেন্দ্রের (Modi Government) তরফে জানানো হয়েছে, কৃষকদের কাছে যাতে সস্তায় রাসায়নিক সার বা ডি-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের (De-ammonium phosphate) এর যোগান থাকে, তা নিশ্চিত করতে নতুন করে ৩৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএপি সারের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৫০ কেজির বস্তার দাম পড়বে ১৩৫০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে রাসায়নিক সারের দাম আকাশছোঁয়া। খোলা বাজারে রাসায়নিক সারের (DAP) ৫০ কেজি বস্তার দাম ৩০০০ টাকারও বেশি। কৃষকদের সহযোগিতা করার জন‍্যই এই সারের দাম বেঁধে দেওয়া হল। অতিরিক্ত টাকা ভর্তুকি হিসেবে বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: মহিলা ক্ষমতায়নে নয়া প্রকল্প মোদি সরকারের, ৩৮০০ কিশোরীকে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ

    Modi Government: মহিলা ক্ষমতায়নে নয়া প্রকল্প মোদি সরকারের, ৩৮০০ কিশোরীকে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী ক্ষমতায়নের (Woman Empowerment) বিশেষ বার্তা দিতে চলেছে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসা মোদি সরকার (Modi Government)। মহিলা ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিতে গোটা দেশে নানা প্রকল্প আনা হয়েছে। এবার মহিলাদের মধ্যে স্বনির্ভরতার হার বাড়াতে ‘ডোর টু ডোর পাইলট প্রজেক্ট’ আনছে কেন্দ্র। ইচ্ছুক কিশোরীদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দিতে চলেছে মোদি সরকার (Modi Government)। দেশের অর্থনীতিতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মহিলাদের শ্রমশক্তির হার বাড়ানোই কেন্দ্রের লক্ষ্য।

    নারী কল্যাণে সরকারের নয়া উদ্যোগ

    এর আগেও একাধিকবার মোদি সরকার (Modi Government) নারী সুরক্ষা, নারী অগ্রাধিকার কর্মসূচির উপর জোর দিয়েছে। পুরুষদের সঙ্গে একই সারিতে নারীদেরও এগিয়ে রাখতে একাধিক জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বহু সামাজিক প্রকল্প আনা হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আনা হয়েছে নয়া আইনও। নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত মহিলাদের প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে ধরেছে কেন্দ্র। এবার দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রক (MSDE) এবং নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক (MWCD) একসঙ্গে একটি পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে।  ১৯টি রাজ্যের ২৭টি জেলায় ৩৮০০ কিশোরীকে প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এই মেয়েরা আইটি, হসপিটালিটি, এবং গ্রিন জবস-সহ অপ্রচলিত সেক্টরে কাজের দক্ষতা অর্জন করবে (Modi Government)।

    আরও পড়ুন: পাহাড়কেও হার মানাচ্ছে পুরুলিয়া! নতুন বছরে শীতের এই আমেজ চলবে কতদিন?

    প্রকল্পের খুঁটিনাটি

    প্রতিভাসম্পন্ন মেয়েদের উৎসাহিত করতে সরকারের (Modi Government) তরফে নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণরত কিশোরীদের জন্য থাকা-খাওয়ার খরচ বহন করবে সরকার। যাতায়াত ভাতা, চাকরির পর একটি স্টাইপেন্ডের ব্যবস্থাও করা হবে। এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়েদের স্বাস্থ্যের যত্ন, সুস্থতা এবং কেরিয়ার সম্পর্কেও পরামর্শ দেওয়া হবে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের (Modi Government) তরফে প্রতিটি জেলায় কিশোরীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পে নির্বাচিত চাকরির মধ্যে রয়েছে নন-ক্লিনিক্যাল কেয়ারটেকার, প্লে স্কুল ফ্যাসিলিটেটর, সহকারী ক্রেশ কেয়ারটেকার, এবং কেয়ার হোম সুপারভাইজার। প্রতিটি কাজের জন্য ৩২ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, “এই প্রকল্পের লক্ষ্য মহিলাদের ক্ষমতায়ন (Woman Empowerment), মহিলা শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা।” প্রাথমিক পর্যায়ে এই প্রকল্প সফল হলে এটি আরও জেলা ও রাজ্যে সম্প্রসারিত করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NCRTC: আপনি কি রিল বানান? নমো ভারত ট্রেনে বানিয়ে জিততে পারেন দেড় লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    NCRTC: আপনি কি রিল বানান? নমো ভারত ট্রেনে বানিয়ে জিততে পারেন দেড় লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমে রিল তৈরি করা অনেকেরই নেশা। কেউ কেউ আবার আয়ের খোঁজেও কাজ করছেন। ঘরে-বাইরে, রাস্তায়, প্রকৃতি, ট্রেন-বাস ইত্যাদি জায়গায় ব্যাপকভাবে রিল বানান এক শ্রেণির যুবক-যুবতীরা। কখনও কথন আবার কখনও অভিনয়-নাচে আকর্ষণ করেন সামজিক মাধ্যমের দর্শকদের। আবার পথ চলতি মানুষ বিরক্তও হন। এবার এই রিলকে লাভজনক ব্যবসা করতে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) বিশেষ ভাবনা নিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা এনসিআরটিসি (NCRTC) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগিতার নাম, ‘নমো ভারত শর্ট ফিল্ম মেকিং কম্পিটিশন’।

    প্রতিযোগিতার শর্ত কী (NCRTC)?

    এই প্রতিযোগিতায় (NCRTC) অংশগ্রহণকারীদের একটি শর্ট ফিল্ম বা রিল তৈরি করতে হবে। তবে শর্ত একটাই ওই শর্ট ফিল্ম বা রিল অত্যাধুনিক নমো ভারত ট্রেন এবং আরআরটিএস বা রিজিওনাল র‌্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম স্টেশন থাকতে হবে। কলেজ ছাত্র থেকে চলচ্চিত্র বা কন্টেন্ট নির্মাতা অথবা চাকরিজীবী বা ব্যবসা যে কেউ এই প্রতিযগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সকলের জন্য এই প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত। নির্দিষ্ট কোনও ধরাবাধা নিয়ম নেই। কেবল মাত্র আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাগুলিকে সুকুশল ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

    রিল জমা করার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর

    আরআরটিএস স্টেশন এবং নমো ভারত ট্রেনে প্রায় বিনামূল্যেই এই উচ্চমানের ভিডিও তোলা যাবে। আলাদা করে অতরিক্ত খরচ লাগবে না। তবে যাঁরা অংশ গ্রহণ করবেন তাঁদের হিন্দি বা ইংরেজি ভাষায় রিল তৈরি করে রিল জমা (NCRTC) দিতে হবে। সমস্ত রিল এমপি ৪ বা এমওভি ফর্ম্যাটে জমা দিতে হবে। তবে ন্যূনতম রেজোলিউশন হতে হবে ১০৮০কিউ। রিল জমা করার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর। প্রতিযোগীরা সাবটাইটেল দিতে চাইলে দিতে পারেন, কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    কোন ঠিকানায় আবেদন করবেন?

    একই ভাবে প্রতিযোগীদের (NCRTC) অংশগ্রহণ করতে গেলে রিল নির্মাতাদের pr@ncrtc.in এই ঠিকানায় ইমেল করতে হবে। ইমেলের বিষয় হিসেবে লিখতে হবে, অ্যাপ্লিকেশন ফর নমো ভারত শর্ট ফিল্ম মেকিং কম্পিটিশন। একই ভাবে প্রতিযোগীতায় রিল নির্মাতার সম্পূর্ণ নাম, ১০০ শব্দের মধ্যে কাহিনীর সংক্ষিপ্তসার এবং রিলের আনুমানিক সময়কাল লিখে জানাতে হবে। মূল্যায়নের (Modi Government) পর তিনজন বিজয়ীকে নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথমস্থান অধিকারী পাবেন দেড় লক্ষ টাকা। দ্বিতীয়স্থান অধিকারী পাবেন এক লক্ষ টাকা এবং তৃতীয়স্থান অধিকারী পাবেন ৫০ হাজার টাকা। তবে জয়ীদের রিল বা ভিডিও এনসিআরটিসির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share