Tag: Modi Government

Modi Government

  • Scrap Selling: আবর্জনা বেচেই ১,১৬৩ কোটি! মোদি সরকারের নয়া রেকর্ড 

    Scrap Selling: আবর্জনা বেচেই ১,১৬৩ কোটি! মোদি সরকারের নয়া রেকর্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র কাগজের ফাইল, খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা (Scrap Selling) বিক্রি করেই ১,১৬৩ কোটি টাকা আয় করল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এইসব আবর্জনা বিক্রি করে সরকার আয় করেছে ১,১৬৩ কোটি টাকা। ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযান ভারতের কাছে ২০০৩ সালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই অভিযানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। আর আবর্জনা বিক্রি করেই তার দ্বিগুণ টাকা তুলে ফেলল মোদি সরকার (Modi Government)। যা এক নয়া রেকর্ড।

    রেকর্ড আয়

    ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র দৌলতে গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি তথ্য এখন কম্পিউটারেই নথিবদ্ধ করা হয়। সেই কারণে কাগজে লেখার চল আর তেমন নেই বললেই চলে। ফলে ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর সাফাই অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৯৬ লক্ষ কাগজের নথিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অফিসগুলিতে প্রায় ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে। শুধুমাত্র চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই আয় হয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা। প্রায় ২৪ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল হয়েছে চলতি বছরেই। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভেন্স বিভাগের সচিব, ভি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ওই এক মাসে, ভারতে এবং বিদেশের ২,৫৮,৬৭৩টি অফিসে স্বচ্ছতা অভিযান (Scrap Selling) চলেছে।

    আরও পড়ুন: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি

    কোন মন্ত্রকের কত আয়

    আবর্জনা বিক্রির (Scrap Selling) ৫৫৭ কোটি টাকার মধ্যে মোদি সরকারের (Modi Government) সিংহভাগ এসেছে রেল মন্ত্রক থেকে। তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এর পর রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, আয় ১৬৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। আয় ৫৬ কোটি টাকা। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে কয়লা মন্ত্রক, আয় ৩৪ কোটি টাকা। তবে, তারা আবার অফিসের জায়গা খালি করার দিক থেকে সবার আগে আছে। কয়লা মন্ত্রক খালি করেছে ৬৬ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। এরপর রয়েছে ভারী শিল্প মন্ত্রক, ২১ লক্ষ বর্গফুট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খালি করেছে, ১৯ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস। বিদেশ মন্ত্রক চলতি বছরে প্রায় ৩.৯ লক্ষ ফাইল বাতিল করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IPC Bill 2023: সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই পেশ হবে ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩! ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    IPC Bill 2023: সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই পেশ হবে ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩! ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনেই আইপিসি বিল ২০২৩ (IPC Bill 2023) পেশ করতে পারে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার কেন্দ্রের তরফে ১৮টি বিল নিয়ে আলোচনার জন্য তালিকাভুক্তির নোটিশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তার মধ্যেই রয়েছে আইপিসি বিলটিও। এই বিল নিয়ে বিস্তর আপত্তি তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তবে মোদি সরকার যে সে সবে বিশেষ আমল দিচ্ছে না, এই নোটিশ জারিই তার প্রমাণ।

    কী বলেছিলেন অমিত শাহ?

    সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিন ১১ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানিয়েছিলেন, ১৮৬০ সালে তৈরি আইপিসি প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা দিয়ে (IPC Bill 2023)। ১৮৯৮ সালের ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল দিয়ে। আর ১৮৭২ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় সাক্ষ্য বিল দ্বারা। সেই সময়ই বিল তিনটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এনিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার প্রেক্ষিতেই আপত্তি জানান বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি দল।

    পেশ হবে ১৮টি বিল

    এ ছাড়াও (IPC Bill 2023) আরও বেশ কয়েকটি বিল এই অধিবেশনেই আনতে চলেছে মোদি সরকার। বকেয়া ১১টি বিলও রয়েছে এর মধ্যে। নতুন বিল পেশ হবে ৭টি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২৩ পেশ হতে পারে। পোস্ট অফিস বিলটি আটকে রয়েছে রাজ্য সভায়। সেটিও পাশ করাবে সরকার। সচরাচর শীতকালীন অধিবেশন বসে নভেম্বরের মাঝামাঝি। এ বছর এই সময়টায় হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন বিরোধীরাও। সেই কারণেই ঠিক হয়, অধিবেশন বসবে ওই রাজ্যগুলির নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে।

    আরও পড়ুুন: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    সেই মতো অধিবেশন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে অধিবেশন হবে ১৫ দিন। আসন্ন অধিবেশন সরগরম হতে পারে কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি। সেই সুপারিশ পেশ করতে পারেন অধ্যক্ষ। প্রথা মেনে অধিবেশন বসার আগে এবারও হবে সর্বদলীয় বৈঠক। ২ ডিসেম্বর হবে ওই বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিতে সব দলকেই আবেদন করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PMGKAY: ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের! আরও ৫ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন ৮১ কোটি মানুষ

    PMGKAY: ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের! আরও ৫ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন ৮১ কোটি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ খাদ্যশস্য যোজনায় (PM Garib Kalyan Yojana) আরও ৫ বছর তালিকাভুক্ত নাগরিকদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য (Free food grains) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েছে। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আরও ৫ বছরের জন্য এই সরকারি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হল। 

    কী এই যোজনা

    জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় এমনিতেই প্রতি মাসে ভর্তুকিযুক্ত দামে প্রদত্ত ৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হয় দরিদ্র মানুষদের।  করোনা মহামারির (Covid Pandemic) ফলে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া চালু করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে রেশন কার্ড থাকা ভারতীয় নাগরিকরা প্রতিমাসে পাঁচ কিলো করে হয় গম না হয় চাল পাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহ প্রকল্পের মাধ্যমে ছোলাও দেওয়া হচ্ছিল। দেশের ৮১ কোটি দরিদ্র মানুষকে প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য এই প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র সরকার।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায়, আরও ৫ বছর ধরে দরিদ্র মানুষকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে এর জন্য সরকার প্রায় ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে।” তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তহবিল আরও বাড়ানো হবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ য়ে বাড়ানো হবে, তা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নভেম্বরের শুরুতেই ছত্তীসগঢ়ের দুর্গে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ এই ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে। কিন্তু, বিজেপি সরকার এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৫ বছরের জন্য বাড়াবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Qatari court: এখনই কার্যকর হচ্ছে না নৌ-অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড, দিল্লির আবেদন গ্রহণ কাতারের আদালতে

    Qatari court: এখনই কার্যকর হচ্ছে না নৌ-অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড, দিল্লির আবেদন গ্রহণ কাতারের আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আবেদন গ্রহণ করল কাতারের আদালত। গত ২৬ অক্টোবরে ভারতীয় নৌ বাহিনীর ৮ প্রাক্তন অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল সে দেশের কোর্ট (Qatari court)। কাতারের কোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন যে করা হবে তা তখনই জানিয়েছিল মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর কাতারের আদালতে (Qatari court) ভারত সরকারের সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে এখনই অভিযুক্ত ওই ৮ জন প্রাক্তন নৌ সেনা আধিকারিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না। সূত্রের খবর, এই মামলার রায় ঘোষণার আগে ভারতের আবেদন বিবেচনা করবে কাতারের আদালত। দ্রুতই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারবর্গের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারত সরকার

    গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছিলেন, ওই ৮ প্রাক্তন নৌ অফিসারের পরিবারবর্গের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত সরকার। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কাতারের (Qatari court) কাছে ভারত সরকার ওই অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন করেছে। সেই আবেদন কয়েকদিন পরেই গ্রহণ করল কাতার। বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর এই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। শুনানির সময় আদালত অনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের আবেদনের নথি গ্রহণ করে।

    ‘দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ নামক সংস্থায় কাজ করতেন তাঁরা

    প্রসঙ্গত, নৌসেনার এই জন এই ৮ জন প্রাক্তন অফিসারই ‘দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ নামে কাতারের একটি সংস্থায় কাজ করতেন বলে জানা যায়। এই সংস্থার হয়ে মূলত তাঁদের কাজ ছিল কাতারের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। ২০২২ সালের অগাস্টে এই ৮ অফিসারকে গ্রেফতার করে কাতার প্রশাসন। সেই থেকেই তাঁরা কাতারের (Qatari court) জেলে বন্দি রয়েছেন বলে জানা যায়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে এবং পরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের হাইকমিশনার। তবে তাঁদের কেন গ্রেফতার (Qatari court) করা হয়েছিল এবং কেনই বা তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে? এ বিষয়ে কিছু জানায়নি কাতার কর্তৃপক্ষ। এমনকি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও জানানো হয় যে তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। তবে সূত্রের খবর, ওই আট অফিসারের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের হয়ে কাতারের সেনাবাহিনীর উপর চরবৃত্তি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস ধরে চলার পর অবশেষে মণিপুরে (Manipur Violence) নিভেছে অশান্তির আগুন। এবার ব্যবস্থা নিতে শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেইতেইদের ন’টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তারা। চিত্রাঙ্গদার দেশের হিংসায় এই সংগঠনগুলি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

    ইউএপিএ অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে। মণিপুরে মেইতেইরা সংখ্যাগুরু। অভিযোগ, এদেরই ন’টি সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে হিংসায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ। যে সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি (Manipur Violence) হল, জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মির রাজনৈতিক শাখা রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাকের সশস্ত্র শাখা রেড আর্মি এবং কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র শাখা কাংলেইপাক রেড আর্মি।

    আগেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মণিপুরে যে সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “মণিপুরের ঘটনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় অনেকেই তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার এক যোগে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “অদূর ভবিষ্যতে মণিপুরে উঠবে শান্তির সূর্য, মণিপুর আবার এগিয়ে যাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, এই সংসদ সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে সমাধান করব। শান্তি স্থাপন হবেই।”

    আরও পড়ুুন: জে পি নাড্ডার নাম করে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা!

    গত ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচিকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তার জেরেই শুরু হয় মেইতেই-কুকি সংঘর্ষ। মেইতেইরা হিন্দু। আর কুকি সহ সেখানকার তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় (Manipur Violence) দু’শোজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদি ও গিরিরাজ সিংহকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তুলে সোমবারই দিল্লিতে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। এহেন আবহে শুভেন্দুর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুভেন্দু উবাচ

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, “বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদি ও গিরিরাজ সিংহকে ধন্যবাদ। ১০০ দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইউপিএ-এনডিএ আমলের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে মোদি সরকারের আমলে বাংলার জন্য বরাদ্দ অনেক বেশি। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিংহকে।

    এমজিএনআরইজিএ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলি বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কেন্দ্রীয় তহবিলের বরাদ্দ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর জন্য। যদি ইউপিএ এবং এনডিএ শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া তহবিলের তুলনা করা হয়, তাহলে এটা স্পষ্ট হবে যে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বহুগুণ বাড়িয়েছে। শুধু যদি এই টাকা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ও প্রশাসন বাংলার গ্রামের মানুষের কাজে ঠিক মতো ব্যবহার করত…।”

    বঞ্চনা করেছেন মমতা 

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) দাবি, বাংলার মানুষের সঙ্গে যদি কেউ বঞ্চনা করে থাকে তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই করেছে। শুভেন্দু এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “ইউপিএ জমানায় এমজিএনআরইজিএতে বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। সেখানে এনডিএ সরকার এই প্রকল্পে বরাদ্দ করেছে ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াইতে ইউপিএ সরকার বরাদ্দ করেছিল ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেখানে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা।” এদিকে, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সুকান্ত দেখান খরচ করতে না পারায় কীভাবে দিল্লিতে ফেরত গিয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ (Suvendu Adhikari)। মোদি জমানায় যে আগের চেয়ে বাংলার জন্য বরাদ্দ বেড়েছে, তাও দেখিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: স্রেফ ছাঁট বেচেই চন্দ্রাভিযানের খরচ তুলে নিল মোদি সরকার! কত আয় হল জানেন?

    Modi Government: স্রেফ ছাঁট বেচেই চন্দ্রাভিযানের খরচ তুলে নিল মোদি সরকার! কত আয় হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ পাঠাতে ভারতের খরচ হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা। স্রেফ ছাঁট বিক্রি করে প্রায় সেই পরিমাণ টাকা তুলে ফেলল নরেন্দ্র মোদির সরকার (Modi Government)। সম্প্রতি বিক্রি করা হয়েছে বাতিল কাগজপত্র, ফাইল, অকেজো এবং বাজেয়াপ্ত করা যানবাহন। সেখান থেকেই সরকারের রোজগার হয়েছে ৬০০ কোটির কাছাকাছি টাকা। সরকারের এই আয়ের হিসেব চলতি বছরের অগাস্ট মাস পর্যন্ত। অক্টোবর মাসের মধ্যে উপার্জনের পরিমাণ হাজার কোটির গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারে বলে সরকারি সূত্রেই খবর।

    মোদি সরকারের সাফাই অভিযান

    ২০২১ সালে প্রথম প্রশাসনিক দফতরগুলিতে সাফাই অভিযান চালায় নরেন্দ্র মোদির সরকার। সে বছর অক্টোবরে ছাঁট বেচে সরকারের আয় হয়েছিল ৬২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় দফার সাফাই অভিযানে কেন্দ্রীয় সরকারের ১.০১ লক্ষ অফিসে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সেসব জায়গা থেকেই বিক্রি করা হয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতরের নষ্ট হয়ে যাওয়া স্টিলের আলমারি, বাতিল কাগজপত্র, ফাইল, বাজেয়াপ্ত করা পুরনো গাড়ি। জানা গিয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ৩১ লক্ষ ফাইল সরানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন অফিসের আলমারি থেকে। গত দু’ বছরে খালি করা হয়েছে ১৮৫ বর্গফুট জায়গা (Modi Government)।

    গত বছর আয়ের পরিমাণ 

    ২০২২ সালের অক্টোবরে এই ছাঁট বেচেই সরকার রোজগার করেছিল ৩৭১ কোটি টাকা। আর এবার হাতে এল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ফের একবার হবে সাফাই অভিযান। অংশ নেবে কেন্দ্রের সব ক’টি দফতরের অফিসগুলিই। সরকারের লক্ষ্য অক্টোবরে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার ছাঁট বিক্রি করা। সম্প্রতি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ পাঠায় ভারত। ভারতের আগে অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে পা রাখেনি কোনও দেশ। ভারতের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়াও চেষ্টা করেছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় করতে। তবে ব্যর্থ হয় রাশিয়ার চন্দ্রাভিযান।

    আরও পড়ুুন: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    চাঁদের মাটিতে পা রাখার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে রাশিয়ার চন্দ্রযান। এর দিন কয়েক পরে চন্দ্রভূমে পা রাখে ইসরো প্রেরিত চন্দ্রযান-৩। রচিত হয় ইতিহাস। এই ইতিহাস সৃষ্টি করতে ভারতকে ব্যয় করতে হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা। যে টাকা মোদি সরকার (Modi Government) রোজগার করে নিল কেবল ছাঁট বেচেই।

    বুদ্ধি থাকলে কীই না হয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: ‘দেশের স্বার্থে’ ইডি ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

    Enforcement Directorate: ‘দেশের স্বার্থে’ ইডি ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের আবেদন মেনেই ইডি প্রধান (Enforcement Directorate Chief) হিসাবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয় কুমার মিশ্র ইডি-র প্রধান পদে থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি আরএস গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কৌঁসুলি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আবেদনে সাড়া দেন। ‘দেশের স্বার্থে’ই সঞ্জয় কুমারের মেয়াদ কিছুটা বাড়ানো হল বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।

    কেন বাড়ানো হল মেয়াদ

    আদালত সূত্রে খবর, ইডি-র (Enforcement Directorate) ডিরেক্টর পদে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। এব্যাপারে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, সঞ্জয় কুমার মিশ্রের ইডি-র অধিকর্তা পদে থাকার বিষয়টি দেশের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। তাঁর অনুপস্থিতি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর পর্যালোচনার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কেন্দ্রের এই যুক্তির প্রেক্ষিতেই সঞ্জয় কুমার মিশ্রের ইডি অধিকর্তা পদে মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে চতুর্থ বার ইডির ডিরেক্টর পদে মেয়াদ বাড়ল সঞ্জয়ের। 

    আরও পড়ুন: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের অফিসার সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে ২০১৮ সালে প্রথম বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর (Enforcement Directorate) ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। সে বার দু’বছরের জন্য তাঁকে ওই দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্র। এর পর ২০২০ সালে তাঁর মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হয়। আর্থিক দুর্নীতির বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে জড়িত রয়েছে ইডি। ফলে সে সব তদন্তের স্বার্থেই ডিরেক্টর হিসাবে সঞ্জয়ের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে, বৃহস্পতিবার বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই ১৫ সেপ্টেম্বরের পরে সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে ইডির ডিরেক্টর পদে রাখা যাবে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Ashwini Vaishnaw: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু-বছরের মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Largest Economy) পরিণত হতে চলেছে ভারত। শনিবার নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি, আগামী ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত। তিনি জানান, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। আগামী দু-বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে এবং আগামী ৬ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। এই সংকল্প নিয়েই দেশ এগিয়ে চলেছে।

    বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে

    দেশবাসীকে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর আস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।” এদিন মোদি সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক জাতীয় সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে উপরের দিকে উঠে এসেছে, তার ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান,  বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত। তা ছাড়াও ভারতের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোরও দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।

    আরও পড়ুন: হিরোশিমা-সফরের স্মৃতিতে বিহ্বল! ‘মন কি বাত’-এ বীর সাভারকরকে স্মরণ মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে সারাদেশে নতুন চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গী এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে বলেও জানান তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, “আগে দরিদ্রদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে দেখা হতো। ২০১৪ সাল থেকে সমাজের দরিদ্র এবং দুর্বল অংশের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকল্প আনা হয়েছে এবং তার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলি একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জনগণকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর মতে, বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে সারা বিশ্বে ভারত এখন একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ গন্তব্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Station One Product: দেশের ৭২৮ রেল প্ল্যাটফর্মে চালু ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ স্কিম! কী এই প্রকল্প? 

    One Station One Product: দেশের ৭২৮ রেল প্ল্যাটফর্মে চালু ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ স্কিম! কী এই প্রকল্প? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকার লকডাউনের সময়ই ঘোষণা করেছিল ‘ভোকাল ফর লোকাল’ প্রকল্প। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যকে জনপ্রিয় করে তুলতেই এই প্রয়াস ছিল মোদি সরকারের। এবার এই প্রকল্পেরই অংশ হিসেবে সারা দেশ জুড়ে শুরু হল ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) স্কিম। প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাসে এই প্রকল্প শুরু করে রেল। সোমবার ভারতীয় রেল জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রোজকারের সুবিধা দিতেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) এর স্কিমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সামগ্রী রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করা যায়। 

    এই প্রকল্পে কোন কোন জিনিস পাওয়া যাবে?

    রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ৭২৮ টি স্টেশনে ৭৮৫ ‘এক স্টেশন এক পণ্য’এর আউটলেট খোলা হয়েছে। দেশের ২১ টি রাজ্যে এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েছে এই স্কিম। এই প্রকল্পের আওতায় যে স্টেশন যে পণ্যের জন্য বিখ্যাত, সেখানে সেই সমস্ত সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।  হাতে তৈরি নানা জিনিসপত্র, হ্যান্ডলুম, সুতির পোশাক, কাপড়ের তৈরি ব্যাগ, স্থানীয়ভাবে কৃষিতে উৎপাদিত ফসল, প্রক্রিয়াজাত খাবার, কাঠের তৈরি জিনিসপত্র থেকে মশলা, চা, কফি সমস্ত কিছুই এই স্কিমের অংশ বলে জানিয়েছে রেল। যেমন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তাঁতের শাড়ি বিহারের ক্ষেত্রে ভাগলপুরের সিল্ক, টেরাকোটা, বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র, অসমের ক্ষেত্রে গামছা ইত্যাদি।

    আরও খুঁটিনাটি…

    রেল সূত্রে আরও জানানো হয়েছে ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৩ সালের ১ মে পর্যন্ত এই স্কিমের মাধ্যমে সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ২৫ হাজারের উপর মানুষ। এই মুহূর্তে পূর্ব রেলের ৫৭টি স্টল চলছে বিভিন্ন ডিভিশনে। যেমন ২১ টি স্টল চলছে হাওড়া ডিভিশনে, ৭টি চলছে মালদা ডিভিশনে, ৭ টি আসানসোল ডিভিশনে ২২ টি স্টল চলছে শিয়ালদা ডিভিশনে।

    কী বলছেন রেল আধিকারিকরা?

    এ বিষয়ে রেলের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রতিদিন হাজার হাজার সংখ্যায় মানুষ ভিড় করেন প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশনে এবং শুধুমাত্র দেশের মানুষ নয় বিদেশীদেরও ওই ভিড় করতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই এতে স্থানীয় পণ্যের গ্লোবাল মার্কেটিং হবে।’’ এক্ষেত্রে রেলের আধিকারিকরা উদাহরণ দিচ্ছেন যাদবপুরের ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) এর স্টলকে। যেখানে প্রতিমাসে ৬০,০০০ টাকার টেক্সটাইল জুয়েলারি বিক্রি করেন এক মহিলা। এতে তাঁর জীবন জীবিকা ভালভাবেই চলে যায় বলে জানিয়েছে রেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share