Tag: Modi Government

Modi Government

  • Ashwini Vaishnaw: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Ashwini Vaishnaw: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু-বছরের মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Largest Economy) পরিণত হতে চলেছে ভারত। শনিবার নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি, আগামী ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত। তিনি জানান, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। আগামী দু-বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে এবং আগামী ৬ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। এই সংকল্প নিয়েই দেশ এগিয়ে চলেছে।

    বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে

    দেশবাসীকে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর আস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।” এদিন মোদি সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক জাতীয় সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে উপরের দিকে উঠে এসেছে, তার ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান,  বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত। তা ছাড়াও ভারতের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোরও দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।

    আরও পড়ুন: হিরোশিমা-সফরের স্মৃতিতে বিহ্বল! ‘মন কি বাত’-এ বীর সাভারকরকে স্মরণ মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে সারাদেশে নতুন চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গী এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে বলেও জানান তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, “আগে দরিদ্রদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে দেখা হতো। ২০১৪ সাল থেকে সমাজের দরিদ্র এবং দুর্বল অংশের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকল্প আনা হয়েছে এবং তার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলি একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জনগণকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর মতে, বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে সারা বিশ্বে ভারত এখন একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ গন্তব্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Station One Product: দেশের ৭২৮ রেল প্ল্যাটফর্মে চালু ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ স্কিম! কী এই প্রকল্প? 

    One Station One Product: দেশের ৭২৮ রেল প্ল্যাটফর্মে চালু ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ স্কিম! কী এই প্রকল্প? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকার লকডাউনের সময়ই ঘোষণা করেছিল ‘ভোকাল ফর লোকাল’ প্রকল্প। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যকে জনপ্রিয় করে তুলতেই এই প্রয়াস ছিল মোদি সরকারের। এবার এই প্রকল্পেরই অংশ হিসেবে সারা দেশ জুড়ে শুরু হল ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) স্কিম। প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাসে এই প্রকল্প শুরু করে রেল। সোমবার ভারতীয় রেল জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রোজকারের সুবিধা দিতেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) এর স্কিমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সামগ্রী রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করা যায়। 

    এই প্রকল্পে কোন কোন জিনিস পাওয়া যাবে?

    রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ৭২৮ টি স্টেশনে ৭৮৫ ‘এক স্টেশন এক পণ্য’এর আউটলেট খোলা হয়েছে। দেশের ২১ টি রাজ্যে এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েছে এই স্কিম। এই প্রকল্পের আওতায় যে স্টেশন যে পণ্যের জন্য বিখ্যাত, সেখানে সেই সমস্ত সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।  হাতে তৈরি নানা জিনিসপত্র, হ্যান্ডলুম, সুতির পোশাক, কাপড়ের তৈরি ব্যাগ, স্থানীয়ভাবে কৃষিতে উৎপাদিত ফসল, প্রক্রিয়াজাত খাবার, কাঠের তৈরি জিনিসপত্র থেকে মশলা, চা, কফি সমস্ত কিছুই এই স্কিমের অংশ বলে জানিয়েছে রেল। যেমন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তাঁতের শাড়ি বিহারের ক্ষেত্রে ভাগলপুরের সিল্ক, টেরাকোটা, বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র, অসমের ক্ষেত্রে গামছা ইত্যাদি।

    আরও খুঁটিনাটি…

    রেল সূত্রে আরও জানানো হয়েছে ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৩ সালের ১ মে পর্যন্ত এই স্কিমের মাধ্যমে সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ২৫ হাজারের উপর মানুষ। এই মুহূর্তে পূর্ব রেলের ৫৭টি স্টল চলছে বিভিন্ন ডিভিশনে। যেমন ২১ টি স্টল চলছে হাওড়া ডিভিশনে, ৭টি চলছে মালদা ডিভিশনে, ৭ টি আসানসোল ডিভিশনে ২২ টি স্টল চলছে শিয়ালদা ডিভিশনে।

    কী বলছেন রেল আধিকারিকরা?

    এ বিষয়ে রেলের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রতিদিন হাজার হাজার সংখ্যায় মানুষ ভিড় করেন প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশনে এবং শুধুমাত্র দেশের মানুষ নয় বিদেশীদেরও ওই ভিড় করতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই এতে স্থানীয় পণ্যের গ্লোবাল মার্কেটিং হবে।’’ এক্ষেত্রে রেলের আধিকারিকরা উদাহরণ দিচ্ছেন যাদবপুরের ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) এর স্টলকে। যেখানে প্রতিমাসে ৬০,০০০ টাকার টেক্সটাইল জুয়েলারি বিক্রি করেন এক মহিলা। এতে তাঁর জীবন জীবিকা ভালভাবেই চলে যায় বলে জানিয়েছে রেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lost Mobile: নতুন উদ্যোগ মোদি সরকারের! চুরি যাওয়া বা হারানো মোবাইল এবার মিলবে সহজেই

    Lost Mobile: নতুন উদ্যোগ মোদি সরকারের! চুরি যাওয়া বা হারানো মোবাইল এবার মিলবে সহজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের নতুন উদ্যোগ! চুরি যাওয়া কিংবা হারিয়ে যাওয়া (Lost Mobile) ফোনের হদিশ এবার মিলবে এক ক্লিকেই। মোবাইল চুরি যাওয়া কিংবা হারিয়ে (Lost Mobile) যাওয়া নতুন ঘটনা নয়। অভিযোগ জমা পড়তে থাকে, কপাল ভাল থাকলে হদিশ মেলে, নয়তো নতুন কিনতে দোকানে ছুটতে হয়। ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসে সেই দুশ্চিন্তা দূর করতেই নতুন ট্রাকিং সিস্টেম শুরু করতে চলেছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, ওই দিন নতুন একটি পোর্টালের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। জানা গেছে, পোর্টালের পোশাকি নাম হবে সঞ্চার সাথী। দেশের প্রত্যেকটি প্রান্ত থেকে এই পোর্টালের সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। ইতিমধ্যে দিল্লি, মহারাষ্ট্র কর্নাটকের মতো রাজ্য পরীক্ষামূলকভাবে এই পোর্টাল শুরু করে দিয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই পোর্টাল

    জানা যাচ্ছে, চুরি যাওয়া (Lost Mobile) মোবাইল কোথায় রয়েছে? কখন কখন তা কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এসবেরই হদিশ মিলবে এই পোর্টাল থেকে এবং সেটা ট্রাকও করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এই কারণে মোবাইল সেটে পনেরো সংখ্যার একটি শনাক্তকারী নম্বর বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।

    ফোন চুরি হলে (Lost Mobile) বা হারিয়ে গেলে কীভাবে ব্লক করবেন

    এক্ষেত্রে প্রথমে পুলিশে একটি রিপোর্ট দায়ের করতে হবে সেই ডায়েরির কপিটি সঙ্গে নিতে হবে।

    তারপর সেই ডায়েরির কপি নিয়ে যে টেলিকম অপারেটরের ফোন ব্যবহার করেন তার একটি ডুপ্লিকেট সিম কার্ড নিতে হবে। কারণ নম্বর ব্লক করার সময় মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি যাবে। 

    এরপর সিইআইআর ওয়েবসাইটে গিয়ে আইএমইআই নম্বর ব্লক করার জন্য রেজিস্টার ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।

    ফর্ম সাবমিট করার পরে পোর্টাল থেকে একটি রিকোয়েস্ট আইডি পাওয়া যাবে। এই রিকোয়েস্ট আইডি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ফোনের সন্ধান মিললে অথবা ফোনে স্ট্যাটাস চেক করার সময় এবং আইএমইআই নম্বর আনব্লক করার জন্য এটি লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pak Media: মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাক সংবাদমাধ্যম

    Pak Media: মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাক সংবাদমাধ্যম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে বহুবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Pak Media) প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু এবার সবাইকে অবাক করে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করল পাক সংবাদমাধ্যম। যা কিছু দিন আগে অবধিও ভাবাই যেত না। কিন্তু অবশেষে এমনটাই ঘটল। 

    মোদি সরকারের অগ্রগতিকে কুর্নিশ জানাল সেদেশের শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম (Pak Media)। ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ নামের এক নামী পাক দৈনিক ভূয়সী প্রশংসা করল ভারতের।   

    কী বলেছে এই সংবাদমাধ্যম?  

    শাহজাদ চৌধুরী নামে সেদেশের এক নামী রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সেই সংবাদমাধ্যমকে (Pak Media) জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের প্রিয় গন্তব্য ভারত। আর এর জন্যে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ভারতের বিদেশ নীতি অত্যন্ত দক্ষ হাতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপির দিকে দ্রুতবেগে এগিয়ে চলেছে নয়াদিল্লি। আর এই সাফল্যের আসল কারিগর যে নরেন্দ্র মোদি, সেকথাও জানিয়েছেন শাহজাদ।     

    প্রসঙ্গত, এর আগে বারবার মোদির প্রশংসা শোনা গিয়েছে ইমরানের মুখে। পাকিস্তানি মুদ্রায় (Pak Media) লিটার প্রতি পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য ৩০ টাকা বাড়ায় ভারতের সুনাম করে শাহবাজ শরিফের সরকারকে ‘অসংবেদনশীল সরকার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও নানা সময় নানা প্রসঙ্গ তুলে ভারত সরকারের প্রশংসা করে শাহবাজ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁকে এও বলতে দেখা গিয়েছে যে, পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা শরিফ যেভাবে বিদেশে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন, তেমনটা কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী করেননি। এবার মোদির জয়গান করল পাক মিডিয়াও।

    আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক    

    পাকিস্তানের (Pak Media) অর্থনীতি ভেঙে পড়ার মুখে। আর্থিক সংকটে জেরবার শাহবাজ সরকার। মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ে সাধারণ মানুষের দুবেলার খাবার জোটানোই দায় হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের সংবাদমাধ্যমে ভারতের অর্থনীতির জয়গান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chinese Smartphones: ফের চিনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ১২ হাজারের কম দামের চিনা স্মার্টফোন নিষিদ্ধ হচ্ছে ভারতে

    Chinese Smartphones: ফের চিনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ১২ হাজারের কম দামের চিনা স্মার্টফোন নিষিদ্ধ হচ্ছে ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চিনের (China) বিরুদ্ধে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারত সরকার (Indian Government)। ভারতের বাজারে সস্তা স্মার্টফোনের বাজার দখল করে রেখেছে চিনা সংস্থাগুলি। তাই এবারে এতে লাগাম টানতে চলেছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, চিনা সংস্থার তৈরি ১২ হাজার টাকার নীচে স্মার্টফোন বিক্রি করার উপরে নিষেধাজ্ঞা আনতে চলেছে সরকার। ভারতীয় বাজারে একাধিক চিনা সামগ্রী আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এবারে, স্মার্টফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ফলে চিনা স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করা হলে সংস্থাগুলি বিপুলভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কম দামের ফোনের কথা উঠলেই ক্রেতারা চিনা সংস্থার ফোনগুলিকেই বেছে নেয়। ফলে ভারতীয় সংস্থাগুলি এই প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। তাই তাদের চাপ কমানোর জন্যই এই বিষয়ে ভাবা হয়েছে, এমনটাই মনে করছে বিভিন্ন মহল।

    আরও পড়ুন: এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারতের উপর ভর করেই রমরমা ব্যবসা করেছে চিনা সংস্থাগুলি। মার্কেট ট্র্যাকার কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ভারতের বাজারে ১৫০ ডলারের অর্থাৎ ১২ হাজারের কম দামের স্মার্টফোনের বিপুল চাহিদা ও এর ক্রেতার সংখ্যাও প্রচুর। ২০২২-এর জুন পর্যন্ত ভারতের স্মার্টফোন বিক্রির মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই এই বিভাগ থেকে হয়েছে। আর তার ৮০%-ই চিনা কোম্পানির ফোন। শাওমি, পোকো, রিয়েলমি-সহ বেশ কিছু চিনা সংস্থার ফোনগুলো ভারতের বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই এই সংস্থার ফোনের পরিবর্তে লাভা (Lava), মাইক্রোম্যাক্সের (Micromax) মতো ভারতীয় সংস্থার ফোনের বিক্রি বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এমন পদক্ষেপ। তবে সরকারের তরফে এখনও এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য

    প্রসঙ্গত, শাওমি, ওপ্পো এবং ভিভো-র মতো চিনা সংস্থাগুলির আর্থিক খাতাপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে কর ফাঁকি এবং অর্থ পাচারের মতো অভিযোগও উঠে এসেছে। সরকার এর আগে Huawei Technologies Co. এবং ZTE Corp. টেলিকমের সরঞ্জাম নিষিদ্ধ করেছে। যদিও চাইনিজ নেটওয়ার্কিং গিয়ার নিষিদ্ধ করার এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি নীতি নেই। এর আগেও বিভিন্ন চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনে এটিও কেন্দ্রের বড়সড় পরিকল্পনা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখন এটাই দেখার যে সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় সংস্থাগুলির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয় কিনা ।

LinkedIn
Share