Tag: modi govt

modi govt

  • Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে ‘সেলফি’! ১০,০০০ টাকা পুরস্কার, বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে ‘সেলফি’! ১০,০০০ টাকা পুরস্কার, বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে সেলফি তুলুন আর জিতে নিন ১০ হাজার টাকার পুরস্কার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি অনলাইন সেলফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। স্বাধীনতার রঙে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতেই এই প্রয়াস কেন্দ্রের। স্বাধীনতার অমৃতকাল উদযাপনের জন্য প্রস্তুত লালকেল্লা। ১৫ অগাস্ট লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি। স্বাধীনত দিবসে প্রায় ১,৮০০ জন ‘বিশেষ অতিথি’-কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের ‘জন ভাগিদারি’ উদ্যোগের অংশ হিসাবে এই পরিকল্পনা।

    ‘সেলফি প্রতিযোগিতা’র  খুঁটিনাটি

    প্রথম থেকেই মোদি সরকার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে নিছক সরকারি অনুষ্ঠানের পরিসরে বেঁধে না রেখে, জনগণের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। এবারের স্বাধীনতা দিবসেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকা থেকে শুরু করে সেলফি প্রতিযোগিতা, বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি অনলাইন সেলফি প্রতিযোগিতার উদ্দেশে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উদ্যোগ নিয়ে দিল্লির ১২ টি জায়গায় ১২টি ‘সেলফি পয়েন্ট’ তৈরি করা হয়েছে। এই সব সেলফি পয়েন্টগুলিতে আমজনতা সেলফি তুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন। সরকারের মাইগভ (MyGov) পোর্টালে ১৫ থেকে ২০ অগাস্টের মধ্যে সেই সেলফি পয়েন্টে তোলা ছবি পোস্ট করতে হবে। দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সৌধ, ঐতিহ্যকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে পয়েন্ট তোলা সেই সেলফির থেকে বেছে নেওয়া হবে সেরাদের। প্রত্যেক সেলফি পয়েন্টে তোলা একটি করে সেলফি বেছে নিয়ে মোট ১২ জনকে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আর যাঁরা চ্যাম্পিয়ন হবেন, তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে আর্থিক পুরস্কার। 

    ‘হরঘর তিরাঙ্গা’ প্রচার

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে ‘হরঘর তিরাঙ্গা’ প্রচারও চালু করেছে সরকার। ১৩ থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত এই প্রচারে অংশ নিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রচারের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির প্রোফাইল ছবি বদলে, ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি দিয়েছেন। দেশের প্রত্যেক নাগরিককেও, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিসপ্লে পিকচার বদলে জাতীয় পতাকার ছবি দিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই অনন্য প্রচেষ্টা আমাদের প্রিয় দেশ এবং আমাদের মধ্যে বন্ধনের গভীরতা বাড়িয়ে তুলবে।”

    আরও পড়ুন: আপনি সিনেপ্রেমী! দেখে নিন অগাস্টে কী কী রয়েছে আপনার জন্য?

    লাল কেল্লায় ‘বিশেষ অতিথি’

    এবার লাল কেল্লায় ‘বিশেষ অতিথি’ হিসাবে আমন্ত্রিত থাকছেন- গ্রামের সরপঞ্চ, কৃষক, উৎপাদনকারী সংগঠন প্রকল্পের প্রতিনিধিরা, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার উপভোক্তা, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নির্মাণকর্মীরা, খাদি কর্মীরা এবং সীমান্তের রাস্তা নির্মাণের কাজে যাঁরা যুক্ত, অমৃত সরোবর ও হর ঘর জল যোজনার কর্মীরা এবং প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, নার্স থাকছেন এই তালিকায়। এবছর লালকেল্লায় সমন্বয় সাধনে থাকছে ভারতীয় সেনা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেজর নিকিতা নায়ের ও মেজর জসমিন কৌর প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে সহায়তা করবেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: কথা রাখলেন মোদি, চালু সিএএ, নয়া আইন সম্পর্কে জানুন বিশদে

    CAA: কথা রাখলেন মোদি, চালু সিএএ, নয়া আইন সম্পর্কে জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ। কথা দিয়েছিলেন অচিরেই দেশে লাগু হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA)। সোমবারই এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    সিএএ (CAA) নিয়ে ‘মিথ্যে’ প্রচার 

    সিএএ লাগু হলে অনেকে নাগরিকত্ব হারাবেন বলে বিরোধীরা ‘মিথ্যে’ প্রচার করছিলেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “সিএএ (CAA) কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। আইনে এমন কোনও বিধান না থাকায় কোনও ভারতীয়ের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। সিএএ হল বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার একটি আইন।”

    সিএএ (CAA) কী জানেন?

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরে সিএএ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছিল যাবতীয় প্রস্তুতি। মিথ্যে প্রচার করে বিরোধীরা দেশজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। তারপর বিষয়টি থিতু হলে নতুন করে আইনটি লাগু করতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনে (CAA) বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছয় ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও ধর্মের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

    সংশোধিত আইনে শিথিল শর্ত

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব পেতে হলে টানা এক বছর ভারতে থাকতে হবে। এ ছাড়াও গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতে থাকা বাধ্যতামূলক। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে ১১ বছরটা কমিয়ে করা হয়েছে মাত্রই ৫ বছর। আইন অনুযায়ী, ভিসা কিংবা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও, ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন ওই ছয় ধর্মের কোনও শরণার্থী।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যে ইস্তেহার বিজেপি প্রকাশ করেছিল, তাতেও সিএএ-র প্রতিশ্রুতি ছিল। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি অমিত শাহও বলেছিলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হয়ে যাবে সিএএ।” হলও তাই। দেশে লাগু হয়ে গেল সিএএ (CAA)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Modi Govt: কোনও জঙ্গিকে প্রচারের জায়গা দেবেন না! চ্যানেলগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    Modi Govt: কোনও জঙ্গিকে প্রচারের জায়গা দেবেন না! চ্যানেলগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে সদা সক্রিয় মোদি সরকার। এতদিন  জঙ্গিদের মোকাবিলা করে সন্ত্রাস রোখার চেষ্টা করেছে সরকার। এবার শুধু হাতে না মেরে জঙ্গিদের পাতে মারার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। কোনওরকম জঙ্গি-কার্যকলাপ যাতে প্রচার না পায় তা দেখতে টিভি চ্যানেলগুলিকে নির্দেশ দিল দিল্লি।  বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর), গুরুতর অপরাধ বা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত বা সরকারের নিষিদ্ধ করা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের, টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে আমন্ত্রণ না জানানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

    নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে

    কানডার সঙ্গে কুটনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যেই, এবার টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার (centre’s advisory to tv channels)। সেই নির্দেশে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও জঙ্গিকে যেন কথা বলার জন্য যেন জায়গা করে দেওয়া না হয় (platform to terrorists)। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু, টিভি চ্যানেলগুলিকে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৯৫-এর বিধানগুলি মেনে চলতে হবে। 

    আরও পড়ুন: কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি হত্যার দায় স্বীকার করল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী

    কানাডা ইস্যুর পরই পদক্ষেপ

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “মন্ত্রকের নজরে এসেছে, এমন এক বিদেশি ব্যক্তিকে এক টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ-সহ গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে এবং সে এমন একটি সংস্থার সদস্য, যে সংস্থা ভারতে নিষিদ্ধ। ওই ব্যক্তি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা, ভারতের নিরাপত্তা, একটি বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং দেশের জনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর মতো ক্ষতিকারক বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে, গুরুতর অপরাধ বা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে এবং আইনত নিষিদ্ধ সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ এবং তাদের মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।”


    প্রসঙ্গত, একটি নিউজ চ্যানেলে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা গুরপতবন্ত সিং পান্নুকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। গুরপতবন্ত সিং পান্নু, খালিস্তানি আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। ভারত সরকারের ওয়ান্টেড টেরোরিস্টের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তারপরই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যদিও ওই নির্দেশিকায় পান্নু কিংবা কানাডার নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Special Session: আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ অধিবেশন! কাল নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ

    Parliament Special Session: আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ অধিবেশন! কাল নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হতে চলেছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। আজ সকাল ১১টার মধ্যে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের হাজির হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একাধিক বিল পেশের সম্ভাবনা রয়েছে। ৮টি বিল পেশ করা হতে পারে সরকারের তরফে। তার মধ্যে রয়েছে এক দেশ এক নির্বাচন এবং দেশের নাম ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত রাখা,  মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রভৃতি। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। সংসদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তার তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি। 

    রবিবার হয় সর্বদলীয় বৈঠক

    বিশেষ অধিবেশনের লক্ষ্যে রবিবার সর্বদলীয় বৈঠক হয়। পুরনো সংসদ ভবনকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে আলোচনা শুরু হবে বলে এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবার ভারতের সংসদ ভবনের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য তুলে ধরেই বিশেষ অধিবেশনের সূচনা হবে। মঙ্গলবার, গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে নতুন সংসদ ভবনে বিশেষ অধিবেশন হবে। তার আগে পুরানো সংসদ ভবন ও এটির ইতিহাস সম্পর্কে অধিবেশনে আলোচনা হবে। পুরানো সংসদ ভবনে শ্রদ্ধার্ঘ্যও জানানো হবে। এরপর অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে যাওয়ার আগে সকাল সাড়ে ৯টায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার সব সদস্যদের গ্রুপ ফোটো তোলা হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    পুরনো সংসদ ভবনের জন্য লেখা

    সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল ১১ টায় পুরানো সংসদে সেন্ট্রাল হলে একটি অনুষ্ঠান হবে। তারপর বেলা সাড়ে ১১ টায় সরকারি সূচি অনুযায়ী সংসদের সেন্ট্রাল হলে বক্তব্য হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ৪৫ নাগাদ পুরানো সংসদ ভবন থেকে নতুন সংসদ ভবনের দিকে যাবেন সব সাংসদরা। পুরনো সংসদ ভবনের জন্য সুন্দর একটি লেখা লিখেছেন ১০ মহিলা সাংসদ। নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরু হওয়ার পাশাপাশি একাধিক নিয়ম জারি হচ্ছে। নতুন করে সাংসদদের পরিচয় পত্র তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের নতুন আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনে একাধিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সাংসদদের। তাঁদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নতুন ডাইনিং হল। সেন্ট্রাল হল।

    আরও পড়ুন: নিউ দিঘার খুব কাছেই আর এক সমুদ্র সৈকতের হাতছানি, ঘুরে আসবেন নাকি?

    কেন সংসদের বিশেষ অধিবেশন

    কেন সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হল তা নিয়ে জল্পনা চলছে। জানা গিয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ৮টি বিল পেশ করা হবে। তার মধ্যে রয়েছে দ্যা অ্যাডভোকেট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩, দ্যা প্রেস রেজিস্ট্রেশন অব পিরিওডিকাল বিল ২০২৩, ৩ অগাস্ট রাজ্যসভায় বিলগুলি পাস হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পোস্ট অফিস বিল ২০২৩ ও পেশ করা হবে এই অধিবেশনে। গত ১০ অগাস্ট বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও এক দেশ এক ভোট বিল নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Cabinet: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    Modi Cabinet: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ই-বাস পরিষেবার অধীনে ১০০টি শহরে ১০০০ নতুন বৈদ্যুতিন বাসের ঘোষণা করল কেন্দ্র। বুধবার ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ বা ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা’ প্রকল্পেরও অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এই প্রকল্পের অধীনে, প্রথম কিস্তিতে ‘উদার শর্তে’ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, সুদ দিতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ হারে।

    ই-বাস পরিষেবা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, গ্রিন মোবিলিটি বাড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী ই বাস পরিষেবার অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পে ৫৬, ৬১৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে কেন্দ্র প্রদান করবে ২০,০০০ কোটি।

    কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প? জানা গিয়েছে ১৬৯ শহরের মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে ১০০টি শহরকে। সেই শহরগুলিতে এই পরিষেবা চালু হবে যেখানে ৩ লক্ষ বা তার বেশি জনবসতি। এছাড়াও, যে সব অঞ্চলে কোনও সংগঠিত বাস পরিষেবা নেই, সেই সমস্ত শহরকেও পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে তৈরি হবে ১০ হাজার ই-বাস। দূষণ কমাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিটি বাস পরিষেবায় ই-বাসের সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফুটে উঠল ভারতের জাতীয় পতাকা! স্বাধীনতা দিবসে বুর্জ খলিফায় জ্বলল তেরঙা

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা স্কিম

    বুধবার (১৬ অগস্ট), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের অধীনে সরকার মৃৎশিল্প, কমার, নির্মাণ, টেলারিং এবং নৌকা নির্মাণ সহ ঐতিহ্যগত দক্ষতার প্রচার করবে। বিশ্বকর্মা যোজনায় উপকৃত হবে ৩০ লক্ষ কারিগর।

    এই প্রকল্পের আওতায় আসা শিল্পীরা ৫ শতাংশ সুদের হারে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পেতে পারবেন। আর্থিক সাহায্য পাবেন আধুনিক সরঞ্জাম কেনার জন্যও। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে ১৩,০০০ কোটি টাকার আর্থিক ব্যয়ের এই প্রকল্প চালু করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হল। অন্যদিকে একসঙ্গে এত কোম্পানি বাহিনী দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাই তাঁর দাবি, একাধিক দফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat ELection 2023) হোক রাজ্যে।

    নয়া বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের 

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ৫০ কোম্পানি, বিএসএফ থাকবে ৬০ কোম্পানি। ২০ কোম্পানি আইটিবিপি, ২৫ কোম্পানি এসএসবি , ২০ কোম্পানি আরপিএফ আসছে রাজ্যে। ২০ কোম্পানি আরপিএফ, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে মোট ২০০ কোম্পানি। বাকি ১২ টি রাজ্য থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে ১১৫ কোম্পানি। আগেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপর আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দেওয়া হয়। ফলে, পঞ্চায়েত ভোটে এবার ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার, তার থেকে ২ কোম্পানি বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। 

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    সুকান্তর দাবি

    অন্যদিকে, এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রের। কোনও সরকারই একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দিতে পারবে না। গতবারে ৫ দফায় ভোট হয়েছিল, এবারও একাধিক দফায় ভোট হোক।’ তাঁর যুক্তি আলাদা আলাদা দিনে ভোট হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mobile Messenger Apps: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক! ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্লক করল কেন্দ্র

    Mobile Messenger Apps: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক! ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্লক করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ মুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের। জঙ্গিদের চ্যাট চলছিল। পাকিস্তান থেকে বার্তা গ্রহণ করে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল দেশের নানা প্রান্তে। সন্ত্রাসের জাল বিছানোর জন্য যে মোবাইল মেসেঞ্জার অ্যাপ গুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে এবার ব্লক করে দিল সরকার। দেশের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে  ১৪টি মোবাইল মেসেঞ্জার অ্যাপ (Mobile Messenger Apps) ব্লক করল কেন্দ্র।

    নিষিদ্ধ অ্যাপগুলি কী কী?

    নিষিদ্ধ অ্যাপগুলি ব্যবহার করে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী নিজেদের কাজকর্ম চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নিজেদের সমর্থক এবং মদতদাতাদের সঙ্গে এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ কেন্দ্রের। এমনকী ওই মেসেজিং অ্যাপ মারফত পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের কাছে নির্দেশ আসত বলে গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের খবর। যে ১৪টি মোবাইল অ্যাপ কেন্দ্র সরকার নিষিদ্ধ করেছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে, ক্রিপভাইজার (Crypviser), এনিগমা (Enigma), সেফসুইস (Safeswiss), উইকরমি (Wickrme), মিডিয়াফায়ার (Mediafire), ব্রায়ার (Briar), বিচ্যাট (BChat), ন্যান্ড বক্স (Nandbox), কনিয়ন (Conion), আইএমও (IMO), এলিমেন্ট (Element), সেকেন্ড লাইন (Second Line), জঙ্গি (Zangi) এবং থ্রিমা (Threema)।

    অ্যাপগুলির খোঁজ মিলল কী করে?

    কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত একাধিক জঙ্গির মোবাইলে এই মেসেঞ্জার অ্যাপগুলি পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। বস্তুত, গত কয়েক মাসে কাশ্মীরে যত জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে, তাদের প্রতিটি মোবাইলেই এই অ্যাপগুলি মিলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং ভারতীয় আইন মেনে চলে না এমন মোবাইল অ্যাপগুলির (Mobile Messenger Apps) তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে। ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন (Information Technology Act) ৬৯এ (69A) ধারায় অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে মোদির কনভয়ে উড়ে এল মোবাইল ফোন! প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে

    অ্যাপ সংস্থাগুলির ভারতে কোনও প্রতিনিধি নেই

    এই মেসেঞ্জার অ্যাপগুলির মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনের নেতারা তাদের সমর্থক ও সদস্যদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছিল। কেন্দ্রের ইন্টেলিজেন্সের কাছে খবর, এই অ্যাপ সংস্থাগুলির ভারতে কোনও প্রতিনিধি নেই। কোনও অফিসও নেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অনেক চেষ্টা করেও এই অ্যাপ কোম্পানিগুলির কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। কোথা থেকে চলছে সংস্থাগুলি, তারও হদিশ পাচ্ছে না। বন্ধ করা অ্যাপগুলির সার্ভারও কোনও একটি জায়গায় নির্দিষ্ট নয়। বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে হদিশ পাওয়া মুশকিল। একই সঙ্গে এতটাই ভাল এনক্রিপশন যে, কী ধরনের মেসেজ আদানপ্রদান হচ্ছে, তা উদ্ধার করাও কঠিন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP on Rohingya Issue: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কোনও আপস করবে না মোদি সরকার, জানাল বিজেপিও

    BJP on Rohingya Issue: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কোনও আপস করবে না মোদি সরকার, জানাল বিজেপিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক এবং এই ইস্যুতে কোনও রকম আপস করবে না মোদি সরকার (Modi Govt.)। বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের (Rohingya) দিল্লিতে (Delhi) ফ্ল্যাট দেওয়ার সিধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার – এমন একটি খবরকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় পদ্ম শিবির।

    সম্প্রতি এক ট্যুইটবার্তায় কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী (Hardeep Singh Puri) লিখেছিলেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তারপর বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের তরফে সুবিধা দেওয়ার কথা প্রচার করছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    এদিন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়াও বলেন, রোহিঙ্গারা দেশের সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক। তাঁর অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জাতীয় সুরক্ষাকে দূরে ঠেলে, এনিয়ে রাজনীতি করছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু খবর বেরিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। জনতাকে ভুল পথে চালিত করতেই এসব করা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছে। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। এদিকে, প্রবল চাপের মুখে পড়ে পিছু হঠেছেন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী স্বয়ং। বুধবার ফের এক ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

     

     

  • Modi in Gujarat: “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    Modi in Gujarat: “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত আট বছরে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi), সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Ballavbhai Patel) স্বপ্ন পূরণে কাজ করেছে সরকার। গুজরাতে (Gujarat) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, “বাপু চাইতেন গরিব, দলিত, মহিলা, আদিবাসীদের ক্ষমতায়ন। যেখানে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া তাঁদের অধিকার। আমরা মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছি। সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি।” জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং করোনা অতিমারীর সময় বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশের সেবা করার জন্য কোনও প্রচেষ্টাই আমি ছাড়িনি। এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়।”

    আরও পড়ুন : গণতন্ত্র রক্ষায় মোদির অবদান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন

    ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আট বছর পূর্ণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন গুজরাতের রাজকোট জেলার আটকোট শহরে ২০০ শয্যার একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সভায়ই তাঁর আট বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বে কী কী কাজ করেছেন, তার ফিরিস্তি দেন। বলেন, “গত আট বছরে তিন কোটির বেশি পরিবারকে পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। ১০ কোটি পরিবারকে শৌচাগার দেওয়া হয়েছে। ৯ কোটি নারীকে এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আড়াই কোটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ছয় কোটি পরিবারকে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত যোজনা বিমা প্রকল্পে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ।”

    মোদি বলেন, “এগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি দেশের দরিদ্রদের মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ।” তাঁর দাবি, গত আট বছরে তাঁর সরকার দরিদ্রদের উন্নতির জন্য কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অর সব কা প্রার্থনা’ মন্ত্র দিয়ে আমরা দেশের উন্নয়নে নতুন দিক নির্দেশনা করেছি।” প্রত্যেক ভারতীয়কে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পূরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    ডবল ইঞ্জিন সরকারের (Double engine government) স্বপক্ষেও এদিন ফের সাফাই গেয়েছন মোদি। বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের কারণে গুজরাত উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ’১৪ সালের আগে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। আমরা যদি কেন্দ্রে (ইউপিএ সরকারের কাছে) উন্নয়ন প্রকল্পের কোনও ফাইল পাঠাতাম, তাহলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করত। এখন আর তা হয় না। আমাদের যে জীবনধারা বদলের প্রয়োজন রয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। বলেন, কারও অসুস্থ হওয়া উচিত নয়। আমাদের এমন একটা জীবনধারা তৈরি করতে হবে, যাতে আমরা অসুস্থ না হয়ে পড়ি।

     

  • Population Control Bill: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    Population Control Bill: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন (Law for population control) আনবে কেন্দ্র। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মোদি সরকারের দুই মন্ত্রী।

    এদিন রায়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে গরিব কল্যাণ সম্মেলনে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল (Prahlad singh patel)। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করবে মোদি সরকার। তিনি বলেন, চিন্তা করবেন না, শীঘ্রই আইন আনা হবে। অন্য বড় সিদ্ধান্তগুলি যখন নেওয়া হয়েছে, তখন এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সেবা, সুশাসন এবং দরিদ্রদের কল্যাণ কেন্দ্রীয় সরকারের মূল মন্ত্র।

    আরও পড়ুন : জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    এদিন ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ শানান পটেল। কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার অধিকাংশ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। উদাহরণ দিয়ে প্যাটেল বলেন, জল জীবন মিশনে রাজ্যে ২৩ শতাংশ কাজ হয়েছে। সেখানে জাতীয় পর্যায়ে ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যে জলের উৎসের অভাব নেই। কিন্তু প্রকল্পের সঠিক দেখভাল হচ্ছে না বলেই লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না।

    শুধু প্যাটেল নন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রনয়ণ করার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদি মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য যুগল ঠাকুর। তিনি এও জানিয়ে দেন, সম্ভবত সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল। এদিন প্যাটেল জানিয়ে দিলেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনবে কেন্দ্র। তাঁর মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা বিপরীতভাবে সমানুপাতিক।

    আরও পড়ুন : ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    ক’দিন আগেই মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) অবিলম্বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।  প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পরে এ ব্যাপারে সরব হন মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার অনুরোধও জানান।

    পুণের একটি জনসভায় রাজ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনুন। এই সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনও আনা হোক। ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলের দাবিও তুলেছে মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান। বলেন, ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলে হোক শম্ভাজিনগর।

     

LinkedIn
Share