Tag: Modi

Modi

  • Modi in Europe: ইউরোপ সফরে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কী উপহার দিলেন মোদি?

    Modi in Europe: ইউরোপ সফরে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কী উপহার দিলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফর শেষ। এবার দেশের ফেরার পালা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে দিল্লি রওনা হয়েছেন তিনি।  

    দু’বছর পরে ফের বিদেশ সফরে গিয়ে জার্মানি, ডেনমার্ক এবং ফ্রান্সে ২৫টি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক-সহ কথা বলেছেন মোট সাত জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে। পাশাপাশি, ওই দেশগুলিতে বসবাসকারী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সভাতেও যোগ দেন তিনি। 

    বিদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকে বরাবরই জোর দেন মোদি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খালি হাতে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি প্রধানমন্ত্রী। দুহাত ভরে উপহার তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রনেতাদের হাতে, যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্প। পশমিনা শাল, ডোকরার কাজ করা নৌকা, রোগান পেইন্টিং কী নেই সেই তালিকায়!

    সোমবার জার্মানিতে গিয়ে সে দেশের চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী জুন মাসে মিউনিখের বাভারিয়ায় জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষবৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মোদিকে আমন্ত্রণ জানান স্কোলজ।   

    মঙ্গলবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে যান মোদি (Modi)। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। পাশাপাশি, স্ক্যান্ডিনেভীয় (নর্ডিক) দেশ, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রনেতাদের একটি আলোচনা সভাতে অংশ নেন। বুধবারের এই সভাতেই বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু শিল্প নিদর্শন উপহার (Gifts) দেন মোদি। 

    ডেনমার্কের যুবরাজ ফেডরিককে ছত্রিশগড়ের ৪০০০ পুরনো ডোকরা শিল্পের কাজ করা একটি নৌকো উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। আর রানী মার্গেটকে উপহার দেন গুজরাতের কচের রোগান সেলাই করা একটুকরো কাপড়। যুবরানীকে উপহার দেন বেনারসের ৫০০ বছর পুরনো শিল্প মিনেকারী করা রুপোর একটি পাখি।

    ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধিকে ‘Tree of life’ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। এই গাছ বৃদ্ধি এবং বিকাশের প্রতীক। গাছটি পিতলের তৈরি। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীকে দেন রাজস্থানের বিখ্যাত কোফতগিরি কাজ করা একটি ঢাল। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনকে উপহার দেন গুজরাতের কচ্ছের এমব্রয়ডারি করা একটি ওয়াল হ্যাঙ্গিং। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে দেন পশমিনা শাল। কাশ্মীরের এই পশমিনা শাল ভারতীয় আভিজাত্যের প্রতীক। 

     

     

     

  • Rajya Sabha Nomination: রাজ্যসভায় মনোনীত পিটি ঊষা- ইলাইয়ারাজা সহ ৪, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Rajya Sabha Nomination: রাজ্যসভায় মনোনীত পিটি ঊষা- ইলাইয়ারাজা সহ ৪, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে দক্ষিণ ভারতের ৪ রাজ্য থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বেছে নিল কেন্দ্র। কেরল (Keral), তামিলনাড়ু (Tamilnadu), কর্ণাটক (Karnataka) এবং অন্ধ্রপ্রদেশের (ANdhra Pradesh) ৪ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাজ্যসভায় আনা হচ্ছে। ক্রীড়াবিদ পিটি উষা (P.T. Usha), সঙ্গীত পরিচালক ইলাইয়ারাজা (Iliyaraja), চলচ্চিত্র পরিচালক ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ (K.V Vijayendra Prasad) এবং সমাজসেবী বীরেন্দ্র হেগড়ে (Veerendra Hegde) রয়েছেন এই তালিকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় মনোনীত চার বিশিষ্টজনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    এবার রাজ্যসভার ট্র্যাকে দৌড়বেন অ্যাথলিট পি টি  ঊষা। ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে মিলখা সিংকেও কার্যত টপকে গিয়েছিলেন কেরলের মেয়ে পিটি ঊষা। একটুর জন্য তিনি পদক পাননি। তবে অলিম্পিকে পদক না পেলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নজরকাড়া সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবেই এবার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন ঊষা। তাঁকে এই পদের জন্য মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্প্রিন্টার। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানান, ‘ আমি উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করব। আমি সবসময় দেশের জন্য কিছু করতে চাই।’

    রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসাবে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত হলেন কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক ইলাইয়ারাজাও। ইলাইয়ারাজা তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। বহু বিখ্যাত দক্ষিণী ছবিতে সুর দিয়েছেন তিনি। সদমা, পা, চিনি কমের মতো বলিউড ছবিতেও সুর দিয়েছেন তিনি।  এই সম্মান পেয়ে তিনি অভিভূত বলে ট্যুইট করেন ইল্লাইয়ারাজাও। সেই সঙ্গে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কর্নাটকের বাসিন্দা সমাজসেবী বীরেন্দ্র হেগড়ে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা চিত্রনাট্যকর ও পরিচালক বি বিজয়েন্দ্র। 

    [tw]


    [/tw]

    চার জনের কেউই প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতিতে নেই। কিন্তু জনমানসে তাঁদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল। লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে বিজেপি হিসাব কষেই ‘দাক্ষিণাত্য তাস’ খেলতে চেয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, উত্তর, পশ্চিম এবং পূর্ব ভারতের অধিকাংশ জায়গায় নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার পর এবার বিজেপির লক্ষ্য দক্ষিণ ভারত। সেকারণেই দক্ষিণের ব্যক্তিত্বদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

  • Population Control Bill: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    Population Control Bill: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন (Law for population control) আনবে কেন্দ্র। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মোদি সরকারের দুই মন্ত্রী।

    এদিন রায়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে গরিব কল্যাণ সম্মেলনে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল (Prahlad singh patel)। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করবে মোদি সরকার। তিনি বলেন, চিন্তা করবেন না, শীঘ্রই আইন আনা হবে। অন্য বড় সিদ্ধান্তগুলি যখন নেওয়া হয়েছে, তখন এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সেবা, সুশাসন এবং দরিদ্রদের কল্যাণ কেন্দ্রীয় সরকারের মূল মন্ত্র।

    আরও পড়ুন : জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    এদিন ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ শানান পটেল। কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার অধিকাংশ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। উদাহরণ দিয়ে প্যাটেল বলেন, জল জীবন মিশনে রাজ্যে ২৩ শতাংশ কাজ হয়েছে। সেখানে জাতীয় পর্যায়ে ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যে জলের উৎসের অভাব নেই। কিন্তু প্রকল্পের সঠিক দেখভাল হচ্ছে না বলেই লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না।

    শুধু প্যাটেল নন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রনয়ণ করার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদি মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য যুগল ঠাকুর। তিনি এও জানিয়ে দেন, সম্ভবত সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল। এদিন প্যাটেল জানিয়ে দিলেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনবে কেন্দ্র। তাঁর মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা বিপরীতভাবে সমানুপাতিক।

    আরও পড়ুন : ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    ক’দিন আগেই মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) অবিলম্বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।  প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পরে এ ব্যাপারে সরব হন মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার অনুরোধও জানান।

    পুণের একটি জনসভায় রাজ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনুন। এই সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনও আনা হোক। ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলের দাবিও তুলেছে মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান। বলেন, ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলে হোক শম্ভাজিনগর।

     

  • Nikhat Zareen: সোনার মেয়ে জারিনকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Nikhat Zareen: সোনার মেয়ে জারিনকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে (World Boxing Championship) সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন ভারতের নিখাত জারিন। বৃহস্পতিবার আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচে থাইল্যান্ডের জিটপং জুটামাসকে (Jitpong Jutamas)৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেন নিখাত জারিন (Nikhat Zareen)। এই টুর্নামেন্টে ৫২ কেজি বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিলেন নিখাত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হয়ে সোনাজয়ের জন্য নিখাতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

    [tw]


    [/tw]

    ইস্তানবুলে আয়োজিত বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে দেশকে পদক এনে দেওয়ার জন্য নিখাতকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিন ট্যুইট বার্তায় মোদি বলেন,’নিখাতের জন্য দেশবাসী গর্বিত। তাঁর জীবনে আরও সাফল্য আসুক।’ এই আসরেই ৫৭ কেজি বিভাগে মনীষা মোন এবং ৬৩ কেজি বিভাগে পরভিন হুডা ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। তাঁদেরকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    অভিষেকেই রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন নিখাত। তেলেঙ্গানার মেয়ে তিনি। ব্রাজিলের ক্যারোলিন ডে আল্মিডাকে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন ২৫ বছরের ভারতীয় কন্যা। ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন থাইল্যান্ডের জিটপং। চূড়ান্ত লড়াইয়ে নিখাতের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি তাঁর প্রতিপক্ষ। ৫-০ ফলে জেতেন নিখাত। গোটা লড়াই চলাকালীন নিখাত জারিনের কর্তৃত্ব ছিল একেবারে চোখে পড়ার মতো। বিপক্ষ বক্সারকে ডানহাতে জ্যাব করে তিনি প্রথম বাউট শুরু করেন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। 

    [tw]


    [/tw][tw]


    [/tw]

    বিগত কয়েক বছর ধরেই নিখাতের পারফরম্যান্স নজরকাড়া। ২০১৯ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছিলেন। নিখাত ভারতের পঞ্চম মহিলা বক্সার যিনি বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জয় করলেন। বক্সিং কিংবদন্তী মেরি কম এই চ্যাম্পিয়নশিপ ৬বার জয় করে রেকর্ড কায়েম করেছেন। মেরি কম ছাড়াও সরিতা দেবী, জেনি আরএল এবং লেখা সি সোনার পদক জয় করেন। 

    পেশায় ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার অফিসার নিখাতকে হারিয়ে টোকিও ওলিম্পিকসের টিকিট অর্জন করেছিলেন মেরি কম। হারলেও সেই বাউটে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন নিখাত। বৃহস্পতিবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আঙিনায় সোনা জয় নিখাতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিল।  এবার লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক। সেখানে সাফল্য পেলেই নিখাতের বৃত্ত সম্পন্ন হবে।

     

  • Modi:  “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    Modi: “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Elections) কী নিজেকে দেশের মসনদে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে একটি গোপন কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, ”সম্প্রতি এক বিরোধী নেতার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের বিরোধিতা করলেও আমি তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করি। উনি আমায় বলেন, মোদিজি, এই দেশের মানুষ আপনাকে দু’বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে। আর কী চান আপনি। এই সাফল্যই যথেষ্ট।”

    গুজরাত সরকার প্রবীণ ও দরিদ্র বিধবাদের জন্য যে প্রকল্প চালু করেছে সেই প্রকল্প গ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে গল্পের ছলে বৃহস্পতিবার একথা জানান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ওই সাংসদের মতে কেউ যদি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান, তবে তাঁর সমস্ত সাফল্য অর্জন করা হয়ে যায়। কিন্তু, তিনি জানেন না মোদি অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি। এই গুজরাতের মাটি আমায় তৈরি করেছে। আমি কোনও কিছুকেই হালকাভাবে নিই না। এখন আমার বিশ্রাম নেওয়ার সময় নয়। আমার স্বপ্ন হল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে ১০০ শতাংশ সফল করে তোলা।”

    “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    যদিও সেই বিরোধী নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে অনেকেরই ধারণা ওই নেতা আর কেউ নন, শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। আসলে এপ্রিল মাসেই এনসিপি (NCP) প্রধান দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। শিবসেনা (Shivsena) নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগও জানান তিনি। ফলে তাঁদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে শরদ পাওয়ারই প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেছিলেন কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার টানা আট বছর রয়েছে। এই আট বছর ধরে সেবা, গরিবদের কল্যাণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা একটা বহমান প্রক্রিয়া। উন্নয়নের কাজ ১০০ শতাংশ করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মোদি।

  • Har Ghar Tiranga: নেপথ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি, দেশজুড়ে বিক্রি হল ৩০ কোটি জাতীয় পতাকা 

    Har Ghar Tiranga: নেপথ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি, দেশজুড়ে বিক্রি হল ৩০ কোটি জাতীয় পতাকা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা‘ (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এই কর্মসূচিতে ১৩-১৫ অগাস্ট এই দু দিন দেশের সব বাড়িতে জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন তিনি। আর তাতেই বিপুল ব্যবসা হল গোটা দেশজুড়ে। মোদির ডাক দেওয়া এই কর্মসূচীর কারণে এই কয়েকদিনেই দেশজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়েছে। আর তাতে ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে গোটা দেশে। স্বাধীনতার উৎসবে এই বিপুল লাভে খুশি ব্যবসায়ীরা।

      আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তো তুললেন, কিন্তু পতাকা ভাঁজ করার সঠিক নিয়ম জানেন কি?    

    ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির জেরে এক লাফে চাঙ্গা খুচরো বাজার। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবকে কেন্দ্রে করে বিপুল টাকার ব্যবসা হয়েছে গত ২০ দিনে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে ঘরে ধরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি। মোদির এই ডাকে সাড়া দিয়ে প্রায় প্রত্যেক দেশবাসীর হাতে উঠেছে জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকা আইনের সংশোধনীর পরেই এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তিনি। তার জন্য এবছর রেকর্ড পরিমাণে জাতীয় পতাকা তৈরি করা হয়। গত ২০ দিন ধরে মোদি সরকারের এই কর্মসূচির জন্য একাধিক জায়গায় অর্ডার হয়েছিল জাতীয় পতাকা তৈরির। গোটা দেশে প্রায় ৩০০০ জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া স্কুলের অর্ডার তো ছিলই। ফলে পতাকা প্রস্তুতকারকরা ব্যপক লাভের মুখ দেখেছেন।

    আরও পড়ুন: ৫ কোটিরও বেশি সেলফি ‘হর ঘর তিরঙ্গা’-র ওয়েবসাইটে, দাবি কেন্দ্রের 
     
    কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের (CAIT) হিসেব বলছে, এই অভিযানের ফলে ৩০ কোটিরও বেশি জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়েছে। আয় হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।। মিটিং, মিছিল,‌ ব়্যালিসহ একাধিক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে। সেই মতই বিপুল সংখ্যক পতাকা উৎপাদন করা হয়েছিল। তাতেই এই ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা। সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প। অগাস্ট মাসের প্রথম থেকেই বিভিন্ন সংস্থাকে জাতীয় পতাকা তৈরির অর্ডার দেওয়া শুরু হয়।  

    জাতীয় পতাকা তৈরির ক্ষেত্রে এত বড় সাফল্যের পিছনে কেন্দ্রের পতাকা কোডের পরিবর্তন বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছে সিএআইটি। আগে শুধুমাত্র খাদি বা সুতির কাপড় জাতীয় পতাকা তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেত। কিন্তু এখন পলিয়েস্টার ও মেশিনে পতাকা বানানোর অনুমতি পাওয়ার কারণেই কম সময়ে এতগুলি পতাকা বানানো সম্ভব হয়েছে। পতাকা আইন সংস্কারের কারণে দেশে এখন ১০ লক্ষেরও বেশি লোকের কাজ জুটেছে। ঘরে, কম পুঁজি দিয়েই পতাকা তৈরির কাজ করতে পারেন অনেকেই। ছোটো ও মাঝারি সংগঠিত ক্ষেত্রে বেশি সংখ্যক পতাকা তৈরি হয়। সিএআইটির জাতীয় সভাপতি বি.সি. ভারতিয়া এবং সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল এ বিষয়ে বলেন , “আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকার বার্ষিক বিক্রি ১৫০ থেকে ২০০ কোটির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির ফলে পতাকার বিক্রি অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।”   

  • Modi:  ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে  ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারত (India) উন্নত দেশে পরিণত হবে। আজ থেকে ২৫ বছর পর ২০৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে। সেই সময় এক বিরল ইতিহাসের সাক্ষী থাকব আমরা। ভারতের উন্নতি এবং মানুষের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে এই ২৫ বছর একটানা কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  তবেই আগামী  ২৫ বছর পর ভারত উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। স্বাধীনতা দিবসে প্রায় ৮৩ মিনিট জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশ কীভাবে দুর্নীতির সঙ্গে লড়াই করছে,  ‘পরিবারতন্ত্রের সঙ্গে লড়াই’ করে নিজস্বতা গড়ে তুলেছে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মোদি। আগামী ২৫ বছর যাতে যুব সম্প্রদায় দেশের জন্য কাজ করেন, স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে সেই আবেদনও করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    লালকেল্লা থেকে ভারতের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এদিন ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর বার্তা দিলেন মোদি। আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনায় কোন কোন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে, তা এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বৃহত্তর সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সব সংকল্পের মধ্যে থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতা, টিকাকরণে অগ্রগতি, শৌচালয় নির্মাণ। এ ছাড়া ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে হলে দাসত্বের ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।  মোদি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ভাষার জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত’। ডিজিটাল ভারত যে ভাবে প্রসারলাভ করছে, সে কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘স্টার্ট আপগুলোই বলে দিচ্ছে দেশের উন্নয়ন কোন পথে এগোচ্ছে।’

     প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক নাগরিককে কর্রতব্য পরায়ণ হতে হবে। নাগরিকরা কর্তব্য পালন করলে দেশের প্রগতির পথ প্রশস্ত হবে। তবে শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

    আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হলে দেশের ঐতিহ্যকে সবার আগে গুরুত্ব  দেওয়ার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ থাকলেই আকাশে ওড়া সহজ হবে। পরিবেশ রক্ষার মন্ত্র দেশের ঐতিহ্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    ভারতের বৈশিষ্ট্যই হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এদিন তা আবারও মনে করিয়ে দেন মোদি। মহিলাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আজও যে ভাবে সমাজে মহিলাদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়, সে কথা উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে বলেন, এর থেকে মুক্তি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

     

  • Modi in Europe: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Modi in Europe: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩ দিন, ৬৫ ঘণ্টা, ২৫টা মিটিং।  সংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) তিনদিনের ইউরোপ সফরসূচি। 

    তিনদিনের এই ঝটিকা ইউরোপ সফরে (Modi in Europe) তিন দেশের তিন রাজধানীতে তিন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তালিকায় যেমন আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজ, তেমনি আছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসন এবং অবশ্যই আছেন মোদির পুরনো বন্ধু তথা ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এমান্যুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron), যিনি দ্বিতীয়বার জিতে ফের ফ্রান্সের ক্ষমতায়। 

    ব্যক্তিগত ট্যুইটে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মাক্রঁকে ‘মাই ফ্রেন্ড’ বলে উল্লেখ করে তাঁর ফ্রান্সের সফরসূচি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, মূলত ভারত-ফ্রান্সের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। আলোচনায় আসবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ও। যে ইস্যুতে ইউরোপ আর ভারতের অবস্থান আলাদা। ন্যাটো সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ভারত এখনও তার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে।

    কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। ব্যক্তিগত ট্যুইটে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত অপেক্ষা করছে দ্বিতীয় ইন্ডিয়া-নর্ডিক সামিটের জন্য। যেখানে নর্ডিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় থাকতে পারে দুই দেশের শীর্ষ নেতার আলোচনায়।

    ইউরোপ সফরের শুরুতেই সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পৌঁছলেন জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। সেখানে চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজের সঙ্গে প্রথমেই বৈঠক করেন। মূলত আলোচনা হয়েছে দু’দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ক নিয়ে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতির দিকেও নজর ছিল বৈঠকে।

    মূলত তিন দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো করতেই এই সফর বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী এমন একটা সময়ে ইউরোপ সফরে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপ আর ভারত ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। তার প্রভাব যাতে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই নরেন্দ্র মোদির ঝড়ো ইউরোপ সফর। দম ফেলার সময় পাবেন না প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা। কারণ ৩ দিন ৬৫ ঘণ্টা ২৫টা মিটিং।
     
    এমন কঠোর সময়সূচীর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মিলিত হতেও তিনি আগ্রহী। কারণ প্রায় ১০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়ই প্রতিদিন ইউরোপকে ভারত (India) দর্শন করায়। 

     

  • Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ডাক্তার প্রয়াত সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে মন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাত্মার প্রতীক। অসংখ্য মানুষের রোগ উপশমকারী একজন দয়ালু ও উদারহৃদয় চিকিৎসক হিসেবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের পাশে আছি। ওনার জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। ওনার চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। উনি না থাকলেও ওনার আদর্শ এবং কাজ আমাদের মধ্যে চিরদিন থেকে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘পদ্ম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় তাঁর সঙ্গে মত বিনিময়ের কথা আমার আজও মনে আছে । তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত।’ এর আগে তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।

    গত ২৬ জুলাই প্রয়াত হন বোলপুরের ((Bolpur) অত্যন্ত জনপ্রিয় চিকিৎসক ‘১ টাকার ডাক্তার’ (1 Rupee doctor) সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sushobhan Banerjee)। কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ফেলেন (Demise) তিনি। বছরের পর বছর ধরে এলাকায় এক টাকার ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ছিলেন, সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের হরগৌরিতলায় ৫৭ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় রোগী দেখে আসছিলেন তিনি। গরিব মানুষদের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।

    আরও পড়ুন: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি।  গত কয়েক মাস ধরেই কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। ধারাবাহিকভাবে চলছিল তাঁর ডায়ালাইসিস। তবে এই ডায়ালাইসিস চলাকালীনও তিনি যতটা সম্ভব রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১৫-২০ দিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সুশোভনবাবু আজীবন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্য ছিলেন। সাধারণ মানুষের আর্জি মেনে নিয়ে জীবিত অবস্থায় বোলপুরে তিনি নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

  • INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) জন্য ২৬টি নৌ-যুদ্ধবিমান কিনবে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ফাইটার জেটের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌবাহনীর শক্তি বৃদ্ধি হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে ভারত। নৌবাহিনীর সুপারিশে এই যুদ্ধবিমানগুলি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    গত জানুয়ারিতেই গোয়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর পরীক্ষা কেন্দ্রে ফরাসি রাফাল-মেরিনের (Rafale-M) পরীক্ষা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে মার্কিন ‘এফ-১৮ সুপার হর্নেট’ (F-18 Super Hornet) -এর ট্রায়ালও সেরে ফেলা হবে। দুটি যুদ্ধবিমানেরই গোয়ার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু সেগুলি এখনও ভারতের একমাত্র বিমানবাহী ক্যারিয়ার জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অবতরণ করেনি। কারণ বর্তমানে এই বিমানবাহী রণতরীটি রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে রয়েছে। জুনের পরে যাত্রা শুরু করবে।

    সূত্রের খবর, আগামী ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে বিক্রান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ২৬২ মিটার উঁচু, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু আইএনএস বিক্রান্তে ১,৭০০-রও বেশি নৌসেনা এবং অফিসারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ‘অ্যারেস্টেড হুক’ ব্যবহার করে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হারকিউলিস পাঁচের দশকে কিনেছিল ভারত। নাম দেওয়া হয় আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল সেই বিক্রান্তের। প্রায় ৪ দশক কাজ করার পরে নয়ের দশকের শেষপর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। তারই স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে প্রথম ‘ভারতীয়’ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটি।

    মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, বিক্রান্তের জন্য নতুন মোট ২৬টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। তার মধ্যে ৮টি টুইন সিটার প্রশিক্ষক বিমান। প্রশিক্ষক বিমানের মাধ্যমে নৌসেনার নতুন পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালনার ট্রেনিং দেওয়া যাবে। তবে, এগুলি যে শুধু ট্রেনিংয়ে ব্যবহৃত হবে, তা নয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ফাইটারগুলি ভারতেই রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা যাবে।

     

LinkedIn
Share