Tag: Modi

Modi

  • Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা (Red Fort) থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সোমবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে লালকেল্লায় ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণের শেষলগ্নে দুর্নীতি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা, দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। দেশের প্রভূত ক্ষতি করছে দুর্নীতিও। দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে দুর্নীতি দূর করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর কথায়, “অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় জেলে রয়েছে। তাও তাদের আলোচনা চলছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।” স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “প্রভাবশালীরাও বাঁচতে পারবেন না। যারা ব্যাংকের সম্পত্তি নিয়ে পালিয়েছিল তারা জেলে। যারা লুট করেছে তাদের সমস্ত সম্পদ ফেরাতে হবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দেশে গরিবরা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না, আর এক শ্রেণির মানুষের চুরি করা টাকা রাখার জায়গা কুলোচ্ছে না। মোদি বলেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি ভাল নয়। ভারতের মতো গণতন্ত্রে যেখানে মানুষ প্রত্যেক মুহূর্তে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করছে, যেখানে একদল মানুষের থাকারই জায়গা নেই, সেখানে আর একটি দল চুরি করা মাল রাখার জায়গা পাচ্ছে না।’’ মোদি অবশ্য তাঁর বক্তৃতায় কোনও বিশেষ রাজ্য, বা নেতা বা মন্ত্রীর নাম করেননি।

    আরও পড়ুন: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। গত আট বছরে আমরা সে কাজে সফলও হয়েছি।’’ মোদির কথায়, ‘‘‘ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’-এর সাহায্যে আধার-মোবাইল এবং অন্য আধুনিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করে লক্ষ কোটি টাকা ভুল হাতে যাওয়া থেকে বাঁচানো গিয়েছে। এমনকি, সেই টাকা দেশের ভাল কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’’

    মোদি বলেছেন, ‘‘যারা আগের সরকারে ব্যাঙ্ক লুট করে পালিয়ে গিয়েছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে করে টাকা ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার। যাঁরা দেশের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের টাকা ফেরাতে বাধ্য করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত কড়া অবস্থান নিচ্ছে। দেখে ভাল লাগছে, এখন দেশে দুর্নীতি-বিরোধী একটা মনোভাবও তৈরি হয়েছে।’’ কিন্তু তাঁর অনুযোগ, অনেকে দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেও কেউ কেউ দুর্নীতিবাজদের ‘সমর্থন’ও করছেন। যা কোনও দেশে শোভা পায় না।

  • Lok Sabha Polls: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    Lok Sabha Polls: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেডিইউ-এর (JDU) সঙ্গে জোট ভেঙেছে। পতন হয়েছে সরকারের। যদিও তা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নয় বিহার বিজেপি (Bihar BJP)। পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha Polls)। গতবার জে ডি ইউর সঙ্গে জোট বেঁধে ৩৩টি সিট জিতেছিল এন ডি এ। এবার একক ভাবে লড়াই করে ৩৫টি লোকসভা সিট জেতার টার্গেট ঠিক করলেন বিহার বিজেপির নেতারা।

    মঙ্গলবার রাজধানীতে বিজেপির সদর দফতরে বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ছিলেন, বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল, বি এল সন্তোষ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, শাহনাওয়াজ হোসেন, মঙ্গল পান্ডে, জনক রাম, নন্দ কিশোর যাদব ও অনেকে। বৈঠক শেষে জয়সওয়াল বলেন, “জনমতের বিপক্ষে গিয়ে বিহারে মহা গঠবন্ধন হয়েছে। আমরা বিধানসভার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে এই অসাধু জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। একই সঙ্গে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৩৫টি আসন জেতার টার্গেট দিয়েছে। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লক্ষ্য পূরণের জন্য ঝাঁপাবো।”

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    বৈঠকে বিহারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা জোট করে বিধানসভায় লড়াই করেছিলাম। বেশি সিট জেতার পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতিশ কুমারকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু জেডিইউ গাদ্দারি করলো। এর জবাব বিহারের মানুষ দেবে। কারণ কেউ চায় না রাজ্যে ফের লালু রাজ ফিরে আসুক।” বিহারের ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপির দখলে ১৭, জেডিইউ পেয়েছে ১৬, লোক জনশক্তি পার্টি ৬টি ও কংগ্রেস জিতেছিল একটি আসনে। তবে আরজেডি এবং জেডিইউ যদি একসঙ্গে লোকসভায় লড়ে, তাহলে চিত্রটা অন্য রকম হতে পারে। তাই আগে থেকেই কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়লেন বিহার বিজেপির কর্তারা।

  • Pradhan Mantri Awas Yojana: শহরে নিখরচায় বাড়ি গরিবদের! প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্র

    Pradhan Mantri Awas Yojana: শহরে নিখরচায় বাড়ি গরিবদের! প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় এসেই সাধারণ মানুষের বাড়ি তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে জোড় দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।  ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের আওতায় গোটা দেশে ১ কোটি ২২ লক্ষ বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরিব মানুষদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। দরিদ্রদের পাকা বাড়ি তৈরিতে আর্থিক সাহায্য দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এবার শহরাঞ্চলে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রকল্পের সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ১২২ লাখ ৬৯ হাজার বাড়ির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে। ২০০৪-১৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্পে শহরাঞ্চলে আট লাখ চার হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, ২০১৭ সালে এই প্রোজেক্টে প্রায় ১০০ লাখ বাড়ির কথা বলা হয়েছিল। কেন্দ্রের পক্ষে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এরমধ্যে ৬২ লাখ বাড়ি তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের শেষ দু’বছরে নতুন ৪০ লাখ বাড়ির প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অনুরোধের ভিত্তিতে এই সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। 

    ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে শহরাঞ্চলে সব মানুষকে পাকা বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করার কথা ভেবেছিল কেন্দ্র। সেই প্রকল্পের মেয়াদই এবার আরও দু’বছর বাড়়ানো হল।সরকারি প্রকল্পে শহরাঞ্চলে কত পাকা বাড়ি তৈরি হয়েছে গত ২২ জুলাই তা নিয়ে সংসদে বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, প্রস্তাবিত মোট এক কোটি ২২ লাখ পাকা বাড়ির মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬১ লাখ বাড়ির নির্মাণ শেষ হয়েছে। তাই এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

     

  • Tejas:  তেজসের তেজ! কেন জানেন ভারতীয় যুদ্ধ বিমানে আগ্রহী আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া

    Tejas: তেজসের তেজ! কেন জানেন ভারতীয় যুদ্ধ বিমানে আগ্রহী আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন বা রাশিয়ার যুদ্ধবিমান নয়। ভারতের তেজস (Tejas) ফাইটার জেট কিনতেই আগ্রহী মালয়েশিয়া (Malaysia), আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্স। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়াকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১৮টি যুদ্ধবিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    গত বছরই ভারত সরকার ৮৩টি তেজস বিমান তৈরি করার জন্য হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড-এর (HAL)সঙ্গে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করেছে । ২০২৩ সালের মধ্যেই সেগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে অনুমান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্প যো এগিয়ে চলেছে তার প্রমাণ তেজস।

    তেজস ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’টি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মীত। বায়ুসেনার জরাগ্রস্ত মিগ-২১ বিমানগুলির জায়গা নেবে তেজস। ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষায় সফলভাবে উতরেছে তেজস। ২০২০ সালে প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় রুশ নির্মিত ‘আইএল-৭৮’ জ্বালানিবাহী বিমান থেকে জ্বালানি ভরা হয় তেজসে। স্বল্প সময়েই প্রায় ১৯ হাজার লিটার জ্বালানি পৌঁছে যায় তেজসে। মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরে বিশ্বের প্রথম সারির সামরিক শক্তির তালিকায় নাম লেখায় ‘আত্মনির্ভর’ ভারত। এবার সেই বিমান কিনতে আগ্রহ দেখাল বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা-৭৫ এর সংকল্প হোক আত্মনির্ভর ভারত

    প্রতিরক্ষার বিষয়ে বিদেশের প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠাই লক্ষ্য মোদি সরকারের। আর সেদিকেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ তেজসের মতো বিমান তৈরি। চিনের জেএফ-১৭ জেটগুলির দাম কম হলেও তেজস মার্ক-১-এর মতো অতটা আধুনিক নয়। হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) দ্বারা নির্মিত ‘তেজস’ একটি একক ইঞ্জিন বিশিষ্ট এবং অত্যন্ত সক্ষম মাল্টি-রোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট, যা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে সক্ষম। তেজসের গড়ন এবং প্রযুক্তিই একে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। তেজসের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর ওজন। সুখোইয়ের থেকে ওজনে অনেক বেশি হালকা তেজস। আট টন পর্যন্ত ওজন বহনে সক্ষম তেজস। সুখোই ওজনে ভারী। কিন্তু সুখোইয়ের সমানই অস্ত্রশস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম তেজস। এ ছাড়াও দুরন্ত গতিও এগিয়ে রেখেছে তেজসকে। ৫২ হাজার ফুট উচুঁতেও এর গতির জুড়ি মেলা ভার।

  • National Flag on Car Rule:  স্বাধীনতা দিবসে গাড়িতে পতাকা লাগানোর কথা ভাবছেন? তাহলে আগে জানুন এই নিয়ম

    National Flag on Car Rule:  স্বাধীনতা দিবসে গাড়িতে পতাকা লাগানোর কথা ভাবছেন? তাহলে আগে জানুন এই নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা‘ (Har Ghar Tiranga) অভিযানের শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযানটি শুরু করেছে। ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ‘মন কী বাত’ এই কর্মসূচির উল্লেখ করেন। সেখানেই দেশবাসীকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর অনুরোধ করেছেন মোদি। ২ অগাস্ট থেকেই এই অভিযান শুরু করার আর্জি জানান তিনি। নিজের প্রোফাইলের ছবি বদলে তার সূচনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন

    অনেকেই  স্বাধীনতা দিবসের দিন বাড়িতে পতাকা উত্তোলন করেন। অনেকেই আবার নিজের সাধের গাড়িটিতে (Car Rule) তেরঙ্গা লাগাতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে চাইলেই যেমন তেমন করে গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে নেওয়া যাবে না। তার আগে জেনে নিতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। ভারতের ফ্ল্যাগ কোড অনুসারে গাড়িতে পতাকা সবাই লাগাতে পারেন না। পতাকা লাগানোর নিয়ম কী এবং কাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর অধিকার দিয়েছে ভারত সরকার তা আগে জেনে নিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: “রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    কারা গাড়িতে ভারতের জাতীয় পতাকা লাগাতে পারেন? 

    ২০০২ সালের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কোড (Flag Code) অনুযায়ী যারা গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগাতে পারবেন তারা হলেন, 

    • দেশের রাষ্ট্রপতি
    • উপরাষ্ট্রপতি
    • রাজ্যপাল
    • লেফটেন্যান্ট গভর্নর
    • প্রধানমন্ত্রী
    • মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী
    • প্রতিমন্ত্রী
    • উপমন্ত্রী
    • মুখ্যমন্ত্রী
    • রাজ্যের মন্ত্রী
    • হাইকোর্টের বিচারপতিরা
    • লোকসভা স্পিকার
    • রাজ্যসভা স্পিকার
    • বিধানসভা স্পিকার 

    পতাকা গাড়িতে লাগানোর নিয়ম কী?

    কোনও বিদেশী অতিথি সরকার প্রদত্ত গাড়িতে ভ্রমণ করলে ভারতের জাতীয় পতাকা গাড়ির ডান পাশে এবং ওই ব্যক্তি যে দেশের, সেই পতাকা গাড়ির বাম পাশে রাখতে হবে। এছাড়া অন্য কেউ গাড়িতে পতাকা লাগালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। 

    ২০০৪ সালের আগে, শুধুমাত্র সরকারি বিভাগ, অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল। ২০০৪ সালে, ভারত সরকার বনাম নবীন জিন্দাল মামলার শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে প্রত্যেক ভারতীয়ের তেরঙ্গা উত্তোলনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু এখনও সবাইকে গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর অনুমতি দেয়নি সরকার। সাধারণ মানুষ গাড়ির সামনে পতাকা ব্যবহার করতে পারেন না। ভারতের সাধারণ নাগরিককে শুধুমাত্র গাড়ির ড্যাশবোর্ড বা উইণ্ডস্ক্রিনে মিনিয়েচর জাতীয় পতাকা লাগানোর অধিকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  

  • Har Ghar Tiranga:  মোদির ডাকে প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার অভিযানে না মমতার

    Har Ghar Tiranga: মোদির ডাকে প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার অভিযানে না মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধে জড়াল নবান্ন। নরেন্দ্র মোদি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তাই ঘরে ঘরে এ রাজ্যে জাতীয় পতাকা তোলার ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানে সামিল হচ্ছেন না তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের মুখিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস পালন করবেন। ১৪ অগাস্ট বাঙালির কাছে যতটা না আনন্দের তার চেয়েও বেশি দেশভাগের বেদনার।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলা  হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যকে এ নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যগুলির সহযোগিতা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশের ৩০ কোটি বাড়িতেই পতাকা উঠুক। ১৩-১৪-১৫ অগাষ্ট এই তিন দিন ধরে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বা প্রতি বাড়িতে তেরঙা তোলার আবেদন জানিয়েছে দিল্লি। ডাক বিভাগের তরফে দেশের প্রতিটি ডাকঘরে স্বল্পমূল্যে জাতীয় পতাকা সরবরাহ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দেশের সবকটি রাজ্য এই অভিযানে সামিল হলেও পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় পতাকা উত্তোলের অভিযানে আলাদা করে সামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পর্যন্ত নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিসপ্লে পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি দিয়েছেন, যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কেউ সেই পথে হাঁটেননি।

    গত সপ্তাহে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান নিয়ে রাজ্যগুলিকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেন। কলকাতা ফিরে এসেও মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেননি। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এক কর্তা জানান, এ রাজ্যে প্রতি বছর যেমন স্বাধীনতা দিবস পালন হয় তেমনই হবে। সমস্ত সরকারি দফতরে জাতীয় পতাকা তোলা হবে। সেজন্য জেলাগুলিকে প্রয়োজনীয় জাতীয় পতাকা সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে। আলাদা ভাবে কোনও অভিযানে সামিল হয়ে বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা তোলার কর্মসূচি সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি।

    ডাক বিভাগের তরফেও জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত ডাকঘরে জাতীয় পতাকা মজুত করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর জাতীয় পতাকা কিনে নিয়ে গিয়েছে। বিএসএফ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফের মতো সংস্থাও হাজার হাজার জাতীয় পতাকা কিনেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বরাত আসেনি। ডাক বিভাগের তরফে বার বার রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগকে অনুরোধ করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। শুধুমাত্র পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের তরফে কিছু সংখ্যক জাতীয় পতাকা কেনা হয়েছে।

    নবান্নর কর্তাদের দাবি, শীর্ষস্তর থেকে প্রতি বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সেই কারণে বিভিন্ন দফতরে জাতীয় পতাকা তোলার সরকারি কর্মসূচি যেমন প্রতিবার থাকে তেমনই হচ্ছে। বাড়তি পতাকার কোনও প্রয়োজন পড়েনি। যদি প্রয়োজন হয় জেলাশাসকেরা তা সংগ্রহ করে নিয়েছেন।

  • PM Ujjwala Yojana: পিএম উজ্জ্বলা যোজনার ৩৭% উপভোক্তাই সংখ্যালঘু, বলছে পরিসংখ্যান 

    PM Ujjwala Yojana: পিএম উজ্জ্বলা যোজনার ৩৭% উপভোক্তাই সংখ্যালঘু, বলছে পরিসংখ্যান 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী (Modi) পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প উপহার দিয়েছেন দেশবাসীকে। তার মধ্যে রয়েছে, পিএম আবাস যোজনা, পিএম মুদ্রা যোজনা, পিএম কিষান, পিএম উজ্জ্বলা যোজনার মত একাধিক জনপ্রিয় প্রকল্প। কিন্তু এত কিছুর পরেও বিজেপিকে হিন্দুর সরকার এবং নরেন্দ্র মোদিকে হিন্দুর প্রধানমন্ত্রী বলতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি। প্রধানমন্ত্রী যতবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে দেশটি ধর্ম নিরপেক্ষ এবং তিনি গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী, ততই যেন হিন্দুত্ববাদীর তকমা মোদির গায়ে সাঁটতে আরও রে রে করে ছুটে এসেছেন বিরোধীরা। 

    আরও পড়ুন: ফের চিনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ১২ হাজারের কম দামের চিনা স্মার্টফোন নিষিদ্ধ হচ্ছে ভারতে

    কিন্তু লোকসভায় সরকারের পেশ করা এক পরিসংখ্যানে উঠে এল এক সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। সেই পরিসংখ্যানে দেখা গেল পিএম উজ্জ্বলা যোজনার (PM Ujjwala Yojana) উপভোক্তাদের ৩৭% – ই সংখ্যালঘু(Minority)। সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রকে প্রাক্তন মন্ত্রী মুক্তার আকবর নকভি পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ২.৩১ কোটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩১% বাড়ি ২৫টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দেওয়া হয়েছে। কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের উপভোক্তাদের মধ্যেও ৩৩% -ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এছাড়াও, পিএম উজ্জ্বলা যোজনার উপভোক্তাদেরও ৩৭% সংখ্যালিওঘু।”

    আরও পড়ুন: দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    সংখ্যালগু কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯২ – এর অধীনে ভারতের মোট পাঁচ সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তকমা দিয়েছে ভারত সরকার। মুসলিন, খ্রিষ্টান, শিখ, বুদ্ধিস্ট এবং পার্সি। এই সম্প্রদায়গুলির জন্যে একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পও রয়েছে সরকারের। ভারতের অন্যান্য  নাগরিকদের থেকে কিছু বাড়তি সুবিধাও পেয়ে থাকেন এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকরা। 

    এই দেশে সংখ্যালঘুরা কত শান্তিতে এবং সুরক্ষিত রয়েছেন লোকসভায় সে প্রসঙ্গও তোলেন নকভি। তিনি এও বলেন, “সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং কল্যাণ বরাবরই ভারত সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘শিখ অউর কামাও’ এবং ‘উস্তাদ’ – এর মতো প্রকল্প শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্যেই এলেছে ভারত সরকার। 

    এছাড়া দেশে ২০১৪ সালের পর থেকে কীভাবে শিক্ষা, রোজগারের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অগ্রগতি হয়েছে সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি। ভারতে যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে সে দাবিও করেন মন্ত্রী। 

  • Mudhol hounds: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ‘আত্মনির্ভরতা’! দেশীয় সারমেয় মুধল হাউন্ডে ভরসা, জানেন এর বৈশিষ্ট্য

    Mudhol hounds: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ‘আত্মনির্ভরতা’! দেশীয় সারমেয় মুধল হাউন্ডে ভরসা, জানেন এর বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) নিরাপত্তায় থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (SPG) তে অন্তর্ভূক্ত করা হল দেশি জাতের মুধল হাউন্ড (Mudhol Hound) কুকুর। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া (Make In India) প্রকল্পের ছবি ধরা পড়ল তাঁর নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও। সাধারণ ভাবে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার কাজে জার্মান শেফার্ড ব্যবহার করা হয়। তবে, বিশেষজ্ঞদের অভিমত জার্মান শেফার্ডের থেকে অনেক পারদর্শী মুধল হাউন্ড। জার্মান শেফার্ডের যে কাজ করতে ৯০ সেকেন্ড সময় লাগে, সেই কাজ মাত্র ৪০ সেকেন্ডে করতে পারে এই দেশি জাতের কুকুরটি।

    এর আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই প্রজাতির কুকুরের প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের বিভিন্ন প্রজাতির কুকুরের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ পোষ্যের ক্ষেত্রেও দেশীয় প্রজাতির দিকে নজর দেওয়াটা দরকার। মুধল হাউন্ড আর হিমাচলি হাউন্ড বেশ ভাল জাতের কুকুর বলে দাবি করেছিলেন মোদি। জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতেও এই প্রজাতির কুকুরকে ব্যবহার করার কথা। এবার তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে সেই মুধল হাউন্ড। সূত্রের খবর, বাগালকোট থেকে দুটি পুরুষ সারমেয় শাবক SPG-তে আনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    একসময় বিরোধীদের মুধল প্রজাতির কুকুরের থেকে জাতীয়তাবাদের শিক্ষা নিতে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার কর্নাটক, গুজরাটের ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির দেখভালে সেই মুধল হাউন্ডই। আত্মনির্ভর ভারতই যদি মন্ত্র হয়, তবে পোষ্যের ক্ষেত্রেও ভারতীয় প্রজাতির কথা ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ভিআইপিদের মধ্যে এখন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এসপিজি। 

    মুধল হাউন্ড (Mudhol Hound) প্রজাতির কুকুরের আদি বাসস্থান দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের বাগালকোট (Bagalkot)। কর্নাটকের বিভিন্ন এলাকায় করওয়ানি নামেও ডাকা হয় এই শিকারি কুকুরকে। শিকারের সহজাত ক্ষমতাই এই প্রজাতির কুকুরকে অন্য দেশি কুকুরের থেকে আলাদা করেছে। মুধল হাউন্ড (Mudhol Hound) প্রজাতির কুকুর খুব অনুগত। এদের শক্ত চোয়ালে একবার শিকার ধরা পড়ে গেলে, তার নিস্তার পাওয়া কার্যত অসম্ভব।

  • Modi on Har Ghar Jal campaign: সরকার গঠন সহজ কিন্তু দেশ গঠন…! জানুন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi on Har Ghar Jal campaign: সরকার গঠন সহজ কিন্তু দেশ গঠন…! জানুন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার গঠন করা অনেক সহজ কাজ। কিন্তু দেশ গঠন করতে গেলে চাই কঠোর পরিশ্রম। দেশকে ভালবেসে সবটা উজাড় করে দিতে হবে। দেশের মানুষের স্বার্থে নিরলস পরিশ্রম করতে হবে। ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে। এমনই অভিমত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুক্রবার ‘হর ঘর জল’ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়  তিনি বলেন, সরকার গঠন করতে এত পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না, তবে দেশ গঠনের জন্য কঠোর পরিশ্রম অপরিহার্য।”

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ‘আত্মনির্ভরতা’! দেশীয় সারমেয় মধুল হাউন্ডে ভরসা, জানেন এর বৈশিষ্ট্য

    দেশের বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, “যারা দেশের কথা চিন্তা করে না, তারাই দেশের সমস্যার প্রতি উদাসীন থাকে।” গত আট বছরে এনডিএ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে মোদি জানান, সরকার গঠন করা সহজ, কিন্তু বিজেপি দেশ গঠনের পথ বেছে নিয়েছে… যা কঠোর পরিশ্রমের কাজ।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা (বিজেপি সরকার) দেশ গঠনের পথ বেছে নিয়েছি। তাই, আমরা সর্বদা কাজ করছি।” বিরোধী দলগুলোকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “যারা জাতির কথা চিন্তা করে না, তারা এসব সমস্যার প্রতি কোনও উদ্বেগ বা আগ্রহ দেখায় না। তারা জলের ব্যবস্থা করার জন্য বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, কিন্তু কখনোই দূরদৃষ্টি নিয়ে কাজের কাজ করবে না।”

    আরও পড়ুন: বকেয়া বিল, অন্ধকারে ডুববে ১৩টি রাজ্য! জানুন তালিকায় কোন কোন জায়গা

    প্রধানমন্ত্রী আজ একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জল জীবন মিশনের অধীনে ‘হর ঘর জল’ উৎসবে ভাষণ দেন। গোয়ার পানাজিতে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশের ১০ কোটি গ্রামীণ পরিবারকে পাইপযুক্ত বিশুদ্ধ জলের সুবিধার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি সরকারের প্রতি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রচারের একটি বড় সাফল্য।” প্রধানমন্ত্রী জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যেও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান।

     

  • Modi Niti Aayog: বিশ্বকে নেতৃত্ব দিক ভারত, নীতি আয়োগের বৈঠকে এমনই ইচ্ছে প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi Niti Aayog: বিশ্বকে নেতৃত্ব দিক ভারত, নীতি আয়োগের বৈঠকে এমনই ইচ্ছে প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে আত্ম নির্ভর হতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে আগামীতে ভারতই নেতৃত্ব দেবে পুরো বিশ্বকে। রবিবারের নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠকে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এদিন দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে (Farm Sector) আরও শক্তিশালী করার বার্তা দিলেন মোদি।  

    এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দ্রুত নগরায়ণ ভারতের দুর্বলতার বদলে শক্তি হয়ে উঠেছে। জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    তিনি আরও বলেন, “ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রেও ভারতকে আত্ম নির্ভর হতে হবে।” 

    আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ (G-20) সম্মেলন। রবিবারের বৈঠকে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা আমাদের কাছে একটা বিরাট সুযোগ। এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে এটা দেখাতে পারব যে, ভারত মানে শুধু দিল্লি নয়। একাধিক রাজ্য আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে এই দেশ। জি-২০ (G-20) সম্মেলন নিয়ে দেশজুড়ে প্রচারের কথাও বলেও তিনি। “এই সম্মেলনের আগে আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করতে হবে। যাতে তাঁদেরকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা যায়।” 

    আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে বেরি

    বিগত কয়েক বছর ধরেই নীতি আয়োগের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়ে আসছে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার নীতি আয়োগের সামনা সামনি বৈঠক হয়েছে। এরপর বিভিন্ন কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সারতে হয়েছে এই বৈঠক। ২০২০ সালেও করোনা সংক্রমণের কারণে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। করোনা পরবর্তী সময়ে এই প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।   

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ৩ জন লেফটাল্যান্ট গভর্নর, ২ জন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। 

    মূলত চারটে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। সেগুলি হল,

    ১) শস্যবৈচিত্র্য এবং ডাল, তৈলবীজ এবং অন্যান্য কৃষিপণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা।

    ২) স্কুলে শিক্ষায় জাতীয় শিক্ষা নীতির বাস্তবায়ন।

    ৩) উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন।

    ৪) মজবুত আর্বান প্রশাসন।

     

LinkedIn
Share