Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • Mohan Bhagwat: ‘ভারত মাতার সন্তান’-রাই সংঘে আসতে পারবেন, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘ভারত মাতার সন্তান’-রাই সংঘে আসতে পারবেন, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) রবিবার বেঙ্গালুরুতে সংঘশতবর্ষ আয়োজিত একটি বক্তৃতামালায় ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছেন, “ধর্মীয় পরিচয় বাদ রেখে নিজেদের ‘ভারত মাতার সন্তান’ বলে পরিচয় দিতে পারলেই সংঘ শাখায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।” নতুন দিগন্ত বক্তৃতা সিজিরের এই মন্তব্য দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন ফেলেছে। সংঘ কাজে কেবলমাত্র ভারতীয়রাই যুক্ত হতে পারবেন এটাও স্পষ্ট করেন ভাগবত।

    সংঘে কোনও মুসলমান প্রবেশ করতে পারবেন না (Mohan Bhagwat)

    ১০০ বছর পূর্ণ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS)। ১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনে নাগপুরে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ভারতীয় সমাজ তথা হিন্দু সমাজকে এক করতে এই আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা উত্তর ভারতকে পুনঃজাগ্রত করাই এই সংগঠনের একমাত্র লক্ষ্য। এদিন আলোচনায় সরসংঘ চালক মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat) একজন প্রশ্ন করেন যে সংঘে কি মুসলিমরা আসতে পারেন? উত্তরে তিনি বলেন, “সংঘে কোনও ব্রাহ্মণ প্রবেশ করতে পারেন না। সংঘে কোনও মুসলমান প্রবেশ করতে পারবেন না। সংঘে কোনও খ্রিস্টান প্রবেশ করতে পারবেন না। কোন শৈব প্রবেশ করতে পারবেন না, কোনও শাক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না। কেবলমাত্র হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারবেন। তাই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের নিজ নিজ মুসলমান, খ্রিষ্টান পরিচয়কে দূরে রেখে আসলেই ভালো।”

    মুসলমান এবং খ্রিষ্টানরা একই পূর্বপুরুষের বংশধর

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সঙ্গে যুক্ত হতে গেলে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) যে সহজ কথাটি অত্যন্ত সহজ সরল ভাবে বলেছেন তা হল- “আপনাদের সংঘে অবশ্যই স্বাগত, যখন কেউ সংঘে আসেন তখন তিনি ভারত মাতার সন্তান হিসেবেই আসেন। ভারত মাতার সন্তানরা সকলেই হিন্দু সমাজের অন্তর্গত। একই ভাবে যখন কোন মুসলমান, খ্রিষ্টানরা আমাদের শাখায় আসেন তখন তাকে আমরা জিজ্ঞাসা করি না আপনারা কারা। আমরা তাঁদের অন্য কোন সম্প্রদায় হিসবে গণনা করি না। সকলেই ভারত মাতার সন্তান এই ভাবনাতেই সংঘ চলে। সংঘ কখনই রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য কাজ করে না। সব সময় দেশ-সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্যই কাজ করে। ভারতের কেউ হিন্দু সামজের বাইরে নয়। সকল মুসলমান এবং খ্রিষ্টানরা একই পূর্বপুরুষের বংশধর। আমাদের ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করে বৈচিত্র্য করতে পারিনা। বৈচিত্র্য হল আমাদের অলঙ্কার।”

  • Mohan Bhagwat: “আরএসএস নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”, সাফ জানালেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আরএসএস নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”, সাফ জানালেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএস (RSS) নীতিকে সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়”। এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “কংগ্রেস যদি অযোধ্যায় রামমন্দিরের দাবি সমর্থন করত, তাহলে আরএসএস কর্মীরা কংগ্রেসকেই সমর্থন করতেন।”

    কী বললেন সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat)

    সরসংঘচালক বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশ নিই না। সংঘ সমাজকে একত্রিত করার কাজ করে, আর রাজনীতি সমাজকে বিভক্ত করে। আমরা ব্যক্তি বা দলের নয়, নীতির সমর্থক। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আমরা অযোধ্যায় রামমন্দির চেয়েছিলাম। তাই আমাদের স্বয়ংসেবকেরা তাঁদের ভোট দিয়েছেন যাঁরা মন্দির নির্মাণের পক্ষে ছিলেন।” তিনি জানান, বিজেপি সেই দাবি মেনে নিয়েছিল। এর পরেই সংঘ প্রধান বলেন, “কংগ্রেস যদি সমর্থন করত, তাহলে আমাদের স্বয়ংসেবকেরা কংগ্রেসকেই ভোট দিতেন।” তিনি বলেন, “আমাদের কোনও একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ নেই। সংঘের কোনও দল নেই, কোনও দলও আমাদের নয়। আবার সব দলই আমাদের, কারণ তারা ভারতীয় দল। আমরা ‘রাষ্ট্রনীতি’কে সমর্থন করি, ‘রাজনীতি’কে নয়। আমাদের নিজস্ব মত আছে এবং আমরা চাই দেশ একটি নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে যাক। যে দল দেশকে সেই পথে নিয়ে যাবে, আমরা তাদেরই সমর্থন করব।”

    আরএসএসে মুসলমানরা

    মুসলমানরা আরএসএসে যোগ দিতে পারেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘে কোনও ব্রাহ্মণকে আলাদা করে অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও জাতির মানুষকে আলাদা করে অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও মুসলিমকে আলাদা অনুমতি দেওয়া হয় না, কোনও খ্রিস্টানকেও নয়। বিভিন্ন ধর্মমতের মানুষ, সে তিনি মুসলিমই হোন বা খ্রিস্টান, সংঘে আসতে পারেন, যদি তাঁরা তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় সরিয়ে রেখে আসেন। শাখায় আসার সময় সবাইকে ভারত মায়ের সন্তান হিসেবেই আসতে হয়। মুসলিম ও খ্রিস্টানরা শাখায় আসেন, কিন্তু আমরা তাঁদের গণনা করি না (RSS)। আমরা কখনওই জিজ্ঞেস করি না তাঁরা কোন ধর্মের (Mohan Bhagwat)।”

  • Mohan Bhagwat: “ভারতীয়দের ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থার বিদেশি প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করা জরুরি”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “ভারতীয়দের ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থার বিদেশি প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করা জরুরি”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের নিজস্ব জ্ঞানচর্চার ঐতিহ্যে প্রবেশ ও তার গুরুত্ব বোঝার জন্য ভারতীয়দের ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থার বিদেশি প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করা জরুরি।” অন্তত এমনই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) (আরএসএস)-এর সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ১৯ অক্টোবর মুম্বইয়ে ‘আর্য যুগ’ গ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত বলেন, “সকল ভারতীয়ই ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থার অধীনে শিক্ষালাভ করেছেন। তাই আমাদের মন ও বুদ্ধি বিদেশি হয়ে গিয়েছে।”

    কী বললেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    তিনি বলেন, “আমরা ভারতীয় পদ্ধতিতে শিক্ষিত হইনি। আমরা শিক্ষিত হয়েছি ম্যাকলে জ্ঞানব্যবস্থায়। আমাদের জ্ঞানের উৎস, ভিত্তি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক গঠন সেই ব্যবস্থার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে। বলা হয়, আমরা উপনিবেশে পরিণত হয়েছিলাম। আমরা ভারতীয় হলেও, আমাদের মন ও বুদ্ধি বিদেশি হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সেই বিদেশি প্রভাব থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের মুক্ত করতে হবে। কেবল তখনই আমরা আমাদের জ্ঞান-ঐতিহ্যে প্রবেশ করতে পারব এবং তার গুরুত্ব বুঝতে পারব।” সরসংঘচালক বলেন, “যদি বাকি বিশ্ব কিছুটা অগ্রগতি করে থাকে, তবে আমাদের উচিত তাদের সেই অগ্রগতির গোপন রহস্যটি বোঝা ও তা মূল্যায়ন করা। যা ভালো, তা গ্রহণ করতে পারা উচিত এবং যা অপ্রয়োজনীয় তা বর্জন করতে পারা উচিত।”

    ‘সত্য’ উপলব্ধির পথ

    তিনি বলেন, “জ্ঞানেন্দ্রিয় (যেসব ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে আমরা জগতের জ্ঞান উপলব্ধি করি) দিয়ে যে পৃথিবীকে দেখা হয়, সেটিও মানুষের মনের দিকনির্দেশনার ওপর ভিত্তি করে। তাই ‘সত্য’ উপলব্ধি করতে হলে আমাদের মস্তিষ্কের সীমা অতিক্রম করতে হবে (RSS)।” আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “আধুনিক বিজ্ঞানও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে আমাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় যা দেখে, তা আসলে আমাদের মনের নির্দেশনার ভিত্তিতে। তবে বাস্তবে আমরা যা দেখি, তা সত্য নয়। আমরা মানুষ সাতটি রঙ দেখতে পাই। আমি একজন পশু-চিকিৎসক, আমি জানি একটি কুকুর মাত্র দু’টি রঙ দেখতে পায় এবং একটি মুরগি মাত্র তিনটি রঙ দেখতে পায়।” এর পরেই তিনি বলেন, “ তাহলে কি কুকুর মানুষকে রঙের সংখ্যা নিয়ে আপত্তি জানাবে? সেই কারণেই আমরা মস্তিষ্কের সীমার বাইরে না গেলে সত্য জানতে পারব না। আধুনিক বিজ্ঞানও বলে যে আমরা এটা পারি (Mohan Bhagwat)।”

  • RSS at 100: শতবর্ষের সূচনায় দেশের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তায় বিশেষ জোর ভাগবতের

    RSS at 100: শতবর্ষের সূচনায় দেশের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তায় বিশেষ জোর ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয় দশমীর দিন থেকেই শতবর্ষে পা দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবেক সংঘ বা আরএসএস (RSS at 100)। এদিন নাগপুরের রেশমবাগে ডক্টর কেশব বলিরাম হেড গেওয়ারের স্মৃতিসৌধে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সরসংঘ চালক মোহন রাও ভাগবত (Mohan Bhagwat)। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ভারতের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে স্বয়ংসেবকদের বিশেষ বার্তাও দেন ভাগবত। জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষা এই দুই বিষয়কে নিয়ে আগামীদিনে ভারতকে আরও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন। তাই সংঘ মনে করে সমাজের প্রত্যেক বর্গের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং সৌভাতৃত্ব একান্ত প্রয়োজন।

    তেগ বাহাদুর-মহাত্মা গান্ধী- লালা বাহাদুরকে স্মরণ (RSS at 100)

    ১৯২৫ সালে ব্রিটিশ পরাধীন ভারতে কলকাতার অনুশীলন সমিতি থেকে দীক্ষা নিয়ে কেশবজি হিন্দু সমাজকে একত্রিত করা এবং ভারত রাষ্ট্রের পুনঃনির্মাণের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) নামে কাজ শুরু করেন মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। এরপর থেকে আরএসএস গত ১০০ বছর ধরে সংঘ ব্যক্তি নির্মাণ, সমাজ গঠন, হিন্দু সমাজের একত্রীকরণ, ভারত রাষ্ট্রের পুনঃজাগরণ সংকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্র ভক্তিই আরএসএসের প্রধান সংকল্প। শতবর্ষ সূচনার ভাষণে মোহন ভাগবত বলেন, “রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের শতবর্ষের সঙ্গে গুরু তেগ বাহাদুরের ৩৫০ তম জন্মবার্ষিকীও পালিত হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা অর্জনই মূল লক্ষ্য ছিল না, ভারতের ‘স্ব’-কে খোঁজ করাও স্বাধীনতা উত্তর ভারতের প্রধান সংকল্প। গান্ধীজি এবং লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মজয়ন্তীও বটে। নিজের নিজের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কর্ম আমাদের বুঝিয়েছে কীভাবে একজন সাধারণ ব্যক্তি প্রকৃত মানুষ হতে পারেন। ভারত এবং বিশ্বকে মাথায় রেখে আমাদের স্বভাব এবং প্রকৃতিকে নির্ধারণ করতে হবে।”

    হিন্দুত্বের বিশ্বাস এবং ঐক্য

    মহাকুম্ভমেলা সম্পর্কে ভাগবত (RSS at 100) বলেন, “এই বছর মহাকুম্ভে সারা বিশ্বের হিন্দুরা বৃহৎ মাত্রায় পুণ্যস্নান করেছেন। দেশের পুরাতন সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার আরও একবার পুনঃজাগরণ ঘটেছে। তীর্থযাত্রীদের ভিড় পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা রেকর্ড গড়েছে। চমৎকার ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় কোনও রকম ফাঁক ছিল না। প্রাচীন সভ্যতার শিকরের সন্ধানে সমস্ত হিন্দু সমাজ এক হয়েছে। সমগ্র ভারত জুড়ে হিন্দুত্বের বিশ্বাস এবং ঐক্যের ঢেউকে জাগিয়ে তুলেছে।”

    পেহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে

    পেহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে আরএসএস (RSS at 100) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে পাকিস্তানি জঙ্গিরা অতর্কিত হামলা করেছিল। ধর্ম জিজ্ঞাসা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করেছিল লস্করের জঙ্গিরা। সারা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। সরকার এবং ভারতীয় সেনার উদ্যোগে পাল্টা অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) করা হয়। হামলার সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের সঠিক প্রত্যঘাত করা হয়েছিল। ভারতের সশস্ত্র সেনা বাহিনীর অসামান্য কর্মকুশলতায় মন জয় করেছে সাধারণ ভারতীয়দের মনকে। সেই সময় ভারতের অভ্যন্তরে এবং বাইরের দেশগুলির মনোভাবও সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা গিয়েছিল। তাই সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে কূটনীতি এবং নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের ভালো করে ভাবতে হবে। সম্প্রতি সময়েই প্রথমে শ্রীলঙ্কা, এরপর বাংলাদেশ আর তারও পরে নেপালের অস্থির রাজনীতি আমাদের নিজেদের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে নিয়ে ভাবায়।”

    মার্কিন বাণিজ্যনীতি

    মার্কিন বাণিজ্যনীতি নিয়ে সরসঙ্ঘ চালক (RSS at 100) ভাগবত বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন করেছে তা তাদের নিজস্ব স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই করেছে। এর দ্বারা সকলেই প্রভাবিত হচ্ছে। পৃথিবী একে অপরের উপর নির্ভরশীলতার সঙ্গে চলে; যে কোনও দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক এভাবেই বজায় থাকে। কোনও দেশই বিচ্ছিন্নভাবে টিকে থাকতে পারে না। এই নির্ভরতা বাধ্যবাধকতায় পরিণত হওয়া উচিত নয়। আমাদের স্বদেশীর উপর নির্ভর করতে হবে এবং আত্মনির্ভরতার উপর মনোনিবেশ করতে হবে। তবুও আমাদের সকল বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের ইচ্ছা এবং বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে।”

    পরিবেশ ভাবনা

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে। ভূমিধ্বস এবং অবিরাম বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। গত ৩-৪ বছর ধরে এই প্রবণতাকে দারুণ ভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হিমালয় আমাদের সুরক্ষা প্রাচীর এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য জলের প্রধান উৎস। যদি উন্নয়নের নামে পরিকল্পনার অভাব হয় তাহলে তো দুর্যোগগুলিও আরও মারাত্মক নেবে। তাই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্তগুলিকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। হিমালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তাজনক। ঠিক এইভাবেই পরিবেশ নিয়েও মত প্রকাশ করেন সঙ্ঘের সর সংঘ (RSS at 100) চালক ভাগবত (Mohan Bhagwat)।

  • Mohan Bhagwat: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি, কিন্তু কোনও দেশ জয় করিনি”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি, কিন্তু কোনও দেশ জয় করিনি”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমরা কোনও দেশ জয় করিনি, কারও ব্যবসার ক্ষতি করিনি, কাউকে পরিবর্তন করিনি, কাউকে ধর্মান্তরিতও করিনি। যেখানে যেখানে আমরা গিয়েছি, সভ্যতা, জ্ঞান ছড়িয়ে দিয়েছি, শাস্ত্র শিখেছি, জীবন উন্নত করেছি।” রবিবার কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রহ্লাদ প্যাটেল রচিত ‘নর্মদা পরিক্রমা’ গ্রন্থের আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ (India) দিয়ে তিনি বলেন, “ভারত প্রায় ৩ হাজার বছর আগে বিশ্বের নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু কোনও দেশ জয় করেনি, বা কারও ব্যবসা নষ্ট করেনি। সেই সময় পৃথিবীতে কোনও বিবাদ ছিল না। উচ্চ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সত্ত্বেও পরিবেশেরও অবনতি হয়নি।”

    প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান বলেন, “সেই সময় প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল। সব কিছু ছিল। তাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগও ছিল। আজকাল তা আর নেই।” তিনি ভারতকে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবেও উল্লেখ করেন। বলেন, “সচেতনতা এবং পবিত্রতার অনুভূতির মাধ্যমে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। সেই সময় ভারত ছিল শ্রেষ্ঠ দেশ। পৃথিবীতে গত ৩ হাজার বছরে কোনও সংঘাত ছিল না। প্রযুক্তিগত অগ্রগতিও খুবই উন্নত ছিল। যদিও পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয়নি। মানবজীবন ছিল সুখী ও সংস্কৃতিপূর্ণ।”

    ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ

    শুক্রবারই এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “ভয় থেকে ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “বিশ্ব শক্তিগুলি ভারতের এই উত্থিত শক্তি নিয়েই চিন্তিত।” আরএসএস প্রধান এই মন্তব্য করেছিলেন নাগপুরে ব্রহ্মাকুমারিজ বিশ্ব শান্তি সারোভারের ৭ম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে। সেখানেও তিনি বিশ্বে ভারতের ভূমিকা এবং সমষ্টিগত চিন্তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। সেদিন কোনও দেশের নাম না নিয়েই ভাগবত বলেছিলেন, “মানুষ ভয় পায় যদি অন্য কেউ বড় হয়ে যায়। যদি ভারত বড় হয়, তারা কোথায় থাকবে? এজন্য তারা শুল্ক আরোপ করেছে।” তাঁর যুক্তি, শুল্ক আরোপ ভারতের দোষ নয়, বরং এটি করা হয়েছে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের বিস্তৃত অবস্থান নিয়ে ভয় থেকেই। আরএসএস প্রধান বলেন, “আমরা কিছুই বলিনি। তারা তাকে তুষ্ট করছে, যারা সবটা করেছে। কারণ যদি এটি তাদের হাতে থাকে, তবে তারা ভারতের (India) ওপর সামান্য চাপ প্রয়োগ করতে পারে।” তিনি বলেন, “এমন পদক্ষেপগুলি স্বার্থকেন্দ্রিক মানসিকতার ফল।”

    চার্চিলের প্রসঙ্গও টানেন ভাগবত

    বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের প্রসঙ্গও টানেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “চার্চিল বলেছিলেন স্বাধীন ভারত টিকে থাকবে না, বিভক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু আজ ভারত সেই সব ভবিষ্যদ্বাণীকে ভুল প্রমাণ করছে। ব্রিটিশ শাসনের পরেও ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারত বদলে দিয়েছে ইতিহাসের ধারাকে।” তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল ভারত সেই সব পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণ করছে, যারা এই দেশকে দুর্বল ও ভাগ হতে দেখে মন গড়া মন্তব্য করেছিল।” ইংল্যান্ডের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভাগবত বলেন, “এখন ইংল্যান্ড নিজেই বিভাজনের পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ভারত বিভক্ত হবে না। আমরা একবার বিভক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা একে আবারও ঐক্যবদ্ধ করব (India)।” তাঁর মতে, ভারতের উন্নয়ন ও ঐক্য তার নাগরিকদের আস্থা এবং কর্মপরায়ণতার ওপর নির্ভরশীল (Mohan Bhagwat)।

    সংঘচালকের বক্তব্য

    সংঘচালক বলেন, “৩ হাজার বছর ধরে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল ভারত। তখন পৃথিবী ছিল সংঘর্ষমুক্ত। ব্যক্তিগত স্বার্থ ও অহংকারই পৃথিবীর সব সমস্যা ও সংঘর্ষের মূল কারণ।” তিনি বলেন, “ভারত সব সময় কর্ম, যুক্তি এবং আস্থার সমন্বয় সাধন করে। তাই আজও তামাম বিশ্ব একে অন্য চোখে দেখে। আজও এর একটা আলাদা পরিচয় আছে।” জীবনকে নাটকের সঙ্গে তুলনা করে ভাগবত বলেন, “আমরা সবাই এই জীবনরূপী নাটকের অভিনেতা। আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করি। নাটক শেষ হলেই আমাদের আসল স্বরূপ প্রকাশ পায়।” তিনি বলেন, “ভারতের ভবিষ্যৎও এই ভারসাম্য ও কর্মপরায়ণতার ওপর নির্ভরশীল।” তাঁর সাফ কথা, “ভারতের পরিচয় শুধু ক্ষমতা কিংবা শক্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কর্ম, যুক্তি ও আস্থার সঙ্গে জড়িত।” ওযাকিবহাল মহলের মতে, এদিনের (India) বক্তব্যে কারও নাম না নিলেও, ভাগবত স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারত অন্যান্য বিশ্বশক্তির চেয়ে একেবারেই আলাদা (Mohan Bhagwat)।

  • Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে।” শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম না নিয়েই এ কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ট্রাম্প প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করে সরসংঘচালক বলেন, “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে। সিদ্ধান্তটি হতাশা থেকে ও চাপে পড়ে নেওয়া হয়েছে।”

    জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় জরিমানা (Mohan Bhagwat)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর চাপানো হয় ৫০ শতাংশ শুল্ক, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প বলেন, “এটি (রাশিয়া থেকে তেল কেনা) প্রকৃতপক্ষে মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে।” মার্কিন প্রশাসনের এই চড়া শুল্ক হারকে ভারত অন্যায়, অপ্রমাণিত এবং অযৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে যে, “নয়াদিল্লি কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না।”

    কী বললেন ভাগবত

    আরএসএস প্রধান বলেন, “বিশ্বের মানুষ আশঙ্কিত যে, যদি ভারত শক্তিশালী হয় তাহলে তাদের কী হতে পারে এবং তাদের নিজস্ব অবস্থান কী হবে। এ জন্য ভারতীয় পণ্যগুলিতে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” শুক্রবার ভাগবত যোগ দিয়েছিলেন নাগপুরে “ব্রহ্ম কুমারিজ বিশ্বশান্তি সরোবর” নামের একটি যোগ ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি বলেন, “মানব মনোভাব ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’-র দিকে পরিবর্তন করলে অনেক সমস্যার সমাধানই করা সম্ভব।” সরসংঘচালক বলেন, “আজকের বিশ্ব সমাধান খুঁজছে, কারণ তাদের অসম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছে না। শুধুমাত্র আমি মনোভাবের কারণে তাদের পক্ষে পথ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।” ভারত যে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এবং বিশ্বকে উন্নতির পথে পরিচালিত করতে পারে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেন সরসংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ভারত মহান দেশ। ভারতীয়দেরও উচিত মহান হওয়ার চেষ্টা করা।” তিনি আরও বলেন, “ভারত বড় দেশ এবং এটি আরও বড় হতে চায়।” বর্তমান ভারতের সামর্থ্যের উল্লেখ করতে গিয়ে ভাগবত (RSS) বলেন, “ভারত বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে এবং তামাম বিশ্বকে সঠিক পথ দেখাতে সক্ষম।”

    ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসা

    এদিন ভাগবত ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে উল্লেখ করেন কঠিন সময়ে তাঁদের স্থিরধৈর্য এবং সন্তুষ্টির কথা। বলেন, “কোনও সংকট থাকা উচিত নয়।  তবে যদি থেকেও থাকে, তাহলে সময় এলে তা পরিবর্তিত হবে। তবু, দুঃখ-দুর্দশা থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ এই একাত্মতার আত্মার কারণে সন্তুষ্ট থাকে (Mohan Bhagwat)।” প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেন। এটা কার্যকর করা হয় ১ অগাস্ট থেকে। এরই দিন কয়েক পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশে নিয়ে যান। জানিয়ে দেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় এই শাস্তি।  ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। এর পাশাপাশি তিনি ভারতকে এই বলেও সতর্ক করেন যে, যদি নয়াদিল্লি সরে না আসে, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আমেরিকার আরও অভিযোগ, ভারত রুশ তেল কিনে অন্যান্য দেশকে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে (Mohan Bhagwat) নয়াদিল্লি।

    ভারতের অনড় মনোভাব

    এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কৌশলের মুখে পড়েও ভারত তার দৃঢ় মনোভাব বজায় রেখেছে (RSS)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ বলে দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশের মানুষের স্বার্থেই। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে তিনি অন্যায়, অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন। এর ঠিক পরে পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান চিনে। সেখানে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন (Mohan Bhagwat) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তার পরেই সুর নরম করেন ট্রাম্প। ভারতকে আরও একবার ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

     

  • Mohan Bhagwat: প্রত্যেক ভারতীয় পরিবারকে তিনটি সন্তান নেওয়ার কথা বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: প্রত্যেক ভারতীয় পরিবারকে তিনটি সন্তান নেওয়ার কথা বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের উচিত কমপক্ষে তিনটি সন্তান থাকা।

    কী বললেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)?

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) নিজের বক্তব্যে বলেন, “ডাক্তাররা আমাকে বলেছেন—সঠিক বয়সে বিয়ে করা এবং তিনটি সন্তান থাকলে বাবা-মা ও সন্তান, উভয়েরই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে তা উপকারী। বাড়িতে যদি তিন ভাইবোন থাকে, তাহলে শিশুদের মধ্যে অহংকার কমে এবং ভবিষ্যতে তাদের পারিবারিক জীবনে জটিলতা দেখা দেয় না।” সংঘপ্রধান বলেন, ‘‘ভারতের জনসংখ্যা নীতিতে ২.১ সন্তান থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা গড় হিসাবে ঠিক আছে। কিন্তু আপনার কখনওই ০.১ সন্তান থাকতে পারে না। গণিতে, ২.১ হলে ২ হয়, কিন্তু যখন জন্মের কথা আসে, দুইয়ের পরে তিন জন হতে হয়। চিকিৎসকেরা আমাকে এটাই বলেছেন।’’

    জনসংখ্যা আশীর্বাদও হতে পারে, আবার বোঝাও হয়ে উঠতে পারে

    তিনি (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “একটি দেশের জনসংখ্যা আশীর্বাদও হতে পারে, আবার বোঝাও হয়ে উঠতে পারে—কারণ, দিন শেষে সকলকেই খাওয়াতে হয়। তাই জনসংখ্যা নীতি থাকা জরুরি। এই নীতির মধ্যে থেকেই এমন ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন, যাতে প্রতিটি পরিবারে তিনটি সন্তান থাকে, কিন্তু তার বেশি নয়। এই লক্ষ্যটি সর্বজনগ্রাহ্য হওয়া উচিত।” মোহন ভাগবত এদিন বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, তিনটির কম সন্তান হলে বংশবিস্তারের গতি কমে যায়। এর ফলে সেই পরিবার তথা কোনও সম্প্রদায় ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।’’

    হিন্দুদের জন্মহার প্রথম থেকেই কম

    মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) মতে, বর্তমানে সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যেই জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে, তবে হিন্দুদের মধ্যে তা তুলনামূলকভাবে বেশি। তিনি বলেন, “হিন্দুদের জন্মহার প্রথম থেকেই কম। অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আগে এটি বেশি ছিল, তবে এখন কমছে। তবুও, সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে তাদের নতুন প্রজন্মকে তিনটি সন্তান নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।”

  • RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) শতবর্ষের পথচলা — এই শীর্ষক বক্তৃতা সিরিজে বৃহস্পতিবার সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ভারতে ভাষা সম্প্রীতির কথা বলেন। ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের বিভিন্ন ভাষার গুরুত্ব এবং তিনি জানান যে ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা। তাঁর নিজের ভাষায়, “ভারতের প্রত্যেক কথ্য ভাষাই হল এ দেশের জাতীয় ভাষা।”

    ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয়

    তিনি এদিন আরও বলেন যে ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয় এবং প্রত্যেকটা ভারতীয় ভাষার মধ্যেই প্রতিধ্বনিত হয় দেশপ্রেম, যখন একজন মানুষ অপরজনের সঙ্গে কথা বলেন। এদিনের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত আরও বলেন, ভাষার বিবিধতা এবং বৈচিত্র্যতাই এ দেশের বড় শক্তি। এদিন আরএসএস প্রধান যে কোনও দুটি ভারতীয় ভাষার (RSS) মধ্যে বিভেদ আনার প্রবণতার বিরুদ্ধে সরব হন এবং তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে নষ্ট করবে। ভাষাগত বিভেদ নিজেদের মধ্যে আনা উচিত নয়।

    কথোপথন ভারতীয় ভাষাতেই হওয়া উচিত (RSS)

    এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয় ভাষাই হল জাতীয় ভাষা এবং আমরা যখন নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা বা কথোপকথন করব, তখন যেন অবশ্যই যে কোনও ভারতীয় ভাষাতে কথা বলি — কোনও বিদেশি ভাষায় নয়।’’ সব মিলিয়ে ডঃ মোহন ভাগবত এদিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য় রাখলেন। বিশেষত ভারতীয় ভাষা নিয়ে যখন দেশে বিতর্ক চলছে। আঞ্চলিক ভাষা এবং হিন্দি প্রসঙ্গে। মোহন ভাগবতের এই ভাষা-সম্পর্কিত মন্তব্য জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে জোরদার করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না

    এদিনের বক্তব্যে ডঃ মোহন ভাগবত বলেন, ১৯৪৮ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণ ‘জ্বলন্ত মশাল’ হাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কার্যালয় পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জরুরি অবস্থার পরে তিনিই সংঘের একটি শিবিরে উপস্থিত হয়ে বলেন, “পরিবর্তন একমাত্র সংঘের মাধ্যমেই আশা করা যায়।” মোহন ভাগবতের মতে, আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না — গোটা সমাজই আমাদের আপন। তিনি আরও বলেন, “অখণ্ড ভারতের ধারণা কখনও রাজনৈতিক নয়, এটি সাংস্কৃতিক।” এদিনের বক্তৃতায় উঠে আসে জনবিন্যাস পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। ডঃ ভাগবত বলেন, “যখন জনবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে, তখনই দেশভাগের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।” হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান ভিন্ন নয়, তারা এক। তাই তাদের মধ্যে আলাদা করে কোনও ‘ঐক্য’ গঠনের প্রয়োজনই নেই।” এদিনের বক্তব্যে মোহন ভাগবত আরও বলেন, ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমেই সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব। প্রথমে সমাজকে বদলাতে হয়, তারপরই রাষ্ট্রের ব্যবস্থা বা কাঠামো পরিবর্তিত হয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কোনও হিংসাত্মক সংগঠন নয়। যদি সংঘ সত্যিই হিংসা ছড়াত, তাহলে দেশের ৭৫ হাজার স্থানে তার শাখা গড়ে উঠত না।

  • Mohan Bhagwat: “বিশ্বের সামনে থাকা আধুনিক সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত”, আরএসএসের শতবর্ষে দাবি ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “বিশ্বের সামনে থাকা আধুনিক সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত”, আরএসএসের শতবর্ষে দাবি ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উগ্রবাদ বাড়ছে। ওকিজম আজকের বিশ্বের অন্যতম বড় হুমকি। পরিবেশ ধ্বংসও মানুষের অশান্তি থেকে জন্ম নেওয়া একটি গুরুতর উদ্বেগ। এর সমাধান ধর্মে নিহিত, যা কোনও সংকীর্ণ অর্থে ধর্ম নয়। ধর্ম বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এর মধ্যে পরিবেশের প্রতিও শ্রদ্ধা অন্তর্ভুক্ত। ধর্ম ভারসাম্যের কথা বলে। আর ভারতই এই আধুনিক সমস্যার সমাধান করতে পারে, যা আজ বিশ্বের সামনে রয়েছে।” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে গেলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘ যাত্রার ১০০ বছরের (RSS Centenary) দ্বিতীয় দিনেও বক্তব্য রাখেন সরসংঘচালক ভাগবত। সেখানেই তিনি আরএসএসের ভারতের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। আরএসএস প্রধান বলেন, “আজ ইতিবাচক পরিবেশ রয়েছে। তবে একজন স্বয়ংসেবক ভাবেন, ইতিবাচকতা মানে থেমে যাওয়া নয়,  তাকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করা, এমনকি যদি মতবিরোধ থাকে, তাহলেও। সংঘে কোনও ব্যক্তিগত প্রণোদনা নেই, কিন্তু স্বয়ংসেবকরা আনন্দ নিয়ে কাজ করেন। কারণ তাঁরা জানেন তাঁদের কাজ বিশ্বকল্যাণের জন্য নিবেদিত।”

    হিন্দু ধর্ম (Mohan Bhagwat)

    হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাগবত বলেন, “আমাদের ধর্ম হল বিশ্বধর্ম। এটি পৃথিবীতে শান্তি আনতে সক্ষম। ধর্ম কখনও অন্যকে জোর করে নিজের দিকে টানতে চায় না। ভারতীয় জীবনধারা সারা বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ হতে পারে।” তিনি বলেন, “ভারত সবসময় সাহায্য করেছে নিজের স্বার্থের কথা না ভেবেই। এমনকি তাদেরও সাহায্য করেছে, যারা ভারতের বিরোধিতা করেছিল। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবেশগত সমস্যাগুলি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ভারতীয় সমাজকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।”

    সংঘের দায়িত্ব

    সংঘের দায়িত্বের প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হল চরিত্র গঠন করা এবং আরও দেশপ্রেমিক সমাজ গড়ে তোলা। আমরা যা সংঘে করি, তা গোটা সমাজে বিস্তার করতে হবে।” তিনি বলেন, “দেশের সবচেয়ে দরিদ্র থেকে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, প্রত্যেক গ্রাম ও প্রতিটি পরিবারের মানুষ এর বাইরে নয়। তাদের সংঘ শাখার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। যারা সমাজের জন্য কাজ করছে, তাদেরও শাখার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্য রয়েছে। অনেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও মতবাদ বাইরের দেশ থেকে এখানে এসেছে। তারা আজও আমাদের দেশে আছে। মতবাদ বাইরে থেকে আসতে পারে, কিন্তু সমাজে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা মেটাতে হবে, এবং দেশের ঐক্য আরও দৃঢ় করার পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যেখানেই বাস করি বা কাজ করি, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে এবং তাঁদের (RSS Centenary) আপনজন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। জল, শ্মশান ও মন্দির সবার জন্য, এখানে কোনও ভেদাভেদ চলবে না।” তিনি বলেন, “মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা এটা যখন হবে, তখনই প্রকৃত পরিবর্তন আসবে।”

    স্বদেশীর অর্থ

    সরসংঘচালকের মুখেও এদিন শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথার প্রতিধ্বনি। প্রধানমন্ত্রীর মতোই ভাগবতও বলেন, “স্বদেশীর অর্থ হল, যেসব জিনিস আমাদের দেশে আছে বা সহজেই তৈরি করা সম্ভব, তা বাইরে থেকে আমদানি না করা। বাইরে থেকে জিনিস আমদানি করলে দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ চায় ভারতীয় সমাজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছক, যা পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে।” হিন্দুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “হিন্দুত্বকে দুটি শব্দে বোঝানো যায় — সত্য ও প্রেম। মানবসম্পর্ক কেবল চুক্তি বা ব্যবসার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের মানুষের উচিত জীবনের পাঠ ভারত থেকে শেখা।” তিনি বলেন, “হিন্দুস্থানের উদ্দেশ্য হল বিশ্বকল্যাণ। সংঘে যোগ দিলে কিছুই লাভ হয় না, বরং যা আছে তাও হারাতে হতে পারে। একজন স্বয়ংসেবক এই মনোভাব নিয়েই কাজ করেন – আত্মমুক্তি ও বিশ্বকল্যাণের জন্য।”

    আরএসএস হল হিন্দু জাতির জীবনমিশনের এক বিবর্তন

    ভাগবত বলেন, দাদরাও পরমার্থ একবার বলেছিলেন,  “আরএসএস হল হিন্দু জাতির জীবনমিশনের এক বিবর্তন।” তিনি বলেন, “ভোগবাদ ও বস্তুবাদের কারণে সাতটি সামাজিক পাপ বাড়ছে – সম্পদহীন কাজ, বিবেকহীন ভোগ, চরিত্রহীন জ্ঞান, নীতিহীন বাণিজ্য, মানবতাহীন বিজ্ঞান, ত্যাগহীন ধর্ম এবং নীতিহীন রাজনীতি।” সরসংঘচালক বলেন, “ধর্মে কোনও ধর্মান্তর নেই। ধর্ম হল শাশ্বত সত্য, যার ভিত্তিতে সবকিছু চলে। একে (RSS Centenary) বলা হয় স্বভাব ও কর্তব্য। ধর্ম কখনও দুঃখ সৃষ্টি করে না। ধর্ম সর্বদা আনন্দদায়ক এবং সামঞ্জস্য রক্ষাকারী। বিবেকানন্দ বলতেন, ভারত একটি ধর্মকেন্দ্রিক জাতি, সময়ে সময়ে তাকে বিশ্বকে ধর্ম দিতে হয়। সর্বজনের কল্যাণ – এটাই আমাদের দর্শনের সারমর্ম।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “হিন্দু ধর্মই সেই শক্তি, যা বিশ্বশান্তি আনতে পারে। শত্রুতা জন্মায় অহংকার থেকে। হিন্দুস্থান অহংকারের ঊর্ধ্বে। আমাদের অগ্রাধিকার হল পারিবারিক সংস্কৃতি রক্ষা করা। ভারতের অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশ একসময় ভারতেরই অংশ ছিল। মানুষ ও ভূগোল একই। আমাদের প্রথম কর্তব্য হল তাদের সঙ্গে ফের সম্প্রীতির বন্ধনে যুক্ত হওয়া।” তিনি বলেন, “আত্মনির্ভরতা হল সব কিছুর মূল। আমাদের জাতিকে আত্মনির্ভর হতে হবে। একজনকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই বাঁচতে হবে জাতির জন্য। আমরা থাকি বা না থাকি, ভারতকে থাকতে (RSS Centenary) হবে, এবং বিশ্বকেও থাকতে হবে।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপাল, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল, ডেনমার্ক, চিন, আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা (Mohan Bhagwat)।

  • RSS: শতবর্ষে পা আরএসএসের, জেনে নিন এই সংগঠনের ইতিহাস

    RSS: শতবর্ষে পা আরএসএসের, জেনে নিন এই সংগঠনের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতবর্ষ উদযাপন করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (সংক্ষেপে আরএসএস)। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিন এই সংগঠনের (RSS) প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন ড. কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার। প্রধান লক্ষ্য ছিল, হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং হিন্দু সংস্কৃতি প্রচার করা (Mohan Bhagwat)। হেডগেওয়ার প্রাণিত হয়েছিলেন ভিডি সাভারকরের দ্বারা। সংগঠনের প্রথম কেন্দ্র খোলা হয়েছিল নাগপুরে। তখন থেকে মহারাষ্ট্রের এই শহর সংগঠনের প্রধান কেন্দ্র হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। দেশের প্রতিটি রাজ্যে রয়েছে আরএসএসের কার্যালয়, ঐতিহ্যগতভাবে এগুলি “শাখা” নামে পরিচিত।

    নবজাগ্রত হিন্দু জাতির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের পতন ঘটানো (RSS)

    সংগঠনের বহু সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতাও ছিলেন, যাঁরা মহাত্মা গান্ধীর হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের আদর্শে হতাশ হয়েছিলেন। প্রথম দিকে আরএসএস ব্রিটিশ সরকারের বিরাগভাজন হতে চায়নি। তাই স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। যদিও হেডগেওয়ারের উদ্দেশ্য ছিল শেষ পর্যন্ত একটি নবজাগ্রত হিন্দু জাতির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের পতন ঘটানো। পরবর্তীকালে আরএসএস যুবকদের নিয়োগ করে, তাঁদের যুদ্ধবিদ্যা শেখানো হত। ব্রিটিশ পুলিশের মতোই উর্দিও পরতেন তাঁরা। পরে ধীরে ধীরে আরএসএস নিতে শুরু করে এক আধাসামরিক সংগঠনের রূপ। গত একশো বছরে আরএসএসের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে একাধিক ঝড়, সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে চারবার – ১৯৪৭, ১৯৪৮, ১৯৭৫ এবং ১৯৯২ সালে।

    জনসংঘ থেকে বর্তমানে বিজেপি

    ১৯৫১ সালে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি তৎকালীন আরএসএস (RSS) সরসংঘচালক ‘শ্রী গুরুজি’র সহায়তায় জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জনসংঘ ৩.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনজন সাংসদ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুখার্জি স্বয়ংও। এরপর জনসংঘ জাতীয় দলের মর্যাদা পায়। পরে বহু উত্থান পতনের পর ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল গঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। এর প্রধান নেতারা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও তাঁর ডেপুটি এলকে আডবাণী, প্রাক্তন মন্ত্রী মুরলী মনোহর যোশী ছিলেন আরএসএসের সদস্য। আজও বিজেপির প্রধান নেতা, মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। এই তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ। মঙ্গলবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে তিন দিনব্যাপী বক্তৃতা সিরিজের মাধ্যমে শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা করেছেন। শতবর্ষ উপলক্ষে সংগঠনটি সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই বক্তৃতা সিরিজের মূল উদ্দেশ্য হল সমাজের সামনে সংগঠনের (RSS) একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করা (Mohan Bhagwat)।

LinkedIn
Share