Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • Mohan Bhagwat: “আরএসএসের মূল ভাবনা হল আত্মীয়তা বোধ,” বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আরএসএসের মূল ভাবনা হল আত্মীয়তা বোধ,” বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএসের (RSS) মূল ভাবনা হল সম্পর্কের অনুভূতি বা আত্মীয়তা বোধ।” পুণেয় প্রয়াত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক তথা সংঘ নেতা দাদা খাড়িওয়ালের জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “যদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে এক কথায় বর্ণনা করতে হয়, তবে সেই শব্দটি হবে ‘আত্মীয়তা’ বা ‘সম্পর্কের অনুভূতি’। এই অনুভূতি সমাজে আরও দৃঢ় হওয়া উচিত।” ভাগবত বলেন, “সংঘ কী করে? এটি হিন্দুদের সংগঠিত করে। এই আত্মীয়তার অনুভূতি আরও গভীর হওয়া উচিত, কারণ পুরো বিশ্ব এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে।” তিনি বলেন, “প্রকৃত ঐক্য আসে সেই সাধারণ সূত্রকে চেনার মাধ্যমে যা সকলকে এক সঙ্গে যুক্ত করে। মানুষ, পশুদের মতো নয়। কারণ তারা স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে উঠতে সক্ষম। যে এই আত্মীয়তার বোধকে বোঝে, সেই-ই প্রকৃত মানুষ।”

    আরএসএসের ভূমিকা (Mohan Bhagwat)

    আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ কী করে? এটি তার সমস্ত কর্মসূচি, শৃঙ্খলা, শারীরিক সক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমাজকে বারবার সেই অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয়, যা তারা ভুলে গিয়েছে — ‘আপনত্ব’ বা একাত্মতা।” ভাগবত বলেন, “সংঘের প্রকৃত কাজই হল সমস্ত হিন্দু সমাজকে এই ‘আপনত্বের’ সূতোয় গাঁথা। এবং হিন্দু সমাজও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিষয়টি মেনে নিয়েছে যে, সারা বিশ্বকে এই আপনত্বের বন্ধনে বাঁধা তাদের কর্তব্য।”

    স্বয়ংসেবকের কর্তব্য

    প্রাক্তন আরএসএস প্রধান মাধব সদাশিবরাও গোলওয়ালকর (গুরুজি নামে পরিচিত)-এর কথাও স্মরণ করেন তিনি। পরে বলেন, “একজন স্বয়ংসেবকের কর্তব্য হল নিয়মিত শাখায় যোগ দেওয়া, শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিঃস্বার্থভাবে সবার সেবা করা।” আধুনিক কিছু শব্দগুচ্ছ, যেমন “গিভিং ব্যাক” (ফিরিয়ে দেওয়া) প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, “এই ধারণা তো ভারতীয় সংস্কৃতিতে বরাবরই ছিল। এটি হল অন্যদের সেবা করার এবং একত্রে বসবাস করার কর্তব্যের অংশ।” কোনও কাজ শুরু করতে দেরি না করতে মানুষকে আহ্বান জানান ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বলেন, “সংঘে (RSS) আমরাও এভাবেই কাজ করি। যদি কিছু করার দরকার হয়, আমরা সেটি করেই ফেলি।”

  • Mohan Bhagwat: ‘‘দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন,’’ আহ্বান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘‘দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন,’’ আহ্বান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দিলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে শিক্ষাবর্গ শিবিরে ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আমরা কি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে দেশীয় উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারের সংকল্প নিতে পারি?” তিনি বলেন, “এই সংকল্প নিজের কাছ থেকে শুরু হোক, তারপর তা ছড়িয়ে পড়ুক পরিবার, প্রতিবেশী এবং শেষ পর্যন্ত পুরো জাতিকে অনুপ্রাণিত করুক। আমাদের দেশের অর্থ দেশের মধ্যেই থাকা উচিত এবং তা আমাদের নিজেদের অগ্রগতির জন্য ব্যবহৃত হওয়া উচিত।” এদিনের অনুষ্ঠানে দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে স্বদেশি পণ্য ব্যবহার করা যায়, কীভাবেই বা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার আহ্বানও তিনি জানান ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী এবং আমজনতাকে। ভাগবত বলেন, “প্রতিদিনের জীবনে যদি গভীর দেশপ্রেমের বোধ থাকে, তবেই ব্যক্তি ও দেশ – উভয়েরই সামগ্রিক উন্নতি সম্ভব।”

    কী বললেন সরসংঘচালক? (Mohan Bhagwat)

    সরসংঘচালক বলেন, “এই সংকল্প আমাদের নিজেদের জীবন থেকে শুরু হওয়া উচিত এবং তা পরিবার, পাড়া, শহর ও রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া উচিত। আমাদের দেশে যা আয় হয়, তা দেশের মধ্যেই থাকা উচিত এবং দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো উচিত। আমাদের জীবন এই মানসিকতা নিয়ে পরিচালিত হওয়া উচিত।” ভাগবতের গলায় এদিন শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী (RSS) নরেন্দ্র মোদির আহ্বানের প্রতিধ্বনি (Mohan Bhagwat)। তিনিও বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে উৎপাদিত সামগ্রী ব্যবহারের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    ছাত্রদের আহ্বান ভাগবতের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছিলেন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষের পর।আরএসএস প্রধান এদিন ছাত্রদের আহ্বান জানান, যাতে তাঁরা নিজেদের ক্ষেত্রে আদর্শ পেশাজীবী ও অনুপ্রেরণাদায়ক উদাহরণ হয়ে উঠতে পারেন। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও সরকারের পাশাপাশি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অবদানও তুলে ধরেন। ভাগবত বলেন, “আমাদের সবারই ভাবা উচিত, আমরা (RSS) দেশের কল্যাণে কী করতে পারি (Mohan Bhagwat)।”

  • RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর স্বয়ংসেবকেরা (RSS) অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন, কিন্তু তাঁদের কাজ ও চিন্তাভাবনা থাকে অত্যন্ত উচ্চস্তরের। সমাজের বিকাশ এবং উন্নতির লক্ষ্যে এই কাজ করেন তাঁরা।’’ — এমন কথাই উঠে এল আরএসএস-এর সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) বক্তব্যে।

    সংঘ জীবন নামের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেন ভাগবত

    নাগপুরের শৈক্ষিক সহকারী ব্যাঙ্ক অডিটোরিয়ামে সংঘ জীবন নামক একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য রাখেন। বইটি লিখেছেন রামচন্দ্র দেবদরে এবং এটি প্রকাশ করেছে নচিকেত প্রকাশন। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সংঘের স্বয়ংসেবকরা (RSS) সর্বদা সমাজের জন্য ভালো কাজ করে চলেছেন এবং সেই কাজ তারা করে থাকেন নিঃস্বার্থভাবে ও ধারাবাহিকভাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আরএসএস সামুহিক সিদ্ধান্তের ওপরেই জোর দেয় সর্বদা। সংঘের প্রতিটি কর্মসূচি ও কার্যকলাপের মধ্যেই এর চেতনা প্রতিফলিত হয়।’’

    প্রচারের আড়ালে কাজ করেন স্বয়ংসেবকরা (RSS)

    তিনি আরও বলেন, ‘‘নেতৃত্বকে আমরা সাধারণভাবে চোখে দেখতে পাই, কিন্তু সেই উৎসর্গীকৃত মানসিকতা সম্পন্ন এবং প্রচারের আড়ালে থাকা অসংখ্য কর্মী যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সমাজকে সংগঠিত করতে কাজ করে চলেছেন, তাঁদের চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।’’ ড. ভাগবত আরও বলেন, ‘‘ভারত ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সামুহিক সংঘর্ষের মাধ্যমেই, কিন্তু সেই সংগ্রামের পেছনে ছিল একটি গভীর চেতনা ও আত্মত্যাগের ইতিহাস।’’

    বই সম্পর্কে কী বললেন আরএসএস প্রধান (RSS)

    এই বই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘রামচন্দ্র দেবদরের অভিজ্ঞতাই এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তিনি তা অত্যন্ত সরল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন এই বই যা পাঠকদের সহজেই বোধগম্য হবে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই বইয়ের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে সেই সকল স্বয়ংসেবকদের (RSS) প্রতি, যাঁরা নিরন্তর ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন সমাজের জন্য।

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপদ বোঝালেন আরএসএস প্রধান

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপদ বোঝালেন আরএসএস প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুন বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) উপস্থিত ছিলেন নাগপুরে। সেখানে চলছে আরএসএস-এর কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ। এখানেই নিজের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান বলেন, ‘‘যতক্ষণ না পর্যন্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের চিন্তা ভাবনা আমাদের দেশ থেকে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশ অনেক হুমকির মুখে থাকবে।’’

    বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে সরব ভাগবত

    এদিনের বক্তব্যে তিনি আধুনিক যুদ্ধ পদ্ধতি, সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে দেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের কথাও। বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, “আমাদের প্রশ্ন—ধর্মান্তকরণ হচ্ছে কেন? যদি এর মধ্যে স্বার্থপরতা এবং লোভ না থাকে, তাহলে সবকিছুই একই পথে পরিচালিত হয়। যে কোনওভাবে উপাসনা করা বৈধ। কিন্তু কাউকে জোর করা এবং বলা যে তোমার পথ ভুল এবং ধর্মান্তরিত করা হিংস্রতা। অতএব, যারা লোভ করে ধর্ম পরিবর্তন করেছেন বা যাদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছে এবং এখন ফিরে আসতে চান, তাদের গ্রহণ করা উচিত।

    আমরা কাউকে আমাদের শত্রু বলে মনে করি না

    নিজের বক্তব্যে আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘আদর্শগত বিভাজনের কারণেই ভারতের সামাজিক কাঠামো প্রতিমুহূর্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে। প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়েছে। এর সঙ্গে সত্যও সামনে এসেছে দেশের পক্ষে কারা দাঁড়িয়েছে।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত সাইবার যুদ্ধ এবং প্রক্সি যুদ্ধেরও উল্লেখ করেন। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের এ নিয়ে নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।’’ নিজের বক্তব্যে আরএসএস (RSS) প্রধান বলেন, ‘‘আমরা কাউকে আমাদের শত্রু বলে মনে করি না। কিন্তু আমাদের সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে। আত্মনির্ভরতাই তাই হল একমাত্র এগিয়ে যাওয়ার উপায়।’’ নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘দেশের আসল শক্তি কেবলমাত্র সেনাবাহিনী বা প্রশাসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের আসল শক্তি হল জনগণের মনোবল। এখানেই রয়েছে শক্তি।’’

    সারা ভারত ঐক্যবদ্ধ হয় পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়

    পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক যে সন্ত্রাসী হামলা হয় এই হামলায় সারা দেশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়,শোকের পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটাও তিনি উল্লেখ করেন নিজের বক্তব্যে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সারা ভারত ঐক্যবদ্ধ হয় পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়।’’ যেভাবে পাল্টা প্রত্যাঘাত করা গিয়েছে পাকিস্তানকে, সেটারও উল্লেখ করেন তিনি। প্রশংসা করেন ভারত সরকারের। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) জানিয়েছেন যে দেশের আভ্যন্তরীণ যে ইস্যুগুলি রয়েছে সেখানে যেন নাগরিকরা কখনও উস্কানি না দেন অথবা হিংসার শিকার না হন। নিজের বক্তব্য তিনি বলেন, ‘‘সহিংসতা কোনও পথ নয়, সমাজের কোনও অংশই কখনও অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না।’’

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের (Hindu) নিয়ে কেউ তখনই চিন্তা করবে, যখন হিন্দুরা নিজেরাই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ হিন্দু সমাজ এবং ভারত একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই হিন্দু সমাজের গৌরবময় রূপ ভারতকেও গৌরবান্বিত করবে।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এমন একটি শক্তিশালী হিন্দু সমাজই কেবল তাদের সঙ্গেও চলার পথ দেখাতে পারে, যারা নিজেদের হিন্দু মনে করে না, যদিও এক সময়ে তারাও হিন্দুই ছিল। যদি ভারতের হিন্দু সমাজ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এই কাজ চলছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ধীরে ধীরে হলেও সেই পরিস্থিতির বিকাশ ঘটছে।”

    হিন্দু নিপীড়ন (Mohan Bhagwat)

    প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে রকম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। স্থানীয় হিন্দুরাও এখন বলছেন, ‘আমরা পালিয়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব এবং আমাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।’ এখন হিন্দু সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে। সংগঠন যত বাড়বে, এর প্রভাবও ততটাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিফলিত হবে। তার আগে পর্যন্ত, আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” ভাগবত বলেন, “বিশ্বের যেখানেই হিন্দু আছে, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জন্য যা কিছু সম্ভব, সব কিছু করব। সংঘ আছে সেই উদ্দেশ্যেই। স্বয়ংসেবকেরা শপথ নেয়—‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ রক্ষা করে হিন্দু রাষ্ট্র বিকাশের জন্য কাজ করব।’”

    কী বললেন ভাগবত

    তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের শক্তিশালী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিনের প্রার্থনায় আমরা যেভাবে প্রার্থনা করি – ‘অজয়্যম চ বিশ্বস্য দেহীশ শক্তিম’ — ‘আমাদের এমন শক্তি দাও যাতে আমরা গোটা বিশ্বের কাছে অজেয় হই।’ সত্যিকারের শক্তি হল অভ্যন্তরীণ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজেদের (Hindu) আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকা উচিত। একাধিক শক্তি একসঙ্গে হলেও কেউ যেন আমাদের জয় করতে না পারে (Mohan Bhagwat)।”

  • RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সাল থেকে। এই সংগঠন চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে শততম বর্ষে পা দিচ্ছে। গত মার্চ মাসেই অনুষ্ঠিত হয় আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। সেই সভাতেই আরএসএসের নানা দিক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। প্রতিবেদনে সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল।

    একজন স্বয়ংসেবক এবং সর সঙ্ঘ চালক হিসেবে আরএসএসের শততম বর্ষপূর্তিকে কী চোখে দেখেন?

    এ প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার এই মিশনকে শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে তিনি দেশের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করেন এবং তার যথাযথ সমস্যার সমাধানের জন্য কোন কোন পদক্ষেপ করতে হবে সেটাও তিনি বাতলে দেন। ১৯৫০ সাল থেকেই সংঘের কার্যকর্তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। দেশজুড়ে সংঘের কাজ বাড়তে থাকে। স্বয়ং সেবকরা (RSS) সমাজে কাজে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। দশকের পর দশক ধরে স্বয়ং সেবকরা জাতীয় জাগরণে এই কাজকেই করে চলেছেন।’’

    শততম বর্ষে সবচেয়ে বড় মাইলস্টোন কী সংঘের কাছে?

    এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন,‘‘আমাদের কাছে আলাদা করে কিছু নেই। ১৯৫০ সালের পর থেকেই দেখা যায় যে আরএসএস-এর (RSS) কাজ দ্রুতভাবে বাড়তে থাকে এবং হিন্দু সমাজ সংঘটিত হতে থাকে। এর পরবর্তীকালে সংঘ শক্তি আরও বহু গুণে বেড়ে যায় ১৯৭৫ সালে জাতীয় জরুরি অবস্থার সময়। এই সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ গণতন্ত্র ফেরাতে গঠনমূলক আন্দোলন করে পরবর্তীকালে একাত্মতা রথযাত্রা, কাশ্মীর সংক্রান্ত আন্দোলন, রাম জন্মভূমি মুক্তি আন্দোলন, বিবেকানন্দ সার্ধশতী- এ সমস্ত কিছুই আরএসএস করেছে এবং এর সঙ্গে সেবা কাজও চালিয়েছে।’’

    ১৯৪৮ সাল এবং ১৯৭৫ সালের সংকট নিয়ে কী বলবেন?

    প্রসঙ্গত ১৯৪৮ এবং ১৯৭৫ সালে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এই দুই সময়েই এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়। এটা জানা সত্ত্বেও যে আরএসএস কোনও ক্ষতিকারক সংগঠন নয়। ১৯৪৮ সালে যখন প্রথমবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তখন সংঘ প্রথমবারের জন্য বুঝতে পারে তার শক্তি। এরপরে স্বয়ংসেবকরা পরিকল্পনা করেন সমাজকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যই তাঁরা কাজ করবেন। ১৯৭৫ সালের জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন শুরু করেছিল সংঘ এবং আমরা প্রত্যেকেই অংশগ্রহণ করেছিলাম তাতে। জাতীয় জরুরি অবস্থা যখন শেষ হয়, তখন দেখা যায় সংঘ একটা শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’’

    দেশজুড়ে ভাষা-ভৌগোলিক বৈচিত্রে আরএসএস কীভাবে স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে আরএসএস স্থির করেছে যে তারা সমগ্র সমাজকে সংগঠিত করবে।’’ এনিয়ে একটি গল্পও বলেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘একবার এক নতুন কার্যকর্তা সংগঠনে আসেন। তিনি সমাজতন্ত্রের আদর্শ বিশ্বাস করেন। খুব ধূমপান করতেন। প্রথমবার তাঁকে অভ্যাস বর্গে হাজির করানো হয়। যেখানে এসে এই ধরনের ধূমপান করার সুবিধা পাননি তিনি। তখন তিনি সারাটা দিন অস্থির হয়ে ওঠেন। রাতে সংগঠন সম্পাদক তাঁকে নিয়ে হাঁটতে বের হন। তাঁকে বলা হয় যে একটা সিগারেটের দোকানে যাও। কিন্তু কখনও যেন এটা ক্যাম্পের ভিতরে না হয়। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি ভালো কার্যকর্তায় পরিণত হন এবং ধূমপানও ছেড়ে দেন।’’ সংঘ প্রধানের মতে, এভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সংঘে।

    আরএসএস চলছে ডাক্তারজী, গুরুজীর দেখানো পথেই! যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাহলে কীভাবে সেটা হবে?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার হেডগোয়ার এবং গুরুজীর যে চিন্তা ভাবনা, তা সনাতন ধর্মেরই প্রথা। হিন্দু সংস্কৃতির বাইরে নয় বা আলাদাও নয়। আরএসএসের পদ্ধতি হল এভাবেই কাজ করা। প্রথম দিন থেকে থেকে আমরা নীতি এবং আদর্শের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছি। আমরা প্রেরণা এবং নির্দেশ পাই মহান মানুষদের কাছ থেকেই। কিন্তু দেশ কাল পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’

    বর্তমান দিনে সমাজ এবং প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে নিত্য শাখা কী প্রাসঙ্গিক?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘শাখাতেই আমরা পরম বৈভাবশালী ভারত রাষ্ট্র নির্মাণের কথা বলি। এটাই হল সংঘের শাখা। এখানেই স্বয়ংসেবকরা একত্রিত হন এবং দেশ ভক্তির একটা বাতাবরণ তৈরি হয়। একজন সাধারণ মানুষ প্রথমবারের জন্য সংঘের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে নিত্য শাখার মাধ্যমে। ব্যক্তির সঙ্গে সামুহিকতার একটা বন্ধন তৈরি হয় এভাবে। শাখার সময়ের পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু শাখার কোনও বিকল্প নেই।’’

    বনবাসী বা জনজাতিদের মধ্যে সংঘের কাজ কীভাবে বাড়ছে?

    বনবাসীদের মধ্যে কাজ কীভাবে বাড়ছে, এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সর সংঘচালক বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের মধ্যে থেকে সমাজকে নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন ব্যক্তিদেরকে তুলে আনার চেষ্টা করছি। যাঁরা তাঁদের নিজেদের সমাজের জনগণের জন্য কাজ করবেন। তাঁদেরকে দেখবে এবং সমগ্র জাতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে। প্রতিটি জনজাতি অঞ্চলেই বাড়ছে সংঘের কাজ।’’

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে, সংঘের প্রতিনিধি সভায় এনিয়ে আলোচনা হয়েছে, আপনার কী মতামত?

    এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান বলেন, ‘‘ভারতের হিন্দু সমাজ যদি সংঘটিত হয় এবং শক্তিশালী হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সারা পৃথিবীর হিন্দুরা সেখান থেকে শক্তি পাবেন। এই কাজই চলছে। কিন্তু তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু নিশ্চিতভাবে একদিন হবে। বাংলাদেশে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে, সেখানে স্থানীয় হিন্দুরা বলছেন যে আমরা আর এখান থেকে পালাব না। আমরা এখানে থাকব। আমাদের অধিকারের জন্য সংঘর্ষ করব। হিন্দু সমাজের আভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে, একথা বলাই যায়। যেখানেই হিন্দুরা আক্রান্ত হোক বিশ্বজুড়ে, আমরা আমাদের সম্ভাব্য সমস্ত রকমের কাজই করব আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে।’’

    জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে সংঘের মতামত কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের কারও উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়, আমাদেরকে নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। একজন সত্যিকারের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কখনও নিরাপদ হয় না যদি তিনি শক্তিশালী না হন। শুভ শক্তিকে রক্ষার জন্য ধর্মকে শক্তির সঙ্গে একত্রিত হতেই হবে।’’

    ভারতের ধর্মীয় ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বিবিধতা সংঘ কীভাবে দেখে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষজন একসঙ্গে এসে সংঘের কাজ দেখেন। আরএসএসের যে গানগুলি রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র হিন্দিতেই নেই, সেগুলো বিভিন্ন ভাষাতেই রয়েছে। বিভিন্ন ভাষাতেই সংঘ শিক্ষা বর্গে গাওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি গানের মধ্যেই রয়েছে জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যে।’’

    আরএসএস সমর্থতার কথা বলে কিছু মানুষ একতার কথা বলে সমান অধিকারের কথা বলে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘সমান অধিকার বা ইকুইটি হল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক। আর সমরসতা মানে সামাজিক ঐক্যের কথা বলি। এভাবেই আমরা স্বাধীনতা এবং সমান অধিকারকে প্রচার করি। আমাদের যে সংবিধান তা জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতাপর বিরুদ্ধে কথা বলছে। মানসিকভাবেই আমাদের বৈষম্য দূর করতে হবে।’’

    আরএসএস-এ বর্তমানে নারী শক্তির অংশগ্রহণ বাড়ছে এনিয়ে আপনার মতামত কী?

    এ নিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন,‘‘১৯৩৩ সাল নাগাদ গড়ে তোলা হয় রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, যা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। আরএসএসের শাখা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তা পুরুষ মানুষের জন্যই। কিন্তু মহিলারা তা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং দেখতেও পারেন। এ কথা সত্য যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ শুধুমাত্র পুরস্কার কার্যকর্তার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের মাতৃশক্তিও সমানভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে তাঁরা যোগদান করছেন।’’

    শতবর্ষে আরএসএসের প্রস্তাব পাশ হয়েছে পঞ্চ পরিবর্তন, এ নিয়ে পরিকল্পনা কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘সামাজিক সমরসতা হল আমাদের প্রথম কাজ। এরপর আসে কুটুম্ব প্রবোধন, তার মানে ভারতবর্ষের সনাতন পরিবারের ঐতিহ্য এবং প্রথাকে মান্যতা দেওয়া। এরপর পরিবেশের সংরক্ষণ। এর সঙ্গে আসে স্ব অর্থাৎ আত্মনির্ভরতা। শেষে আসে একদম নাগরিক কর্তব্য অর্থাৎ আমরা যেন প্রত্যেকে আইন, সংবিধান এবং সামাজিক রীতি নিয়ম মেনে চলি।’’

    আগামী ২৫ বছর সংঘের কার্যক্রম কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘ আগামী ২৫ বছর সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা কাজ করব এবং ভারতকে একটা নতুন জায়গাতে নিয়ে যাব। এভাবেই সমগ্র বিশ্বের একটা পরিবর্তন হবে।’’

    সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে, ২০৪৭ সালের দেশের স্বাধীনতা ১০০ বছর হবে, ভারত কীভাবে বিশ্বগুরু হবে?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘এই সময় আমাদের সমাজে তিনটে ব্যধির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। একটা হচ্ছে স্বার্থপরতা, দ্বিতীয় হচ্ছে জাতিভেদ প্রথা আর একটা হচ্ছে আত্ম বিস্মৃতি। আমরা যদি সংগঠিত থাকি।’’

    হিন্দু সমাজের শুভচিন্তকদের জন্য আপনার বার্তা কী?

    আরএসএস প্রধান বলেন (Mohan Bhagwat), ‘‘হিন্দু সমাজকে জাগ্রত হতে হবে। তাদের আভ্যন্তরীণ যে সমস্ত বিভেদ এবং বিবাদ আছে, তার সমস্ত কিছুকে মিটিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে নিঃস্বার্থ হতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিকভাবে সামাজিকভাবে এবং পেশাগতভাবে ধার্মিক হতে হবে। হিন্দুত্বের আদর্শের উপর গড়ে তুলতে হবে জীবন।’’

  • Mohan Bhagwat: ‘‘শক্তিশালী হলে তবেই বিশ্ব আমাদের ভালোবাসার ভাষা শুনবে’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘শক্তিশালী হলে তবেই বিশ্ব আমাদের ভালোবাসার ভাষা শুনবে’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এই বিশ্ব ভালোবাসার ভাষা তখনই শুনবে যদি তোমার শক্তি থাকে। ভারত (Bharat) হল পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীনতম সভ্যতা। বর্তমানে আমরা কাজ করছি বিশ্ব শান্তি এবং সম্প্রতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।’’ রাজস্থানের জয়পুরে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক চালক ডঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সে রাজ্যের জয়পুরে রবিনাথ আশ্রমে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন সংঘপ্রধান। সেখানেই তাঁকে এই কথাগুলি বলতে শোনা যায়। একইসঙ্গে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘এদেশের ইতিহাস আত্মত্যাগের ইতিহাস। ভগবান রামচন্দ্র থেকে ধামাশাহ আমরা প্রত্যেকেই তাঁদের পুজো করি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতের কর্তব্য হল, গোটা বিশ্বকে ধর্ম শিক্ষা দেওয়া। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই শক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ অপারেশন সিঁদুর সফল হওয়ার পরে সংঘ প্রধানের এমন বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করে ভারত যে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে তাতে গোটা বিশ্ব এদেশের সামরিক শক্তি প্রত্যক্ষ করেছে।

    এ দেশ কারও ক্ষতি করতে চায় না (Mohan Bhagwat)

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘এ দেশ কারও ক্ষতি করতে চায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে। কারণ শক্তিশালী হলেই গোটা বিশ্ব আমাদের ভালোবাসার ভাষা শুনবে। কারণ এটাই বিশ্বের প্রকৃতি। এই প্রকৃতিকে কখনও পরিবর্তন করা যাবে না। যে কারণে পৃথিবীর কল্যাণের জন্য আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে এবং সারা বিশ্ব সাক্ষী থাকবে আমাদের শক্তির।’’

    জাতির কর্তব্য হল সারা বিশ্বকে ধর্ম শিক্ষা দেওয়া

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘সমস্ত দিক দিয়ে ভারত বর্তমানে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে আমাদের জাতির কর্তব্য হল, সারা বিশ্বকে ধর্ম শিক্ষা দেওয়া। কারণ পৃথিবীর কল্যাণই আমাদের ধর্ম। বিশেষত হিন্দু ধর্মে এটা আমাদের পবিত্র কর্তব্য। এটা প্রাচীন ভারতীয় প্রথার মধ্যেও রয়ে গিয়েছে। আমরা ঋষি মুনিদের আমল থেকেই তা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানেও সেই একই ধারা প্রবাহিত রয়েছে।’’

  • RSS: ‘‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জরুরি ছিল অপারেশন সিঁদুর’’, মোদি সরকার ও সেনাকে অভিনন্দন জানাল আরএসএস

    RSS: ‘‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জরুরি ছিল অপারেশন সিঁদুর’’, মোদি সরকার ও সেনাকে অভিনন্দন জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সফল হওয়ার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। ৯ মে আরএসএস-র তরফে এই বিবৃতি সামনে এসেছে। এখানেই দেশের নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরএসএস বলেছে, ‘‘ অপারেশন সিঁদুর সত্যিই জরুরি ছিল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে এবং দেশের মনোবলকে অক্ষুণ্ণ রাখতে।’’ প্রসঙ্গত,  রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের তরফ থেকে এই বিবৃতি দেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত এবং সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। নিজেদের বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘‘আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং আমাদের সশস্ত্র সেনাবাহিনীকে। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল।’’

    সমগ্র ভারতবর্ষ সরকার এবং সেনার পক্ষে দাঁড়িয়েছে

    সশস্ত্র সেনা অভিযানকে সমর্থন করে আরএসএস-র দেওয়া ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আমরা (RSS) সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করছি এই সামরিক অভিযানের যা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে। পাকিস্তানে থাকা তাদের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করেছে এই অপারেশন। দেশের নিরাপত্তার জন্য এমন পদক্ষেপ খুবই জরুরি ছিল। বর্তমানে দেশের এমন পরিস্থিতিতে সমগ্র ভারতবর্ষ সরকার এবং সেনার পক্ষে দাঁড়িয়েছে (Operation Sindoor)।’’

    জম্মু-কাশ্মীর সীমানায় পাকিস্তান কর্তৃক হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস

    একইসঙ্গে পাকিস্তান যেভাবে হামলা চালিয়েছে নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের উপর তারও নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস (RSS)। আরএসএস-এর ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাক সেনাবাহিনী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং নিরীহ নাগরিকদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তা সত্যিই নিন্দনীয়। একইসঙ্গে আরএসএস সমগ্র দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রত্যেক নাগরিক যেন সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলেন। এর পাশাপাশি, নাগরিক কর্তব্য পালন করতেও অনুরোধ জানিয়েছে সংঘ। দেশের এমন পরিস্থিতিতে কোনও নাগরিক যেন ভারত বিরোধী চক্রান্তের ফাঁদে না পড়েন সে বিষয়েও দেশবাসীকে সতর্ক করেছে আরএসএস (RSS)। আরএসএস জানিয়েছে,  যুদ্ধের আবহে দেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে অনেক ফাঁদ পাতা হবে। সেবিষয়ে দেশবাসীকে সদা জাগ্রত থাকতে হবে দেশের ঐক্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে।

  • Mohan Bhagwat: বারাণসীতে হিন্দু ঐক্যের বার্তা, আদিবাসী কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: বারাণসীতে হিন্দু ঐক্যের বার্তা, আদিবাসী কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ৩০ এপ্রিল ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। এই পুণ্য তিথিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বারাণসীতে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং কন্যাদান করেন। এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় বারাণসীর সঙ্কলধারা কুণ্ডে। ১২৫ জন নব দম্পতি, যাঁরা বিভিন্ন জাতি-বর্ণের ছিলেন, তাঁদেরকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করান মোহন ভাগবত। এই অনুষ্ঠানে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারিত হয়। যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরোহিতরা নানা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেন। ১২৫ জনের দুই হাত এক হয় এইভাবেই।

    আদিবাসীকে কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    এই গণবিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন একজন আদিবাসী কন্যা রাজবন্তী। তিনি এসেছিলেন শোনভদ্র জেলার যোগদিহি গ্রাম থেকে। মোহন ভাগবত নিজের হাতে রাজবন্তির পা ধুয়ে দেন। এরপরেই আরএসএস প্রধান জানান, এভাবেই সামাজিক বৈষম্য দূর হওয়া উচিত এবং হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। এরপরেই রাজবন্তীর হাত তিনি তুলে দেন অমনের হাতে। প্রসঙ্গত, অমনও একজন আদিবাসী বর। অমনের হাতে রাজবন্তীর হাত তুলে দেওয়ার সময় আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান বলেন, ‘‘আমি কন্যাদান করলাম তোমার হাতে।’’ শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক চালক কন্যাদান করার পরে ৫০১ টাকাও তুলে দেন অমনের হাতে। এরপরেই আরএসএস প্রধানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার মেয়ের খেয়াল রেখো। তাকে সর্বদা সুখে রেখো।’’

    অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্ষয় কন্যাদান মহোৎসব’

    বারাণসীতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্ষয় কন্যাদান মহোৎসব’ (Akshay Kanyadan Mahotsav), এটি শুধুমাত্র কোনও অনুষ্ঠান ছিল না। এটা ছিল ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, মূল্যবোধের একটি প্রতিফলন। এভাবেই ভারতের হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার এক প্রয়াস এখানে দেখা গেল। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের বিভিন্ন জাতি বর কনেরা একত্রিত হলেন এভাবে। গোটা অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ছিলেন বীরেন্দ্র জয়সওয়াল। যিনি উত্তরপ্রদেশের একজন বরিষ্ঠ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা বলেই জানা যায়। জানা গিয়েছে, নিজের পুত্র সন্তান বৈভবের বিয়ে উপলক্ষ্যেই তিনি এমন গণবিবাহের আয়োজন করেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই আরএসএস নেতা জানিয়েছেন, নিজের পুত্রের বিয়েটি একটু অন্যরকম করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে আরএসএস নেতা বীরেন্দ্র জয়সওয়াল মনস্থির করেন যে পুত্রের বিয়ের সঙ্গেই তিনি আরও ১০১ জন বিভিন্ন জাতি এবং বর্ণের কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। এভাবেই তাঁর সিদ্ধান্তে ধরা পড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নিঃস্বার্থ সেবা ভাবনা।

    কী বললেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)?

    অনেকের মতে, বীরেন্দ্র জয়সওয়াল এভাবেই সামাজিক সমরসতার এক নতুন ভাবনা প্রতিষ্ঠিত করলেন। ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ গঠন করার এই ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘ চালক মোহন ভাগবত। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘একটি বিবাহ শুধুমাত্র দুটি ব্যক্তির একত্র হওয়াই নয়। এটা দুটি পরিবারকে এক করে। এর মাধ্যমেই সমাজ সংগঠিত হয়। শক্তিশালী হয়।’’ একই সঙ্গে যে সমস্ত অভিভাবকরা ওই কন্যাদানে হাজির ছিলেন। তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যাঁরা অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে যাঁদেরকে বিবাহ দিলেন, তাঁদের সঙ্গে অন্তত বছরে দুবার করে যোগাযোগ রাখুন। দুবার অন্তত তাঁদের বাড়িতে যান।’’ নিজের বক্তব্য মোহন ভাগবত আরও বলেন, ‘‘একটি পরিবারকে শুধুমাত্র ভাবা উচিত নয় স্বামী-স্ত্রী এবং পুত্র হিসেবে। পরিবার হচ্ছে সমাজের জীবন্ত অংশ। পরিবার ব্যবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে মিশে রয়েছে আমাদের মূল্যবোধ পরম্পরা ও সংস্কার।’’

    গণবিবাহের যাত্রা শুরু হয় দ্বারকাধীশ মন্দির থেকে

    প্রসঙ্গত, গোটা অনুষ্ঠানটিতে ১২৫ জন দম্পতিকে বিবাহ দেওয়া হয়। বরেরা প্রত্যেকেই ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল ব্যান্ড, ডিজে এবং বাজি ফাটিয়ে তাঁদেরকে স্বাগত জানানো হয়। এর পাশাপাশি নানা রকমের ধর্মীয় গানও বাজতে থাকে। এই গণবিবাহের যাত্রা শুরু হয় দ্বারকাধীশ মন্দির থেকে। এখান থেকেই বারাত বা বরযাত্রীরা বের হন। তাঁদের পাশে থাকা মানুষজন ফুল হাতে হাঁটতে থাকেন। রাস্তা জুড়ে একটা আলাদা পরিবেশ নির্মাণ হয়। এর পরবর্তীকালে মূল অনুষ্ঠানটি হয় সংকুলধারা কুণ্ডে। এখানেই বিভিন্ন গ্রাম গ্রামের মানুষজন হাজির ছিলেন। তাঁরা নানাভাবে ধর্মীয় আচার-আচরণ রীতিনীতি মেনে বর-কনেকে আশীর্বাদ করেন। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্রনাথ পান্ডে। উত্তরপ্রদেশের শিল্পমন্ত্রী নন্দগোপাল গুপ্তা নন্দী এবং বারাণসীর মেয়র অশোক তেওয়ারি।

  • RSS: ‘এক কূপ-এক মন্দির-এক শ্মশান’ নীতিতে জোর, জাতিগত বৈষম্য ভুলে হিন্দু ঐক্য গড়ার ডাক ভাগবতের

    RSS: ‘এক কূপ-এক মন্দির-এক শ্মশান’ নীতিতে জোর, জাতিগত বৈষম্য ভুলে হিন্দু ঐক্য গড়ার ডাক ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে বরাবরই সরব আরএসএস। এনিয়ে দেশজুড়ে চলছে সংঘের (RSS) অজস্র কর্মসূচি। এই আবহে জাতিগত বৈষম্য দূর করতে এবং হিন্দু ঐক্য গড়ে তুলতে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত ‘‘এক কূপ, এক মন্দির এবং এক শ্মশান’’ নীতির কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, ‘‘ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হল সংস্কৃতি। এটি সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।’’

    আলিগড়েই এই কথাগুলি বলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান (RSS) মোহন ভাগবতের মতে, ‘‘সামাজিক সদ্ভাবনা তখনই বাস্তবে পরিণত হবে, যদি আমরা এক কূপ, এক মন্দির এবং এক শ্মশানের নীতিকে অনুসরণ করে চলি। এটি হিন্দুদের মধ্যে জাতিগত পার্থক্য, বৈষম্য দূর করবে। একইসঙ্গে সমাজের সকল শ্রেণির মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’’ প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল শনিবার আলিগড়ে আরএসএস স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোহন ভাগবত একথাগুলি বলেন।

    ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর কথাও বলেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত পাঁচ দিনের সফরে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। শনিবারই তিনি হাজির ছিলেন আলিগড়ের এইচবি ইন্টার কলেজে। সেখানেই তিনি বক্তব্য রাখেন। হিন্দু সমাজ, হিন্দু জীবন দর্শনের নানা দিকে তিনি আলোকপাত করেন। হিন্দু সমাজে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বানও জানান তিনি। এর পাশাপাশি, ভাগবত আরএসএস-র নীতি ‘পঞ্চ পরিবর্তনের কথা বলেন। এরই মাধ্যমে ভারতীয় সমাজে পরিবর্তন আসবে বলেও জানা তিনি। ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর পাঁচটি নীতি হল কুটুম্ব প্রবোধন (পারিবারিক সচেতনতা), সামাজিক সদ্ভাবনা (সামাজিক সম্প্রীতি), স্বদেশী (আত্মনির্ভরশীলতা), পরিবেশ (পরিবেশ) এবং নাগরিক অনুশাসন (নাগরিক শৃঙ্খলা)। নিজের ভাষণে ভাগবত বলেন, ‘‘শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। সমাজ নিজে নিজেই পরিবর্তিত হবে না। আমাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে সমাজকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’’ একই সঙ্গে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি প্রত্যেক স্বয়ংসেবককে (RSS) সক্রিয় হতে বলেন। হিন্দু সমাজের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।

LinkedIn
Share