Tag: MP

MP

  • One Nation One Application: পূরণ হতে চলেছে মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া কাগজবিহীন করতে আপগ্রেড করা হচ্ছে ‘নেভা’

    One Nation One Application: পূরণ হতে চলেছে মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া কাগজবিহীন করতে আপগ্রেড করা হচ্ছে ‘নেভা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত (One Nation One Application)। ভারতীয় সংসদ ও বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভাগুলিও ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন (নেভা) (NeVA)-এর মাধ্যমে যাচ্ছে এক ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে। এই উদ্যোগের লক্ষ্যই হল, আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়াকে কাগজবিহীন, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক করে তোলা। যখন প্রশাসন ডিজিটাল পরিকাঠামো বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করছে, তখন নেভা ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষার এক রূপান্তরকারী প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা আইন প্রণয়ন ব্যবস্থার জন্য “এক দেশ, এক অ্যাপ্লিকেশন” প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    নেভা একটি মিশন মোড প্রকল্প (One Nation One Application)

    জানা গিয়েছে, নেভা একটি মিশন মোড প্রকল্প। এটি ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক চালু করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, দেশের সমস্ত আইনসভাকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা। অর্থাৎ সেগুলিকে একটি “ডিজিটাল হাউসে” রূপান্তরিত করা।  ই ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনসভার কার্যকলাপ হবে পুরোপুরি কাগজবিহীন (paperless), যেখানে বিধানসভার সদস্য ও সাংসদরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সমস্ত সংসদীয় কাজকর্ম করতে পারবেন। নথিপত্র দেখা, প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করা, বক্তৃতা দেওয়া এবং ভোট দেওয়া – এ সবই করা যাবে এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে। ভারতীয় আইনসভাগুলিতে ঐতিহ্যগতভাবে বিল, বিধি, কার্যবিবরণী, প্রশ্নোত্তর, কমিটি রিপোর্ট ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই বিপুল পরিমাণ কাগজ ব্যবহার করা হয়। সংসদীয় কার্যকলাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর লজিস্টিকাল ও পরিবেশগত চাপও (NeVA) বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আইনসভা প্রক্রিয়াকে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ভারত সরকার নেভার পরিকল্পনা করেছে।

    নেভার যাত্রা শুরু

    নেভার যাত্রা শুরু হয় ‘ই-বিধান’ প্রকল্প দিয়ে, যা ২০১৪ সালে হিমাচল প্রদেশে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে চালু হয়েছিল। পরে এটি প্রথম রাজ্য বিধানসভা হয়ে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল রূপ নেয়। এই ডিজিটাল উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক ২০১৯ সালে একটি কেন্দ্রীয় অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন চালু করে, যাতে এটি সারা দেশে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায় (One Nation One Application)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৮২তম অল ইন্ডিয়া প্রিসাইডিং অফিসার্স কনফারেন্সে নেভা নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সকল সংসদের কার্যক্রমের রিয়েল-টাইম তথ্য সাধারণ নাগরিক ও দেশের অন্য সংসদগুলির জন্য সহজলভ্য হওয়া উচিত। এর জন্য একটি আধুনিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে, যার নাম ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন (NeVA)।”

    নেভা কি

    নেভা কেবল কাগজের নথির একটি ডিজিটাল বিকল্প নয়। এটি একটি বিস্তৃত ক্লাউড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যা আইনসভাগুলির জটিল চাহিদা পূরণের জন্য শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। ‘ভাষিণী’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টেক্সট-টু-টেক্সট মেশিন অনুবাদ হল নেভার একটি নয়া সংযোজন, যা জাতীয় ভাষা অনুবাদ মিশনের অধীন একটি প্রকল্প। এটি নেভার পাবলিক পোর্টাল (এবং রাজ্য বিধানসভার হোমপেজগুলি)-কে সংবিধান স্বীকৃত ২২টি ভারতীয় ভাষা ও ইংরেজিতে অনুবাদ করতে সাহায্য করে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাষাগত অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়।

    নাগাল্যান্ডে প্রথম নেভা চালু

    নাগাল্যান্ড উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম রাজ্য যারা নেভা চালু করে। পরে এতে যুক্ত হয় ত্রিপুরাও। এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যগুলিও এটি বাস্তবায়নে আগ্রহী হয়। কারণ এটি ৯০:১০ অনুপাতে অনুদান-ভিত্তিক মডেলে (NeVA) দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ২০২৩ সালে নেভা ইকোসিস্টেমে যুক্ত হয় এবং ২০২৪ সালে প্রথম সম্পূর্ণ কাগজবিহীন অধিবেশন করে। এই পরিবর্তনের ফলে মুদ্রণ খরচ কমে যায় এবং সাধারণ জনগণের জন্য আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্য আরও সহজলভ্য হয়। এটি আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্যকে ডিজিটালি গণতান্ত্রিক করে তোলে, ভোটার ও তাঁদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দূরত্ব ঘুঁচিয়ে দেয় (One Nation One Application)।

    নেভা প্রয়োগে সমস্যা

    যদিও নেভা সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে, তবুও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষার অভাব এখনও একটি বড় বাধা। কারণ সব সাংসদ এবং বিধায়ক ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহারে অভ্যস্ত নন। প্রশিক্ষণ মডিউল চালু করা হয়েছে। তাই বাস্তবায়নে সময় লাগবে। যেসব রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল, সেখানে পরিকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। যার ফলে রিয়েল-টাইম তথ্য প্রবাহ ও অবিরাম কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। আর একটি জরুরি সমস্যা হল তথ্য নিরাপত্তা। তথ্য চুরি এবং গোপনীয়তা রক্ষায় শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রক ২০২৬ সালের মধ্যে সমস্ত সংসদীয় কক্ষকে নেভা প্ল্যাটফর্মে একশোভাগ যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে (NeVA)। নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে যাতে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হয়, এআই-চালিত অনুবাদ এবং স্বয়ংক্রিয় নথি সংরক্ষণ কার্যকর হয় (One Nation One Application)।

  • Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের মাটিতে সমবেত কণ্ঠে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করে ‘ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তুলেছিলেন মেহেন্দুপুর বালাজির মহন্ত নরেশপুরী মহারাজ। সেটা বছরদুয়েক আগের কথা। তবে সেটা ছিল ফ্রান্স। পরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (UK Parliament) ‘ভারত গৌরব’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরেশপুরী মহারাজ। সেখানেও তিনি গেয়েছিলেন হনুমান চালিশা। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন অনেকেই।

    ব্রিটেনের পার্লামেন্টে গীত হল হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa)

    এবার আরও একবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টেই সমবেত কণ্ঠে গীত হল হনুমান চালিশা। এবার অবশ্য পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী। ইউরোপীয় দেশ সফরের সময় পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে পাঠ করা হল ভগবান হনুমানের স্তবগাথা। বাগেশ্বর ধামের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ‘বাগেশ্বর ধামবাবা নামে পরিচিত পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর উপস্থিতিতে ভক্তি সহকারে শ্লোক পাঠ করতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু লোক, সাংসদ এবং পার্লামেন্ট আধিকারিকদের।’ ভিডিওটি শেয়ার করার সময় বাগেশ্বর ধামের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, ‘লন্ডনের পার্লামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধেয় সরকারের পক্ষ থেকে শ্রী হনুমান চালিশা পাঠ…পার্লামেন্টে উপস্থিত সকল অতিথি ভক্তি সহকারে পাঠ করেছেন…”

    পাক হাইকমিশনের বাইরেও পাঠ হনুমান চালিশা

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস (Hanuman Chalisa) করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসী ভারতীয়রা পাক হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে সমবেত কণ্ঠে পাঠ করেছিলেন হনুমান চালিশা। এবার ব্রিটিশ সাংসদদের হনুমান চালিশা পাঠ করিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ। তবে তাঁর পোশাক এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ও খবর হয়েছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুরের এই তরুণ ঋষি স্টাইলিশ স্নানগ্লাস ও দামি জ্যাকেট পরা বিমানে চড়ে এমনকি ক্রুজ উপভোগ করার ছবি প্রকাশের পর অনলাইনে ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বাগেশ্বর ধাম সরকার নামেও পরিচিত (UK Parliament)। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম ছিল ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ গর্গ। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান তিনি (Hanuman Chalisa)।

  • Harsh Vardhan Shringla: রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় গেলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

    Harsh Vardhan Shringla: রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় গেলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) গেলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla)। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিদেশ সচিব। ২০২৩ সালে জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারত। তখন শ্রিংলা কাজ করেছিলেন চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে।

    অভিজ্ঞ কূটনীতিক (Harsh Vardhan Shringla)

    বিদেশ সচিব হওয়ার আগে তিনি ছিলেন আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের হাই কমিশনার হিসেবেও কাজ করেছেন শ্রিংলা। শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের অভিজ্ঞ এই কূটনীতিককে মনোনীত করেছেন রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে। শ্রিংলা ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের অফিসার। তিনি যখন বিদেশ সচিব ছিলেন, তখনই ভারতে হামলে পড়েছিল কোভিড-১৯ অতিমারি। সেই গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিও সামলেছেন শ্রিংলা ঠান্ডা মাথায়। তাইল্যান্ডেও ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন শ্রিংলা। তিনি যখন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ছিলেন, সেই সময় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ৩৭০ ধারা ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংক্রান্ত সংবেদনশীল আলোচনার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছিলেন তিনি।

    গভীর জ্ঞানের জন্য পরিচিত শ্রিংলা

    শান্ত স্বভাব ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে গভীর জ্ঞানের জন্য পরিচিত শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla)। অনেকেই বলেন, “তিনি ছিলেন ভারতের সেই কয়েকজন কূটনীতিকদের একজন, যিনি কঠিন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিগুলিকে পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি ও ভারসাম্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারতেন। করোনা অতিমারি-পর্বে তিনি পরিচালনা করেছিলেন বন্দে ভারত মিশন। এই মিশনের মাধ্যমে তিনি লাখ লাখ ভারতীয়কে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন।” মুম্বইয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন শ্রীংলা। দিল্লির সেন্ট স্টিফেনস কলেজ থেকে স্নাতক হন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরিচিতি লাভ করেন ভারতের বিদেশ নীতির ওপর স্পষ্ট ধারণা এবং কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শ্রিংলার রাজ্যসভায় মনোনয়নকে দেশসেবায় তাঁর দশকের পর দশক ধরে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

    গত লোকসভা নির্বাচনের সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হতে পারেন শ্রিংলা। প্রাক্তন বিদেশ সচিবও সেই মতো শিলিগুড়িতে এসে নিজেকে ভূমিপুত্র দাবি করে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকায় তিনি নানা কাজকর্মও করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত শ্রিংলাকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সদস্য হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla) বলেন, “এই মনোনয়নে আমি খুশি। পাহাড়-সহ গোটা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে কাজ করব।”

  • Ujjwal Nikam: তাঁর শানিত সওয়ালেই ফাঁসি হয়েছিল কাসভের, ‘স্বীকৃতি’ পেলেন উজ্জ্বল নিকম

    Ujjwal Nikam: তাঁর শানিত সওয়ালেই ফাঁসি হয়েছিল কাসভের, ‘স্বীকৃতি’ পেলেন উজ্জ্বল নিকম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভকে (Terrorist Ajmal Kasab) ফাঁসিতে ঝোলানোর কারিগর আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম (Ujjwal Nikam) সদস্য হলেন রাজ্যসভার। রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় গিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, মোট ১২জনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। নিকম তাঁদেরই একজন।

    আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম (Ujjwal Nikam)

    স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর উজ্জ্বল নিকম আইনজীবী হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার মামলা। তিন দিনের ওই হামলায় মারা গিয়েছিল পাক মদতপুষ্ট ৯ জঙ্গি। দেড়শোরও বেশি নিরীহ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছিল জঙ্গি হামলায়। পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকেছিল জলপথে। ওই হামলায় একমাত্র জীবিত অবস্থায় ধরা হয় জঙ্গি কাসভকে। তাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন এই নিকমই। সেই মামলায় গোটা দেশের নজর ছিল ওই মামলার দিকে। শুধু তাই নয়, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মামলায়ও আইনজীবী হিসেবে জঙ্গিদের বিপক্ষে লড়েছেন উজ্জ্বল নিকম। অস্ত্র আইনে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে জেলের ঘানি টানানোর নেপথ্যেও ছিলেন সেই তিনিই। বর্ষীয়ান এই আইজীবীকেই এবার রাজ্যসভায় পাঠালেন রাষ্ট্রপতি।

    হাইপ্রোফাইল ফৌজদারি মামলা লড়েছেন

    উজ্জ্বল নিকম একজন সরকারি আইনজীবী সরকারের হয়ে একাধিক হাইপ্রোফাইল ফৌজদারি মামলা লড়েছেন। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের বাসিন্দা তিনি। বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি পরিচালনা করেছিলেন, তার মধ্যেই একটি মুম্বই জঙ্গি হামলার বিচার। ১৯৯১ সালের মুম্বই বোমা বিস্ফোরণ মামলা, ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং ২০০৩ সালের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া বোমা হামলা সন্ত্রাস সম্পর্কিত অন্যান্য মামলার মধ্যে রয়েছে যেখানে তিনি মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। গুলশন কুমার হত্যা মামলা এবং বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায়ও (Terrorist Ajmal Kasab) শানিত সওয়াল করেছিলেন তিনি।

    বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন পুরস্কারও 

    আইনের ফেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছেন নিকম। তার মধ্যে একটি হল মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রীও। ২০১৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজ্যসভা মনোনীত হওয়ার পর উজ্জ্বল নিকমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “আইনি ক্ষেত্র এবং আমাদের সংবিধানর প্রতি তাঁর নিষ্ঠা অনুকরণীয়।” এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “উজ্জ্বল নিকম শুধুমাত্র একজন সফল আইনজীবীই ছিলেন না বরং গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “তাঁর সমগ্র আইনি জীবনে তিনি (Ujjwal Nikam) সর্বদা সাংবিধানিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার জন্য এবং সাধারণ নাগরিকদের সর্বদা মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন।”

    নিকমকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    নিকমকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এটা আনন্দের যে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছেন। তাঁর সংসদীয় ইনিংসের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করায় যারপরনাই খুশি এই প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমি কখনও ভাবিনি বা আশাও করিনি যে (Terrorist Ajmal Kasab) ভারতের রাষ্ট্রপতি আমায় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করবেন।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর কি হাইতে কথা বলা উচিত? এও জিজ্ঞেস করলেন এনডিআই অথবা মারাঠিতে। সেটা শুনে আমরা দু’জনেই হাসতে শুরু করলাম।”

    নিকমের প্রতিক্রিয়া

    নিকম বলেন, “তারপর তিনি আমার সঙ্গে মারাঠি ভাষায় কথা বললেন। তিনি জানালেন যে রাষ্ট্রপতি আমায় দায়িত্ব দিতে চান। এরপর (Ujjwal Nikam) তিনি আমায় রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেন। আমি তৎক্ষণাৎ হ্যাঁ বলে দিলাম।” প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব সত্যিকার অর্থে এবং সততার সঙ্গে পালন করব।”

    প্রসঙ্গত, উজ্জ্বল নিকমের বাবাও ছিলেন আইনি পেশায়। তিনি ছিলেন বিচারক। উজ্জ্বল কেসিই সোস্যাইটির মানিয়ার ল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন সায়েন্সেও। জলগাঁওয়ে একজন জেলা সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন নিকম। বহু দশকের অভিজ্ঞতা ও ভারতের সব চেয়ে জটিল ও আলোচিত মামলাগুলি সামাল দিয়ে তিনি নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা কৌঁসুলি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিরিশ বছরের কেরিয়ারে তিনি মৃত্যুদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছেন ৩৭ জনের (Terrorist Ajmal Kasab)। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছেন ৬২৮জনের (Ujjwal Nikam)।

  • Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদে শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের মডেলের (Yogi Model) প্রশস্তি! শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। যোগীর নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করে পাকিস্তানের এক সাংসদের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজটিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সংসদ ‘জাতীয় পরিষদে’ ভাষণ দিচ্ছেন এক সাংসদ। তিনি পাকিস্তানের ফেডারেল পরিসংখ্যানের সঙ্গে রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশের) বাজেট এবং কর রাজস্বের তুলনা করেছেন। উভয়ের মধ্যে আর্থিক ব্যবধানও তুলে ধরেছেন। পাক সাংসদের এই ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয় দুই দেশেই।

    পাক সাংসদের বক্তব্য (Yogi Model)

    পাকিস্তানের ওই সাংসদ সরকারি পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বাজেটের আকার এবং রাজস্ব সংগ্রহের দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা ভিডিও ক্লিপটি প্রচার করেছেন। তাঁদের মতে, এটি মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের আর্থিক পদ্ধতির জনসমক্ষে সমর্থন বলে অভিহিত করেছেন। আর পাকিস্তানে এই বিবৃতিটি ফেডারেল সম্পদ কীভাবে বরাদ্দ করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভাইরাল হওয়া ক্লিপে ওই সাংসদ বলেন, “পাকিস্তানের মোট বাজেট ৬২ বিলিয়ন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের বাজেট ৯৭ বিলিয়ন ডলার।”

    ‘যোগী মডেলে’র বিরল সমর্থন

    তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের মোট কর রাজস্ব ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের কর রাজস্ব ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” সাংসদ মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তানের কর রাজস্ব উত্তরপ্রদেশের চেয়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম। ভারতের অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার একে ‘যোগী মডেলে’র (Yogi Model) এক বিরল সমর্থন হিসেবে দেখছেন। এই শব্দটি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনশৈলীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

    প্রসঙ্গত, এই ক্লিপটি পাকিস্তান কীভাবে তার রাজস্ব পরিচালনা করে এবং সম্পদ বণ্টন করে, তা নিয়ে আলোচনায় নয়া মাত্রা যোগ করেছে। পাক সংসদে বর্তমানে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলছে (Pakistan)। ভাইরাল মন্তব্যগুলি সেই আলোচনায় নয়া দিক উন্মোচন করেছে (Yogi Model)।

  • Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গুরুগ্রাম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পালোনিকে (Sharmistha Panoli Arrest) গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বছর বাইশের শর্মিষ্ঠা পুণের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবার এই শর্মিষ্ঠার সমর্থনেই সরব হলেন নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিবিদ (Dutch MP) গির্ট উইল্ডার্স।

    মোদির কাছে আবেদন (Sharmistha Panoli Arrest)

    ডাচ সাংসদ তথা দক্ষিণপন্থী পার্টি ফর ফ্রিডমের নেতা উইল্ডার্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেন যাতে শর্মিষ্ঠাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্ত করুন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা বাকস্বাধীনতার পক্ষে লজ্জাজনক। পাকিস্তান ও হজরত মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাকে শাস্তি দেবেন না। তাঁকে সাহায্য করুন নরেন্দ্র মোদি। শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (সবার নজর শর্মিষ্ঠার দিকেই)।প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর দিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। সেই ভিডিওয় এমন কোনও মন্তব্য করেছিলেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অনলাইনে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিতর্কের জেরে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন শর্মিষ্ঠা। চেয়ে নেন ক্ষমাও।

    অতি সক্রিয় পুলিশ

    নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া এবং ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও, এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গুরুগ্রামে গিয়ে গ্রেফতারের জন্য এবং তাদের পদক্ষেপের জন্য বিজেপি মমতার পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মাত্র বাইশ বছর বয়সী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কারণ তিনি ১৫ মে একটি ভিডিও মুছে ফেলেছিলেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও খবর মেলেনি। তবুও কলকাতা পুলিশ অস্বাভাবিকভাবে তাড়াহুড়ো করে কাজ করছে। এটি আর আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয় – এটি নির্বাচনী প্রয়োগের বিষয়।” তিনি আরও লেখেন (Sharmistha Panoli Arrest), “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হয়েছে, যার মধ্যে একাধিকবার মর্মান্তিক প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস রয়েছে” এমন অভিযোগ করে মালব্য বলেন, “আইন কি তাঁর ওপর একই তাগিদের সঙ্গে প্রয়োগ করা হবে?” তিনি লেখেন, “ভারত দেখছে। এটি কেবল পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয় – এটি প্রতিফলিত করে যে কীভাবে একজন তরুণী হিন্দু মহিলাকে ভোটব্যাঙ্ক তুষ্ট করার জন্য টার্গেটে পরিণত করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হওয়া উচিত (Dutch MP)।”

    জনকল্যাণ সেনার বক্তব্য

    জনকল্যাণ সেনা নেতা পবন কল্যাণ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় শর্মিষ্ঠা, যিনি একজন আইন শিক্ষার্থী, কিছু কথা বলেছিলেন যা কিছু মানুষের কাছে দুঃখজনক ও আঘাতজনক ছিল। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন, ভিডিওটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমাও চান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা, সনাতন ধর্মকে উপহাস করেন, তখন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে যে গভীর ও জ্বলন্ত ক্ষত সৃষ্টি হয়, তার দায় কে নেবে? তখন সেই ক্ষোভ কোথায় যায়, যখন আমাদের বিশ্বাসকে বলা হয় ‘গন্ধ ধর্ম’? তখন কারা ক্ষমা চায়? তখন দ্রুত গ্রেফতারি কোথায় (Sharmistha Panoli Arrest)?”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডব্লিউবিপিএসের ডিজি যখন অনুব্রত মণ্ডল আপনার অধস্তন কর্মকর্তার স্ত্রী ও মাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, তখন আপনি কোথায় আপনার মেরুদণ্ড বন্ধ করে রেখেছেন? আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা শর্মিষ্ঠার মামলাটি গ্রহণ করছেন এবং তাকে সর্বোত্তম আইনি প্রতিরক্ষা প্রদান করা হবে, এবং আমি আশা করি যে তিনি জঘন্য ও দুষ্ট মমতা পুলিশের খপ্পর থেকে মুক্ত হবেন (Dutch MP)।”

  • Jyotirmay Singh Mahato: মুর্শিদাবাদে আফস্পা জারির দাবি পুরুলিয়ার সাংসদের, শাহকে চিঠি

    Jyotirmay Singh Mahato: মুর্শিদাবাদে আফস্পা জারির দাবি পুরুলিয়ার সাংসদের, শাহকে চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মুর্শিদাবাদে আফস্পা (আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট) জারির দাবি তুললেন পুরুলিয়ার সাংসদ বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jyotirmay Singh Mahato)। পশ্চিমবঙ্গে সীমনাবর্তী এই এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি করা হোক বলে দাবি জানান তিনি। এই এলাকাগুলিকে উপদ্রুত ঘোষণা করে মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকায় আফস্পা জারির আর্জি জানিয়ে জ্যোতির্ময় চিঠি দিলেন (Anti Waqf Protests) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

    প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Jyotirmay Singh Mahato)

    সংসদে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এই আইনেরই প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে মুর্শিদাবাদ। বাড়িঘরদোরে আগুন লাগানোর পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নতুন করে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও খবর। এর আগে উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেও এল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর। এহেন আবহে আফস্পা জারির দাবি তুললেন জ্যোতির্ময়।

    জ্যোতির্ময়ের দাবি

    তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাকে নেহাত অরাজকতা বললে কম বলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুষ্টিকরণের রাজনীতি এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তাই এজন্য দায়ী।” জ্যোতির্ময়ের অভিযোগ, ‘সংশোধিত ওয়াকফ আইন পাশ হওয়ার পর যেভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তাতে আইনশৃঙ্খলার প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে সবার সামনে। হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে সশস্ত্র ভিড়, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, এমনকি পুলিশবাহিনীও। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। এতে প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্পষ্ট।’

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের মিল

    চিঠিতে পুরুলিয়ার সাংসদ লিখেছেন, “ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে, আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের যেভাবে ভীতিপ্রদর্শন করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের এক ঘরে করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের ওপর হিংসা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার সঙ্গে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের মিল পাওয়া যাচ্ছে। এখনই পদক্ষেপ না করলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে, তবে এবার আর উপত্যকায় নয়, বাংলায়।” প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালের আফস্পা আইন আগেই (Jyotirmay Singh Mahato) কার্যকর করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও মণিপুরের মতো কয়েকটি রাজ্যে। এই আইনের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা পায় সেনা। কোনওরকম ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারে, বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারে, বলপ্রয়োগও করতে পারে।

    জ্যোতির্ময়ের বক্তব্য

    জ্যোতির্ময় আরও লিখেছেন (Anti Waqf Protests), “দীর্ঘদিন ধরে বাংলার হিন্দুরা নিঃশব্দে অত্যাচার সহ্য করে আসছেন। কাশ্মীরের মতো বাংলায় পরিস্থিতি হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” চিঠিতে মুর্শিদাবাদের অশান্তির বিক্ষিপ্ত কতগুলি ঘটনাও তুলে ধরেন সাংসদ। তাঁর মতে, এর ফলে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে আইনশৃঙ্খলা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হবে। ভবিষ্যতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলিকে টার্গেট করার আগে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং হিন্দুরা যে একা নেই, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে (Jyotirmay Singh Mahato)।

    সাংসদের দাবি

    পুরুলিয়ার এই সাংসদের দাবি, সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী হিংসাত্মক বিক্ষোভে মুর্শিদাবাদ জেলায় হিন্দুদের প্রায় ৮৬টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঝাউবোনা গ্রামে পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলি হিন্দুদের টার্গেট করে ‘ইকনমিক স্যাবোটেজ’ বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ। জ্যোতির্ময়ের আরও অভিযোগ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও একই রকম অস্থিরতা (Jyotirmay Singh Mahato) দেখা দিয়েছে, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত বারবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিন্দু জনগোষ্ঠীকে দুর্বল ও কণ্ঠহীন করে তুলেছে (Anti Waqf Protests)।

    শাহকে চিঠি জগন্নাথ সরকারেরও 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন এই সাংসদ। জেলায় শান্তি ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ করার (Jyotirmay Singh Mahato) আর্জিও জানিয়েছেন রানাঘাটের বিধায়ক।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ধর্মীয়ভাবে পরিচালিত ধর্মান্ধদের ভয়ে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে ৪০০ জনেরও বেশি হিন্দু নদী পার হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল এবং মালদার বৈষ্ণবনগরের দেওনাপুর-সোভাপুর জিপির পার লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি উগ্রপন্থীদের উৎসাহিত করেছে। হিন্দুদের শিকার করা হচ্ছে, আমাদের লোকেরা তাঁদের নিজের দেশে তাঁদের জীবনের জন্য দৌড়চ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলার এই (Anti Waqf Protests) ভাঙনকে অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধিক (Jyotirmay Singh Mahato)!”

  • Mhow Violence Case: “তোমাদের শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল”! মহো হিংসায় দায়ের এফআইআর

    Mhow Violence Case: “তোমাদের শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল”! মহো হিংসায় দায়ের এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রীড়াপ্রেমীদের ওপর হিংসার ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে (Mhow Violence Case), তাদের মধ্যে রয়েছে তায়্যুব, বাবলু, গোলু, আহমেদ দরবারি, পাপ্পু, আজহার নূর, জামশাদ রেইন, আবদুল রশিদ কুরেশি ওরফে মালাও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ধারাগুলি বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা, আঘাত করা এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর মতো বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। এফআইআরে নাম রয়েছে আনিস, শেরু, লাল্লু, সৈয়দ নাজিম, ইমরান, আফজল, সোহেল, রফিক এবং আর একজন ইমরান সহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের (MP)।

    জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে মিছিল (Mhow Violence Case)

    গত ৯ মার্চ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী হয় টিম ইন্ডিয়া। এর পরেই মধ্যপ্রদেশের মহোয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে মিছিল বের করেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। মিছিল এলাকার একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হিংসার ঘটনা ঘটে। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান মিছিলে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীরা (Mhow Violence Case)। তাঁদেরই কয়েকজনের পড়ে থাকা বাইকে এবং বাসেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হিন্দুদের কয়েকটি দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার জেরে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অভিযোগকারীর মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য মিছিলে থাকা লোকজনের উদ্দেশে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করছিল।

    ‘আজ আমরা তোমাদের একটা শিক্ষা দেব’

    তারা বারবার চিৎকার করে বলছিল, “আমরা এ জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম। তোমরা চিৎকার করবে, আনন্দ করবে, আর আজ আমরা তোমাদের একটা শিক্ষা দেব।” মিছিলে থাকা লোকজন এর প্রতিবাদ করলে, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া লোকজন আগে থেকেই জোগাড় করে রাখা ইট-পাথর ছুড়তে থাকে মিছিল লক্ষ্য করে। ইটের ঘায়ে জখম হন মিছিলে থাকা বেশ কয়েকজন ক্রীড়াপ্রেমী। অভিযোগকারী স্বয়ং কাঁধে চোট পেয়েছেন। অভিযোগকারী বলেন, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া লোকগুলো বলছিল আজ তোমরা বেঁচে গেলে। কিন্তু এর পর আমাদের সামনে আর কখনও কোনও শোভাযাত্রা করলে তোমাদের একেবারে শেষ করে দেব।” ইন্দোরের (MP) পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “গত রাতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ১৭ জনের নাম রয়েছে। আমরা ১২ জনকে হেফাজতে নিয়েছি (Mhow Violence Case)।”

  • Islamists Attack: এবার ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলা মুসলমানদের, গাড়ি-দোকানদানিতে আগুন

    Islamists Attack: এবার ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলা মুসলমানদের, গাড়ি-দোকানদানিতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর মিছিলে হয়েছিল হামলা। এবার হামলা হল ভারতের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) জয় উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় মিছিলেও। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর, তৃণমূল শাসিত বাংলায়। আর এবারের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। ফেরা যাক খবরে।

    মিছিল লক্ষ্য করে পাথর (Islamists Attack)

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জয়ী হয় ভারত। সেই উপলক্ষে সোমবার মহোওয় একটি মিছিল করেন স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেট লাভার্সরাও। অভিযোগ, মিছিল যখন জামা মসজিদ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আচমকাই মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় (Islamists Attack)। এলোপাথাড়ি পাথর ছোড়ায় অল্পবিস্তর জখম হন কয়েকজন। এর পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে মিছিলে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীরা। দুপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে বাইক ফেলেই পালিয়ে যান মিছিলে থাকা লোকজন।

    ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

    তার পরেই হামলাকারীরা একতরফা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে থাকে। মিছিলে হামলাকারীরা কয়েকটি যানবাহন এবং হিন্দুদের দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মসজিদের কাছে থাকা লোকজনের হঠাৎ হামলায় হকচকিয়ে যান মিছিলে থাকা লোকজন। পরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাঁরা। কিন্তু বস্তুত মুসলমানদের আক্রমণের সামনে সেই প্রতিরোধ ভেসে যায় খড়কুটোর মতো। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় লাগান ক্রীড়াপ্রেমীরা। রে রে করে তাঁদের পেছনে ছুটে যায় হামলাকারীরা। পরে তারা অন্তত দুটি গাড়ি এবং দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। গাড়ি এবং দোকানগুলি হিন্দুদের।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহোওর এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “র‍্যালিটি (Islamists Attack) শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। মিছিল যখন জামা মসজিদের কাছে পৌঁছায়, তখন একদল ইসলামপন্থী পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। ফলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মানুষ তাঁদের জীবন বাঁচানোর জন্য ছুটতে শুরু করেন। দুষ্কৃতীরা গাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।”

    বিশাল পুলিশ বাহিনী

    খবর পেয়ে দ্রুত ইন্দোর গ্রামীণ ও ইন্দোর শহর থেকে নিয়ে গিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে দেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে সঙ্গেই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের সেখানে পাঠানো হয়। মহোও একটি সেনানিবাস শহর। সেখানে সেনা ইউনিটগুলিও সতর্ক ছিল। যদিও অল্পক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই আর অতিরিক্ত সামরিক বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হয়নি। প্রসঙ্গত, ইন্দোর জেলা সদর থেকে মাত্র পঁচিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহোও শহর। সোমবার সকালে এখানেই ঘটে হিংসার ঘটনা। দুবাইয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের জয় উপলক্ষে একদল তরুণ ক্রিকেটপ্রেমী বিজয় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। সেই উপলক্ষে প্রথমে হয় মিছিল। সেই মিছিলেই হামলা চালায় মসজিদ এলাকার লোকজন।

    কী বলছেন এসপি

    এ প্রসঙ্গে ইন্দোর গ্রামীণ সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SP) হিতিকা বাসল বলেন, “দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা (Islamists Attack) সৃষ্টি হয়। যার ফলে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। র‍্যালির সময় আতশবাজি সংক্রান্ত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনজন জখম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা জনগণকে অনুরোধ করছি যেন কোনও ভুয়ো খবরে বিশ্বাস না করেন তাঁরা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা এলাকায় টহল দিচ্ছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে (Champions Trophy)। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    ইন্দোর জেলার কালেক্টর আশিস সিং বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” মানুষকে শান্ত থাকার ও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আমি নাগরিকদের ধৈর্য ধরতে ও ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। যারা এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

    পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি, গ্রামাঞ্চল) নিমিশ আগরওয়াল বলেন, “ঘটনার সঠিক ক্রম এবং দোষীদের (Islamists Attack) চিহ্নিত করার জন্য প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।” তিনি বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের উদযাপনের সময় সংঘর্ষ বাঁধে। এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। আমাদের তদন্ত নিশ্চিত করবে যে হিংসার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী অন্তত চারজন জখম হয়েছেন। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য (Champions Trophy) প্রকাশ পাবে।”

  • PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনব্যাপী ইনভেস্ট এমপি গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) হচ্ছে ওই সম্মেলন। এখানে অন্তত ৬০টি দেশের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। ১৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছনোর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি জানান, রাজভবন থেকে তাঁর রওনা হওয়ার সময়সূচি আজ অনুষ্ঠিত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই অসুবিধা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকাল এখানে পৌঁছে জানলাম, আজ দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার সময় ও রাজভবন থেকে আমার রওনা হওয়ার সময় এক সঙ্গে পড়ে যাচ্ছিল।” তিনি বলেন, “আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে রাস্তাগুলি বন্ধ থাকবে। তাতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হবে। এই অসুবিধা এড়ানোর জন্য, শিক্ষার্থীরা যাতে সময়ে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, আমি ভেবেছিলাম সব শিক্ষার্থী তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর পরেই আমি রাজভবন থেকে রওনা হব। তাই আমি সচেতনভাবে আমার যাত্রার সময় ১৫-২০ মিনিট দেরি করেছি (PM Modi)।”

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ব আশাবাদী। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশ জনসংখ্যার বিচারে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য। কৃষি ও খনিজ সম্পদের দিক থেকেও এটি শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।” তিনি বলেন, “গত দু’দশকে মধ্যপ্রদেশে বহু রূপান্তর ঘটেছে। একসময় বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা ছিল, আইন-শৃঙ্খলাও খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। সেই পরিস্থিতিতে শিল্পোন্নয়ন কঠিন ছিল। কিন্তু গত বিশ বছরে, জনগণের সহায়তায়, বিজেপি রাজ্য সরকার শাসন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। দু’দশক আগে, মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে সংকোচ বোধ করতেন। আর আজ এটি দেশের শীর্ষ বিনিয়োগবান্ধব রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।”

    সম্মেলনে ৬০টি দেশের উদ্যোক্তা, ১৩ জন রাষ্ট্রদূত, ৬ জন হাই কমিশনার এবং বেশ কয়েকজন কনসাল জেনারেল (Bhopal) অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা, গৌতম আদানি, নাদির গোদরেজ, পিরুজ খানবাটা, বাবা এন কল্যাণী, রাহুল আওয়াস্থী এবং নীরজ আখৌরি (PM Modi)।

LinkedIn
Share