Tag: MP

MP

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রাজ্যের শান্তিনিকেতনের রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত একটি রাজ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা যেতে পারে। তাই পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে উদ্যোগী হলেন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সেই দাবি সনদ তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার ফলে অনেক পড়ুয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হচ্ছে পাশের রাজ্য আসামে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি উঠেছে বালুরঘাট সহ জেলাজুড়ে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ-সুবিধা বাড়লে বালুরঘাট সহ জেলার যুবক যুবতীদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের বাসিন্দা সৌভিক সরকার বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। তবে, তার পরিকাঠামো এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। গোটা উত্তরবঙ্গে কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাংসদের উদ্যোগে যদি উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে আমার মতো পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের অন্য এক বাসিন্দা শিল্পী সাহা বলেন, আমাদের পড়াশুনা অনেক আগে শেষ হয়েছে। এখন আমাদের ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবে তাঁরা। পড়াশুনা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। যা পড়ুয়াদের শিক্ষা অর্জনে বিশেষ সুবিধা দেবে।

    কী বললেন সুকান্ত?(Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কেন্দ্রের একটি নীতি রয়েছে প্রতি রাজ্যে একটি করে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেহেতু উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে পড়া জেলা, তাই আমরা আগেও দাবি জানিয়েছি এবং আগামী দিনে এমন দাবি জানাবো। বিশেষ মর্যাদা দিয়ে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও উত্তরবঙ্গে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। তাই আগামী দিনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও বিষয়টি আনব, যাতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: লোকাল ট্রেনেই প্রথম শ্রেণির পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা, টিকিট কাটার হিড়িক!

    Ranaghat: লোকাল ট্রেনেই প্রথম শ্রেণির পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা, টিকিট কাটার হিড়িক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে বিশেষ পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা। ২৮ জানুয়ারি সাংসদ জগন্নাথ সরকার নদিয়ার (Ranaghat) রানাঘাটে শিয়ালদা মাতৃভূমি লেডিস স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন। সপ্তাহে রবিবার বাদে প্রতিদিনই রানাঘাট স্টেশন থেকে ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি ছাড়বে, যার গন্তব্য শিয়ালদা পর্যন্ত। আর তারপর থেকেই লোকাল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ভাড়া বেশি হলেও কুছ পরোয়া নেহি। ভিড় ঠেলে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়ার থেকে বেশি ভাড়া দিয়ে আরাম করে বসে যাওয়ার সুবিধা নিতেই বেশি পছন্দ করছেন যাত্রীরা। এমনকী যাত্রা পথে এই লোকাল ট্রেন দেখতেও স্টেশনে স্টেশনে ভিড় হচ্ছে। আর প্রথম শ্রেণির কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিয়ে টিকিটও কাটছেন।

    যাত্রীরা কী বললেন? (Ranaghat)

    নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) শিয়ালদা মাতৃভূমি লেডিস স্পেশাল ট্রেনটি আগে ৯ কামরার ছিল। এখন তা বেড়ে ১২ কামরার করা হয়েছে। এই ট্রেনটিতে রয়েছে দুটি স্পেশাল কোচ। রয়েছে প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণি। লোকাল ট্রেনে গদি আঁটা আসন, মেঝেতে পাতা কার্পেট। সঙ্গে সুরক্ষার আঁটসাঁট ব্যবস্থা। বিশেষ করে সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়াও একাধিক সুবিধা রয়েছে। যদিও ভাড়ার তরিতফাত রয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি যাত্রীরা। সুশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যাত্রী বলেন, ‘কামরাগুলি অত্যন্ত সুন্দর। গদি আঁটা আসন। ফলে দূরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বিস্তর। দূরযাত্রার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করছি।’ সুদেষ্ণা দত্ত নামে এক যাত্রীর কথায়, লোকাল ট্রেনে এরকম পরিষেবা আমরা ভাবতেই পারছি না। খুব ভালো উদ্যোগ। আমাদের মতো নিত্যযাত্রীরা খুব খুশি। তবে, যাত্রীদের বক্তব্য, ‘রেল মন্ত্রক এই ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। এখন সাধারণ মানুষের কর্তব্য এই ট্রেনগুলিকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার। তবে, কতটা পরিচ্ছন্ন রাখা হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santipur: ‘১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা!’ অবস্থান-বিক্ষোভে সরব বিজেপি

    Santipur: ‘১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা!’ অবস্থান-বিক্ষোভে সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নদিয়া জেলার শান্তিপুরে (Santipur) প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সদস্যরা আমন্ত্রিত রয়েছেন। কিন্তু, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিজেপির বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কাউকেই। সোমবার দুপুরে এই অভিযোগ তুলে নদিয়ার ফুলিয়ার বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    ১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা! (Santipur)

    বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নদিয়ার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সামিল ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে শান্তিপুরে (Santipur) আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেখানে বিজেপির কোনও প্রশাসনিক কর্তা থেকে এমপি বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন না দলীয় কর্মসূচি করতে আসছেন। বিজেপি-র শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন,  ২০১৬ সালে শান্তিপুর-কালনার গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজের জন্য বরাদ্দ হয় ১৯০০ কোটি টাকা। চাষিদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও সেই ব্রিজ এখনও তৈরি হয়নি। ব্রিজের টাকা গেল কোথায়? আসলে ১৯০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি করেছে তৃণমূল। সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। যাদের আগে পাটকাটির বাড়ি ছিল, তাঁদের এখন তিনতলা বাড়ি। এই ব্লকে ১৪ হাজার বার্ধক্য ভাতা বন্ধ রয়েছে, এই টাকা অবিলম্বে বরাদ্দ করতে হবে। আমাদেরকে প্রশাসনিক সভায় না ডাকার কারণ আমরা যদি এই সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরি সেই ভয়ে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    নদিয়া জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার কটাক্ষ করে বলেন, একটি ব্যস্ততম দফতরের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে নাটক করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাতে কাকে ডাকা হবে আর কাকে ডাকা হবে না তার সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। এখানে রাজনীতি টানা ঠিক নয়। ওরা এসব করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। তাতে লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় ও হিমালয় পাদদেশের পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন শিলিগুড়ির বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা। দীর্ঘ ৪০ বছরের গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছেন। এই আনন্দের দিনেও পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর নাম পদ্মশ্রী (Padma Shri) সম্মানের জন্য ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের শুভেচ্ছা আসার পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাতে। আনন্দের এই আবহেও  তিনি বলেন, পাহাড় নিয়ে ছেলেখেলা করা ঠিক হচ্ছে না। সম্প্রতি সিকিমের যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, পাহাড় অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। এর চরিত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া মারাত্মক ভুল এবং বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    কীভাবে উত্তোরণ? (Padma Shri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কাকা কে সামনে রেখে একলব্য শর্মার পথ চলা শুরু। কাকা টিকারাম শর্মা ছিলেন খ্যাতনামা পরিবেশবিদ। পরিবেশ রক্ষায় তিনি গবেষণা করেছেন। কাজেই ছোটবেলা থেকে বাড়িতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সামনে থেকে দেখেছেন। এই আবহে কাকাকে আদর্শ করে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন একলব্য শর্মা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে, তাঁর জন্ম কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ের সেন্ট আলফানসো স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে পিএইচডি করেন। তারপর নেপালের কাঠমান্ডুতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। তারপর সিকিমের জিবি পন্থ ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের মুখ্য গবেষক পদে যোগ দেন। একলব্য শর্মা ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাকাদেমির একজন অন্যতম গবেষক। পরে তিনি দিল্লির টেরি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদেও ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরাখন্ডের জিপি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টের মুখ্য উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।

     বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের অভিনন্দন

    একলব্য শর্মাকে (Padma Shri) তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই কৃতি বিজ্ঞানীর সঙ্গে দেখা করার পর বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমরা খুব খুশি। কারণ, উত্তরের এক বিজ্ঞানী তথা পরিবেশবিদ পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। হিমালয় তথা হিন্দুকুশ পর্বতের উপর তাঁর গবেষণা এক অনন্য নজির। আগামীতে এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন,পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ভূমিকা থাকবে।

    কী বললেন একলব্য শর্মা?

    হিমালয়ের ওপর সামগ্রিক আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাঁর গবেষণা। কোথাও প্রাকৃতিক কারণে হিমালয়ের ক্ষতি। কোথাও বা মানুষের দ্বারা ভূমি, বন, জীবজন্তুর ওপর আঘাত তিনি মেনে নিয়ে পারেননি। তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর হিমালয়কে রক্ষা করার জন্যই তিনি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সবাই “হিমালয়ের পাহারাদার” বলে ডাকেন। একলব্য শর্মা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবনে আমার লক্ষ্য ছিল হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা। পদ্মশ্রী সম্মান পাব ভেবে ভালো লাগছে। হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপিকে নরখাদক বলে দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    Malda: বিজেপিকে নরখাদক বলে দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ করা তৃণমূল নেতাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মালদার (Malda) মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী তো কখনও বিজেপিকে লাঠিপেটা করার, কখনও বিজেপি সাংসদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এবার বিজেপিকে নরখাদক বলে সম্বোধন করে, দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি। হরিশ্চন্দ্রপুরে এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার  প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় আবদুর রহিম বক্সী হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন, তখন  বিজেপিরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে কীভাবে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। ভারতবর্ষের ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। বিজেপি বড় নরখাদক। কিছু দালাল পুষেছে, পশ্চিমবঙ্গের বুকে যারা টিভিতে মুখ দেখায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে। সেই নরখাদকের দল জেনে রাখ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তোমাদের ওই দাঁত-হাত-পা ভেঙে চুরমার করে দেবে। আগামী দিনে প্রত্যেকটা নরখাদকের দাঁত ভেঙে দেব আমরা।” মালদা (Malda) উত্তরের বিজেপি সাংসদ ও বিজেপি নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন। গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি থেকে জুতার মালা পরানোর নিদান দেন তিনি। বিজেপি সাংসদ এলাকায় এলে ব্যারিকেড তৈরির পরামর্শও দিলেন তিনি। তিনি বললেন, “গ্রামে ঢুকতে বারণ করুন এবং গ্রামে ঢুকতে দেবেন না।”

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    মালদা (Malda) উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “মানুষ ওদেরকেই ব্যারিকেড করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতির নিজের বিধানসভা এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। কালকে মালতিপুর হয়ে চাঁচল গেলাম। ওঁর বিধানসভা এলাকা। কোথায় লোক আটকাচ্ছে?…আমাকে আটকাচ্ছে না, ওঁকে আটকাবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’-এ সুকান্ত, গ্রামের বৃদ্ধদের পা ধুয়ে দিলেন সাংসদ

    Sukanta Majumdar: ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’-এ সুকান্ত, গ্রামের বৃদ্ধদের পা ধুয়ে দিলেন সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের আঙ্গারিবন গ্রামে গ্রাম সম্পর্ক অভিযান করা হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি নিজে হাতে গ্রামের বেশ কয়েকজন বৃদ্ধের পা ধুয়ে দেন।

    শেখ শাহজাহান নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমি কুশমন্ডির আঙ্গারিবন গ্রামে এসেছি গ্রাম সম্পর্ক অভিযানে। এখানে এসে মানুষের ভালো সাড়া পেয়েছি। এদিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির হানা নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত আমি বলি এর আগে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি যখন তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, তখন ইডি অফিসারদের ওপর তৃণমূলের হার্মাদরা হামলা করে। কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারদের মাথায় অশোকস্তম্ভ থাকে। অশোকস্তম্ভের সিংহকে আঘাত করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। সেই সিংহ এখন জেগে উঠেছে। সেই চুনোপুটি পোকামাকড়রা গর্তে লুকিয়ে রয়েছে। শাহজাহান এখন গর্তে গর্তে লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। চিন্তা নেই, এই সিংহ জাগলে অনেক ইঁদুর পোকামাকড়কে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। শাহজাহানকে বেরিয়ে আসতে হবে।

    অনুব্রত ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি

    প্রসন্নকুমার রায়কে ইডি-র তলব নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রসন্ন রায়ের নাম এর আগেও উঠে এসেছে। তিনি পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি। তদন্ত হওয়া উচিত। তাঁর কী অপরাধ আছেে, তা সব তদন্ত করে দেখে যদি অপরাধী হয় তাকে কান ধরে জেলে ঢোকানো উচিত। কালীঘাটে মমতার বৈঠকের পর সাংসদ শতাব্দী রায় সাংগঠনিক বৈঠকে আলোচনার বিষয়টি মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন। অনুব্রত মণ্ডলকে সম্মান দেওয়ার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে জেলায় ফিরলে তাঁকে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সাংসদ জানান। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন অনুব্রত মণ্ডল যদি জেলের ভেতরে মুখ খুলে দেন, তাহলেই তার সাধের ভাইপো আর জেলের বাইরে থাকবে না। তাই, কেষ্টকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। আসলে ভাইপোকে বাঁচাতে অনুব্রতকে সম্মান দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন মমতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। সোমবার তথ্য প্রমাণ দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chatterjee) । একইসঙ্গে সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ শতাব্দী রায়ের ১৫ বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকার খরচের ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

    ভুয়ো টেন্ডার করে এমপি ল্যাডের টাকা হাতানোর চেষ্টা! (Jagannath Chatterjee)

    বীরভূমের সিউড়ি পুরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। সাংসদ তহবিলের ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কাজ করা হবে। এই কাজের ভুয়ো টেন্ডারের কাগজ তুলে ধরে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক দুর্নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তিনি (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার এই ভুয়ো টেন্ডারের কাগজপত্রই প্রমাণ করে সাংসদ তহবিলের টাকা এইভাবে নয়ছয় করার চেষ্টা হয়েছে। সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করে। সুতরাং এই টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কেএমডিএ তিনজন ইঞ্জিনিয়র সই করে ভেটিং করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে একজন ই়ঞ্জিনিয়র বহুদিন আগে অবসর গ্রহণ করেছেন। দুজন ইঞ্জিনিয়রের কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে, সেই কাগজপত্র পুজো জাল। এই ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে সিউড়ি পুরসভা ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সাংসদ, জেলাশাসক, সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান জড়িত। আর বিষয়টি সামনে আসতেই সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি টেন্ডার বাতিল করে দেন। টেন্ডার বাতিল করলেও আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    ১৫ বছরের সাংসদ তহবিলের টাকার তদন্তের দাবি

    জগন্নাথবাবু (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার বাতিস্তম্ভ কেলেঙ্কারির মতো গত ১৫ বছর ধরে সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার করে নয়ছয় করেছে শতাব্দী রায়। তাই, আমরা গত ১৫ বছরে ৭৫ কোটি টাকার যা কাজ হয়েছে তার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও জানাব। ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: তৃণমূলেও রাম নাম! মেদিনীপুরে রাম মন্দির সংস্কার করল শাসকদলের পুর-বোর্ড

    Ram Mandir: তৃণমূলেও রাম নাম! মেদিনীপুরে রাম মন্দির সংস্কার করল শাসকদলের পুর-বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধন হবে। ঠিক এই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরে কয়েক দশকের পুরানো মন্দিরের সংস্কার করা হল। সেই মন্দিরে হনুমানের সঙ্গে ছিল রাম-সীতার মূর্তিও। যদিও পুজো মিলত মূলত রামভক্তেরই। স্থানীয়রা মহাবীর মন্দির বলেন। অনেকে আবার রাম মন্দিরও বলতেন। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মন্দিরটি বেহাল হয়ে পড়েছিল। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার টাকায় সেই মন্দির নতুন করে সেজে উঠেছে। জনগণের উন্নয়নের টাকায় মন্দির সংস্কার করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঠএক একইভাবে এর আগে প্রশ্ন উঠেছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় রাজ্যের টাকায় এবং হিডকোর তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ মন্দির গড়া নিয়েও।

    পুর-প্রধান কী বললেন? (Ram Mandir)

    মেদিনীপুর শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ১৯৪৮ সালে এখানে গান্ধীজি-র চিতাভস্ম ভাসানো হয়। তাই এই নদীঘাটের নাম গান্ধীঘাট। আগে থেকেই এখানে রাম-সীতা ও মহাবীর হনুমানের ছোট মন্দির ছিল। সেই মন্দিরটি (Ram Mandir) আরও বড় আকারে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। পুরসভার বক্তব্য, এখানকার ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখতেই মন্দির তৈরিতে ‘সহযোগিতা’ করা হয়েছে। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, গান্ধীঘাটের কাছে রাম-সীতা, মহাবীর মন্দির নির্মাণ করেছি আমরা। ১৫ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তি  আমাদের কাছে একটি পবিত্র দিন। ওই দিনই আমরা মন্দির প্রতিষ্ঠা করব। তবে, শুধু মন্দির নয়, কারবালা মাঠের উন্নয়ন করেছি। গির্জার কাছে আলো লাগিয়েছি। রাস্তা করেছি। মন্দির নির্মাণেও সহযোগিতা করেছি।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা দেশে রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা হোক, এত দিন আমরাই চেয়েছি। মানুষের সমর্থন পেতে এখন সেই পথ সকলে অবলম্বন করছে। ভালো উদ্যোগ। তবে, আগে সংস্কার করা হলে আরও ভালো লাগত। তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের নয়, কেন্দ্রের টাকাতেই সেজে উঠেছে গান্ধীঘাট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের মাশুল! তৃণমূলের পুর -প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

    Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের মাশুল! তৃণমূলের পুর -প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার খেসারত। গত কয়েকদিন কাঁথি পুর প্রধানর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সেই জল্পনায় সত্যি হল। মঙ্গলবার কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের ১৬ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা করলেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে উপ-পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরির নেতৃত্বে পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা দিল। কাঁথির রাজনীতিতে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না আদালতে দ্বারস্থ হবেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sisir Adhikari)

    গত কয়েকদিন আগে কাঁথির একটি স্কুলে উপস্থিত হন কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না। সেখানে আগে থেকে ছিলেন কাঁথির বর্ষীয়াণ সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। সেখানেই শিশিরবাবুকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন সুবলবাবু। পুরপ্রধানের দাবি, এই জায়গায় পৌঁছেছেন সবকিছু গুরুদেবের জন্যই। তারপরে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব পুরপ্রধানকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু, পুরপ্রধানের পদে ইস্তফা দিতে রাজি হননি তিনি। দলীয় নেতৃত্ব বৈঠক ডেকে ১৬ জন কাউন্সিলরকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরই পুর প্রধানকে সরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন ১৬ জন কাউন্সিলর।

    দলের নির্দেশ মানেননি বলে অনাস্থা!

    কাঁথি পুরসভার উপ-পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘আমাদের দলের ১৭ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত ছিলাম। দলের নির্দেশ মেনেই কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান নির্বাচিত করেছিলাম। দল নির্দেশ দিয়েছে বর্তমান পুরপ্রধানকে পদত্যাগ করার জন্য। কিন্তু, তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা রাখেননি। আমরা সৌজন্য দেখিয়েছিলাম। ১৬ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা করলাম।

    পুর প্রধান কী বললেন?

    কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না অনাস্থা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে সব কাউন্সিলরদের আগলে রাখা। শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার জন্য যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সেটা জনগণ বলবে! আমি এ- বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করব না। এটা প্রশাসনিক পদ, যা কিছু হবে  কাগজের মাধ্যমে।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এ-নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাঁথি পুরসভার বিজেপি প্রতীকে জেতা কাউন্সিলর সুশীল দাস বলেন, ‘এটা তাঁর দলের ব্যাপার। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ পুরবোর্ড। ছাপ্পা দিয়েই সব কাউন্সিলররা জিতেছেন। কাটমানি পাচ্ছেন না বলেই পুরপ্রধানকে সরিয়ে দিচ্ছে। প্রণাম করাটা সৌজন্য। তৃণমূলের কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। যিনি কাটমানি বেশি দেবেন, তিনিই কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান হবেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের জের! সুবল মান্নাকে সরাতে অনাস্থার অস্ত্রে শান তৃণমূলের

    Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের জের! সুবল মান্নাকে সরাতে অনাস্থার অস্ত্রে শান তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার মাশুল এভাবে দিতে হবে, তা ভাবতে পারছেন না কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবল মান্না। তাঁকে পদ থেকে সরাতে পুরসভার একটি বড় অংশের কাউন্সিলরদের নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন শাসকদলের নেতারা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Sisir Adhikari)

    কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) হাজির ছিলেন। সেখান সুবলবাবুও আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়ে তিনি সকলের সামনে শিশিরবাবুকে প্রণাম করে রাজনৈতিক ‘গুরু’ করে সম্বোধন করেন। এটা সামনে আসতেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়। দলের পক্ষ থেকে প্রথমে তাঁকে শো-কজ করা হয়। পরে, তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকও করেছেন তিনি। কিন্তু, কোনও নির্দেশই নাকি টলাতে পারছে না সুবলবাবুকে। পদত্যাগ করা তো দূরের কথা, নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন এই তৃণমূল নেতা। তাই এবার কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সুবলবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, আমি রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছি। সেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে আমি বলেছি।

    অনাস্থার পথে দলীয় কাউন্সিলররা!

    কাঁথি পুরসভায় মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ২১। সুবল মান্নাকে নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন ১৭ জন। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডা এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে ১৬ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ শুরু হয় সেই বৈঠক, চলে রাত প্রায় ১১ টা পর্যন্ত। প্রত্যেকেই সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে সম্মত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সংকেত মিললেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে। ফলে, সুবলকে সরাতে দলের অন্দরে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share