Tag: MP

MP

  • Malda: বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার নিদান তৃণমূল নেতার

    Malda: বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা ভাঙ্গনে কেন্দ্ৰীয় অর্থ বরাদ্দের দাবিতে ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের দফতর ঘেরাও করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগেই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। মালদা (Malda) শহরের রথবাড়ি মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    দলের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা (Malda) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আগামী ২৫ তারিখের পর, গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে খগেন বাবুদের মত বিজেপির এমপি, এমএলএদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলা হবে। লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ৩৪ বছরের একটা সরকারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বুক থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। সিপিএমরা আজকে নিশ্চিহ্ন পশ্চিমবাংলার বুকে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে লড়াই করব, যারা গঙ্গা ভাঙ্গনের অবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না, ডিএম অফিস ঘেরাও করে সস্তার রাজনীতি করতে চান, ২৫ তারিখের পরে কোনও সুরাহা না বেরোয় তাহলে সেই সাংসদ, বিধায়কদের প্রথমে গঙ্গায় ছোঁড়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, যারা গঙ্গার পাড়ে যেতে পারে না, এদিকে ডিএম অফিসের সামনে এসে আন্দোলন করে, তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া গঙ্গার পাড়ে যদি আপনারা যান, গঙ্গা পারের মানুষ বাড়িঘরের সঙ্গে আপনাদের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে। বিজেপির বন্ধুরা এই সতর্কবার্তা আপনাদের জানিয়ে রাখছি। আমরা পেটে ভাত চাই, গরিব মানুষ খেতে পারছে না। ১০০ দিনের টাকা বাকি রয়েছে আর তোমরা ঝান্ডা লাগিয়ে ডিএম অফিসে মাতামাতি করবে নাচানাচি করবে, সেটা গ্রামের মানুষ সহ্য করবে না। যাদের পেটে খিদে থাকবে, সেই ক্ষুধার্ত মানুষ তোমাদের আর ছেড়ে কথা বলবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। হয় দেশের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলুন, না হলে তাদের কাছ থেকে টাকা এনে গরিব মানুষের কাছে দিন। না হলে মানুষ আপনাদেরকে চলতে- ফিরতে দেবে না।

    কী বললেন বিজেপি  সাংসদ খগেন মুর্মু?

    যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতির বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, আমরা যা করার করেছি। কেন্দ্রে যা বলার বলেছি। তৃণমূলের বিধায়করা নাটক করে মানুষকে বিপথগামী করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ বাড়ি ফেরালেন সাংসদ এসএস আহলুওয়ালিয়া

    Purba Bardhaman: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ বাড়ি ফেরালেন সাংসদ এসএস আহলুওয়ালিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের দেহ আনার ব্যবস্থা করলেন বিজেপি সাংসদ এসএস আহলুওয়ালিয়া। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ভাটাকুলের (Purba Bardhaman) বাসিন্দা খোকন শেখ। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে ছিলেন এই সাংসদ। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মারা যান। অবশেষে মৃত দেহ বাড়িতে ফেরালেন বিজেপি সাংসদ।

    কীভাবে মৃত্যু হল (Purba Bardhaman)?

    গত ২ জুন ওড়িশ্যার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের অনেক মানুষ। ওই ট্রেনে চড়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছিলেন ভাটাকুলের (Purba Bardhaman) বাসিন্দা খোকন শেখ। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনার কথা বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভার সাংসদ এসএস আহলুওয়ালিয়াকে জানান পরিবারের লোকেরা। তারপরই চিকিৎসার জন্য সবরকম সহযোগিতা করেন সাংসদ। কটকে তাঁর স্ত্রী বুলটি খাতুনকে পাঠানো ছাড়াও চিকিৎসার জন্য সবরকম সহযোগিতা করেছিলেন সাংসাদ আহলুওয়ালিয়া। সেখানে খোকন শেখের মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। কিছুদিন পূর্বে তাঁর হাতের অপারেশন হয়। দুইদিন আগে তাঁর শারীরিক অবনতি হতে শুরু হয়। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে মারা যান খোকন। এরপরই দুটি গাড়ি করে তাঁর দেহ কটক থেকে আনার ব্যবস্থা করেন সাংসদ আহলুওয়ালিয়া।

    সাংসদের ভূমিকা

    খোকন শেখের বাড়িতে (Purba Bardhaman) আসেন সাংসদ আহলুওয়ালিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের দশলক্ষ টাকা সাহায্যের পাশাপাশি নিজে কিছু নগদ অর্থও সাহায্য করেন। এমনকি পরবর্তীতে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ। তিনি বললেন, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা করা হবে পরিবারকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Purba Bardhaman) পক্ষে জানানো হয়, সাংসদ খুব সহযোগিতা করেছেন। দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন খোকন শেখ। তাঁর বুকে এবং মাথায় ব্যাপক আঘাত লাগে। আঘাতের কারণে অপারেশন করতে হয়েছে। কিন্তু তার পরেও শেষ রক্ষা হল না। পরিবারের একমাত্র উপার্জন করতেন খোকন। তাঁর প্রয়োজনকে সব সময় অনুভব করবে পরিবার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Malda:  ব্যালট বাক্সই নিখোঁজ! গাজলের স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থানে বিজেপি সাংসদ

    Malda: ব্যালট বাক্সই নিখোঁজ! গাজলের স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থানে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে হিংসার বাতাবরণ বর্তমান ছিল। এবার ভোট প্রদানের দিন লাগাম ছাড়া হিংসা, ভোট লুট, বোমাবাজি, হত্যালীলায় রাজ্য কমিশনের কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ ছিল না বলে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে গণনার আগেও উত্তপ্ত মালদার (Malda) গাজল। শাসক দল স্ট্রং রুমে ব্যালটে কারচুপি করেছে, এই অভিযোগ তুলে অবস্থাে-বিক্ষোভ করল বিজেপি। বিজেপির আশঙ্কা, ভোট লুট, ছাপ্পা এবং মানুষ হত্যার পর এবার হবে গণনায় চুরি। আর তাই স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থান করলেন বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Malda)?

    গাজোলে স্ট্রং রুমের সামনে ধরনায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও গাজলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন। স্ট্রংরুমের মধ্যেই শাসক দলের মদতে কারচুপির করা হচ্ছে। তাই ভোট চুরি আটকাতে অভিযোগ তুলেই ধর্নায় বসেছেন সাংসদ ও বিধায়ক।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Malda) বলেন, গতকাল ভোটের দিন শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে মানুষের ভোট লুট করেছে, সাধারণ মানুষকে ভোট না দিতে দিয়ে ছাপ্পা মেরেছে তৃণমূল এবং সর্বোপরি মানুষের গণতন্ত্রের অধিকারকে কেড়ে নিয়ে মৃত্যুর হোলি খেলা হল! তার বিরুদ্ধে আমরা আজ গাজলের নাকু মহম্মদ হাই স্কুলে যে স্ট্রং রুম ঠিক করা হয়েছে, সেখানে এসে প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থানে বসেছি। ৮৩ নম্বর বুথের ব্যালট বাক্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিচে পোলিং অফিসাররা রিসিভ করেছেন। কিন্তু তারপর থেকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। বিডিও, জয়েন্ট বিডিও সাহেবকে এই ব্যালট বাক্সের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা নিরুত্তর থাকেন। বিজেপির এই সাংসদ আরও বলেন, আমরা গত কাল রাত ১১ টা থেকে আজ পর্যন্ত বসে আছি। কিন্তু ব্যালট বাক্সের কোনও হদিশ নেই। ২১৭ নম্বর বুথের জেলা পরিষদের ব্যালট বাক্স ফাঁকা করে রাখা হয়েছিল। প্রিসাইডিং অফিসার নিজে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা মারছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। যে ভাবেই হোক না কেন, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে দখল করতে চাইছে শাসক দল! এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দেশে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এমন যে তার মধ্যে দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের টাকাগুলিকে বাস্তবায়ন করা হয়। কেন্দ্র সরকারের টাকা চুরি করার সহজ রাস্তা হল পঞ্চায়েত দখল করা। আর তাই তৃণমূলের সকল চোরেদের কাছে বিষয়টা এমন যে পঞ্চায়েত হাতে এলেই চুরি করতে সুবিধা হবে! আর এই জন্যই তৃণমূল চাইছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু তৃণমূলই থাকবে। রাজ্যে একতরফা ভোট চুরি করেছে শাসক তৃণমূল। সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, গাজলের ২৫৩ টি বুথেই পুনরায় নির্বাচন হোক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া। কয়লা, বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। তাই ও চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।” গতকাল প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

    কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে নেমেছে। তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে বলেন, চার বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এই চার বছরে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি। রানাঘাটবাসীর জন্য কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন, এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখবো না।

    বিজেপি (BJP)  সাংসদের বক্তব্য

    গতকাল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রানাঘাটে সভার পর বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিষেকের মতো বড় বড় বাতেলা মারি না। কয়লা চুরি থেকে শুরু করে বালি চুরির বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে যেতে যেতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে অভিষেকের। সেই কারণে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। রানাঘাটবাসীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, অভিষেকের জানা উচিত ভারতবর্ষের কোনও কৃষক রেল তার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আনা যায় না।। আমি রানাঘাটে কৃষক রেল চালু করেছি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০০০ লাইটের ব্যবস্থা করেছি রানাঘাট কেন্দ্রে। তার মূল্য কি কোনওদিন তৃণমূল হিসাব করে দেখেছে? অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছি, তা তৃণমূলের কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলে ফুলিয়ায় ৬০ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তৃণমূলের কোনও সাংসদ এমন কাজ করতে পেরেছেন! পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়েও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের এই নেত্রীকে। বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামের ঘটনা। মেজাজ হারালেন শতাব্দী! এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    রবিবার সকালে সিউড়িতে (Birbhum) প্রচারে বের হন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ। সেই সময় কয়েকজন মহিলা এসে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন তাঁকে। আবাস দুর্নীতি থেকে শুরু হয় অভিযোগের তালিকা। তারপর রাস্তা খারাপ থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যা, প্রতিটি বিষয় তাঁরা তুলে ধরেন শতাব্দীর সামনে। চলে বিক্ষোভ। অধিকাংশ মানুষ বলেন, যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁদেরকেই আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রিপল চাইলেও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাওয়া যায় না। বৃষ্টির জল যাওয়ার জন্য নেই ড্রেন, জমা জলে এলাকায় দারুণ সমস্যা। আসছে বর্ষা, কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে জানতে চান এলাকার মানুষ।

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেগে গিয়ে বীরভূমের এই তৃণমূল সাংসদ (Birbhum) বলেন, বিক্ষোভ কাকে বলে? মিডিয়া জোর করে দেখাচ্ছে! বিরোধীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। দিতে বাধ্য নই। এলাকার মানুষের মধ্যে এক-দুজন কিছু বললে সেটাকে বিক্ষোভ বলা যাবে না। জনজোয়ারে কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে বলতে পারবেন? সুতরাং বিরোধীরা কখনই বলবেন না শতাব্দী রায় ভালো কাজ করছে। তাই কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমি। পরে অবশ্য এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শতাব্দী। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারের নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। একটি পরিবারের একাধিক ছেলে। তাঁদের পৃথক পৃথক বাড়ি চাওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।”

    রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য

    রাজ্যপাল সম্পর্কে শতাব্দী রায় (Birbhum) বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ বেশি করছেন। নিজের প্রটোকল ভেঙে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তিনি। বিজেপির কর্মীদের মৃত্যু হলেই রাজ্যপাল পৌঁছে যাচ্ছেন। উনি মনে প্রাণে একজন বিজেপি কর্মী, এমনটাই মন্তব্য করেন শতাব্দী রায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: দৈহিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য চাই যোগাভ্যাস, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার

    Bankura: দৈহিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য চাই যোগাভ্যাস, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় যোগাভ্যাস জরুরি’। বুধবার বাঁকুড়া (Bankura) স্টেশন সংলগ্ন মাঠে বিশ্ব যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের একথা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিঘার সমুদ্র সৈকতে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের নিয়ে যোগাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে যোগ দিবস পালন করলেন। এছাড়াও বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করলেন। ২১ শে জুন বিশ্ব যোগ দিবস। শরীরী চর্চার মধ্যে দিয়ে কীভাবের সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকা যায়, সেই কথা মনে রেখেই বিশ্ব যোগ দিবস পালন করা হল এই দিনটিতে।

    কী বললেন ডাঃ সুভাষ সরকার

    যোগ দিবসের দিন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বাঁকুড়ার (Bankura) সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, এবছর বিশ্ব যোগ দিবসের থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিউ ইয়র্কে, রাষ্ট্রসংঘের কার্যালয় থেকে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে তিনি জানান। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে যোগ দিবস নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ভারতে এই যোগ দিবসকে, গত ৯ বছর ধরে, বিশ্ব যোগ দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। দেশের মানুষ যেমন এই যোগ দিবসে যোগদান করছেন, তেমনি বিদেশের মানুষও যোগ দিবসে, যোগের প্রয়োজনীয়তাকে গ্রহণ করছেন। তিনি আরও বলেন, যোগ আজকে ভারত থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই যোগ সাধনার মাধ্যমেই। ভারতীয় সংস্কৃতি কতটা পরিবেশ বান্ধব এবং প্রকৃতির অনুকুল, সেটা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে এই যোগ দিবসে ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করেন তিনি। বিশ্ববাসীর শারীরিক সুস্থতা এবং মঙ্গল কামনায় এই যোগের ভূমিকা অত্যন্ত উপযোগী বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাক্তার সুভাষ সরকার। দৈহিক সুস্থতা এবং মানসিক সুস্থতার জন্য প্রত্যেক দিন স্বল্প সময়ের জন্য যোগ অভ্যাস করা একান্ত প্রয়োজন। বিশ্ব যোগ দিবস ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এক সামজিক আন্দোলনের রূপ নিতে চলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    যোগ দিবসে বিশেষ উপস্থিতি

    এই অনুষ্ঠানে বাঁকুড়া (Bankura) রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী কৃত্তিবাসানন্দ মহারাজ যোগ দিবস পালনের সমাপনী ভাষণ দেন। মহারাজ বলেন, এই যোগ দিবসে যাঁরা যাঁরা অংশ গ্রহণ করেছেন, তাঁদের অনেক অভিন্দন জানাই। যোগের প্রয়োজনীয়তাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাঁরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের ভূমিকাকে বিশেষ ভাবে সাধুবাদ জানান মহারাজ। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের দৃশ্য চোখে পড়ে অনুষ্ঠানে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চোখ দিয়ে জল পড়বে।  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে একথা বললেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অন্তত এক ঘণ্টার জন্য এই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত এখানকার করুণ পরিস্থিতি দেখার পর তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়বে। জল না বেরলে  আমি আমার নাম বদলে দেব। এখানে কর্মীর অভাব রয়েছে। পরিকাঠামোর অনেক খামতি রয়েছে।  চারদিক নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন এখানকার রোগীরা। প্রসঙ্গত, খুশি বর্মন নামে নকশালবাড়ির এক শিশুকে দেখতে সাংসদ রাজু বিস্তা ও নকশালবাড়ি – মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। খুশি বর্মনের দু’টি কিডনি খারাপ। হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  রাজু বিস্তা বলেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপন বা উন্নত কোনও চিকিৎসার  প্রয়োজন হলে আমি তার দায়িত্ব নিচ্ছি”।

    উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল, তোপ সাংসদের

    বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছ থেকে বিনামূল্যে উন্নত অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল সরকার। উত্তরবঙ্গের জন্য এইমস অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে সেই এইমস সরিয়ে কল্যাণীতে নিয়ে গিয়েছেন। এখানে এইমস হাসপাতাল হলে আজ উত্তরবঙ্গের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতটা নাজেহাল হতে হত না,  কাউকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হত না। রাজ্য সরকার যদি আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেয় তাহলে এই হাসপাতালের ভোল বদলে দেব”।

     কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন,  “রাজু বিস্তার মুখে এধরনের শিশুসুলভ কথা মানায় না। বিজেপি (BJP) সাংসদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলার  কোনও অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি না জেনে এসব বলছেন। এসব ভাবনা ছেড়ে আমি বলব, সুপার স্পেশালিটি ব্লক দ্রুত চালু করার জন্য তিনি বরং দিল্লিতে দরবার করুন”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naxalbari: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে প্রথম দূরপাল্লার ট্রেন পাচ্ছে নকশালবাড়ি, কোন ট্রেন জানেন?

    Naxalbari: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে প্রথম দূরপাল্লার ট্রেন পাচ্ছে নকশালবাড়ি, কোন ট্রেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বহুদিন আগেই যুক্ত হয়েছিল নকশালবাড়ি (Naxalbari) স্টেশন। কিন্তু, দূরপাল্লার ট্রেন সেখানে দাঁড়ায় না। নকশালবাড়ির মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গাড়ি ভাড়া করে এনজেপি গিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে হয়। এবার সেই দুর্ভোগ মিটতে চলেছে। ২৬ মে, শুক্রবার থেকে শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নকশালবাড়ি স্টেশনে দাঁড়াবে। পরীক্ষামূলকভাবে এই স্টপেজের উদ্বোধন করবেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। এটিই হবে নকশালবাড়িতে (Naxalbari) প্রথম দূরপাল্লার কোনও মেল ট্রেনের স্টপেজ।

    ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়ে অবহেলায় নকশালবাড়ি

    কৃষকের অধিকার রক্ষায় ঐতিহাসিক নকশালবাড়ি (Naxalbari) আন্দোলনের এই পীঠস্থান উন্নয়ন ও প্রসারে সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। নকশালবাড়ি আন্দোলনের ইতিহাস বহনকারী এই জায়গার জনসংখ্যা বেড়েছে। অবস্থানের দিক থেকেও এই অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ। রয়েছে ভারত-নেপাল সীমান্ত। কিন্তু সেভাবে বাণিজ্যিক প্রসার ও কর্মসংস্থান হয়নি। নকশালবাড়ি আন্দোলনের অন্যতম নেতা কানু সান্যালের কমিউন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়ে নকশালবাড়ি (Naxalbari) এখন চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই নকশালবাড়ি নিয়ে মোদির ভাবনা

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই নকশালবাড়িকে (Naxalbari) তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুযায়ী গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপির। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ায় একটি জনসভা করেছিলেন। সেখানে নকশালবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে এই অঞ্চলের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। দার্জিলিংয়ের সাংসদ হওয়ার পর বিজেপির সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া নকশালবাড়ির হাতিঘিসাতে একটি গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পানীয় জল, রাস্তাসহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়। তারপর দার্জিলিংয়ের সাংসদ হন বিজেপির রাজু বিস্তা। উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি নকশালবাড়িতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। সেইমতো এবার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নকশালবাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে স্টপেজ দেবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

    খুশির হাওয়া নকশালবাড়িতে (Naxalbari)

    খুশির হাওয়া নকশালবাড়ির (Naxalbari) সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহলে। নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিখিল ঘোষ বলেন, “কলকাতার ট্রেন নকশালবাড়িতে দাঁড়ালে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। এখানকার ছোট ব্যবসায়ীদের কলকাতা থেকে জিনিস আনতে হয়। এনজেপিতে নেমে তারপরে গাড়ি করে আসতে হয়। কাঞ্চনকন্যা এখানে দাঁড়ালে আমরা সরাসরি নকশালবাড়িতে জিনিস নিয়ে নামতে পারব”।

    কী বলছেন  বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপির নকশালবাড়ি (Naxalbari)-মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছি। রাজ্যের তৃণমূল সরকার এখানকার কোনও উন্নয়ন করেনি। আমাদের উদ্যোগে নকশালবাড়িতে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের স্টপেজ পরীক্ষামূলকভাবেই শুরু হচ্ছে। আশা করি এটা স্থায়ী স্টপেজ হবে। এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ, যাঁরা চিকিৎসা ও অন্যান্য কাজে কলকাতায় যান, তাঁদের আর শিলিগুড়িতে গাড়ি ভাড়া করে গিয়ে ট্রেন ধরতে হবে না। এই অঞ্চলের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি। নানা ধরনের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠবে। সবদিক দিয়েই নকশালবাড়ি (Naxalbari) আরও সমৃদ্ধ হবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন লকেট

    BJP: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্গাপুরের লাউদোহার প্রতাপপুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন হুগলির বিজেপির (BJP) সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ওই ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলা হচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী এই কথা বলছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ যেভাবে রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। মৃত্যুর পরও তাকে সম্মান দেওয়া হয়নি। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই রাজ্যের নির্যাতিতা মহিলারাই। এটা বাংলার মানুষ আশা করেনি। তাই রাজ্যের কোনও সংস্থার মাধ্যমে কালিয়াগঞ্জের ঘটনার তদন্ত করা সম্ভব নয়। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    পুলিশের হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    কালিয়াগঞ্জ থানায় মঙ্গলবার রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন লাগানো হয়। পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়। একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে পুলিশকে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, পুলিশ নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করলে কোনও সমস্যা হয় না। পুলিশ এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। সেইজন্যই মার খাচ্ছে, হেনস্থা হচ্ছে। তবে, পুলিশ জনতার রোষে পড়ুক, সেটা আমিও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সমর্থন করি না। কিন্তু, পুলিশ কালিয়াগঞ্জে  প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে, তাতে জনতার রোষ যে বাড়বেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  

    অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন। অভিষেকের বৈঠক শেষ হওয়ার পর ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে বিজেপি (BJP) সাংসদ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, রাজা রাজ্য ভ্রমণে বেরিয়েছেন। সৈন্যদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছেন। আর কী করে ভোট লুঠ করতে হয়, তা তাদের শেখানো হচ্ছে। ট্রেলারে যদি এরকম হয়, তাহলে পঞ্চায়েত ভোটের সময় কী হবে? এদিন দলীয় কর্মীরা এই সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য নেত্রীকে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলেন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share