Tag: MP

MP

  • Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়েও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের এই নেত্রীকে। বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামের ঘটনা। মেজাজ হারালেন শতাব্দী! এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    রবিবার সকালে সিউড়িতে (Birbhum) প্রচারে বের হন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ। সেই সময় কয়েকজন মহিলা এসে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন তাঁকে। আবাস দুর্নীতি থেকে শুরু হয় অভিযোগের তালিকা। তারপর রাস্তা খারাপ থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যা, প্রতিটি বিষয় তাঁরা তুলে ধরেন শতাব্দীর সামনে। চলে বিক্ষোভ। অধিকাংশ মানুষ বলেন, যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁদেরকেই আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রিপল চাইলেও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাওয়া যায় না। বৃষ্টির জল যাওয়ার জন্য নেই ড্রেন, জমা জলে এলাকায় দারুণ সমস্যা। আসছে বর্ষা, কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে জানতে চান এলাকার মানুষ।

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেগে গিয়ে বীরভূমের এই তৃণমূল সাংসদ (Birbhum) বলেন, বিক্ষোভ কাকে বলে? মিডিয়া জোর করে দেখাচ্ছে! বিরোধীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। দিতে বাধ্য নই। এলাকার মানুষের মধ্যে এক-দুজন কিছু বললে সেটাকে বিক্ষোভ বলা যাবে না। জনজোয়ারে কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে বলতে পারবেন? সুতরাং বিরোধীরা কখনই বলবেন না শতাব্দী রায় ভালো কাজ করছে। তাই কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমি। পরে অবশ্য এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শতাব্দী। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারের নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। একটি পরিবারের একাধিক ছেলে। তাঁদের পৃথক পৃথক বাড়ি চাওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।”

    রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য

    রাজ্যপাল সম্পর্কে শতাব্দী রায় (Birbhum) বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ বেশি করছেন। নিজের প্রটোকল ভেঙে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তিনি। বিজেপির কর্মীদের মৃত্যু হলেই রাজ্যপাল পৌঁছে যাচ্ছেন। উনি মনে প্রাণে একজন বিজেপি কর্মী, এমনটাই মন্তব্য করেন শতাব্দী রায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: দৈহিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য চাই যোগাভ্যাস, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার

    Bankura: দৈহিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য চাই যোগাভ্যাস, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় যোগাভ্যাস জরুরি’। বুধবার বাঁকুড়া (Bankura) স্টেশন সংলগ্ন মাঠে বিশ্ব যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের একথা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিঘার সমুদ্র সৈকতে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের নিয়ে যোগাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে যোগ দিবস পালন করলেন। এছাড়াও বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করলেন। ২১ শে জুন বিশ্ব যোগ দিবস। শরীরী চর্চার মধ্যে দিয়ে কীভাবের সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকা যায়, সেই কথা মনে রেখেই বিশ্ব যোগ দিবস পালন করা হল এই দিনটিতে।

    কী বললেন ডাঃ সুভাষ সরকার

    যোগ দিবসের দিন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বাঁকুড়ার (Bankura) সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, এবছর বিশ্ব যোগ দিবসের থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিউ ইয়র্কে, রাষ্ট্রসংঘের কার্যালয় থেকে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে তিনি জানান। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে যোগ দিবস নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ভারতে এই যোগ দিবসকে, গত ৯ বছর ধরে, বিশ্ব যোগ দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। দেশের মানুষ যেমন এই যোগ দিবসে যোগদান করছেন, তেমনি বিদেশের মানুষও যোগ দিবসে, যোগের প্রয়োজনীয়তাকে গ্রহণ করছেন। তিনি আরও বলেন, যোগ আজকে ভারত থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই যোগ সাধনার মাধ্যমেই। ভারতীয় সংস্কৃতি কতটা পরিবেশ বান্ধব এবং প্রকৃতির অনুকুল, সেটা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে এই যোগ দিবসে ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করেন তিনি। বিশ্ববাসীর শারীরিক সুস্থতা এবং মঙ্গল কামনায় এই যোগের ভূমিকা অত্যন্ত উপযোগী বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাক্তার সুভাষ সরকার। দৈহিক সুস্থতা এবং মানসিক সুস্থতার জন্য প্রত্যেক দিন স্বল্প সময়ের জন্য যোগ অভ্যাস করা একান্ত প্রয়োজন। বিশ্ব যোগ দিবস ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এক সামজিক আন্দোলনের রূপ নিতে চলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    যোগ দিবসে বিশেষ উপস্থিতি

    এই অনুষ্ঠানে বাঁকুড়া (Bankura) রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী কৃত্তিবাসানন্দ মহারাজ যোগ দিবস পালনের সমাপনী ভাষণ দেন। মহারাজ বলেন, এই যোগ দিবসে যাঁরা যাঁরা অংশ গ্রহণ করেছেন, তাঁদের অনেক অভিন্দন জানাই। যোগের প্রয়োজনীয়তাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাঁরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের ভূমিকাকে বিশেষ ভাবে সাধুবাদ জানান মহারাজ। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের দৃশ্য চোখে পড়ে অনুষ্ঠানে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চোখ দিয়ে জল পড়বে।  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে একথা বললেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অন্তত এক ঘণ্টার জন্য এই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত এখানকার করুণ পরিস্থিতি দেখার পর তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়বে। জল না বেরলে  আমি আমার নাম বদলে দেব। এখানে কর্মীর অভাব রয়েছে। পরিকাঠামোর অনেক খামতি রয়েছে।  চারদিক নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন এখানকার রোগীরা। প্রসঙ্গত, খুশি বর্মন নামে নকশালবাড়ির এক শিশুকে দেখতে সাংসদ রাজু বিস্তা ও নকশালবাড়ি – মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। খুশি বর্মনের দু’টি কিডনি খারাপ। হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  রাজু বিস্তা বলেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপন বা উন্নত কোনও চিকিৎসার  প্রয়োজন হলে আমি তার দায়িত্ব নিচ্ছি”।

    উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল, তোপ সাংসদের

    বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছ থেকে বিনামূল্যে উন্নত অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল সরকার। উত্তরবঙ্গের জন্য এইমস অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে সেই এইমস সরিয়ে কল্যাণীতে নিয়ে গিয়েছেন। এখানে এইমস হাসপাতাল হলে আজ উত্তরবঙ্গের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতটা নাজেহাল হতে হত না,  কাউকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হত না। রাজ্য সরকার যদি আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেয় তাহলে এই হাসপাতালের ভোল বদলে দেব”।

     কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন,  “রাজু বিস্তার মুখে এধরনের শিশুসুলভ কথা মানায় না। বিজেপি (BJP) সাংসদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলার  কোনও অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি না জেনে এসব বলছেন। এসব ভাবনা ছেড়ে আমি বলব, সুপার স্পেশালিটি ব্লক দ্রুত চালু করার জন্য তিনি বরং দিল্লিতে দরবার করুন”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naxalbari: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে প্রথম দূরপাল্লার ট্রেন পাচ্ছে নকশালবাড়ি, কোন ট্রেন জানেন?

    Naxalbari: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে প্রথম দূরপাল্লার ট্রেন পাচ্ছে নকশালবাড়ি, কোন ট্রেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বহুদিন আগেই যুক্ত হয়েছিল নকশালবাড়ি (Naxalbari) স্টেশন। কিন্তু, দূরপাল্লার ট্রেন সেখানে দাঁড়ায় না। নকশালবাড়ির মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গাড়ি ভাড়া করে এনজেপি গিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে হয়। এবার সেই দুর্ভোগ মিটতে চলেছে। ২৬ মে, শুক্রবার থেকে শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নকশালবাড়ি স্টেশনে দাঁড়াবে। পরীক্ষামূলকভাবে এই স্টপেজের উদ্বোধন করবেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। এটিই হবে নকশালবাড়িতে (Naxalbari) প্রথম দূরপাল্লার কোনও মেল ট্রেনের স্টপেজ।

    ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়ে অবহেলায় নকশালবাড়ি

    কৃষকের অধিকার রক্ষায় ঐতিহাসিক নকশালবাড়ি (Naxalbari) আন্দোলনের এই পীঠস্থান উন্নয়ন ও প্রসারে সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। নকশালবাড়ি আন্দোলনের ইতিহাস বহনকারী এই জায়গার জনসংখ্যা বেড়েছে। অবস্থানের দিক থেকেও এই অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ। রয়েছে ভারত-নেপাল সীমান্ত। কিন্তু সেভাবে বাণিজ্যিক প্রসার ও কর্মসংস্থান হয়নি। নকশালবাড়ি আন্দোলনের অন্যতম নেতা কানু সান্যালের কমিউন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়ে নকশালবাড়ি (Naxalbari) এখন চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই নকশালবাড়ি নিয়ে মোদির ভাবনা

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই নকশালবাড়িকে (Naxalbari) তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুযায়ী গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপির। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ায় একটি জনসভা করেছিলেন। সেখানে নকশালবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে এই অঞ্চলের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। দার্জিলিংয়ের সাংসদ হওয়ার পর বিজেপির সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া নকশালবাড়ির হাতিঘিসাতে একটি গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পানীয় জল, রাস্তাসহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়। তারপর দার্জিলিংয়ের সাংসদ হন বিজেপির রাজু বিস্তা। উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি নকশালবাড়িতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। সেইমতো এবার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নকশালবাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে স্টপেজ দেবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

    খুশির হাওয়া নকশালবাড়িতে (Naxalbari)

    খুশির হাওয়া নকশালবাড়ির (Naxalbari) সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহলে। নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিখিল ঘোষ বলেন, “কলকাতার ট্রেন নকশালবাড়িতে দাঁড়ালে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। এখানকার ছোট ব্যবসায়ীদের কলকাতা থেকে জিনিস আনতে হয়। এনজেপিতে নেমে তারপরে গাড়ি করে আসতে হয়। কাঞ্চনকন্যা এখানে দাঁড়ালে আমরা সরাসরি নকশালবাড়িতে জিনিস নিয়ে নামতে পারব”।

    কী বলছেন  বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপির নকশালবাড়ি (Naxalbari)-মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছি। রাজ্যের তৃণমূল সরকার এখানকার কোনও উন্নয়ন করেনি। আমাদের উদ্যোগে নকশালবাড়িতে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের স্টপেজ পরীক্ষামূলকভাবেই শুরু হচ্ছে। আশা করি এটা স্থায়ী স্টপেজ হবে। এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ, যাঁরা চিকিৎসা ও অন্যান্য কাজে কলকাতায় যান, তাঁদের আর শিলিগুড়িতে গাড়ি ভাড়া করে গিয়ে ট্রেন ধরতে হবে না। এই অঞ্চলের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি। নানা ধরনের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠবে। সবদিক দিয়েই নকশালবাড়ি (Naxalbari) আরও সমৃদ্ধ হবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন লকেট

    BJP: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্গাপুরের লাউদোহার প্রতাপপুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন হুগলির বিজেপির (BJP) সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ওই ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলা হচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী এই কথা বলছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ যেভাবে রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। মৃত্যুর পরও তাকে সম্মান দেওয়া হয়নি। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই রাজ্যের নির্যাতিতা মহিলারাই। এটা বাংলার মানুষ আশা করেনি। তাই রাজ্যের কোনও সংস্থার মাধ্যমে কালিয়াগঞ্জের ঘটনার তদন্ত করা সম্ভব নয়। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    পুলিশের হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    কালিয়াগঞ্জ থানায় মঙ্গলবার রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন লাগানো হয়। পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়। একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে পুলিশকে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, পুলিশ নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করলে কোনও সমস্যা হয় না। পুলিশ এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। সেইজন্যই মার খাচ্ছে, হেনস্থা হচ্ছে। তবে, পুলিশ জনতার রোষে পড়ুক, সেটা আমিও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সমর্থন করি না। কিন্তু, পুলিশ কালিয়াগঞ্জে  প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে, তাতে জনতার রোষ যে বাড়বেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  

    অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন। অভিষেকের বৈঠক শেষ হওয়ার পর ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে বিজেপি (BJP) সাংসদ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, রাজা রাজ্য ভ্রমণে বেরিয়েছেন। সৈন্যদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছেন। আর কী করে ভোট লুঠ করতে হয়, তা তাদের শেখানো হচ্ছে। ট্রেলারে যদি এরকম হয়, তাহলে পঞ্চায়েত ভোটের সময় কী হবে? এদিন দলীয় কর্মীরা এই সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য নেত্রীকে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলেন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddha Stupa: বুদবুদের এই গ্রামে এখন জোর কদমে চলছে খননের কাজ, জানেন কেন?

    Buddha Stupa: বুদবুদের এই গ্রামে এখন জোর কদমে চলছে খননের কাজ, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর মহকুমার বুদবুদের ভরতপুর গ্রাম। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই গ্রামের কথা অনেকের অজানা। এই গ্রামেই কয়েকশো বছর আগে বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) ছিল। সেই বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে এই বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) । কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সেখানে এখন জোর কদমে খনন কার্য চলছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী স্থানগুলিকে আরও উন্নত করে সেখানে যাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। ভরতপুরে যে বৌদ্ধ স্তূপ (Buddha Stupa) রয়েছে সেটি প্রাচীন ইতিহাস বহন করে। রাজেন্দ্র যাদব নামে এক আধিকারিকের নেতৃত্বে এই এলাকায় খনন কাজ শুরু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৌদ্ধ ধর্মের নানান স্থান খনন করে অনেক প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরেছেন। এই এলাকায় সেই কাজ করার তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সাংসদ এসএস আলুয়ালিয়া খনন কার্যের কাজ খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে প্রাচীন স্থাপত্যগুলিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে প্রাচীন ঐতিহ্য বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে খনন কার্য চালিয়ে তা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা হবে। খনন কার্য কেমন হচ্ছে তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আমি এসেছিলাম।

    কী করে হদিশ মিলল এই বৌদ্ধস্তূপের (Buddha Stupa)?

    পঞ্চাশ বছর আগেও এই গ্রামের পাশেই বৌদ্ধস্তূপ রয়েছে তা এলাকার মানুষ জানতেন না। গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা নিত্যানন্দবাবু বলেন, আমরা তখন ক্লাস এইটে পড়ি। গ্রামের রাস্তা তৈরির জন্য গ্রামের পাশে উঁচু ঢিবির মাটি কেটে আনা হয়। তখনই আমরা বেশ কয়েকটি ইটের হদিশ পাই। রাতের বেলায় গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে খননকার্য শুরু করেন। একটি মন্দিরের বেশ কিছু ইটের হদিশ পাই। আমরা বিষয়টি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাই। তাদের উদ্যোগে সরকারি সাহায্যে শুরু হয় খননকার্য। সালটা ১৯৭১। বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে খননকার্য হয়। নোটিসও দেওয়া হয়। তারপর আচমকাই খননকার্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, আবার বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) সেই আগের জায়গায় চলে গিয়েছিল। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এতদিন ধরে অবহেলায় পড়েছিল এই বৌদ্ধস্তূপ। নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ফের খনন কার্য শুরু হওয়ায় খুব ভাল লাগছে। আগামীদিনে এই গ্রামই বৌদ্ধস্তূপের (Buddha Stupa)  কারণে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। প্রচুর পর্যটক আসবে এই গ্রামে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বৌদ্ধস্তূপকে (Buddha Stupa)  ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’! ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢাললেন সৌগত

    Sandeshkhali: ‘‘সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’! ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢাললেন সৌগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সুন্দরি বউদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে নির্যাতন চালাতেন শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর লোকজন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতারা। পুলিশও এই সব ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে। এত কাণ্ড হয়ে যাওয়ার পর তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় ফের মুখ খুললেন। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মহিলাদের নিয়ে তিনি যা বললেন তাতে শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর ক্ষোভের যে আগুন ধিক ধিক করে জ্বলছিল, সেই আগুনে ফের ঘি ঢাললেন তৃণমূল সাংসদ। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Sandeshkhali)

    ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সৌগত রায়কে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। দমদমের সাংসদ বলেন, “সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে প্রমাণ থাকত। যদি কিছু ঘটেও থাকে, সেক্ষেত্রে মমতার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শাহজাহান, শিবু, উত্তমদের রাজ্য পুলিশই গ্রেফতার করেছে। সিবিআই বা ইডি নয়।” এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ। সেই সময় তিনি গোটা ঘটনাই সংবাদমাধ্যমের তৈরি বলে দাবি করেছিলেন। এবার আরও একধাপ এগিয়ে নারী নির্যাতনের অভিযোগই সারবত্তাহীন বলে দাবি করে বসেছেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের ভেতরেই অনেকে চাইছেন না সৌগতবাবু ফের সাংসদ হন। টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয়ের পাশাপাশি তিনি জয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু, প্রার্থী পদটা ওঁর জরুরি, তাই আবার তোষামোদ শুরু করেছেন। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই হানা, ভাঙা হল ঘরের তালা

    সাংসদের বক্তব্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে মহিলাদের নির্যাতন, জমি দখল, খেলার মাঠ দখল নিয়ে এলাকাবাসী সরব হয়েছেন। চাপে পড়়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসে। মিনাখাঁ থেকে শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে। পরে, আদালতের নির্দেশে শাহজাহান মামলা সিবিআইয়ের হাতে যায়। শাহজাহানের শাগরেদদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেও মামলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে এই দাবি করলেন সৌগত, উঠছে প্রশ্ন। সাংসদের এই বিতর্কিত বক্তব্যের পর নতুন করে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। সন্দেশখালির বুকে তৃণমূলের ভাবমূর্তি আরও খারাপ হল বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamal Nath: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    Kamal Nath: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! মিলিন্দ দেওরা, অশোক চহ্বান, বাবা সিদ্দিকি, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকরের পর এবার সপুত্র কমল নাথ (Kamal Nath) কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে নকুল নাথ তাঁর নামের পাশ থেকে কংগ্রেস শব্দটি মুছে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন কমল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শনিবারই কংগ্রেস ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে পদ্ম আঁকা ঝান্ডা হাতে তুলে নিতে পারেন কমল।

    পদ্ম শিবিরে কমল নাথ!

    মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যে কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম-শিবিরে ভিড়তে চলেছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল শুক্রবারই। এদিন বিজেপির মুখপাত্র তথা কমল নাথের (Kamal Nath) প্রাক্তন পরামর্শদাতা নরেন্দ্র সালুজা একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে ছিলেন সপুত্র কমল নাথ। ছবির ক্যাপশনে সালুজা লিখেছেন, জয় শ্রীরাম। এর পরেই চড়তে থাকে কমলের পদ্ম-যোগের জল্পনার পারদ।

    কী বলছে কংগ্রেস?

    শুক্রবারই এই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি বলেছিলেন, “যে ব্যক্তি নেহরু-গান্ধী পরিবারের হাত ধরে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন, এটা কী করে আশা করা যায়। এরকম কিছু আশা করাই উচিত নয়।” শনিবার দিল্লিতে কমল বলেন, “আপনারা এত উত্তেজিত কেন হয়ে পড়ছেন? যদি এরকম কিছু হয়, তবে আমি অবশ্যই আপনাদের জানাব।”

    বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন কমলের এক অনুগামীও। সজ্জন সিং ভার্মা নামের ওই ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশের সোনকাছ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হাত চিহ্নে জয়ী হয়েছিলেন। কমল দিল্লি যেতেই তাঁর প্রোফাইল থেকে কংগ্রেসের লোগো মুছে ফেলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “আগামী নির্বাচনে বাংলায় আমরাই ক্ষমতায় আসব”, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    জানা গিয়েছে, ছেলে নকুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত কমল। কারণ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল মাত্রই একটি আসনে। এই কেন্দ্রটি ছিন্দওয়ারা। এক সময় এটি ছিল কমল নাথের দুর্গ। বাবার সেই দুর্গে দাঁড়িয়েই কোনও মতে জয়ী হয়েছেন নকুল। ইতিমধ্যে এই কেন্দ্রে নিরন্তর শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিজেপি। প্রত্যাশিতভাবেই প্রমাদ গুণছেন কমল (Kamal Nath)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছেলের একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই দিল্লিতে হাজির মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • PM Modi: “লোকসভা ভোটে বিজেপি ছাড়াবে ৩৭০ আসন”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “লোকসভা ভোটে বিজেপি ছাড়াবে ৩৭০ আসন”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০ আসনের গণ্ডী  ছাড়াবে।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “বিরোধী দলগুলির নেতারাও বলছেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার আসন পাবে ৪০০-র বেশি।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলায় উপজাতি সম্প্রদায় আয়োজিত এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার যেন প্রতিটি বুথে বিজেপির পক্ষে অতিরিক্ত ৩৭০টি ভোট পড়ে। তাহলেই লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হবে ৩৭০টি আসনে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “এখন বিরোধীরাও বিজেপি সম্পর্কে বলতে শুরু করেছেন ‘আব কি বার চারশো পার’।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি নিশ্চিত যে বিজেপির পদ্ম চিহ্ন একাই ৩৭০ আসনের গণ্ডী ছাড়াবে।”

    ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমি ঝাবুয়ায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে আসিনি। এসেছি, তাঁরা যে বিপুল ভোটে বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের জয়ী করেছেন, সেবক হিসেবে তাঁদের ধন্যবাদ দিতে।” প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার ডাবল গতিতে মধ্যপ্রদেশে কাজ করছে। এদিন জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।”

    আরও পড়ুুন: “আমরা চুড়ি পরে বসে নেই”, প্রকাশ্য সভায় বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিরোধী কংগ্রেস দরিদ্র, কৃষক ও উপজাতিদের উপেক্ষা করেছে। কংগ্রেস গ্রাম, দরিদ্র ও কৃষকদের কথা মনে করে কেবল নির্বাচনের সময়। কংগ্রেসের লক্ষ্যই হল লুট এবং বিভাজন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভোটের জন্য সিকল সেল অ্যানিমিয়ার প্রচার করছি না, আমরা এটা করছি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আহার অনুদান যোজনায় উপকৃত হয়েছেন প্রায় দু লক্ষ মহিলা। এই প্রকল্পে পিছড়ে বর্গ সম্প্রদায়ের মহিলাদের পুষ্টি দানের লক্ষ্যে প্রতি মাসে খরচ করা হয় দেড় হাজার টাকা।” এদিন তিনি (PM Modi) ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের হাতে জমির অধিকারের রেকর্ডও তুলে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share