Tag: Muhammad Yunus

  • Zakir Naik: দিল্লির হঁশিয়ারির পরে সতর্ক বাংলাদেশ! পলাতক জাকিরকে এখন ঢাকা সফরে অনুমতি দিচ্ছেন না ইউনূস

    Zakir Naik: দিল্লির হঁশিয়ারির পরে সতর্ক বাংলাদেশ! পলাতক জাকিরকে এখন ঢাকা সফরে অনুমতি দিচ্ছেন না ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চাপেই সাবধানী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দিল্লির বার্তার পরে ভারত থেকে পলাতক জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশ সফরের অনুমতি দিচ্ছে না সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাকিরের (Zakir Naik) বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপেও তাঁর যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তবে এই সিদ্ধান্ত আপাতত। স্থায়ী সিদ্ধান্ত নয়। পাকিস্তানের পথ অনুসরণ করে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ। তা দৃশ্যতই। কিন্তু বেড়ে খেলতে গিয়ে, ধাক্কা খেল ঢাকা! আপাতত ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও খারাপ করতে নারাজ বাংলাদেশ।

    কেন এই সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ

    বাংলাদেশের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক করেছে মঙ্গলবার। সেই বৈঠকে জাকির নায়েকের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন হতে পারে। জাকির নায়েকের নাকি বাংলাদেশে এতটাই জনপ্রিয়তা যে, ব্যাপক ভিড় হবে তাঁকে দেখতে ও তাঁর কথা শুনতে। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচুর পুলিশ অফিসার ও নিরাপত্তরক্ষী প্রয়োজন। এই মুহূর্তে পুরো ফোকাস রয়েছে জাতীয় নির্বাচনের দিকে। তাই জাকির নায়েকের এত নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। তবে, ভারতে সন্ত্রাসে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া জাকিরের সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ হল আন্তর্জাতিক চাপ। আর সেই চাপের অন্যতম হল ভারত। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারত এই মুহূর্তে কার্যত চালকের আসনে রয়েছে। বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম। আর ভারত ছাড়া বাংলাদেশের গতি নেই। যতই পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াক, ঢাকা জানে, তাদেরই মতো বা তাদের থেকেও কাঙাল অবস্থা পাকিস্তানের।

    ভারতের চাপের কাছে নতিস্বীকার

    গত সপ্তাহে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেছিলেন জাকির নায়েক (Zakir Naik)  ঢাকায় গেলে বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে তাঁকে গ্রেফতার করে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া। বাংলাদেশের একটি অসরকারি প্রতিষ্ঠান জাকির নায়েককে চলতি মাসের ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। দু’দিনই দুটি বড় স্টেডিয়ামে তাঁর ভাষণ দেওয়ার কথা। এই খবর জানাজানি হতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে ছিল, ঢাকার উচিত হবে জাকির নায়েককে গ্রেফতার করে দিল্লির হাতে তুলে দেওয়া। দীর্ঘদিন যাবত মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। ২০১৬ সালে ঢাকায় হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ আনে। সেই সময় দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল জাকিরের মন্তব্যকে ঘিরে। তাঁকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছিল। ভারতে একাধিক আদালতে এই ইসলামিক স্কলার ও সুবক্তার বিরুদ্ধে মামলা চালু আছে। জাকিরকে নিয়ে ভারতের চাপের মুখে বাংলাদেশ করা প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শুধু বলেন ভারতের প্রতিক্রিয়ার দিকে তাদের নজর আছে। দেখা গেল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কঠোর মনোভাবের পর বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পদাধিকারীরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত করলেন জাকিরকে ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

     

     

     

     

  • Bangladesh Crisis: ইসলামী চরমপন্থীদের কাছে ফের মাথা নত ইউনূসের, বাংলাদেশে বন্ধ সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ

    Bangladesh Crisis: ইসলামী চরমপন্থীদের কাছে ফের মাথা নত ইউনূসের, বাংলাদেশে বন্ধ সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের কবলে ঠেলে দিচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দিন দিন মৌলবাদীদের দাপাদাপি বেড়েই চলেছে পড়শি দেশটিতে (Bangladesh Crisis)। যে দেশ একসময় কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে গর্ব করত, সেই দেশেই এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষকের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি গেজেট অনুযায়ী, সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পদ বাতিল করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান জানান, “অগাস্টে প্রকাশিত নিয়মে চারটি শ্রেণির পদ ছিল, তবে সংশোধিত নিয়মে দুটি পদ রাখা হয়েছে। সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ নতুন নিয়মে নেই।”

    মৌলবাদীদের দাবির কাছে নতি স্বীকার

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি চরমপন্থী ইসলামী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীত শিক্ষকের পরিবর্তে আলেম নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছিল। জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছিলেন, “সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও জাতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।” আরেক নেতা মুজিবুর রহমান দাওরায়ে হাদিস ও ফাজিল ডিগ্রিধারী আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আহ্বান জানান। এরপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) ও খেলাফত মজলিশসহ বিভিন্ন সংগঠন সঙ্গীত শিক্ষা ‘নাস্তিকতা’ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে। আইএবির আমির সায়েদ রেজাউল করিম হুমকি দেন, ইসলামী আলেম নিয়োগ না হলে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির চাপের কারণে এই সিদ্ধান্ত

    উগ্রবাদীদের হুঙ্কারে এরপরই গুটিয়ে যান নোবেল জয়ী ইউনূস। ইসলামী মৌলবাদীদের আপত্তি থাকায় এবার বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুলে সঙ্গীত ও শারীরশিক্ষার প্রশিক্ষনের দেওয়ার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গেল। মুছে দেওয়া হল নিয়োগ – বিজ্ঞপ্তি। প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হল ইউনূস প্রশাসনকে। সংশোধিত বিধিমালায় সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগের বিষয়টি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাসুদ আখতার খান জানান, গত অগাস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ টি শ্রেণীর পদ থাকলেও, নতুন সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে দুটি শ্রেণীই রাখা হয়েছে। সেখানে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ রাখা হয়নি। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির চাপের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, আখতার খান কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    ইউনুসের ইসলামপন্থী তোষণ নীতি

    কোরান ও হাদিসের বিভিন্ন উদ্ধৃতি অনুযায়ী ইসলামে সঙ্গীত হারাম বলে বিবেচিত। ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশে ইসলামপন্থার উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি প্রথমে নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামী পুনরায় বৈধতা দেন, পরে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর নেতা জাসিমউদ্দিন রহমানিকে মুক্তি দেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাগুলোকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে মন্তব্য করেন ইউনুস। আওয়ামি লিগ ও তার ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে তিনি ইসলামপন্থীদের আরও শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ করে দেন।

    মৌলবাদ ও নারীবিদ্বেষের উত্থান

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) কিছুই আর ঠিকঠাক নেই, ইসলামী মৌলবাদ সেখানে ক্রমশ প্রাধান্য পাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপ ধর্মীয় মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের সময় সীমিত পরিসরের সংগঠনগুলি এখন প্রকাশ্যে সক্রিয় এবং সরকারের উপর নীতিগত চাপ প্রয়োগ করছে। এই একই সংগঠনগুলি সম্প্রতি ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে, যাকে তারা ‘চরমপন্থী সংগঠন’ বলে অভিহিত করেছে। তদুপরি, তারা নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে হিংসার হুমকি দিয়েছে। জুলাই ২০২৫-এ বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দেয় যে মহিলা কর্মীরা ছোট পোশাক, ছোট হাতা জামা বা লেগিংস পরতে পারবেন না। নির্দেশনায় হিজাব পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। নারী অধিকার রক্ষা কর্মীরা একে “তালেবানি নির্দেশনা” বলে নিন্দা জানান। একই বছর ইসলামী দল ‘জমায়াত-চরমোনাই’ ঘোষণা দেয়, তারা নির্বাচনে জিতলে বাংলাদেশকে শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী অধিকার কমিশন বিলুপ্তির দাবি তোলেন মৌলবাদীরা।

    বাংলাদেশ অন্ধকারের পথে

    মহম্মদ ইউনুসের শাসনামলে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ধর্মীয় উগ্রতা, নারীর ওপর সহিংসতা, ও সাংস্কৃতিক দমন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিপরীতে, আজকের বাংলাদেশ ক্রমশ তালেবানি রূপ নিচ্ছে—যেখানে সঙ্গীত, সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ইউনূসের এহেন সিদ্ধান্তে অবাক হচ্ছেন না। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্তই নিয়ে চলেছে মসনদে বসার পর থেকে। এর আগে দেখা গিয়েছে, মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের কোপ পড়েছিল লালন স্মরণোৎসবে। লালনের মতাদর্শ সঠিক নয় ও ইসলাম বিরোধী এরকম দাবি তুলে প্রশাসনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বন্ধ করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানটি। এইভাবে দিন দিন মৌলবাদীদের দাপাদাপি বেড়েই চলেছে। ফলে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় অবাক হওয়ার কিছু নেই ‘নতুন’ বাংলাদেশে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

     

     

     

     

     

     

  • Bangladesh: বাংলাদেশের ম্যাপে ভারতের উত্তরপূর্বের অংশ! পাক সেনাকর্তার সামনে ফের আগুনে ঘি ইউনূসের! কোনও চক্রান্ত?

    Bangladesh: বাংলাদেশের ম্যাপে ভারতের উত্তরপূর্বের অংশ! পাক সেনাকর্তার সামনে ফের আগুনে ঘি ইউনূসের! কোনও চক্রান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে ফের উত্তেজনা উস্কে দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতারিত করে বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বৃদ্ধিতে তৎপর হয়েছেন এই শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস (Muhammad Yunus)। ভারতের শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তানের জেনারেলকে তিনি দিয়েছেন একটি বিতর্কিত ম্যাপ। এই ম্যাপে উত্তরপূর্বের অসম এবং আরও অন্যান্য রাজ্যকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ অস্থির রাজনীতির কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টারা ভারতবিরোধী মন্তব্য করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে তালানিতে ঠেকিয়েছিলেন। ওই দেশে চলছে নির্বিচারে সংখ্যালঘু হত্যা। দ্রব্যমূল্য এবং নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। এবার বিতর্কিত ম্যাপ পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে আগুনে ঘি ঢেলেছেন ইউনূস। এই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত  ভারতের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির।

    কেন বিতর্কিত ম্যাপ (Bangladesh)?

    গত সপ্তাহের শেষে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারপার্সন জেনারেল শাহির শামসাদ মির্জা গিয়েছিলেন ঢাকায়। তিনি ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। আর সেই সময় ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যের একটি বিতর্কিত ম্যাপ তুলে দেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে ভাগ করে আজকের বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্ম দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। উর্দুভাষী পশ্চিম পাকিস্তানের পাকহানাদারের অত্যাচার, শোষণ এবং নিপীড়ন থেকে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশিদের উদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনা। তারপর স্বাধীন জয় বাংলা হিসেবে আজকের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক ছিল না। হতো না যোগাযোগ, ছিল না বাণিজ্যিক সম্পর্কও। কিন্তু গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালে হাসিনাকে কোটা আন্দোলনের নামে বিতারিত করে সরকারে বসেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে শুরু হয় খোলামেলা আলোচনা। শুরু হয় বিনা ভিসায় যাতায়াত এবং বিমান পরিষেবা। করাচি থেকে সোজা জাহাজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। তবে এই সবটার পিছনে রয়েছে ভারতকে অস্থির করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ইউনূস (Muhammad Yunus) বাংলাদেশের চেয়ারে বসলেও আসলে তাঁর হালে পানি যোগাচ্ছেন শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আইএসআই। উত্তরপূর্ব ভারতকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্র করেছে না তো এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য বাংলাদেশের অংশ!

    মহম্মদ ইউনূস পাকিস্তান জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্স হ্যান্ডলে একটি ছবি বিনিময় করেন। ইউনূস নিজে ‘আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। বইয়ের কভারে বাংলাদেশের (Bangladesh) একটা ম্যাপ দেখা যাচ্ছে। ম্যাপে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য বাংলাদেশের অংশ দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের উগ্রমুসলিম সংগঠনগুলি গ্রেটার বাংলাদেশের (Muhammad Yunus) তত্ত্বে যা যা করে থাকে, ইউনূস পাকিস্তানের কাছে সেই তত্ত্বকেই তুলে ধরেছেন। যদিও এই বিতর্কিত ম্যাপ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

    চিন সফরেও উত্তরপূর্ব প্রসঙ্গ ছিল

    উল্লেখ্য বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা এই প্রথম উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কথা উল্লেখ করেননি। গত কয়েক মাসে শান্তিতে নোবেল জয়ী এই রাজনৈতিক নেতা একাধিকবার ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। গত এপ্রিল মাসে চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। সেখানে গিয়ে ভারতের অসম সহ উত্তরপূর্ব রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে দাবি করে বলেছিলেন, “এই রাজ্যগুলি একমাত্র আমাদের সঙ্গে যুক্ত। আলাদা কোনও সমুদ্রপথ নেই। আমরাই তাদের অভিভাবক। তাই আমাদের উপেক্ষা করে কিছু করা সম্ভব নয়। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর অন্যকোন রাস্তা নেই। এই বিরাট ভূ-মণ্ডলে চিনা অর্থনীতির সম্প্রসারণ ব্যাপক ভাবে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    ভারত আক্রমণ করতে চায় ইউনূস?

    ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদুল ইসলাম সামাজিক মাধ্যমে এমন একটি বিতর্কিত মানচিত্র শেয়ার করেছিলেন। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার কিছু অংশকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছিল। পরে অবশ্য নিজে চাপে পড়ে মুছতে বাধ্য হন। আবার গত মে মাসে ইউনূসের আরও এক ঘনিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশকে চীনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করা উচিত।” এই মন্তব্যগুলি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা ভারত বিরোধী এবং  পাকিস্তান প্রেমী তাও আরও একবার প্রমাণিত হয়।

  • Bangladesh: “পাকিস্তানে ফিরে যান”, রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে বিক্ষোভের মুখে ইউনূস

    Bangladesh: “পাকিস্তানে ফিরে যান”, রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে বিক্ষোভের মুখে ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানে ফিরে যান” সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে ইউনূসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা (Bangladesh)। গত ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতারিত কররা পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে জামাত, তৌহিদি এবং বিএনপির কট্টর সমর্থকেরা। যে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর সম্পর্ক ছিল না, আজ ইউনূসের (Muhammad Yunus) জমানায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে পাকিস্তানের জাহাজ। বিনা ভিসায় অবাদ যাতায়েত শুরু হয়েছে। আবার দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে একাধিক সামরিক চুক্তি। ফলে এই অশান্ত বাংলাদেশ নির্মাণের আসল কারিগর প্রধান উপদেষ্টা। তাই সামনে পেয়ে আমেরিকার মাটিতে বিক্ষোভ দেখান আম বাংলাদেশি জনতা।

    সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার (Bangladesh)

    গত শুক্রবার নিউইয়র্কে সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সদর দফতরের বাইরেই শোনা যায়, “ইউনূস পাকিস্তানি। দ্রুত পাকিস্তানে ফিরে যাও।” হাসিনা সমর্থক এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন শান্তিতে জয়ী অশান্তির জনক মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, “বাংলাদেশের (Bangladesh) শাসন ব্যবস্থার আকস্মিক পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার নেমে এসেছে। দেশে যেভাবে হিংসা এবং ভয়ের বাতাবরণ নেমে এসেছে, তাতে অনেক মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। দুষ্কৃতীদের মনে ভয় নেই।”

    ধ্বংসের পথে বাংলাদেশ

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক বিক্ষোভকারী বলেন, “ইসলামী মৌলবাদী এবং কট্টর সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশে ইউনূস (Muhammad Yunus) ক্ষমতায় টিকে আছেন। বাংলাদেশকে তালিবানিদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এবং জৈনদের নিঃশেষ করার খেলা খেলছে সন্ত্রাসীরা। হিন্দু ধর্মের একজন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করে রেখেছে এই অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের ঐতিহ্য এবং স্থাপত্য ভাস্কার্যকে চির তরে ধ্বংস করেছে দুষ্কৃতীরা। দেশের অর্থনীতি এবং শিল্প-বাণিজ্য সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসের পথে। বাংলাদেশকে (Bangladesh) মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে দেওয়ার কাজ করছে এই নির্মম সরকার।”

  • Bangladesh Crisis: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট বাংলাদেশে, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি ইউনূস প্রশাসনের

    Bangladesh Crisis: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট বাংলাদেশে, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি ইউনূস প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)! অন্তত এমনই জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। দিন কয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে (Muhammad Yunus)।” তিনি ভোটের আয়োজন করার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করতে চিঠি পাঠালেন নির্বাচন কমিশনকে।

    কমিশনকে চিঠি

    ইউনূসের দফতরের মুখ্যসচিব এম সিরাজউদ্দিন মিঞা অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে কমিশনকে চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে (রমজান মাস শুরুর আগে) প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচনের আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলেও কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে ইউনূসের দফতর।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি

    গত বছরের জুলাই মাসের গোড়ায় শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তৎপরবর্তী সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাশ তুলে দেওয়া হয় ইউনূসের হাতে। পালাবদলের এই বর্ষপূর্তির দিনেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ইউনূস বলেছিলেন, “এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা – নির্বাচনের আয়োজন করা। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একটি চিঠি পাঠাব যাতে আসন্ন রমজানের আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশনকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অনুরোধ করা হয়।” প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলেছে রমজান মাস। তার আগেই সে দেশে হবে সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Crisis)।

    উল্লেখ্য, পালাবদলের ওই দিনই অন্যত্র একটি অনুষ্ঠানে ইউনূস জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান পাবে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি। প্রসঙ্গত, গত ছ’মাস ধরে এই নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল অন্তর্বর্তী সরকারের। পরে যখন সরকারের তরফে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়, তখন ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপকে (Muhammad Yunus) স্বাগত জানিয়েছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: এবার হাসিনাকে তাড়ানোর ‘মূল কারিগর’ মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি বাংলাদেশে

    Bangladesh Crisis: এবার হাসিনাকে তাড়ানোর ‘মূল কারিগর’ মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির কালো মেঘ ঘনাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আকাশে। এবার শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahufuj Alam) ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্র বিক্ষোভকারীরা। এদিন তাঁরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন শিক্ষা দফতরে। তার পরেই দাবি করা হয় ওই দু’জনের পদত্যাগ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্রী এই মাহফুজই। তারই ‘পুরস্কার’ স্বরূপ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের জমানায় তাঁকেই বসানো হয় শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টার পদে।

    মাহফুজের পদত্যাগ দাবি (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, এদিন ছাত্ররা সচিবালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন। তাঁরা মাহফুজ ও জোবায়েরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ভাঙচুর করা হয় সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ছাত্র বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিব পদত্যাগ না করলে তাঁরা আরও তীব্র আন্দোলনে নামবেন। সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের শিক্ষা দফতর। এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। এর জেরেই শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন। সূত্রের খবর, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে অন্তত ১৫ জন জখম হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের (Bangladesh Crisis) দাবি মেনে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে। ফেসবুকে করা এক পোস্টে মাহফুজ লেখেন, “শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।” তবে তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেননি।

    আগেও উঠেছে এই দাবি

    এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মাহফুজের পদত্যাগের দাবি উঠেছে বাংলাদেশে। ২০২৫ সালের মে মাসে ইসলামি আলেম এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যঙ্গ করার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদ মাহফুজের পদত্যাগ দাবি করে। একই দাবি করে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি-ও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ছাত্র বিক্ষোভের পর পূর্ণ হল মাহফুজের জীবনের একটি বৃত্ত। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশের রাশ যায় ইউনূসের হাতে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রধান পরিকল্পনাকারী বলে ঘোষণা করেন।

    হাসিনাকে সরানোর মাথা মাহফুজই!

    ইউনূসকে বলতে (Bangladesh Crisis) শোনা গিয়েছে, “সে (মাহফুজ আলম) বারবার অস্বীকার করে যে আমি না, আরও অনেকেই আছে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটার পেছনে সে-ই মাথা। এই অসাধারণভাবে সুচিন্তিত ও সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত কাজের মূল পরিকল্পনাকারী।” তিনি (Mahufuj Alam) এও বলেছিলেন, “এটি হঠাৎ করে হয়নি। বরং একটি একটি খুবই সুচিন্তিতভাবে পরিকল্পিত। আপনি বুঝতেই পারবেন না কে নেতা…তাই কাউকে ধরে বলাও যাবে না যে সব শেষ।” ঘটনাচক্রে, একদিন এই মাহফুজই হাসিনার পতনের মূল কান্ডারি ছিলেন, সে-ই তিনিই এখন নিজেই ছাত্রদের পদত্যাগের দাবির মুখোমুখি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদিও আপাতত সচিবকে বলির পাঁঠা করে বিপদ এড়াতে পেরেছেন মাহফুজ, তবে শেষ পর্যন্ত হয়তো তাঁকে নতি স্বীকার করতেই হবে সেই ছাত্র আন্দোলনকারীদের দাবির কাছে (Bangladesh Crisis)।

    প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

    গত বছরের ১০ নভেম্বর মাহফুজ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তবে প্রথমে তিনি কোনও মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ২০ দিনের মাথায় ২৮ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। মাহফুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের স্নাতক। গত জুলাই-অগাস্ট মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনিই। পরে তাঁকে বসানো হয় শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টার পদে।

    মাহফুজের ভারত-বিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ম্যাপ পোস্ট করেছিলেন এই মাহফুজ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের একাংশ, অসম এবং ত্রিপুরাকে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেখিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় নয়াদিল্লি। তার পরেই রাতারাতি পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছিলেন মাহফুজই। এই মাহফুজই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র, নাগরিক (Mahufuj Alam) ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বৈষম্যবিরোধীদের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়কও ছিলেন তিনি। একাধিকবার ভারত বিদ্বেষী নানা কথাও বলতে শোনা গিয়েছে মাহফুজকে (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহারির সঙ্গে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগও রয়েছে মাহফুজের বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলেই (Mahufuj Alam)।

  • India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন চিনের কুনমিং-এ অনুষ্ঠিত হয় এক বৈঠক। যেখানে মিলিত হয় তিন দেশ বাংলাদেশ, চিন ও পাকিস্তান। তিন পক্ষই সেখানে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছে। ওই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে চিন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার উপর। পর্দার আড়ালে এই বৈঠক যে ভারতকে চাপে রাখতে করা হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ১৯ জুনের এই বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গাজল চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলে ভারত। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে বাংলাদেশ। ভারতকে চাপে রাখতে যে তারা এমন বৈঠক করেনি, তারই সাফাই গাইতে শুরু করে ইউনূস সরকার। যা শুনে অনেকে বলছেন, একেই বলে, ঠেলার নাম বাবাজি।

    ভয় পেয়ে জোট অস্বীকার করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    গঙ্গাজলচুক্তি ইস্যুতে ভারত বোমা ফাটাতেই, এ ধরনের উদীয়মান জোটের সম্ভাবনাকে খারিজ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যে বৈঠক হয়েছে তিন দেশের মধ্যে, তা কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেনকে ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না। এটি সরকারি পর্যায়ের বৈঠক ছিল, কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়।” ভারতকে (India) বার্তা দিতে কি এই বৈঠক করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, “এটি অবশ্যই কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে করা হয়নি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।”

    চিন-পাকিস্তান চিরমিত্র, তাতে যোগ দিল বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, চিন ও পাকিস্তান সবসময়ের জন্যই নিজেদের বন্ধু। কিন্তু এবার সেখানে যোগ দিল বাংলাদেশ এবং এভাবেই ত্রিপাক্ষিক একটি জোট তৈরি করা হল, যা ভারতের (India) জন্য উদ্বেগজনক। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও ঢাকার সঙ্গে দিল্লির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিল। কিন্তু গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। জামাত ও বিএনপির সহায়তায় দখল করা হয় গণভবন। এরপর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। সে দেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বাড়তে থাকে, সীমান্তে বাড়তে থাকে অনুপ্রবেশ। দায়িত্বে আসেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে ঢাকা, সঙ্গে যোগ হয় বেজিং। ভারত বিরোধিতা (India) বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে চিন এবং পাকিস্তানের।

    শয়তান ত্রিভুজ

    চিন, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের এই জোটকে শয়তান ত্রিভুজ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জোট বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ভারতের যে আধিপত্য বজায় রয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলেও মনে করছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ নিয়ে মেজর জেনারেল সুধাকর জি জানিয়েছেন, শয়তানের ত্রিভুজ শিলিগুড়ি করিডরকে অবরুদ্ধ করে দিতে পারে এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তিনি আরও জানান, এই শয়তানের জোট ভারতকে সবসময় চাপে রাখার চেষ্টা করবে। বেজিং, ঢাকা এবং ইসলামাবাদ তাদের দাবি পূরণের জন্য সবসময়ের জন্য কূটনৈতিক চাপে রাখতে চাইবে নয়াদিল্লিকে।

    ভূ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ গৌতম লাহিড়ীর মতে, নিরাপত্তার দিক থেকে ত্রিপাক্ষিক এই জোট ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নতুন সরকার পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিনের এই ত্রিপাক্ষিক শক্তি এখনও তার প্রভাব দেখাতে পারেনি। গৌতম লাহিড়ী আরও জানান, তারা বলছে যে তারা অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক বিষয়ে মনোনিবেশ করবে; কিন্তু আসলে উদ্দেশ্য অন্য। ভারতের (India) সতর্ক হওয়া উচিত এবং ভারতের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়, তাহলে ঢাকা চিন ও পাকিস্তানঘেঁষা জোট থেকে সরে আসতে পারে। কারণ, একটি শক্তিশালী সরকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই জোট যাতে আরও শক্তিশালী না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন থেকেই বাড়ানো জরুরি। নয়তো এই ত্রিপাক্ষিক জোট দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

  • India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India Bangladesh) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। তবু সৌজন্য রক্ষা করল দিল্লি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিঠি লিখে মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছো জানান তিনি। প্রত্যুত্তরে চিঠি লেখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও। মোদিকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনূস তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন। মোদি তাঁকে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তা-ও প্রকাশ্যে এনেছেন।

    মোদির শুভেচ্ছা

    গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ইদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে ইউনূসকে চিঠি লেখেন। তাতে লেখা ছিল, “সকল ভারতীয় ও ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের (India Bangladesh) মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ এই উৎসব। এ দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম নাগরিক এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসব আমাদের আত্মত্যাগের মূল্য বুঝতে শেখায়। আমাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি এবং সৌভ্রাতৃত্বের বোধ, শান্তির পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য যা প্রয়োজন।” মহম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্যের কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ইউনূসের উত্তর

    মোদির (PM Modi) এই চিঠির জবাব ইউনূস দিয়েছেন ৬ জুন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইদ উপলক্ষে আপনার সুচিন্তিত বার্তার আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক মূল্যবোধেরই প্রতিফলন। আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ভারতের সকল জনগণকে আমি ইদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’’ ইউনূস আরও লেখেন, ‘‘ইদ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে কাছে আনে উৎসব, আত্মত্যাগ এবং সংহতির চেতনায়। এই উৎসব সারা বিশ্বের মানুষের বৃহত্তর সুবিধার্থে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি নিশ্চিত আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমঝোতা দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ মোদির সুস্বাস্থ্য এবং ভারতের (India Bangladesh) জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে চিঠি শেষ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।

    পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতে (India Bangladesh) চলে এসেছিলেন তিনি। তার পর বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার বুকে চলতে থাকে ভারত-বিদ্বেষের চেষ্টা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। এই আবহে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

  • Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন করতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) ওপর। বুধবার ইউনূস সরকার জানিয়েছে যে, তারা ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কথায় বিশ্বাস করছে না অধিকাংশ বাংলাদেশিই। ঘটনাপ্রবাহ দেখে তাঁরা বলছেন সাধারণ নির্বাচন হবে হয় চলতি মাসের ডিসেম্বরেই, নয়তো তা পিছিয়ে করা হতে পারে ২০২৬ সালের শেষে।

    বিএনপির সংশয় (Bangladesh Crisis)

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ইউনূসের জুনে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে সংশয় প্রকাশ করছে। তাদের মতে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটি কৌশল। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়া আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার ওপর আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপির পক্ষে ফাঁকে মাঠে গোল দেওয়া সহজ হয়েছে। তাই তারা চাইছে নির্বাচন হোক ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই। যদিও তাদের আশঙ্কা, নানা অছিলায় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ইউনূস সরকার ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চাইছে।

    নানা অছিলায় সময় নষ্ট!

    বিএনপির দাবির আগেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আদতে বেলা গড়াতে চাইছেন ইউনূস। তাতে আর কিছু হোক বা না হোক তাঁর দলের পায়ের নীচের মাটিটা অন্তত শক্ত করার সময় পাওয়া যাবে। শহরাঞ্চলে ইউনূসের নবগঠিত দলের একটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলেও, গ্রামীণ বাংলাদেশে এখনও পানি পায়নি তাঁর দল। অথচ এই গ্রামীণ বাংলাদেশের ভোট না পেলে ক্ষমতায় ফেরা ইউনূসের পক্ষে মুশকিল। তাই নানা অছিলায় বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী, নির্বাচিত সরকারের পতন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হয়।

    জুনে নির্বাচন কীভাবে

    আগামী বছরের জুনে যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, তা মালুম হয় বাংলাদেশে উৎসবের ক্যালেন্ডার দেখলেই। ২০২৬ সালের প্রথমার্ধজুড়ে রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা, রমজান, ইদ, কালবৈশাখী, ঝড়, মৌসুমি বৃষ্টি এবং কোরবানির ইদের মতো উৎসব। এই উৎসবের জেরে সৃষ্টি হতে পারে লজিস্টিক জটিলতা। তাই জুনের মধ্যে নির্বাচন করা আদতেই সম্ভব নয় বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দিন কয়েক (Bangladesh Crisis) আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট করাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে তাঁরা জানান, তাঁরা হতাশ এবং বিভ্রান্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কেন একজন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এমন কঠিন আবহাওয়ার সময়ই নির্বাচনের আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর?

    বিএনপির বক্তব্য

    বিএনপির প্রবীণ নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন (Bangladesh Crisis), “আমরা আগেই বলেছি যে ডিসেম্বরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সঠিক সময়, এবং আমরা সেই অবস্থানেই অটল আছি। ডিসেম্বরের পর ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরু হবে। তারপর বর্ষাকাল। এসএসসি ও এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাগুলিও রয়েছে এই সময়। তাই আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের পর আর কোনও সময় নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত নয়।” তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি হয়েছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিস্থিতিতে। বাকি আর সব জাতীয় নির্বাচন সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    ঝড়-বৃষ্টি

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হয় মার্চ ও এপ্রিল মাসে। মে বা জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলে বর্ষাকাল। এই সময় প্রায়ই বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশের জনজীবন। ঝড়ের দাপটে গৃহহীন হন বহু মানুষ। রমজান মাস উপবাস ও আত্মিক সাধনার মাস। এই সময় বাংলাদেশে কাজের সময়সীমা কমে যায়। তাই এই সময় নির্বাচন পরিচালনা করা কঠিন। পাবলিক পরীক্ষাগুলির সময় (সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল) অধিকাংশ স্কুল-কলেজের শিক্ষক পরীক্ষার তত্ত্বাবধান, মূল্যায়ন এবং ফল প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই এই সময় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের পাওয়া যায় না। হোসেন বলেন, “আমরা নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে প্রেস সেক্রেটারির দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের স্পষ্ট অভাব প্রতিফলিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

    জাতীয় পার্টির বক্তব্য

    আওয়ামি লিগের পূর্বতন মিত্র জাতীয় পার্টি, যেটি অগাস্ট ২০২৫-এ হাসিনা সরকারের পতনের পর হামলার শিকার হয়, তারাও একটি স্পষ্ট নির্বাচনী সময়সূচি দাবি করছে। বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির নেতা মাসরুর মাওলা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ডাক দিয়ে বলেন, “যতক্ষণ না নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হচ্ছে, ততক্ষণ বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগ আসবে না।” তিনি বলেন, “আমরা যখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলি, তারা শুধু নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন করে। তারা বাংলাদেশে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ শুনতে চায়। নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও বিনিয়োগ আসবে না। পুরোনো বিনিয়োগকারীরাও —মানে যারা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছেন — তাঁরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।” ইউনূস সরকারের তীব্র সমালোচনা করে মাওলা বলেন, “গত ছ’-সাত মাস ধরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু আমরা কোনও উন্নয়ন দেখিনি। বরং প্রতিদিন অপরাধের হার বেড়েই চলেছে। অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কারণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগকারী আসছেন না (Muhammad Yunus)।” এদিকে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত সপ্তাহে ইউনূসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারেরই আছে (Bangladesh Crisis)।”

    ইউনূস জমানায় ব্যাপক অত্যাচার

    ২০২৪ সালের অগাস্টে ছাত্র-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগের প্রধান শেখ হাসিনা। এর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয় ইউনূসকে। ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরেই দেশজুড়ে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বাংলাদেশের হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। মন্দির-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়েও হামলা চালানো হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘরে। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় আওয়ামি লিগকে। এই দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপরও ব্যাপক অত্যাচার করা হয় (Muhammad Yunus)। তার পরেও ঠুঁটো হয়ে বসে থাকেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূস। তা নিয়ে দেশে তো বটেই, বিদেশেও সমালোচিত হয় ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

    জল্পনা ছড়িয়ে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা!

    এহেন আবহে দিন কয়েক আগে হঠাৎই জল্পনা ছড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে ইস্তফা দিতে চলেছেন ইউনূস। গত শনিবার দুপুরে আচমকাই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক ডাকেন তিনি। তারপরেই জল্পনার জল ক্রমশ গড়াতে থাকে। বৈঠক শেষে পরিষদের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাফ জানিয়ে দেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গেই থাকছেন। উনি বলেননি উনি পদত্যাগ করবেন (Bangladesh Crisis)।”

    ক্ষমতার লোভ বোধহয় এমনই হয়!

  • Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা ছুতোয় দেশে সাধারণ নির্বাচন না করিয়ে দিব্যি ক্ষমতায় বসে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)! সূত্রের খবর, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সম্ভাব্য সব বিকল্প পথের সন্ধান করছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ইউনূসের অনুগামীরা জানিয়েছেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে। তবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নন সেনাপ্রধান। তিনি চান, নির্বাচন সম্পন্ন হোক চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই। সূত্রের খবর, সেনা প্রধান বিভিন্ন বিকল্পের সন্ধান করছেন, যাতে সংবিধানের ফোকর গলে চ্যালেঞ্জ করা যায় ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

    বাংলাদেশের সংবিধান (Bangladesh)

    বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও সরকার ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান পরিকল্পনা করেছেন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দলগুলিকে একত্রিত করে নির্বাচন হোক। দেশের এই দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিক বাংলাদেশবাসী। ইউনূসের কাছ থেকে ক্ষমতার রশি হস্তান্তর নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি একটি ‘সফট টেকওভার’ করতে পারেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মনে করে নির্বাচনে দেরি করার অর্থ সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন। এজন্য রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবউদ্দিনকে দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল!

    এই জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য চাপ সৃষ্টিও করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানের ৫৮ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে জরুরি ক্ষমতা গ্রহণের অধিকার দেয় তখনই, যখন দেশে সাংবিধানিক কার্যক্রম ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে এই ধারা প্রয়োগ করে ইউনূসের কর্তৃত্ব উপেক্ষা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সেনাপ্রধান এখন সামরিক ঐক্য রক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছেন। তিনি ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সমর্থন আদায় করে তার প্রভাব দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে (Muhammad Yunus) জনমত গড়ে তুলছেন এবং শীঘ্রই নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন (Bangladesh)।

LinkedIn
Share