Tag: Mumbai

Mumbai

  • Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রিলায়েন্স কমিউনিকেশন এবং এর প্রোমোটার-ডিরেক্টর অনিল আম্বানিকে (Anil Ambani) ‘প্রতারক’ ঘোষণা করার পরই এই অভিযান শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।

    তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    ইডি-র তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। যদিও অনিল আম্বানির ব্যক্তিগত বাসভবনে এদিন তল্লাশি চালানো হয়নি (Anil Ambani)। মুম্বই ও দিল্লি থেকে আসা ইডি-র (ED Raid) যৌথ দল তাঁর বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দফতর এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালায়। জানা গিয়েছে, মুম্বই ও দিল্লির প্রায় ৫০টি অফিসের মধ্যে অন্তত ৩৫টি ভবনে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

    ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    এছাড়াও, এই মামলায় নাম জড়ানো ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে (Anil Ambani)। ইডি সূত্রে (ED Raid) জানা গিয়েছে, এসবিআই কর্তৃক ‘প্রতারক’ ঘোষণার পর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি), সেবি, ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথোরিটি (এনএফআরএ), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতেই হয় এই তল্লাশি।

    ইডি-র প্রাথমিক ধারণা অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত

    তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার ঋণের বড় একটি অংশ সন্দেহজনকভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, কিছু অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে ওই অর্থ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে। ইডি-র প্রাথমিক ধারণা, এই অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সুচিন্তিত কৌশলের অংশ। এর ফলে প্রতারিত হয়েছেন শেয়ারহোল্ডার, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং একাধিক ব্যাঙ্ক। তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স-এর কর্পোরেট ঋণ বিতরণ এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, যা আর্থিক অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাবের বড় ইঙ্গিত বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (Anil Ambani)।

  • Mumbai Train Blasts Case: ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস ১২ জনই, সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্র সরকার

    Mumbai Train Blasts Case: ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস ১২ জনই, সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্র সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৬ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় (Mumbai Train Blasts Case) অভিযুক্ত ১২ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট। ২১ জুলাই ওই রায় দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। উচ্চতর আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধেই এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত পশ্চিম রেলওয়ের উপনগর ট্রেনে সাতটি আরডিএক্স বোঝাই বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ১৮৯ জন। জখম হয়েছিলেন ৮০০-র বেশি মানুষ। ওই মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৫জনকে (Mumbai Train Blasts Case)

    অথচ, ২০১৫ সালে বিশেষ মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৫জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৭জনকে। প্রায় এক দশক ধরে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর পরিকল্পিত ওই জঙ্গি হামলায় অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখে ওই রায় দেয় নিম্ন আদালত। সেই মামলাই যখন বোম্বে হাইকোর্টে উঠল, তখন বেকসুর খালাস পেয়ে গেল অভিযুক্ত ১২ জনই। ২১ জুলাই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তিযুক্ত সন্দেহের ঊর্ধ্বে গিয়ে দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন। তারা জানিয়েছে, মামলায় নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাব ছিল এবং এটিএসের তদন্তে ছিল পদ্ধতিগত ত্রুটি।

    সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য

    ২২ জুলাই, মঙ্গলবার (Mumbai Train Blasts Case) সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে তুলে ধরেন। জরুরি শুনানির আবেদন জানান স্পেশাল লিভ পিটিশনের। তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রস্তুত রয়েছে। দয়া করে আগামিকালই তালিকাভুক্ত করুন। এটি জরুরি।” সলিসিটর জেনারেলের সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এই আবদেনের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    প্রসঙ্গত, এর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেছিলেন, “বোম্বে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব (Maharashtra)। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে সুপ্রিম কোর্টে।” তার পরেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্র সরকার (Mumbai Train Blasts Case)।

  • Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিল তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। জেরায় এমনটাই কবুল করেছে সে। মুম্বই হামলার (Mumbai Terror Attacks) সঙ্গে যে তার যোগ ছিল, তাও স্বীকার করে নিয়েছে পাক বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী রানা। তার দাবি, লস্কর-ই-তৈবা কেবলমাত্র একটি জঙ্গি সংগঠন নয়, গোয়েন্দা এজেন্সি হিসেবেও কাজ করে। রানা জানায়, তার বন্ধু সহযোগী ডেভিড হেডলি বহুবার লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

    আইএসআইয়ের সহযোগিতায় মুম্বই হামলা (Tahawwur Rana)

    দিল্লির তিহাড় জেলে এনআইএ হেফাজতে রয়েছে রানা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে জানিয়েছে, ২৬/১১ হামলা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছিল। ওই হামলার সময় সে মুম্বইতে ছিল। গোটা হামলাটা ছিল জঙ্গিদের ষড়যন্ত্রের অংশ। খালিজ যুদ্ধের সময় পাক সেনা তাকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করে রানা। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখাকে তাহাউর এও জানিয়েছে, মুম্বইয়ে একটি অভিবাসন কেন্দ্র বা ইমিগ্রেশন সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা করেছিল সে। মূলত সন্ত্রাসবাদের খরচ জোগাতেই এই ছক কষেছিল রানা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। শুধু মুম্বইয়ের তাজ হোটেলই নয়, ওই দিন আরও কয়েকটি জায়গায় হামলা চালানোরও পরিকল্পনা ছিল তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তির পর মুম্বই পুলিশ দ্রুত রানাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী রানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী এই রানা। দীর্ঘদিন ধরে সে বন্দি ছিল আমেরিকার জেলে। কয়েক মাস আগে আমেরিকা থেকে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে তিহাড় জেলে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী ছিল ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানির ঘনিষ্ঠ ছিল এই রানা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যানের সঙ্গে ব্যবসা সূত্রে আলাপ হয় রানার। জঙ্গিরা কোন পথে ভারতে ঢুকে হামলা চালাবে, তার রোডম্যাপও তৈরি করেছিল তাহাউর। পরে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ বছরের শুরুতে রানাকে হাতে পায় ভারত (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত ছিল ১০ জন পাক জঙ্গি। সেদিন তারা তাজ ও ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এবং ইহুদি সেন্টার (Mumbai Terror Attacks) নরিমান হাউস-সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে হামলা চালায়। নিহত হন ১৬৬ জন (Tahawwur Rana)।

  • Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রবেশের জন্য ইভি জায়ান্ট টেসলা (Tesla) তার রিটেল বিক্রয় কেন্দ্র শুরু করতে দুটি জায়গা নির্বাচন করেছিল – মুম্বই (Mumbai) এবং দিল্লি। তবে শেষমেশ আগামী মাসেই মুম্বইয়ে খুলতে চলেছে ভারতে টেসলার প্রথম শোরুম।

    মাস্ক-মোদি বৈঠক (Tesla)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের। তার পরেই কোম্পানিটি ভারতে চাকরির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া শুরু করে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এবার খুলতে চলেছে ভারতে এই বিশ্বখ্যাত কোম্পানির প্রথম শোরুম। পরে খোলা হবে নয়াদিল্লিতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি বাজার। ভারতে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে এর বিক্রি বাড়াতে পারে। ইউরোপ এবং চিনে অবশ্য বিক্রি কমেছে এই গাড়ির।

    টেসলার দাম কত 

    ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেসলা ভারতীয় বাজারে রিয়ার হুইল ড্রাইভ কনফিগারেশন-সহ মডেল ওয়াই চালু করবে। জানা গিয়েছে, এই ইভি টেসলার চিনের কারখানা থেকে আমদানি করা হবে। ট্যাক্স ছাড়াই টেসলা মডেল ওয়াইয়ের দাম হতে পারে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৮.৪৮ লাখ টাকারও বেশি। তবে বাজারে ব্রান্ডের অবস্থান এবং এর মার্জিন বিবেচনা করে চূড়ান্ত দাম পরিবর্তিত হতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গাড়িটি যদি উচ্চ মূল্যের ট্যাগ নিয়ে বাজারে ঢোকে, তাহলে এটি অটোমেকারের বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    জুলাই মাসে মুম্বইতে প্রথম শোরুম খোলার পরে নয়াদিল্লিতে একটি নতুন শোরুম করবে টেসলা। ডিলারশিপগুলি চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেদারল্যান্ডস থেকে সুপারচার্জার উপাদান, গাড়ির আনুষাঙ্গিক খুচরো যন্ত্রাংশ এবং পণ্য আমদানি করেছে (Tesla)।

    প্রসঙ্গত, আমদানি কর এবং স্থানীয় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক বছরের বিলম্বের পর এবার ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে টেসলা। চলতি (Mumbai) বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাস্ক-মোদির বৈঠকের পরেই অগ্রগতি ঘটে এই প্রকল্পের (Tesla)।

  • Foreign Universities: বিশ্বমানের শিক্ষা পাবেন পড়ুয়ারা! মুম্বইয়ে ক্যাম্পাস খুলছে ৫ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়

    Foreign Universities: বিশ্বমানের শিক্ষা পাবেন পড়ুয়ারা! মুম্বইয়ে ক্যাম্পাস খুলছে ৫ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বিশ্বমানের শিক্ষা ভারতীয় পড়ুয়ারা পাবে দেশেই—এমনই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করল উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় (Foreign Universities) এবার ক্যাম্পাস তৈরি করতে চলেছে মুম্বইয়ে। এমনই ঘোষণা হল একটি সেমিনারে, যার পোশাকি নাম ছিল Mumbai Rising: Creating an International Educational City। মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে ভারতকে একটি বিশ্বমানের শিক্ষা কেন্দ্রে পরিণত করার কথা বলা হয়েছে, যার সূচনা হতে চলেছে মুম্বই দিয়ে।

    কোন পাঁচ বিশবিদ্যালয় (Foreign Universities)?

    জানা গিয়েছে, এই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় হল—

    ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্ক

    ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবেরডিন

    ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া

    ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি

    ইনস্টিটিউট অফ ইউরোপীয় ডিজাইন (ইতালি)

    জানা গিয়েছে, এই প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (Foreign Universities) শাখা খুলবে নভি মুম্বই এবং মুম্বইয়ে। অন্যদিকে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটির শাখা মুম্বইয়ের পাশাপাশি খোলা হবে চেন্নাইতেও।

    কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান?

    ভারত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী (NEP 2020) ধর্মেন্দ্র প্রধান এ নিয়ে বলেন, এটি একটি মাইলস্টোন। তাঁর মতে, এটি সম্ভব হচ্ছে আমাদের সংকল্পের জন্যই। কারণ, এই সরকার সর্বদাই যুবসমাজ এবং যুবদের শাসন ও উন্নয়নের দিকেই লক্ষ রেখেছে। ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী ভারত এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলছে। তিনি বলেন, এই কারণেই বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে তাদের ক্যাম্পাস স্থাপন করতে চাইছে এবং এখানেই বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে আগ্রহী।

    কী বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী?

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 2020) তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তাঁর মতে, এই শিক্ষানীতির (Foreign Universities) ফলেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে আসতে উৎসাহিত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতীয় পড়ুয়ারা যথেষ্ট উপকৃত হবে এবং তাঁরা বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হবেন।

  • Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) কণ্ঠস্বরের নমুনা ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই দিল্লির আদালতে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে এনআইএ। শুধু তাই নয়, এই ষড়যন্ত্রীর এনআইএ হেফাজতের মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছেন দিল্লির বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক চান্দেরজিৎ সিং। ২৮ এপ্রিল রানাকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক আরও ১২ দিনের জন্য তাঁকে এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুনানির সময় এনআইএ আদালতে জানিয়েছিল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত রানার বিরুদ্ধে প্রচুর প্রামাণ্য নথি তাদের হাতে রয়েছে। যদিও কোন নথি রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি জাতীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ (Tahawwur Rana)

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার আগে পাক বংশোদ্ভূত জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ ছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, মুম্বই হামলার আগে ভারতে আটবার রেকি করতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় তিনি মোট ২৩১ বার ফোন করেছিলেন রানাকে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ভারতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় রানাকে মোট ৩২ বার ফোন করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ভারতে এসে তিনি রানাকে (Tahawwur Rana) ফোন করেন ২৩ বার, তৃতীয় বারের বেলায় এসে ফোন করেন ৪০ বার, পঞ্চমবার ভারতে এসে তিনি ফোন করেন ৩৭ বার এবং ষষ্ঠবার তিনি ফোন করেছিলেন ৩৩ বার। অষ্টমবারের বেলায় হেডলি রানাকে সবচেয়ে বেশিবার ফোন করেন। এই যাত্রায় তিনি রানাকে ফোন করেন মোট ৬৬ বার।

    কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ

    এসব তথ্য নিশ্চিত করতেই রানার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, নমুনা সংগ্রহের পর ২৬/১১ জঙ্গি হানায় রানার যোগসূত্র আরও স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। হামলা চলেছিল তিন দিন ধরে। ওই হামলায় নাম জড়ায় রানার। তাই হামলার (NIA) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করা এনআইএর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Tahawwur Rana)।

  • Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গিদের বীরত্বের জন্য পুরস্কার দিক পাকিস্তান।” মুম্বই হামলায় (Mumbai Attacks) জঙ্গিদের মৃত্যুর পর বন্ধু ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে বলেছিলেন মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত নথিতে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার সংক্রান্ত দফতর। রানা ও তাঁর সহ-ষড়যন্ত্রী ডেভিড হেডলির মধ্যে যে কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার সময় যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছিলেন, রানা লস্কর ই-তৈবার সেই জঙ্গিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওই জঙ্গিদের পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার নিশান–ই-হায়দার দেওয়া উচিত। যুদ্ধক্ষেত্র কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিহত হলে পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিশান-এ-হায়দর পুরস্কার দেয়। আমেরিকার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কার মৃত ৯ জঙ্গিকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন রানা।

    নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর উল্লাস প্রকাশ! (Mumbai Attacks)

    উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জন জঙ্গির। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন কেবল আজমল কাসভ। পরে ২০১২ সালে তিহাড় জেলে ফাঁসি হয় তার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় ১০ জন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের হামলার পর রানা হেডলিকে বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয়দের এটা পাওনা ছিল।’’ ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর তিনি উল্লাসও প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানিয়েছে মার্কিন বিচারবিভাগ।

    এনআইএ হেফাজতে তাহাউর

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ওই হামলায় বিভিন্ন দেশের মোট ১৬৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল (Mumbai Attacks)। পাক বংশোদ্ভূত রানা বর্তমানে কানাডার নাগরিক। বছর চৌষট্টির রানা ১৯৯০ সালে পাকাপাকিভাবে কানাডায় চলে যান। পরে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার(এনআইএ) হেফাজতে। তার আগে রানা বন্দি ছিলেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের জেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁকে ভারতে ফেরানোর পরে এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে (Tahawwur Rana)। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।

    মুম্বই হামলার পরিকল্পনা

    রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এনআইএর সদর দফতরে ইতিমধ্যেই বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, ১২ জন আধিকারিক মুম্বই হামলার এই চক্রীকে জেরা করবেন। লস্কর জঙ্গিদের হামলার আগে আলাদা আলাদা সময়ে মুম্বইয়ে রেকি করে গিয়েছিলেন ডেভিড হেডলি ও তাহাউর রানা। কানাডায় বাস করলেও, পাক সেনা ও আইএসআইয়ের সঙ্গে তাহাউর রানার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হেডলিকে তিনি ভুয়ো ভিসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। মুম্বই হামলার পরেও তাহাউরের বড় পরিকল্পনা ছিল। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, মুম্বইয়ে তাঁর ইমিগ্রেশন ব্যবসার শাখা খোলা। হেডলিকে সেই অফিসের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগও করতে চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার দুবছর আগে শিকাগোয় একাধিকবার ডেভিড হেডলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাহাউর। সেই সময়ই মুম্বই হামলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

    হেডলি এখনও আমেরিকায়

    জানা গিয়েছে, তাহাউর রানা ও ডেভিড হেডলি ছোটবেলার বন্ধু। বছরের পর বছর অপেক্ষার পর রানাকে শেষ পর্যন্ত ভারত হাতে পেলেও, হেডলি এখনও আমেরিকায়ই রয়েছে। এই হেডলিই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ও সরাসরি ভারতে এসে কমপক্ষে আটবার দফায় দফায় রেকি করে গিয়েছে (Tahawwur Rana)। কিন্তু রানাকে প্রত্যর্পণ করলেও, নানা অজুহাতে হেডলিকে এখনও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করেনি আমেরিকা। মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে সেখানকার গারদে পুরে রাখা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, হেডলিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না। হেডলির আসল নাম দাউদ গিলানি। ভারত তাকে এই মামলায় নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার বারংবার দাবি জানালেও, আমেরিকা (Mumbai Attacks) প্রতিবারই ভারতের সেই অনুরোধে কান দেয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জিকে পিল্লাই। তাঁর মতে, জঙ্গি হেডলি ডাবল এজেন্টের কাজ করতেন। তিনি একই সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করতেন।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে মুম্বই হামলার ভূমিকা ও পৃথক ষড়যন্ত্রের জন্য বর্তমানে আমেরিকায় ৩৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন হেডলি। তাঁর সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মধ্যে যে সরাসরি যোগাযোগ (Tahawwur Rana) ছিল, তাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে (Mumbai Attacks)।

  • Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি-আমেরিকান জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলি ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর হুসেন রানার (Tahawwur Rana) সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ২৬/১১ হামলার আগে তিনি ভারতে এসেছিলেন সব মিলিয়ে আটবার। এই সময় তিনি রানাকে ফোন করেছিলেন মোট ২৩১ বার।

    দ্বিশতাধিকবার ফোন (Tahawwur Rana)

    ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রথমবারের মতো রেইকি করার সময় ডেভিড হেডলি রানাকে ৩২ বারেরও বেশি বার ফোন করেছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয় নাগরিক রানা, কাজ করতেন পাক সেনায়। তিনি ছিলেন ডাক্তার। ২৬/১১ হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হেডলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন (Mumbai Terror Attack)। হেডলি তাঁর দ্বিতীয়বার ভারত সফরে রানাকে ২৩ বার ফোন করেছিলেন। তৃতীয়বার সফরের সময় ফোন করা হয়েছিল ৪০ বার। পঞ্চমবার সফরের সময় ফোন হয়েছিল ৩৭ বার। ষষ্ঠ ও অষ্টমবারের সফরে ফোন করা হয়েছিল যথাক্রমে ৩৩ ও ৬৬ বার।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের আমন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় মোদির পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার সরকার ভেরি এভিল (খুব দুষ্টু) রানার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করেছে। তিনি এও বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রু, যিনি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় জড়িত, তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ট্রাম্পের এই বক্তব্যের দু’মাসের মধ্যেই ২৬/১১ হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছাবেন। জানা গিয়েছে, হেডলির জন্য ভিসা জোগাড় করা থেকে শুরু করে তাঁর ঘন ঘন ভারত সফরের সময় তাঁকে শনাক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা পর্যন্ত সব চেষ্টাই করেছেন রানা। এনআইএ-এর মামলায় এর বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। নথিগুলি থেকে জানা গিয়েছে, রানা কীভাবে হেডলিকে ভারতে থাকার ব্যবস্থা করতে এবং জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য জায়গা বাছাই করতে সাহায্য করেছিলেন। রানা ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা চালানোর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য ডেভিড হেডলি ও অন্যান্য সহ-ষড়যন্ত্রকারীদেরকে লজিস্টিক্যাল, আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য দিয়েছিলেন।

    ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    তাহাউর রানা ডেভিড হেডলি, আবদুর রহমান হাশিম সৈয়দ এবং ইলিয়াস কাশ্মীরির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছিলেন। তার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। মুম্বই হামলার আগে ডেভিড হেডলির প্ররোচনায় তাহাউর দুবাইতে আবদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন (Tahawwur Rana)। ২০০৫ সালের শুরুতে, ডেভিড হেডলি লস্কর-ই-তৈবা (LeT) এবং হুজির (HUJI) নির্দেশে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে নরমেধ যজ্ঞ ও সম্পত্তি ধ্বংসের উদ্দেশ্যেও একটি ষড়যন্ত্র করেছিলেন। লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সৈয়দ ডেভিড হেডলিকে ভারত ঘুরে জঙ্গি হামলার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন (Mumbai Terror Attack)। সৈয়দ আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নেবেন এবং তাঁর সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন রাখতে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমগুলি ব্যবহার করবেন।

    ষড়যন্ত্রের নীল নকশা

    ২০০৬ সালের জুন মাসে ডেভিড হেডলি শিকাগো গিয়ে তাহাউরের সঙ্গে পুরো ষড়যন্ত্রের নীল নকশা ছকে ফেলেছিলেন। ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নিয়েছিলেন এবং লস্কর-ই-তৈবার দেওয়া দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁর ইমিগ্রেশন ফার্ম ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’-কে কভার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। ২০০৬ সালের ৩০ জুন তাহাউর রানার সক্রিয় সমর্থনে ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে ‘ইমিগ্র্যান্ট ল সেন্টার, শিকাগো’র একটি শাখা অফিস স্থাপনের উদ্দেশ্যে ভারতের কাছে মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসার আবেদন করেছিলেন। ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে পৌঁছেছিলেন। তাঁকে রিসিভ করেছিলেন তাহাউরের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি।

    হেডলির জন্য অভ্যর্থনা

    তাহাউর ওই ব্যক্তিকে ডেভিড হেডলির জন্য অভ্যর্থনা, যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা এবং অফিস-সহ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাহাউরের পরিচিত ওই ব্যক্তি প্রথমে হেডলিকে মুম্বইয়ের হোটেল আউট্রামে রাখেন। পরে তিনি আর একজন পরিচিতির বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকতে শুরু করেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে তাহাউরের সাহায্যে ডেভিড হেডলি তাঁর ভারতীয় ভিসা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে তাঁকে দশ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা এক্সটেনশন দেওয়া হয়। তাহাউরের হস্তক্ষেপে ভিসা এক্সটেনশনের প্রক্রিয়াটি অনায়াস হয়েছিল (Tahawwur Rana)।

    নিয়মিত যোগাযোগ

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউর ভারত সফরের সময় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। যখন ডেভিড হেডলি মার্কিন (Mumbai Terror Attack) যুক্তরাষ্ট্রে তাহাউরের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাঁরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। যেহেতু রানা একজন সেনা ডিজার্টার ছিলেন, তাই ডেভিড হেডলি তাঁকে মেজর ইকবালের মাধ্যমে সাহায্যের আশ্বাস দেন। ২৬/১১ হামলার ঠিক আগে ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে তাহাউর ফের ভারত সফরে আসেন। তাঁর এই সফর বেশ কয়েকজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। তাঁর ভারতে থাকাকালীন সময়ে, তাহাউর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছিলেন, যার মধ্যে ছিল হাপুড়, দিল্লি, আগ্রা, কোচিন, আহমেদাবাদ, মুম্বই প্রভৃতি জনবহুল শহর।

    প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউরের সক্রিয় সাহায্য ও প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে নাশকতা চালাতে পেরেছিল (Tahawwur Rana)। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (Mumbai Terror Attack) সুপ্রিম কোর্ট। বছর চৌষট্টির রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে ভারতে ফেরাতে আমেরিকা পৌঁছে গিয়েছে এনআইএর একটি দল।

    তিহাড় জেলে ঠাঁই!

    জানা গিয়েছে, ভারতে পৌছনোর পর তিহাড় জেলের চূড়ান্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে একটি ওয়ার্ডে রাখা হতে পারে রানাকে। তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার আগেই জেলে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে বলেও খবর। তাঁকে সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের জন্য এনআইএর হেফাজতে রাখা হবে। এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন বলে খবর (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০ জন পাক জঙ্গির একটি দল আরব সাগর দিয়ে মুম্বইয়ে ঢোকে। এরপর একটি রেলস্টেশন, দুটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি ইহুদি কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায় তারা। হামলা চলে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে। মৃত্যু হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬৬ জন নাগরিকের। এই হামলারই মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ডেভিড হেডলি। তাঁকে বিভিন্ন তথ্য ও নথি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাহাউর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বন্দি ছিলেন মার্কিন জেলে (Mumbai Terror Attack)। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর শেষমেশ তাঁকে ফেরানো হচ্ছে ভারতে (Tahawwur Rana)।

  • Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবারই দেশে ফেরানো হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Attack) অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ফর্মালিটি পূরণ করেছে ভারতের এক প্রতিনিধি দল। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারতে আসার বিমানে চেপেছেন রানা। বুধবার গভীর রাত অথবা বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছবে বিমান।

    বিমানবন্দর, জেলে কড়া নিরাপত্তা

    মার্কিন আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী, দিল্লি ও মুম্বইয়ের জেলে গোপনে তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রাজপথেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতে আনার পর, রানাকে প্রথম কয়েক সপ্তাহ এনআইএ হেফাজতে রাখা হবে। সেখানে তাঁকে জেরা করা হবে। এই পুরো অভিযানটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, এনআইএ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি। শেষমেশ চলতি বছরের শুরুতে রানার প্রত্যর্পণে সায় দেয় আমেরিকার একটি আদালত। এর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৎপরতায় রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে!

    ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা (Tahawwur Rana)। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। ৬৪ বছরের রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। সে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, তাহাউর রানাকে হাই সিকিউরিটি কোনও জেলে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লির তিহাড় এবং মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে তার প্রস্তুতি চলছে। দুই জেল কর্তৃপক্ষকেই অ্যালার্ট করা হয়েছে। এ দিকে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছে। ভারতে পা রাখার পরই মুম্বই হামলার এই মূলচক্রীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাবে এনআইএ।

  • Manoj Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    Manoj Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বলিউডের (Bollywood) কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার (Manoj Kumar)। আজ শুক্রবার ভোর ৪:০৩ মিনিটে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স মাধ্যমে নিজের পোস্টে মনোজ কুমারকে ভারতীয় সিনেমার আইকন বলে উল্লেখ করেন মোদি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা। লিভার সিরোসিস ও হৃদরোগজনিত অসুস্থতাও ছিল তাঁর।

    অসামান্য কাজের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধি অর্জন করেন

    এক্ষেত্র বলা দরকার, মনোজ কুমার (Manoj Kumar) ভারতীয় সিনেমার অন্যতম দেশপ্রেমিক অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর অসামান্য কাজের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধি অর্জন করেন। অভিনেতার মৃত্যুতে বলিউড জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বলিউডের এই মহান শিল্পীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বহু তারকা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

    ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের অ্যাবটাবাদে (Manoj Kumar) জন্ম

    জানা যায়, ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের অ্যাবোটাবাদে (বর্তমানে পাকিস্তান) জন্ম নেন মনোজ কুমার। তাঁর আসল নাম হরিকৃষ্ণ গোস্বামী। ১৯৫৭ সালে ‘ফ্যাশন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এরপর একের পর সফল ছবি করেন তিনি। ‘কাচ কি গুড়িয়া’ (১৯৬১) ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। প্রসঙ্গত, মনোজ কুমার সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাঁর দেশাত্মবোধক সিনেমাগুলোর জন্য। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, ‘শহিদ’ (১৯৬৫), ‘উপকার’ (১৯৬৭), ‘পুরব অউর পশ্চিম’ (১৯৭০), ‘রোটি, কাপড়া অউর মাকান’ (১৯৭৪), ‘ক্রান্তি’ (১৯৮১)।

    পরিচালক হিসেবেও ছিলেন সফল (Bollywood)

    অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক (Manoj Kumar) হিসেবেও তিনি দারুণ সফল ছিলেন। ‘হরিয়ালি অউর রাস্তা’, ‘ও কৌন থি’, ‘হিমালয় কি গোদ মে’, ‘দো বদন’, ‘পাত্থার কে সনম’, ‘নীল কমল’, ‘ক্রান্তি’- এই সমস্ত ছবি তাঁর পরিচালনায় খুবই সফল হয়। কিংবদন্তি এই অভিনেতা ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান।

LinkedIn
Share