Tag: Mumbai

Mumbai

  • Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) কণ্ঠস্বরের নমুনা ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই দিল্লির আদালতে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে এনআইএ। শুধু তাই নয়, এই ষড়যন্ত্রীর এনআইএ হেফাজতের মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছেন দিল্লির বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক চান্দেরজিৎ সিং। ২৮ এপ্রিল রানাকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক আরও ১২ দিনের জন্য তাঁকে এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুনানির সময় এনআইএ আদালতে জানিয়েছিল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত রানার বিরুদ্ধে প্রচুর প্রামাণ্য নথি তাদের হাতে রয়েছে। যদিও কোন নথি রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি জাতীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ (Tahawwur Rana)

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার আগে পাক বংশোদ্ভূত জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ ছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, মুম্বই হামলার আগে ভারতে আটবার রেকি করতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় তিনি মোট ২৩১ বার ফোন করেছিলেন রানাকে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ভারতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় রানাকে মোট ৩২ বার ফোন করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ভারতে এসে তিনি রানাকে (Tahawwur Rana) ফোন করেন ২৩ বার, তৃতীয় বারের বেলায় এসে ফোন করেন ৪০ বার, পঞ্চমবার ভারতে এসে তিনি ফোন করেন ৩৭ বার এবং ষষ্ঠবার তিনি ফোন করেছিলেন ৩৩ বার। অষ্টমবারের বেলায় হেডলি রানাকে সবচেয়ে বেশিবার ফোন করেন। এই যাত্রায় তিনি রানাকে ফোন করেন মোট ৬৬ বার।

    কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ

    এসব তথ্য নিশ্চিত করতেই রানার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, নমুনা সংগ্রহের পর ২৬/১১ জঙ্গি হানায় রানার যোগসূত্র আরও স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। হামলা চলেছিল তিন দিন ধরে। ওই হামলায় নাম জড়ায় রানার। তাই হামলার (NIA) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করা এনআইএর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Tahawwur Rana)।

  • Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গিদের বীরত্বের জন্য পুরস্কার দিক পাকিস্তান।” মুম্বই হামলায় (Mumbai Attacks) জঙ্গিদের মৃত্যুর পর বন্ধু ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে বলেছিলেন মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত নথিতে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার সংক্রান্ত দফতর। রানা ও তাঁর সহ-ষড়যন্ত্রী ডেভিড হেডলির মধ্যে যে কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার সময় যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছিলেন, রানা লস্কর ই-তৈবার সেই জঙ্গিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওই জঙ্গিদের পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার নিশান–ই-হায়দার দেওয়া উচিত। যুদ্ধক্ষেত্র কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিহত হলে পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিশান-এ-হায়দর পুরস্কার দেয়। আমেরিকার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কার মৃত ৯ জঙ্গিকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন রানা।

    নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর উল্লাস প্রকাশ! (Mumbai Attacks)

    উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জন জঙ্গির। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন কেবল আজমল কাসভ। পরে ২০১২ সালে তিহাড় জেলে ফাঁসি হয় তার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় ১০ জন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের হামলার পর রানা হেডলিকে বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয়দের এটা পাওনা ছিল।’’ ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর তিনি উল্লাসও প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানিয়েছে মার্কিন বিচারবিভাগ।

    এনআইএ হেফাজতে তাহাউর

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ওই হামলায় বিভিন্ন দেশের মোট ১৬৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল (Mumbai Attacks)। পাক বংশোদ্ভূত রানা বর্তমানে কানাডার নাগরিক। বছর চৌষট্টির রানা ১৯৯০ সালে পাকাপাকিভাবে কানাডায় চলে যান। পরে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার(এনআইএ) হেফাজতে। তার আগে রানা বন্দি ছিলেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের জেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁকে ভারতে ফেরানোর পরে এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে (Tahawwur Rana)। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।

    মুম্বই হামলার পরিকল্পনা

    রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এনআইএর সদর দফতরে ইতিমধ্যেই বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, ১২ জন আধিকারিক মুম্বই হামলার এই চক্রীকে জেরা করবেন। লস্কর জঙ্গিদের হামলার আগে আলাদা আলাদা সময়ে মুম্বইয়ে রেকি করে গিয়েছিলেন ডেভিড হেডলি ও তাহাউর রানা। কানাডায় বাস করলেও, পাক সেনা ও আইএসআইয়ের সঙ্গে তাহাউর রানার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হেডলিকে তিনি ভুয়ো ভিসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। মুম্বই হামলার পরেও তাহাউরের বড় পরিকল্পনা ছিল। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, মুম্বইয়ে তাঁর ইমিগ্রেশন ব্যবসার শাখা খোলা। হেডলিকে সেই অফিসের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগও করতে চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার দুবছর আগে শিকাগোয় একাধিকবার ডেভিড হেডলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাহাউর। সেই সময়ই মুম্বই হামলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

    হেডলি এখনও আমেরিকায়

    জানা গিয়েছে, তাহাউর রানা ও ডেভিড হেডলি ছোটবেলার বন্ধু। বছরের পর বছর অপেক্ষার পর রানাকে শেষ পর্যন্ত ভারত হাতে পেলেও, হেডলি এখনও আমেরিকায়ই রয়েছে। এই হেডলিই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ও সরাসরি ভারতে এসে কমপক্ষে আটবার দফায় দফায় রেকি করে গিয়েছে (Tahawwur Rana)। কিন্তু রানাকে প্রত্যর্পণ করলেও, নানা অজুহাতে হেডলিকে এখনও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করেনি আমেরিকা। মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে সেখানকার গারদে পুরে রাখা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, হেডলিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না। হেডলির আসল নাম দাউদ গিলানি। ভারত তাকে এই মামলায় নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার বারংবার দাবি জানালেও, আমেরিকা (Mumbai Attacks) প্রতিবারই ভারতের সেই অনুরোধে কান দেয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জিকে পিল্লাই। তাঁর মতে, জঙ্গি হেডলি ডাবল এজেন্টের কাজ করতেন। তিনি একই সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করতেন।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে মুম্বই হামলার ভূমিকা ও পৃথক ষড়যন্ত্রের জন্য বর্তমানে আমেরিকায় ৩৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন হেডলি। তাঁর সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মধ্যে যে সরাসরি যোগাযোগ (Tahawwur Rana) ছিল, তাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে (Mumbai Attacks)।

  • Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি-আমেরিকান জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলি ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর হুসেন রানার (Tahawwur Rana) সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ২৬/১১ হামলার আগে তিনি ভারতে এসেছিলেন সব মিলিয়ে আটবার। এই সময় তিনি রানাকে ফোন করেছিলেন মোট ২৩১ বার।

    দ্বিশতাধিকবার ফোন (Tahawwur Rana)

    ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রথমবারের মতো রেইকি করার সময় ডেভিড হেডলি রানাকে ৩২ বারেরও বেশি বার ফোন করেছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয় নাগরিক রানা, কাজ করতেন পাক সেনায়। তিনি ছিলেন ডাক্তার। ২৬/১১ হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হেডলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন (Mumbai Terror Attack)। হেডলি তাঁর দ্বিতীয়বার ভারত সফরে রানাকে ২৩ বার ফোন করেছিলেন। তৃতীয়বার সফরের সময় ফোন করা হয়েছিল ৪০ বার। পঞ্চমবার সফরের সময় ফোন হয়েছিল ৩৭ বার। ষষ্ঠ ও অষ্টমবারের সফরে ফোন করা হয়েছিল যথাক্রমে ৩৩ ও ৬৬ বার।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের আমন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় মোদির পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার সরকার ভেরি এভিল (খুব দুষ্টু) রানার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করেছে। তিনি এও বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রু, যিনি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় জড়িত, তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ট্রাম্পের এই বক্তব্যের দু’মাসের মধ্যেই ২৬/১১ হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছাবেন। জানা গিয়েছে, হেডলির জন্য ভিসা জোগাড় করা থেকে শুরু করে তাঁর ঘন ঘন ভারত সফরের সময় তাঁকে শনাক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা পর্যন্ত সব চেষ্টাই করেছেন রানা। এনআইএ-এর মামলায় এর বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। নথিগুলি থেকে জানা গিয়েছে, রানা কীভাবে হেডলিকে ভারতে থাকার ব্যবস্থা করতে এবং জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য জায়গা বাছাই করতে সাহায্য করেছিলেন। রানা ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা চালানোর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য ডেভিড হেডলি ও অন্যান্য সহ-ষড়যন্ত্রকারীদেরকে লজিস্টিক্যাল, আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য দিয়েছিলেন।

    ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    তাহাউর রানা ডেভিড হেডলি, আবদুর রহমান হাশিম সৈয়দ এবং ইলিয়াস কাশ্মীরির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছিলেন। তার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। মুম্বই হামলার আগে ডেভিড হেডলির প্ররোচনায় তাহাউর দুবাইতে আবদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন (Tahawwur Rana)। ২০০৫ সালের শুরুতে, ডেভিড হেডলি লস্কর-ই-তৈবা (LeT) এবং হুজির (HUJI) নির্দেশে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে নরমেধ যজ্ঞ ও সম্পত্তি ধ্বংসের উদ্দেশ্যেও একটি ষড়যন্ত্র করেছিলেন। লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সৈয়দ ডেভিড হেডলিকে ভারত ঘুরে জঙ্গি হামলার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন (Mumbai Terror Attack)। সৈয়দ আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নেবেন এবং তাঁর সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন রাখতে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমগুলি ব্যবহার করবেন।

    ষড়যন্ত্রের নীল নকশা

    ২০০৬ সালের জুন মাসে ডেভিড হেডলি শিকাগো গিয়ে তাহাউরের সঙ্গে পুরো ষড়যন্ত্রের নীল নকশা ছকে ফেলেছিলেন। ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নিয়েছিলেন এবং লস্কর-ই-তৈবার দেওয়া দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁর ইমিগ্রেশন ফার্ম ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’-কে কভার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। ২০০৬ সালের ৩০ জুন তাহাউর রানার সক্রিয় সমর্থনে ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে ‘ইমিগ্র্যান্ট ল সেন্টার, শিকাগো’র একটি শাখা অফিস স্থাপনের উদ্দেশ্যে ভারতের কাছে মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসার আবেদন করেছিলেন। ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে পৌঁছেছিলেন। তাঁকে রিসিভ করেছিলেন তাহাউরের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি।

    হেডলির জন্য অভ্যর্থনা

    তাহাউর ওই ব্যক্তিকে ডেভিড হেডলির জন্য অভ্যর্থনা, যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা এবং অফিস-সহ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাহাউরের পরিচিত ওই ব্যক্তি প্রথমে হেডলিকে মুম্বইয়ের হোটেল আউট্রামে রাখেন। পরে তিনি আর একজন পরিচিতির বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকতে শুরু করেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে তাহাউরের সাহায্যে ডেভিড হেডলি তাঁর ভারতীয় ভিসা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে তাঁকে দশ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা এক্সটেনশন দেওয়া হয়। তাহাউরের হস্তক্ষেপে ভিসা এক্সটেনশনের প্রক্রিয়াটি অনায়াস হয়েছিল (Tahawwur Rana)।

    নিয়মিত যোগাযোগ

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউর ভারত সফরের সময় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। যখন ডেভিড হেডলি মার্কিন (Mumbai Terror Attack) যুক্তরাষ্ট্রে তাহাউরের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাঁরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। যেহেতু রানা একজন সেনা ডিজার্টার ছিলেন, তাই ডেভিড হেডলি তাঁকে মেজর ইকবালের মাধ্যমে সাহায্যের আশ্বাস দেন। ২৬/১১ হামলার ঠিক আগে ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে তাহাউর ফের ভারত সফরে আসেন। তাঁর এই সফর বেশ কয়েকজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। তাঁর ভারতে থাকাকালীন সময়ে, তাহাউর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছিলেন, যার মধ্যে ছিল হাপুড়, দিল্লি, আগ্রা, কোচিন, আহমেদাবাদ, মুম্বই প্রভৃতি জনবহুল শহর।

    প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউরের সক্রিয় সাহায্য ও প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে নাশকতা চালাতে পেরেছিল (Tahawwur Rana)। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (Mumbai Terror Attack) সুপ্রিম কোর্ট। বছর চৌষট্টির রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে ভারতে ফেরাতে আমেরিকা পৌঁছে গিয়েছে এনআইএর একটি দল।

    তিহাড় জেলে ঠাঁই!

    জানা গিয়েছে, ভারতে পৌছনোর পর তিহাড় জেলের চূড়ান্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে একটি ওয়ার্ডে রাখা হতে পারে রানাকে। তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার আগেই জেলে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে বলেও খবর। তাঁকে সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের জন্য এনআইএর হেফাজতে রাখা হবে। এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন বলে খবর (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০ জন পাক জঙ্গির একটি দল আরব সাগর দিয়ে মুম্বইয়ে ঢোকে। এরপর একটি রেলস্টেশন, দুটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি ইহুদি কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায় তারা। হামলা চলে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে। মৃত্যু হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬৬ জন নাগরিকের। এই হামলারই মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ডেভিড হেডলি। তাঁকে বিভিন্ন তথ্য ও নথি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাহাউর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বন্দি ছিলেন মার্কিন জেলে (Mumbai Terror Attack)। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর শেষমেশ তাঁকে ফেরানো হচ্ছে ভারতে (Tahawwur Rana)।

  • Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবারই দেশে ফেরানো হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Attack) অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ফর্মালিটি পূরণ করেছে ভারতের এক প্রতিনিধি দল। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারতে আসার বিমানে চেপেছেন রানা। বুধবার গভীর রাত অথবা বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছবে বিমান।

    বিমানবন্দর, জেলে কড়া নিরাপত্তা

    মার্কিন আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী, দিল্লি ও মুম্বইয়ের জেলে গোপনে তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রাজপথেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতে আনার পর, রানাকে প্রথম কয়েক সপ্তাহ এনআইএ হেফাজতে রাখা হবে। সেখানে তাঁকে জেরা করা হবে। এই পুরো অভিযানটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, এনআইএ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি। শেষমেশ চলতি বছরের শুরুতে রানার প্রত্যর্পণে সায় দেয় আমেরিকার একটি আদালত। এর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৎপরতায় রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে!

    ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা (Tahawwur Rana)। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। ৬৪ বছরের রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। সে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, তাহাউর রানাকে হাই সিকিউরিটি কোনও জেলে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লির তিহাড় এবং মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে তার প্রস্তুতি চলছে। দুই জেল কর্তৃপক্ষকেই অ্যালার্ট করা হয়েছে। এ দিকে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছে। ভারতে পা রাখার পরই মুম্বই হামলার এই মূলচক্রীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাবে এনআইএ।

  • Manoj Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    Manoj Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বলিউডের (Bollywood) কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার (Manoj Kumar)। আজ শুক্রবার ভোর ৪:০৩ মিনিটে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স মাধ্যমে নিজের পোস্টে মনোজ কুমারকে ভারতীয় সিনেমার আইকন বলে উল্লেখ করেন মোদি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা। লিভার সিরোসিস ও হৃদরোগজনিত অসুস্থতাও ছিল তাঁর।

    অসামান্য কাজের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধি অর্জন করেন

    এক্ষেত্র বলা দরকার, মনোজ কুমার (Manoj Kumar) ভারতীয় সিনেমার অন্যতম দেশপ্রেমিক অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর অসামান্য কাজের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধি অর্জন করেন। অভিনেতার মৃত্যুতে বলিউড জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বলিউডের এই মহান শিল্পীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বহু তারকা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

    ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের অ্যাবটাবাদে (Manoj Kumar) জন্ম

    জানা যায়, ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের অ্যাবোটাবাদে (বর্তমানে পাকিস্তান) জন্ম নেন মনোজ কুমার। তাঁর আসল নাম হরিকৃষ্ণ গোস্বামী। ১৯৫৭ সালে ‘ফ্যাশন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এরপর একের পর সফল ছবি করেন তিনি। ‘কাচ কি গুড়িয়া’ (১৯৬১) ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। প্রসঙ্গত, মনোজ কুমার সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাঁর দেশাত্মবোধক সিনেমাগুলোর জন্য। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, ‘শহিদ’ (১৯৬৫), ‘উপকার’ (১৯৬৭), ‘পুরব অউর পশ্চিম’ (১৯৭০), ‘রোটি, কাপড়া অউর মাকান’ (১৯৭৪), ‘ক্রান্তি’ (১৯৮১)।

    পরিচালক হিসেবেও ছিলেন সফল (Bollywood)

    অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক (Manoj Kumar) হিসেবেও তিনি দারুণ সফল ছিলেন। ‘হরিয়ালি অউর রাস্তা’, ‘ও কৌন থি’, ‘হিমালয় কি গোদ মে’, ‘দো বদন’, ‘পাত্থার কে সনম’, ‘নীল কমল’, ‘ক্রান্তি’- এই সমস্ত ছবি তাঁর পরিচালনায় খুবই সফল হয়। কিংবদন্তি এই অভিনেতা ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান।

  • Lashkar E Taiba: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হাফিজ-ঘনিষ্ঠ আরও এক লস্কর নেতা

    Lashkar E Taiba: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হাফিজ-ঘনিষ্ঠ আরও এক লস্কর নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুশির ইদের দিনেও রক্তাক্ত হল পাকিস্তান (Pakistan)। গুলি করে খুন করা হল লস্কর ই তৈবা (Lashkar E Taiba) প্রধান তথা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতাকে। মৃতের নাম আবদুল রহমান। এদিন ইদের আনন্দে মেতেছিলেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। সেই সময় আচমকাই খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবদুলের।

    লস্করের হয়ে ফান্ড জোগাড় (Lashkar E Taiba)

    জানা গিয়েছে, লস্করের আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক কাজ করতেন নিহত আবদুল। লস্করের হয়ে ফান্ড জোগাড় করাটাও ছিল তাঁর অন্যতম কাজ। তাই পাকভূমে তাঁর খুন হওয়াটা বিস্মিত করেছে পাক প্রশাসনকেও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগে প্রায় একই কায়দায় খুন হতে হয়েছিল লস্কর ই তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি আবু কাতালকে। মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার একেবারে ওপরের দিকে নাম ছিল তাঁর। লস্কর প্রধানের ডান হাত হিসেবে কাজ করতেন কাতাল।

    একই কায়দায় খুন হয়েছিলেন কাতালও

    মুম্বই হামলা (Lashkar E Taiba) ছাড়াও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ও নিরীহ নাগরিকের ওপর একাধিক হামলার নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন কাতাল। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বছর রিয়াসিতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের ওপর হামলা। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রাজৌরিতে আমজনতাকে টার্গেট করে হামলা চালায় লস্কর জঙ্গিরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ন’জনের। এই রাজৌরি হামলার ঘটনায় এনআইএর চার্জশিটেও নাম ছিল কাতালের। এহেন কাতাল একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে তাঁকে। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খুন জঙ্গি নেতা। এবং সেই পাকিস্তানের মাটিতেই।

    আবদুলের খুনের ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইদের সকালে এলাকার একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল। সেই সময় বাইকে করে তাঁর সামনে চলে আসেন দুজন। আবদুলকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা (Lashkar E Taiba)। আবদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই বাইকে করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই জঙ্গিনেতার (Pakistan)।

  • Underwater Train: সমুদ্রের তলা দিয়ে রেলপথে জুড়বে দুবাই-মুম্বই! কোন পর্যায়ে রয়েছে প্রকল্প?

    Underwater Train: সমুদ্রের তলা দিয়ে রেলপথে জুড়বে দুবাই-মুম্বই! কোন পর্যায়ে রয়েছে প্রকল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্রের তলায় রেলপথে (Underwater Train) দুবাইয়ের সঙ্গে জুড়বে মুম্বই। দুই শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে সমুদ্রগর্ভের রেলপথে। প্রসঙ্গত, দুবাই-মুম্বই ট্রেন প্রকল্পটি ২০১৮ সালে প্রথম সামনে আসে। জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী দুবাই শহরকে ভারতের মুম্বই (Mumbai) শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য জলের তলার এই ট্রেন প্রকল্পের (Underwater Train) উপর কাজ করছে। এটি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি বড় প্রকল্প হতে চলেছে। এই ২,০০০ কিমির রেলপথ দুবাইকে মুম্বইয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে। জানানো হয়েছে, এই রেলপথ শুধুমাত্র মানুষ পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হবে না, একই সঙ্গে পণ্য, জল এবং তেল পরিবহণ করতেও ব্যবহার করা হবে।

    কী বলছেন দুবাইয়ের আধিকারিক?

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জনপ্রিয় সংবাদ পত্রিকা খালিজ টাইমসের মতে, সেদেশের ন্যাশনাল অ্যাডভাইসার ব্যুরো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান পরামর্শদাতা আবদুল্লাহ আলশেহি এই প্রকল্পের ব্লু-প্রিন্ট সামনে এনেছেন। এদেশের সংবাদমাধ্যম নবভারত টাইমস আবদুল্লাহ আলশেহির বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আলশেহির মতে, ‘‘এটি একটি ধারণা (দুবাই-মুম্বাই সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে ট্রেন পথ)। আমরা ভারতের মুম্বই শহরকে দুবাই পর্যন্ত যুক্ত করাব। সমুদ্রের নীচে (Underwater Train) অতি-উচ্চ গতির রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সংযুক্ত করতে চাই দুই শহরকে। এটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকেও বাড়িয়ে তুলবে। এরমাধ্যমে ভারতে তেল রফতানি করা হবে। একইসঙ্গে নর্মদা থেকে অতিরিক্ত জল আমদানি করা হবে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই পরিকল্পনাটি অনেক দিক থেকে বিবেচনা করতে হবে আমাদের। আমরা প্রকল্পটির জন্য সম্ভাব্য সমীক্ষাও চালাব। যদি এমন ধারণা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়, তাহলে এই রেল নেটওয়ার্ক প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।’’

    মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেসময় ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানি প্রভৃতি দেশগুলি মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (IMEEC)-এর বিষয়ে আলোচনা করে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে দুবাই-মুম্বই রেলপথ। সম্প্রতি আবুধাবিতে ভারতীয় দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

  • Siddhi Vinayak Temple: মিনি স্কার্ট, ছেঁড়া-ফাটা পোশাকে প্রবেশ নয়, পোশাকবিধি জারি সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে

    Siddhi Vinayak Temple: মিনি স্কার্ট, ছেঁড়া-ফাটা পোশাকে প্রবেশ নয়, পোশাকবিধি জারি সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট জামাকাপড়, মিনি স্কার্ট বা কোনও অশোভনীয় পোশাক পরে আর মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে (Siddhi Vinayak Temple) প্রবেশ করা যাবে না। মুম্বইয়ের (Mumbai) বিখ্যাত সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের তরফ থেকে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভক্তদের যথাযথ পোশাক পরতে হবে, বিশেষ করে ভারতীয় পোশাক।

    কেন চালু পোশাকবিধি

    দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী মুম্বইয়ের এই বিখ্যাত মন্দিরে আসেন গণপতি বাবার দর্শন করতে। বলিউডের সেলিব্রিটিরাও নিজেদের সিনেমার মুক্তির আগে সিদ্ধিলাভের আশায় ছুটে যান এই মন্দিরে। মুম্বইয়ের বিখ্যাত সেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে (Mumbai Siddhi Vinayak Temple) এবার ড্রেস কোড। শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক গণপতি মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, আগত পুণ্যার্থীদের শালীন পোশাক পরতে হবে। ভারতীয় পোশাক পরাই শ্রেয়। মন্দির ট্রাস্ট জানিয়েছে, পোশাক সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পরে এই পোশাকবিধি জারি করা হয়েছে। যা সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে আসা অন্যান্য ভক্তদের অস্বস্তির কারণ হয়েছিল। ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ পবন ত্রিপাঠী বলেন, “কিছু ভক্তের পোশাক নিয়ে আমরা অন্যান্য ভক্তদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তাঁরা পোশাকের উপর কিছু বিধিনিষেধ চান। ভক্তদেরও মন্দির ট্রাস্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।”

    কবে থেকে চালু নয়া নিয়ম

    মন্দিরের পবিত্রতা এবং মর্যাদা বজায় রাখতে সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি মন্দির ভক্তদের জন্য পোশাকবিধি চালু করেছে। এবার সেই পথেই হাঁটল মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। ট্রাস্টের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ছেঁড়া-ফাটা পোশাক, শর্ট স্কার্ট বা এমন কোনও পোশাক যেখানে অঙ্গ প্রদর্শন হয়, তা পরা যাবে না সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে (Mumbai Siddhi Vinayak Temple)। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। যদি কোনও পুণ্যার্থী শালীন পোশাক না পরে আসেন, তবে তাকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

  • Saif Ali Khan: সইফের ওপর হামলাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার, খোঁজ মিলল ধারালো অস্ত্রের

    Saif Ali Khan: সইফের ওপর হামলাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার, খোঁজ মিলল ধারালো অস্ত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ধরা পড়ল সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)-এর হামলাকারী। সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানোর ৩ দিন পরে থানে থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই (Mumbai) পুলিশ। জানা গিয়েছে, একাধিকবার ওই ব্যক্তিকে বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল। অবশেষে অভিযুক্তকে থানে থেকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।

    ধৃতের পরিচয় কী?(Saif Ali Khan)

    অভিযুক্তের (Saif Ali Khan) নাম জানতে চাওয়া হলে, প্রথমে সে বলে, তার নাম বিজয় দাস। পরবর্তীতে সে জানায়, তার নাম মহম্মদ সাজ্জাদ। কখনও আবার এই ব্যক্তি নিজের নাম জানায়, মহম্মদ আলিয়ান। তবে সইফ আলি খানের ওপর হামলার সঙ্গে তার যোগসূত্র স্বীকার করে নিয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে মুম্বই পুলিশ বিশেষ টিম গড়েছিল। এই অভিযানে যুক্ত মুম্বই পুলিশের ডিসিপি পদ মর্যাদার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, থানে এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে জড়ো করা শুকনো ঘাসের মধ্যে শুয়ে ছিল সে। পুলিশের দাবি, তার কাছ থেকে কাস্তে জাতীয় ধারালো অস্ত্র এবং একটি তোয়ালে পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, গত বুধবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বাড়িতে ঢুকে পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। জানা যাচ্ছে, সইফের ছোট ছেলে জেহ-র ঘরের শৌচাগারে লুকিয়ে ছিল আততায়ী। কিন্তু সে যে কোথা দিয়ে বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিল সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জেহ-র ন্যানি প্রথম তাকে দেখতে পান। ভয় পেয়ে অ্যালার্ম বাজিয়ে দেন। ছুটে আসেন সেফ। জেহ-র কাছে পৌঁছতে না পেতে আততায়ী বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ছুরি বের করে কোপাতে থাকে সইফকে। আহত সইফ পড়ে গেলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরে, ওই ব্যক্তিই অভিনেতার ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ছ’টি আঘাত নিয়ে সইফকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বৃহস্পতিবার ভোরে। তার পর থেকেই ওই দুষ্কৃতীর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছিল মুম্বই পুলিশের প্রায় ৩০টি দল। পরে, গত বৃহস্পতিবারই সইফের বাড়ির পিছনের সিঁড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখা গিয়েছিল সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির মুখ। সে সময়ই পুলিশ সেই ফুটেজ প্রকাশ করে। তার পর এক কাঠ মিস্ত্রিকে আটক করা হয়। শনিবার জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস থেকে একজনকে এবং ছত্তিসগড়ের দুর্গ থেকে আর এক জনকেও আটক করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত ২ যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন, ‘‘সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত’’, বললেন মোদি

    PM Modi: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত ২ যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন, ‘‘সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত’’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহত্তম নৌশক্তি হিসেবে উঠে আসছে ভারত। বুধবার সেনাবাহিনী দিবসে মুম্বইয়ে নৌসেনার তিনটি যুদ্ধজাহাজকে অন্তর্ভুক্ত করে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ সাগরে (Indian Navy শক্তি বাড়াচ্ছে আত্মনির্ভর ভারত।  এদিন ‘আইএনএস সুরাট’, ‘আইএনএস নীলগিরি’ এবং ‘আইএনএস ভাগশির’ ওরফে ‘হান্টার কিলার’ সাবমেরিনকে দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করলেন মোদি।

    ভারত বৃহত্তম নৌশক্তিতে পরিণত হবে

    এদিন তিন রণতরীকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তির পর মোদি (PM Modi) বলেন, “ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ভারতীয় বাহিনীকে নতুন শক্তি ও নতুন দৃষ্টি দিয়েছিলেন। আজ তার পবিত্র ভূমিতে আমরা একবিংশ শতাব্দীর নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য অনেক বড় পদক্ষেপ করছি। এই প্রথম একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি ফ্রিগেট এবং একটি সাবমেরিন একসঙ্গে কার্যকর হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, “ভারত বৃহত্তম নৌশক্তি হিসেবে উঠে আসছে। গতি আসছে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে, যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক।” এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের সামুদ্রিক ঐতিহ্য, নৌবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাসের জন্য এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের জন্য বড় একটা দিন। এই প্রথমবার একইসঙ্গে ডেস্ট্রয়ার (একটি দ্রুতগতির যুদ্ধজাহাজ, হরেক রকম মারণ ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম, বিশেষ করে সাবমেরিন এবং বিমানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকার জন্য সজ্জিত), একটি ফ্রিগেট (মিশ্র অস্ত্রের যুদ্ধজাহাজ, সাধারণত একটি ডেস্ট্রয়ারের চেয়ে হালকা) এবং একটি সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তি হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে।” 

    ভারতীয় নৌবাহিনীর দাপট

    দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তায় কার্যত বিপ্লব আনতে চলেছে এই তিন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধ জাহাজ।  তিন যুদ্ধ জাহাজ ভারতের হাতে এসে যাওয়ায় গোটা বিশ্বেই ভারতের নৌসেনার দাপট আরও বেশ কিছুটা যে বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত সমগ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চল জুড়ে প্রথম প্রতিক্রিয়াকারী হিসাবেও আবির্ভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে আমাদের নৌবাহিনী শত শত জীবন এবং হাজার হাজার কোটি টাকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পণ্যসম্ভার রক্ষা করেছে। এটি ভারতের প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থা বাড়িয়েছে, আপনাদের প্রচেষ্টার কারণে একটি বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর প্রতি আস্থা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ, এটা স্পষ্ট যে আশিয়ান, অস্ট্রেলিয়া, উপসাগরীয় দেশগুলি এবং আফ্রিকান দেশগুলির সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার হচ্ছে ।” 

    এই দুই যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন নৌবাহিনীর (Indian Navy) চিফ অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী। তিনি বলেন,  “এই প্ল্যাটফর্মগুলি নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। আমাদের সামুদ্রিক স্বার্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং প্রধানমন্ত্রীর সাগরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ এই অঞ্চলে সবার জন্য নিরাপত্তা ও বৃদ্ধির চিন্তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    আইএনএস সুরাটের বিশেষত্ব

    • পি-১৫বি স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার প্রকল্পের চতুর্থ এবং শেষ যুদ্ধজাহাজ
    • দৈর্ঘ্যে ১৬৪ মিটার এবং ৭০,০০০ টন ভার বহন করতে পারে
    • সমুদ্রে গতিবেগ ৩০ নট (প্রায় ৫৫ কিলোমিটার) গতিবেগ
    • বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে উন্নত ডেস্ট্রয়ারগুলির মধ্যে একটি।
    • এই জাহাজে ৭৫% দেশীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
    • অত্যাধুনিক অস্ত্র-সেন্সর শত্রুপক্ষকে খুঁজে বের করতে থাকতে আরও উন্নত নেটওয়ার্ক
    • আইএনএস সুরাটের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছিল। ২০২২ সালের মে মাসে উদ্বোধন হয়।

    আইএনএস নীলগিরি-র বিশেষত্ব

    • পি-১৭এ স্টেলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের প্রথম জাহাজ
    • ১৪৯ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬৬৭০ টন ভার বহন ক্ষমতা
    • সমুদ্রে দীর্ঘমেয়াদী অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা।
    • দেশীয় পরবর্তী প্রজন্মের ফ্রিগেটের একটি ক্লাসিক উদাহরণ
    • দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে
    • ভারী ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা এবং মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষমতার ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা। 
    • আইএনএস নীলগিরির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। এটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়।

    আইএনএস ভাগশির-এর বিশেষত্ব

    • পি-৭৫ স্করপিন প্রকল্পের ষষ্ঠ এবং শেষ সাবমেরিন।
    • ৬৭ মিটার লম্বা এবং ১৫৫০ টন ওজন বহন ক্ষমতা। 
    • ফরাসি নৌবাহিনীর সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। 
    • এটি দেশকে আরও স্বনির্ভর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share