মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় (Murshidabad Violence)। ওই ঘটনায় বিজেপি-আরএসএসকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন (Murder Case) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদ এলাকায় খুন করা হয়েছিল হিন্দু প্রতিমা শিল্পী বাবা ও ছেলেকে। ওই ঘটনায় ‘মূল চক্রী’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জিয়াউল শেখ। চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই হিন্দু খুনের মূল চক্রী তিনিই।
‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’! (Murshidabad Violence)
জিয়াউল গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেত্রী যে ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’ খাড়া করতে চেয়েছিলেন, তারও পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে জিয়াউলের গ্রেফতারির পর। মমতা স্বয়ং পুলিশ মন্ত্রী। সেই পুলিশই বলছে, ধৃতের বাড়ি শামসেরগঞ্জ থানার সুলিতলা এলাকায়। খুনের ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দুই হিন্দু খুনের ঘটনায় এ নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। জানা গিয়েছে, বাবা-ছেলে খুনে ধৃত তিনজকে জেরা করে পুলিশ জিয়াউলের নাম জানতে পারে। তার পরেই ওই রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জিয়াউলকে। রবিবার তাঁকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
বহিরাগত তত্ত্ব আওড়ানোর কারণ
জিয়াউলের আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ইনজামাম হক নামে একজনকে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবা-ছেলে খুনের পর ঘটনার অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বহিরাগত তত্ত্ব আওড়াচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আঙুল তুলেছিলেন বিএসএফ, বিজেপি এবং আরএসএসের দিকে। যেহেতু তিনি পুলিশ মন্ত্রী, তাই পুলিশি ব্যর্থতার দায় অস্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে (Murshidabad Violence)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসবই তিনি করেছেন সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের দিকে তাকিয়ে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জিততে তৃণমূল নেত্রীর প্রয়োজন সংখ্যালঘুদের সব ভোট। সেই (Murder Case) কারণেই তিনি ‘মিথ্যা’র আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি বিরোধীদের (Murshidabad Violence)।