Tag: Murder

Murder

  • Atiq Ahmed: আতিক খুনের প্রতিবাদে বাংলায় পুলিশি ঘেরাটোপে মোমবাতি মিছিল! কারা করল?

    Atiq Ahmed: আতিক খুনের প্রতিবাদে বাংলায় পুলিশি ঘেরাটোপে মোমবাতি মিছিল! কারা করল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে আতিক আহমেদকে (Atiq Ahmed) গুলি করে খুন করার ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মোমবাতি মিছিল করল রাজা ইসলামিক মিশন নামে একটি সংগঠন। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রামগঞ্জ এলাকায়। ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় রামগঞ্জ বাজারে এই মোমবাতি মিছিল হয়। মিছিলে সংগঠনের বহু সদস্য পা মেলান। আতিক আহমেদ খুন হওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আমি স্তম্ভিত। পাল্টা টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখে আপনি কবে স্তম্ভিত হবেন? স্বাভাবিকভাবে আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ইস্যুতে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তর্ক, বিতর্কের মাঝে ১৬ এপ্রিল রাজা ইসলামিক মিশনের ব্যানারে প্রকাশ্যে মোমবাতি মিছিল হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একজন দাগি দুষ্কৃতীর মৃত্যুর ঘটনায় মোমবাতি মিছিল করা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    কী বললেন মোমবাতি মিছিলের উদ্যোক্তারা?

    মোমবাতি মিছিলে রাজা ইসলামিক মিশনের সঙ্গে একাধিক সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন বলে উদ্যোক্তাদের দাবি। মোমবাতি মিছিলের একটি ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সকলের হাতে মোমবাতি ছিল। আর পিছনে পুলিশের একটি গাড়ি এসকর্ট করে মিছিলটি নিয়ে যাচ্ছিল। মিছিল শেষে সংগঠনের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশ সরকার মুর্দাবাদ বলে স্লোগান দেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও তাঁরা কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি এই রাজ্যের পুলিশের প্রশংসা করেন তাঁরা। রাজা ইসলামিক মিশনের সভাপতি আসজাদ রাজা বলেন, উত্তর প্রদেশে আতিক আহমেদকে (Atiq Ahmed) যে ভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে সংবিধানকে খুন করা হয়েছে। কারণ, আতিকের সাজা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার উপর পুলিশের সামনে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল? পুলিশের সামনে হামলা হওয়ার পরও পাল্টা হামলা পুলিশ করল না। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন গুন্ডা, মাফিয়াদের বাড়িতে বুলডোজার চালায়। আতিককে (Atiq Ahmed) যারা খুন করল তাদের বাড়িতে বুলডোজার কবে চালানো হবে? এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা এদিন শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছিলাম। পুলিশও আমাদের সঙ্গে ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদকে অতর্কিতে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মমতার সেই ট্যুইটকে কটাক্ষ করে পাল্টা ট্যুইট করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত লিখেছেন, যদি উত্তর প্রদেশে মাফিয়াদের খুন করা হয় তবে এটা আপনার কাছে লজ্জার। পশ্চিমবঙ্গে রোজ হিন্দুদের খুন করা হচ্ছে। সেটা আপনার কাছে গর্বের। এটাই প্রমাণ করছে কোনটা আপনার অগ্রাধিকার ও কোনটা আপনার হিপোক্রেশি। 

    কোন ঘটনায় ট্যুইট

    উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার থেকে রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠে আতিক আহমেদের। তার ছেলে আসাদকে সম্প্রতি এনকাউন্টারে মেরেছিল পুলিশ। শনিবার ছিল আসাদের শেষকৃত্যের দিন। সেদিন মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল আতিককে। চারদিকে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই আচমকা আতিকের মাথা লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ভয়াবহ ঘটনার ছবি। ঘটনাস্থলেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও প্রশ্ন উঠেছে যোগী-রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    দুই পক্ষের ট্যুইট-যুদ্ধ

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে লিখেছিলেন,’আমি এই নৈরাজ্য দেখে আঘাত পেয়েছি। উত্তর প্রদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরো ভেঙে পড়েছে। এই ধরনের বেআইনী কাজের কোনও জায়গা আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে নেই।’ এরপরই অবশ্য মমতাকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য় ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি দেখে আপনি কবে স্তম্ভিত হবেন? এবার মমতার ট্যুইটকে তুলে ধরে পালটা ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ছোট মেয়ের প্রেমে বাধা! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে খুন করল প্রেমিক

    Cooch Behar: ছোট মেয়ের প্রেমে বাধা! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে খুন করল প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় সেই প্রেমিকের হাতে খুন হতে হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে। আততায়ীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার ছোট মেয়েও। শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচির পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ।

    প্রেমে বাধা, তাই খুন

    শুক্রবার ভোর রাতে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে আর্তনাদ, গোঙানিতে ঘুম ভেঙেছিল প্রতিবেশীদের। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর রাতে চিৎকার শুনে পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মণের বাড়িতে ছুটে যান পড়শিরা। গিয়ে দেখেন, নীলিমা, তাঁর স্বামী বিমলকুমার বর্মণ (৬৮) এবং তাঁদের বড় মেয়ে রুনা বর্মণ (২৪) রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নীলিমা ও তাঁর স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে বড় মেয়েকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরও মৃত্যু হয়। ছোট মেয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই ঘটনার পরই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা নিতে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারে এই নিয়ে অশান্তিও চলছিল। অভিযোগ,  শুক্রবার কাকভোরে বিভূতি হাতে একটি কাঠারি নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। অতর্কিতে হামলা চালাতে শুরু করে সে। প্রেমিকার মাকেই সবার আগে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এরপর কোপায় বাবাকে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় প্রেমিকা ও তার দিদিও। একাধিকবার নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে বিমল বর্মন ও তাঁর স্ত্রী নিলীমাকে।

    ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

     মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, ‘‘প্রধান অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ রায় এবং তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।’’এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শীতলকুচি বাজার এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। কেবলই কি ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও? মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের বয়ান ও ধৃতদের জেরায় করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ইতির সঙ্গে বিভূতিভূষণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে কথা বিভূতিভূষণ জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ‘প্রেমিকা’র পরিবার সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই এই খুন। তবে আর অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সরকার। বিরোধীরাও তেমন শক্তিশালী নন। এহেন আবহে ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হল তৃণমূলেরই এক নেতাকে। মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির ছোট চুপড়ি বাজারের কাছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা নিয়েও।

    নদিয়ায় (Nadia) খুন…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও বাজারে যান বড় চুপড়ির (Nadia) বাসিন্দা আমোদ। বাজার করার সময় সেখানে বাইকে চড়ে আসে দুই ব্যক্তি। আমোদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে তারা। পরে হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই আমোদকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আমোদকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। খবর পেয়ে দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। কী কারণে আমোদকে খুন করা হল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি শিশির রায় বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলে সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান বলেন, আমোদ আলি বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র। দুটি গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিনই ভোরে খুন হয়েছেন কোচবিহারের শীতলকুচির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের নীলিমা বর্মণ। খুন হয়েছেন তাঁর স্বামী বিমলচন্দ্র বর্মণ এবং এক মেয়েও। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নীলিমার আরও এক মেয়ে। রাজ্যের দু প্রান্তে একই দিনে দুই তৃণমূল নেতার খুনে উদ্বেগ শাসক শিবিরেও। 

    কেবল এই দুই খুন নয়, দিন তিনেক আগে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচা দোকানের (Nadia) সামনে খুন হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা। সাত সকালে তাঁকেও খুন করে পালিয়ে যায় খুনিরা। রাজুর খুনের আততায়ীরা এখনও অধরা। এরই মধ্যে একই দিনে পর পর দুটি খুনের ঘটনা এ রাজ্যেই। দিন দিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের ওপর কী ক্রমেই শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাশ? উঠছে প্রশ্ন।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে খুন করে গোপনাঙ্গ কেটে নিল স্ত্রী, অবশেষে গ্রেফতার প্রেমিক যুগল

    Purulia: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে খুন করে গোপনাঙ্গ কেটে নিল স্ত্রী, অবশেষে গ্রেফতার প্রেমিক যুগল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া ধরা পড়ল পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুরে। ২০১৭ সালে বারাসতের মনুয়া (Monua) মজুমদার তার প্রেমিক অজিত রায়কে দিয়ে স্বামী অনুপম সিংকে খুন করিয়েছিল। আর সমস্ত ঘটনাটি বাপের বাড়িতে বসে সে ফোনে লাইভ শুনেছিল। পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুরের রাঙ্গুনিটাড় গ্রামের ঘটনাটি অনেকটাই সেরকম। গ্রামের বাড়িতে বসে প্রেমিককে ফোন করে স্বামীকে খুন করে দেহ লোপাট করার লাইভ আপডেট দেয় স্ত্রী। পরে, প্রেমিকের পরামর্শে নিজের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে দেহ পুঁতে দেয়। মৃতদেহে পচন ধরাতে সেখানে লবনও ঢেলে দেয় সে। গোয়ায় বসেই প্রেমিক ফোনে তার প্রেমিকাকে সমস্ত কিছু নির্দেশ দিয়েছিল। ২০ মার্চ রহস্যজনকভাবে জুড়ন মাহাত নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে আসে। ইতিমধ্যে পুলিশ জুড়নের স্ত্রী উত্তরা মাহাতকে গ্রেফতার করেছে। আর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    প্রেমিকের সঙ্গে কীভাবে আলাপ হয়েছিল বধূর?

    উত্তরার দুই সন্তান রয়েছে। আর প্রেমিক ক্ষেত্রপালও চার সন্তানের বাবা। সে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করে। বছর পাঁচেক আগে উত্তরাদের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করার সময় তার সঙ্গে ক্ষেত্রপালের আলাপ হয়। পরে, ফোন দেওয়া-নেওয়া হয় দুজনের মধ্যে। সময় সুযোগ পেলেই ফোনেই তাদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা চলত। পরে, দুজনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে। পাঁচ বছর ধরে তাদের মধ্যে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। বছর দুয়েক আগে উত্তরার স্বামী সমস্ত বিষয়টি জেনে যান। আর এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। তাই, প্রেমের মধুর এই সম্পর্কের মাঝে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী। প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষেই স্বামীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরা।

    কী করে খুন করা হল?

    ২০ মার্চ রাতে জুড়নকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে তার স্ত্রী উত্তরা। সেদিন রাতে স্বামীকে ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দেয়। আর তরকারির মধ্যে সে ২৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। ফলে, খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই জুড়ন বেহুঁশ হয়ে পড়েন। এরপরই উত্তরা আসল খেলা শুরু করে। প্রথমে নিজেদের দোকানের বাটখারা করে স্বামীর মাথায় আঘাত করে। পরে, ঘরে তরকারি কাটার ছুরি দিয়ে তাঁর গোপনাঙ্গ কেটে নেয়। আর এই কাজ করার সময় মোবাইলের অন্যপ্রান্তে গোয়ায় বসেই শুনছিল ক্ষেত্রপাল। পরে, স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত জানার পর উত্তরা একাই তাকে টানতে টানতে সেপটিক ট্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দেয়।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পুরুলিয়া (Purulia) জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “২০ ই মার্চ বছর ৪৫ এর জুড়ন মাহাত নিখোঁজ হন। ২২ ই মার্চ তার স্ত্রী উত্তরা মাহাত ও বড় ছেলে অপূর্ব মাহাত থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর ২৫ তারিখ জুড়নের ছেলে জানায়, তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছে। এরপরই তদন্তে নেমে জুড়ন মাহাতোর বাড়ির বাইরে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরের দিন উত্তরা মাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহাতকে গ্রেফতার করা হয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raju Jha: ভর সন্ধ্যায় খুন কয়লা ব্যবসায়ী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন 

    Raju Jha: ভর সন্ধ্যায় খুন কয়লা ব্যবসায়ী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবারে ফিল্মি কায়দায় শ্যুটআউট! নিহত কয়লা ব্যবসায়ী রাজেশ ঝা ওরফে রাজু (Raju Jha)। শনিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড় (Saktigarh) এলাকার একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে। ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা কলকাতার দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনার জেরে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

    রাজেশ ঝা ওরফে রাজু (Raju Jha)…

    এদিন সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ শক্তিগড়ের ল্যাংচাহাবের সামনে ফরচুনা গাড়িতে বসেছিলেন রাজু। তাঁর গাড়ির চালক ঝালমুড়ি খাচ্ছিলেন। রাজু বসেছিলেন চালকের আসনের ঠিক পাশেই। পিছনের সিটে বসেছিলেন রাজুর এক সঙ্গী। ওই সময় দোকানটির সামনে চলে আসে আরও একটি গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে কয়েকজন পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর সাতটি গুলি ছোড়ে। লুটিয়ে পড়েন রাজু (Raju Jha)। গলগল করতে বের হতে থাকে রক্ত। ভয়ে পিছনের সিটে শুয়ে পড়েছিলেন রাজুর সঙ্গী। খবর পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের নিয়ে যায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি উইং অনাময় হাসপাতালে। সেখানে রাজুকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    আরও পড়ুুন: প্রভাবশালীর কাছে ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন অয়ন, আদালতে দাবি ইডির

    তবে সঙ্গীর ওপর হামলা না হওয়ার পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীদের টার্গেট ছিলেন রাজুই। পুলিশের অনুমান, খুনের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। এবং পরিচিতদের কাজ। কয়লার পাশাপাশি ইদানিং রাজু পরিবহণ ও হোটেল ব্যবসা করতেন। দুষ্কৃতিদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। আততায়ীদের গাড়িও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনাটি গ্যাং ওয়ারের। বিভিন্ন থানায় রাজুর নামে রয়েছে অভিযোগ। ইতিপূর্বেই সিআইডি তাঁকে (Raju Jha) একবার গ্রেফতার করেছিল। বাম আমলে কয়লা পাচারে হাতেখড়ি হয় রাজুর। কয়লা পাচার নিয়ে ইডি এখন যে তদন্ত চালাচ্ছে, তার স্ক্যানারেও ছিলেন রাজু। তাই এই সময় রাজুকে কে বা কারা খুন করল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।

    জানা গিয়েছে, যে গাড়িতে করে রাজু যাচ্ছিলেন, সেই গাড়িটি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ গরু পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল ঘনিষ্ঠ আবদুল লতিফের। এদিকে, জাতীয় সড়কের ধারে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে রেখে চম্পট দিয়েছে আততায়ীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে ব্যবহার করা হয়েছে গাড়ির নকল নম্বর প্লেটও। ঘটনার জেরে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে বড়সড় প্রশ্ন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiljala Murder: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা, জনতার রোষে পুড়ল পুলিশের গাড়ি, বাইক

    Tiljala Murder: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা, জনতার রোষে পুড়ল পুলিশের গাড়ি, বাইক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা (Tiljala Murder)। পুলিশের গাড়িতে আগুন (Fire)। দাউদাউ করে জ্বলল বাইক। ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি উত্তেজিত জনতার। পরিস্থিতির জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন (Train) চলাচল। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকেও লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। অশান্ত হয়ে ওঠে বন্ডেল গেট, পিকনিক গার্ডেন এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। করে লাঠিচার্জও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। লাঠি হাতে টহল দিচ্ছে র‌্যাফ।  

    জনরোষের নেপথ্যে…

    পুলিশের দাবি, স্ত্রীর গর্ভপাত এড়াতেই এক তান্ত্রিকের কথায় ওই নাবালিকাকে খুন (Tiljala Murder) করা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছেন ধৃত অলোক কুমার। নাবালিকার মাথা, কান ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এর সঙ্গে মিলেছে যৌন নিগ্রহের প্রমাণও। পুলিশি জেরায় অলোক কুমার জানিয়েছেন, তাঁর এখনও কোনও সন্তান নেই। তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী। এর আগে বেশ কয়েকবার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছিল তাঁর স্ত্রীর। বিহারের এক তান্ত্রিকের কথায় সন্তান লাভের আশায় বছর সাতেকের ওই নাবালিকাকে খুন করেন অলোক। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত তান্ত্রিককে ধরতেও বিহার যেতে পারে কলকাতা পুলিশের একটি দল।

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আবর্জনা ফেলতে শিশুটিকে পাঠানো হয়েছিল আবাসনের নীচে। অনুমান তখনই তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালান দোতলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অলোক। শিশুটিকে খুন করার পর তার হাত-পা বেঁধে বস্তার ভিতরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে তিলজলা। বন্ডেলে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। একটি বাসের ছাদে চেপে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতার একাংশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ করেনি। রবিবার রাতে তিলজলা (Tiljala Murder) থানায় ভাঙচুর চালায় জনতা।

    ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবারের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রেল চলাচল। অবরোধের কারণে প্রায় ২০টি ট্রেন লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চরম দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পাশাপাশি পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায়ও মামলা রুজু হয়েছে অলোক কুমারের বিরুদ্ধে।

     
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Tiljala Case: সন্তান পেতে তান্ত্রিকের নির্দেশে ‘শিশু-বলি’! নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের জেরে ধুন্ধুমার তিলজলায়

    Tiljala Case: সন্তান পেতে তান্ত্রিকের নির্দেশে ‘শিশু-বলি’! নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের জেরে ধুন্ধুমার তিলজলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গর্ভবতী স্ত্রীর গর্ভপাত ঠেকাতে তান্ত্রিকের নির্দেশে শিশু বলি দিয়েছিল তিলজলা-কাণ্ডে অভিযুক্ত অলোক কুমার। জেরায় পুলিশকে একথাই জানিয়েছে অলোক। তিলজলায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমার সন্তানহীন। সন্তান লাভের আশাতেই সাত বছরের প্রতিবেশী শিশুকে খুন করেছে সে, দাবি পুলিশের। মাথায় হাতুড়ির আঘাত, সারা শরীর সুচলো অস্ত্রে ক্ষতবিক্ষত। শেষমেশ শ্বাসরোধ করে খুন। তিলজলাকাণ্ডে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে আসছে আরও বিস্ফোরক তথ্য।

    সন্তান লাভের আশা

    পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের এক তান্ত্রিক সন্তান লাভের জন্য অলোককে নরবলি দিতে বলেছিলেন। তার পর থেকেই নাকি তক্কে তক্কে ছিল বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা অলোক। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত সন্তানহীন। তার স্ত্রী বার বার চেষ্টা করেও মা হতে পারেননি। তিন বার তাঁর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এর পরেই সন্তান লাভের আশায় বিহারের এক তান্ত্রিকের পরামর্শ নেয় অলোক। ওই তান্ত্রিককে ধরতে বিহারে যেতে পারে কলকাতা পুলিশের একটি দল।  খুনের অভিযোগের পাশাপাশি অভিযুক্ত অলোক কুমারের বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা শুরু করেছে পুলিশ। 

    তান্ত্রিকের কাণ্ড!

    পুলিশ সূত্রে খবর অলোক জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে। তার পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে সে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিশুটিকে ধর্ষণও করে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।  

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে উপবাস রাখছেন? সুস্থ, সতেজ থাকতে কী করবেন আর কী করবেন না

    প্রসঙ্গত রবিবার সকালে তিলজলার ওই আবাসনের বাইরে ময়লা ফেলতে গেছিল সাত বছরের নাবালিকা। কিন্তু সে আর নিজের ফ্ল্যাটে ফেরেনি। এর পরেই শিশুটির খোঁজ শুরু করে বাবা-মা। কিন্তু শিশুটি বাড়ি না আসায় শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি শুনে কোনও তৎপরতাই দেখায়নি। এর পরেই ওই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। সেখানে দেখা যায়, ময়লা ফেলার পরে আবাসনের মধ্যে প্রবেশ করেছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকেনি। তখনই সন্দেহ হয়, আবাসনের মধ্যেই অন্য কোনও একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে সে। ওই আবাসনে মোট ৩২ টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অলোকের ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় সেখান থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    তিলজলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তিলজলা থানায় বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ পাত্তা দেয়নি। আরও আগে পদক্ষেপ করলে হয়তো শিশুটিকে বাঁচানো যেত, দাবি প্রতিবেশীদের। রবিবার রাতে তিলজলা থানায় ঢিল ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। বিক্ষোভ সামলাতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Witchcraft: বীরভূমে ডাইনি অপবাদে আদিবাসী দম্পতিকে পিটিয়ে খুন, মোড়ল গ্রেফতার

    Witchcraft: বীরভূমে ডাইনি অপবাদে আদিবাসী দম্পতিকে পিটিয়ে খুন, মোড়ল গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার নজির বীরভূমে৷ ডাইনি (Witchcraft) অপবাদে আদিবাসী দম্পতিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। সাঁইথিয়া থানার আহমেদপুরের ন’পাড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, শনিবার ন’পাড়ার বাসিন্দা এক আদিবাসী (Adibasi) দম্পতিকে ডাইনি অপবাদে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীদের একাংশ৷ গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দম্পতিকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ রবিবার তাঁদের মৃত্যু হয়৷ মৃতদের নাম পাণ্ডু হেমব্রম (৬২) ও পার্বতী হেমব্রম (৫২)।

    ডাইনি (Witchcraft)কাণ্ডে মোড়লের কীর্তি… 

    তড়িঘড়ি গ্রামের মোড়ল রুবাই বেসরার নেতৃত্বে গ্রামের কয়েকজন মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গ থেকে নিয়ে চলে যান। দেহ ট্রাক্টরে করে নিয়ে দাহ করতে চলে যান শান্তিনিকেতন থানা এলাকার বেনেডাঙা গ্রামের শ্মশানে। খবর পেয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দারা দেহ দাহ করতে বাধা দেন। প্রতিবাদ করেন হেরুকা গ্রামের বাসিন্দারাও৷ খবর পেয়ে সাঁইথিয়া ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। শ্মশান এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামের মোড়লকে গ্রেফতার করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। পরে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে মৃতদেহ দুটি সৎকার করা হয়৷

    আরও পড়ুুন: ‘অঙ্গদান করুন’, ৯৯তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    তবে, একবিংশ শতাব্দীতেও ডাইনি (Witchcraft) অপবাদে দম্পতিকে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে। প্রশাসনের ভূমিকা,  সচেতনতামূলক প্রচারের অভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুরো ঘটনার তদন্তের উপর নজর রাখছেন বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ। ঘটনাস্থলের পাশের গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, আমরা দোষীদের শাস্তি চাই৷ এই যুগেও ডাইনি বলে কিছু আছে নাকি৷ তাও ডাইনি অপবাদে পিটিয়ে মেরে দিল! আমরা চাই ন’পাড়ার দোষীদের শাস্তি। সবাই মিলে প্রতিবাদ করব আমরা। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে মোড়লকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    মৃতদের আত্মীয়রা জানান, ন’পাড়া গ্রামের মোড়ল রুবাই বেসরা ও আশপাশের আদিবাসী গ্রামের বেশ কিছু মানুষ মনে করেছিলেন পাণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী পার্বতী ডাইনিবিদ্যা (Witchcraft) জানেন ও তা অনুশীলন করেন। ডাইনি অপবাদ দিয়ে ওই দম্পতির ওপর চড়াও হন সকলে। শনিবার সকালে তাঁদের এমন মারধর করা হয় যে দুজনেই মারা গিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hyderabad: প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুর মুণ্ডচ্ছেদ করে গোপন অঙ্গ কেটে ফেলল প্রেমিক

    Hyderabad: প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুর মুণ্ডচ্ছেদ করে গোপন অঙ্গ কেটে ফেলল প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমিকাকে ফোন ও মেসেজ করতেন প্রেমিকের বন্ধু। আর সেই অপরাধের শাস্তি হিসেবে বন্ধুর মাথা কেটে গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন যুবক। বন্ধুর মুণ্ডুচ্ছেদ করেই ক্ষান্ত হয়নি সে, বুক চিরে হৃদপিণ্ডও খুবলে নিয়েছে। এমনকী খুনের সময় তাঁর আঙুল ও যৌনাঙ্গও কেটে নেওয়া হয়। মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। নিহত যুবকের নাম নবীন। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নবীনকে হত্যা করে হরিহারা কৃষ্ণ। ওই দিন দুই বন্ধু মিলে মদ্যপান করেছিল। মত্ত অবস্থায় কৃষ্ণর প্রেমিকাকে নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখনই সে নবীনকে খুন করে। অভিযুক্ত বছর ২২-র হরিহারা কৃষ্ণ আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদে (Hyderabad)।

    কী জানা গিয়েছে?

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত, অভিযুক্ত ও তাঁর প্রেমিকা তিন জনই একইসঙ্গে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। কৃষ্ণ ও নবীন দুজনেই ওই তরুণীর প্রেমে পড়েন। কিন্তু নবীন প্রথমে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফলে নবীন ও ওই তরুণীর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক (Hyderabad)। তারপরই কৃষ্ণর সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ায় ওই তরুণী। কিন্তু তখনও নবীনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তরুণীর। ফোনে কথাবার্তাও হত। তদন্তকারীদের দাবি, এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি কৃষ্ণ। সেকারণেই গত তিন মাস ধরে নবীনকে খুনের ছক কষছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি  

    অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করেছেন যে, ১৭ তারিখে নবীনকে (Hyderabad) ডেকে পাঠান তিনি। দুই বন্ধু মিলে মদ্যপান করেন। তখনই নিজের প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে নবীনকে হুঁশিয়ারি দেন কৃষ্ণ। এই নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে নবীনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। খুনের পর কাটারি নিয়ে এসে তাঁর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেয় কৃষ্ণ। এরপর যৌনাঙ্গ, আঙুল কাটেন। শেষে বুক চিরে বের করে নিয়ে আসে হৃদপিণ্ড। এরপর সেই সব ছবি তুলে প্রেমিকার মোবাইলে পাঠায় সে। পুলিশ জানিয়েছে,  ইতিমধ্যে সেই মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের প্রেমিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

       

     

LinkedIn
Share