Tag: Murder

Murder

  • Hyderabad: প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুর মুণ্ডচ্ছেদ করে গোপন অঙ্গ কেটে ফেলল প্রেমিক

    Hyderabad: প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুর মুণ্ডচ্ছেদ করে গোপন অঙ্গ কেটে ফেলল প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমিকাকে ফোন ও মেসেজ করতেন প্রেমিকের বন্ধু। আর সেই অপরাধের শাস্তি হিসেবে বন্ধুর মাথা কেটে গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন যুবক। বন্ধুর মুণ্ডুচ্ছেদ করেই ক্ষান্ত হয়নি সে, বুক চিরে হৃদপিণ্ডও খুবলে নিয়েছে। এমনকী খুনের সময় তাঁর আঙুল ও যৌনাঙ্গও কেটে নেওয়া হয়। মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। নিহত যুবকের নাম নবীন। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নবীনকে হত্যা করে হরিহারা কৃষ্ণ। ওই দিন দুই বন্ধু মিলে মদ্যপান করেছিল। মত্ত অবস্থায় কৃষ্ণর প্রেমিকাকে নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখনই সে নবীনকে খুন করে। অভিযুক্ত বছর ২২-র হরিহারা কৃষ্ণ আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদে (Hyderabad)।

    কী জানা গিয়েছে?

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত, অভিযুক্ত ও তাঁর প্রেমিকা তিন জনই একইসঙ্গে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। কৃষ্ণ ও নবীন দুজনেই ওই তরুণীর প্রেমে পড়েন। কিন্তু নবীন প্রথমে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফলে নবীন ও ওই তরুণীর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক (Hyderabad)। তারপরই কৃষ্ণর সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ায় ওই তরুণী। কিন্তু তখনও নবীনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তরুণীর। ফোনে কথাবার্তাও হত। তদন্তকারীদের দাবি, এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি কৃষ্ণ। সেকারণেই গত তিন মাস ধরে নবীনকে খুনের ছক কষছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি  

    অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করেছেন যে, ১৭ তারিখে নবীনকে (Hyderabad) ডেকে পাঠান তিনি। দুই বন্ধু মিলে মদ্যপান করেন। তখনই নিজের প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে নবীনকে হুঁশিয়ারি দেন কৃষ্ণ। এই নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে নবীনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। খুনের পর কাটারি নিয়ে এসে তাঁর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেয় কৃষ্ণ। এরপর যৌনাঙ্গ, আঙুল কাটেন। শেষে বুক চিরে বের করে নিয়ে আসে হৃদপিণ্ড। এরপর সেই সব ছবি তুলে প্রেমিকার মোবাইলে পাঠায় সে। পুলিশ জানিয়েছে,  ইতিমধ্যে সেই মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের প্রেমিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

       

     

  • Murder: স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে নৃশংসভাবে খুন করে গ্রেফতার যুবক

    Murder: স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে নৃশংসভাবে খুন করে গ্রেফতার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে নৃশংসভাবে খুন (Murder) করে গ্রেফতার যুবক। শনিবার এ খবর জানিয়েছে দিল্লি (Delhi) পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার মাত্র ছ ঘণ্টার মধ্যেই ফাঁস হয়েছে রহস্যের পর্দা। 

    রহস্যের পর্দা ফাঁস…

    জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে বছর তিরিশের এক মহিলা ও এক পুরুষকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ফুটপাত থেকে। তাঁরা পড়েছিলেন অরবিন্দ মার্গের সফদারজং হাসপাতালের দু নম্বর গেটের সামনে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল শরীর। ঘটনাটি নজরে পড়ায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সফদারজং হাসপাতালে। মহিলার আঘাত গুরুতর ছিল। পুরুষটির নাম সাগর। তাঁর শরীরেও একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দুজনেরই। ওই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ৩০২ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয় নয়াদিল্লির সফদারজং এনক্লেভ থানায়। তার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বছর দেড়েক আগে বছর তিরিশের ওই মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় গন্ধর্ব ওরফে সানির। বিয়ের পর তাঁরা নয়ডায় থাকতে শুরু করেন। নয়ডারই এক হাসপাতালে কাজও করতেন তাঁরা। এই সময় ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় সানির ছোটবেলার বন্ধু সাগরের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। এনিয়ে মনোমালিন্য হয় সানির সংসারে। পুলিশ জানিয়েছে, সাগরের বাবা মা-র দাবি, গত সপ্তাহে সানি সাগরকে হুমকি দেয়। তার পরেই এই পরিণতি (Murder)। ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় সানি। তাঁর খোঁজে নয়ডা, গোকুলপুরি, কুসুমপুর ফাঁড়ি, কারকোদামা এবং সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় সানিকে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে সানি জানিয়েছেন, ওই মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। সাগর তাঁর ছোটবেলার বন্ধু। একই এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি জানান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সাগরের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দিন পনের ধরে তাঁর স্ত্রী সাগরের সঙ্গে থাকছিলেনও। সানি বলেন, স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে সাগরকে দু তিনবার বলেছি। তার পরেও সে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রেছেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, টানা জেরায় সানি জানিয়েছেন, রাগে ছুরি দিয়ে স্ত্রী ও সাগরকে খুন করেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jharkhand Crime: ঝাড়খণ্ডে যুবতীকে খুন করে ৫০ টুকরো, গ্রেফতার তাঁর স্বামী

    Jharkhand Crime: ঝাড়খণ্ডে যুবতীকে খুন করে ৫০ টুকরো, গ্রেফতার তাঁর স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকারের দেহ। রাজস্থানের জয়পুরে কাকিমাকে খুন করে দেহ ১০ টুকরো করেছেন এক শিক্ষিত যুবক! এবার প্রায় সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)। ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে স্ত্রীকে খুন করে ৫০ টুকরো করল জনৈক যুবক। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রুবিকা পাহাদিন। তাঁর স্বামী দিলদার আনসারিই তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। দিলদারকে আটক করেছে পুলিশ।

    রুবিকা-দিলদার…

    পুলিশ সূত্রে খবর, রুবিকা দিলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। বছর দুয়েক ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সম্প্রতি বিয়ে করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সাহেবগঞ্জের সান্থালি মোমিন তোলা এলাকা থেকে এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহাংশ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করেছিল, বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ওই মহিলাকে ফাঁকা, শুনশান জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে খুন করা হয় তাঁকে। টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় দেহ। ওই যুবতীর পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলে দেহাংশ উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। দেহ শনাক্ত করেন মৃতের পরিবারের লোকজন।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া! কাকিমাকে খুন করে ১০ টুকরো করলেন যুবক

    সাহেবগঞ্জের পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বছর বাইশের এক যুবতীর দেহের ১২টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে। ওই যুবতী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এখনও শরীরের বেশ কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ ওই যুবতীর স্বামী দিলদার আনসারিকে আটক করেছে। যাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তিনি দিলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।

    ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন বিজেপির ঝাড়খণ্ড মুখপাত্র প্রতুল সহদেব। তিনি বলেন, হেমন্ত সরকারে আমলে কন্যা সন্তানদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা বাড়ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু ফ্রাসট্রেটেড মানুষ এই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তার পরেও সরকার ঠুঁটো হয়ে বসে রয়েছে। কিছুই করছে না। তিনি বলেন, যদি সরকার দৃঢ় কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে আমরা পথে নামব। সরকারকে যোগ্য জবাবও দেব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুইপুরে (Baruipur) হত্যাকাণ্ডে দিল্লিতে শ্রদ্ধা-খুনের ছায়া। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির (Delhi) শ্রদ্ধা-হত্যার ঘটনা দেখেই খুন করে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের ছক কষে  তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। 

    দেহ টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা

    পুলিশের দাবি, বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী। তারপর মাকে সঙ্গে নিয়েই শৌচাগারে বাবার দেহ টুকরো করে ছেলে। করাত দিয়ে ৬ টুকরো করা হয় দেহ। তিনবারে সরানো হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। প্রথমবার মাকে নিয়ে সাইকেলে চাপিয়ে দেহাংশ পুকুরে ফেলে আসে ছেলে। পরে আরও দু’বার একাই সাইকেলে দেহাংশ নিয়ে ফেলে আসে ছেলে জয়।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    গার্হস্থ্য হিংসার জের

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নৌসেনা থেকে অবসরের পর সারাক্ষণ নেশা করতেন উজ্জ্বল। তাঁর ছেলে জয় চক্রবর্তী পলিটেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করে। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোর্স ফি দেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ বাধে ছেলের। এর জেরে ছেলের গায়ে হাত তোলে বাবা। বাবাকেও ধাক্কা দেয় জয়। মাটিতে পড়ে যান উজ্জ্বল। স্ত্রী শ্যামলীর গায়েও হাত তোলেন উজ্জ্বল। তাঁকে আটকাতে গিয়ে তাঁর গলা টিপে ধরে ছেলে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জয়। জেরায় জয় জানিয়েছে, সে বুঝতে পারেনি বাবা মারা যাবেন। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারে তখন ভয় পেয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলী। বারুইপুর পুলিশের এসপি বলেন, “ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ও নেশা করা যে সমাজের জন্য কতটা ক্ষতিকর, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    কীভাবে মিলল দেহ

    গত ১৭ নভেম্বর বারুইপুর –মল্লিকপুর সড়কের পাশে মদনমাল্য গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর দেহ। দেহের হাত পা ছিল কাটা। দেহটি গোসাপ খাচ্ছিল। তাই দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। শ্যামলীদেবী দেহ সনাক্ত করেন। তিনি জানান ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নেশা করতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে সময়ের কথা শ্যামলীদেবী বলছেন, তখন বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি উজ্জ্বলবাবুকে। এর পরই মা ও ছেলেকে লাগাতার জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা। জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করে জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Viral News: প্রেমিকার নগ্ন ছবি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রতিশোধ নিতে খুন প্রেমিককে

    Viral News: প্রেমিকার নগ্ন ছবি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রতিশোধ নিতে খুন প্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় এক প্রেমিকার নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দিয়েছিল তাঁর প্রেমিক। আর এর ফলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হল সেই প্রেমিককে। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রেমিককে শাস্তি দিতে নিজেই পরিকল্পনা করে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে খুন করলেন সেই তরুণী। ফলে তিন বন্ধু-সহ ওই তরুণীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ (Bengaluru Police)।

    জানা গিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী যুবক একজন চিকিৎসক ও তাঁর নাম বিকাশ রাজন ও তরুণীর নাম প্রতিভা। রাজন ইউক্রেন থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাক্টিস শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি বিদেশে যেসব পড়ুয়ারা ডাক্তারি পড়তে যেতে আগ্রহী তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় প্রতিভা নামে এক আর্কিটেকচারের সঙ্গে। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা লিভ-ইন রিলশনে থাকতে শুরু করেন ও বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি দুই পরিবার থেকেও বিয়ের কথা মেনে নিয়েছিল। আর এরই মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে গেল।

    আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রীতিমতো হতবাক তদন্তকারীরা। কারণ প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, একদিন হঠাৎ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন রাজন। সেখানে প্রথমে কোমায় চলে যান। এরপর তিনদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। তখন এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নামলে তাঁর মৃত্যুর পেছনের আসল সত্য জানতে পারে। অনেক চেষ্টা করেও আসল সত্য লুকোতে পারেননি প্রতিভা।

    জানা যায়, একদিন রাজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা নিজের নগ্ন ছবি দেখে ফেলেছিলেন প্রতিভা। তারপর এই বিষয়ে রাজনকে জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে মজা করতেই এমন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া চরমে ওঠে। এরপর নিজের বন্ধুর বাড়িতে রাজনকে ডাকেন। আর সেখানেই লাঠি নিয়ে রাজনের উপর চড়াও হন ও তাঁকে মারধর করে প্রতিভা ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর গুরুতর আহত হয়ে অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিভা। সেখানেই মৃত্যু হয় রাজনের। ইতিমধ্যেই প্রতিভা ও তার তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sonali Phogat: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    Sonali Phogat: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনালি ফোগাট (Sonali Phogat) মৃত্যু মামলায় তাঁর দুই সহকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Goa Police)। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তত্ত্ব মানতে আগেই নারাজ ছিল পরিবার। এবার পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও (Autopsy Report) মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরও ঘনীভূত হল রহস্য। অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের মৃত্যু ঘিরেই তৈরি হয়েছে রহস্য। বৃহস্পতিবার সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বিজেপি নেত্রীর শরীরে। ভোতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল সোনালিকে, এমনটাই জানানো হয়েছে। সোনালির পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন (Rape and Murder) করা হয়েছে সোনালিকে।  

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন বিজেপি নেত্রীকে! বিস্ফোরক অভিযোগ সোনালি ফোগাটের পরিবারের

    সোমবারই সহকারী ও বন্ধুদের নিয়ে গোয়ায় যান হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট। সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট করতেও দেখা যায় ওই টিকটক তারকাকে। বিকেলে শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই রাতে অসুস্থ বোধ করায় গোয়ার সেন্ট অ্যান্টনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় সোনালির। প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ উল্লেখ করা হলেও সেই দাবি মানতে রাজী হয়নি পরিবার। 

    সোনালির পরিবারের থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে গোয়া পুলিশ। এরপরই বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করা হয় সোনালি ফোগাটের দেহের। গোটা ময়নাতদন্তের রেকর্ডিংও করা হয় প্রমাণের জন্য। বিকেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, শরীকে একাধিক ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন বিগবস প্রতিযোগী বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট 

    এরপরে ওইদিন বিকেলেই সোনালির খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সঙ্গন ও বন্ধু সুখবিন্দর ওয়াসিকে গ্রেফতার করে গোয়া পুলিশ। 

    এদিকে, সোনালি ফোগাটের ভাইও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিন বছর আগে সোনালিকে ধর্ষণ করেছিল সুধীর ও সুখবিন্দর। খুনের হুমকিও দেওয়া হত তাঁকে। দীর্ঘ সময় ধরেই ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করছিলেন  অভিযুক্তরা। তাঁর আরও দাবি, মৃত্যুর আগে শেষবার যখন সোনালির সঙ্গে কথা হয়েছিল, তখন তিনি খাবারে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মা ও বোনের সঙ্গে কথা বলার সময়ও সোনালি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং কোনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sonali Phogat Death: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের 

    Sonali Phogat Death: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিজেপি নেত্রী এবং টিকটক স্টার সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশ পরতে পরতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি করল গোয়া পুলিশ। পুলিশের দাবি, সোনালিকে একটি বোতলের মধ্যে ১.৫ গ্রাম এমডিএমএ নামক মাদক (Drug) দেওয়া হয়েছিল। তাঁর আপ্তসহায়ক অভিযুক্ত সুধীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একথা জানতে পেরেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ (Goa Police) জানতে পেরেছে, সোনালিকে জোর করে  এই মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সোনালির সহকারী সুধীর ও সুখবিন্দরকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা সুধীরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। পুলিশের তদন্তেও উঠে এসেছে সেরকমই কিছু তথ্য। একটি নতুন সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সোনালিকে বোতল থেকে কিছু একটা দিচ্ছেন সুধীর। সোনালি বার বার বাঁধা দিচ্ছিলেন তাঁকে। খেতে চাইছিলেন না তিনি। পুলিশের অনুমান, সেটাই ছিল সেই মাদক। নিশ্চিত করতে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।   

    পুলিশের মাদকতত্ত্ব মেনে নিয়েছেন অভিযুক্তও। স্বীকার করেছেন, সোনালিকে মাদক দেওয়া হয়েছিল। তবে মাদকের কারণে সোনালির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনালির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ খুনের ধারায় এফআইআর করেছে।  

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন বিজেপি নেত্রীকে! বিস্ফোরক অভিযোগ সোনালি ফোগাটের পরিবারের

    এদিকে শনিবার সকালে পুলিশ সোনালি যে রেস্তোরাঁর শেষবার খেয়েছিলেন তার মালিককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কার্লিস রেস্তোরাঁর (Goa Curlis Restaurant) মালিক এডউই নানসকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বক্তব্য একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ায় এবং রেস্তোরাঁর শৌচালয় থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয় মালিককে। মাদক পাচারকারী সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই ধৃত ব্যক্তিই ওইদিন সোনালি ফোগাটকে খাওয়ানোর জন্য মাদক সরবরাহ করেছিলেন রেস্তরাঁয়। 

    পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার হওয়া দুই আপ্তসহায়কের একজনের নথিতে সোনালি ফোগাটকে তাঁর স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, তত ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। উল্লেখ্য, এই দুই আপ্ত সহায়ককে আরও ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • RSS Kerala: ‘সাজানো অভিযোগ’,  সিপিএম কর্মী হত্যা মামলায় কেরলে নিষ্কৃতি ১৩ আরএসএস কর্মীর 

    RSS Kerala: ‘সাজানো অভিযোগ’, সিপিএম কর্মী হত্যা মামলায় কেরলে নিষ্কৃতি ১৩ আরএসএস কর্মীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৮ সালে সিপিএম কর্মী (CPIM Worker) খুনে (Murder) অভিযুক্ত ১৩ জন আরএসএস কর্মীকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল কেরলের উচ্চ আদালত (Kerala HC)। ১৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে এই ১৩ আরএসএস (RSS) কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছিল তিরুবন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) নিম্ন আদালত।

    পরবর্তীতে ২০১৬ সালে এই অভিযুক্তরা এই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। বিচারপতি চন্দ্রন এবং সি জয়া চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিপরীতে গিয়ে উচ্চ আদালত বলে, “আদালতের সামনে পুরো মামলাটিকে সাজিয়ে পেশ করা হয়েছে। যেন একটা সাজানো গল্প। মিথ্যে সাক্ষীও হাজির করা হয়েছে এই মামলায়। মিথ্যে প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। তাই অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী সঠিক তথ্য-প্রমাণ দিতে ভয়ঙ্করভাবে ব্যর্থ  হয়েছেন।” 

    আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের

    আদালত বলে, “যে সাক্ষীদের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির করা হয়েছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। কোনও ঠোস প্রমাণও যোগার করা যায়নি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যেসব প্রমাণ দেখানো হয়েছে সেগুলি মিথ্যে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফাঁসানো হয়েছে ওই আরএসএস কর্মীদের।”  

    সরকারপক্ষের আইনজীবীর যুক্তি ছিল যে, আরএসএস কর্মীরা ২০০৮ সালে তিরুবনন্তপুরম পাসপোর্ট অফিসের বাইরে বিষ্ণু নামের এক সিপিআইএম কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল এবং এটা আরএসএসের সাংগঠনিক ষড়যন্ত্র ছিল। 

    আরও পড়ুন: সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, পদত্যাগে বাধ্য কেরলের মন্ত্রী

    ঘটনার পর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারা ১২০বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশ), ১৪৭ (দাঙ্গা), ১৪৮ (অস্ত্র রাখার অপরাধ), ৩০২ (হত্যা) -সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। 

    শুনানির সময় থেকেই অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল সিপিআইএম মামলাটিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং আইনকে ভুল পথে চালনা করছে। অভিযুক্তদের যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন সেই আইনজীবী। 

     

  • BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha)  নেতাকে খুনের ঘটনায় শোকাহত কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই। নিহত নেতার স্মরণে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশকিছু সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাসভরাজ বোম্মাই তাঁর সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তার মধ্যে মূল ছিল ‘জনোৎসব কনভেনশন’। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। সেই অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।  

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি বাইকে চড়ে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী প্রবীণ নেত্তারুকে ( Praveen Nettaru)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেলারে গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্গালুরু এবং উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতার হত্যার ঘটনা সামনে আসতেই দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের বচসা বাঁধে। দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। কয়েকটি জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে  মুখ্যমন্ত্রী জানান, যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি আজ নিহত বিজেপি যুবকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে এই ঘটনায় রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। উত্তেজনা না ছড়িয়ে তদন্তে সাহায্য করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, বিজেপি নেতার খুনের সঙ্গে গত ১৯ জুলাই রাজ্যের অপর একটি খুনের ঘটনার যোগ থাকতে পারে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, সন্দেহভাজনরা কেরালা থেকে এসেছেন। “আমরা এসপির নেতৃত্বে পাঁচটি দল গঠন করেছি এবং তদন্ত চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে  তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষীরা শাস্তি পাবেই।”

     

  • Praveen Nettaru: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    Praveen Nettaru: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে (Karnataka) কুপিয়ে খুন করা হল বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha) এক নেতাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রবীণ নেত্তারু ( Praveen Nettaru) ওই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে, বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    প্রবীণ একটি পোল্ট্রির দোকানের মালিক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে হাজির হয় দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেল্লারে গ্রামে। পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে তারা চড়াও হয় বিজেপির ওই যুব নেতার উপরে। কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দ্রুত নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টা করা হয়। এলাকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঙ্গালুরু ও উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনছে সেনা! অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    জেলা পুলিশ সুপার রুশিকেশ সোনানা বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে ইতিমধ্যেই পুলিশের পাঁচটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে তিনটি দলকে যথাক্রমে কেরল এবং কর্নাটকের মাদিকেরি ও হাসানে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের বাইকের নম্বরটি মনে হচ্ছে কেরলের। কিন্তু এখনও সে বিষয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজ্যের সীমান্তগুলিতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই।  দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার এবং শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি।  ট্যুইটারে শোক বার্তায় তিনি বিজেপি নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই জঘন্য খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। 

    স্থানীয়দের দাবি, এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হত্যাকাণ্ড। যদিও এটি রাজনৈতিক খুন নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে প্রবীণকে মারা হয়েছে তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বেশ কিছু এলাকায় বনধ ডেকেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

LinkedIn
Share