Tag: Murder

Murder

  • Tapan Dutta: তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই হাইকোর্টের, ফাঁসতে পারেন কারা?

    Tapan Dutta: তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই হাইকোর্টের, ফাঁসতে পারেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বালির তৃণমূল (tmc) নেতা তপন দত্ত (tapan dutta) খুনে সিবিআই (cbi) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta highcourt)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, এরপর থেকে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে সিবিআই। তাঁর আরও নির্দেশ, যেখানে তদন্ত করা প্রয়োজন, সেখানে ফের তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ যারপরনাই খুশি নিহত তপনের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। তিনি বলেন, ১২ বছর পর সিবিআই পেলাম। আমার মনে হল এই প্রশাসনের মুখে থাপ্পড় মারতে পারলাম। 

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করায় ২০১১ সালের ৬ মে খুন হন বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মী সহ ১৩ জনের। ওই বছরই ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের তখতে এসেছে তৃণমূলের সরকার। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় নেতা খুনে শোরগোল গোটা রাজ্যে। প্রথমে বালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও, পরে তদন্তভার গিয়ে বর্তায় সিআইডির ওপর। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক যুগ। তার পরেও কিনারা হয়নি তপন খুনের। এদিন প্রতিমা বলেন, সিবিআইয়ের প্রতি আস্থা রয়েছে। ঘরে বন্দি থাকি। অপরাধীরা বাইরে ঘুরে বেড়ায়।

    আরও পড়ুন : একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    তপন খুনের সাত দিনের মাথায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট মামলার চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। চার্জশিটেও নাম ছিল হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার। ওই বছরেরই ২৬ সেপ্টেম্বর সিআইডি আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে। সেখানে কোনও কারণ না দেখিয়েই বাদ দেওয়া হয় ন’জনের নাম। এঁরা প্রত্যেকেই হাওড়ার তৃণমূল নেতা। ২০১৪-র ডিসেম্বরে তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যান চার্জশিটে নাম থাকা বাকি পাঁচ অভিযুক্তও। প্রতিমার দাবি, খুনের ঘটনায় হাওড়ার তৃণমূল নেতা (তথা রাজ্যের মন্ত্রী) অরূপ রায়, কল্যাণ বসু, ষষ্ঠী গায়েন-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা ও বিধায়ক জড়িত রয়েছেন। প্রথম চার্জশিটে অরূপের নাম ছিল বলেও জানান তিনি। এদিন হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরে প্রতিমা বলেন, আশা করছি, এবার ন্যায়বিচার হবে। অপরাধীরা শাস্তি পাবে।

    প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন প্রতিমা। ওই দাবিতে মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ফের কলকাতা হাইকোর্টে আসে। এদিন বিচারপতি বলেন, হাওড়া আদালত নয়, এরপর থেকে এই মামলার শুনানি হবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সিআইডির কাছে মামলা সংক্রান্ত যেসব নথি, তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তা সিবিআইকে দিতে হবে। তদন্তে কোনও খামতি থাকলে তাও ফের করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

  • Kashmir Killings: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অন্যত্র সরানোর দাবি খারিজ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

    Kashmir Killings: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অন্যত্র সরানোর দাবি খারিজ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় গত কয়েক দশকে খুন হয়েছেন হাজার ছয়েক হিন্দু (hindu)। এর মধ্যে পণ্ডিত সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অমুসলিম লোকজনও রয়েছেন। একের পর এক হিন্দু নিধনের পরে প্রশ্ন উঠছে, এবার কে? সন্ত্রাসবাদের (terrorism) রক্তলোলুপ হাত থেকে বাঁচতে কাশ্মীর (kashmir) ছাড়তে চাইছেন হিন্দু পণ্ডিত (pandit) সম্প্রদায়ের লোকজন। সরকারের কাছে তাঁরা এই দাবি জানিয়েওছিলেন। তবে তাঁদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) সরকার। কাশ্মীরেরই জেলা সদর দফতরের মতো কোনও ‘নিরাপদ’ স্থানে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।

    আরও পড়ুন : “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

    প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জনৈক অশ্বিনী পণ্ডিত বলেন, সরকারের এই পরিকল্পনা অবাস্তব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা না করে আমরা কীভাবে থাকব? প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্যাকেজে বেশ কয়েক বছর আগে উপত্যকার একটি স্কুলে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। পরিবার নিয়ে উপত্যকায় ফিরেও এসেছেন।

    শুধু অশ্বিনী নন, পুনর্বাসন প্যাকেজ পেয়ে ভূস্বর্গে ফিরে এসেছেন আরও অনেকে। উপত্যকার বিভিন্ন ক্যাম্পে বসতি গেড়েছেন তাঁরা। তবে সম্প্রতি কাশ্মীরে ফের হিন্দু নিধনযজ্ঞ (Hindu Killings in Kashmir) শুরু হওয়ায় উপত্যকা ছাড়ার আবেদন জানিয়েছেন পণ্ডিত সম্প্রদায়ের (kashmiri pandit) এই লোকজন। বদগাম জেলার শেখপোড়ায় কলোনির গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শ’চারেক পরিবার। তাঁরা বলেন, এখানে আর থাকা যায় না। চাকরি নিয়ে আমরা আর মাথা ঘামাই না!

    ভেসু ক্যাম্পে থাকেন সঞ্জয় কাউল। বেছে বেছে হিন্দুরা জঙ্গিদের বন্দুকের নলের শিকার হওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন তিনিও। বলেন, খুন বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে আমার কলোনি। এখানে ৩০০টি পরিবার রয়েছে। আমরা সুরক্ষিতও। কিন্তু আমাদের কাজের জন্য রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে জেলা সদরে। এই জেলা সদর আমার কলোনি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। তিনি বলেন, কলোনি থেকে বের হলে যে কেউই জঙ্গিদের সফট টার্গেট হয়ে যেতে পারে। সঞ্জয় বলেন, সবচেয়ে ভাল বিকল্প হবে আমাদের কয়েক মাস কিংবা এক বছর অথবা কাশ্মীর শান্ত হওয়া পর্যন্ত জম্মুতে ডেপুটেশনে পাঠানো।

    আরও পড়ুন : গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    গত কয়েক মাস ধরে উপত্যকায় বেছে বেছে কেবল হিন্দুদেরই খুন করা হচ্ছে। ১ মে থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন মোট আটজন। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। বছর একুশের ওই ম্যানেজার চাকরি করতে রাজস্থান থেকে এসেছিলেন কাশ্মীরে। সেখানেই ঝরে গেলেন অকালে।

     

       

  • Haryana Police Murder: খনি মাফিয়ার দাপট, হরিয়ানায় পিষে মারা হল কর্তব্যরত ডিএসপি-কে

    Haryana Police Murder: খনি মাফিয়ার দাপট, হরিয়ানায় পিষে মারা হল কর্তব্যরত ডিএসপি-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হরিয়ানা (Haryana)। কর্তব্যরত ডিএসপিকে (DSP) ট্রাকের (Truck) চাকার নীচে পিষে (Run over) মারল খনি মাফিয়ারা (Mining Mafia)। ঘটনাটি ঘটেছে নুহ জেলায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায়। সেখানেই কর্মরত ছিলেন ডিএসপি পদমর্যাদার ওই পুলিশ অফিসার। নাম সুরেন্দ্রনাথ সিং তাউরু।

    ওই অঞ্চলে মাফিয়াদের দাপাদাপি বন্ধ করতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তিনি ওই স্থানে যান। একটি ট্রাককে হাতেনাতে ধরেও ফেলেন। ট্রাকটিকে দূর থেকে আসতে দেখে হাতের ইশারা করে দাঁড়াতে বলেন। ট্রাকের কাগজপত্র এবং মাল খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা ছিল ওই পুলিশ অফিসারের। কিন্তু পুলিশকে দেখেই আতঙ্কে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় ট্রাকের চালক। আর তাতেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। পুলিশ অফিসারের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় চালক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশ অফিসারের। আরো দুজন পুলিশ সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বিপদ বুঝে তাঁরা রাস্তার পাশে ঝাঁপ দেন এবং প্রাণে বেঁচে যান। আর তারপরেই চম্পট দেয় ওই ট্রাকের চালক। 

    আরও পড়ুন: ৮৭ বছরে হাজতবাস! তিহাড় জেলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বন্দি ওম প্রকাশ চৌটালা

    পুলিশ ট্রাক চালক এবং বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। হরিয়ানা (Haryana) পুলিশ অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সুরেন্দ্র সিং তাউরু মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এনে শোকজ্ঞাপন করা হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।  

    [tw]


    [/tw]

    হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর দোষীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, “খনি মাফিয়ারা কেউই পার পাবে না। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। সবার শাস্তি হবে।” 

    এর আগেও বারবার হরিয়ানায় খনি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের ওপর খনি মাফিয়ারা বারবার হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। একাধিকবার ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের পিষে হত্যার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তারপরও হরিয়ানার খনি মাফিয়াদের কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

    ২০২১-২২ সালের ৮ মার্চের হরিয়ানা ইকোনমিক সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ২১ হাজার ৪৫০টি বেআইনি খননকার্যের খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আইনি কাগজপত্র ছাড়া খনিজ পরিবহন।   

     

  • Viral News: হত্যার অপরাধে ৩ বছরের কারাদণ্ড ভেড়ার! জানুন কোথায় ঘটল এমন ঘটনা…

    Viral News: হত্যার অপরাধে ৩ বছরের কারাদণ্ড ভেড়ার! জানুন কোথায় ঘটল এমন ঘটনা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা সাধারণত প্রাণী হত্যার অপরাধে মানুষের শাস্তি পাওয়ার ঘটনা এর আগে অনেকবারই শুনেছি। তবে এবারের ঘটনাটি একেবারেই উল্টো। মানুষের হত্যার অভিযোগে প্রাণীর শাস্তি, এমন ঘটনা সত্যিই বিরল।

    অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার দক্ষিণ সুদানে, যেখানে এক মহিলাকে গুঁতিয়ে খুনের অপরাধে একটি ভেড়াকে তিন বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই খবর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

    সুদানের আই রেডিও-এর (Eye Radio) খবর অনুযায়ী, ৪৫ বছরের অ্যাডিউ চ্যাপিং নামে এক মহিলাকে হত্যা করার ফলে প্রাণীটিকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত ভেড়াটি বারবার চ্যাপিংয়ের মাথায় আঘাত করেছিল এবং তাঁর পাঁজর ভেঙে দিয়েছিল, ফলে তখনই মহিলাটির মৃত্যু হয়। 

    এলিজাহ মাবো নামে এক পুলিশকর্মী সুদানের সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “ভেড়াটি মহিলাটির পাঁজরে আঘাত করেছিল এবং তার সেখানেই মৃত্যু হয়।” তিনি আরও বলেন, “মালিক নির্দোষ এবং ভেড়াটি যে অপরাধ করেছে তা গ্রেফতারের যোগ্য। পরে মামলাটি স্থানীয় আদালতে পাঠানো হয়। সেখানেই ভেড়াটিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।”

    এদিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ঘাতক ভেড়াটিকে এখন আগামী তিন বছর সামরিক ঘাঁটিতে কাটাতে হবে। ছাড়া পাওয়ার পর, তাকে তুলে দেওয়া হবে নিহতের পরিবারের হাতে। তবে এখানেই শেষ নয়, এর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ভেড়াটির কারাদণ্ডের পাশাপাশি ভেড়াটির মালিক ডুয়োনি মানয়াং ধল-কে (Duony Manyang Dhal) দিতে হয়েছে জরিমানা। ক্ষতিপূরণ বাবদ মৃতার পরিবারকে দিতে হয়েছে চ্যাপিংয়ের পাঁচটি গরু। 

    গতবছরও এমনই একটি বিরল ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খামারে একটি ভেড়ার আক্রমণে মৃত্যু হয় এক ৭৩ বছর বয়সী মহিলা কিম টেলারের। ভেড়াটি তার উপর আক্রমণ করলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ফলে তাঁকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

  • Bidisha Dey Majumdar: ফের রহস্যমৃত্যু! পল্লবীর পর আরও এক টলিউড অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

    Bidisha Dey Majumdar: ফের রহস্যমৃত্যু! পল্লবীর পর আরও এক টলিউড অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পল্লবী দে-র (Pallavi Dey) পর এবার বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumdar)। টলিউডে অপমৃত্যুর (mysterious death) ঘটনা যেন থামছেই না। পল্লবী দে-র মৃত্যু নিয়ে এখনও জট পুরোপুরি কাটেনি, তার আগেই আরও এক মডেল এবং অভিনেত্রীর মৃত্যুতে হতবাক টলিপাড়া (Tollywood)। দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল উঠতি অভিনেত্রী বিদিশার দে মজুমদারের দেহ। ২১ বছর বয়সী অভিনেত্রী সেই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।  

    ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়েছে বিদিশার দেহ। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, খুন না আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি। বিদিশার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ।

    অভিনেত্রীর দেহ ইতিমধ্যেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁদের কাছেও ধোঁয়াশা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা?

    বিদিশার প্রতিবেশীদের দাবি, দেড় মাস আগে ওই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতে এসেছিলেন বিদিশা। নিয়মিত মডেলিং করতেন বিদিশা। এর পাশপাশি ‘ভাঁড়: The Clown’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ বুধবার ভোরে অনলাইন দেখা গিয়েছে বিদিশাকে। তারপর আর ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন দেখা যায়নি। 

    কাজ না থাকলে বেলা করে ঘুম থেকে উঠতেন অভিনেত্রী। অনেকেই জানতেন সেকথা। তাই অনেক বেলা অবধি দরজা না খুললেও কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু  বিকেল গড়িয়ে গেলেও ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় বিদিশার ফ্ল্যাটমেট দিশানী দুশ্চিন্তায় পড়েন। তিনি কলেজ গিয়েছিলেন। ফিরে এসে সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকে দেখেন, গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলছেন মৃত অভিনেত্রী।  তারপরেই তিনি ফোন করে এক পরিচিতকে জানান বিষয়টি। নৈহাটির মেয়ে বিদিশা। কাজের সূত্রে থাকতেন নাগের বাজারের রামগড় কলোনির একটি ফ্ল্যাটে। দিশানীও থাকতেন তাঁর সঙ্গে। 

     

LinkedIn
Share