Tag: Murder

Murder

  • Nadia: ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Nadia: ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে এক ব্যবসায়ীকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) করিমপুর থানার গোপালপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দুলাল বিশ্বাস (৬০)। তিনি তেহট্ট উত্তর এরিয়া কমিটির গোপালপুর শাখার সদস্য ছিলেন। প্রকাশ্যে এভাবে ব্যবসায়ীকে খুন করার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতে পুলিশের টহলদারি গাড়ি থাকে। রাস্তার মধ্যে এভাবে একজনকে খুন করে দিয়ে চলে গেল পুলিশ টের পর্যন্ত পেল না।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলালবাবু সুদের ব্যবসা করতেন। প্রতিদিন পাওনা টাকা আদায় করে বাড়ি ফিরতেন। অন্যদিনের মতো রবিবারও তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এরপরই রাতের দিকে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। রাস্তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। এরপরেই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে নদিয়ার (Nadia) করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে করিমপুর থানার পুলিশ। পরবর্তীকালে পুলিশ মৃতদেহটি হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে যায়। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও কারণে বচসার জেরে খুন হতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের। যদিও এই ঘটনায় এখন কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

    ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    এ বিষয়ে মৃত দুলাল বিশ্বাসের ভাইপো বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, রবিবার  রাতে আমাদের কাছে খবর আসে রক্তাক্ত অবস্থায় কাকা রাস্তায় পড়ে রয়েছে। আমরা তারপরেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে, কাকাকে উদ্ধারের সময় যেটুকু মনে হয়েছে ওর সঙ্গে কয়েকজন ধস্তাধস্তি করেছে। পরবর্তীকালে ভোজালি দিয়ে কাকার গলায় কোপ মেরেছে। তিনি আরও বলেন, বহু মানুষের কাছে কাকা ধারের টাকা ফেরত পেত। সেই টাকা তাগাদা করতে গিয়েই এই খুন হতে পারে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে তদন্ত দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মনুয়াকাণ্ডের ছায়া অশোকনগরে! প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করল স্ত্রী

    North 24 Parganas: মনুয়াকাণ্ডের ছায়া অশোকনগরে! প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করল স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথের কাঁটা সরাতে প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করেছিল মনুয়া। হাড়হিম করা সেই খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। বারাসতের সেই মনুয়া কাণ্ডের ছায়া এবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরে শিমুলতলা এলাকায়। প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে  স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম হারাধন রায় (৩৫)। তাঁর বাড়ি অশোকনগর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে হারাধন রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সবিতার। হারাধন পেশায় দিনমজুর। তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে। সবিতা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতে একটি পানশালায় নর্তকীর কাজ করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই সবিতা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি চরমে ওঠে। অশান্তি মেটাতে এলাকায় সালিশি সভাও বসে। পরে সবিতা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। অন্যদিকে, শ্রমিকের কাজ নিয়ে মাস তিনেক আগে ওড়িশায় চলে যান হারাধন। পরিবারের দাবি, সম্প্রতি সবিতা ফোন করে একসঙ্গে থাকবেন বলে অশোকনগরে চলে আসতে বলেন স্বামীকে। স্ত্রীর কথা শুনে এক সপ্তাহ আগে ফেরেন হারাধন। বারাসতে ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে হারাধনবাবু ছিলেন। বারাসতের নপাড়ায় রেলের কারশেড এলাকার রেললাইনের ধার থেকে হারাধনবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে বারাসতের রেল পুলিশ। রেল পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে বারাসতে এসে দেহ শনাক্ত করেন হারাধন রায়ের পরিবার। শনিবার রাতে দেহ অশোকনগরের শিমুলতলায় পৌঁছতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ভাই এবং প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্ত্রী সবিতাই খুন করেছে হারাধনকে, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবার এনং স্থানীয়রা। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। জনরোষের মুখে পড়ে মৃতের স্ত্রী সবিতা এবং শ্যালক-সহ সবিতার প্রেমিককে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: রায়গঞ্জ শহরে ভরদুপুরে জোড়া খুন! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Raiganj: রায়গঞ্জ শহরে ভরদুপুরে জোড়া খুন! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় বাড়ির মধ্যে থেকে রক্তাক্ত জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। শিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার সৎসঙ্গ স্কুলের কাছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম তপন দে ( ৫৪) এবং মিন্টু সরকার ওরফে বাপি (৫২)। তাঁরা দুজনেই জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের অস্থায়ী কর্মী। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, ঘটনাস্থল থেকে ৮০০ মিটার দূরে থানা। তারপরও দিনেরবেলায় জোড়়া খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার বাসিন্দা তপন দে তাঁর মেয়ে তানিয়া দের সঙ্গে থাকতেন। তপনবাবুর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁর স্ত্রীর সুলেখা দে দুবছর আগে তাঁদের ছেড়ে বাপের বাড়ি কলকাতায় চলে যান। শনিবার দুপুরে তপন দে -র বন্ধু রতন সরকার তাঁর বাড়িতে আসে বলে জানা গেছে। তপনবাবুর বাড়িতে তাঁর এক বন্ধু মিন্টু সরকার ছিলেন। আর তাঁর মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যায়। কিছুক্ষণ পরে রতনকে বাড়িতে তালা দিয়ে বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর হাতে রক্ত লেগেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তালা ভেঙে দেখে, তপনবাবু ও মিন্টুবাবুর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুব শেরপা। এই ঘটনায় রতনকে আটক করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এভাবে বাড়িতে ঢুকে দিনের বেলায় খুন করে চলে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    মৃতের মেয়ের কী বক্তব্য?

    তপনবাবুর মেয়ের বক্তব্য, বাবা একজনের কাছে টাকা পেত। ৬ দিন আগে বাবাকে ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। এদিন সকালে বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে চলে আসি। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পরই এই দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পারি। বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে পড়ে থাকতে দেখি। বাবাকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: পর পর কন্যাসন্তান, তিন মাসের শিশুকে তুলে আছাড় মেরে খুন করল বাবা

    Murshidabad: পর পর কন্যাসন্তান, তিন মাসের শিশুকে তুলে আছাড় মেরে খুন করল বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়ায় এক দম্পতি কন্যাসন্তান হওয়ার খুশিতে মাতৃযানটিকে বেলুন দিয়ে সাজিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মিষ্টি মুখ করিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যান। কয়েকদিন আগে এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়ার বাসিন্দারা। এবার সেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পর পর তিনটি কন্যাসন্তান হওয়ায় মেনে নিতে পারেনি গুণধর বাবা। তাই, তিনমাসের শিশুকে আছাড় মেরে খুন করেছে সে। মর্মান্তিক এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ডোমকলের ভাতশালার রিন্টু শেখের বিয়ে হয়েছিল ডোমকলের কামুড়দিয়াড়ের বাসিন্দা বেলুয়ারার সঙ্গে। চার বছর আগে তাঁদের প্রথম সন্তান জন্মায় মেয়ে। পরের সন্তানটিও মেয়েই। রিন্টু কেরলে কাজ করেন। মাস তিনেক আগে তৃতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। সেই খবর পাওয়ার পর সপ্তাহখানেক আগে গ্রামে ফিরেছিলেন রিন্টু। রবিবার দুপুরে তিনমাসের শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে, বাড়ির লোকজন দেখেন, ঘরে লেপের তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সে। সন্তানের মাকে চেপে ধরা হলে তিনি বলতে থাকেন, “মেয়েকে খাটে শুইয়ে আমি দাওয়ায় রান্না করছিলাম। কী হয়েছে, জানি না।” জানা গিয়েছে, রিন্টু তার তিনমাসের সন্তানকে তুলে আছাড় মেরে খুন করেছে। রিন্টুর বাবা সে কথাই বার বার দাবি করেন। তিনি বলেন “তৃতীয়বার মেয়ে হওয়ার পর থেকে ছেলে-বউমার ঝামেলা লেগেই থাকত। ছেলে নিয়মিত নেশা করে। ছেলেই ছোট নাতনিকে খুন করেছে। পুত্রবধূ সব জেনেও ওকে আড়াল করছে।” এর পরেই রিন্টু ও বেলুয়ারা বিবিকে পুলিশ প্রথমে আটক করে। পরে, রিন্টুর বাবা বাবা দবির শেখ নিজের ছেলে ও বউমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরে দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    রিন্টু আগেও এই কাণ্ড করেছিল!

    তিনমাসের কন্যাসন্তানকে আছাড় মেরে ‘খুন’ করাই প্রথম নয়। এর আগে দ্বিতীয় মেয়েকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল ডোমকলের ধৃত দম্পতি। বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল বড় মেয়েকেও! দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও স্থানীয়দের বয়ান সংগ্রহ করে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পড়শিদের একাংশের দাবি, রিন্টু মাদকের নেশায় আসক্ত। তার খরচ জোগাতে একবার নিজের বড় মেয়েকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল এক মহিলার কাছে। পরিযায়ী শ্রমিক কলোনির লোকেরা তা জেনে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় মেয়েকেও এক বার মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রিন্টু ও বেলুয়ারার বিরুদ্ধে। সেই কারণে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ীও ছিল মেজ মেয়ে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, “রিন্টু নিয়মিত মাদক নিত। চুরির অভিযোগে সে আগে গ্রেফতারও হয়েছে। শুধু কি সংসারে টানাটানি, না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নিখোঁজ নাবালিকার দেহ মিলল ঝোপে, মুণ্ড ছোড়া হল বাড়ির ছাদে

    Malda: নিখোঁজ নাবালিকার দেহ মিলল ঝোপে, মুণ্ড ছোড়া হল বাড়ির ছাদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। পরে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এরপরই নৃশংসভাবে ১০ বছরের নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) ইংরেজবাজার থানার বালুচর এলাকায়। নিখোঁজ হওয়া নাবালিকা স্কুলছাত্রীর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে, এলাকারই একটি বাড়ি থেকে কাটা মুণ্ড উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা মালদার (Malda) একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করত। তার বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দুদিন আগে কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় এক প্রতিবেশী। তারপরই তাকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, সনু কেশরি নামে অভিযুক্ত যুবকের একটি গুদাম ঘর রয়েছে। সেখানেই ওই ছাত্রীকে আটকে রাখা হয়। এরপরই সেখানে তার ওপর শারীরীক নির্যাতন চালানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়। তারপরও নাবালিকার খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের হাতে সেই সময় তুলে দেওয়া হয় সিসিটিভি ফুটেজও। সেই ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর বুধবার গভীর রাতে উদ্ধার হয় নাবালিকার মুণ্ডহীন দেহ। মাথা পাওয়া যায় সেই এলাকারই একটি বাড়ির ছাদ থেকে। আর সব থেকে চাঞ্চল্যকর বিষয়, যে বাড়ির ছাদ থেকে মেয়েটির মাথা উদ্ধার হয়েছে, তার নাকের ডগায় পুলিশ লাইন এবং ইংরেজবাজার থানা। গোটা ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরই এলাকার লোকজন অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। জিনিসপত্র বাড়ি থেকে ভাঙচুর করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়। এমনকী ইংরেজবাজার থানায় এসেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।

    ফাঁসির দাবিতে সরব এলাকাবাসী

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য, অভিযুক্ত যুবক বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার পর নাবালিকাকে কেন খুন করল? আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তিন মাস পর অভিযুক্ত যুবক জামিন পেয়ে গেলে আমরা প্রশাসনকে ছেড়ে কথা বলব না। আমরা ধৃতের ফাঁসি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মমতার জেলা সফরের দিনই এলোপাথাড়ি গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন

    Murshidabad: মমতার জেলা সফরের দিনই এলোপাথাড়ি গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের পর এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থানার আমানিগঞ্জ। বুধবার রাতে এলোপাথাড়ি গুলিতে তৃণমূল কর্মীকে ঝাঁঝরা করে দিল দুষ্কৃতীরা। মৃতের নাম শ্যামবাবু রায়। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বুধবারই জেলা সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক সেরে চলে যাওয়ার পর রাতেই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়। আর অভিযোগের তির তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তারা এখন নির্দল করে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে বহরমপুরে তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপরই ফের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আমানিগঞ্জ এলাকায় তৃণমূল কর্মী শ্যামবাবু রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠীর বিবাদ চলছিল। টিকিট না পেয়ে তারা নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিল। আর শ্যামবাবু তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোটে খেটেছিলেন। কিন্তু, গ্রামে নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করে। ফলে, নির্দলরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। মাঝে মধ্যে গন্ডগোল লেগেই থাকত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাবুর গ্রামে একটি বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে দাদার সঙ্গে তিনি খেতে যান। হামলাকারীদের সেই বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে পটকা ফাটানো নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, মিটেও যায়। এরপর শ্যামবাবু বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাস্তাতেই আটকায়। প্রথমে বেধড়ক মারধর করে। পরে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করা হয়। এরপরই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালায়।

    চোখের সামনে ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ওরা

    নিহত তৃণমূল কর্মীর দাদা রামেশ্বর রায় বলেন, আমার ভাইয়ের পাঁচ মাসের সন্তান রয়েছে। ভাই মন দিয়ে তৃণমূল দলটা করত। হামলাকারীরা আগে তৃণমূল করত। এখন ওরা নির্দল করে। মাঝে মধ্যে ওরা মিটিং করে গ্রামে অশান্তি তৈরি করে। ভাইয়ের সঙ্গে আমি নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তাতেই ওরা আমাদের আটকায়। আমি কিছুটা পিছনে ছিলাম। ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখে আমি এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ দেখানোর সাহস পাইনি। আমি ছুটে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচাই। চোখের সামনে ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ওরা। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, হামলাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি কর্মীর খুনকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে পুলিশ”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি কর্মীর খুনকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে পুলিশ”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনাকে পুলিশ দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। কার্যত পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যে আগেও ভোট পরবর্তী হিংসা, পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরনির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ এবং হত্যার ঘটনায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে দেখা যায় বিজেপিকে। এবার শালবনীর মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ বুধবার শালবনীতে মৃত বিজেপি কর্মী মিঠুন খামরুইয়ের বাড়িতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, “পরিকল্পনা করে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের যে কাজ করা দরকার ছিল, সেই কাজ করেনি। পুলিশ এককভাবে দায়িত্ব নিয়ে খুনকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। এর পিছনে শাসক দলের তৃণমূল দুষ্কৃতীরা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। বিজেপি পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে। সবরকম সহযোগিতা আমরা করব।”

    কীভাবে উদ্ধার মৃতদেহ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার একটি মেলা চলছিল এলাকায়। সেখানেই গিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মিঠুন খামরুই। রাতে আর তিনি বাড়িতে ফেরেননি। মঙ্গলবার পরের দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় শালবনীর ভাদুতলা থেকে কর্ণগড় যাওয়ার রাস্তায় একটি কালভার্টের নীচে থেকে। যদিও এই মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। আবার বিজেপি কর্মীর ছেলে সৌভিক খামরুই জানিয়েছেন, “বাবাকে খুন করা হয়েছে। তবে কারা করেছে বলতে পারছি না।” তবে স্থানীয় বিজেপির দাবি, তাঁকে পরিকল্পনা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। দলের মৃত কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন এদিন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Death Sentence: ১৫ পিএফআই সদস্যকে ফাঁসির সাজা, বিজেপি নেতা খুনের মামলায় কঠোর কেরলের আদালত

    Death Sentence: ১৫ পিএফআই সদস্যকে ফাঁসির সাজা, বিজেপি নেতা খুনের মামলায় কঠোর কেরলের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের বিজেপি নেতাকে খুনের মামলায় ১৫ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল সে রাজ্যের একটি আদালত। ত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা পিএফআইয়ের সদস্য। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর কেরল বিজেপির ওবিসি শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শ্রীনিবাসন বাড়িতেই খুন হয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের সামনেই তাঁকে মারধর করে হত্যা করা হয়।

    আদালতের রায়

    আলাপুঝার ভেল্লাকিনারে থাকতেন রঞ্জিত শ্রীনিবাসন। ২০২১-এর ১৯ ডিসেম্বর রাতে, তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল আসামীরা। শ্রীনিবাসনের মা, স্ত্রী এবং কন্যার সামনেই হামলাকারীরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এই ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি, ১৫ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল মাভেলিকারার অতিরিক্ত দায়রা আদালত। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি শোনালেন অতিরিক্ত জেলা জজ ভিজি শ্রীদেবী। আদালত জানিয়েছে, আসামীদের মধ্যে আটজন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। বাকি আসামীদের এই অপরাধের ষড়যন্ত্রে সামিল থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত এই আটজন হল – নিজাম, আজমল, অনুপ, মহম্মদ আসলাম, সালাম, আব্দুল কালাম, সফরউদ্দিন, মুনশাদ, জাজিব, নওয়াজ, শেমির, নাজির, জাকির হুসেন, শাজি এবং শামনাজ। 

    আরও পড়ুন: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    ঘটনার তদন্ত

    আলাপুঝার সহকারী পুলিশ সুপার এনআর জয়রাজ এই ঘটনার তদন্ত করেন। ১,০০০টিরও বেশি নথি এবং ১০০টিরও বেশি অন্যান্য প্রমাণ-সহ চার্জশিট দাখিল করে তাঁর নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। সেই সব প্রমাণের মধ্যে ছিল আঙ্গুলের ছাপ, ফরেন্সিক অনুসন্ধান রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ এবং গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে অপরাধীদের গতিবিধির মানচিত্র ইত্যাদি। পিএফআই-এর মূল সংগঠন এসডিপিআই-এর রাজ্য সম্পাদক কেএস শানের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হত্যা বলে দাবি পুলিশের। ঘটনাটি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের সমান বলে আদালতে সওয়াল জবাবে জানিয়েছিল পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: বরানগরে তৃণমূল কর্মীর রহস্য মৃত্যু! খুনের অভিযোগ পরিবারের

    Baranagar: বরানগরে তৃণমূল কর্মীর রহস্য মৃত্যু! খুনের অভিযোগ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগরে (Baranagar) এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।  শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বরানগরের লেকভিউ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আশিস দে (৫২)। তাঁর বাড়ি বরানগরের প্রামাণিকপাড়ায়। লেকভিউ এলাকার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Baranagar)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস দে তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। পেশায় তিনি প্রোমোটার। ২৫ তারখি সন্ধ্যায় আশিসবাবুর মোবাইলে ফোন আসে। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে যেতে বলা হয়। ফোন পাওয়ার পরই তিনি সেখানে বেরিয়ে যান। আর তিনি বাড়ি ফেরেন নি। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্ত্রী তাঁকে ফোন করেন। তখন তিনি হাসপাতালে রয়েছি বলে জানান। পরে, আর যোগাযোগ হয়নি। রাতে বাড়়ি না ফেরায় আশিসবাবুর স্ত্রী তাঁর মোবাইলে ফের ফোন করলে সুইচড অফ আসে। শুক্রবার সকালে পুলিশ আশিসবাবুর মৃত্যু খবর জানান। আশিসবাবুর স্ত্রী অপর্ণা দে বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা ছিল না। তাঁর কোনও শত্রুও ছিল না। বন্ধুর মা হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। তারপর বরানগরের (Baranagar) লেকভিউ এলাকায় তাঁর দেহ মেলে। আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বরানগর (Baranagar) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ণ বসু বলেন, আশিসবাবু আমাদের দলের কর্মী। কেন এরকম ঘটনা ঘটল তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির মা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে খালে ফেলে থানায় ডায়েরি, আত্মহত্যার নাটক স্বামীর!

    North 24 Parganas: স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে খালে ফেলে থানায় ডায়েরি, আত্মহত্যার নাটক স্বামীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যমগ্রামে দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া! স্ত্রীকে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে খালে ফেলল স্বামী। এখনও পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রামের সেই খাল থেকে মুখের কিছুটা অংশ, হাতের টুকরো উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে গলার নীচ থেকে পেট পর্যন্ত অংশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলার নাম সায়রা বানু। পরে, থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তাঁর স্বামীও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তিনি বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের নজরবন্দি রয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে খালে ফেলে দেওয়া হয় (North 24 Parganas)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে খুন করে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন স্বামী। তার পর সেই টুকরো ছড়িয়ে দেন খালের জলে। যাতে কারও সন্দেহ না হয় সে জন্য উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিতভাবে স্ত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগও জানান বছর ৫৫-এর নুরউদ্দিন মণ্ডল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। পুলিশি তদন্ত খানিকটা এগোতেই তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, নুরউদ্দিন নিজেই স্ত্রীকে খুন করেছেন। তার পর দেহকে কয়েক টুকরো করে মধ্যমগ্রাম থানার রোহান্ডার খালের জলে ছড়িয়ে দিয়েছেন। মধ্যমগ্রামের এই ঘটনায় দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার ঘটনার ছায়া দেখছেন অনেকে। ২০২২ সালের ঘটনায় শিউড়ে উঠেছিল দেশ। লিভ ইন পার্টনারের দেহ ৩৫ টুকরো করে তা ফ্রিজে ভরে রেখেছিল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তারপর ধীরে ধীরে তা জঙ্গলে ফেলে আসত। সেই একই ঘটনা সাক্ষী থাকল মধ্যমগ্রাম।

    জমি নিয়ে বিবাদেই খুন!

    নুরউদ্দিনের স্বীকারোক্তি অনুসারে তার বাড়ির পাশে রাতেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তল্লাশিতে সায়রা বানুর একাধিক দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। বাকি দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে। ওদিকে অভিযুক্ত বর্তমানে বারাসত হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তাকে নজরবন্দি করে রেখেছেন পুলিশকর্মীরা। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে সূত্রের খবর। নুরউদ্দিনের শ্যালক কালাম সাহেব বলেন, জমি নিয়ে দিদির সঙ্গে জামাইবাবুর ঝামেলা চলছিল। দিদির নামে থাকা জমি জামাইবাবু নিজের নামে করতে চাইছিলেন। সেটা নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। তিনদিন ধরে খোঁজ মিলছিল না। পরে, খালের ভিতর থেকে বস্তার মধ্যে দেহের অংশ উদ্ধার হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share