Tag: Murder

Murder

  • Enforcement Directorate: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত ছিল এই শাহজাহান

    Enforcement Directorate: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত ছিল এই শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তাঁর ডেরায় ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতেই আক্রান্ত হন আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা হতেই রাজ্য জুড়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই তৃণমূল নেতা। এর আগেও নিজের দাপট দেখিয়েছে গুণধর এই তৃণমূল নেতা। পাঁচ বছর আগে তিন বিজেপি নেতা খুন হন সন্দেশখালির ন্যাজাটে। এই খুনের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন এই শাহজাহান।

    রোহিঙ্গাদের দিয়ে বিজেপি নেতাদের নৃশংশভাবে খুন করা হয়েছিল! (Sandeshkhali)

    ২০১৯ সালে রাজ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। সেই সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বহু এলাকার পাশাপাশি ন্যাজাটেও বিজেপি কর্মীরা প্রচুর দলীয় পতাকা লাগিয়ে রেখেছিলেন। ২০১৯ সালে ৮ জুন বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শাহজানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বৈঠকের পরই তৃণমূল ন্যাজাট এলাকায় মিছিল বের করে। তারপরই বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালানো হয়। দলীয় পতাকা খুলে ফেলা হয়। লোকসভা ভোটে এলাকায় সক্রিয়ভাবে যাঁরা বিজেপি-র হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে গুলি করে খুন করা হয়। মৃতদের নাম সুকান্ত মণ্ডল, তপন মণ্ডল এবং প্রদীপ মণ্ডল। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বিজেপি স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি এবং অন্য দুজন ‘শক্তি প্রমুখ’। রোহিঙ্গাদের এই দেশে আশ্রয় দেওয়ার মূল কারিগর এই শাহজাহান। চোখ উপড়ে যে কায়দায় নৃশংসভাবে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হয়েছিল, তার পিছনে রোহিঙ্গারা রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন।

    পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করেছিল!

    তিন বিজেপি কর্মী খুন হওয়ার পর পরিবারের লোকজন শাহজাহানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। এমনিতেই সেই সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ছিলেন শাহজাহান। ফলে, পুলিশও তাঁকে ঘাঁটাতে সাহস পায়নি।  পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। বিজেপি প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। অনেক টালবাহানার পর শাহজাহানের নামে থানায় এফআইআর হয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কিছুদিন পরই তাঁকে ফের রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা যায়। এর পরই আদালত জামিন নেন শাহজাহান। তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুলিশের একাংশের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা থাকায় বিজেপি কর্মীদের খুন করার পর এলাকায় দাপটের সঙ্গে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। এবারও ইডি-র উপর তাঁর বাহিনী হামলা চালিয়ে নিজের দাপট যে একটুও হারিয়ে যায়নি তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের এই কুখ্যাত নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের গুঁতো খেয়েই ফিরল হুঁশ, বারাকপুর পুলিশ ছুটল অভিযুক্তকে ধরতে

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের গুঁতো খেয়েই ফিরল হুঁশ, বারাকপুর পুলিশ ছুটল অভিযুক্তকে ধরতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির ধমক খেয়ে হুঁশ ফিরল পুলিশের। বুধবার আদালত থেকে পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বলা হয়েছিল, ‘পুলিশ পুরো মেডেল পাওয়ার মতো কাজ করেছে!’ গত ছয়মাস ধরে যে খুনের মামলার কোনও গতি-প্রকৃতি ছিল না, বিচারপতির গুঁতোয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সক্রিয় হল। আজ বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুলিশ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং খুনের ধারা যুক্ত করার কথা বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি (Calcutta High Court)

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “একজনকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলা হয়েছে, এরপর নীচে নেমে পেটানো হল। এরপরও পুলিশ খুনের ধারা যোগ করার অভিযোগ পেল না! এটাই কি এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা! সেই সঙ্গে বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার পর্যবেক্ষণ করে বলেন, “এই ঘটনায় সকল অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পুলিশ কিছুই করেনি। মামলায় সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” উল্লেখ্য এক ব্যক্তিকে ছাদ থেকে ফেলে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। বারাকপুর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ছয়মাস ধরে মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। খুনের মামলায় পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও পুলিশ তৎপর

    আদালতে বিচারপতির (Calcutta High Court) ধমকের পর আজ বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট রিপোর্ট দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জানায় যে গতকাল আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। খুনের ওই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং খুনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্যবারাকপুর সিপি গত ছয়মাসে যা করেননি কার্যত আদালতের ধমক খেয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় হয়েছেন। ফলে পুলিশ প্রশাসন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, তা আরও একবার স্পষ্ট বলে এলাকার মানুষ দাবি করে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ২৩ জুন, খড়দহ থানার টিটাগড়ের লক্ষ্মীঘাট এলাকায়। বাড়িভাড়াকে ঘিরে বচসার কারণে আহত হন গোবিন্দ যাদব। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরজিকর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ খুনের ধারা যোগ করেনি পুলিশ। এরপর মামলা গড়ায় উচ্চ আদালতে। এই মামলায় পুলিশকে তীব্র ধমক দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কাছ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় এক শিশুকন্যা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিথর দেহ উদ্ধার হয় তার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার একটি গ্রামে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম এরশাদ মালি। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্য হাতে পেয়ে পুলিশ কর্তারা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    ধর্ষণ করে শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন! (Howrah)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায় শিশুকন্যাটি বাড়ির সামনে খেলছিল। সেখান থেকেই রহস্যজনকভাবে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, অন্য একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে মেয়েটির বস্তাবন্দি দেহ মেলে। তারপরেই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় এরশাদকে সাইকেলে করে ওই বস্তা নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে অভিযুক্ত এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে কবুল করে, বাড়ির সামনে থেকে মেয়েটিকে ভুলিয়ে কিছুটা দূরে বস্তির একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে প্যান্ডেল বাঁধার কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ব্যাগে ভরে।

    ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কী পেল পুলিশ?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত এরশাদের বাড়ি কলকাতার মেটিয়াবুরুজে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বিদ্যুতের মিস্ত্রি হিসাবে একটি ঠিকা সংস্থার হয়ে হাওড়ার ওই গ্রামে কাজ করতে এসেছিল। এর পরেই তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানান, এর আগে ২০২০ সালেও এরশাদের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। বরাতজোরে শিশুটি রক্ষা পায়। এরশাদকে সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সে জামিন পায়। এবারও সেই একই কায়দায় ধর্ষণ করে খুন। সাইকো কিলার কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৪, গোষ্ঠী সংঘর্ষেই কি খুন?

    South 24 Parganas: গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৪, গোষ্ঠী সংঘর্ষেই কি খুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুনের ঘটনা যেন রাজ্যে থামছেই না। জয়নগরের পর ফের গোসাবা (South 24 Parganas)! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতার খুনে গ্রেফতার হল ৪ জন। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৪ জনেই তৃণমূলের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। গতকাল সোমবার রাস্তা সারাইয়ে ব্যবহার করা সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন করলে এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এরপর ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয়ে স্পষ্ট হল। প্রত্যেকে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।

    অভিযুক্ত চার জনের পরিচয় কী (South 24 Parganas)?

    বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি মোছাকুলি মোল্লাহত্যার পিছনে যে চারজন রয়েছে তারা হল, রউফ মোল্লা, ইমরান মোল্লা, ফারুক বৈদ্য এবং আনার জমাদার। হত্যার পিছনে তৃণমূল দলের দুষ্কৃতীরাই জড়িত ছিল বলে আগে থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে পরিচয়ে আরও স্পষ্ট হল এলাকায় ধৃতরা সকলেই তৃণমূলের হয়ে কাজ করতেন।

    কীভাবে ঘটেছিল খুনের ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশের অধীনে পূর্ব রাধানগর এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন মোছাকুলি মোল্লা। এলাকায় এক কিলোমিটার রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। কিন্তু নিম্নমানের জিনিস ব্যবহারের কারণে, বচসা বাঁধে বাকিবুর মোল্লা নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লোহার রড দিয়ে মোছাকুলিকে ব্যাপাক মারধর করা হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    উল্লেখ্য, রাজ্যে গত কয়েক মাসে একাধিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিরোধীরা বার বার শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানিয়েছে জয়নগর বা বগটুইয়ের মতো জায়গাগুলিতে শাসক দলের নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রে যারা খুন করছে তারা তৃণমূলের কর্মী এবং যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরাও তৃণমূলের কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জয়নগর, আমডাঙার পর এবার গোসাবা! ফের তৃণমূল নেতা খুন

    South 24 Parganas: জয়নগর, আমডাঙার পর এবার গোসাবা! ফের তৃণমূল নেতা খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এভাবে দলের কর্মীদের হাতে বেঘোরে প্রাণ দিতে হবে তা ভাবতে পারেননি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবার তৃণমূলের বুথ সভাপতি মুছাকালি মোল্লার পরিবারের লোকজন। এর আগে এই জেলার জয়নগরে সইফুদ্দিন লস্কর নামে এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এর পরই উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা থানার কামদেবপুর বাজার এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা মেরে খুন করা হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের এবার গোসাবায় খুন হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটজনকে আটক করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রাধানগর-তারানগর এলাকায় পথশ্রীর রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত। সেই রাস্তা নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করার প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি মুছাকালি মোল্লা। এরপরেই স্থানীয় এক গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে ওঠে। মুছাকালি মোল্লাকে বেধড়ক পেটানো হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হলে তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এদিন বিকেলে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, রাস্তার কাজের সঙ্গে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর লোকজন জড়িত ছিল। তাই, প্রকাশ্যে নিম্নমানের রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তারা শিক্ষা দিতে তাঁর উপর চড়াও হয়। তাই, এই ঘটনায় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী জড়িত বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কিছুদিন আগেই জয়নগর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এবার সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল গোসাবায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murder: জোরে গান চালানোর প্রতিবাদ করায় গলায়, ঘাড়ে, পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে খুন

    Murder: জোরে গান চালানোর প্রতিবাদ করায় গলায়, ঘাড়ে, পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের বক্স বাজানো নিয়ে বচসা, তার জেরেই খুন (Murder) হতে হলে তরতাজা যুবককে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সাহেব আলি (২২)। এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে চিংড়িঘাটা এলাকা। স্থানীয়রা দফায় দফায় অবরোধ করেন। ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত বিট্টু সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ মৃত সাহেব আলিকে গলায়, ঘাড়ে, পেটে, কাঁচি ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপরে সাহেব আলিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Murder) বলে ঘোষণা করেন।

    বিপাকে পড়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন মন্ত্রী সুজিত বসু

    এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা চিংড়িঘাটা এলাকা। রবিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা চিংড়িঘাটা এলাকা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষজন।  নিজের বিধানসভাকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় কার্যত বিপাকে পড়েন মন্ত্রী সুজিত বসুও। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে দেখা যায় তাঁকে। স্থানীয়দের সঙ্গে সুর মেলাতেও দেখা যায় মন্ত্রীকে। প্রকাশ্যেই মন্ত্রী ঘোষণা করেন, দোষীর শাস্তি হবে।

    মূল অভিযুক্ত বিট্টু সর্দারকে আটক করেছে পুলিশ

    এই ঘটনায় স্থানীয়রা জানান যে মূল অভিযুক্ত বিট্টু সর্দার, এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী (Murder) বলেই পরিচিত। এর আগেও একাধিক দুষ্কৃতীমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার যোগ থাকার প্রমাণও মিলেছে। বার কয়েক জেলও খেটেছে সে। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয় সে। জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে বিট্টুর খোঁজ চালাতে থাকে পুলিশ। বিট্টুর বাড়িতেও চড়াও হয় স্থানীয় মানুষজন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিট্টুর স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর পরেই বিট্টুকে একটি ট্যাক্সির ভিতরে আবিষ্কার করে স্থানীয়রা। উপস্থিত জনতা বিট্টুর ওপর চড়াও হয়। হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই দিয়েই মারধর চলতে থাকে বিট্টুকে (Murder)। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘এর আগেও বিট্টুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি জেল খেটেছেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। শনিবার রাতের ঘটনা স্বতন্ত্র। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম কীভাবে, পুলিশকে শেখাচ্ছেন অর্জুন সিং!

    Barrackpore: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম কীভাবে, পুলিশকে শেখাচ্ছেন অর্জুন সিং!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও অপরাধে লাগাম টানতে পারেনি। এক বা দু’বার নয়, বার বার অপরাধীরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে খুন করছে। ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। শুধু সামান্য বিষয় নিয়ে গন্ডগোলের জেরে মুড়়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি হচ্ছে। কার্যত বারাকপুর শিল্পাঞ্চল অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও বারাকপুরের সাংসদ কয়েক দফা দাওয়াই দিয়েছেন। সেগুলি মেনে চললে শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম টানা সম্ভব বলে সাংসদের দাবি। তিনি বলেছেন, আমার বাবা, দাদু সকলেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অপরাধে কী করে লাগাম টানতে হয়, তা আমি জানি। এই শিল্পাঞ্চলে হুকিং, জুয়া আর হেরোইন বন্ধ করতে হবে। এখান থেকে অপরাধীদের হাতে কাঁচা পয়সা আসে। আর তাতে জোর বেড়ে যায়। এই তিনটি জিনিস বন্ধ করতে হবে। আর অপরাধীদের এলাকার বাইরে, নাহলে জেলে রাখতে হবে। এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া হলেই শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম টানা যাবে। যদিও তাঁর এইসব বাণী শুনে আড়ালে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। কারণ, জনশ্রুতি আছে, বারাকপুর এলাকাজুড়ে তাঁর আগোচরে নাকি কোনও অপরাধই সংঘটিত হতে পারে না। সে হেন অর্জুন দিচ্ছেন নীতিশিক্ষার পাঠ? 

    নাইন এমএম দিয়ে তৃণমূল কর্মী ভিকিকে খুন! (Barrackpore)  

    বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে অপরাধীদের হাতে সহজেই সেভেন এমএম, নাইন এমএম পৌঁচ্ছে যাচ্ছে। ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে নাইন এমএম দিয়ে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নাইন এমএম খোল উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে, ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও মূল অপরাধী তো দূরের কথা, যারা খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের নাগাল পেল না পুলিশ।

    জেলে বসেই হচ্ছে সমস্ত অপরাধের পরিকল্পনা

    জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। জগদ্দল থানার ভাটপাড়ার পুরসভায় এলাকায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আরও একবার প্রমাণ করে দিল। বছরখানেক আগে বারাকপুরে নামী বিরিয়ানি দোকানের মালিকের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই হামলার ছকও হয়েছিল দমদম জেলে বসে। তদন্তে পুলিশের হাতে এই তথ্য আসে। কিছুদিন আগে পলতা এলাকায় এক তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। সেই ঘটনার পরিকল্পনা জেলে বসেই হয়েছিল। পাশাপাশি জেল থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে তোলার টাকা চাওয়া হয়। বার বার জেলের নাম সামনে আসতেই  বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট পক্ষ থেকে বারবার দমদম জেল ও বারাকপুর জেল কর্তৃপক্ষকে দুর্গা পুজোর আগে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ভাটপাড়ার ঘটনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। জেলে বসেই দাগি অপরাধীরা অনায়াসেই মোবাইল ব্যবহার করছেন। আর সেই মোবাইল থেকেই আসছে তোলাবাজি ও খুনের হুমকি ফোন। রীতিমতো ত্রাসের সৃষ্টি হচ্ছে ওইসব ফোন। ফোনের পর ঘটে যাচ্ছে একটার পর একটা ঘটনা। তৃণমূল কর্মী ভিকিকেও জেল থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খুনে অধরা মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ

    North 24 Parganas: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খুনে অধরা মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার পঞ্চায়েত প্রধান খুনের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও এক অভিযুক্ত ছাড়া কাউকেই পুলিশ ধরতে পারেনি। ঘটনার মূল চক্রী আবু তোয়েব হোসেন মণ্ডলকে আটক করার পরেও ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এই অভিযোগ তুলে আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন নিহত শাসক দলের প্রধানের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে আমডাঙা থানার আইসিকে বিধায়ক ফোন করে খুনে জড়িতদের ধরার কথা বলেন। দ্রুত ব্যবস্থা না-নেওয়া হলে সর্বোচ্চ স্তরে বিষয়টি জানানো হবে বলে তিনি মৃতের পরিজনদের আশ্বাস দিয়েছেন।

    সোমবার ছিল রূপচাঁদের পারলৌকিক কাজ (North 24 Parganas)

    গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার কামদেবপুরহাট সংলগ্ন রাস্তার ধারে দুষ্কৃতীদের বোমায় নিহত হন পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। পরের দিন মৃতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দেন। দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সাংসদ অর্জুন সিং। সোমবার ছিল রূপচাঁদের পারলৌকিক কাজ। তাঁর বাড়িতে প্রথমে গিয়েছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পরে পৌঁছান আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। বাড়িতে বিধায়ক আসতেই তাঁকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকজন ও তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। বিধায়ক রফিকুর রহমানের কাছে জবাব চান মৃতের আত্মীয়া।

    নিহত তৃণমূল প্রধানের স্ত্রী কী বললেন?

    মৃত রূপচাঁদের স্ত্রী সুরূফা বিবির অভিযোগ, ‘চার দিন কেটে গেলেও এখনও স্বামীর খুনিদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মূল অভিযুক্ত তোয়েবকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু, তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখনও সে অধরা। আমি চাই, দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।’ মৃতের পরিজনদের আরও অভিযোগ, ‘সঠিকভাবে তদন্ত করলে এফআইআরে নাম থাকা তোয়েব-সহ চার জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারত।’ তাঁরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানান।

    আমডাঙার বিধায়কের কী বক্তব্য?

    আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর বলেন, ‘এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। তাদের ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিকই। চার দিন পরেও কেন বাকি অভিযুক্তরা ধরা পড়ল না, সেই দাবি করেছেন নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। আমি আইসির সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি ওনারা তোয়েবকে আটক করার পর ছেড়ে দেওয়ার যে অভিযোগ করছেন, সেটা নিয়েও কথা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে স্ত্রী, দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী

    Khardah: পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে স্ত্রী, দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী, দুই সন্তান সহ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রবিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে খড়দার (Khardah) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের করবি টাওয়ার্স ফ্লাটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি স্বামী। এরপরই স্ত্রী, দুই সন্তানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম বৃন্দাবন কর্মকার। তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী কর্মকার, মেয়ে দেবলীনা কর্মকার এবং আট বছরের ছেলের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃন্দাবনবাবুর বাড়ি খড়দার (Khardah) আদর্শপল্লি এলাকায়। তিনি বলরাম হসপিটালের কাছে এম এস মুখার্জি রোডে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। ব্যারাকপুর শান্তিবাজারে তাঁর একটি কাপড়ের দোকান ছিল। জানা গিয়েছে, আদর্শপল্লির জায়গাটিকে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার জানা গিয়েছে, আদর্শপল্লির জমিতে প্রোমোটিং হচ্ছে বলে তিনি ভাড়া বাড়়িতে পরিবার নিয়ে থাকছিলেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, কালীপুজোয় তিনি এবার প্রতিমা ও বেনারসী দিয়েছিলেন। ফল দিয়ে তৈরি মালাও দিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই আবাসনে দুই সন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন এক ব্যবসায়ী। সকালে ঘরের দরজায় বার বার বেল বাজিয়ে ডাকলেও কোনো সাড়া মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা খড়দা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে খবর দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। দরজা ভেঙে পুলিশ ঘরে ঢুকে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় দুই সন্তান সহ স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর ব্যবসায়ীর ঘরের ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে?

    ঘরের ভিতর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে লেখা রয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে এক যুবকের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। বার বার বলার পরও সে কর্ণপাত করেনি। তাই, এই চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার একটি দোকান থেকে রুটি কিনতে শেষবার ব্যবসায়ীকে দেখা গিয়েছিল। তারপর আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এদিন ঘর থেকে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

    পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    খড়দা (Khardah) পুরসভার চেয়ারম্যান নীলু সরকার বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। এই ঘটনার পিছনে যে কারণ রয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। আমরা ওই ব্যবসায়ীর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগযোগ করার চেষ্টা করছি।

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) আশিস মৌর্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেন। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, তিনি বলেন, সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। একান্তই পারিবারিক, না অন্য কিছু রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    North 24 Parganas: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙায় তৃণমূল প্রধান মহম্মদ রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম আনোয়ার হোসেন। তার বাড়ি বোদাই এলাকায়। তার বাবা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ফলে, গোষ্ঠী কোন্দলের যে অভিযোগ উঠছে, এই গ্রেফতারির ঘটনায় তা আরও জোরালো হল।

    কে এই রূপচাঁদ? (North 24 Parganas)

    রূপচাঁদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙায়। তিনি এক সময় এলাকায় ছোটখাট জমির দালালি করতেন। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শাসক দলের নেতার সঙ্গে তিনি ওঠাবসা শুরু করেন। সামান্য জমির দালালি করা রূপচাঁদ রাতারাতি জমি মাফিয়া হয়ে ওঠেন। দুহাতে টাকা কামাতে থাকেন। সব সময় চারচাকা করে এলাকা ঘুরতেন তিনি। তৃণমূল দল করলেও কোনও পদ না থাকায় রাজনৈতিক সম্মান মিলছিল না তাঁর। তাই, পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর মনস্থির করে্ন। কিন্তু, প্রথমে টিকিট না মিললেও নিজের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব খাটিয়ে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হন। ভোটে জিতেও যান। ভোটে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন বলে এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায়। পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে তিনি থাকতে রাজি ছিলেন না। তাই, তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েও প্রধান হয়েছিলেন। বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা তাঁকে দিতে হয়েছিল বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে। শুরু হয়েছিল ক্ষমতা আর এলাকা দখলের লড়াই। ফলে, রাজনীতির থেকে তাঁর ব্যক্তিগত শত্রু বেড়ে গিয়েছিল। আর তাঁর পরিণতিতেই অকালেই খুন হতে তাঁকে।

    কেন খুন?

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা এলাকায় রয়েছে কামদেবপুর হাট। এই হাটের দখলদারি ছিল তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর হাতে। প্রধান হওয়ার পর হাটের দখলদারি নিজের অধীনে আনার চেষ্টা করেছিলেন রূপচাঁদবাবু। আর তাতেই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এমনিতেই দলের প্রধান হওয়ার পর নিজের মতো করেই চলতেন। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনেক সময় তিনি পাত্তা দিতেন না। আর এলাকায় জমি মাফিয়া হিসেবে পরিচিত থাকায় তাঁকে কেউ বেশি ঘাঁটাত না। প্রধান হওয়ার পর তিনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে থাকেন। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর পক্ষে তা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। পথের কাঁটা সরাতে রূপচাঁদকে খতম করার পরিকল্পনা করে তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন। আমডাঙা ও বোদাই পঞ্চায়েতের মধ্যে কামদেবপুর হাটের দখলদারি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব ছিল বলে অভিযোগ, তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর আনোয়ার হোসেন নামে প্রথম গ্রেফতারির পর জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি বোদাই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। আর যে কামদেবপুর হাটের দখলদারি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল বলে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে খুন করে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহত তৃণমূল প্রধানের ভাই কী বললেন?

    নিহত তৃণমূল প্রধানের ভাই লালচাঁদ মণ্ডলের দাবি, ‘কোনও রাজনৈতিক কারণ নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার শিকার হয়েছেন রূপচাঁদ’। খুনের ঘটনার জেরে এদিন সকাল থেকে থমথমে এলাকা। কামদেবপুর হাট বন্ধই থাকে শুক্রবার। তবে, যেটুকু মানুষের আসা যাওয়া হয়, সেটাও এদিন হয়নি এই হাটকে ঘিরে। ভর সন্ধ্যায় যখন হাট প্রচুর মানুষের আনাগোনা ছিল, তার মধ্যেই খুন করা হয় ওই তৃণমূল নেতা। খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share