Tag: Murder

Murder

  • Rape: বড়ঞায় যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে মাথা কেটে উধাও অভিযুক্ত, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Rape: বড়ঞায় যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে মাথা কেটে উধাও অভিযুক্ত, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে যুবতীকে ধর্ষণের (Rape) পর খুন করে কাটা মুণ্ডু নিয়ে চম্পট দিল অভিযুক্ত। শনিবার রাতে হারহিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার বিছুর গ্ৰামে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। যুবতীর কাটা মুণ্ডু রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যুবতীর পরিচয়ও জানা যায়নি।  রাজ্যে মহিলাদের যে নিরাপত্তা বলে কিছু নেই, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিছুর গ্রামে হুড়োগাছা পুকুরের পাশে ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার রাতে ওই পুকুরের পাশে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুকুরের পাশেই তাঁর দেহ পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। শনিবার রাতে ওই যুবতীকে প্রথমে ধর্ষণ (Rape) করা হয়। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কার্যত নৃশংসভাবে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্যই খুনি ওই কাটা মুণ্ডু নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বড়ঞা থানার পুলিশ প্রশাসন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দা চিন্ময় রায় বলেন, এই ধরনের ঘটনা শুনেই আতঙ্ক লাগছে। আমাদের এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এই যুবতী অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিল। ধর্ষণ (Rape) করা হয়েছে বলে জানতে পারছি। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। মর্মান্তিক এমন ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যে বা যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা মাহে আলম বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তবে, ওই যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনাটি আমাদের থানা এলাকার নয়। অন্য কোথাও  অপকর্ম করে এই এলাকায় দেহ ফেলে যেতে পারে। তবে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তারা এই ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে পারবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা শংকর তরফদার বলেন, রাজ্যে খুন, ধর্ষণ (Rape)  লেগেই রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এই রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হতেই পিটিয়ে খুন এক মহিলাকে, তীব্র উত্তেজনা

    Murshidabad: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হতেই পিটিয়ে খুন এক মহিলাকে, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহিলাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ, অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃত ওই মহিলার নাম খাতুন বেওয়া, বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকল থানার ১০ নম্বর ঘোড়ামারা অঞ্চলের হারুরপাড়া এলাকায়। গতকাল রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে এই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করে এবং আজ সকালে বহরমপুরের মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। 

    কীভাবে ঘটল খুনের ঘটনা (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে জানা যায়, কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন খাতুন বেওয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে বাক্‌বিতন্ডা শুরু হয়, তারপরেই মারধর করা হয়য় ওই কংগ্রেস কর্মীকে। আজ সকাল নটা নাগাদ ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারপর বেলা গড়াতেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় খাতুন বেওয়ার। ওই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছাড়ায় এলাকায়।

    স্থানীয়র বক্তব্য

    ডোমকলের স্থানীয় (Murshidabad) বাসিন্দা বিল্লারুল রহমান বলেন, মৃত মহিলা এলাকায় ভিক্ষা করে কোনও রকমে দিনপাত করতেন। তাঁর বাড়িতে তেমন কেউ নেই। এলাকায় কংগ্রেসের অন্ধ ভক্ত ছিলেন। তিনি তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই একা একা বিস্ফরক বক্তব্য রাখতেন। গতকাল রাত ১১ টার সময় প্রথমে কিছু তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বচসা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে আরও বিস্ফরক মন্তব্য করলে, তাঁকে ওই দুষ্কৃতীরা প্রথমে প্রচুর গালিগালাজ করে এবং এরপর চলে যায়। কিন্তু রাত ২ টোর সময় ফের ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে আক্রমণ করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের মধ্যে এনামুল, যুগুল, বিশু আরও অনেকে ছিল। প্রত্যেকেই ওই মহিলাকে হাত পা চেপে গলার শ্বাসনালি টিপে ধরে ব্যাপাক মারধর করে। এই মারধরের ফলেই মহিলার মৃত্যু হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় নির্দল সমর্থককে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

    Nadia: নদিয়ায় নির্দল সমর্থককে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দল করার অপরাধে, এক ব্যক্তিকে ঘর থেকে বের করে, বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে খুন করল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নাকাশীপাড়া থানার বীরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। রাজ্যের ভোট পরবর্তীকালে নির্দল সমর্থকের খুনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কেন খুনের অভিযোগ (Nadia)?

    সুত্রের খবর, নদিয়ার (Nadia) বীরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সারবাড়ি এলাকায় খুন হওয়া নির্দল সমর্থকের নাম খবির শেখ। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি ওই এলাকার নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করেছিলেন। সেই কারণে ওই এলাকার শাসকদলের দুষ্কৃতীদের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন খবির। আরও জানা যায়, আগেও একাধিকবার খুনের হুমকি দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা তাঁকে। কিন্তু তৃণমূল না করে, ভোটের সময় কেবল নির্দল প্রার্থীকেই সমর্থন করেছেন খবির শেখ।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে প্রতিদিনের মতো ঘরে বসে সকলে মিলে ভাত খেতে বসেছলেন খবির। ঠিক তখনই ১০-১২ জনের তৃণমূল আশ্রিত এক দুষ্কৃতী দল, তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। এরপর তাঁকে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বাইরে বের করে নিয়ে আসে। এরপরই চলে বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক মারধর। মারধর করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন খবির। আতঙ্কিত পরিবারের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকাবাসী ছুটে এলে, ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় (Nadia) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    নির্দল সমর্থক খবির শেখের মৃত্যুর বিষয়ে ওই এলাকার এক বাসিন্দা আসমান শেখ বলেন, তিনি নির্দলএর কর্মী ছিলেন। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাড়ি (Nadia) থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করে। আর এই মারধরের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রশাসন অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    পুলিশের ভূমিকা

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনা রীতিমতো শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। ভোট পরবর্তী কালে এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনের প্রাণ গেছে। গতকাল নদিয়ায় আরও এক জনের প্রাণ গেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    Malda: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) দলীয় কর্মী বুরান মুর্মুকে খুনের প্রতিবাদে বিজেপির বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি আইসিকে ঝাঁটা দেখিয়ে প্রতিবাদ জানান মহিলা বিজেপি কর্মীরা। মারমুখী পুলিশকে কার্যত তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় উত্তপ্ত মালদা।

    থানা ঘেরাও কেন (Malda)?

    দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয় থানার (Malda) সামনে। পুলিশ বিক্ষোভে যোগদান করা আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। উল্লেখ্য, খুনের অভিযোগ উঠেছে মৃত বিজেপি কর্মীর ছেলের বিরুদ্ধে। ছেলে বিপ্লব মুর্মু এবং বৌমা শর্মিলা মুর্মুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আজ তাদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়। এই খুনের ঘটনায় আর যেসব তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যুক্ত রয়েছে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে বলে পুলিশের কাছে দাবি জানানো হয়।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    সাংসদ খগেন মুর্মু (Malda) বলেন, মৃত বুরন মুর্মু অনেক দিনের পুরাতন বিজেপি কর্মী। ছেলের বৌ তৃণমূলে দাঁড়ালেও নিজে দায়িত্ব নিয়ে আদিবাসী সমাজের মন জয় করে বিজেপি প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেন। এই নির্বাচন এবং জয়ের পিছনে বুরন মুর্মুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদিবাসী সমাজের কোনও ভোট তাঁর ছেলের বৌ তৃণমূলের জন্য পায়নি। তৃণমূল জয়ী হতে পারেনি বলে বুরনবাবুকে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।

    আইসিকে ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদ

    বিজেপির কর্মী-সর্মথকরা পুলিশ (Malda) ফাঁড়িতে চড়াও হয়ে খুনিদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানায় আইসির কাছে। ঝাঁটা উঁচিয়ে মহিলা বিজেপি কর্মীরা তেড়ে যান আইসির দিকে। বিজেপির অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় শাসকদলের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে বিজেপি কর্মীর বাবাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের ব্যবহারে মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে।আর সেই কারণেই এভাবে থানায় চড়াও হয়েছে তারা, দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    কেন খুন করা হয়েছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বৌমা। কিন্তু বাবা নিজে বিজেপি সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন বৌমা হেরেছে! সেই জন্য যাবতীয় আক্রোশের শিকার হন বিজেপি সমর্থক বাবা। মূলত খুনের কারণ এটাই ছিল। বাবাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিজের ছেলের বিরুদ্ধেই। মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকের মদনাবতীর কয়নাদিঘি গ্রামে। মৃতের নাম বুরন মুর্মু, অভিযুক্ত ছেলে বিপ্লব মুর্মু। বিপ্লব মুর্মুর স্ত্রী এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিল। আক্রোশের বশেই নিজের বাবাকে খুন করে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ছেলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীকে (TMC) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নান্টি গাজি। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। যদিও আইএসএফের পক্ষ থেকে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাসন্তীতে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটেছে?

    ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায় ভোটের ফল ঘোষণায় তৃণমূল জয়ী হয়। অনেক আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূল (TMC)  জয়লাভ করে। ভোটে জেতার আনন্দে শুক্রবার এলাকায় বিজয় উৎসব চলে। সেই ঘটনার পর রাতে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আইএসএফের বিরুদ্ধে এই বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে।  কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় বোমাবাজি করার প্রতিবাদ করতে যান। তারপরই আইএসএফ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের  লক্ষ্য করে তেড়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে  তৃণমূল কর্মীরা ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। ছুটতে গিয়ে নান্টু গাজি নামে ওই তৃণমূল কর্মী রাস্তায় পড়ে যান। ওই অবস্থায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জখম তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসকরা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তিরিত করা হয়।   সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, ভোট তৃণমূল অধিকাংশ আসনে জিতে গিয়েছে তা আইএসএফ কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। বিজয় মিছিল হওয়ার পর ওরা সন্ত্রাস করতে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ করার দলীয় কর্মীকে এভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।

    বাসন্তীতে চলল গুলি

    বাসন্তীতে ফের চলল গুলি। গুলিতে জখম হয়েছেন এক তৃণমূল (TMC)  কর্মী। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শামিম সর্দার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগের তির আর এস পির দিকে। রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল বিধয়াক পরেশরাম দাস বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাস চলছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। আরএসপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটছে। এরসঙ্গে আরএসপির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নবগ্রামে দুধ ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    Murshidabad: নবগ্রামে দুধ ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খুন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এবার খুনের ঘটনা ঘটল নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গৌর ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই জেলায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিনই সাগরদিঘি এলাকায় এক কংগ্রেস এজেন্টকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজেশ সেখ নামে কংগ্রেসের সেই এজেন্ট এতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবারই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের জেলায় খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সূত্র পাওয়া যায়নি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকার দুধ ব্যবসায়ী গৌর ঘোষ প্রতিদিনের মতো দুধ দিতে জারুলিয়া গ্রামে যান। বুধবার রাতে তিনি সেই গ্রামে গিয়েছিলেন। রাতে জারুলিয়া থেকে ফেরার পথে মাঝিগ্রাম গ্রামে ঢোকার রাস্তায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। কে বা কারা তাঁকে খুন করেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। এমনকী কারও সঙ্গে বিবাদও ছিল না তাঁর। তা সত্ত্বেও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে নবগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃতের দাদার বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। আমার ভাই কেমন তা এলাকার মানুষ জানেন। কারও সঙ্গে কোনও বিবাদ ছিল না। তারপরও এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, যে বা যারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: অধ্যাপিকা খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসিফই বারাকপুর খুনকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    Barrackpore: অধ্যাপিকা খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসিফই বারাকপুর খুনকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ঢুকে মালিকের ছেলেকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম আশিস কুমার ওরফে আসিফ নামে একজন পাটনায় এক অধ্যাপিকা সহ দুজনকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল। সেই দুষ্কৃতী জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনার পর তার নাগাল পায়নি পুলিশ।

    অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে?

    ২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পাটনার অভিজাত পাটলিপুত্র কলোনিতে এক আইএএস অফিসার টুকটুক ঘোষ এর বাংলোয় ডাকাতি করতে আসে আশিস কুমার সহ কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন আইএএস অফিসারের বোন পাপিয়া ঘোষ। তিনি দিল্লি ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা ছিলেন। সেই সঙ্গে খুন হন তাঁর বৃদ্ধা পরিচারিকা মালতি দেবী। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে ৩৪ বার নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল ৫৩ বছরের পাপিয়াকে। তাঁর বাবা পাটনার আইএএস অফিসার উজ্জ্বল কুমার ঘোষও খুন হন ১৯৫৭ সালে। তার ঠিক ৫০ বছর পর নৃশংসতায় খুন হন তাঁর মেয়ে। বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। তাঁর শিক্ষা দফতরের কাজে অন্যতম সহায়িকা ছিলেন পাপিয়া। তাঁর দিদি টুকটুক ঘোষ তখন ছিলেন লোকসভার তৎকালীন স্পিকার প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ সচিব। দেশের শিক্ষামহলে শোরগোল ফেলে দেওয়া সেই খুনে ধরা পড়েছিল আশিস কুমার নামের এক দুষ্কৃতী। ২০০৮ সালে সেই খুনে সাজা হয় আশিসের। সাজা শেষ করে গত বছরই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। সেই আশিসই নাম পাল্টে আসিফ নাম নিয়ে অপরাধ জগতে পা দেয়। বারাকপুরের (Barrackpore) স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে খুনের ঘটনায় এই আশিসের ওরফে আসিফের যোগ উঠে এসেছে তদন্তকারী গোয়েন্দাদের হাতে। আশিস ওরফে আসিফই বারাকপুরের (Barrackpore) ঘটনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এমনটাই উঠে এসেছে পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের হাতে।

    অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীর সোনার দোকানে যে চারজন দুষ্কৃতী ঢুকেছিল, তারমধ্যে শফি খান, জামশেদ আনসারিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আসিফ সহ দুজন পলাতক। সূত্র অনুযায়ী, আসিফের মোবাইল টাওয়ারের শেষ লোকেশন ওড়িশায় পাওয়া গিয়েছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শফি ২২ লক্ষ টাকা ডাকাতির মামলায় জেল খেটেছিল। পরে, ছাড়া পেয়ে পরিবার নিয়ে সে ঝাড়খণ্ডে চলে যায়। কিন্তু সেখান থেকে চলতি বছরের প্রথম দিকে সে রহড়ার পাতুলিয়ার একটি অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করে। ঘটনায় আর এক ধৃত শফির মামা জামশেদ আনসারিও একটি অপহরণের ঘটনায় বিহারের ভাগলপুর জেলে বন্দি ছিল। সেখানে আসিফের সঙ্গে তার আলাপ। জেল  থেকে বেরিয়ে ফের অপরাধ জগতে পা রাখে তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Life Imprisonment: ফলতার মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    Life Imprisonment: ফলতার মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতার সহরারহাটে মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে সাজা ঘোষণা করলেন ডায়মন্ড হারবারের এডিজি জয়প্রকাশ সিংহ। অভিযুক্ত ৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisonment) এবং ১ জনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন তিনি।

    কী ঘটনা ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৯ শে মার্চ সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার সহরারহাটের একটি মিষ্টির দোকানের মালিক কার্তিক ঘোষকে দোকানে ঢুকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর মোট ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে দুজন ফেরার থাকলেও ৯ জনকে গ্রেফতার করে ফলতা থানার পুলিশ। এরই মাঝে জেল হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক বন্দির মৃত্যু হয়। 
    গত সোমবার ডায়মন্ড হারবার এডিজি আদালতে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়ে অভিযুক্ত রাজা খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক জয়প্রকাশ সিংহ। অন্যদিকে বাকি সাতজন অভিযুক্ত মুজফফর মিস্ত্রী, উত্তম দোলুই, সবেদ আলি সেখ, সাহাজাদা পাইক, আক্তার উদ্দিন মোল্লা, কাদের সেখ এবং সাইদুল সেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) নির্দেশ দেন বিচারক।

    খুশি নন নিহতের মেয়ে

    অবশ্য নিজের বাবার খুনিদের সাজা ঘোষণার পর নিহত কার্তিক ঘোষের মেয়ে বলেন, তাঁর মৃত বাবা বিচার পেল না। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজা খানের মাত্র ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। আগামী দিনে মূল অভিযুক্ত রাজা খানের সর্বোচ্চ শাস্তির (Life Imprisonment) দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁরা। অপরদিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আইনজীবী সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, তাঁর মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে। এডিজি আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁরা।

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী স্বপনকুমার কপাট বলেন, ২০১৪  থেকে কার্তিক ঘোষ খুনের মামলা চলছিল। এই মামলায় মোট ৩৫ জন সাক্ষী ছিলেন। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর বিচারক মঙ্গলবার সাজা (Life Imprisonment) ঘোষণা করেন। সরকারি আইনজীবী পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বড় হয়ে নার্স হওয়ার ইচ্ছে ছিল মেয়ের। কিন্তু তা আর পূরণ হল না।’ আক্ষেপ কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নিহত সেই নাবালিকার মায়ের। বুধবার প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। আর সেখানে ২৪৩ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে কালিয়াগঞ্জের ওই নাবালিকা ছাত্রী, যার মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। দফায় দফায় উত্তেজনা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর চলেছিল কালিয়াগঞ্জে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত, গ্রামটিও এখন নীরব। শুধু সমাধির নিচে শায়িত রয়েছে সেই নাবলিকার মৃতদেহ। মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেও আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস নেই পরিবারের মধ্যে, রয়েছে শুধু বিষাদের ছাপ। নাবলিকার মা অশ্রুভেজা কণ্ঠে বলেন, “মেয়ে পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল। ইচ্ছে ছিল মানুষের মতো মানুষ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। মেয়ের ইচ্ছে ছিল, সে একজন নার্স হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখে খুবই দুঃখ হচ্ছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সেই আশা আর পূর্ণ হল না। যদি আজ মেয়ে বেঁচে থাকত, তাহলে রেজাল্ট দেখে কত আনন্দ পেত। দোষীদের চরম শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই।”

    বিষাদের সুর গ্রাম জুড়ে (Kaliaganj)

    ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকার মৃত্যুর (Kaliaganj) তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এমনকী দরকারে মৃতদেহ তুলতেও পারবে তদন্তকারী দল। এতকিছুর মধ্যেও মেয়েটির উচ্চ মাধ্যমিকের সফলতার পরও বিষাদের সুর গ্রাম জুড়ে। এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, “ছোটবেলা থেকেই ও পড়াশোনায় ভালো ছিল। মাধ্যমিকে রেজাল্ট ভালো করেছে। উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালো ফল করেছে। কিন্তু মেয়েটাই তো নেই, রেজাল্ট নিয়ে আর কী হবে? বলার ভাষা নেই। শুনেছি সিট গঠন করেছে। কিন্তু কী যে হচ্ছে?” তদন্ত তাড়াতাড়ি হোক, এটাই আশা গ্রামবাসীদের। অপরদিকে, সাহেবঘাটা এন এন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, “মেয়েটি ভালো রেজাল্ট করেছে। ক্লাস ফাইভ থেকেই ভা্লো ছাত্রী ছিল। খেলাধূলাতেও ভালো ছিল। আচার-আচরণও ছিল ভালো। মেয়েটি আজ নেই, খুব খারাপ লাগছে। আমরা বাকরুদ্ধ।”

    দোষীদের চরমতম শাস্তি চায় পরিবার (Kaliaganj)

    মেয়েটির স্বপ্ন পূরণ হল না। এই আক্ষেপেই দিন কাটাচ্ছোন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।  তাঁদের একটাই আশা, যে বা যারা প্রকৃত দোষী, তাদের চরমতম শাস্তি হোক। আর এই আশাতেই বুক বাঁধছে নাবালিকার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। এখন কবে তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে, সেটা সময়ের অপেক্ষা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: ত্রিশূল দিয়ে ঠাকুমাকে খুন করার অভিযোগ নাতির বিরুদ্ধে, কেন জানেন?

    Balurghat: ত্রিশূল দিয়ে ঠাকুমাকে খুন করার অভিযোগ নাতির বিরুদ্ধে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠাকুমাকে খুন করার অভিযোগ উঠল নাতির বিরুদ্ধে। পরে, নিজেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করল অভিযুক্ত নাতি। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শোবরা শ্যামপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুশীলা বর্মন (৫১)। আর অভিযুক্ত যুবকের নাম নয়ন বর্মন। সে বর্তমানে বালুরঘাট (Balurghat) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকলেও পরিবারের কেউই তার সঙ্গে দেখা করতে যায়নি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, হাসপাতালে পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে অভিযুক্ত যুবক। সুস্থ হলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বালুরঘাট ব্লকের শ্যামপুর এলাকার  সুশীলাদেবীর স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী। ছেলে অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। পুত্রবধূ অন্যত্র সংসার পেতেছেন। ছোটবেলা থেকে তাই এক নাতি ও নাতনিকে নিজের সন্তানের মতো করেই মানুষ করেছেন সুশীলাদেবী। বেশ কয়েক বছর আগে নাতি-নাতনির বিয়েও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু নাতি নয়ন বর্মন প্রায় নিয়মিত মদ খেয়ে এসে বাড়িতে অশান্তি করে বলে অভিযোগ। ৪ মে রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে নয়ন তার স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। নাতবউকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ঠাকুমা। আর ওই সময়ই পাশের মন্দির থেকে ত্রিশূল তুলে এনে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। পরে, মেঝেতে ফেলে বেধড়ক মারধর চলে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বালুরঘাট (Balurghat) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫ মে সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে ঠাকুমার মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্ত নয়ন বর্মন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নজর আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট (Balurghat) জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। 

    কী বললেন অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের লোকজন?

    অভিযুক্ত যুবকের বোন সনেকা বর্মন শনিবারই দাদার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন তিনি  বলেন, দাদা মদ্যপ অবস্থায় মাঝে মাঝেই আমার বউদি ও ঠাকুমাকে মারধর করত। ঘটনার দিন রাতে দাদা বাড়িতে এসে বউদিকে মারছিল। সেই সময় আমার ঠাকুমা প্রতিবাদ করলে ঠাকুমাকেই ত্রিশূল দিয়ে হামলা চালায় দাদা। যার জেরে ঠাকুমার মৃত্যু হয়েছে। আমি  দাদার কঠোর শাস্তি চাই। তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। শুনেছি, সে হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা দেখতে যাইনি। যাবও না। অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী আশা রায় বলেন, খুব ভালো মানুষ ছিলেন ঠাকুমা। তিনিই কষ্ট করে মানুষ করলেন, আর তাঁকেই যদি ও মেরে ফেলতে পারে, তাহলে তো সকলকেই মেরে ফেলতে পারে। তাই আমি চাই, ও যেন সারাজীবন জেলেই থাকে। স্বামীর জন্য একটুও আফশোস হবে না আমার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share