Tag: Murder

Murder

  • Student: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার! বিক্ষোভে উত্তাল এলাকা, গ্রেপ্তার ৩, কোথায় জানেন?

    Student: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার! বিক্ষোভে উত্তাল এলাকা, গ্রেপ্তার ৩, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর (Student) ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল আসানসোলের হিরাপুর থানার  নিউটাউন এলাকা । মৃত ছাত্রীর (Student) নাম কোয়েল হাঁসদা (২২)। মঙ্গলবার রাতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, গত ২৭ মার্চ থেকে ওই ছাত্রী (Student)  নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। ২৮ মার্চ নিউটাউন এলাকার ১২ নং রাস্তা থেকে ওই ছাত্রীর (Student)  ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বুধবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। হিরাপুর থানার সামনেই রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।  একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর (Student)  সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীর (Student)  দুর্গাপুরে বিয়ে ঠিক করে। সেটা ওই ছাত্রীর প্রেমিক জানতে পেরে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

    কী বললেন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা? Student

    অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন আদিবাসী সংগঠনের এক সদস্য বলেন “ওই ছাত্রীকে (Student)  পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি আরও বলেন “ দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যে আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন করা হয়। প্রশাসন এই ব্যাপারে কোনরকম কড়া পদক্ষেপ নেয় না। ফলে আদিবাসী সম্প্রদায়কে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়”।  বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে ।

    ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা? Student

     আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ডিসি (সেন্ট্রাল) অভিষেক মোদি বলেন, “ মৃতার বাড়ি থেকে অভিযোগ আসা মাত্র পুলিশ তদন্ত করে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে, তদন্তের মাধ্যমে জানা যায় তিন জন অভিযুক্ত এই ঘটনার সাথে যুক্ত। তারমধ্যে একজনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুমির মাড্ডি, রোহিত হাঁসদা এবং সুমিত্রা হেমব্রম।

    কী বললেন ছাত্রীর বাবা? Student

    ছাত্রীর (Student) মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা পরিবার জুড়ে। মৃত ছাত্রীর (Student)  বাবা লক্ষ্মীনারায়ণ হাঁসদা বলেন, “২৭ মার্চ মেয়ে একটি ফোন পেয়ে বেরিয়ে যায়। মেয়ের ফিরতে দেরি হওয়ায় তাঁর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ পাই। থানায় মিসিং ডায়েরি করি। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendhu Adhikari: বগটুইয়ে জমি পেল বিজেপি, ২১ মার্চ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন?

    Suvendhu Adhikari: বগটুইয়ে জমি পেল বিজেপি, ২১ মার্চ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বগটুই গ্রামের কথা মনে আছে। বীরভূমের রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর রাতের অন্ধকারে বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালের ২১ মার্চ নৃশংস এই গণহত্যার জন্য রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল রামপুরহাট শহর লাগোয়া এই বগটুই গ্রাম। এই গ্রাম ছিল তৃণমূলের খাসতালুক। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না।  এবার এই শহিদদের সন্মান জানাতে এই গ্রামে শহিদ বেদি তৈরি করছে বিজেপি। শুধু শহিদ বেদি তৈরি নয়, সেখানে শহিদদের সমবেদনা জানাতে সভাও করবে বিজেপি। এখন যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শহিদ বেদি তৈরির কাজ চলছে। মূলত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শহিদ পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বিজেপি নিজেদের জমি শক্ত করার চেষ্টা করছে বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করতে বিজেপি এই চক্রান্ত করছে। যদিও পাল্টা বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যারা শহিদ হবেন, তাঁদের এভাবে সম্মান জানানো হবে।

    ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে বিজেপির শহিদ স্মরণে কারা আসছেন? Suvendhu Adhikari

    তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা বগটুই গ্রামে তান্ডব চালিয়েছিলেন। নিরীহ মেয়ে, শিশু, বৃদ্ধাদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে গণহত্যা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন। সেই স্বজনহারা পরিবারের সদস্য শেখ বদর নলহাটিতে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendhu Adhikari) হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। শহিদদের সন্মান জানাতেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২২ সালে ২১ মার্চ নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ২১ মার্চকে সামনে রেখে বিজেপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বগটুই গ্রামে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শহিদ বেদি তৈরির কাজ চলছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendhu Adhikari) সহ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা গ্রামে যাবেন। বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আশপাশের চারটি গ্রামের সংখ্যালঘুরা হাজির হবেন। জানা গিয়েছে, স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির দেওয়ালে গড়ে উঠছে শহিদ বেদি। তিনি শহিদ বেদি তৈরি করার জন্যই জায়গা দিয়েছেন। মিহিলাল শেখ বলেন, “গত এক বছর আমরা শান্তি ঘুমতে পারছি না। মা-স্ত্রী-কন্যা সবাইকে হারিয়েছি। এই কষ্ট যেন আর কারও না হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে শহিদ বেদি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে আমি রাজি হয়েছি। ২১ মার্চ  আমরা স্বজনদের স্মরণ করব। তাই যারা আমাদের পাশে দাঁড়াবে তাঁদের সঙ্গে আমরা আছি।

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি এখন সংখ্যালঘু তোষণে নেমেছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে তারা। একটা বিভেদ করতে চাইছে। এলাকার মানুষ জানেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বজনহারাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূল কর্মীরা নিজের দলের কর্মী, সমর্থকদের খুন করেছে। এই কষ্টের দিনে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাইছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sushil Kumar: কুস্তিগীর সাগর ধনকড়ের হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন

    Sushil Kumar: কুস্তিগীর সাগর ধনকড়ের হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চরম বিপাকে অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমার (Sushil Kumar)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি ২০২১ সালের মে মাসে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তরুণ কুস্তিগীর সাগর ধনকড়কে (sagar dhankar) খুন করেছেন। দিল্লি আদালত বুধবার দু বার অলিম্পিকে পদকজয়ী এই কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। দিল্লি পুলিশ তাঁদের চার্জশিটে (Charge Sheet) জানিয়েছেন, মডেল টাউনে একটি ফ্ল্যাটের মালিক সুশীল কুমার। ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে সুশীল ও সাগরের মধ্যে এ নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছিল। তবে মে মাসের চার তারিখ রাতে বিষয়টি মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। সুশীল এবং তাঁর সহযোগীরা সাগর এবং তাঁর বন্ধুদের মারধর করেন। মারধরের আঘাতে সাগরের মৃত্যু হয়।

    গত বছর মে মাসে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে টানা লুকোচুরি খেলে দিল্লীর মুন্ডকা অঞ্চল থেকে গ্রেফতার হয় সুশীল। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ জেল হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। যদিও অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন এখনও পলাতক। সুশীল কুমার (Sushil Kumar) সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আজ চার্জশিট গঠিত হয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে খুন, খুনের চেষ্টা, হাঙ্গামা, অবৈধ জমায়েত, এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ একাধিক অভিযোগের।

    [tw]


    [/tw]

    যোগেশ্বর দত্ত, বজরং পুনিয়া এবং রবি দাহিয়ার মতো বহু খ্যাতিনামা অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগীরের কাছে সুশীল কুমার (Sushil Kumar) ছিলেন একজন অনুপ্রেরণা। বহু কুস্তিগীর তাঁকে দেখেই এই খেলায় আগ্রহ পেয়েছেন। কুস্তির জগতে সকলেই তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। কিন্তু প্রথমে হত্যার অভিযোগ এবং পরে এই চার্জ গঠনের ফলে তাঁর ইমেজে বড় দাগ পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    এর আগেও বহুবার সুশীল কুমারের (Sushil Kumar) পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হলেও তাতে কোর্টের সাড়া মেলেনি। জেলে সুশীল কুমার যোগা এবং ফিটনেস এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করছেন। বন্দিদের ফিট থাকার ক্ষেত্রে তাঁর এত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, সুশীল কুমার (Sushil Kumar) ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে একটি ব্রোঞ্জ এবং ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে একটি রৌপ্য জিতেছিলেন এবং ২০১০ সালে কুস্তিতে বিশ্ব শিরোপা জেতা প্রথম ভারতীয় তিনি। এছাড়াও কমনওয়েলথ গেমসে বেশ কয়েকটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এই কুস্তিগীর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Parachuri Abhijit: আমেরিকায় ফের খুন ভারতীয় ছাত্র, জঙ্গলে উদ্ধার দেহ

    Parachuri Abhijit: আমেরিকায় ফের খুন ভারতীয় ছাত্র, জঙ্গলে উদ্ধার দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় ফের এক ভারতীয় ছাত্রের (Indian Student Death In US) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে। একটি জঙ্গলে গাড়ির ভিতর থেকে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। মৃত পড়ুয়ার নাম পারাচুরি অভিজিৎ (Parachuri Abhijit)। বছর কুড়ির এই  ছাত্র অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের বাসিন্দা ছিলেন। এই নিয়ে চলতি বছরেই মোট আট ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল আমেরিকায়। 

    ঘন জঙ্গল থেকে মিলল দেহ

    পুলিশ সূত্রে খবর, আমেরিকার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন অভিজিৎ (Parachuri Abhijit)। সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, টাকা এবং ল্যাপটপের জন্য অভিজিৎকে খুন করেছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সন্দেহ, টাকাপয়সা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে অভিজিতের (Indian Student Death In US)। তার জেরে খুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলাকারীদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। অভিজিতের মৃতদেহ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঘন জঙ্গলে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দেহ ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে আমেরিকা প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    শোকাহত পরিবার

    পরিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন অভিজিৎ (Indian Student Death In US)। অভিজিতের বাবা পারাচুরি চক্রধর জানিয়েছেন, পুত্র বিদেশে পড়তে যেতে চাইলেও তাঁর মায়ের ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু তাঁর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাঁরা রাজি হয়েছিলেন। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় যথেষ্ট নামকরা। এই ঘটনার পর প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, অনেকেই অনুমান করছেন যে অভিজিতের (Parachuri Abhijit) সঙ্গে কিছু পড়ুয়ার মতবিরোধ হতে পারে। এই প্রথম নয়, এর আগেও আমেরিকায় গিয়ে খুন হতে হয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। তা-ও আবার কয়েক মাসের মধ্যেই আট জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে জো বাইডেনের দেশ থেকে। সম্প্রতি অমরনাথ ঘোষ নামে এক নৃত্যশিল্পী খুন হন ওয়াশিংটনে। বছর চৌত্রিশের অমরনাথ নৃত্যে স্নাতকোত্তর করতে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: শিশুসন্তান হত্যাকাণ্ডে ধৃত মায়ের হয়ে সওয়াল করলেন না কোনও আইনজীবী

    Hooghly: শিশুসন্তান হত্যাকাণ্ডে ধৃত মায়ের হয়ে সওয়াল করলেন না কোনও আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) কোন্নগরে সন্তান হত্যাকাণ্ডে ধৃত মা এবং তাঁর বান্ধবীর হয়ে আদালতে সওয়াল করতে রাজি হননি কোনও আইনজীবী। স্বামীর অবশ্য স্পষ্ট দাবি, তাঁর স্ত্রীর যেন ফাঁসি হয়। আজ বুধবার দুপুরে শান্তা শর্মা এবং ইফফাক পারভিনকে তোলা হয় শ্রীরামপুর আদালতে। তদন্তের জন্য দুই জনকেই পুলিশ হেফাজতে চেয়েছে। আদালতে প্রশ্ন-উত্তরের পর ধৃত দুই জনকেই পুলিশের হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। ইতিমধ্যে হত্যার বিচার চেয়ে পোস্টার পড়েছে এলাকায়।

    শিশুর পিতার বক্তব্য (Hooghly)

    শ্রীরামপুর (Hooghly) আদলাত থেকে বেরিয়ে এদিন শিশু শ্রেয়াংশু শর্মার বাবা পঙ্কজ বলেন, “অপরাধীদের কঠিন শাস্তি চাই। যে খুন করেছে আমি চাই সব থেকে কঠিন শাস্তি হোক তার। ফাঁসি চাই। ১৩-১৪ বছর সাজা হলে আবার বেরিয়ে আসবে। এরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।”ছেলের মৃত্যু প্রসঙ্গে বাবা আরও বলেন, “ঘরের পাশে সিঁড়ির পাশে থাকা ইট, টেবিলে রাখা গণেশ মূর্তি দিয়ে আঘাত করে করা হয় ছেলেকে। এরপর রান্নাঘরের মধ্যে থাকা সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করে খুনিরা।” তবে শিশুর মা বলেন, “নিজের ছেলেকে কেউ মারতে পারেনা।” তাঁদের একমাত্র ছেলের খুন কেন হল সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজ করছে পুলিশ।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    কোন্নগরের (Hooghly) আদর্শনগরের আট বছরের শিশুহত্যার ঘটনায় একাধিক নানান রহস্য রয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য, “সম্পর্কের টানাপড়নের শাস্তি পেতে হয়েছে ওই শিশুকে। শিশুর মা এবং তার বান্ধবীর মধ্যে ছিল সমকামিতার সম্পর্কের সমীকরণ। তবে ঠিক কী কারণে শিশুকে খুন করা হয়েছে এই নিয়ে তদন্ত আরও বাকি রয়েছে।” 

    ১৬ ফেব্রুয়ারি খুন হয়

    ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ সন্ধ্যা বেলায় শ্রেয়াংশু খুন হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় বাবা এবং মা দুই জনেই ছিল না। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাবা বাড়িতে পৌঁছান। কিন্তু হাসপাতালে (Hooghly) নিয়ে যেতেই মৃত্যু হয় শিশুর। যদিও প্রথমে বাবার দাবি ছিল কেউ তাঁর ছেলেকে খুন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই আবহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর থানার পানিপিয়া এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম এনামুল মণ্ডল। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুলসাহেব ও তাঁর ছেলেরা পঞ্চায়েত ভোটে জোট প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই সময় থেকে চলত হুমকি। তারপর ছেলেরা কেরলে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে এনামুল তাঁর বাড়ির সামনের একটি মুদিখানা দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরেই বাঁশ, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় এনামুলকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছেন এনামুলকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা মারধর করে। পরে, এলাকা ছেড়ে ওরা পালায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, এটা গ্রাম্য বিবাদ। আর সেটাকেই রাজনীতির রং চড়ানো হচ্ছে। তাই, গ্রামের সাধারণ বিবাদের সঙ্গে যদি রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সে সব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া খুব মুশকিল। মৃত্যুর ঘটনা সমর্থন করা যায় না। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আইন আইনের কাজ করবে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly Murder: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

    Hooghly Murder: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর আটেকের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য হুগলির কোন্নগরের (Hooghly Murder) আদর্শনগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন শিশুটির ঘরে জোরে জোরে চলছিল টিভি। কী ব্যাপার জানতে ঘরে ঢুকেছিল তাঁর খুড়তুতো দিদি। সে-ই প্রথম রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে।

    খুনিদের কঠোর সাজার দাবি

    শিশুটির বাবার অভিযোগ, ছেলেকে পাশবিকভাবে হত্যা করেছে কেউ। ছেলের খুনিদের কঠোর সাজা দাবি করেছেন তিনি। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ওই ব্যক্তি। বলেন, “বাড়ির সিঁড়ির কাছে একটি থান ইট ছিল। সেটি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। ঘরে একটি গণেশমূর্তি ছিল। সেটি দিয়েও আঘাত করা হয়েছে। রান্নাঘরে যে সবজি কাটার ছুরিটি ছিল, সেটি ঘরেই মিলেছে রক্তমাখা ও বেঁকে যাওয়া অবস্থায় (Hooghly Murder)।” তিনি বলেন, “বাড়িতে যে ভলিউমে টিভি চলছিল, তা কোনও বাড়িতেই চলে না। তাঁর ছেলেও কখনও এত ভলিউম দিয়ে টিভি চালাত না।”

    ‘শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে’

    পুলিশ জানিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস বলেন, “ঘর থেকে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। শ্রীরামপুরের হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। মৃতের পরিবার ও এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে।”

    আরও পড়ুুন: পাক রাজনীতিতে সক্রিয় আইএসআই, গাঁটছড়া বাঁধছে পিটিআই-পিপিপি!

    কানাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কেউ খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। বালকের মা-বাবা বাইরে কাজ করেন। সেই সময় তাঁর বাবা বাড়িতে ছিলেন না।” পুলিশ সূত্রে খবর, বালকের মাথার পিছনে ভারী ও ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। দেহের একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। দেহ উদ্ধারের সময় ফুল ভলিউমে চলছিল টিভি। চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, “ফরেন্সিক দলকে বলা হয়েছে নমুনা সংগ্রহ করবে…আশা করছি, তাড়াতাড়ি খুঁজে আমরা পাব, ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে। শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা (Hooghly Murder)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন, ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন, ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নৃশংসভাবে নাবালিকাকে খুন করার ঘটনায় এবার বিশেষ নির্দেশ হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পুলিশের রিপোর্টের বিস্তর ফারাক থাকায় কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। হাইকোর্ট বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।

    আদালত ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে (Murshidabad)…

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত দ্বিতীয়বার ওই কিশোরীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়নাতদন্ত শেষ করে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে ওই রিপোর্ট আদালতে  দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানান মৃতের পরিবারের আইনজীবী।

    আদালতের দ্বারস্থ হন নাবালিকার পরিবার

    গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। তারপর আর ফেরেনি। আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। যে ঘরে ওই কিশোরী থাকত, সেখানে একটি চিরকুট মেলে। তাতে লেখা ছিল, ‘চিন্তা কোরো না’। পরদিন অর্থাৎ, শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে নিখোঁজ ওই কিশোরীর দেহ মিলল। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, গলায় ফাঁসের দাগ আর উপড়ে নেওয়া হয়েছিল দুটি চোখ। নিহত কিশোরীর পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করে পুলিশ। পরিবার অভিযোগ করে তাদের মেয়েকে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। প্রথমে তদন্তে নেমে এক জনকে আটক করে পুলিশ। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শরীরে একাধিক ক্ষত, গলায় ফাঁসের দাগ এবং ধর্ষণের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে থাকে মৃত্যুর কারণ। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা খুঁজতে করা হয় দেহের ময়নাতদন্ত। সেখানে উল্লেখ থাকে শরীরের আঘাতের কথা। ধর্ষণ হয়ে থাকলে তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সেই রিপোর্টে। অপ্রত্যাশিত ভাবে দুই রিপোর্টের বিস্তর ফারাকের কারণে কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি এসএসকেএমের চিকিৎসকদের দিয়ে কিশোরীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলতেন বিরোধীরা। তোলা না দিলেই হামলা করার অভিযোগ উঠত শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার সেই তাদের তৈরি ফাঁদে পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক তৃণমূল কর্মীর। তোলার টাকা না দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটির (Panihati) ঘোলা থানার অপূর্বনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোলা থানায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে, ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটির (Panihati) অপূর্বনগরে ওই তৃণমূল কর্মীর চানাচুরের কারখানা রয়েছে। দল করার পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন। বাদল মণ্ডল ও তাঁর লোকজন এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। এই বাদল মণ্ডল অভিজিৎ বিশ্বাসের কাছে ২ লক্ষ টাকা তোলা চান বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরে তোলা চাওয়া নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়েছে। অভিজিৎবাবুর স্ত্রী মৌ বিশ্বাস বলেন, এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে হুমকি দিত। তোলার টাকা চাইত। কয়েকদিন ধরে ওকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। রবিবার বাবাইদা বলে এক তৃণমূলে ওকে ডেকেছিল বলে আমার স্বামী গিয়েছিলেন। পরে, মেয়ের জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। পরে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল কর্মীর দাদা কী বললেন?

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, অভিজিৎ আমার মামার ছেলে। রবিবার রাতে বাইকে করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। পাড়ার কাছে বাদল, অর্জুন সহ কয়েকজন আমাদের পথ আটকায়। আমি অভিজিৎকে কথা না বলে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, ও শুনল না। আমি বাইক থামাতে পাশের গলি থেকে সাত-আট জন বেরিয়ে এসে আমাকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। আমি মাথায় চোট পাই। অভিজিৎ ছুটে পালাতে গেলে ওকে ঘিরে ধরে। আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে চলে যাই। এরপর ঘটনাস্থলে ফিরে গিয়ে দেখি, ভাইকে ওরা বেধড়ক মারছে। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। আশপাশের লোকজন আসতেই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাদল ও তাঁর লোকজন এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করে রেখেছে। অভিজিতের কাছ থেকে তোলার টাকা না পেয়ে ওরা এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক  শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan Bandh: ‘রাজস্থানে-রক্তপাত’! কার্ণি সেনার প্রধানের মৃত্যু, আজ দিনভর বনধের ডাক

    Rajasthan Bandh: ‘রাজস্থানে-রক্তপাত’! কার্ণি সেনার প্রধানের মৃত্যু, আজ দিনভর বনধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনেদুপুরে বাড়িতে ঢুকে রাষ্ট্রীয় রাজপুত কার্ণি সেনার (Karni Sena) প্রধানকে খুন করল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। সুখদেব সিং গোগামেদিকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজস্থানে (Rajasthan) উত্তেজনা ছড়ায়। খুনের প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই খুনের দায় স্বীকার করেছে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার গোষ্ঠী।

    কী ঘটেছিল

    জয়পুর পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামনগর এলাকায় সুখদেবের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করে কয়েক জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, নিহত নেতার সামনে বসে রয়েছে কয়েক জন। গোগামেদি যখন নিজের ফোন দেখতে ব্যস্ত, সেই সময় হঠাৎই উঠে দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোগামেদিকে লক্ষ্য করে মোট ৫টি গুলি চালানো হয়। শেষ গুলিটি নিহতের মাথায় লাগে। তিন জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীর মধ্যে এক জনকে পাল্টা গুলি চালিয়ে হত্যা করেন গোগামেদির এক নিরাপত্তারক্ষী। বাকি দু’জন চম্পট দেয়। রাজপুত নেতার হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চুরু, উদয়পুর, আলওয়ার, যোধপুরের নানা জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।

    প্রতিবাদ-বিক্ষোভ

    পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই  কার্ণি সেনার প্রধান সুখদেব সিং গোগামেদিকে খুনের হুমকি দিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য সম্পত নেহরা। পুলিশেও এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই মঙ্গলবারের ভয়ঙ্কর হত্যালীলা। রাষ্ট্রীয় রাজপুত কার্ণি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গোগোমেদির হত্যার তদন্তের দাবিতেই রাজস্থান জুড়ে আজ, বুধবার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের অন্যান্য সম্প্রদায়গুলিও এই বনধে সমর্থন জানিয়েছে।

    রাজপুত প্রভাবিত কার্ণি সেনার নরমপন্থী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন গোগামেদি। খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই জয়পুরে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় কার্ণি সেনার সদস্য ও সমর্থকরা। মেট্রো মাস হাসপাতালের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। মানসরোবর যাওয়ার পথ আটকেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বহু দোকান জোর করে বন্ধ করিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share