Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংকটে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সর্বদাই এগিয়ে আসে – তা প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক কিংবা অন্য কিছু। আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বয়ংসেবকরা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গুজরাটের কর্ণাবতীর সিভিল হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসকদের ও বিভিন্ন মেডিক্যাল টিমকে সহায়তা করতে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলিকেও দেখভাল করেন এবং সবার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলেন। আরএসএস-এর এমন নিঃস্বার্থ সেবা বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকটাই সহায়তা করে (Air India Plane Crash)।

    উদ্ধারকাজে অংশ নেন ১৭৫ স্বয়ংসেবক (RSS)

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) নীতিই হল নিঃস্বার্থ সেবা। যেকোনও দুঃসময়ে তারা পাশে দাঁড়ায়। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ১৭৫ জন স্বয়ংসেবক এই সেবাকার্যে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা শুধু উদ্ধারকাজেই নয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের ময়নাতদন্তে সহায়তা, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং রক্তদানেও অংশ নেন (Air India Plane Crash)। এছাড়াও, ২০০০-এর বেশি মানুষকে চা, জল ও খাবার সরবরাহ করে সাহায্য করেন সংঘের স্বয়ংসেবকরা। এই সেবাকাজে আরএসএস-কে সহায়তা করে কালুপুর স্বামীনারায়ণ মন্দির।

    শোক প্রকাশ আরএসএস-র (RSS)

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন- “গুজরাটে আজকের এই বিমান দুর্ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা গভীর সমবেদনা জানাই সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের, যাঁরা এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। ভগবানের কাছে আমাদের প্রার্থনা, এই দুঃখ সহ্য করার শক্তি যেন তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেন।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে,  অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। এই খুনের ঘটনায় শুক্রবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার ৫৬ দিন পরে জমা পড়া এই চার্জশিটে মোট ১৩ জনের নাম রয়েছে।

    ধৃতদের জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে (Jafrabad Double Murder) অভিযুক্তরা কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছিল, কোথায় এবং কতদিন ধরে তারা আত্মগোপন করেছিল। এসব কিছু তথ্যই বিস্তারিতভাবে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মামলার দ্রুত শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ১২ এপ্রিল খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস (Jafrabad Double Murder)

    প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চালায় মৌলবাদীরা। উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদ। সেই অশান্তির মধ্যেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে।তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদের সময়ে ওড়িশায় কর্মরত বেশ কয়েকজন বিড়ি শ্রমিক গ্রামে ফিরেছিল। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের হিংসায় তারাও জড়িয়ে পড়ে। এরপরে ছুটি শেষে ওড়িশায় ফিরে গেলেও তদন্তকারীদের হাত থেকে ছাড় পায়নি তারা। ওড়িশা থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়

    ঘটনার পরেই রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) গঠন করে। খুনে অভিযুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। এরপর মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের (Murshidabad) বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল চক্রী জিয়াউল শেখকে ধরা হয় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা থেকে। তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় ওড়িশা থেকে (Jafrabad Double Murder)।

  • Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর এপ্রিলে মুর্শিদাবাদে যে হিংসার (Murshidabad Riot) ঘটনা ঘটেছিল, তা কোনও আকস্মিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল না, ছিল সুপরিকল্পিত একটি হিংসার ঘটনা (Radical NGOs)। গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে এই হিংসা সংঘটিত হলেও, এর নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র– চরমপন্থী উসকানি, রাজনৈতিক মদত এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার এক জটিল মিশ্রণ। সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন মুর্শিদাবাদ’ নামক অনুসন্ধান এক বিরাট গোপন চরমপন্থী নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করেছে, যেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন, ছায়া এনজিও এবং প্ররোচিত যুব বাহিনীকে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়েছে।

    এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা (Murshidabad Riot)

    জানা গিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা, যেখানে ধর্মীয় নেতারা ছিলেন মতাদর্শগত কারখানার ভূমিকায় আর পুলিশ-প্রশাসন ছিল হয় সহযোগী, নয় ঠুঁটো। এই সব কিছুর কেন্দ্রে ছিল কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যারা সব কিছু পরিচালনা করেছে। ঘটনার সূত্রপাত ১০ এপ্রিল। এদিন শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এসএসসি রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষের ছদ্মবেশে একটি পরিকল্পিত বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। দ্রুত সেটাই মোড় নেয় ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত ইস্যুর দিকে। ১১ এপ্রিল এটিই ধারণ করে দাঙ্গার রূপ। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, একই যুবক দল যারা হাতে লাঠি এবং প্রচারপত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তারা দুই আন্দোলনেই উপস্থিত ছিল। ১১ এপ্রিল পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হয়েছিল জমায়েত। এই জমায়েতের মাঝে ছিল একটি ব্যানার, যাতে লেখা, ‘সমস্ত এনজিও একজোট’। কিন্তু আদতে পুরো ফ্রন্টটি পরিচালিত হচ্ছিল মূলত দুটি সংগঠনের মাধ্যমে – ‘সময়ের আলোর বাতি’ এবং ‘গোল্ডেন স্টার গ্রুপ’। এই সংগঠনগুলি নিজেদের গোষ্ঠী কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করলেও, সেগুলির বিরুদ্ধে উগ্র মতাদর্শ প্রচার এবং সংঘবদ্ধ আন্দোলনের অভিযোগ উঠেছে।

    ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘পলাতক’

    এই হিংসার মূল চাঁই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তিনজনকে। এরা হল কাওসার, মোস্তাকিন এবং রাজেশ শেখ। পুলিশের খাতায় তাদের পলাতক দেখানো হলেও, স্থানীয়দের দাবি (Murshidabad Riot), দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযোগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় তারা ‘পলাতক’ (Radical NGOs)। জানা গিয়েছে, রাজেশ শেখ তৃণমূল যুব ব্লক কমিটির পরিচিত সদস্য। পিএফআই (PFI) এবং এসডিপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে এক এসডিপিআই প্রার্থীর পক্ষে তিনি প্রচারও করেছিলেন বলে অভিযোগ। বশির শেখ, যিনি এক সময় সিমির (SIMI) সদস্য ছিলেন, তাঁকেও এই বিক্ষোভের প্রধান সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত

    স্থানীয় ডিআইবির ইনসপেক্টর রাজীব গোপন ক্যামেরায় তাঁদের ভূমিকার কথা স্বীকার করে বলেন, “হ্যাঁ, ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত (Murshidabad Riot)। তবে ওরা পলাতক।” এই হিংসায় জুতে দেওয়া হয়েছিল নাবালকদেরও। একাধিক নাবালকের দাবি, কাওসার ও মোস্তাকিন তাদের ডেকে পাঠাত এবং প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট দিত। ‘ওয়াকফ’ শব্দের অর্থ না জানলেও, তাদের বলা হত ঘরে আগুন লাগাতে এবং পাথর ছুড়তে। তাদের বোঝানো হত, তাদের ধর্ম বিপন্ন। তাদের মধ্যে একজন বলে, “ওরা বলেছিল হিন্দুরা আমাদের ধর্মকে গালাগালি দিচ্ছে। সবাই যাচ্ছিল, তাই আমিও গেলাম।” ছেলেটির দাবি, তারা যখন হিন্দু-অধ্যুষিত ঘোষ পাড়ার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল এবং হেনস্থার শিকার হয়েছিল, তখন স্থানীয় পুলিশই তাদের পাল্টা জবাব দিতে বলেছিল (Murshidabad Riot)।

    বেআইনি এনজিওর রমরমা

    সরকারি খাতা অনুযায়ী, শামসেরগঞ্জে মাত্র ১৮টি এনজিও রয়েছে (Radical NGOs)। যদিও বাস্তব চিত্র হল এলাকায় রয়েছে কয়েক ডজন এনজিও। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এই সংগঠনগুলি মূলত চরমপন্থী চিন্তার উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে, কোনওরকম নজরদারি ছাড়াই অর্থ আসছে এবং সর্বোপরি, সমাজকল্যাণের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে সরকারি নজরদারি। স্থানীয় দুই ইমাম স্বীকার করেছেন, অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোক তাদের কাছে এসে মসজিদের মাইকে ওয়াকফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানাতে বলেছিল। শুক্রবারের নমাজের ঠিক আগেই এটা করতে বলেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সর্বোচ্চ জমায়েত।

    বাংলাদেশি ইসলামি বক্তার ভাষণে ইন্ধন!

    মুর্শিদাবাদে যেদিন দাঙ্গা হয়, তার ঠিক পাঁচ দিন আগে বাংলাদেশি এক ইসলামি বক্তা শামসেরগঞ্জে একটি জলসায় ভাষণ দেন। তার পর থেকেই স্থানীয় হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক কনটেন্ট (Murshidabad Riot)। একটি ভিডিওতে মুসলমানদের হাতে ‘বন্দুক তুলে নিতে’ বলা হয়। আর একটি পোস্টে বলা হয় ‘শিশুদের সামনে পাঠাও’। এসডিপিআই, জমিয়তে ইসলামি হিন্দ এবং জামাত-এ-আহলে হাদিসের সাহিত্য এবং বক্তব্যও ছড়িয়ে পড়ে, যা ওয়াকফ সংক্রান্ত বর্ণনাকে কেন্দ্র করে জ্বলা ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। রাজীব স্বীকার করেন, “এখানে স্লিপার সেল সক্রিয় আছে। মাদ্রাসার ভিতরে উগ্রপন্থা ছড়ানো হচ্ছে। তবে জলসায় কী হয়, তা আমরা জানি না (Radical NGOs)।”

    জেলা কর্মকর্তারা গোপনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন, রাজেশের মতো কয়েকজন উগ্রপন্থী রাজনৈতিক রক্ষাকবচ ধারণ করেন। এক প্রবীণ তদন্তকারী বলেন, “এখানে নথিভুক্ত নয় এমন এনজিওগুলি তো কেবল নীচুস্তরের মুখপাত্র। আসল খেলুড়েরা বসে থাকেন ক্ষমতার আসনে, থাকেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে (Murshidabad Riot)।”

  • Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad violence) ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের চলে তাণ্ডব। ঘরছাড়া হন বহু হিন্দু পরিবার। সামশেরগঞ্জে খুন হন বাব-ছেলে। এই আবহে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি একটি বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই রিপোর্টেই রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন—মুর্শিদাবাদের ঘটনা (Murshidabad violence) ‘পূর্বপরিকল্পিত’ এবং ‘স্থানীয় প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা’ তার পেছনে দায়ী। রাজ্যপালের অভিযোগ, ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে শোষণের চিত্র এই অশান্তিতে উঠে এসেছে।

    হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার সুপারিশ

    রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণ (Murshidabad violence) অনুযায়ী, “রাজ্যে যদি প্রশাসনিক ব্যর্থতা এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” তাঁর আরও দাবি, ধারাবাহিক ব্যর্থতা চললে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথাও বিবেচনা করতে হবে কেন্দ্রকে। একইসঙ্গে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদা—দুই সীমান্তবর্তী জেলার অশান্ত অঞ্চলগুলিতে স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের , “এই মুহূর্তে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।” ঠিক এই কারণে হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার কথাও তিনি সুপারিশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে

    কেন্দ্রকে পাঠানো ওই রিপোর্টে রাজ্যপাল একাধিকবার সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন (Murshidabad violence)। তিনি উল্লেখ করেছেন, “বাংলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে। মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার পর পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ কাটছে না।” এই অবস্থায় রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হিংসাদীর্ণ মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরজমিনে ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। এবার সোজা রিপোর্ট পাঠালেন অমিত শাহরের দফতরে।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ অশান্তিতে জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। এবার এই খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। বিজেপির অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার সল্টলেকে এসে পুলিশ এই পরিবারকে হেনস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্য বিজেপির নেতারা। পুলিশ এসে জানায়, ওই পরিবারকে নাকি অপহরণ করা হয়েছে। এতেই শুরু হয় বিতর্ক। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার পুলিশকে সাফ জানায়, তাঁরা স্বেচ্ছায় এখানে এসেছেন। এদিকে, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে সল্টলেকের ওই আশ্রয়স্থল (Murshidabad) ছেড়েছেন নিহত বাবা-ছেলের পরিবার। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে তাঁরা পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনে।

    পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার

    বিজেপি সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগেই জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার এসে উপস্থিত হন সল্টলেকে। সেখানেই তাঁরা থাকছিলেন এই কয়েকদিন। এরপর রবিবার সকালেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে একদল পুলিশ আসেন, তাঁদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশও ছিল। পুলিশের দল পৌঁছে যায় সল্টলেকের সেই আশ্রয়স্থলে। তারপর তাঁরা নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু নিহতের পরিবার কোনওভাবেই তাতে রাজি হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, এরপর পুলিশ জোর পূর্বক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ও সজল ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বিজেপির নেতারও। এরপরেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবল বচসা শুরু হয় পুলিশের।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ?

    নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, ওই বাড়ির মালিক বলেন, “মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বাবা-ছেলে খুন হওয়া পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু আজ পুলিশের যে আচরণ দেখলাম, তাতে তারা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকেও হার মানাবে। দরজায় লাথি মেরে ভিতরে ঢুকেছে। ওদের কাছে কোনও কাগজ নেই।” বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “যে সময় খুন হয়েছিলেন সেই সময় পুলিশ আসেনি। আর এখন ১৫০ কিমি অতিক্রম করে ঠিক চলে এল? আমরা তো দেখব কোন অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

  • Demographic Shift: নিজভূমেই পরবাসী অস্ট্রিয়াবাসী! কমছে খ্রিস্টান, বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বিপন্ন আদি-বাসিন্দারা

    Demographic Shift: নিজভূমেই পরবাসী অস্ট্রিয়াবাসী! কমছে খ্রিস্টান, বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বিপন্ন আদি-বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপের দেশ ভিয়েনায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস (Demographic Shift)। সাম্প্রতিক এক সরকারি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে (Vienna School) এখন খ্রিস্টানদের চেয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। শহরের স্কুল কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, এই সব স্কুলের ৪১.২ শতাংশ শিক্ষার্থী মুসলিম সম্প্রদায়ের, অন্যদিকে সব খ্রিস্টান সম্প্রদায় মিলে রয়েছে মাত্র ৩৪.৫ শতাংশ।

    সংগৃহীত তথ্য (Demographic Shift) 

    ভিয়েনার শিক্ষা বিষয়ক সিটি কাউন্সিলর বেটিনা এমারলিংয়ের (নিওস) অফিস এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে সব ধরণের স্কুলের প্রায় ১,১২,৬০০ শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলগুলিতে জার্মান ভাষা ক্রমশ দ্বিতীয় ভাষায় পরিণত হচ্ছে, যা শিক্ষাদানকে কঠিন করে তুলেছে। অস্ট্রিয়ান প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ইভেলিন কোমেটারের মতে, শিক্ষার্থীদের বোঝানোর জন্য শিক্ষকদের প্রতিটি বাক্য ১০ থেকে ১২ বার বলতে হচ্ছে। এতে ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। শহরের স্কুলগুলো থেকে জাতিগত অস্ট্রিয়ান পরিবারগুলি পালাতে শুরু করেছে বলেও জানা গিয়েছে।

    ফ্রিডম পার্টির বক্তব্য

    অস্ট্রিয়ার ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি এই পরিস্থিতিকে অভিবাসন নয়, স্থানচ্যুতি বলে অভিহিত করেছে। দলের তরফে হানেস অ্যামেসবাউয়ার বলেন, “অস্ট্রিয়ানরা শীঘ্রই নিজ দেশেই বিদেশিতে পরিণত হবে।” সরকার সহনশীলতা, বৈচিত্র্য ও সামাজিক সংহতি বাড়াতে গণতন্ত্রে বসবাস নামে একটি নতুন বিষয় চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, সমন্বয়ের সমস্যা এর চেয়ে ঢের বেশি গভীর। ভিয়েনার জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন (Demographic Shift) কোনও আকস্মিক বা এক রাতের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। বছরের পর বছর ধরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ—বিশেষত জার্মানি, সুইডেন ও অস্ট্রিয়া—এক ধরনের “খোলা দরজার অভিবাসন নীতি” অনুসরণ করেছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত ইসলামি দেশগুলি থেকে আগত সকলকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। তবে স্থানীয় সমাজে সম্পূর্ণ ভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমির এই গোষ্ঠীগুলিকে কীভাবে একীভূত করা যায়, তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কোনও পরিকল্পনাই তারা করেনি (Vienna School)।

    বিষময় ফল

    প্রাথমিকভাবে, বহুসংস্কৃতিবাদ ও মানবিক উদ্বেগের নামে এই অভিবাসন নীতিগুলি প্রচার করা হয়েছিল। তবে এগুলির ফল হয়েছে মারাত্মক। বিচ্ছিন্ন মহল্লা, শ্রেণিকক্ষে ভাষাগত সঙ্কট, অপরাধ বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে দেশটিতে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলির বিভিন্ন অংশে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি ইহুদি ও প্রকাশ্যে সমকামিতায় জড়িতদের মতো কিছু ব্যক্তিকে ইসলামি সম্প্রদায়-অধ্যুষিত তথাকথিত “নো-গো জোন” এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। ইসলামি দেশগুলি থেকে যে কেউ ও সবাইকে প্রবেশাধিকার দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলি। বাম-উদারপন্থীরা এই উদ্বেগগুলিকে ভীতি ছড়ানো হিসাবে খারিজ করে দিয়েছিল। তবে এখন মূলধারার তথ্য – শ্রেণিকক্ষের ধর্মীয় অনুপাত, অপরাধের পরিসংখ্যান থেকে গণবিরোধিতা পর্যন্ত সবেতেই এই উদ্বেগ প্রতিফলিত হচ্ছে। সাধারণ জনতা, বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব সকলের কাছ থেকেই অভিবাসন নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি উঠেছে। এমনকি মধ্য-পন্থী দলগুলিও স্বীকার করেছে যে নিরঙ্কুশ অভিবাসনের মডেল ইউরোপীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সংহতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে (Demographic Shift)।

    সীমান্ত নীতি কঠোর করার কথা বিবেচনা

    জানা গিয়েছে, জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি সীমান্ত নীতি কঠোর করার কথা বিবেচনা করেছে। ডেনমার্কে, ঐতিহ্যগতভাবে মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছে। যার ফলে ইসলামি দেশগুলি থেকে আসা অভিবাসীদের ঠাঁই মিলছে না (Vienna School)। প্রসঙ্গত, গত বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছিল যে সুইডেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং ফিনল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় দেশগুলি কঠোর অভিবাসন নীতি আনার অঙ্গীকার করেছে। উল্লেখ যে, এগুলিকে “অতি ডানপন্থীদের চাপের ফল” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলির অভিবাসন নীতি কঠোর হওয়ার আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অনিয়মিত সীমান্ত পারাপারের বার্ষিক সংখ্যা ৩১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, ফ্রন্টেক্স কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অনিয়মিত সীমান্ত পারাপারের হার ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল—যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ওই বছর ৩৮০,০০০ জন অনিয়মিতভাবে ইইউতে প্রবেশ করে। তবে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে এই সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল (Demographic Shift)।

    ইসলামি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

    ইউরোপ বর্তমানে যা ইসলামি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলে বর্ণনা করা যায়, তার তীব্র মোকাবিলা করছে। এদিকে, ভারত দীর্ঘকাল ধরে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের প্রভাব সহ্য করে আসছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ট্র্যাজিক উদাহরণ হল কাশ্মীর, যেখানে ১৯৯০-এর দশকে লক্ষাধিক কাশ্মীরি হিন্দুকে টার্গেট করে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানো হয়েছিল। ইসলামিস্ট  চরমপন্থীদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে তাঁরা নিজেদের জমি-জিরেত ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। বস্তুত, নিজের দেশেই তাঁরা পরিণত হয়েছিলেন শরণার্থীতে (Vienna School)।

    উদ্বেগজনক প্রবণতা ভারতেও

    সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত-নেপাল সীমান্তেও একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে কিছু জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা জাতীয় গড় ১৪ শতাংশের তুলনায় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তসংলগ্ন অনেক গ্রামে সম্পূর্ণ জনসংখ্যাগত উলটপালটের খবর পাওয়া গিয়েছে, যা অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তপার চরমপন্থা রোধে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির দাবি জোরালো করছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শহরগুলিতে দেখা গিয়েছে, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, সেখানে হিন্দুদের টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। “এই বাড়িটি বিক্রয়ের জন্য” লেখা সাইনবোর্ডযুক্ত বাড়িগুলি প্রায়ই সেই সব অঞ্চলে দেখা যায়, যেখানে স্থানীয় ইসলামিস্ট গুন্ডাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন হিন্দুরা (Demographic Shift)।

    উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা। ২০২৫ সালের এপ্রিলের শুরুতে ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পর বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মুসলিম জনতা প্রথমে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালি দিয়ে চিহ্নিত করেছিল। পরে বোমাবর্ষণ, ভাঙচুর চালায়। লুটপাট করে, করে অগ্নিসংযোগও। দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পী, যাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে ছিলেন, তাঁদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ (Vienna School)। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে বহু হিন্দু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে মালদায়। নিদারুণ অত্যাচারের আতঙ্কে বহু হিন্দু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছে, যা ২০২১-এর নির্বাচন-উত্তর বাংলার হিংসার সময়কার ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দেয় (Demographic Shift)।

    বিপদ সঙ্কেত!

    বিভিন্ন হিন্দু নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কিছু অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তবে, ধর্মনিরপেক্ষ মহল এই উদ্বেগগুলিকে “প্রান্তিক আতঙ্ক” বলে খাটো করে দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা সর্বত্রই এক— মুর্শিদাবাদের একজন হিন্দু শিক্ষক, দিল্লিতে দশক ধরে শরণার্থী হিসেবে বসবাসকারী (Vienna School) কাশ্মীরি পণ্ডিত, বা ভিয়েনার একজন অস্ট্রিয়ান অভিভাবক—সবক্ষেত্রেই পরিণতি ও বেদনা অভিন্ন (Demographic Shift)।

  • Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ফাঁস রহস্যের পর্দা! বাবা-ছেলে খুনে ধৃত ‘মূল চক্রী’

    Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ফাঁস রহস্যের পর্দা! বাবা-ছেলে খুনে ধৃত ‘মূল চক্রী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় (Murshidabad Violence)। ওই ঘটনায় বিজেপি-আরএসএসকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন (Murder Case) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদ এলাকায় খুন করা হয়েছিল হিন্দু প্রতিমা শিল্পী বাবা ও ছেলেকে। ওই ঘটনায় ‘মূল চক্রী’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জিয়াউল শেখ। চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই হিন্দু খুনের মূল চক্রী তিনিই।

    ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’! (Murshidabad Violence)

    জিয়াউল গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেত্রী যে ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’ খাড়া করতে চেয়েছিলেন, তারও পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে জিয়াউলের গ্রেফতারির পর। মমতা স্বয়ং পুলিশ মন্ত্রী। সেই পুলিশই বলছে, ধৃতের বাড়ি শামসেরগঞ্জ থানার সুলিতলা এলাকায়। খুনের ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দুই হিন্দু খুনের ঘটনায় এ নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। জানা গিয়েছে, বাবা-ছেলে খুনে ধৃত তিনজকে জেরা করে পুলিশ জিয়াউলের নাম জানতে পারে। তার পরেই ওই রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জিয়াউলকে। রবিবার তাঁকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।

    বহিরাগত তত্ত্ব আওড়ানোর কারণ

    জিয়াউলের আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ইনজামাম হক নামে একজনকে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবা-ছেলে খুনের পর ঘটনার অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বহিরাগত তত্ত্ব আওড়াচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আঙুল তুলেছিলেন বিএসএফ, বিজেপি এবং আরএসএসের দিকে। যেহেতু তিনি পুলিশ মন্ত্রী, তাই পুলিশি ব্যর্থতার দায় অস্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে (Murshidabad Violence)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসবই তিনি করেছেন সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের দিকে তাকিয়ে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জিততে তৃণমূল নেত্রীর প্রয়োজন সংখ্যালঘুদের সব ভোট। সেই (Murder Case) কারণেই তিনি ‘মিথ্যা’র আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি বিরোধীদের (Murshidabad Violence)।

  • Murshidabad Violence: ‘‘এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না’’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় আক্রান্তদের কথা শুনে বললেন রাজ্যপাল

    Murshidabad Violence: ‘‘এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না’’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় আক্রান্তদের কথা শুনে বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় (Murshidabad Violence) সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানের মতো এলাকায়। দক্ষিণ মালদা লোকসভার অন্তর্গত এবং মুর্শিদাবাদ জেলার ওই এলাকাগুলির পরিস্থিতি বুঝতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা জানতে একই দিনে সেখানে হাজির হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার, ওই দিনে মালদায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সমাজের একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায় এখানে আক্রান্ত হয়েছে। এক দল মারবে, আর এক দল আক্রান্ত হবে, এটা কখনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হতে পারে না।’’

    এর মধ্যে বাঁচা যায় না

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Violence) অশান্তিতে ঘরছাড়াদের একাংশকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যেরা। রাজ্যপালের কাছে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। শামসেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার অনুরোধ করেন। সুকান্তের দাবি, সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই রাজ্যপাল মালদা-মুর্শিদাবাদ সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যপাল বোসকে সামনে পেয়েই নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা শোনান ধুলিয়ানের মহিলারা। রাজ্যপালের দাবি, মহিলারা তাঁকে জানান যে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁদের লাঞ্ছিত ও নির্যাতনও করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘এই ক্যাম্পে বসবাসকারী পরিবারগুলোর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি তাঁদের সমস্যার কথা বিস্তারিতভাবে শুনেছি এবং তাঁদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছি। মহিলারা জানান যে দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে, মারধরও করে। তাঁরা কী চায়, সেই বিষয়ে আমাকে বলেছেন। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে। এখানে যে অশান্তি হয়েছে, তা কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি এখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছি, এখানে ভয়ের পরিস্থিতি রয়েছে। এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না।’’

    ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে

    মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন। এদিন কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সার্কিট হাউসে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে আসেন মালদার বৈষ্ণবনগরে। সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনবিজয়া রাহাতকর বলেন, “তাঁদের সঙ্গে কী হয়েছে, সেসব মহিলারা জানিয়েছেন। মহিলারা যা বললেন, তা কল্পনার বাইরে। যৌন নিপীড়নও হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও কথা বলতে হবে। মহিলাদের সঙ্গে কীভাবে এসব হতে পারে।” জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “মহিলারা বলছেন, আমরা শুধু সেন্ট্রাল ফোর্স চাই। আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। মেয়েদের বলেছে, এই বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা যা যা করার করব।” অন্যদিকে, আক্রান্ত মহিলারা জানান, তাঁদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেসব জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যদের। আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ

    ওয়াকফ ইস্যুতে অশান্তি (Waqf Bill Protest) শুরু হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা থেকে প্রচুর মানুষ মালদায় চলে এসেছেন। প্রাণ বাঁচাতে তাঁদের কেউ কেউ খোলা মাঠে থাকতে শুরু করেছিলেন। পরে ঘরছাড়াদের জন্য আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) প্রতিনিধিরা এসে সেই আশ্রয়স্থলেই যান ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা, শোনেন অভাব-অভিযোগ। ওয়াকফের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। সেই ভয়ে অনেকেই ঘর থেকে পালিয়ে যান এবং আশ্রয় নেন পাশের জেলা মালদায়। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বস্তুত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে শুরু হওয়া গোলমালের জেরে গত শুক্রবার বিকেল থেকে নৌকায় গঙ্গা পেরিয়ে ধুলিয়ানের বেতবোনা, বাজারপাড়া ও হাতিচিত্রা এলাকার কমপক্ষে ৪০০ জন আশ্রয় নেন পারলালপুর হাই স্কুলে। এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ।

  • Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন ছুতো মাত্র। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) হিন্দুদের বাড়িতে যে হামলা হবে, তা পূর্বপরিকল্পিত (Hindu) বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, হিংসার আবহে যাতে হিন্দু-মুসলমানের বাড়ি গুলিয়ে না যায়, তাই বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই তথ্য ফাঁস করেছে এনএমএফ নিউজ নামে এক সংবাদমাধ্যম।

    হিন্দুদের বাড়িতে কালির দাগ (Murshidabad Incident)

    গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সংস্থার সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, ওরা (মুসলমানরা) এই চিহ্নগুলো দিয়ে রেখেছে, যাতে দাঙ্গাবাজরা জানতে পারে কোন বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা করতে হবে, কোন বাড়িতেই বা লাগিয়ে দিতে হবে আগুন। তিনি বলেন, ‘‘দাঙ্গা শুরুর আগে হিন্দুদের বাড়িগুলি এভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে কালো কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল। দাঙ্গার সময় শুধুমাত্র সেই সব বাড়িকেই আক্রমণ করা হয়েছিল। বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলে ওই সাংবাদিক জানতে পারেন, উন্মত্ত মুসলমান জনতা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে আগে থেকে চিহ্ন দিয়ে রাখা বাড়িগুলিতে হামলা চালায়।

    তাণ্ডব, ভাঙচুর, লুটপাট

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুম্মার নমাজ আদায় শেষে শুরু হয় মুসলমানদের তাণ্ডব। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে বেছে বেছে নিশানা করা হয় হিন্দুদের বসত ভিটে, দোকানদানি। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি চালানো হয় অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটও। প্রথমে অত্যাচার শুরু হয় সূতি ও সামশেরগঞ্জে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে। জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ছদ্মবেশে উন্মত্ত মুসলমান জনতা এক হিন্দু দম্পতির মিষ্টির দোকান ধ্বংস করে তাদের সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে নেয়। দোকানের মালিক কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললেন, “এখানে আমার একটি মিষ্টির দোকান ছিল।” আর কথা বলতে পারলেন না ওই নির্যাতিত। কেবল ইঙ্গিত করলেন ধ্বংসপ্রাপ্ত তাঁর সাধের ‘শুভ স্মৃতি হোটেল’-এর দিকে। দোকান মালিকের স্ত্রী বলেন, “ওরা দোকানের ভিতরে রাখা নগদ টাকা-সহ আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে (Hindu)। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কী খাব?” মুসলিমরা ‘শ্রী হরি হিন্দু হোটেল অ্যান্ড লজ’ নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই ক্ষয়ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছে (Murshidabad Incident)।

    ভাঙা হয়েছে মূর্তি

    মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মন্দিরেও হামলা হয়েছে। হয়েছে মূর্তি ভাঙাও। সংবাদ মাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে স্থানীয় সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের খলিলুর রহমান প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, জঙ্গিপুরে একটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলায় হিন্দু পরিবারগুলির একাধিক বাড়িকে টার্গেট করা হয় এবং দোকানে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসার মধ্যে পড়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকেও রেহাই দেয়নি। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লাগানোর আগে চালককে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মুসলিমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে আক্রমণ করে।”

    আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম!

    ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমরা ভয়ে ঘরের ভিতরে বসেছিলাম। আমি আমার বাবা-মা, স্ত্রী ও শিশুদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম।’’ তিনি বলেন, “আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম, বাইরের কেউ নয়।” সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক আক্রমণকারী একটি হিন্দু (Hindu) পরিবারের গাড়ি ভাঙচুর করছে। মুসলমানদের এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন আরও এক হিন্দু। তিনি বলেন, “ওরা আমার বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। ভয়ে সবাই জেগে ছিলাম। হিংসা চলাকালীন এখানে কোনও পুলিশ আসেনি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও দৌড়তে দেখেছি (Murshidabad Incident)।”

    ‘‘মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে কী করতাম?’’

    হিন্দু ব্যবসায়ী অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু ভগত সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওরা (মুসলিম জনতা) সামনের গেট দিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে পিছনের গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ওরা আমাদের বাইক ভেভেছে, বাড়ি ভাঙচুর করেছে, চেয়ার, গদি, টিভি থেকে শুরু করে দামি দামি গৃহস্থালির জিনিসপত্র সব লুটে নিয়ে গিয়েছে (Hindu)।’’ তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। মনে মনে শুধুই ভগবানকে ডেকে গিয়েছি। লোকগুলো যাতে দ্রুত আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, তাই। ওই সময় আমার মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে আমি কী করতাম?” শুক্রবার শুরু হওয়া হিংসার এই ঘটনা ঘটতে থাকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। ওই রাতেই ভিটে ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নেন হাজার হাজার হিন্দু (Murshidabad Incident)।

  • Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) যে হিংসা ও অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে, তার কোনওটাই স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের কারণে নয়। বরং সেখানকার সূতি, ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন অংশকে উপদ্রুত বানানোর ব্লু-প্রিন্ট তিন মাস আগেই তৈরি হয়েছিল। তদন্ত করে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তারা কেবল একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওয়াকফ আইন পাশ হয়ে যেতেই তাকেই ইস্যু করা হয়। তাই যদি হয়, তাহলে সব জানার পরেও কেন আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করলেন না পুলিশমন্ত্রীর গোয়েন্দারা? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ (Sukanta Majumder)

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেন সুকান্ত। তার পরেই মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দাবিভাগ বলে তো একটা বিভাগ ছিল। তারা কী করছিল? সবাই তো শুনলাম ওরা জানত, বলছে তিন মাস ধরে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ছক কষা হয়েছে। তুরস্ক থেকে নাকি টাকা এসেছে। তা যদি এতদিন ধরে ছক কষা হয়েই থাকে, তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকা গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? নাকি বসে বসে ফ্যাক্ট চেক করছিল? ওদের তো এখন কাজই হল ফ্যাক্ট চেক করা।” ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে করিয়ে দেন, “এঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু তারপর কী হল? পুলিশের সামনেই ঘর লুট হল, নির্যাতনের শিকার হলেন। এর দায় কার (Murshidabad Incident)?”

    গোয়েন্দাদের হাতে বিস্ফোরক তথ্য

    দু’দিন আগেই জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের ওই তিন অংশে যে কায়দায় হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলার ছাপ স্পষ্ট। শুক্রবার অশান্তি শুরুর দিনও সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিপুর মহকুমায় ফোন এসেছিল ৩০টিরও বেশি। গোয়েন্দাদের দাবি, আন্দোলনকে ঢাল করে কীভাবে হিংসাশ্রয়ী হতে হবে, তার নির্দেশ দেওয়া আরও ৭০টি ঘরোয়া মোবাইল কলকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এমন ৫০ জনের হদিশ পেয়েছেন (Sukanta Majumder), যাঁরা এই হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, রেললাইনের পাথর মজুত করা, দোকানপাট লুট, বাছাই করে কিছু বাড়িতে হামলা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ থমকে দেওয়া – সবই পূর্ব পরিকল্পিত।

    মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল

    এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়ে দেন, আজ, বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের পথে রওনা দিচ্ছেন তিনি। এদিন রাজভবনে ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের যেসব জায়গায় অশান্তি হয়েছে, শুক্রবার সেই সব জায়গা ঘুরে দেখবেন তিনি। তিনি বলেন, “সত্যিই যদি শান্তি ফেরে তার চেয়ে ভালো খবর আর কিছুই হতে পারে না।” তবে কী পরিস্থিতি সেখানকার, গ্রাউন্ড জিরো ঘুরে চাক্ষুষ করতে চান তিনি। সেই মতো রিপোর্টও তৈরি করবেন বলে জানান রাজ্যপাল।

    মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ

    প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন এখনই সেখানে না যান। মমতা বলেন, “আমি আবেদন করব কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মহিলা কমিশনও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেছি।” তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কেউ কেউ এসে অত্যাচারটা করেছে। তারা ভয় দেখাচ্ছে। হোম মিনিস্টারকে ত্রিপুরায়, মণিপুরে যেতে বলুন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এলাকায় যে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে, প্রশাসন যে কনফিডেন্সটা বিল্ড আপ করেছে, আমরা কেউ যেন গিয়ে সেটা নষ্ট না করি (Sukanta Majumder)।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    মমতার এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনি যাচ্ছেন না কেন, উনি তো ইমামদের নিয়ে মিটিং করছেন। আর ওখানে গেলেই অসুবিধা হবে রাজ্যপালকে কেন বারণ করছেন? তিনি কী লুকোতে চাইছেন? পুরো সত্যটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেহেতু যেতে পারেননি, তাই তিনি সেখানে যেতে বারণ করছেন। এদের সবার বাড়িঘর, দোকান, মন্দির তৈরি করে দিতে হবে, চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, সব থেকে বড় কথা বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে (Murshidabad Incident)।”

    সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যেবাদী। আপনি যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। পুলিশকে বলছে হাতে চুড়ি পরে থাকুন। আর বিএসএফকে বলছে ভগবান। ওখানকার মানুষই এসব কথা বলছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন (Sukanta Majumder)।”

LinkedIn
Share