Tag: Murshidabad Violence

  • Suvendu Adhikari: ‘‘উনি দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন’’, মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘উনি দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন’’, মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে তাঁকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর অভিযোগ, দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত হিন্দুরা কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন না। তাঁরা বাড়িতে কালো পতাকা তুলবেন।’’

    লজ্জা লাগে না মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘লজ্জা লাগে না মুখ্যমন্ত্রীর। একটু আগে ডুমুরজেলায় বলেছেন, দুটো ওয়ার্ডে গোলমাল হয়েছে। কে দেয় আপনাকে এই তথ্য। আপনি গেছেন ফিল্ডে?’’ বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘‘হিন্দু বলেই হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসকে বাড়ি থেকে টেনে এনে পশুকাটার ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আপনি তুলনা করছেন, দাঙ্গাবাজ গুলি খেয়ে মরেছে! সব মৃত্যু দুঃখ্যজনক। দাঙ্গা করতে গিয়েছে, গুলি করেছে। পুলিশ করুক, বিএসএফ করুক, সেতো কমিশন তদন্ত করছে, তাঁরা বুঝবে।’’

    নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশমন্ত্রী

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ নয়, নিরাপত্তা দিতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী, এটা বলছে ওখানের মানুষ। আপনি পুলিশমন্ত্রী, আপনাকে (Mamata Banerjee) তো বলবেই, আপনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বেলডাঙায় ইমামদের সামনে বলে এসেছিলেন, হিন্দুরা সংখ্যালঘু। হিন্দুদের দেখতে বলেছিলেন ইমামদের, তাই হরগোবিন্দ-চন্দন খুন হয়েছেন। আপনি ওদের দায়িত্ব দিয়ে এসেছিলেন, আপনাকে তো শুনতেই হবে। দাঙ্গাকারীদের উপরেই আপনি ভরসা করেছিলেন, আপনাকে শুনতেই হবে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, সিবিআই চেয়ে হাইকোর্টে গেছেন নিহতের পরিবার। হরগোবিন্দ দাসের ছোট ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এফআইআর করিয়েছেন।’’

    ভারত বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই

    এরপরই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমাদের লড়াই জেহাদি, জঙ্গি, ভারত-বিরোধীদের বিরুদ্ধে। যারা মানবতার শত্রু, তারা আমাদের শত্রু। তারা কারা, তা সবাই জানে। লড়াইটা এই লোকেদের বিরুদ্ধে। যারা নদিয়ায় বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গিদের ছবি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে। যারা নদিয়ার শান্তিপুরে বসে পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেয়, লড়াইটা তাদের বিপক্ষে।’’ শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘আমি ঝন্টু আলি শেখের বাবার হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে এসেছি। আমি কখনওই এক ব্র্যাকেটে সবাইকে ফেলতে পারি না। আমাদের আদর্শ ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী।’’

  • Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad violence) ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের চলে তাণ্ডব। ঘরছাড়া হন বহু হিন্দু পরিবার। সামশেরগঞ্জে খুন হন বাব-ছেলে। এই আবহে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি একটি বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই রিপোর্টেই রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন—মুর্শিদাবাদের ঘটনা (Murshidabad violence) ‘পূর্বপরিকল্পিত’ এবং ‘স্থানীয় প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা’ তার পেছনে দায়ী। রাজ্যপালের অভিযোগ, ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে শোষণের চিত্র এই অশান্তিতে উঠে এসেছে।

    হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার সুপারিশ

    রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণ (Murshidabad violence) অনুযায়ী, “রাজ্যে যদি প্রশাসনিক ব্যর্থতা এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” তাঁর আরও দাবি, ধারাবাহিক ব্যর্থতা চললে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথাও বিবেচনা করতে হবে কেন্দ্রকে। একইসঙ্গে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদা—দুই সীমান্তবর্তী জেলার অশান্ত অঞ্চলগুলিতে স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের , “এই মুহূর্তে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।” ঠিক এই কারণে হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার কথাও তিনি সুপারিশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে

    কেন্দ্রকে পাঠানো ওই রিপোর্টে রাজ্যপাল একাধিকবার সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন (Murshidabad violence)। তিনি উল্লেখ করেছেন, “বাংলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে। মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার পর পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ কাটছে না।” এই অবস্থায় রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হিংসাদীর্ণ মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরজমিনে ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। এবার সোজা রিপোর্ট পাঠালেন অমিত শাহরের দফতরে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেহাদি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির সংস্কার শুরু অক্ষয় তৃতীয়ায়, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেহাদি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির সংস্কার শুরু অক্ষয় তৃতীয়ায়, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়া। ওই দিনই দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিনই মুর্শিদাবাদ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলিকে সংস্কার করার কথা ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার জেহাদিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করব।’’ এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু বিরোধী হিসেবে তোপ দেগে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, এই সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্য নেওয়া হবে না মন্দির সংস্কার করতে।

    মন্দিরগুলি জেহাদিদের ঘৃণ্য, নিন্দনীয় এবং বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন বহন করছে

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার জেহাদিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করব। বর্তমানে এই মন্দিরগুলি জেহাদিদের ঘৃণ্য, নিন্দনীয় এবং বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন বহন করছে। সমস্ত সনাতনী ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে পালন করে শুদ্ধিকরণ এবং সংস্কার প্রক্রিয়া করা হবে। হিন্দু-বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করা হবে না। আমি পুনরায় বলছি, সমস্ত খরচ হিন্দুরা নিজেরাই বহন করবে। মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের তাঁদের গ্রামের ও পাড়ার মন্দিরে পুজো অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই মন্দিরগুলি আমাদের তীর্থস্থানের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’’

    আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য প্রার্থনার আবেদন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নিজের এক ভিডিও বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য লগ্নে আপনাদের সনাতনী অভিনন্দন। আপনারা জানেন গত ১১ ও ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ান এলাকায় বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে হিন্দুদের সংখ্যা শূন্য করার জন্য জেহাদি, সন্ত্রাসী ও শাসকদল তৃণমূলের মদতপুষ্ঠ রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিন্দু গ্রামগুলিতে হামলা হয়েছিল। মন্দির কমিটিগুলির (Hindu Temple) হাতে প্রাথমিকভাবে পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে। ৩০ তারিখ সকাল ১০টার সময় পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে সনাতনী প্রথা অনুসারে শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে। বিশ্বের যে যেখানে হিন্দুরা আছেন, বাংলা ভাষা বুঝতে পারেন তাদের কাছে একটাই আবেদন এই ৯টি মন্দির শুদ্ধিকরণের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ সহ কাশ্মীর সহ জঙ্গিদের হাতে, পাকিস্তান প্রেমীদের হাতে আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য প্রার্থনা করুন।’’

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা কবলিত সামশেরগঞ্জে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি এদিন পৌঁছে যান জাফরাবাদে খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের বাড়িতেও। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার সহ হিন্দু সমাজের উদ্দেশে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভয় পাবেন না, ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে। আমরা পাশে আছি। প্রয়োজনে আবার আসব।’’ এই সময়েই জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার দাবি করে, ‘‘বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প চাই।’’ এজন্য তাঁরা নিজেরাও জমি দিতে ইচ্ছুক বলে জানান। সুকান্ত মজুমদার আশ্বাস দেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলবেন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumder) কাছে পেয়ে নিগ্রহ, ঘরছাড়ারা এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের কথা শুনলে শিউরে উঠবেন। সারা রাত তাণ্ডব চলেছে। ঘর বাড়ি সব শেষ কিচ্ছু নেই। কী করে বাঁচব আমরা?’’ পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমরা কেঁদে কেঁদে মরে গিয়েছি। পুলিশ সব জানে, তাও পুলিশ একটি বারের জন্যও আসেনি। আমরা যখন মারা যাব, তখন কি পুলিশ আসবে।’’

    কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) তাঁদের আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ‘‘রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, তখন প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প দরকার। রাজ্য পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নেই। আমি রাজ্য সরকারকে আবেদন করব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার রাজ্য যাতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে।’’ সংবাদমাধ্যমের সামনে সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘চিফ সেক্রেটারিকে আমি নিজে আমার প্যাডে চিঠি লিখব, যে ৫৬ খানা দোকানের মালিককে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করা হয়। মূর্তি-বিগ্রহ ভাঙা হয়েছে। যারা অন্যের ধর্মকে সম্মান করতে পারে না, নিজের ধর্মকেও সম্মান করেনা।’’

    প্রসঙ্গ এনআইএ তদন্ত

    সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumder) বলেন, ‘‘আমরা জনগণের দাবির সঙ্গে আছি। কিছু লোক এনআইএ তদন্তের জন্য আদালতে গিয়েছেন। আমাদের সকলের চোখ এখন আদালতের দিকে। যদি কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের অনুমতি দেয়, তাহলে সরকার তা অনুসরণ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন যাতে তাদের (ভুক্তভোগীদের) ফেরত পাঠানোর হয়। কিন্তু তারা কোথায় যাবে? তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • Sukanta Majumdar: ‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর, ‘ক্ষমা করবে না ইতিহাস’, আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর, ‘ক্ষমা করবে না ইতিহাস’, আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরেধিতায় মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ হিংসা ছড়ায় (Murshidabad Violence)। হাড়হিম করা ঘটনা সামনে আসতে থাকে। সামশেরগঞ্জে ঘরছাড়া হতে হয় হিন্দুদের। মৃত্যু হয় তিনজনের। এই আবহে মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক বিবৃতিতে ছড়ায় বিতর্ক। কখনও তিনি বলেন টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে বিএএসএফ। কখনও আবার তাঁর মতে, হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে বিজেপি-আরএসএস। গত ১৯ এপ্রিল তিনি খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘‘বিজেপি ও তাদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ খুব আক্রমণাত্মক হয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএসও আছে। আমি আগে আরএসএসের নাম নিইনি। কিন্তু এবার বলতে বাধ্য হচ্ছে যে রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্য়ার প্রচার চলছে তার মূলে তারাও আছে।’’

    কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে নিশানা করেছেন তাঁর এমন মন্তব্যের জন্য। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, মমতার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্য ইতিহাস তাঁকে কখনও ক্ষমা করবে না। এই ইস্যুতে মমতার বিরুদ্ধে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মমতা। মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে বিজেপি, আরএসএস-কে নিশানার জবাবে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি বার্তার নামে ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    এক্স মাধ্যমে মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)

    মমতাকে কড়া আক্রমণ করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এ নিয়ে এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি নীরবতা এবং প্রতিটি পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত আজ বাংলার মানুষের সামনে আপনার আসল চেহারাটি উন্মোচিত করেছে। আপনি যেভাবে অতীতে বারবার আবেগ দিয়ে খেলা করেছেন, আপনার সুচতুর অভিনয় সত্ত্বা দিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন, এবারও আপনি সেই পুরনো কৌশলেই ফিরে গিয়েছেন। তবে এবার বাংলার মানুষ প্রস্তুত। তারা দেখছে, শুনছে, এবং বুঝে নিচ্ছে—কে তাদের পাশে, আর কে দাঁড়িয়ে আছে এক বিপজ্জনক মৌলবাদী রাজনীতির মঞ্চে।’’

    আক্রান্ত নির্যাতিত হিন্দুদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে

    সুকান্তর অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ভয়াবহ আক্রমণ ও দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। স্থানীয় হিন্দুপ্রধান গ্রাম গুলি থেকে সিংহভাগ হিন্দু পরবার ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানে পুলিশ প্রশাসন মৌলবাদীদের দমন করতে পারত, সেখানে তারা নির্বিকার। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, বহু এলাকায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়েছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত নির্যাতিত হিন্দুদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়েছে! আপনার নির্দেশে পুলিশ পঙ্গু হয়ে থেকেছে। পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল এবং ভয়াবহ হওয়ার পরেও আপনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করেননি। বরং আমরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা তৈরি করতে চেয়েছেন। কারণ হিন্দুদের ন্যূনতম সুরক্ষার চেয়ে আপনার কাছে আপনার সংকীর্ণ ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি প্রিয়!’’

    হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়িতে আপনি একবারও যাননি

    মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘সম্প্রতি মালদার অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু উদ্বাস্তুদের এখন বলা হচ্ছে, তারা ‘অবৈধভাবে জড়ো হয়েছেন’! এই অমানবিক আচরণ কি শুধুই প্রশাসনিক ব্যর্থতা, না কি অত্যন্ত সচেতনভাবে এক তোষণনীতির অংশ? আপনি মুর্শিদাবাদে নিরীহ হিন্দু পিতা-পুত্রের (হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যাননি। কিন্তু একই সময়, আপনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে সমাবেশে ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমনাত্মক বক্তৃতা করলেন। পুনরায় সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালনা করার চক্রান্ত করলেন। এতেই প্রমাণ হয়ে যায়— আপনার কাছে প্রাধান্য পায় কোন রাজনীতি! বাংলার হিন্দুরা আজ উপলব্ধি করছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রতিনিধি নন—তিনি একজন নির্বাচিত পক্ষপাতদুষ্ট রক্ষক।’’

    ভোটব্যাঙ্কের জন্য তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ

    মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ এনে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক প্রতিনিধি মুর্শিদাবাদ পরিদর্শনে গেলে পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হন। আজ প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ হয়ে গেছে এই সরকার আক্রান্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় না, বরং প্রকৃত সত্যকে আড়াল করাই তাদের উদ্দেশ্য। ভারতের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের সমানাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। এই সরকার একটি নির্দিষ্ট ভোটব্যাংকের তুষ্টি নীতিকে শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রস্থলে নিয়ে এসেছে।’’

    ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘হিন্দুদের ধর্মীয় অধিকার, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতি—সবকিছুকেই আজ রাজনৈতিক স্বার্থের বলি করা হচ্ছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আপনি যতই সুর পাল্টান, যতই ‘শান্তির বার্তা’ প্রচার করুন—আপনার কার্যকলাপ এবং প্রশাসনিক আচরণ আজ সম্পূর্ণ উল্টো ছবি এঁকে প্রমাণ করে দিয়েছে আপনার মুখোশ উন্মোচিত। আজ বাংলার হিন্দুরা জানে, তারা এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘তারা জানে, এই তোষণের অন্ধকার রাজনীতি (Murshidabad Violence) থেকে মুক্তির একমাত্র পথ—সত্য প্রকাশ এবং প্রতিরোধের রাজনীতি। সম্পূর্ণ বাংলা আজ জেগে উঠেছে। ইতিহাস আপনার তোষণ ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবে, এবং হিন্দুরা এই অত্যাচারের ইতিহাস কখনও ভুলবে না। সুতরাং, আপনার এই বার্তা কেবলমাত্র মুখ লুকোনোর একটি দুর্বল প্রচেষ্টা মাত্র। ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।’’

  • Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ফাঁস রহস্যের পর্দা! বাবা-ছেলে খুনে ধৃত ‘মূল চক্রী’

    Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ফাঁস রহস্যের পর্দা! বাবা-ছেলে খুনে ধৃত ‘মূল চক্রী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় (Murshidabad Violence)। ওই ঘটনায় বিজেপি-আরএসএসকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন (Murder Case) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদ এলাকায় খুন করা হয়েছিল হিন্দু প্রতিমা শিল্পী বাবা ও ছেলেকে। ওই ঘটনায় ‘মূল চক্রী’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জিয়াউল শেখ। চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই হিন্দু খুনের মূল চক্রী তিনিই।

    ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’! (Murshidabad Violence)

    জিয়াউল গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেত্রী যে ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’ খাড়া করতে চেয়েছিলেন, তারও পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে জিয়াউলের গ্রেফতারির পর। মমতা স্বয়ং পুলিশ মন্ত্রী। সেই পুলিশই বলছে, ধৃতের বাড়ি শামসেরগঞ্জ থানার সুলিতলা এলাকায়। খুনের ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দুই হিন্দু খুনের ঘটনায় এ নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। জানা গিয়েছে, বাবা-ছেলে খুনে ধৃত তিনজকে জেরা করে পুলিশ জিয়াউলের নাম জানতে পারে। তার পরেই ওই রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জিয়াউলকে। রবিবার তাঁকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।

    বহিরাগত তত্ত্ব আওড়ানোর কারণ

    জিয়াউলের আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ইনজামাম হক নামে একজনকে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবা-ছেলে খুনের পর ঘটনার অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বহিরাগত তত্ত্ব আওড়াচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আঙুল তুলেছিলেন বিএসএফ, বিজেপি এবং আরএসএসের দিকে। যেহেতু তিনি পুলিশ মন্ত্রী, তাই পুলিশি ব্যর্থতার দায় অস্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে (Murshidabad Violence)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসবই তিনি করেছেন সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের দিকে তাকিয়ে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জিততে তৃণমূল নেত্রীর প্রয়োজন সংখ্যালঘুদের সব ভোট। সেই (Murder Case) কারণেই তিনি ‘মিথ্যা’র আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি বিরোধীদের (Murshidabad Violence)।

  • Waqf Act: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল,” মুর্শিদাবাদের হাড়হিম করা ঘটনা

    Waqf Act: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল,” মুর্শিদাবাদের হাড়হিম করা ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল।” মুর্শিদাবাদের ঘটনার নৃশংসতা বোঝাতে (Waqf Act) গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW Member) সদস্য অর্চনা মজুমদার। শনিবার তিনি হিংসা কবলিত এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেখানে মুর্শিদাবাদের হিংস্রতাকে ভয়াবহ ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন তিনি। এই ঘটনার দায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর বর্তায় বলেও মন্তব্য করেন অর্চনা।

    মুর্শিদাবাদের হিংস্রতা (Waqf Act)

    তিনি বলেন, “কোনও মহিলা স্বামী হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন পুত্রকে।” এর পরেই তিনি বলেন, “লোকগুলোকে বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এনে হত্যা করা হয়েছে। এটা ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা, আমি জানি না। আমরা এই প্রথম এ সব দেখলাম। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।”

    জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    শনিবার সকালে জাতীয় মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল যার নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাতকর, হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, কেন্দ্রের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “কমিশন জনগণের দাবিগুলি সরকারের কাছে পেশ করবে। এই মানুষগুলো যে কষ্ট ভোগ করে চলেছেন, তা অমানবিক। আমরা সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরব।”

    প্রসঙ্গত, তিনদিনের বাংলা সফরে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের দল (Waqf Act)। দলের সদস্যরা ঘুরে দেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, “সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে আতঙ্কিত নারীদের মনোবল বাড়ানোই আমার এই সফরের উদ্দেশ্য।”

    গত ১১ এপ্রিল সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একাংশ। সূতি, সামশেরগঞ্জে হিংসা ধারণ করে ভয়াবহ আকার। ওই ঘটনায় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। উন্মত্ত মৌলবাদীদের হিংসায় জখমও হন বেশ কয়েকজন হিন্দু। বেছে বেছে ভাঙচুর করা হয় হিন্দুদের ঘরবাড়ি (NCW Member)। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে মালদায় আশ্রয় নেন আতঙ্কিত হিন্দু জনতা (Waqf Act)।

  • Murshidabad Violence: ‘‘এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না’’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় আক্রান্তদের কথা শুনে বললেন রাজ্যপাল

    Murshidabad Violence: ‘‘এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না’’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় আক্রান্তদের কথা শুনে বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় (Murshidabad Violence) সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানের মতো এলাকায়। দক্ষিণ মালদা লোকসভার অন্তর্গত এবং মুর্শিদাবাদ জেলার ওই এলাকাগুলির পরিস্থিতি বুঝতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা জানতে একই দিনে সেখানে হাজির হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার, ওই দিনে মালদায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সমাজের একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায় এখানে আক্রান্ত হয়েছে। এক দল মারবে, আর এক দল আক্রান্ত হবে, এটা কখনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হতে পারে না।’’

    এর মধ্যে বাঁচা যায় না

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Violence) অশান্তিতে ঘরছাড়াদের একাংশকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যেরা। রাজ্যপালের কাছে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। শামসেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার অনুরোধ করেন। সুকান্তের দাবি, সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই রাজ্যপাল মালদা-মুর্শিদাবাদ সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যপাল বোসকে সামনে পেয়েই নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা শোনান ধুলিয়ানের মহিলারা। রাজ্যপালের দাবি, মহিলারা তাঁকে জানান যে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁদের লাঞ্ছিত ও নির্যাতনও করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘এই ক্যাম্পে বসবাসকারী পরিবারগুলোর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি তাঁদের সমস্যার কথা বিস্তারিতভাবে শুনেছি এবং তাঁদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছি। মহিলারা জানান যে দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে, মারধরও করে। তাঁরা কী চায়, সেই বিষয়ে আমাকে বলেছেন। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে। এখানে যে অশান্তি হয়েছে, তা কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি এখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছি, এখানে ভয়ের পরিস্থিতি রয়েছে। এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না।’’

    ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে

    মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন। এদিন কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সার্কিট হাউসে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে আসেন মালদার বৈষ্ণবনগরে। সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনবিজয়া রাহাতকর বলেন, “তাঁদের সঙ্গে কী হয়েছে, সেসব মহিলারা জানিয়েছেন। মহিলারা যা বললেন, তা কল্পনার বাইরে। যৌন নিপীড়নও হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও কথা বলতে হবে। মহিলাদের সঙ্গে কীভাবে এসব হতে পারে।” জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “মহিলারা বলছেন, আমরা শুধু সেন্ট্রাল ফোর্স চাই। আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। মেয়েদের বলেছে, এই বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা যা যা করার করব।” অন্যদিকে, আক্রান্ত মহিলারা জানান, তাঁদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেসব জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যদের। আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ

    ওয়াকফ ইস্যুতে অশান্তি (Waqf Bill Protest) শুরু হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা থেকে প্রচুর মানুষ মালদায় চলে এসেছেন। প্রাণ বাঁচাতে তাঁদের কেউ কেউ খোলা মাঠে থাকতে শুরু করেছিলেন। পরে ঘরছাড়াদের জন্য আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) প্রতিনিধিরা এসে সেই আশ্রয়স্থলেই যান ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা, শোনেন অভাব-অভিযোগ। ওয়াকফের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। সেই ভয়ে অনেকেই ঘর থেকে পালিয়ে যান এবং আশ্রয় নেন পাশের জেলা মালদায়। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বস্তুত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে শুরু হওয়া গোলমালের জেরে গত শুক্রবার বিকেল থেকে নৌকায় গঙ্গা পেরিয়ে ধুলিয়ানের বেতবোনা, বাজারপাড়া ও হাতিচিত্রা এলাকার কমপক্ষে ৪০০ জন আশ্রয় নেন পারলালপুর হাই স্কুলে। এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ।

  • Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শৈষ চৈত্রতেই শুরু হয় তাণ্ডব। নববর্ষের মাত্র ৪ দিন আগেই। লুট, হত্যা, ভাঙচুর চলতে থাকে। তছনছ হয়ে যায় বাড়ি-দোকান। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ওয়াকফ ইস্যুতে প্রতিবাদের নামে গুণ্ডামি, তাণ্ডব, হিংসা দেখল গোটা দেশ। এমন নৈরাজ্য অনেক প্রশ্নই তুলল। নববর্ষেও থমথমে মুর্শিদাবাদ। খুশি নেই ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের মনে। নতুন বছরেও তাঁদের মনে ঘিরে ধরেছে একরাশ ভয় ও হতাশা। ওয়াকফ বিক্ষোভের মাঝেই গত ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে খুন হন বাবা-ছেলে। হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুন করে মৌলবাদীরা। পরিবার তো বটেই, এমন বিভীষিকা কোনওভাবেই ভুলতে পারছেন না স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। ঘরে ঢুকে আচমকাই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বাবা-ছেলেকে। হরগোবিন্দর বয়স ছিল ৭০ বছর, চন্দনের বয়স ছিল ৪০। ভয়ের পরিবেশে পিতা-পুত্রের শ্রাদ্ধের দিনেও জুটল না কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির ভরসা সেই বিএসএফ। বিএসএফের বিরুদ্ধে মমতা যতই অভিযোগ, যাই দাবি করুক না কেন, মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়া হিন্দুরা কিন্তু বিএসএফকেই ত্রাতার চোখে দেখছেন। তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, বিএসএফ আছে বলেই তাঁরা প্রাণে বেঁচে রয়েছেন। তাই, বিএসএফ চলে গেলে, তাঁদের ওপর কী ত্রাস নেমে আসবে, তা ভেবেই আতঙ্কিত সকলে।

    তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন, আসতে চাননি কেউই

    প্রসঙ্গত, বুধবারই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে নিহত বাবা এবং ছেলের আদ্যশ্রাদ্ধ ছিল। অভিযোগ, পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণকে পায়নি তাঁদের পরিবার। এরফলে নিজেদের মতো করেই কোনও রকমে কাজ সেরেছে নিহতের পরিবার। নিহতের পরিবারের দাবি, ভয়ে তাঁদের বাড়িতে কেউ আসতে চাইছেন না। তবে এগিয়ে আসেন কীর্তনের দলের সদস্যরা। কীর্তনের মধ্যে দিয়েই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করেন পরিবারের সদস্যরা। তাই কেউ এগিয়ে আসেনি। নিহতদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের এলাকায় তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন। শ্রাদ্ধের কাজের জন্য তাঁদের কাছেও গিয়েছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতেই। ক্ষৌরকারদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংক্রান্ত কাজের জন্য যে জিনিসপত্র লাগে, তা তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। তাই পারলৌকিক কাজ করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে, দুই ব্রাহ্মণই জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে এবং বর্তমানে মামলা চলছে। তাই তাঁরা এই সংক্রান্ত কাজ করতে পারবেন না।

    ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে

    জেলার হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে পুড়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি। হিংসার আগুন শেষ করে দিয়েছে রুজিরুটিও। দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন হিন্দুরা (Murshidabad)। ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে ভয়ে কেউ গিয়েছেন ঝাড়খণ্ড, কেউ আবার বীরভূমে। বেশিরভাগ জন প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে মালদায়। তবে এখানেই শেষ নয়, উদ্বাস্তু হওয়া হিন্দু পরিবারগুলি বলছে, প্রাণভয়ে পালানোর সময়ও উগ্রপন্থীরা ট্রাকের পিছনে ধাওয়া করেছে। আতঙ্কে আবার অনেকেই মুখ খুলতেই চাইছেন না। প্রসঙ্গত, অশান্তি শুরু হয় গত শুক্রবার ১১ এপ্রিল। জুম্মা নমাজের দিনই অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। নমাজ শেষেই বেরিয়েছিল বিরাট মিছিল।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি দিচ্ছে মৌলবাদীরা

    কিন্তু পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে কীসের ভয়? মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশে তাঁদের আস্থা আগেই চলে গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা আছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আরও বড় হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের দাবি। বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি মৌলবাদীরা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করছেন। একজোট হয়ে বসে তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন, গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই। নাহলে অবস্থা আরও খারাপ হবে হিন্দুদের। যদিও, এলাকার বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কিত নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁদের দাবি, প্রশাসন খাবার দিচ্ছে, ত্রিপল দিচ্ছে। নিরাপত্তার করতে হবে। এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আবার আমরা গ্রাম ছাড়া হব। রাতে আমাদের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার (Murshidabad) ব্যবস্থা করতে হবে। এই ঘটনা বারবার করে ঘটতে থাকবে। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে, আমরা বাঁচবো কিভাবে?’’

    নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা? ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ সামনে এসেছে। কোথাও নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা হয়েছে, কোথাও আবার প্রকাশ্যেই দেওয়া হচ্ছে ধর্ষণ-খুনের হুমকি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, সারি সারি দোকানের রয়েছে তবে তারই মাঝে বেছে বেছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দু মালিকদের দোকান। ঘরের মজুত চাল থেকে শুরু করে নগদ টাকা, গয়না এ সব কিছুই লুটে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদের অছিলায় হামলার সেই বিভীষিকার দৃশ্য কিছুতেই কোনওভাবই ভুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। যারা পালিয়ে বেঁচেছেন, তাঁরা কবে ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তরও নেই কারও কাছে।

    ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান, বাবা-ভাইকে ফিরিয়ে দেবে মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন নিহতেদর দিদির

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। তবে নিহত হরগোবিন্দ এবং চন্দনের পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ নিতে চান না কোনওভাবেই। দোষীদের কঠোর শাস্তি চান তাঁরা। নিহত চন্দন দাসের দিদি বলেন, ‘‘আমার ভাই, আমার বাবাকে কেটে খুন করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফিরিয়ে দেবে?’’ নিহত চন্দন দাসের স্ত্রীও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সাহায্য নেব না। যে মেরেছে তার শাস্তি চাই।’’

    সময়মতো পুলিশ এলে বাঁচানো যেত বাবা-ভাইকে, আক্ষেপ নিহতের দিদির

    এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রসঙ্গে হরগোবিন্দ দাসের মেয়ে বলেন, ‘‘আমরা ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ (Murshidabad Violence) চাই না। যে চলে গিয়েছে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না এই সরকার।’’ এর পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়ির লোক। পুলিশ সেদিন সময়মতো এলে বাবা ও ভাইকে হারাতে হত না বলে দাবি হরগোবিন্দর মেয়ের। গ্রামের একাধিক বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হত না বলেও জানিয়েছেন চন্দনের দিদি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফোন করেছি। পুলিশ এগিয়ে আসেনি। পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চোখের সামনে আমাদের পরিবারের দুজনকে চলে যেতে হল। বাবাকে ও ভাইকে হারিয়েছি। গ্রামে একাধিক বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভাঙচুর করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ আসেনি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী নিয়ে পুলিশ যখন আসে ততক্ষণে সব শেষ। আর আজকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা এই ক্ষতিপূরণ চাই না।’’

  • Sukanta Majumdar: ‘‘দম থাকলে প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে’’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘দম থাকলে প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে’’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বুধবার বিকালে মুর্শিদাবাদ হিংসার ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ভবানী ভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দেখা করেন রাজ্যে পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে। সুকান্তর সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায় ও অর্জুন সিং। প্রথমে ভবানী ভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরে তাঁদের দেখা করা অনুমতি দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু পেলাম না। আমরা একাধিক দিক তুলে ধরেছি। পুলিশ দুস্থদের খাওয়াতে পারছে না, এদিকে আমরা যখন ত্রাণ দিতে যাচ্ছি আমাদের আটকে দিচ্ছে।’’ একইসঙ্গে মমতাতে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সুকান্ত জানান, দম থাকলে উনি প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে।

    ভবানী ভবনের সামনে থেকে তোপ মমতাকে

    ভবানী ভবনের সামনে থেকেই এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি করেছে বলছেন উনি। আমার ফোন, আমাদের বিজেপি নেতাদের ফোন দিয়ে দিচ্ছি আমরা। দেখাক প্রমাণ করে যে আমরা করেছি। চ্যালেঞ্জ করছি আমরা, চ্যালেঞ্জ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি দম থাকে, প্রমাণ করে দেখাক যে সুকান্ত মজুমদার বা বিজেপির অন্য কোনও নেতা এই অশান্তি করিয়েছে। প্রমাণ করে দেখাক।’’

    ব্যর্থতার দায় কে নেবে প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘আমাদের তোলা সমস্ত অভিযোগগুলিই উনি শুনেছেন ও নোট করেছেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশের প্রধান হয়েও উনি এই ঘরছাড়াদের এমন কিছু বললেন না যাতে এনারা আশ্বস্ত হয়। ডিজি শুধু বললেন, আমরা আইন মেনে কাজ করব।’’ পুলিশের ভূমিকা টেনে সুকান্ত মজুমদার (Murshidabad Violence) বলেন, ‘‘আমরা যে যে প্রশ্ন করেছি, তার উত্তর পাইনি। বিএসএফ পুলিশ পাশাপাশি রাখলে, পুলিশ সব থেকে বেশি দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম, ওরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এদিকে আক্রান্তরা বলছে, বিএসএফ বেশি ভালো কাজ করেছে। এদিকে ডিজি আমাদের জানিয়েছেন, পুলিশ নাকি পর্যাপ্ত ছিল না। অর্থাৎ গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আগাম কোনও খবরই দেননি। এটার মানে একটাই, তারা ব্যর্থ। কিন্তু এই ব্যর্থতার দায়টা নেবে কে?’’

LinkedIn
Share