Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Yogi Adityanath: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    Yogi Adityanath: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর দিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভার শক্তিপুরে রামভক্তদের ওপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি দোকান লুট করেছিল। বোমাবাজি করেছিল এলাকায়। এলাকায় দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এবার সেই শক্তিপুরের প্রতাপ সিংহের মাঠে জনসভায় বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা (Yogi Adityanath)

    মঙ্গলবার জনসভা থেকে যোগী (Yogi Adityanath) বলেন, সাত বছর আগে উত্তরপ্রদেশের হাল বাংলার মতোই ছিল। আমি আসার পর সব ঠিক করে দিয়েছি। আর সেখানে রাম নবমীতে কোনও দাঙ্গা হয় না। কার্ফু লাগাতে হয় না। এখানে এসে শুনলাম রাম নবমীর দিন হামলা হয়েছিল।  আমার উত্তরপ্রদেশ হলে দাঙ্গাকারীদের উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, আগামী সাত প্রজন্ম দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না। উত্তরপ্রদেশে আমি আসার আগে মাফিয়া রাজ চলত। আজ সেগুলি অতীত, আমি আজ এখানে এসেছি এটাই বলতে বাংলার এই দাঙ্গা, যে বাংলা রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা, যে বাংলায় সম্প্রীতির বাংলা সেই বাংলায় কেন আজ এত দাঙ্গা, অবিলম্বে এই দাঙ্গা বন্ধ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: সোমবার রাজ্যের উষ্ণতম ছিল কলাইকুন্ডা, কলকাতার তাপমাত্রা কত?

    সোনার বাংলা হবে

    যোগী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, এই বাংলার সন্তান স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলেছিলেন, গর্ব করে বলো আমি হিন্দু। আর আজ সেই বাংলাকে  হিন্দু বিহীন করার চক্রান্ত চলছে। এই বাংলায় আজ কংগ্রেস, তৃণমূল নাটক শুরু করেছে। আর বাংলার বাইরে গিয়ে তারা এক হচ্ছে। এদেরকে চিনে রাখুন নাহলে সমূহ বিপদ। যদি উত্তরপ্রদেশের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করতে পারে, কেন এই বাংলায় মানুষের মধ্যে এত বিরোধ। বাংলাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লুণ্ঠনকারীদের হাত থেকে আপনারা সবাই বাঁচান এবং মানুষ আজ যেভাবে উত্তরপ্রদেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে, আমি কথা দিচ্ছি এই বাংলায় কোনও দাঙ্গা হবে না বাংলা আবার তার পুরনো সংস্কৃতি ফিরে পাবে। সোনার বাংলা হবে।

    কেন্দ্রের সব সুবিধা পায় উত্তরপ্রদেশ, বাংলা কেন বঞ্চিত?

    তিনি (Yogi Adityanath) আরও বলেন, এই বাংলা সংস্কৃতি এবং সভ্যতার এক নতুন দিশা দেখিয়েছিল। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক নতুন আলো দেখাচ্ছিল। আজ সেই বাংলার কেন দিশাহীন  অবস্থা? যে বাংলায় মা দুর্গার পুজো হয়, সেই বাংলায় কী করে সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটে, সে প্রশ্ন আমি আজ বহরমপুর থেকে বাংলার সরকারের কাছে রাখছি। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল এই দুজনেই এক থালায় খাওয়া লোক। এই দুই দল বাংলাকে লুটার জন্য, আর ভারতকে বদনামের জন্য এক। কেন্দ্রের সমস্ত পরিষেবা ইউপি সরকার পাচ্ছে বাংলায় তা পাঠানো সত্ত্বেও কেন বাংলার মানুষ আজ বঞ্চিত হচ্ছে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নবাবিয়ানার সাক্ষী মুর্শিদাবাদে অজস্র দ্রষ্টব্য, ইতিহাস যেন এখানে কথা বলে!

    Murshidabad: নবাবিয়ানার সাক্ষী মুর্শিদাবাদে অজস্র দ্রষ্টব্য, ইতিহাস যেন এখানে কথা বলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। প্রায় ৫৪ বছরের নবাবিয়ানার সাক্ষী বাংলা, বিহার, ওড়িশার শেষ স্বাধীন রাজধানী এই মুর্শিদাবাদ। এখানকার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় দ্রষ্টব্য হল হাজারদুয়ারি। ১৮২৪ থেকে ১৮৩৮ সালে নগদ ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন নবাব নাজিম হুমায়ূন জা। আসল নকল মিলিয়ে প্রাসাদটির ১০০০টি দরজা থাকার জন্য এর নাম হয়েছে হাজারদুয়ারি। প্রাসাদের অভ্যন্তরে রয়েছে সংগ্রহশালা। সেখানে প্রদর্শিত হয়েছে তৎকালীন সময়ের নবাবদের ব্যবহৃত তৈজসপত্র, পোশাক, বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ। এর আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে মার্শাল, টিটো প্রমুখ বিশিষ্ট শিল্পীদের আঁকা অপূর্ব সব ছবি। অস্ত্রাগারে রয়েছে প্রায় ২৯০০০-রও বেশি অস্ত্র।

    বৃহত্তম ইমামবাড়া, কাটরা মসজিদ, জগৎ শেঠের বাড়ি (Murshidabad) 

    হাজারদুয়ারির বিপরীতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ইমামবাড়া। ১৮৪৬-এ সিরাজের তৈরি কাঠের ইমামবাড়াটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিনষ্ট হলে পরবর্তী কালে এটি নির্মাণ করেন নবাব নাজিম ফেরাদুন জা। হাজারদুয়ারির প্রাঙ্গণেই রয়েছে ঘড়ি মিনার, সিরাজের তৈরি মদিনা, বাচ্চেওয়ালি তোপ নামের বিশাল এক কামান। মুর্শিদাবাদের পরবর্তী আকর্ষণ কাটরা মসজিদ। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ ১৭২৩-২৪ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন। এখানেই রয়েছে তাঁর সমাধি। পাশেই তোপখানায় জাহানকোষা কামান। এছাড়াও এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য কাঠগোলা বাগান, মোতিঝিল, জগৎ শেঠের বাড়ি, নসীপুরে দেবী সিং-এর প্রাসাদ (এই তিনটি স্থানেই বর্তমানে সংগ্রহশালা হয়েছে), ভাগীরথী নদীর ওপারে কীরিটকণা গ্রামে গ্রামে রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র তীর্থস্থান একান্ন সতীপীঠের অন্যতম কিরীটেশ্বরী মন্দির, খোশবাগে নবাব সিরাজউদ্দৌলা, নবাব আলিবর্দী খানের সমাধি, বড়নগরে রানি ভবানীর তৈরি মন্দির প্রভৃতি (Murshidabad)। 

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Murshidabad)

    যাতায়াত-কলকাতা থেকে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস, ভাগীরথী এক্সপ্রেস ছাড়াও শিয়ালদা থেকে যাচ্ছে লালগোলা প্যাসেঞ্জার। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দূরত্ব প্রায় ২১৫ কিমি।
    থাকা খাওয়া-হাজারদুয়ারির আশেপাশে থাকাটাই সুবিধার। তাতে বেড়ানোর ঝামেলা এবং খরচ অনেকটাই কমে। এখানে আছে হোটেল হিস্টোরিক্যাল, হোটেল অন্বেষা (দুটিরই ফোন ৯৪৩৪১১৫৪৭০), হোটেল ফ্রেন্ডস এবং হোটেল পাপিয়া (এই দুটির ফোন ৯৭৩২৬০৯০৮৪), হোটেল যাত্রিক (৯৭৩৩৯৭৫০২৪), হোটেল মঞ্জুষা (৯৫৯৩৯৫০৯৭৩) প্রভৃতি। আর ঐতিহাসিক স্থানে ঠিকঠাক ঘোরার প্রয়োজনে দরকার হয় অভিজ্ঞ গাইডের। গাইডের প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ৯৭৭৫৮৫৬৭০৫, ৯৪৭৫০৬৪৮৮৯ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: “শাহজাহানকে আড়াল করেছেন মমতা”, বহরমপুরে তোপ জেপি নাড্ডার

    JP Nadda: “শাহজাহানকে আড়াল করেছেন মমতা”, বহরমপুরে তোপ জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৩ এপ্রিল বহরমপুরে (Beharampur) লোকসভা ভোট। আর তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গড় বহরমপুর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রবিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ প্রখর তাপদাহের মধ্যে বিধায়কহীন বড়ঞা বিধানসভায় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল কুমার সাহার সমর্থনে সভা করেন তিনি।

    কী বললেন নাড্ডা (JP Nadda)?

    বড়ঞার জালিবাগানের জনসভায় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল কুমার সাহার সমর্থনে ভোট দিয়ে তাঁকে জয়ী করার আহ্বান জানালেন জেপি নাড্ডা। এদিন প্রচারের পাশাপাশি ফের একবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রসঙ্গ উঠে এল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার মুখে। সন্দেশখালিতে যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করেন নাড্ডা। তিনি বলেন,”শেখ শাহজাহানকে (Sheikh shahjahan) আড়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ব্যবহার একেবারে অনুচিত। সন্দেশখালির মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বাংলার মায়েদের উপর অত্যাচার করেছে তৃণমূলের নেতা।” এদিন নির্বাচনী জনসভায় (Lok Sabha Election Campaign) জেপি নাড্ডার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডক্টর নির্মল কুমার সাহা, বহরমপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি সহ বিজেপি নেতৃত্বরা ও প্রায় হাজার হাজার কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল দুষ্কৃতীর কোপে মাথা ফাটল মহিলা বিজেপি কর্মীর! থানায় বিক্ষোভ দেবশ্রীর

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    এই লোকসভায় এবার হাড্ডাহাড্ডি ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। আর এই সভা থেকেই এদিন জেপি নাড্ডা (JP Nadda) তৃণমূলের (TMC)বিরুদ্ধে চালচোর থেকে শুরু করে সন্দেশখালির ঘটনা, কাটমানি, শিক্ষক দুর্নীতি, জমি মাফিয়া সহ বিভিন্ন দুর্নীতির জন্য ক্ষোভ উগরে তীব্র কটাক্ষ করেন, এবং একই সঙ্গে বাংলার এই সরকারকে উচ্ছেদ করার ডাক দেন। উল্লেখ্য লোকসভা ভোটের মরশুমে এই প্রথমবার রাজ্যে এলেন বিজেপি নেতা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ একাধিকবার বঙ্গে এলেও বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি এলেন প্রথম। আর সব শেষে এদিনের সভায় নাড্ডা এও বলেন যে, বিজেপি এখানে ৩৫ টির বেশি আসনে জিতবে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার যে সুযোগ সুবিধাগুলি দিচ্ছে তা বঙ্গে হতে দিচ্ছে না মমতার সরকার। ফলে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: গরম উপেক্ষা করে মুর্শিদাবাদে মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার

    Mithun Chakraborty: গরম উপেক্ষা করে মুর্শিদাবাদে মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: (Murshidabad) মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের জিয়াগঞ্জে বিজেপি (B.J.P.) প্রার্থী গৌরী শংকর ঘোষের সমর্থনে রোড শো করলেন তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।  জিয়াগঞ্জের বাগদহ মোড় থেকে এই বর্ণাঢ্য রোড শো শুরু হয়। রোড শোয়ে পা মেলান কয়েক হাজার বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থক। রোড শো চলাকালীন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। চড়া রোদ ও দাবদাহ উপেক্ষা করে হাজারো কর্মী সমর্থক কয়েক কিলোমিটার হাঁটলেন প্রার্থীর সমর্থনে। প্রচুর সাধারণ মানুষ বিজেপি প্রার্থী ও তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে রাস্তার ধারে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদেরও অনেকে এদিন মিছিলে পা মেলান। প্রচারের একেবারে শেষ পর্বে ঝড় তুলে দিল বিজেপি। যা কর্মী সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে অনেকটাই সুবিধা করবে। 

    মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার

    গত লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি এই আসনে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে অনেক সুবিধা জনক জায়গায় ছিল। যদিও জয়ী হন আবু তাহের খান। সংখ্যালঘু উদ্দেশ্য অধ্যুষিত এই অঞ্চলে হিন্দুদের ভোট অনেকটাই নিজেদের শিবিরে আনতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এমনকী গত লোকসভায় জিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়েছিল। এবার এই কেন্দ্রে জয় পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। বিজেপি কর্মী রঘুনাথ হাজরা এদিন বলেন, “সকাল থেকেই মিঠুনের অপেক্ষায় আমরা জড়ো হয়েছিলাম। প্রার্থীকে এবার জেতাতে হবে। এই জোর আমাদের মনে আছে। আমরা জিয়াগঞ্জ সহ আরও বেশ কয়েকটা বিধানসভা থেকে লিড দেব। এবং আমাদের প্রার্থী মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হবে। তার জন্য প্রতিজ্ঞা নিয়ে দিনের রোড শোয়ে আমরা পা মিলিয়েছি। আমরা প্রচারে বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছি। গতবার একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল এই লোকসভা কেন্দ্র। এবার আর সেটা হবে না আমরা এই কেন্দ্রেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দিতে চাই”। এদিন জিয়াগঞ্জের বাগদহ মোড় থেকে নেতাজি মোড় পর্যন্ত রোড স করে বিজেপি। এদিন বেলা বারোটা নাগাদ জিয়াগঞ্জ বাগদহের মোড় থেকে গৌরীশংকর ঘোষ কে সঙ্গে নিয়ে রোড-শো শুরু হয়। জিয়াগঞ্জ ফুলতলা বাস স্ট্যান্ড হয়ে জিয়াগঞ্জ বাজারের রাজপথ ধরে নেতাজি মূর্তি পাদদেশে মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো শেষ হয়। রোড শোয়ে উপচে পড়়ে ভিড়।

    বিজেপি সোনার বাংলা উপহার দেবে

    এবার বিজেপি মিঠুনকে বাংলা এবং ত্রিপুরায় তারকা প্রচারকের তালিকায় রেখেছে। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষের হয়ে প্রচারে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। নবগ্রামের চাণক এলাকায় তিনি নামেন। তারপরেই তার প্রচার শুরু হয়। সেখানে তিনি একটি জনসভায় অংশগ্রহণ করেন, “বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ভিড়ের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজন মহাগুরুকে দেখার জন্য ভিড় করে। এদিনের সভায় মিঠুন বলেন, বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করুন। বিজেপি সোনার বাংলা উপহার দেবে। আর তৃণমূলের নাম করে বলেন, অন্যদলকে ভোট দিলে চাকরি দুর্নীতি, বালি চুরি, গরু চুরি, সন্দেশখালির মতো মেয়েদের ওপর অত্যাচার হবে। এদিন মিঠুন তাঁর সিনেমার কয়েকটি ডায়লগ একটু ঘুরিয়ে বলেন। কারণ, সিনেমার দায়লগে কয়েকটি শব্দ নাকি হিংসাশ্রয়ী। আদর্শ আচরণ বিধির জন্য মিঠুনের নতুন ডায়লগে প্রচুর হাততালি পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল তৃণমূল কর্মীর, শোরগোল

    Murshidabad: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল তৃণমূল কর্মীর, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল এক যুবকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার মোনাইকান্দারা গ্রামে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই রাতের অন্ধকারে বোমা বাঁধার কাজ করছিল। সেই বোমা ফেটেই এই বিপত্তি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানা এলাকার মোনাইকান্দারা গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় পিছনের জঙ্গলে সকেট বোমা বাঁধার কাজ করছিল। তাদের সঙ্গে ছিল বাইরে থেকে আসা ২ বোমা কারিগর। অতিরিক্ত গরম ও তীব্রতা বাড়াতে নির্দিষ্ট মাত্রার থেকেও বেশি পরিমাণ বারুদ ব্যবহার করাতে ব্যাপক শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে, দাবি পুলিশ সূত্রের। বিস্ফোরণের জেরে দুজন জখম হন। এরমধ্যে একজনের হাতের একাংশ উড়ে যায়। গুরুতর জখম হলেন আরও এক জন। সকালে স্থানীয়রা হাতের কয়েকটি আঙুল ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে। মোনাই কান্দারা গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত আলি শেখ নামক ১৯ বছর বয়সী এক যুবকের হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল উড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এই জিন্নাত কলেজ পড়ুয়া। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘিরে রাখা হয় গোটা এলাকা। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি বিস্ফোরণের পরেই আহতদের নিয়ে এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। শাসক দলের মদতেই চলছিল এই কারবার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রামে যায় পুলিশ। বোমার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: “মিটিং সেরে ফেরার পথে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল দলেরই কর্মীরা”, গুরুতর আহত তৃণমূল কর্মী

    জখম যুবকের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    আহত জিন্নাত আলির এক আত্মীয় বলেন ‘ খাওয়া দাওয়া করে জিন্নাত বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তার কিছুক্ষণ পরে প্রচন্ড শব্দ হয়। খবর পাই বোমা বিস্ফোরণে অনেকে আহত হয়েছে। জিন্নাতের হাত উড়ে গেছে। আমরা গিয়ে কাউকে দেখতে পাইনি। কোথায় আছে, কারা নিয়ে গেছে কিচ্ছু জানি না। কলেজে পড়া একটা ছেলেকে প্রলোভন দিয়ে এরকম খারাপ কাজে যারা যুক্ত করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করুক পুলিশ”।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কংগ্রেস নেতা আজাদ মল্লিক বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোর জন্য বোমা তৈরি করছিল। এরপরই বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আর তৃণমূলের যে নেতার নির্দেশে বোমা বাঁধার কাজ হচ্ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী অনামিকা ঘোষ বলেন, ভোটে গন্ডগোল করার জন্য বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    Murshidabad: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হারালেন ২৬ হাজার শিক্ষক। তার জেরে সমস্যার মুখে পড়েছে মুর্শিদাবাদের তিনটি স্কুল। পড়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার অর্জুনপুর হাইস্কুল। এই স্কুলে চাকরি বাতিল হল ৩৬ জন জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার। পার্শ্বশিক্ষক ৭ জন। মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজার। বাতিল হওয়া শিক্ষকের সংখ্যা বাদ দিলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে ফরাক্কা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা।

    চাকরি হারিয়ে হতাশ (Murshidabad)

    সোমবার এসএসসি গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, নবম- দশম ও একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই মাথায় হাত চাকরি বাতিল হওয়া মহম্মদ সাফিউল ইসলাম-সহ অন্যান্য শিক্ষকদের। বাতিল হওয়া শিক্ষক সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালে নিয়োগপত্র পাই।  ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যোগদান করি। আলিপুরদুয়ারে যোগদান করলেও মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে ফরাক্কার অর্জুনপুর হাইস্কুলে (Murshidabad) যোগদান করেছি। তবে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বাতিল করা হোক। নবম-দশমে ভুল ত্রুটি হয়েছে, এটা ঠিক। তবে, সকলের চাকরি হাইকোর্ট কীভাবে বাতিল করল। আমরা খুব হতাশাগ্রস্ত।’

    স্কুল চালানো মুশকিল,দাবি প্রধান শিক্ষকের

     ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সৌরভ আলি বলেন, পড়ুয়াদের সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক। গ্রামে একটি মাত্র স্কুল। আর এই স্কুলের ওপরেই ভরসা করে পড়ুয়ারা। আমাদের স্কুলে ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। প্রথম যোগদান করেন ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরে ১৬ জন মিউচুয়াল ট্রান্সফার হিসাবেই যোগদান করেন। তবে, শিক্ষক না থাকলে স্কুলের ক্ষতি। ৩৬ শিক্ষক বাতিল হওয়ার কারণে আগামী দিনে স্কুলে চালানো মুশকিল।  একইভাবে হরিহরপাড়া (Murshidabad) থানার লালনগর হাইস্কুলের ৩০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন শিক্ষক, ২ জন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। বাম আমলেও এই লালনগর হাইস্কুলে ভুয়ো মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতা করার অভিযোগে তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছিল শিক্ষা দফতর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারওয়ার্দি বিশ্বাস বলেন, ‘এরকম হলে স্কুল চালানোই মুশকিল হবে। দেখা যাক, শেষ অবধি কী হয়?’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর ঘোষের সমর্থনে জলঙ্গিতে জনসভা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বাংলায় তিনটি সভা করেন। প্রথম সভা মুর্শিদাবাদে। দ্বিতীয় সভা মালদা উত্তর এবং তৃতীয় জনসভা শিলিগুড়িতে। এদিন মুর্শিদাবাদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করেন।

    সন্দেশখালির ঘটনা মানবতার জন্য লজ্জার (Rajnath Singh)

    এদিন রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “বাংলা অরাজকতার পরিবেশ। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সন্দেশখালির যে ঘটনা তা মানবতার জন্য লজ্জার। এই বাংলায় শিক্ষা, রেশন, আবাস যোজনায়, চাকরি ক্ষেত্রে সর্বত্র দুর্নীতি। এখানে মমতাদি গরিবকে আবাস যোজনা দেওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু আবাস যোজনা ক্ষেত্রেও ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে।  মমতাজি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে লালসা দেখাচ্ছেন। কিন্তু, আপনি বাংলার মানুষক কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে দেননি, যেখানে গরিব মানুষ ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। মমতাদি, আপনার পাপের ঘড়া ভরে গিয়েছে, এবার আপনার পতন। আপনি যতই মানুষকে ভুল বোঝান না কেন মানুষ আপনার এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনবে না।”

    আরও পড়ুন: “গোর্খারা ন্যায় বিচার পাবে”, সভায় যেতে না পেরে ফোনে বার্তা দিলেন অমিত শাহ

    নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী হবে

    রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “আমাদের সরকার বাংলায় ইন্ডাস্ট্রি রিসোর্ট বানানোর জন্য পয়সা দিয়েছে, চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার সেন্টারের জন্য পয়সা দিয়েছে, সত্যজিৎ এওয়ার্ড ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন সেন্টারের জন্য পয়সা দেওয়া হয়েছে, সেই পয়সা কোথায় গেল?” তিনি আরো বলেন, “২০২২ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর আমাদের প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এসে বন্দে মাতরম ট্রেন উদ্বোধন করেন। সেই দিনই ৭৮০০ কোটি টাকার যোজনার শিলান্যাস করেন। প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন করার জন্য অন্তর থেকে তৈরি আছেন। কিন্তু, মমতাদির এ বিষয়ে কোনও চিন্তা নেই।” রাজনাথ সিং এই জনসভা থেকে মমতাদির উদ্দেশ্যে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যদি কাউকে বিশ্বাস করে তিনি হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি। তাঁকে সকলেই ভালোবাসেন এবং সম্মান করেন।” তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম ধর্মের কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে যাদের হেনস্তা করা হয়েছে, সারা ভারতে এলে এক নাগরিকত্ব আইন করে দেওয়া হবে। আর মমতাদি, আপনি বলছেন আমি পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব আইন করতে দেব না।” এরপর জনসভা থেকে হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, “মমতাদি ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গে আসছে। নাগরিকত্ব আইন এই পশ্চিমবঙ্গে কার্যকরী করবই । দুনিয়ায় এমন কোনও শক্তি নেই এই নাগরিকত্ব আইন করতে বাধা দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ভোটের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

    Election Commission: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ভোটের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন (lok sabha vote 2024), আর ভোট শুরু হতেই একেবারে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার ভোটের দিনেই শক্তিপুর (Saktipur PS) ও বেলডাঙা থানার (Beldanga PS) ওসিকে সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। শুক্রবার কমিশনের তরফে একটি চিঠিতে এই নির্দেশ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কমিশনের বক্তব্য (Election Commission)

    কমিশন চিঠিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, “অবিলম্বে ওঁই দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করতে হবে। কারণ হিসাবে দুই পুলিশকর্তাকে নির্দিষ্ট ভাবে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার পরও তাঁরা সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাঁরা আর ভোটের কাজ করতে পারবেন না। শক্তিপুর এবং বেলডাঙার ওই দুই অফিসারের নাম যথাক্রমে রাজু মুখোপাধ্যায় এবং মহম্মদ জামালউদ্দিন মণ্ডল।”

    ঠিক কী ঘটেছিল (Election Commission)?

    গত সপ্তাহে শক্তিপুর এবং বেলডাঙায় যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্য এই দুই পুলিশকর্তার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। এই কারণেই দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত পুলিশ হেডকোয়ার্টারেই (Headquater) থাকবেন তাঁরা।

    অন্যদিকে, ওই দুই পুলিশকর্তার বদলি হিসাবে তিন জন দক্ষ অফিসারের নামও পাঠাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল বেলা ১১টার মধ্যেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ওই দুই থানার জন্য নতুন অফিসার নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বলেছে  কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেই তাঁদের বদলি অফিসারের নাম পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সেই শীতলকুচিতে ভোট দিতে এসে পাথরে ক্ষতবিক্ষত ভোটারের চোখ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    আগেই বদল হয়েছে

    তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ভোটের মুখে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর থেকে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজীব কুমারকে। একই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূম–এই চার জেলার জেলাশাসকদেরও বদলি করা হয়েছিল কমিশন (Election commission) তরফে। এগুলি ছাড়া আরও একগুচ্ছ অফিসার বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এবার ভোট শুরু হতেই মুর্শিদাবাদ জেলার দুই থানার ওসিকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাম নবমীতে অশান্তি, এনআইএ তদন্ত দাবি শুভেন্দু-দিলীপের

    Ram Navami 2024: রাম নবমীতে অশান্তি, এনআইএ তদন্ত দাবি শুভেন্দু-দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) মিছিলে হামলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দায়ী করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ঘটনায় দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুজনেই এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন। এই মর্মে রাজ্যপালকে চিঠিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

    বিমানবন্দরে কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিনই দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, ‘শক্তিপুরে পারমিশন পাওয়া মিছিলের ওপর ইট বর্ষণ হয়েছে। পুলিশের উপরেও হয়েছে। প্রায় ২০ জনের বেশি আহত, মাইনর সহ। কাল রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতেও মিছিলের ওপর হামলা করা হয়েছে। এর জন্য দায়ী মমতা ব্যানার্জি। আমি কাল রাতেই রাজ্যপালকে মেইল করেছি। বলেছি আপনি এই দুটো জায়গা ভিজিট করুন এবং এনআইএ তদন্তের জন্য সরকারকে অ্যাডভাইস করুন’।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন বিরোধী দলনেতা?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বুধবার ব্যাহত হয় রামনবমীর একাধিক শোভাযাত্রা। এই সব মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক বক্তৃতার কারণেই দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালায়। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেই আশ্বস্ত হয়েছিল যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে না। রামনবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান হল-এটি একটি দাঙ্গার দিন।’

    দিলীপের দাবি এনআইএ তদন্তের

    এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত দাবি করেছেন বর্ধমান দুর্গাপুর (Bardhaman Durgapur) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের অফিসার্স কলোনির মাঠে প্রাতর্ভ্রমণ করেন এদিন বিজেপি নেতা। তারপর বীরহাটা বাজারের সামনে চা চক্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) রাম নবমীর শোভাযাত্রায় ইট, পাথর, বোমা মারার চেষ্টা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম যারা এই ধরনের বদমায়েশি করত, তারা আর করবে না এটা। কিন্তু কয়েকদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “দাঙ্গা দাঙ্গা” বলে, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে উস্কাবার চেষ্টা করেছেন। অনেকবার করিয়েছেন। তার প্ররোচনায় পা দিয়ে বদনাম হয়েছে। আমি বলছি মুসলমান সমাজের দাঙ্গা করার দরকার নাই। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন ভারতবর্ষে মোদির রাজত্বে মিলেমিশে থাকতে হবে, উন্নয়ন করতে হবে, সুখে থাকতে হবে। তাঁরাও উন্নয়নের সব সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি হল হিন্দু-মুসলিম ভাগাভাগি করে ইলেকশন জেতা।’’

    শক্তিপুরে অশান্তি

    প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সমস্ত ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শান্তিপূর্ণ মিছিলে আশপাশের বাড়ি থেকে পাথর ছোড়া হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শক্তিপুর হাইস্কুল মোড়ের কাছে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাম নবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই নাকি হামলা চালানো হয়েছিল। ঘটনার জেরে উত্তেজনা বাড়তে দেখে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয় পুলিশকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: খাসতালুকে অধীরকে শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, মেজাজ হারিয়ে বিজেপির ওপর হামলা

    Ram Navami 2024: খাসতালুকে অধীরকে শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, মেজাজ হারিয়ে বিজেপির ওপর হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কয়েকদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী মেজাজ হারিয়েছিলেন। এবার শক্তিপুরে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শোভাযাত্রায় গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে আক্রান্তদের হাসপাতালে দেখতে এসে ফের মেজাজ হারালেন তিনি। শুধু মেজাজ হারানো নয়, বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন। যা নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ram Navami 2024)

    রাম নবমীর (Ram Navami 2024) মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শক্তিপুর। হামলায় বেশ কয়েকজন জখম হন। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মালদা থেকে নির্বাচনী প্রচার সেরে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী জখমদের দেখতে সোজা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেই সময় সেখানে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের নেতৃত্বে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। হিন্দুদের ওপর এভাবে হামলা হচ্ছে কেন, তা অধীর চৌধুরীর কাছে জানতে চান বিজেপির জেলা সভাপতি। অধীর কথা না বলে মেজাজ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা দেন। সঙ্গে সঙ্গে অধীরের সঙ্গে থাকা অন্যান্য কংগ্রেসের কর্মীরা বিজেপি জেলা সভাপতির ওপর চড়াও হন। তাঁর মুখে কিল, ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির জেলা সভাপতির মুখে চোট লাগে।

    আরও পড়ুন: শক্তিপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, বোমাবাজি একাধিক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আক্রান্ত পুলিশও

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, অধীর চৌধুরী মাদ্রাসায় গিয়ে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার কারণে আজকে এই  রাম নবমীর (Ram Navami 2024) অশান্তি। মুর্শিদাবাদে প্রতি বছর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যের মধ্যে উৎসব হয়েছে। কোনও ধর্মের বিদ্বেষ ছিল না। হিন্দুরা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অধীরবাবুর কাছে জানতে গিয়েছিলাম। তখনই আমার ওপর হামলা চালানো হয়। উনি এখন বাজারের দু হাজার টাকার নোট, অচল। ওনার দাদাগিরি মানুষ মেনে নেবে না। এইসব দাদাগিরির প্রতিফলন পড়বে ভোটের ইভিএমে।

     কংগ্রেস প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    অধীর চৌধুরী বলেন, আক্রান্তদের সঙ্গে আমি দেখা করতে এসেছি, আমাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। আমি সমস্ত বিষয়টি কমিশনে জানিয়েছি। শক্তিপুর থানার ওসিকে সাসপেন্ড করার জন্য বলেছি। আর কাউকে কোনও মারধর করা হয়নি। আমাকে রাস্তা দিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছিল, তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share