Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    Murshidabad: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীল ষষ্ঠীর (Nil Sasti) পরের দিনই মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। শুধু মন্দির ভাঙচুরই নয়, শিবের স্তুতি করার অপরাধে গাজনে সন্ন্যাস নেওয়া কয়েকজন সন্ন্যাসীর ওপর স্থানীয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। এইসব ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বেলডাঙা থানার কামনগর পঞ্চায়েতের কামনগর গ্রামে গাজনে সন্ন্যাস নেওয়া কয়েকজন গ্রামবাসী টোটোয় চড়ে গ্রামের মন্দিরে (Temple) ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁরা ভগবান শিবের স্তুতি করছিলেন। আর এই অপরাধে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে৷ হামলার ঘটনায় ১৮-২০ জন সন্ন্যাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের অভিযোগ, রীতিমতো মারধর করা হয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে একই দিনে বেলডাঙা, শক্তিপুর, সালার থানা এলাকার কুমারপুর, মির্জাপুর তালিতপুরসহ একাধিক এলাকার মন্দিরে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। কুমারপুরের শিবমন্দিরের (shiv Temple) ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা প্রস্রাব করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    বিজেপি প্রধানের বক্তব্য

    এই ঘটনায় কামনগর (Murshidabad) পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রধান বাপন ঘোষ বলেছেন, “শুধু গাজনের সন্ন্যাসীদের উপর হামলাই নয়, বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে একটা মুদিখানা দোকানে ভাঙচুরও চালায় দুষ্কৃতীরা। থানায় (Police Station) আমরা অভিযোগ দায়ের করব। হিন্দু সমাজের উপর আক্রমণ আমরা মেনে নেব না। 

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত!

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দুর পোস্ট

    এই প্রসঙ্গে মন্দিরে ভাঙচুরের একটি ভিডিও ফুটেজ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত মৌজামপুর ও মির্জাপুরে দুপুর থেকে দুষ্কৃতীরা ধর্মীয় স্থান ভাঙচুর করেছে। এমনকী গুন্ডারা নিরপরাধ মানুষের বাড়িঘর টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি মুখ্যসচিব শ্রী বি পি গোপালিকা (আইএএস), ডিজিপি পুলিশ শ্রীসঞ্জয় মুখার্জি (আইপিএস), এডিজি শ্রী মনোজ কুমার ভার্মাকে (আইপিএস) অনুরোধ করছি, অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উচিত সচেতন হওয়া এবং এলাকায় স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “দলটা করতে দেবে না ব্লক সভাপতি”, বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: “দলটা করতে দেবে না ব্লক সভাপতি”, বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ব্লক সভাপতির নেতৃত্বের হামলার ঘটনা ঘটেছে। দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার বদুয়া এলাকায় গ্রাম্য বিবাদের জেরে অশান্তি বাধে। বিষয়টি জানার পরই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ এলাকায় আসেন। পরে, বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার তৃণমূল নেতা কামাল হোসনের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা হয়। কামাল হোসেন বলেন, গ্রামের গন্ডগোলে পরিবারের কেউ জড়িত নয়। তারপরও ওরা আমাদের ওপর হামলা চালাল। বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। শনিবার সকালে আমার এক আত্মীয় বাজারে গেলে প্রকাশ্যে তাঁকে মারধর করা হয়। ও গুরুতর জখম হয়েছে। প্রথমে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসলে ব্লক সভাপতি আমাদের তৃণমূল দলটা করতে দেবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত করে এসব করা হচ্ছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। জেলা সভাপতিকেও বলেছি। এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। এতে এলাকায় দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    ব্লক সভাপতি কী সাফাই দিলেন?

    বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর চক্রের সভাপতি গোলাম মুর্শেদ বলেন, গ্রাম্য বিবাদের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে অন্য কোনও কারণ নেই। আর ও তৃণমূলের কোনও পদে নেই। কংগ্রেসের সঙ্গে কে রয়েছে তা এলাকার মানুষ জানে। অকারণে আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে কোনও লাভ নেই। আর দলে কোনও কোন্দল নেই। সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ওড়িশায় লাভ জিহাদের শিকার তরুণী! খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দিল যুবক

    Love Jihad: ওড়িশায় লাভ জিহাদের শিকার তরুণী! খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দিল যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল পরিচয় গোপন করে, রীতিমত হিন্দু নাম নিয়ে হিন্দু তরুণীকে লাভ জিহাদের শিকারের অভিযোগ উঠল মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তরুণীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে রেহাই মেলেনি,  বিয়ের পর একেবারে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে স্বস্তি নিয়েছে মুর্শিদাবাদের যুবক (Murshidabad) রাজু শেখ (Raju Sheikh)। ভয়ঙ্কর এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odhisha) ভুবনেশ্বরে। অভিযুক্ত রাজু শেখ সহ আরও দুজন সাগরেদকে গ্রেফতার করেছে ধৌলি (Dhauli) থানার পুলিশ। ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে।

    ফোনে তরুণীকে প্রেম ফাঁসায়

    চলতি এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ ওড়িশার ধৌলি পুলিশ থানা এলাকার দয়া নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে এক তরুণীর মৃতদেহ। পুলিশ তদন্ত নেমে ওই তরুণীকে ভাগ্য ডাকুয়া (Bhagya Dakua) (১৯) নামে শনাক্ত করেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটর বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত নেমে মূল অভিযুক্ত সহ অপর দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রাজু শেখ কর্মসূত্রে ওড়িশায় থাকছিল। সেখানে একদিন ভাগ্য-র সঙ্গে আলাপ হয় তার। এরপর ফোনে তরুণীকে প্রথমে নিজের নাম রাজু এবং ধর্ম হিন্দু জানিয়েছিল। এরপর উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

    ধর্ম পরিবর্তনের জন্য জোর করা হয়

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে পরিবার থেকে বের করে ভুবনেশ্বরের (BhuBaneswar) কাছে শিশুপালগড় (Sishupalgarh) এলাকায় দুজনেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে থাকতে শুরু করেছিল। এর পরেই নেমে আসে তরুণীর উপর ধর্মপরিবর্তনের চাপ। ভাগ্য জানতে পারে, রাজু হিন্দু নয় মুসলিম। এরপর নিজের ধর্ম ছাড়তে নারাজ হয় তরুণী। কিন্তু ভাগ্যের উপর ধর্মপরিবর্তনের প্রবল চাপ দিয়ে চলে অকথ্য অত্যাচার। শেষ পর্যন্ত ধর্মপরিবর্তনে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করে দয়া নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

    তরুণীর পরিবারের বক্তব্য

    তরুণীর পিতা হিনা ডাকুয়া বলেন, “তিন মাস আগে এক যুবক আমার মেয়েকে মিথ্যা প্রেমের নাটক করে বাড়ি থেকে নিয়ে চলে যায়। এরপর কয়েকজন মিলে মেয়েকে খুন করার পর দেহ দয়া নদীতে ভাসিয়ে দেয়। আমরা দোষীর ফাঁসি চাই।” পুলিশ তড়িঘড়ি  করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এই বিষয়ে ধৌলি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক কিশোর নায়ক বলেন, “তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর পাওয়ার ঘটনাস্থল থেকে আরও দুটি মোটরবাইক উদ্ধার হয়। এরপর তিন যুবককে আটক করা হয়। মূল অভিযুক্তকে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজু শেখ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবিষয়ে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

    আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রচার গাড়িতে আক্রমণ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইনের ভাবনা

    প্রসঙ্গত লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা কাল্পনিক বলে তথাকথিত সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ দাবি করলেও এই ঘটনা সমাজে মাঝে মাঝেই ঘটে চলেছে। তারপরও একের পর এক লাভ জিহাদের ঘটনা নাড়িয়ে দিচ্ছে গোটা সমাজকে। এই ধরনের ঘটনা ঘটায় সমাজের অপর আরেক শ্রেণীর মানুষ তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, মুম্বাই, কর্ণাটক, কেরল এবং বাংলায় ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। একাধিক রাজ্যে, নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে বিবাহ এবং বিবাহের পর কন্যার ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ের উপর আইন তৈরি করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য ভারতবর্ষের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদশে, পাকিস্তানে রীতিমত ফতোয়া জারি করে লাভ জেহাদের বিষয়কে পুরস্কার হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। জমিয়তে আহলে হদিশ নামে এক সংগঠন, ব্রাহ্মণ নারী হলে তিন লাখ ও অব্রাহ্মণ হিন্দু নারীকে লাভ জিহাদের শিকার করলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    Murshidabad: নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বুধবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে (BJP party office) সংগঠনিক বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সহরকারী পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য (amit malviya)। এদিন অমিত মালব্য বিজেপির প্রার্থীর (BJP candidate) হাতে সিম্বল তুলে দেন এবং নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে তাও বলে দিলেন। যদিও তিনি সাংবাদিকদের সামনে কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার বহরমপুরের কারবালা রোডে এক বেসরকারি অতিথি আবাসনে লোকসভা ভোটের জন্য বিজেপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এখানেই আজ লোকসভার ইলেকশন (lok sabha election) ম্যানেজমেন্ট টিমের বৈঠক করা হয়।

    বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর ঘোষের বক্তব্য (Murshidabad)

    এদিন মুর্শিদবাদে (Murshidabad) অমিত মালব্য, বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক আছে বলে জানান গৌরীশংকর ঘোষ। এখানে নির্বাচনে কী রকম লড়াই হবে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, “লড়াই বলতে তো মূলত মানুষের ভোট। এই ভোট মানুষ কেন বিজেপি (BJP) কে দেবে, সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। আজ রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের যে সন্ত্রাস চলছে, চাকরি চুরি, রেশন চুরি, গরু পাচারেও তৃণমূল (TMC) রেকর্ড তৈরি করেছে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা সারা রাজ্য জুরে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে বিগত ১০ বছর ধরে সব কা সাথ সবকা বিকাশ, সেবা, সুশাসন মানুষকে যেভাবে মোদি দিচ্ছেন সেই সার্বিক সুবিধাগুলি জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।”

    করণীয় কাজ বলে দিলেন অমিত মালব্য

    মুর্শিদবাদ (Murshidabad) জেলা বিজেপি সভাপতি শাখারাভ সরকার বলেন, “লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে আজকে কারবালা রোডে (karbala road) নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সহকারী পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। আজ আলোচনা হয় কীভাবে এই লোকসভা নির্বাচনে (general election 2024) দল কাজ করবে। সমস্ত বিষয়টি তিনি আজকে এখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন। করণীয় কাজ এবং মানুষের কাছে গিয়ে কী কী বলা হবে সেই সমস্ত নিয়ে আলোচনা হয়।”

    আরও পড়ুনঃ কোন্নগরেও গার্ডেনরিচ-বিরাটির ছায়া! ফের পাঁচিল ধসে মৃত ২ শ্রমিক

    ৭ মে বিশেষ আলোচনা সভা

    উল্লেখ্য, আগামী ৭ই মে ভারতীয় জনতা পার্টি (bharatiya janata party) মন্ডল স্তরের কার্যকর্তা, বিধানসভার স্তরের কার্যকর্তা এবং এই জেলা (Murshidabad) কমিটিকে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সার্বিক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মূলত কীভাবে মানুষের কাছে যেতে হবে, কীভাবে লড়াই করতে হবে এবং বিষয় ঠিক করা হবে উক্ত বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    Murshidabad: দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ, বোমাবাজি, ঝলসে গেল এক নাবালকের পা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে দলেরই একাধিক বিধায়ক, কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। ভরতপুরের বিধায়ক তো প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এই আবহের মধ্যে এবার ইউসুফ পাঠানের নামে দেওয়াল লিখনকে ঘিরে তুমুল গন্ডগোল বাঁধল। বিধায়ক বনাম দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের মধ্যে গন্ডগোল প্রকাশ্যে চলে এল। চলল বেপরোয়া বোমাবাজি। আহত এক নাবালক-সহ মোট ৬ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরের আন্দুলবেড়িয়ায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের গোষ্ঠীর সঙ্গে রেজিনগরের বিধায়ক তথা বহরমপুর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের অনুগামীদের বিবাদ অনেক পুরানো। মাঝে মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হত। কিন্তু, নির্বাচনের প্রাক্কালে বিষয়টি আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে আন্দুলবেড়িয়া এলাকায় দেওয়াল লিখতে গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা রবিউল আলম গোষ্ঠীর অনুগামীরা। সে সময়ে আবার ওই এলাকায় ছিলেন ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সভাপতির অনুগামীরা। দেওয়াল লিখনের সময়েই রবিউল আলমের গোষ্ঠীর লোকেদের ওপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বাড়ির সামনেই ছিল বছর দশেকের এক নাবালক। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে ঝলসে যায় তার পা। বোমাবাজির মধ্যে পড়ে আহত হন আরও পাঁচ জন। ক’দিন আগেই মুর্শিদাবাদে বোমা ফেটে এক ব্যক্তির হাত উড়ে গিয়েছে। এলাকায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুন: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহ-র

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    বিধায়ক রবিউল আলম বলেন, এটা দুজনের পারিবারিক বিষয়, দেওয়াল লিখন না। তৃণমূলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠী তথা দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

    Murshidabad: ভোটের মুখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে জমি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। আর তার জেরেই গ্রামের মধ্যে প্রকাশ্যেই চলল গুলি। ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে সাদল গ্রামে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সমিরুল শেখ এবং মন্তাজ শেখ সহ নামে মোট চারজন। মারামারি করে আহত হলেন আরও সাত জন। জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমির দখলদারিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। সোমবার বিকেলে নদীর চরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখানে লাটু শেখ, আবুল শেখ, সারুল শেখ এবং কবীর শেখ আগ্নেয়াস্ত্র বার করে শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপরই পাল্টা হামলার চেষ্টা করে তৃণমূলের অন্য পক্ষ। তখন ওই পক্ষের দিকে গুলি ছোড়া হয়। তাতে চার জন জখম হন। পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করা হলে দুই পক্ষের আরও কয়েক জন জখম হন। তাঁদের আরও দাবি, গোলাগুলি থেকে নিজেদের বাঁচাতে দু’জন স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। সেখানেও তাঁদের উপরের আক্রমণ চালানো হয়। পুলিশ পৌঁছে মসজিদের ভিতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, জমি সংক্রান্ত বিবাদে এই অশান্তি হয়েছে।। সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটে মূল প্রতিপক্ষ পুলিশ! নিয়ন্ত্রণের আর্জি শুভেন্দুর, পুলিশ পর্যবেক্ষকের দ্বারস্থ বিজেপি

     ১৮ রাউন্ড গুলি চলে!

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী সামিরুল শেখ বলেন, “স্থানীয় নদী বাঁধে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা শুরু করে এলাকার দুষ্কৃতীরা। গ্রামের সবাই মিলে প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের ঘিরে ধরে গুলি চালায়। বাঁশ, লোহার রড ও হাঁসুয়া দিয়ে আক্রমণ করা হয় আমাদের। প্রায় ১৮ রাউন্ড গুলি চালায়। মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে। আমরা তৃণমূল দল করি, ওরাও তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। আর এ নিয়েই বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের অনুগামীদের সঙ্গে শুরু হয় তৃণমূলের একাংশের কোন্দল। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই জাকিরের তৈরি করা নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন বাইরন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    জোর করে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না (Murshidabad)

    তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে সাগরদিঘির বিধায়কের লড়াই দীর্ঘ দিনের। বস্তুত, বিড়ি ব্যবসায় দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক ময়দানেও। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন জাকির। সেই কমিটি ভেঙে দেন বিধায়ক বাইরন। এই প্রসঙ্গে বাইরন বলেন, “সাগরদিঘিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য পৃথক কমিটি, কনভেনার, পর্যবেক্ষকের পদ তৈরি করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে জেলার অন্য বিধানসভার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা খলিলুর রহমানের হয়ে ‘খাটবেন’, তাঁদের নিয়ে কমিটি তৈরি করব। জোর করে বাইরে থেকে কেউ কিছু চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না।” জাকিরের নাম না করে তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অন্য এক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জোর করে কোনও কমিটি তৈরি করে দেবে, আর আমরা বসে বসে দেখব, এটা হতে পারে না। পাশাপাশি তৃণমূলের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমানকে সর্বাধিক ভোটে জয়যুক্ত করব।”

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    জাকির কী সাফাই দিলেন?

    বাইরনের নির্বাচন কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালোভাবে মেনে নেননি জাকির। তিনি বলেন, “আমি একক সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও কমিটি করিনি। দল যেটা অনুমোদন করেছে, সেটাই হয়েছে। কে মানবে, কে মানবে না সেটা দল দেখবে।”

    কটাক্ষ করেছে বিজেপি

    বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “ভাগের বখরা নিয়ে টানাটানি হলে তৃণমূলের মধ্যে একটু গুঁতোগুঁতি হয়, এটা আমরা সব জায়গাতেই দেখছি। সাগরদিঘিও তার ব্যতিক্রম নয়। তৃণমূলের ওপর মানুষের আস্থা নেই। কয়েকদিন আগে অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ঘেরাওয়ের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার”, আক্রমণ বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার

    Murshidabad: “তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার”, আক্রমণ বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা শহরের ১০ নম্বর এলাকায় আজ রবিবার জন সংযোগ ও প্রচার সারলেন। বহরমপুরের মধুপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে এই প্রচার শুরু করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি মাতৃমন্দিরে পুজো দিলেন এবং প্রার্থনা করলেন তিনি। প্রচার সেরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন সাংবাদিকদের। বিরোধীদের সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য মানুষের মনে আশাতীত সাড়া পেয়েছি। মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে আমাদের আশীর্বাদ করছেন। মোদির কাছে সকলে হারবেন।” উল্লেখ্য এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান এবং কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ত্রিমুখী লড়াইতে জমে উঠেছে এই কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচন।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী (Murshidabad)?

    এদিন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা বলেন, “কর্মীদের মধ্যে বিরাট উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এলাকার অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। মানুষ মনে মনে স্থির করে ফেলেছেন এই কেন্দ্রে বিজেপিকে জয় করবেন। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর কোনও প্রতিনিধিকে আর মানুষ নির্বাচিত করবেন না। একই ভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ মমতার প্রতিনিধিকে কোনও জায়গা দেওয়া হবে না। রাজ্য জুড়ে তোলাবাজি, জুলুম, নারী নির্যাতনের মতো সামজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন মানুষ। এই লোকসভার নির্বাচন ঠিক করে দেবে মমতার সরকার হয়তো আর বেশি দিন থাকবেনা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    আর কী বলেন?

    আজকের লোকসভার প্রচারে বহরমপুরে (Murshidabad) বেরিয়ে নির্মল বাবু আরও বলেন, “আমি যে কোনও প্রার্থী এবং তাঁদের প্রচার পদ্ধতি সম্বন্ধে সৌজন্যতা বজায় রেখে কথা বলব। কারণ এতে বিতর্কের সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই সৌজন্য রেখেই কথা বলছি। আমাদের অনেক সৌভাগ্য যে প্রার্থী তালিকা আগেই প্রকাশ হয়েছে। একই ভাবে ভোটের দিন অনেক পরে। ফলে এই লম্বা সময়ের সবটাই জন সংযোগে ব্যবহার করবো। ১৭ লক্ষ মানুষের কাছে না পৌঁছাতে পারলেও বৃহত্তর মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারব বলে আশা রাখছি। সকল কর্মীরা আমাদের পাশে রয়েছেন। রাজ্যের মানুষ বামেদের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। একই ভাবে তৃণমূলের সব রকম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মানুষ সুযোগ দিলে আরও কাজ করবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘির কাবিলপুর এলাকায়। সাধারণ মানুষ কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর সামনে। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তুমুল বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকের কাবিলপুর গ্রামে বহুদিন ধরে একটি রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিধায়ক কেউ কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ। ফলে, সাধারণ মানুষ রাগে ফুঁসছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী এলাকায় প্রচারে আসতেই সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়েছেন। আমরাই তাঁকে ভোট দিয়েছি। সাংসদ হওয়ার পর তিনি পাঁচ পয়সার কাজ করেননি। তাঁর ভোট চাওয়ার অধিকার নেই। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, আমাদের সামান্য দাবি,  এলাকার রাস্তাটা ঠিক করার। তৃণমূল সেটা করেনি। ভোটের আগে প্রতিবার রাস্তা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট শেষ হয়ে গেলে আর কেউ মনে রাখে না। এবারও ভোট চাইতে আসায় আমরা ক্ষোভের কথা তৃণমূল প্রার্থীকে বলেছি।

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    প্রচারে ব্লক সভাপতি ছিলেন না, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান এলাকায় কর্মীদের নিয়ে প্রচার করছেন, অথচ সেখানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নেই। যা নিয়ে দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নূরে মেহবুব আলম বলেন, আসলে তৃণমূল প্রার্থী দেরিতে আসায় আমি যেতে পারিনি। আর আমার এদিন শরীর খারাপ ছিল। তাই, এদিন আমি বের হতে পারিনি। তৃণমূলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিক্ষোভ নিয়ে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থীর খলিলুল রহমান কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, রাস্তাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতদিন কেন হয়নি তা জানা নেই। তবে, মানুষ যদি ফের আমাকে জিতিয়ে নিয়ে আসেন, এই এলাকার বেহাল রাস্তা তৈরি করা হবে আমার প্রথম কাজ। আর ব্লক সভাপতির প্রচারে না থাকা প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, আমি ব্লক সভাপতিকে খুঁজছি। ফলে, তিনি যে ব্লক সভাপতির ওপর বেজায় চটেছেন তা বলা বাহুল্য।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়ে যে কিছু করেননি তার জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে গেল এদিনের ঘটনা। প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। আসলে এই সব প্রার্থীকে কেউ ভোট দেবে না। এখন থেকে মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidaba: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    Murshidaba: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলদিয়া-ফরাক্কা রাজ্য সড়কের উপর বাহাদুরপুর সংলগ্ন এক গ্যারেজে থেকে তৃণমূল নেতার বাইকের টুলবক্সে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে আজ। মুর্শিদাবাদ (Murshidaba) জেলার বড়ুয়ার থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই রাজ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় সবথেকে বেশি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং খুন, ধর্ষণ, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। সব থেকে বেশি রক্তক্ষয় এই জেলায় হয়। বেশিরভার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা করেছিল। এবার লোকসভার আগে তৃণমূল নেতার কাছে অস্ত্র উদ্ধারে শোরগোল পড়েছে।

    ধৃত তৃণমূল নেতার পরিচয় (Murshidaba)?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidaba) ধৃত এই তৃণমূল নেতার নাম শামসুল আলম রিপন শেখ। তিনি দাবি করেন যে তিনি তৃণমূলের কান্দি মহকুমা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। ধৃতকে আজ পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক, রিপন শেখকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা যায়নি। রিপন শেখ বলেন, “আমার গাড়িতেই এই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসনো হয়েছে। আমি দোষী নই। আমি একজন তৃণমূল নেতা। আমি নির্দোষ, আল্লা আমায় মুক্ত করবেন।”

    তদন্তে পুলিশ

    স্থানীয় (Murshidaba) থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছেন। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। রিপন শেখের টুল বক্সে এই আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কারণ সন্ধান করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই অস্ত্র, কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এই সব বিষয়ে জেরা করা হচ্ছে। এই আগ্নেয়াস্ত্রর সাথে আর অন্য কোনও যোগ রয়েছে কিনা, এইসব তথ্য জানার জন্য বরোয়া থানার পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক’, বললেন অভিজিৎ

    অধীরের বক্তব্য

    অপর দিকে বহরমপুরে (Murshidaba) সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বোমা মজুত প্রসঙ্গ নিয়ে বলেছিলেন, “সামনে লোকসভা ভোট। তাই বোমা অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। রিপন শেখকে পুলিশ ধরার পর আরও স্পষ্ট হল, দিদির দলের লোকেরা ভোটে জয়লাভ করার জন্য বোম-পিস্তল জোগাড় করছে। পুলিশ নাকা চেকিং এর সময় সেই আগ্নেয়াস্ত্র সমেত তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে মোটরসাইকেল সহ হাতেনাতে ধরে ফেলে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কতটা দুর্বল, তা এখানেই প্রমাণিত হয়। ভোটের সময় যত এগিয়ে আসবে, দৌরাত্ম্য তত বাড়বে দুষ্কৃতীদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share