Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: “তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার”, আক্রমণ বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার

    Murshidabad: “তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার”, আক্রমণ বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা শহরের ১০ নম্বর এলাকায় আজ রবিবার জন সংযোগ ও প্রচার সারলেন। বহরমপুরের মধুপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে এই প্রচার শুরু করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি মাতৃমন্দিরে পুজো দিলেন এবং প্রার্থনা করলেন তিনি। প্রচার সেরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন সাংবাদিকদের। বিরোধীদের সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য মানুষের মনে আশাতীত সাড়া পেয়েছি। মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে আমাদের আশীর্বাদ করছেন। মোদির কাছে সকলে হারবেন।” উল্লেখ্য এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান এবং কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ত্রিমুখী লড়াইতে জমে উঠেছে এই কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচন।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী (Murshidabad)?

    এদিন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা বলেন, “কর্মীদের মধ্যে বিরাট উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এলাকার অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। মানুষ মনে মনে স্থির করে ফেলেছেন এই কেন্দ্রে বিজেপিকে জয় করবেন। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর কোনও প্রতিনিধিকে আর মানুষ নির্বাচিত করবেন না। একই ভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ মমতার প্রতিনিধিকে কোনও জায়গা দেওয়া হবে না। রাজ্য জুড়ে তোলাবাজি, জুলুম, নারী নির্যাতনের মতো সামজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন মানুষ। এই লোকসভার নির্বাচন ঠিক করে দেবে মমতার সরকার হয়তো আর বেশি দিন থাকবেনা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মমতার সরকার।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার! বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূলের

    আর কী বলেন?

    আজকের লোকসভার প্রচারে বহরমপুরে (Murshidabad) বেরিয়ে নির্মল বাবু আরও বলেন, “আমি যে কোনও প্রার্থী এবং তাঁদের প্রচার পদ্ধতি সম্বন্ধে সৌজন্যতা বজায় রেখে কথা বলব। কারণ এতে বিতর্কের সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই সৌজন্য রেখেই কথা বলছি। আমাদের অনেক সৌভাগ্য যে প্রার্থী তালিকা আগেই প্রকাশ হয়েছে। একই ভাবে ভোটের দিন অনেক পরে। ফলে এই লম্বা সময়ের সবটাই জন সংযোগে ব্যবহার করবো। ১৭ লক্ষ মানুষের কাছে না পৌঁছাতে পারলেও বৃহত্তর মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারব বলে আশা রাখছি। সকল কর্মীরা আমাদের পাশে রয়েছেন। রাজ্যের মানুষ বামেদের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। একই ভাবে তৃণমূলের সব রকম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মানুষ সুযোগ দিলে আরও কাজ করবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘির কাবিলপুর এলাকায়। সাধারণ মানুষ কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর সামনে। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তুমুল বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকের কাবিলপুর গ্রামে বহুদিন ধরে একটি রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিধায়ক কেউ কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ। ফলে, সাধারণ মানুষ রাগে ফুঁসছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী এলাকায় প্রচারে আসতেই সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়েছেন। আমরাই তাঁকে ভোট দিয়েছি। সাংসদ হওয়ার পর তিনি পাঁচ পয়সার কাজ করেননি। তাঁর ভোট চাওয়ার অধিকার নেই। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, আমাদের সামান্য দাবি,  এলাকার রাস্তাটা ঠিক করার। তৃণমূল সেটা করেনি। ভোটের আগে প্রতিবার রাস্তা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট শেষ হয়ে গেলে আর কেউ মনে রাখে না। এবারও ভোট চাইতে আসায় আমরা ক্ষোভের কথা তৃণমূল প্রার্থীকে বলেছি।

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    প্রচারে ব্লক সভাপতি ছিলেন না, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান এলাকায় কর্মীদের নিয়ে প্রচার করছেন, অথচ সেখানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নেই। যা নিয়ে দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নূরে মেহবুব আলম বলেন, আসলে তৃণমূল প্রার্থী দেরিতে আসায় আমি যেতে পারিনি। আর আমার এদিন শরীর খারাপ ছিল। তাই, এদিন আমি বের হতে পারিনি। তৃণমূলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিক্ষোভ নিয়ে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থীর খলিলুল রহমান কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, রাস্তাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতদিন কেন হয়নি তা জানা নেই। তবে, মানুষ যদি ফের আমাকে জিতিয়ে নিয়ে আসেন, এই এলাকার বেহাল রাস্তা তৈরি করা হবে আমার প্রথম কাজ। আর ব্লক সভাপতির প্রচারে না থাকা প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, আমি ব্লক সভাপতিকে খুঁজছি। ফলে, তিনি যে ব্লক সভাপতির ওপর বেজায় চটেছেন তা বলা বাহুল্য।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়ে যে কিছু করেননি তার জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে গেল এদিনের ঘটনা। প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। আসলে এই সব প্রার্থীকে কেউ ভোট দেবে না। এখন থেকে মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidaba: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    Murshidaba: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলদিয়া-ফরাক্কা রাজ্য সড়কের উপর বাহাদুরপুর সংলগ্ন এক গ্যারেজে থেকে তৃণমূল নেতার বাইকের টুলবক্সে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে আজ। মুর্শিদাবাদ (Murshidaba) জেলার বড়ুয়ার থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই রাজ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় সবথেকে বেশি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং খুন, ধর্ষণ, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। সব থেকে বেশি রক্তক্ষয় এই জেলায় হয়। বেশিরভার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা করেছিল। এবার লোকসভার আগে তৃণমূল নেতার কাছে অস্ত্র উদ্ধারে শোরগোল পড়েছে।

    ধৃত তৃণমূল নেতার পরিচয় (Murshidaba)?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidaba) ধৃত এই তৃণমূল নেতার নাম শামসুল আলম রিপন শেখ। তিনি দাবি করেন যে তিনি তৃণমূলের কান্দি মহকুমা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। ধৃতকে আজ পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক, রিপন শেখকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা যায়নি। রিপন শেখ বলেন, “আমার গাড়িতেই এই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসনো হয়েছে। আমি দোষী নই। আমি একজন তৃণমূল নেতা। আমি নির্দোষ, আল্লা আমায় মুক্ত করবেন।”

    তদন্তে পুলিশ

    স্থানীয় (Murshidaba) থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছেন। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। রিপন শেখের টুল বক্সে এই আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কারণ সন্ধান করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই অস্ত্র, কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এই সব বিষয়ে জেরা করা হচ্ছে। এই আগ্নেয়াস্ত্রর সাথে আর অন্য কোনও যোগ রয়েছে কিনা, এইসব তথ্য জানার জন্য বরোয়া থানার পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক’, বললেন অভিজিৎ

    অধীরের বক্তব্য

    অপর দিকে বহরমপুরে (Murshidaba) সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বোমা মজুত প্রসঙ্গ নিয়ে বলেছিলেন, “সামনে লোকসভা ভোট। তাই বোমা অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। রিপন শেখকে পুলিশ ধরার পর আরও স্পষ্ট হল, দিদির দলের লোকেরা ভোটে জয়লাভ করার জন্য বোম-পিস্তল জোগাড় করছে। পুলিশ নাকা চেকিং এর সময় সেই আগ্নেয়াস্ত্র সমেত তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে মোটরসাইকেল সহ হাতেনাতে ধরে ফেলে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কতটা দুর্বল, তা এখানেই প্রমাণিত হয়। ভোটের সময় যত এগিয়ে আসবে, দৌরাত্ম্য তত বাড়বে দুষ্কৃতীদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হোলির দিনেই বিজেপি-কর্মী সমর্থকদেরকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: হোলির দিনেই বিজেপি-কর্মী সমর্থকদেরকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে হোলির দিনে বিজেপি-কর্মী সমর্থকদেরকে ব্যাপক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর এবং মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। লোকসভার ভোটের প্রচারে শাসক দল এলাকায় ভয় দেখিয়ে মানুষের মনে সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। ৩০টি পরিবারের উপর হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মূলত অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই। পাল্টা বিজেপির অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর থানার সাটুই চৌরীগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কাঠালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) বিজেপি কর্মীর স্ত্রী মিনা দুলই বলেন, “আমার স্বামী রঙ খেলে বাড়িতে ফিরে স্নান করতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বাইকে করে এসে কয়েক জন আমার শ্বশুর মশাইয়ের মাথায় আঘাত করে। এরপর আটকাতে গেলে বাড়ির সকলকে মারধর করেছে। শুধু আমাদেরই নয়, হোলির দিন বহরমপুরের কাঠালিয়ায় স্বপন দোলুই-এর নেতৃত্বে এখানকার ৩০টি পরিবারের উপর হামলা চালান হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজন বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে, কিন্তু যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে ধরা হয়নি এবং আহত ব্যক্তিদের কোনও রকম ডাইরি নেয়নি পুলিশ।”

    আরও পড়ুনঃ শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে, হোলি খেলে বর্ধমানে লোকসভার প্রচারে দিলীপ ঘোষ

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বর্তমান বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী নির্মল কুমার সাহা বলেন, “এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। ভোট নিয়ে মানুষকে মারধর করা এবং বাড়ি-ঘর ভেঙে দেওয়াটাই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান কালচার। ভারতবর্ষের সব রাজ্যে ভোট হয়, কিন্তু এই রাজ্যের ভোট নিয়ে এরকম ঘটনা আর কোনও রাজ্যে ঘটে না।” আবার স্থানীয় বিজেপি নেত্রী অনামিকা ঘোষ তৃণমূলের আক্রমণ সম্পর্কে বলেন, “আমরা কোন জঙ্গল রাজত্বে বাস করছি। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তৃণমূলের দুর্নীতি ঢাকতে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করছে। বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বিজেপি করা যাবেনা। থাকতে গেলে তৃণমূলই করতে হবে।”

    নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবে বিজেপি

    এই এলাকার (Murshidabad) বিজেপির কনভেনার সঞ্জিত হালদার বলেন, “এই এলাকার পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। ২০১৮ সাল থেকেই বিজেপি জয়ী হচ্ছে। তৃণমূল নেতা স্বপন দুলই বিজেপি কর্মীদের উপর প্রতিনিয়ত হামলা করে। আমরা প্রসাশনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছি। এবার আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবো। এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবি জানাই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জেলার (Murshidabad) তৃণমূল নেতা বলেন, “আমাদের কর্মী প্রভাত দলুইকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। সে এখন হাসপাতালে ভর্তি। যে দিন থেকে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করেছে, আমাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সুবিচার চাই। এই ঘটনায় আমরাই আক্রান্ত। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: অধীরগড়ে ভোটের মুখে  ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ, জেলায় শোরগোল

    Murshidabad: অধীরগড়ে ভোটের মুখে ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ, জেলায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে জনপ্রিয় চিকিৎসক নির্মল সাহাকে প্রার্থী করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছিল বিজেপি। এবার সেই বহরমপুরে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ৫০ হাজার লোক নিয়ে গীতা পাঠের আসর করল পদ্ম শিবির। কয়েক মাস আগেই কলকাতায় মহাসমারোহে বসেছিল লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির তাবড় তাবড় সব নেতারা। এবার বহরমপুরে সেরকমই গীতাপাঠের সেই আয়োজন করা হল। জেলাস্তরের বিজেপি নেতারা সেখানে অংশগ্রহণ করেন।

    চৈতন্যদেবের জন্মতিথিতে ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর শহরের ফরাসডাঙ্গা লাগোয়া এলাকায় রবিবার ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয় চৈতন্যদেবের জন্মতিথি উপলক্ষে। উদ্যোক্তা স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ। সূত্রের খবর, ব্রিগ্রেডের গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন এই প্রদীপ্তানন্দ। এদিন অনুষ্ঠান শুরু হতেই জেলার সমস্ত প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঐতিহাসিক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আসেন। সুমন্ত গনাই নামে শক্তিপুরের বাসিন্দা বলেন, ব্রিগেডের অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম। এদিনও আমি বহরমপুরে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছি। এত মানুষ এসেছে, দেখে খবু ভাল লাগছে। গীতা পাঠে আগ্রহ বাড়ছে দেখে আমাদের বেশ ভাল লাগছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের মুখে গীতা পাঠ প্রসঙ্গে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, কী বলব আর। আমি তো আর মানা করতে পারি না। গীতা পাঠের জন্য নির্বাচনের মরসুম বেছে নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে। এটার মধ্য দিয়ে কী ভাল চাইছে জানি না। বহরমপুরে ওদের গীতা পাঠের অনুমতি কে দিল জানি না। আমাদের তো একটা মিটিং করতে দেওয়া হয় না। এমপি ল্যাডের কাজ সেটা করতে দেওয়া হয় না।আমরা যদি কোনও জায়গায় কাজ করি তাহলে সেখানে আমাদের নাম ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু, নির্বাচনের সময় হঠাৎ করে গীতা পাঠের মাধ্যমে কি বার্তা দিতে চাইছে? আমার বাড়িতে গীতা আছে। সেই গীতা পাঠ আমি বাড়িতে করি। বহরমপুর সাংগঠনের জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “গীতাপাঠের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি অধীরবাবুকে আমন্ত্রণ করছি। উনি নিজেও আসুন। গীতা পাঠ সবার। গীতা পাঠ সব রাজনৈতিক দলের। অফিসিয়ালি ওনাকে কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু, তিনি আসবেন না। তিনি ভাবছেন গীতা পাঠে গেলে ওনার কিছু ভোট কমে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লোকসভার প্রচারে তৃণমূল-কংগ্রেসকে একযোগের আক্রমণ বিজেপির প্রার্থী নির্মল-গৌরীশংকরের

    Murshidabad: লোকসভার প্রচারে তৃণমূল-কংগ্রেসকে একযোগের আক্রমণ বিজেপির প্রার্থী নির্মল-গৌরীশংকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা হাতিনগর বকুলতলায় সকালে চায়ে পে চর্চায় অংশ গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন “এখানে বিপুল সমর্থন দিয়েছেন আমার মা বোনেরা। তাঁরা আজ এখানে একত্রিত হয়েছেন এবং যুব সমাজও দাঁড়িয়ে পাশে। আজ এখানকার সবাই মোদির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ফেলে দিয়ে নতুন সরকার এখানে আনবেন।” অপর দিকে মুর্শিদাবাদ (Murshidbad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গৌরীশংকর নিজের জয় নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী।

    তৃণমূল-কংগ্রেসকে আক্রমণ নির্মল সাহার (Murshidabad)

    ডাক্তার নির্মল সাহা ভোটের প্রচারে বের হয়ে বলেন, “সেদিনের আর বেশি দেরি নেই, তৃণমূল সরকারের পতন ঘটবেই এবং ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গঠন করবে এই রাজ্যে। অধীরের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন কাজ নয়। আমি চিকিৎসক হিসেবে বহু মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছি। যখন তাঁদের কাছে গিয়ে ভোট চাইবো, তখন আমার এবং দলের আদর্শ নিরিখে আমাকে ভোট দিবেন, এটাই আমার আশা। জেলাবাসীকে একটা কথাই বলবো, এর আগে যাঁকে লোকসভায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁকে প্রশ্ন করুন বহরমপুরে (Murshidabad) তিনি কী কাজ করেছেন? আবার আগামী পাঁচ বছর জয়ী হলে কী কাজ করবেন? ইউসুফ পাঠান আপনাদের কাছে এসে নিশ্চয়ই ভোট চাইবে। তাঁর কাছে জানতে চাইবেন তিনি এখানে কী করবেন?”

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর

    এর আগেও দলের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গৌরীশংকরকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রার্থী ঘোষণা করায় আরও বড় লড়াই হবে। গৌরীশঙ্কর বলেন, “এটা নতুন কিছু না। রাজনীতিতে দল সামলাতে হয়, আবার কখনও নির্বাচনে লড়াইও করতে হয়। এবারের টিমটি পুরো ইয়াং, তাঁদেরকে নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে সুবিধা হবে। মানুষের ভরসার একমাত্র জায়গা বিজেপি। সেই ভরসার জায়গাকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেককেই নামতে হবে। প্রার্থী যেই হোক না কেন তার জন্য অনেক আগে থেকেই দলের কর্মীরা বিজেপিকে জয়যুক্ত করতে অত্যন্ত আশাবাদী।”

    গৌরীশংকরের পরিচয়

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে এবারে বিজেপির প্রার্থী মুর্শিদাবাদ বিধানসভার জয়ী গৌরীশঙ্কর ঘোষ। গৌরীশংকর ঘোষ ভারতীয় জনতা পার্টির একজন রাজনীতিবিদ। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার এম জে ব্লকের হাড়িভাঙ্গা প্রদাদপুরের বাসিন্দা। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএ করেছেন। ২০২১ সালের মে মাসে বিধানসভার সদস্য হিসাবে মুর্শিদাবাদ থেকে নির্বাচিত হন। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সিংহ রায়কে ২৪৯১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। বর্তমান মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থীর সিলমোহর দেয়। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বর্তমান ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি বর্তমানে শাসকদল তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়ক। গত ২০১৯ সালের মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আবু তাহের খান, কংগ্রেসের আবু হেনা, সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান এবং বিজেপির হুমায়ুন কবীর।

    ২০১৯ সালে প্রাপ্ত ভোট কেমন ছিল?

    ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। তিনি মোট ভোট পেয়েছিলেন ৬০৪৩৪৬, কংগ্রেসের আবু হেনা মোট ভোট পেয়েছিলেন ৩৭৭৯২৯, সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান ভোট পেয়েছিলেন ১৮০৭৯৩ এবং হুমায়ুন কবীর বিজেপির হয়ে ভোট পেয়েছিলেন ২৪৭৮০৯। এইবার ঘরের ছেলে মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ মুর্শিদাবাদ লোকসভার প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Murshidabad: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির মডেলেই অন্যের জমি হাতানোর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলা থানার দেবাইপুর এলাকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলা থানার দেবাইপুর এলাকার বাসিন্দা কামালউদ্দিন আহমেদ। অভিযোগ, তাঁর জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূল নেতা মাসাদুল খান। কামালউদ্দিনের দাবি, মাসাদুল খানের কাছ থেকে তাঁর বাবা সাড়ে তিন শতক জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। আর এই জায়গা এখন কামালউদ্দিন আহমেদ সহ তাঁর আরও তিন ভাই ও দুই বোনের নামে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মাসাদুল খান জোরপূর্বক সেই জমি দখল করতে চাইছে। ঠিক যেমন শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল একদম সেই রকম। শুধু তাই নয়, হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি রানিতলা থানায় অভিযোগ জানাতে যাই। কিন্তু, পুলিশ আমাদের অভিযোগ নেয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে ভগবানগোলার এসডিপিওর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাই। শমিরুদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের জমি জোর করে দখল করতে চাইছেন মাসাদুল। তিনি তৃণমূলের দাপুটে নেতা। থানাকে হাত করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না এখন। উল্টোপাল্টা কেসে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মাসাদুল খান বলেন, “সালটা ২০১৪। সেই সময় প্রাক্তন সিপিএম প্রধানের নেতৃত্বে আমার জমি দখল করা হয়। জোর করে আমার জায়াগায় বাড়ি করা হয়। এমনকী আমি থানায় অভিযোগ করি। এরপর সালিশি সভা হয়। এরপর দেড় শতক জায়গা আমি ওদের দিয়ে দিই। আসলে ওরা আমার জমি দখল রেখেছিল। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করব না’, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানালেন হুমায়ুন

    Murshidabad: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করব না’, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানালেন হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে প্রথমদিন থেকে মেনে নিতে পারেননি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বিদ্রোহ সামাল দিতেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিম তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু, তাতে বরফ গলেনি। বহরমপুরের প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিলমোহর দিয়েছেন। সেই শীর্ষ নেতৃত্বকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে হুমায়ুন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউসুফের হয়ে তিনি প্রচার করবেন না। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বড় সংসারে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকে। আলোচনায় সবটা মিটে গেছে। দলের হয়ে সবাই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে।”

    ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না জট (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তিনটি লোকসভা আসনে তৃণমূলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাংগঠনিক নেতৃত্ব, বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। স্বাভাবিকভাবে তাতে আমন্ত্রিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং ভরতপুরে বিধায়ক হুমায়ুন। বহরমপুরের প্রার্থী পছন্দ-না হওয়ায় প্রথমে ওই দু’জনই দলের লোকসভা প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে প্রস্তুতি বৈঠক থেকে মুর্শিদাবাদের তাঁদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “যারা এখন বিদ্রোহ করছেন, তাঁরা যেন এটা ভুলে না-যান ২০২৬ সালে তাঁদেরও ভোট আছে।” সাংগঠনিক বৈঠক শেষে দলের জেলা চেয়ারম্যান নিয়ামত শেখ এবং বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে একটি বেসরকারি হোটেলে একান্তে বৈঠকও করেন ফিরহাদ। কিন্তু, সেই বৈঠক শেষেও দেখা গেল নিজেদের অবস্থানে অনড় দুই তৃণমূল বিধায়ক। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে কোনও ভাবেই তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দু’জন।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, “রাগ-অভিমান কারও ওপর করিনি। তাই সেটা ভঞ্জন হওয়ারও কারণ নেই। আমার কাছে অনেক ‘অফার’ রয়েছে। তবে অন্য কোনও দলে আমি যাব না। এই দলেই থাকব এবং এই দলেরই অন্যায় দেখলে, ভুল দেখলে প্রতিবাদ করব। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর হয়ে আমি কখনও প্রচার করব না। অন্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার করব, না কি নিজের জন্যই প্রচার করব, সেটা সময় বলবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলরের আবাস দুর্নীতির অভিযোগ

    Murshidabad: তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলরের আবাস দুর্নীতির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারভেজ আলম ওরফে পুতুল। পুর এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডের উপভোক্তাদের আবাস যোজনার টাকা প্রদান করা হলেও গোষ্ঠী কোন্দল এবং প্রতিহিংসার কারণে শুধুমাত্র ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু উপভোক্তাদের টাকা আটকে রেখেছেন খোদ চেয়ারম্যান। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় দুর্নীতি ফের প্রকাশ্যে।

    সাংবাদিক সম্মলেন করে অভিযোগ (Murshidabad)

    তৃণমূল কাউন্সিলর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ধুলিয়ান পুরসভা (Murshidabad) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এদিন তিনি এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপভোক্তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। কাউন্সিলর স্পষ্ট বলেন, “উপভোক্তরা টাকা পাওয়ার জন্য যে কয়েকজন অফিসারের স্বাক্ষর দরকার, তারা সবাই স্বাক্ষর করলেও প্রতিহিংসা করে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেননি। ফলে বকেয়া টাকা আটকে রয়েছে। চরম দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে আবাস যোজনার উপভোক্তাদের।” এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে এবং চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ

    ধুলিয়ান পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (Murshidabad) বঞ্চিত উপভোক্তাদের অভিযোগ, “দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বাড়িতে খোলা অবস্থায় রয়েছেন। কেউ ভিত পর্যন্ত, কেউ আবার বাড়ির কিছুটা অংশ উঠিয়ে টাকা না পেয়ে বেকায়দায় পড়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় আমাদের আর্থিক বরাদ্দের টাকা না দিলে আমাদের ঘরের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে।” উল্লেখ করা যেতে পারে, ধুলিয়ান পুরসভার কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুল ২০২২ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করে পুরসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাস ছয়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে জেলা সভাপতির হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপর থেকে দলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়। 

    চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    এদিকে দলেরই কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুলের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে ধুলিয়ান (Murshidabad) পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলাম বলেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সমস্ত ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪ জন উপভোক্তাকে ব্যাঙ্কে টাকা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি সোমবারের মধ্যে বাকি আরও ১৫ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদান করা হবে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, “যারা টাকা পাওয়ার কথা, তাদের নাম না দিয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। আমরা সেটা বানচাল করে ন্যায্য প্রাপকদের দিয়েছি। এতেই ওই কাউন্সিলরের গাত্রজ্বালা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব”, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    Murshidabad: “ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব”, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে মানতে পারেননি সাংসদ অর্জুন সিং। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন অর্জুন। এবার বহরমপুরের তৃণমূলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে না পসন্দ  মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। তাঁকে বহিরাগত তকমা দিয়ে নির্দল হিসেবে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকে তোপ দাগলেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমার বিরুদ্ধে তৃণমূলের একটা অংশ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল, যাতে তিনি বিধানসভার টিকিট না পান। তবে দলের শীর্ষ নেতাদের তো অনেক ক্ষমতা। তাই প্রার্থী ঘোষণার আগে কারও সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনই মনে করেনি।

    ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব (Murshidabad)

     অর্জুনের মতো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী মানতে আমার কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব যদি আমাদের মতো লোকজনকে একবার বলতেন এটা মানতে হবে, এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, অবশ্যই আমি মাথা নত করে মেনে নিতাম।”এরপরই সুর চড়ান হুমায়ুন। তিনি বলেন, “আমি বলছি, বহিরাগত প্রার্থীকে আমি মানছি না। তারজন্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ জানালে কী করব তা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাবেন। আমি ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব। এবার কি তবে দল বদলের পালা হুমায়ুনের? তিনি বলছেন, “আমি কোনও দলে যাব না। আমি নিজেই পার্টি খুলব। নিজেই সেই পার্টির হয়ে লড়ব।”

    আরও পড়ুন: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    পদে পদে অপমানিত হয়েছি

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্বের দলীয় বৈঠক ছিল। সেখানেই দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখকে পাশে নিয়ে হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, “আমরা পদে পদে অপমানিত হয়েছি। সময়মতো সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। জেলার অনেক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা বসে গিয়েছেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমার ভোটে লড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে যে দলীয় নেতৃত্ব কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে, তা নিয়ে আদৌ ভাবিত নন হুমায়ুন। সাফ জানালেন, “ওসব নিয়ে ভাবছি না। সব কিছুর জন্য আমি প্রস্তুত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share