Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: বহরমপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিচিতি সারলেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা

    Murshidabad: বহরমপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিচিতি সারলেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে বিজেপির সাংসদ প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা আজ সকালে বহরমপুরের স্বর্ণময়ীর বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরে পরিচিতি সারলেন। এদিন দলীয় কর্মসূচিতে প্রচুর কর্মী-সমর্থককে তাঁর সমর্থনে রাস্তায় নেমে ভিড় জমাতে দেখা যায়। দলীয় পতাকা নিয়ে লোকসভার ভোটের সমর্থনে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরকার আর নেই দরকার স্লোগান উঠল।

    কী বললেন প্রার্থী (Murshidabad)?

    বহরমপুর (Murshidabad) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা বলেন, “বহরমপুরবাসীরা সকলেই আমাকে চেনেন। তবে এই যে নতুন একটা দায়িত্ব নিতে চলেছি সেই বিষয়ে সকলকে অবগত করতেই আজ আমার পথে নামা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে যে সংকল্প গ্রহণ করেছেন তাকে সার্থক করতে আমরা ময়দানে নেমেছি। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক লড়াই আমাদের চলবে। সিংহ একটা থাকলে অনেক নেকড়ে-হায়না আক্রমণ করে। কিন্তু সত্য সব সময় একটাই থাকে। দুয়ারে রেশনের নামে মানুষের রেশন লুট করা হয়েছে। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ পুরো অন্ধকারের মধ্যে চলে গিয়েছে। রাজ্যে কোনও কাজ নেই, তাই আমাদের ছেলেমেয়েদের অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হয়। তাই এই ব্যবস্থার বদল হওয়া দরকার। দেশে একটা শক্তিশালী সরকার থাকা ভীষণ জরুরি।”

    একই সঙ্গে এই প্রচার অভিযানে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান শোনা যায়। বিজেপির কর্মীরা বলেন, “চাকরি চুরির সরকার আর নেই দরকার, চাল চোরের সরকার আর নেই দরকার, রেশন চোরের সরকার আর নেই দরকার, সন্দেশখালির সরকার আর নেই দরকার।”

    লোকসভার প্রচার শুরু (Murshidabad)

    উল্লেখ্য আসন্ন লোকসভার ভোটকে ঘিরে বিজেপি এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ২০টি আসনের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দুটি লোকসভা কেন্দ্রের নাম ঘোষণা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতে বিরাট জনসভা করেন। এই সভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছেন মোদি। তিনি আজ বারাসতের কাছারি ময়দান থেকে বলেন, “সন্দেশখালির জন আন্দোলন এই রাজ্যের মানুষকে মুক্তির পথ দেখাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে প়ঞ্চায়েত প্রধান! বিপাকে তৃণমূল নেত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Murshidabad: জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে প়ঞ্চায়েত প্রধান! বিপাকে তৃণমূল নেত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধান হওয়ার জন্য ওবিসি শংসাপত্র জাল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। সিপিএম ইতিমধ্যে তা নিয়ে সরব হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে পালটা হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল প্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক পঞ্চায়েত প্রধান কুসুম সাহার বিষয়ে তদন্ত করে সেই রিপোর্ট মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে পাঠিয়েও দিয়েছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুসুম সাহা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে  বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সিপিএম প্রার্থী হিমাংশুশেখর সাহাকে তিনি পরাজিত করেন। কুসুম পরে ওবিসি সার্টিফিকেট দেখিয়ে বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। তারপরই পরাজিত বামপ্রার্থী হিমাংশু প্রধানের সার্টিফিকেট জাল বলে প্রশাসনের কে কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। হিমাংশু জানিয়েছেন, কুসুম সাহার বাপের বাড়ি বিহারে। তিনি ওবিসি সার্টিফিকেট জাল করে পঞ্চায়েত ভোটে লড়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসকের নির্দেশের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটি তদন্ত শুরু করে। গত বছর নভেম্বর মাসে মহকুমাশাসক কুসুম সাহাকে ওবিসি সার্টিফিকেট জাল করার জন্য শোকজ করেন। তারপর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা প্রশাসন তদন্ত করে কুসুম সাহার শংসাপত্র বাতিল করে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কুসুম সাহা বলেন, ‘আমাদের কাছের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের চিঠি এসেছে। আর এই চিঠি নিয়ে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছি। হাইকোর্ট সব বিচার করবে।’ অভিযোগকারী সিপিএম নেতা হিমাংশুশেখর সাহা বলেন, ‘কুসুম সাহা হাইকোর্টে যাবেন কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমরা জানি, তিনি জাল সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন। এমনকী, আধার কার্ডও এডিট করা। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেছিলাম। তারপরই আমরা সেখান থেকে প্রধান সম্পর্কে যাবতীয় সব নথি জানতে পারি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার গাড়ি ও হোটেল খরচ কত জানেন?

    Murshidabad: তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার গাড়ি ও হোটেল খরচ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের বাজেট অধিবেশনে, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে গাড়ির ডিজেল খরচে লাগাম ছাড়া হিসাব দেখিয়ে কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন দলেরই জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ বেগম। একই সঙ্গে আরও অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “সভাধিপতি কলকাতার নামী দামি হোটেলে মোটা অঙ্কের টাকা মিটিয়েছেন জেলা পরিষদের তহবিল থেকেই।” ফলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে তৃণমূল সদস্যের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়। তৃণমূলে দলের অন্দরেই অস্বস্তির ছায়া ফের একবার স্পষ্ট।

    কত লিটার ডিজেল খরচ করেন সভাধিপতি (Murshidabad)?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ বগেম, রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “জেলা পরিষদের সভাধিপতি গত অক্টোবর মাসে ২২০৯ লিটার, নভেম্বর মাসে ১৮১৫ লিটার, ডিসেম্বর মাসে ১৯১০ লিটার ডিজেল নিজের গাড়ির জন্য ব্যবহার করেছেন। এতো ডিজেল কোথায় ব্যবহার করলেন? আবার ২১ অক্টোবর ৬৬৮২০ টাকা, ১৭ নভেম্বর ৫৩৩২০ টাকা এবং ১৬ ডিসেম্বর ৩৫৮৪০ টাকা কলকাতার হোটেলে খরচ করেছেন। অথচ সেখানে সার্কিট হাউসে থাকা যায়। এত অতরিক্ত খরচ কেন? আমি জানতে চাইবো, এটা ঠিক না ভুল! ভুল হলে আমি খুশি হবো। জেলা পরিষদের অঙ্গ হিসাবে জানতে চাই আমি।”

    সভাধিপতির বক্তব্য

    জেলার (Murshidabad) সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, “কোনও সদস্য আক্ষেপ করতেই পারেন। অভিযোগের যুক্তি খতিয়ে দেখতে হবে। দায়িত্ব পেল যেমন পক্ষে কথা ওঠে, তেমনি বিপক্ষেও কথা ওঠে। তবে এই সব বিষয়কে আমি গুরুত্ব দিই না। আপনাদের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।” জেলার আরেক তৃণমূল নেতা বলেছেন, “অভিযোগকারী সভাধিপতি হতে পারেননি, তাই নিজের রাগ এবং ঝাল মেটাতে এই অভিযোগ তুলেছে।”

    জেলা কংগ্রেসের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য তৌহিদুর রহমান সুমন বলেন, “জেলা পরিষদের সদস্য যে অভিযোগ তুলেছেন, তা মারাত্মক বড় ধরনের দুর্নীতি। আমরা চাই সকল দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হোক। সরকারি টাকার অপচয় হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের যুব নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপ, দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: তৃণমূলের যুব নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপ, দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের সেকেন্দ্রা এলাকা। বিগত বেশকিছু দিন ধরে সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। রবিবার সকাল গড়াতেই ফের দুই পক্ষের মধ্যে বাধে বচসা। শুরু হয় হাতাহাতি। ঘটনাস্থলে রঘুনাথগঞ্জ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ইশানুল শেখ যেতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার জন্য সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। এদিন তার শেষ দিন। সেখানেই তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। বিষয়টি জানার পরই যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ইশানুল শেখ সেখানে যাওয়ার সময় তাঁর ওপর দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালায়। লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে হামলা চালানোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রঘুনাথগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকা শান্তি আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয় তারজন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গিপুর এসডিপিও প্রবীর মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় টহল মারছে। অপরদিকে আহত হন দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর এক কর্মীও। তাঁকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্তমানে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়।

    তৃণমূলের অ়ঞ্চল সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, দলের সহায়তা কেন্দ্রে প্রথমদিন থেকে ইশানুল সেখানে ছিলেন। বাড়ি বাড়ি কর্মীদের ডাকেন তিনি। সেই কাজে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! মুর্শিদাবাদে হদিশ মিলল আক্রান্তের

    Murshidabad: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! মুর্শিদাবাদে হদিশ মিলল আক্রান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। এবার মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হদিশ পাওয়া গেল করোনা আক্রান্তের। আক্রান্তের বাড়ি মুর্শিদাবাদ- জিয়াগঞ্জ ব্লকের একটি গ্রামে। অন্য রোগ নিয়ে ভর্তি ওই তরুণের শ্বাসকষ্টের কারণে বৃহস্পতিবারই চিকিৎসকের পরামর্শে প্রথমে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। তাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। পরে, আরটিপিসিআরেও রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বিষয়টি জানতে পারার পরই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরফে। গুরুতর অসুস্থ ওই রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

    মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আক্রান্ত যুবক (Murshidabad)

    প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানতে পেরেছেন, আক্রান্ত যুবক দিদিমার কাছে থাকতেন। বাড়িতে দিদিমা ছাড়া কেউ নেই। ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজও করতেন। পরে, কলকাতায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পরে তিনি অসুস্থ হন। তাঁকে ৫-৬ দিন আগে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে তাঁর বাড়ির আশপাশে বা দিদিমা কেউই অসুস্থ হননি বা তাঁদের মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গ নেই। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অনাদি রায়চৌধুরী বলেন, “ওই যুবক মেনিনগো এনসেফেলাইটিস রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর করোনা পজিটিভ হয়েছে। আমরা সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।”

    জেলাজুড়ে আতঙ্ক!

    নতুন করে বছরখানেক পরে করোনা পজিটিভ রোগী মেলায় উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা। কারণ মুর্শিদাবাদের বহু লোকজনের কলকাতায় যেমন যাতায়াত রয়েছে, তেমনই বহু পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে কাজে যান। তাঁরা বাড়ি ফিরলেও করোনা পরীক্ষা হয় না। ফলে উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, “কোভিডের প্রোটোকল মেনে যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে। যে সব চিকিৎসক নার্স বা অন্য হাসপাতাল কর্মী তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছে। তাতে করোনা নেগেটিভ এসেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮টি শয্যার করোনা রোগীদের জন্য ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার থানার পূর্ব গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রূপচাঁদ শেখ (৫৬)। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। তাঁদের সালার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপচাঁদ তালিবপুরের প্রধান রবি শেখের অনুগামী। রবি আবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামী। আর হামলাকারী তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মেহেরাজ হোসেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সুমনের অনুগামী। ব্লক সভাপতির সঙ্গে তৃণমূল বিধায়েক দ্বন্দ্ব নতুন নয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এই কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। নতুন করে আবার সেই দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। বুধবার একটি ক্রিকেট খেলা ছিল। সেখানেই বিধায়ক অনুগামীরা ছিলেন। জানা গিয়েছে, বিধায়ক অনুগামীদের তৃণমূল করা যাবে না বলে ব্লক সভাপতির লোকজন হুমকি দেয়। এনিয়ে বিধায়ক অনুগামীরা প্রতিবাদ করে। এরপরই বিধায়ক অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। থানায় অভিযোগ করার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বিধায়ক অনুগামী রূপচাঁদ হামলার প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।

    বিধায়ক অনুগামী তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    বিধায়ক অনুগামী তৃণমূলের প্রধান রবি শেখ বলেন, ব্লক সভাপতির নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। দলীয় কর্মী খুনের জন্য ব্লক সভাপতি দায়ী। তাঁর লোকজন খুন করেছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    ব্লক সভাপতি কী বললেন?

    ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও বিষয় নেই। আসলে গ্রাম্য বিবাদ। সেটা নিয়ে দলকে জড়াচ্ছে ওরা। আর তৃণমূলের কোনও বিষয় নয়। আসলে চায়ের দোকানে কয়েক ইভটিজিং করছিল। তারজন্য মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এদিন সকালের ঘটনা ঠিক হয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ব়্যাগিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে! চার ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা

    Murshidabad: ব়্যাগিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে! চার ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। কলেজের হস্টেলের ভিতরে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় টেক্সটাইল কলেজের অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত চার ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ঘটনায় পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    উল্লেখ্য গত বছর পুজোর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেই উত্তাপের আঁচ গিয়ে পড়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা এবং ইউজিসিতে। সেই ছাত্রের বাড়ি ছিল নদিয়া জেলায়। বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এছাড়াও খড়্গপুরে আইআইটির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, আরজিকর মেডিক্যালের ডাক্তারি পড়ুয়া, দুর্গাপুরের এমবিএ পড়ুয়া সহ একাধিক ছাত্রের ব়্যাগিং এবং রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। ফের একবার ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে।

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কোন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ?

    ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল কলেজে। এই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রকে হস্টেলের রুমে কানধরে ওঠবস করানো হয়। ঘটনার পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজের কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। ঘটনায় রাজ্যে শিক্ষাঙ্গনে ফের ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।

    অভিযুক্তরা চতুর্থ, তৃতীয় এবং প্রথম বর্ষের ছাত্র

    কলেজ (Murshidabad) সূত্রে জানা গিয়েছে, ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ মূলত চারজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এরপর এই চারজনের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ব়্যাগিংয়ের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে একজন প্রথম বর্ষের, আরও দু’জন তৃতীয় বর্ষের এবং অপর আরেক জন হল প্রথম বর্ষের ছাত্র। ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশ! ৫৯ বছর পর নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশ! ৫৯ বছর পর নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ময়া নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু হল। সোমবার লালগোলার ময়া গ্রামে নৌবন্দর পরিষেবার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। নৌপথে বাংলাদেশ-ভারতে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয় সড়ক ও রেলপথ ব্যবহার। এতে উভয় দেশের পণ্য পরিবহণ খরচ বেশি হত। এবার নৌবন্দর চালু হওয়ায় খুশি দু’দেশের মানুষ।

    ৫৯ বছর পর আবার চালু হল (Murshidabad)

    জানা গিয়েছে, এক সময় এই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নৌবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ি-লালগোলা নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ ৫৯ বছর পর আবার চালু হল নৌবন্দর পরিষেবা। নৌবন্দর চালু হওয়ায় ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সময় ও খরচ দু’টোই কমবে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এই নৌপথে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতার সমস্যার কারণে কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়। আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর, বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী আনা হবে। এই নৌবন্দর চালুর ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশাবাদী এলাকার বাসিন্দারা।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী স্থাপনে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতেই এই দেশ থেকে পণ্য সহজেই পৌঁছে যাবে ওপারে। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরাতেও সহজেই পণ্য পৌঁছবে। দূরত্ব কমবে অনেকটাই। ঠিক তেমনই ওপার থেকে পণ্য পৌঁছে যাবে ভারতে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে বাংলাদেশ নৌপথ পুনরায় চালুর ভাবনা শুরু হয়। সেই কারণেই চিঠি পাঠানো হয় দুই দেশকে। ২০১৮ সালে মার্চ মাসে জমি ও নদী পরিদর্শন করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মউ স্বাক্ষর করা হয়। মোট ২৫ বিঘা জমির ওপর ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই বন্দর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকটাই সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে এটা বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তা বেহালের কারণে রাজ্য সরকারকে তিনি দায়ী করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: রাজ্যে সক্রিয় ওটিপি প্রতারণাচক্র, চিন-পাকিস্তান যোগ! কীভাবে জালিয়াতি?

    Fraud: রাজ্যে সক্রিয় ওটিপি প্রতারণাচক্র, চিন-পাকিস্তান যোগ! কীভাবে জালিয়াতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় হয়েছে প্রতারণাচক্র। প্রতারকরা নিত্যনতুন কৌশল প্রয়োগ করে প্রতারণার (Fraud) ছক কষে। এবার ওটিপি কেনাবেচার একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি বিক্রির অবৈধ চক্র চালানোর অভিযোগে মূল পাণ্ডাকে হিমাচল প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ। ওই চক্রের জাল পাকিস্তান এবং চিনে ছড়িয়ে থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ থেকেই এই চক্রের হদিশ মেলে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণার ছক? (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাধারণত প্রতারকরা সিম ক্লোন করে ওটিপি সংগ্রহ করে। ধরা যাক একটি ফোন নম্বরের সিম ক্লোন করা হল, তারপর থেকে ওটিপি যাবে ওই ভুয়ো নম্বরে। ফলে, সহজেই গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। একদল লোক সিম ক্লোন করার কাজে যুক্ত থাকে, আবার আর একদল ওটিপি বিক্রি করে বলে জানা যায়। মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশে তথ্য পাচার করে দেওয়া হত। প্রতারকরা বিদেশে কী কী তথ্য পাচার করেছে তা জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    পাকিস্তান-চিন যোগ!

    দু সপ্তাহ আগে মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওটিপি কেনাবেচার অভিযোগে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নকল সিম কার্ড বানিয়ে ওটিপি তৈরি করা হয়, তারপর ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ধৃতদের জেরা করার পর পুলিশ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা গৌরব শর্মার নাম পুলিশ জানতে পারে। জানা যায়, ওটিপি কেনাবেচার আন্তর্জাতিক প্রতারণা (Fraud) চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে গৌরব শর্মার। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা থেকে ওটিপি সংগ্রহ করেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফোন নম্বর সহ ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে। টাকার লেনদেন হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের লোকজনের লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! রাজ্যের চার জেলায় সাত সকালেই হানা ইডি-র

    ED: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! রাজ্যের চার জেলায় সাত সকালেই হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন কাণ্ডের পর এবার ১০০ দিনের দুর্নীতি নিয়ে সক্রিয় ইডি (ED)। এই দুর্নীতির তদন্তে এবার রাজ্যের চার জেলায় হানা দিল ইডি। মঙ্গলবার সাত সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ইডি আধিকারিকরা হানা দেন। ঝাড়গ্রামের এক সরকারি আধিকারিকের কোয়ার্টারে, হুগলির চুঁচুড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবং মুর্শিদাবাদের একটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে সল্টলেকের একটি আবাসনেও। সকাল থেকেই চলছে তল্লাশি পর্ব।

    মুর্শিদাবাদে ইডি (ED)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মুর্শিদাবাদে বহরমপুর শহরের বিষ্ণুপুর রোডে বাড়ি রথীন দে নামে প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতে ইডি (ED) হানা দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে বাড়ি। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নওদা পঞ্চায়েতে কর্মরত ছিলেন। নওদা পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজের এবং তাঁর বোনের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করে। এছাড়াও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় চাকরি যায় তাঁর।

    ঝাড়গ্রামেও হানা দেয় ইডি

    মঙ্গলবার সকালে ইডির (ED) ছ’জন আধিকারিকের একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হানা দেন ঝাড়গ্রামের বাছুরডোবার একটি সরকারি আবাসনে। জেলার সংখ্যালঘু দফতরের এক প্রশাসনিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ খবর পেয়ে এলাকায় যান। কিন্তু, পুলিশ আধিকারিকদের আবাসনের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইডি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে ‘দুর্নীতি’র বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।

    হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায় হানা ইডি-র

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ইডি (ED) হানা দেয় হুগলির চুঁচুড়ার ময়নাডাঙায় সন্দীপ সাধুখাঁ নামে এক নির্মাণ সহায়কের বাড়িতে। সেই বাড়িতে চলছে তল্লাশি। যদিও তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পাশাপাশি সল্টলেকের একটি আবাসনে চলছে তল্লাশি। সেই আবাসনে  ধনেখালির প্রাক্তন বিডিও এসকে পান থাকেন। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে তারা আগেই তদন্ত শুরু করেছিল। তদন্তে দেখা যায়, ১০০ দিনের কাজে যে কোটি কোটি টাকার কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এসেছিল, তা নয়ছয় কর হয়েছে। টাকা নয়ছয় করতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করা হয়েছিল বলে তদন্তকারী সংস্থাটি সূত্রে খবর। এবার সেই দুর্নীতির তদন্তে জেলায় জেলায় হানা দিল ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share