Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমানের মূর্তি নির্মাণ করে পুজো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সনাতনী সমাজের

    Murshidabad: রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমানের মূর্তি নির্মাণ করে পুজো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সনাতনী সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দিরের উদ্বোধন হল। এই উপলক্ষে বহরমপুরের গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে শ্রীরাম পুজোর আয়োজন করা হয় মহা সাড়ম্বরে। সোমবার সকালে এই পুজোকে কেন্দ্র করে হাজির হন সনাতনী সমাজের প্রত্যেক সদস্য, বহু ভক্ত এবং শহরের বহু সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে গঙ্গার জল আনতে যাওয়া হয় বহরমপুরের গোরাবাজার ঘাটে। আজকের দিনে বহরমপুরে (Murshidabad) গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে এই শ্রীরাম পুজোর আয়োজনে নেতৃত্ব দেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র কাঞ্চন।

    শ্রীরাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তিতে পুজো (Murshidabad)

    অযোধ্যায় আজ মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মন্দিরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ভারতবর্ষের সনাতনীরা এই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় ছিল। আজ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যার সঙ্গে বাংলাও শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি নির্মাণ করে পুজোতে মেতেছে। বহরমপুর (Murshidabad) সায়দাবাদে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তি তৈরি করে পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে চলেছে আগত ভক্তদের মধ্যে লাড্ডু ও ভোগের প্রসাদ বিতরণ। পাশাপাশি চলে ভজন-কীর্তন। একই সঙ্গে আয়োজকদের উদ্যোগে ২০০ জন গরিব মানুষকে প্রদান করা হয় শীতবস্ত্র।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বহরমপুরের (Murshidabad) বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “রামায়ণে প্রভু রামের ১৪ বছর বনবাস হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সনাতনীদের কাছে ৫০০ বছর ধরে অজ্ঞতাবাসে রাখা হয়েছে রামলালাকে। আজ অযোধ্যায় যুগাবতার রামচন্দ্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্দিরের জন্য অনেক রাম ভক্তদের রক্ত ঝরেছে। দেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু কেউ প্রভু রামের মন্দির নির্মাণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেনি। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একান্ত চেষ্টায় মন্দির নির্মাণ-উদ্বোধন হয়। আজ আমরা সকল হিন্দু সংগঠন হিসাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, সনাতনী সমাজের পক্ষ থেকে প্রভু রামের পুজো করছি। আজকের দিন আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের এবং গৌরবের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন!’ বেফাঁস হুমায়ুন

    Murshidabad: ‘অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন!’ বেফাঁস হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের একটা অংশের বিরোধ রয়েছে। প্রকাশ্যেই দলের সাংসদ আবু তাহের সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের রোষে পড়েন। শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বেশি কথা বলার জন্য ধমক দেন। কিন্তু, বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সুর চড়িয়েছেন। এবার তাঁর সরাসরি আঙুল অভিষেকের অফিসের দলীয় এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

     অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন! (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, ‘কোনও চ্যাং-ব্যাং, ২৭-২৮ বছরের ছেলেরা ৬০, ৬২, ৭০ বছরের নেতৃত্বকে অবহেলা করবে, তাঁদের কর্তৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করবে, ভুল ট্রিটমেন্ট করা, মূল্যায়ন করা, মেনে নেওয়া যায় না। সেটা আমি সব মানব না!’ এসব বলার পাশাপাশিই অভিষেকের ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘অভিষেক সত্যিই যোগ্য নেতৃত্ব হয়ে উঠেছেন। তিনি শুধু ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নন। পাশাপাশি তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মমতার পরেই তাঁকে মানি। নবীনদের মধ্যে যদি প্রতিভা থাকে, তাঁরা নেতৃত্ব দিতেই পারেন। যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর নাম করে তাঁর অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন। নিজে নিজের ব্লক সভাপতি ঠিক করে দিচ্ছেন। তা হলে আমাদের রাজনীতি করার মানে কী? অভিষেককে আমি নেতা মানি। তাঁর হুইপ মানতেও রাজি। কিন্তু, তাঁর নাম করে কেউ অনৈতিক কাজ করবে, সেটা মানা সম্ভব নয়। তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে বলেন, দলনেত্রী মমতা আমাকে দায়িত্ব দিলে লোকসভা ভোটে বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে দু’লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেখিয়ে দেব।’

    মমতার ধমক নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    শুক্রবার দলীয় বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো সকলের সামনেও হুমায়ুনকে ধমক দেন। সেই প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন,’ ধমকের কোনও বিষয় নয়। প্রবাদবাক্য রয়েছে, শাসন করার অধিকার তাঁরই থাকে যিনি ভালবাসেন। সোহাগ করতে জানেন। দিদি আমাকে স্নেহ করেন। তাই কোনও সময়ে ভুল করলে বকুনিও দেন। আমি মনে করি, গুরুজনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। রাজনীতির ময়দানে তিনি গুরুজন। তাঁর কথায় কিছু মনে করি না। তাঁর প্রতি বলার কিছু নয়। যোগ্য নেতৃত্ব বলে মনে করি।’ এরপরই তিনি চেনা ঢঙে বলেন, ‘আমাকে চমকিয়ে-ধমকিয়ে লাভ নেই। আমি বহিষ্কার বা ওই ধরনের শাস্তির ভয় পাই না। তাঁর কথায়, দল ছাঁটাইয়ে প্রস্তুত আছে। কিন্তু দল ছাঁটাই করবে কি না দলকে ভাবতে হবে। ছাঁটাই করলে কোথায় রাস্তা খুঁজতে হয়, সঠিক মূল্যায়ন করতে হয় আমি জানি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম ওই যুবকের নাম মনোজ মণ্ডল (২৭)। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৬ জুলাই রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে একটি বিষয় নিয়ে বাপি মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল রাজবীর মণ্ডল নামে এক যুবকের। অভিযোগ, সেইদিন বাপি ও তাঁর শাগরেদরা মিলে রাজবীর-সহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছিল। সেদিন বাপির সঙ্গী ছিলেন এদিনের জখম তৃণমূল কর্মী মনোজ মণ্ডল। আর তারই বদলা নিতে রাজবীররা কয়েকজন মিলে বুধবার রাতে মনোজের বাড়িতে ঢুকে হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। যার একটি গুলি তাঁর পেটে লেগেছে। মনোজ বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রানিনগরের গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী বললেন?

     রানিনগর ২ ব্লকের নব নির্বাচিত সভাপতি মাহাবুব মুর্শিদ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। এই ঘটনা তারই জের। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রকৃত দোষীদের ধরে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির রানিনগর মণ্ডল সভাপতি আশিক ইকবাল বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুরানো ঝামেলার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: শাগরেদের সঙ্গে আদালতে দেখা করাই হল খুনির কাল, পুলিশের জালে গ্রেফতার

    Murshidabad: শাগরেদের সঙ্গে আদালতে দেখা করাই হল খুনির কাল, পুলিশের জালে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে গত ৭ জানুয়ারিতে নির্মীয়মাণ বহুতলে উঠে তিনজন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করেছিল তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরিকে। তিন দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট পড়া ছিল। তবে মাথা ঢাকা থাকলেও রেহাই পায়নি খুনি। শাগরেদের সঙ্গে আদলাতে দেখা করাই কাল হল খুনির। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ আদালত চত্বর থেকে ধরে ফেলে এই অভিযুক্ত খুনিকে। ধৃত দুষ্কৃতীর নাম রহিম শেখ।

    ফাঁদ পেতে পাকড়াও করা হয় খুনিকে (Murshidabad)

    বহরমপুর (Murshidabad) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরিকে খুন করতে সুপারি কিলার হিসাবে খুনিদের ভাড়া করা হয়েছিল। তাই তাকে খুন করতে অত্যন্ত কাছ থেকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুটি মোবাইল নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এরপর গ্রেফতার ঠেকাতে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিল অভিযুক্ত প্রধান খুনি রহিম শেখ। সীমান্তের ওপারে যেতে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে আদালত চত্বরে আসে রহিম। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পেতে রাখে। আদালত চত্বরে পৌঁছালেই সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করে রহিমকে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার তাকে আদলাতে তোলা হয়। বিচারক, এই অভিযুক্ত খুনিকে ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার পুলিশ প্রধান সূর্য প্রতাপ এই খুনের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, “খুনের পর ঘটনাস্থলের পাশে থাকা দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত খুনিদের তল্লাশি করার কাজ শুরু হয়েছিল। বেশ কিছু অভিযুক্তদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। খুনের পিছে আর কে কে আছে তাদের খোঁজ করা হচ্ছে।”

    কল লিস্ট থেকে মিলেছে তথ্য

    খুন হওয়া সত্যেনের (Murshidabad) একটি মোবাইল উদ্ধারের পর কল লিস্ট থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশের অনুমান ছিল খুনে অভিযুক্তরা নওদা হয়ে নদিয়ার সীমান্তে আত্মগোপন করে রয়েছে। পাশাপাশি মোবাইলের সূত্র ধরে নদিয়ার এক যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার নাম মুস্তাফা শেখ। এই তৃণমূল নেতার বাড়ি হল তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগরে। তিনি এই অঞ্চলের অঞ্চল যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি। এরপর বাকি অভিযুক্তদের ধরার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। পরে অবশ্য মুস্তাফা জামিন পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিল্মি কায়দায় একদা অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ সত্যেন চৌধুরীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সত্যেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোস্তফা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ নদিয়ার তেহট্ট থেকে গ্রেফতার করে। মোস্তফা তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে সামনে চলে এসেছে।

    অসামাজিক কাজে যুক্ত সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা (Murshidabad)

    পুলিশ সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতা সত্যেনকে খুনের পরে তিন অভিযুক্ত তেহট্ট থানার (Murshidabad) বিনোদনগর পোস্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল। খুনের আগে ও পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে মোস্তফার যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর আগে স্থানীয় শ্রীরামপুর বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে কানাইনগর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি আজিজুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তা আজিজুলের ডান কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কলার ব্যবসার আড়ালে অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ এই মোস্তফাকে দলের পদ দিতে বাধেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। কিছু দিন আগেই তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির প্যাডে দেওয়া চিঠিতে তাকে কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি সৌমিত্র সরকার বলেন, এলাকায় অনেকের আব্দার ছিল, মোস্তফাকে পদ দেওয়া হোক। তাই, দেওয়া হয়েছে পদ। গ্রেফতারের কথা শুনেছি। এ-ও জেনেছি যে, সে নির্দোষ। সন্দেহের বশে তাকে ধরা হয়েছে। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বক্তব্য, ওই অঞ্চলে যুব সভাপতি বা সহ-সভাপতি কারও সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। দলেরই এক কর্মীর দিকে গুলি ছোড়ায় জড়িত ছিল মোস্তফা। এ সব কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    সত্যেন খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথসভা করেছে কংগ্রেস। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল চোর-গুন্ডাদের পদ দিচ্ছে, যাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বাগে রাখতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাজ্যে জাল আধার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস! কীভাবে চলত এই কারবার?

    Murshidabad: রাজ্যে জাল আধার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস! কীভাবে চলত এই কারবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে আধার জালিয়াতি চক্র। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মোটা টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড করিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের গিরিয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম আব্দুর রহমান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) পূর্ব পাড়ে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। কাঁটাতার পেরিয়ে জেলায় মাঝে মধ্যে অনুপ্রবেশকারীরা চলে আসে। বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন এই আব্দুর। বিনিময়ে তিনি মোটা টাকাও নিতেন। দীর্ঘদিন জঙ্গিপুর গিরিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় কম্পিউটার দোকান খুলে এই বেআইনি কারবার তিনি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর দোকানে হানা দেয়। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বায়োমেট্রিক মেশিন-সহ একাধিক ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম তথা গ্যাজেট। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আধার কার্ডও। ধৃত ব্যক্তি মিঠিপুর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই বেআইনি কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় নাগরিক হওয়ার অন্যতম ঠিকানা ছিল এই আব্দুরের দোকান। বাংলাদেশীদের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দিতেন আব্দুর। বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কাজকর্মে সহযোগিতা করার অভিযোগও রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ধৃত আব্দুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই কম্পিউটার দোকানের আড়ালে বেআইনি কারবার চালাচ্ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ধরনের কারবার কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। ফলে, এর পিছনে কেউ বা কারা রয়েছে। তাদের খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! অধীর-তৃণমূল বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Murshidabad: একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! অধীর-তৃণমূল বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরির মধ্যে দ্বৈরথের চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। কিন্তু এমন কাণ্ড কেন ঘটল! সামনেই আসন্ন লোকসভার ভোট। তাই কি এলাকার কাজ দেখিয়ে মানুষের কাছে উন্নয়নের ঢাক পেটানোর চেষ্টা চলছে? এলাকার মানুষ ঠিক এই ভাবেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করলেন।

    কোন রাস্তার শিলান্যস করা হয়েছিল (Murshidabad)?

    কংগ্রেস সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রস বিধায়কের মধ্যে রাস্তার শিলান্যাস করা নিয়ে ‘উন্নয়ন-যুদ্ধে’ ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এই জেলার বেলডাঙা-২ ব্লকের দাদপুর পঞ্চায়েতে ৬৩৫ মিটার লম্বা একটি রাস্তার দাবি ছিল অনেক দিন ধরেই। মারদিঘি থেকে অমরপুর পর্যন্ত রাস্তার শিলন্যাস করলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। আনুমানিক খরচ হবে চার লক্ষ টাকা। একই রাস্তাকে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে শিলান্যাস করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরি।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরি বলেন, “মরাদিঘি (Murshidabad) ও অমরপুরের বাসিন্দাদের অনেক দিনের দাবি মেনে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার অনুমোদন করিয়েছি। দু-চারদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিধায়ক আরও বলেন, “সাংসদকে বলতে চাই আপনি আপনার তহবিল থেকে আরও একটি রাস্তা তৈরি করে দিন। আর তা করতে পারলেই উন্নয়ন হবে।”

    কী বলেন অধীররঞ্জন?

    পাল্টা রাস্তার শিলান্যাসের ফিতে কেটে সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) বলেন, “আমি সরকারি অনুমতি নিয়ে কাজ করছি। সরকারের পছন্দ না হলে কাজ বাতিল করে দিক।” রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে যুদ্ধ কেন? প্রশ্ন করলে উত্তরে কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, “বিধায়কের সঙ্গে তো আমি যুদ্ধে যেতে পারি না, তাই একসঙ্গে বসলে হয়তো কাজের বিষয়ে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে ওই রাস্তা আমি করবই।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    রাস্তাকে ঘিরে দুই দলের জনপ্রতিনিধিদের কার্যকলাপ সম্পর্কে স্থানীয় (Murshidabad) আলম মণ্ডল বলেন, “সামনেই ভোট, তাই উন্নয়ন নিয়ে মারামারি চলছে। ভোটের সময় ছাড়া তো আর কাউকে দেখা যায় না। আপাতত রাস্তাটা হলে ভালো আমাদের জন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, আতঙ্ক

    Murshidabad: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া, আমডাঙার পর এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabd)  দাপুটে তৃণমূল নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার চালতিয়া এলাকায়। দিনের বেলায় প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা এসে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সত্যেন চৌধুরী। তিনি তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabd)  

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেনবাবু তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabd) জেলার সাধারণ সম্পাদক হলেও সক্রিয় রাজনীতি ইদানিং করতেন না। নিজের ব্যবসার কাজে তিনি বেশি যুক্ত থাকতেন। চালতিয়া এলাকায় নিজের পাড়াতেই একটি আবাসন তৈরি করছিলেন। সেখানেই তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় বাইকে করে তিনজন তাঁর কাছে আসে। খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে জনবহুল এলাকা দিয়ে জোরে বাইক চালিয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের কেউ ধরতে পারেননি। সত্যেনবাবুর হাতে, ঘাড়ে গুলি লাগে। মাটিতে তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা কী বললেন?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেনবাবু এক সময় কংগ্রেস করতেন। অধীর চৌধুরীর তিনি ছায়াসঙ্গী ছিলেন। বহরমপুর এলাকায় সত্যেনের এক সময় বিশাল বাহিনী ছিল। তাঁর দাপটে কারও কথা বলার সাহস ছিল না। পরবর্তীকালে অধীরের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয়। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি নিজের এলাকায় বিশাল কালীপুজো করতেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁকে রাখা হলেও দলের মিটিং-মিছিলে তাঁকে আর খুব বেশি দেখা যেত না। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঘটনার এক মিনিট আগে আমি সত্যেনদার সঙ্গেই ছিলাম। কিছুক্ষণ গল্প করে বাড়িতে সবে খেতে বসব। তারপরই এই ঘটনা শুনলাম। ছুটে গিয়ে দেখি দাদা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল কর্মী হয়েছিলেন মাওবাদী! ১২ বছর ফেরার থাকার পর পুলিশের জালে

    Birbhum: তৃণমূল কর্মী হয়েছিলেন মাওবাদী! ১২ বছর ফেরার থাকার পর পুলিশের জালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক মাওবাদী নেতাকে বীরভূম (Birbhum) থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ১২ বছর ফেরার থেকেও শেষরক্ষা হল না। গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে ফিরতেই মাওবাদী যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, এলাকায় সন্ত্রাস-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতের নাম বাবন সূত্রধর (৪৮)। তাঁর বাড়ি বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর থানার বেলিয়া গ্রামের পুকুরপাড়ায়।

    সেভেন এমএম পিস্তল বাজেয়াপ্ত! (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ বছর ধরে বাড়িছাড়া ছিলেন ওই মাওবাদী নেতা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের নওদা থানায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল। পুলিশও দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে খুঁজছিল। কয়েক দিন আগে তিনি বীরভূমের (Birbhum) গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। ফেরার আগে থেকেই শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন তিনি। এদিকে বাবনের গ্রামে ফেরার খবর পেয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে রামপুরহাট থানার পুলিশ। বিশাল বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্র। বাম আমলে বাবনের বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরই প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন বাবন। এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর কাছে থেকে সেভেন এমএম পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।

    কী বললেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের বুথ সভাপতি অরুণ সূত্রধর বলেন, বাবন তো আমাদের দলের হয়ে কাজ করত। পরিবারে একটি দুর্ঘটনার জন্য ও বিপথে চলে গিয়েছিল। এখন সে নিজেকে শুধরে নিয়েছে। ও যাতে সঠিক বিচার পায়, তা আমরা দেখব।

    সংগঠনের মধ্যে বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, স্বীকার করলেন মাওবাদী নেতা

    আর মাওবাদী নেতা বাবন সূত্রধর বলেন, মাওবাদী সংগঠনে নাম লেখালেও বোনের প্রতি অবিচারের বদলা এখনও নিতে পারিনি। বেশ কয়েক বছর আমি জেলও খেটেছি। আমার কাছে অস্ত্র ছিল না। পুলিশ তা গুঁজে দিয়েছে। আর মাওবাদীদের মধ্যে আরও বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, খেয়োখেয়ি। তাই, তাদের পথ থেকে পিছিয়ে এসেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হাসপাতালে রক্তের আকাল! সক্রিয় দালালচক্র, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    Murshidabad: হাসপাতালে রক্তের আকাল! সক্রিয় দালালচক্র, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রমরমিয়ে চলছে রক্তের দালালচক্র। টাকার বিনিময়ে রোগীর  পরিবারের লোকজনকে রক্ত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের কর্মীদের জ়ড়িয়ে থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে রক্তদাতা সংগঠনের সদস্যরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। যদিও দুজনই বহিরাগত। তবে, এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বছরে ৩০ হাজার ইউনিট রক্ত লাগে! (Murshidabad)

    মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের তুলনায় রক্তের চাহিদা বেড়েছে। ২০১৪-১৫ সালে বছরে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫-১৬ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হত। গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০ হাজার ইউনিটের আশপাশে রক্তে লাগছে। মেডিক্যালে চিকিৎসা পরিষেবা বেড়েছে। রক্তের চাহিদাও বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী রক্তের জোগান অনেকটাই কম। তাই, বরাবরই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে চাহিদার তুলনায় রক্ত সরবরাহ কম থাকে। আর উৎসবের মরসুম হলে রক্তদান শিবির কমে যায়। যার জেরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কেও রক্তের আকাল দেখা দেয়। সেই সুযোগটাই নেয় রক্তের দালালেরা। এ বারে শীত পড়তে উৎসবের মরসুম শুরু হয়েছে। যার জেরে রক্তের সঙ্কট বেড়েছে। আর এই সুযোগে টাকার বিনিময়ে দালালেরা সেখানে রক্ত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

    মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, চাহিদার তুলনায় রক্তের জোগান কম। এই পরিস্থিতিকে কখনও কখনও দালালেরা কাজে লাগায়। তবে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাই। বিনা পয়সায় মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করা হয়। রক্তের জন্য কোনও অর্থ দিতে হয় না, এ কথা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় লেখা রয়েছে। কোনও পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো না থাকলে আমরা রোগীদের বিষয়টা জানিয়ে দিই। সকলেই রক্তদানে এগিয়ে আসুন। সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে যাবেন না। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকলে দাতা এনে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share