Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: অফিসের চাপ! মুর্শিদাবাদে আত্মহত্যার চেষ্টা সিভিক ভলান্টিয়ারের

    Murshidabad: অফিসের চাপ! মুর্শিদাবাদে আত্মহত্যার চেষ্টা সিভিক ভলান্টিয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরির চেষ্টা করেও মেলেনি চাকরি। পরে, সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পান মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের ইস্তাক আহমেদ রেজা ওরফে পলাশ। কাজ পেয়ে এতদিন ঠিকঠাক ডিউটি করছিলেন। যা বেতন পেতেন ঘরের খেয়ে চলে যেত। আচমকাই তাঁকে বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে ডিউটি দেওয়া হয়। আর তাতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। কারণ, সিভিকদের যা বেতন দেওয়া হয় তাতে বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়া সম্ভব নয় বলে সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের লোকজনেক দাবি। গ্রাস করেছিল মানসিক অবসাদ। বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।

    সিভিক ভলান্টিয়ারের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার ইস্তাক আহমেদ রেজা ওরফে পলাশ বহুদিন ধরেই নিজের এলাকা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলে সিভিক হিসেব কাজ করছিলেন। স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। মাসিক বেতন ৯ হাজার টাকা। গত ১০ নভেম্বর থেকে বহরমপুরে ডিউটি করতে হবে তাঁকে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বক্তব্য, ওই বেতনে প্রতিদিন গাড়ি ভাড়া দিয়ে ডোমকল থেকে বহরমপুর গিয়ে ডিউটি করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। আর আমি যা বেতন পাই, তাতে ঘর ভা়ড়া করে পরিবার নিয়ে থেকে খরচ চালানোর অবস্থা নেই। আমার সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরে আমি বাড়ির কাছাকাছি ডিউটি করতে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তাঁদের অনুরোধ করেছিলাম। সেকথা বারবার বলা সত্ত্বেও কেউ পাত্তা দেয়নি। আসলে আমি ভাল বেতন পেলে যে কোনও প্রান্তে যেতে পারি। কিন্তু, যা বেতন দেয় তাতে বদলি করার কোনও মানে হয় না। তাই, আমি বহরমপুরে ডিউটি করতে যাইনি। না যাওয়ায় আমাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে খাতায়। মঙ্গলবার ডোমকল থানায় ফের ডিউটি পরিবর্তন করার আর্জি জানাতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়।  তাতে মানসিকভাবে আমি ভেঙে পড়ি। জানা গিয়েছে, এরপরই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি  সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজয়া সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: বিজয়া সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতির বিজয়া সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন একাধিক দলের বিধায়ক। অসুস্থতার কথা বলে অনুপস্থিত ছিলেন জেলার সাংসদ। অবশ্য জেলার তৃণমূলের একাংশের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য এই অনুপস্থিতি এক প্রকার অজুহাত ছিল। তবে এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বলেন, “ওঁকে জেলা সভাপতি বলে মনেই করিনা।” এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদে ফের একবার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো।

    প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Murshidabad)

    তৃণমূল দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দলের প্রত্যেক ব্লক স্তর পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিজায় সম্মেলন করতে হবে। বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, টাউন সভাপতি, ওয়ার্ডের সভাপতি এবং অঞ্চলের নেতাদের এই বিজায়র সম্মলনে যোগদান করতে হবে। এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ২৭ টি বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান হয়। গতকাল শনিবার ছিল বহরমপুরে বিজায় সম্মেলন কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল জেলা সভাপতি শাওনি রায়, রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিজয়া সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না নওদার (Murshidabad) বিধায়ক শাহিনা মমতাজ এবং ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফলে জেলায় ফের একবার হুমায়ুন কবীর বনাম শাওনি রায়ের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।

    কী বললেন হুমায়ুন?

    বিজায় সম্মলনে উপস্থিত না থাকার কারণ হিসাবে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন, জেলার (Murshidabad) সভাপতি শাওনি রায়ের বিরুদ্ধে বলেন, “জেলা সভাপতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম ভালো নয়। তাই আমি যাইনি। জেলা সভাপতিকে পরিবর্তন করার বিষয়ে দলকে জানিয়েছি। দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। তবে ওঁকে আমি জেলার সভাপতি বলে মানেই করিনা”

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    অপর দিকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা সভাপতি দলের কোন্দলকে অস্বীকার করে শাওনি রায় বলেন, “গত নির্বাচনগুলি আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করছি। দলের সাফল্যের মূলে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বেশ ভালো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কালীপুজোর দু’দিন আগেই শিবের মাথা ভেঙে পালালো দুষ্কৃতীরা, তদন্তে পুলিশ

    Murshidabad: কালীপুজোর দু’দিন আগেই শিবের মাথা ভেঙে পালালো দুষ্কৃতীরা, তদন্তে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার শ্রীহট্ট গ্রামে কালী মায়ের নিচে থাকা শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতীরা! কালীপুজোর মাত্র দুই দিন আগেই এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদে এই ভাবে শিব ঠাকুরের মাথা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় কালীভক্ত হিন্দু সমাজের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য গত দুই বছর আগে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকায় হিন্দু ধর্মের দুর্গা প্রতিমার ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনায় সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকেই হিন্দু মূর্তি ও মন্দির ভাঙার খবর আসে সবথেকে বেশি। ফলে মুর্শিদাবাদে কি বাংলাদেশের ছায়া? এই প্রশ্ন করছেন এলাকারই লোকজন।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা

    ঠিক কালীপুজোর দুই দিন আগেই শ্রীহট্ট গ্রামের (Murshidabad) বুধবার রাত্রে দুইজন দুষ্কৃতী এসে শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালালো। ঘটনার দৃশ্য স্পষ্ট দেখে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দিরের এসে দেখে যে শিবের মাথা নেই। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় গ্রামের সমস্ত লোকজনদের। গ্রামের সবাই ছুটে আসেন, এসে তাঁরা লক্ষ করেন মন্দিরের সামনে যেখানে কালীমূর্তি তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকে শিবের মাথার অস্তিত্ব নেই। তবে কে বা কারা করেছে তাদের নাম এখনও স্পষ্ট  হয়নি। 

    তদন্তে পুলিশে

    এরপর মূর্তি ভাঙার খবর দেওয়া হয় বড়ঞা (Murshidabad) থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে এবং এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীহট্ট গ্রামের মন্দিরের পাশে কালীমূর্তি থেকে শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালানোর ঘটনায় এলাকার মানুষ স্তম্ভিত। এলাকার (Murshidabad) বাসিন্দা অসীম কর্মকার বলেন, “এই পুজো আমরা বাপ ঠাকুরদার আগের থেকে হচ্ছে কিন্তু কোনও দিন এইরকম ঘটনা আমাদের গ্রামে ঘটেনি। আমরা শুনেছি বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটে। আমরা চাই এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: লোহাদহ থেকে আসত ক্ষীর, ছানা, দুধ! বলি হত ১০৮টি! কেমন ছিল ঘোষালবাড়ির পুজো?

    Kali Puja 2023: লোহাদহ থেকে আসত ক্ষীর, ছানা, দুধ! বলি হত ১০৮টি! কেমন ছিল ঘোষালবাড়ির পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়ের ছাউনি, মাটির দেওয়াল। একচালা মন্দিরের মধ্যে অষ্টধাতুর কালী বিগ্রহ। মন্দিরে নিত্যপুজো হত। কার্তিক মাসে কৃষ্ণপক্ষে বিশেষ দিনে ধুমধাম করে কালীপুজো হত। গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা সেই পুজোয় সামিল হতেন। তখন মুঘল যুগ। আর গৌড়ের শাসক সুলায়মান খান কররানি। তাঁর আমলে সেনাপতি ছিলেন কালাপাহাড়। সুবে বাংলা, ওড়িশা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালাপাহাড়। জগন্নাথ মন্দিরে হামলা চালিয়ে লুটতরাজ চালায় কালাপাহাড়। বাংলার একাধিক মন্দিরে হানা দেয় কালাপাহাড়ের দলবল। চলে লুটপাট। অত্যাচার থেকে মন্দির রক্ষা করতে মুর্শিদাবাদের বাজারসৌ ঘোষালবাড়ির অষ্টধাতুর বিগ্রহ মাটির তলায় রেখে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ঘোষালবাড়ির কালী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ। কালের নিয়মে ঘোষালবাড়ি এখন ঘোষালপাড়়ায় পরিণত হয়েছে। পুরানো ঐতিহ্য মেনেই কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের বিশেষ দিনে জাঁকজমকভাবে পুজো (Kali Puja 2023) হয়ে আসছে।

    কালীপুজোর ইতিহাস

    পুজোর ইতিহাস জানার আগে জানতে হবে ঘোষালদের আদি বাসস্থান। পরিবারের প্রবীণ সদস্য প্রয়াত চণ্ডীদাস ঘোষাল, সুর্নিমল ঘোষালের কাছে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বাজারসৌ ঘোষালদের আদি ভিটে ছিল দক্ষিণেশ্বরের পাশে আড়িয়াদহে। সেখান থেকে আট পুরুষ আগে রাম যাদব ঘোষাল বাজারসৌ আসেন। কান্দীর জেমোর জমিদারের অধীনে ছিল এই এলাকা। ওই জমিদারদের আমলেই মোড়পতলার দুর্গামন্দির, দুটি শিব মন্দির, বর্তমান ঘোষালপাড়ার পাশে শিবপুকুর পাড়ে তিনটি শিব মন্দির নির্মিত হয়েছিল। আর মন্দিরের সেবাইত ছিলেন রামযাদব। শিবপুকুরের পাড়ে শিব মন্দিরের আশপাশে ছিল বসতভিটে। বসতভিটের কাছেই একচালার মন্দির তৈরি করে শুরু হয়েছিল কালীপুজো (Kali Puja 2023)। তবে, নির্দিষ্ট সময়কালের নথি আর নেই। ফলে, শিবমন্দিরের পাশাপাশি কালী মন্দিরে নিত্যপুজো হত। সেই সময় ঘোষালদের সঙ্গে বন্দ্যোপাধ্যায়, ভট্টাচার্য, আচার্য্যরা সামিল হতেন। সেই সময় এই পুজোকে ঘিরে গোটা গ্রামের মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

    ১০০ বছর আগে কেমন ছিল পুজো?

    কালীপুজোর অনেক আগে থেকে চলত প্রস্তুতি। এখন ঘোষালপাড়ায় করুণাসিন্ধু, দ্বিজত্তোম, দিলীপ, ভাগবত, মধুসূদন, তপন, স্বপন, উত্তম, জয়ন্ত, আশিস, সঞ্জয়, সমর ঘোষালের মতো প্রবীণ সদস্যরা রয়েছেন। মায়ের প্রতিমা থেকে সাজ, ঢাক-ঢোল সব কিছুই নির্দিষ্ট পরিবার থেকে প্রতি বছর আসত। ঘোষাল পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা বলেন, সালারের কাছে হলদে থেকে নাটাকুরু আসতেন ঢোল, বাঁশি বাজাতে। বাজারসৌ দাসপাড়া থেকে ঢাক আসত। সুকুলি দাস, কুশো দাসরা বাজাতে আসতেন। লোহাদহ থেকে ক্ষীর, ছানা, দুধ আসত। বিনিময়ে জমি দেওয়া ছিল। আর ভরতপুর থকে মালাকার পরিবারের সদস্যরা মাকে ডাকের সাজ পরাতেন। আমাদের পুজো শুরু হওয়ার পর তালডাঙা মায়ের পুজো শুরু হত। ১০৮টি বলি হত। মেষ, মোষ বলি হত। বিশালকার তশলা ছিল। বাপ ঠাকুরদার সময় থেকেই এই নিয়ম চলে আসে। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা মায়ের পুজোর (Kali Puja 2023) পৌরোহিত্য করতেন। আদি বড়মায়ের নতুন মন্দির তৈরিতে সহদেব ঘোষালের অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। সেই নতুন মন্দির এখনও বর্তমান রয়েছে।

    কবে থেকে শুরু হল নতুন কালীপুজো?

    সালটা ১৯৬৬। পরিবারের এখন যারা প্রবীণ সদস্য, তাঁরা তখন ছোট। পুজো সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিরোধের জেরে পুজো (Kali Puja 2023) ভাগ হয়ে যায়। শিবনারায়ণ ঘোষালের ফাঁকা জমিতে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। গৌরী-কান্তি-অনিল তিন ভাই মিলে নতুন করে কালীপুজো শুরু করেন।২০১১ সালে নতুন করে মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়। মন্দির তৈরিতে সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণাসিন্ধু, উদয়, দ্বিজত্তোম, দিলীপ, প্রয়াত চণ্ডী ঘোষাল, সুভাষ ঘোষাল, সুর্নিমল ঘোষালদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। পরিবারের আত্মীয়রা নতুন মন্দির তৈরিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। নতুন মন্দিরে সেই ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়ে আসছে। পুজোর দিন পরিবারের অধিকাংশ সদস্যও সারাদিন উপোস করে থাকেন। বিকেলের পর থেকে রাত পর্যন্ত চলে ভোগ রান্না। দুটি কালী মন্দিরে এখনও বলিপ্রথা অব্যাহত। তবে, মোষ বলি বহু বছর আগেই উঠে গিয়েছে। এখন শুধু ঘোষাল পরিবারের সদস্যরা ছাগ বলি দেন।

    বর্তমানে কেমন হয় কালীপুজো?

    ঘোষালবাড়ির বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগই কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন। পুজোর কদিন সকলেরই বাড়ি ফিরে আসেন। পরিবারের আত্মীয়স্বজনরাও সকলেই পুজোর কদিন চলে আসেন। আগের দিন থেকেই ঘোষালপাড়াকে আলোয় সাজানো হয়। প্রতিটি বাড়িতে জ্বলে ওঠে টুনি। আগে ছাদের উপর বাঁশ বেঁধে নাইট ল্যাম্প লাগিয়ে রঙিন কাগজ দিয়ে ঘেরা দেওয়া হত। সমগ্র এই উদ্যোগটাকে বলা হত ফনাস। সেই সময় ঘোষালপাড়া জুড়ে ফনাস টাঙানোর রেওয়াজ ছিল। সুতলির দড়িতে রঙিন কাগজ লাগিয়ে গোটা রাস্তা সাজিয়ে তোলা হত। এখন সেই রীতি উঠে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কালীপুজোর আগেরদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। এছাড়া অর্কেষ্টা, বাউল গান, সাঁওতালি নাচ, ম্যাজিক শো হত। করোনার পর এখন আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় না। তবে, পুজোর আগের দিন মণ্ডপে বসে সান্ধ্যকালীন আড্ডা কার্যত মিলন উত্সবে পরিণত হয়। পুজোর আগের দিন ঢাক-ঢোলের আওয়াজে মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। পুজোর দিন সন্ধ্যায় গোটা ঘোষালবাড়ির ছাদ মোমবাতি জ্বালিয়ে সাজানো হয়। দুই কালী মন্দিরের সামনে ঢাক-ঢোল, সাউন্ড বক্সের আওয়াজে আর ছাদে থরে থরে সাজানো মোমবাতির আলোর রোশনাইয়ে গোটা ঘোষালপাড়া গমগম করে। পরিবারের নবীন সদস্যরা বলেন, পুজোর সময় সারারাত ধরে চেয়ারে বসে পুজো দেখা, ভোরের দিকে মন্দিরে বসে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আলাদা উন্মাদনা। পুজোর (Kali Puja 2023) পরদিন প্রত্যেকের বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়া হয়। পুজোর কদিন কার্যত ঘোষালপাড়া আদতে একটি বৃহত্ ঘোষালবাড়ির আকার নেয়। গোটা পাড়া হয়ে ওঠে একটি পরিবার। আলোর উত্সবে আদিশক্তির আরাধনায় মেতে ওঠে সকলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছল এনআইএ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছাল এনআইএ। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন সদস্যের দল এদিন রামেশ্বরপুরে গিয়ে দুই জনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও বোমা বিস্ফোরণে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। রাজ্যে শাসক-বিরোধী দলের সংঘর্ষে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছিল এই জেলায়। এবার ২০২২ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করতে এলে তীব্র শোরগোল পড়ে জেলায়।

    তল্লাশি চালনো হয় দুই ব্যক্তির বাড়িতে (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের এদিন রামেশ্বরপুরে দুই ব্যক্তির বাড়িতে তাল্লাশি করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এলাকার মনসুর শেখ, তাহাবুল শেখের বাড়িতে অনেক সময় ধরে তল্লাশি করে এনআইএ। তবে তদন্তের বিষয়ে বাড়ির লোকেরা কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ২০২২ সালে ১৭ জানুয়ারিতে বেলডাঙার রামেশ্বরপুরে (Murshidabad) একটি বাগানবাড়িতে চলছিল বোমা তৈরির কাজ। কিন্তু সেই দিন রাতে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। এরপর পুলিশ তাল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থলে ৭৪ টি সকেট বোমা উদ্ধার করে। জেলা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও তথ্য। প্রায় পাঁচ মাস পরে ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চাল্যকর তথ্য। এই ঘটনার তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আট মাস পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এনএইএ তদন্তভার নিয়ে ফের তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও ঘটেছিল বিস্ফোরণ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ১০ অক্টোবর ২০২২ সালে বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ছাদি শেখ। এদিন তাঁর বাড়িতেও যায় তদন্তকারী দল। এছাড়াও এই বছরেই ১৬ সেপ্টেম্বর ঘটা বেলডাঙা বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ এবার ইউপিএ ধারা যুক্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী তদন্তে জানা গিয়েছে পাইপ বোমা জাতীয় বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল এই বিস্ফোরণে। এই ঘটনায় মোট ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ছিল। ধৃতরা আদালতে জামিনের আবেদন জানালেও বর্তমানে প্রত্যেকের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে জমি। ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। প্রাণ হাতে করে গ্রাম ছাড়ছেন লোকজন। এরকম একটা অবস্থায় কী করছে প্রশাসন? তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গত সপ্তাহ থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ২২টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে সংখ্যাটি অনেক বেশি। ভাঙন রুখতে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। ২০-২৫ নৌকা ভর্তি বালির বস্তা দিলে কিছুটা কাজ হত। সেখানে দুনৌকা বালির বস্তা নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ফলে, এলাকাবাসী নৌকা ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। পরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখানে বালির বস্তা দিচ্ছে। আমাদের তো মনে হচ্ছে এতে আরও সমস্যা বাড়ছে। আমাদের মা-বোনরা সবাই বারান্দায় ঘুমচ্ছে। খেয়াল রাখছে এই বুঝি হয়ত বাড়ি ভেঙে পড়ে গেল নদীর জলে। বালির বস্তার জায়গায় যদি পাথর ফেলা হতো তাহলে হয়ত ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হত। বারংবার এই দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি।

    পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধ্যক্ষ কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মইমুর শেখ বলেন, পাথর ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার মতো অর্থ আমাদের নেই। ফলে, তা আমরা করতে পারব না। বালির বস্তা দিয়ে আমরা যতটা পারছি ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। গত সপ্তাহে দুনৌকা বালি দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। এখন পর্যাপ্ত বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন মোকাবিলা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিয়ার লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়ার খবর প্রায় খবরের কাগজে, টিভিতে দেখতে পাওয়া যায়। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে প্রতিদিন লটারির টিকিট কাটেন, এরকম মানুষ এই বাংলায় প্রচুর রয়েছেন। লটারির টিকিট কেটে নিঃস্ব হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার উদাহরণও রয়েছে। এই ডিয়ার লটারির নাম ব্যবহার করে বড়সড় জালিয়াতির হদিশ মিলল মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার থেকে জাল লটারি কারখানায় হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার এলাকায় গোডাউন ভাড়া করে জাল লটারির কারবার চালু করা হয়েছিল। গোডাউনের ভিতরে কারখানা তৈরি করে রমরমিয়ে চলত এই কারবার। রবিবার রাতে সেই কারখানায় পুলিশ হানা দেয়। যদিও পুলিশ অভিযান চালানোর সময় সেখানে কেউ ছিল না। কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় নাগাল্যান্ড কোম্পানির জাল লটারির টিকিট, কয়েক বস্তা জাল লটারি টিকিট। টিকিটে ডিয়ার লটারির কথা উল্লেখ ছিল। এছাড়া জেরক্স মেশিন, লটারির টিকিট তৈরির যন্ত্রাংশ, ইনভার্টার, কাগজ কাটার যন্ত্র, প্রচুর পরিমাণে লটারির টিকিট ছাপানো কাগজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। এই টিকিট খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা তোলা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের মালিকের বিরুদ্ধে সবার আগে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাকে গ্রেফতার করলেই সব কিছু জানা যাবে। গোডাউনের ভিতরে এত বড় বেআইনি কাজকর্মের পিছনে মালিকের মদত রয়েছে।

    বাড়ির মালিকের কী বক্তব্য?

    বাড়ির মালিক বলেন, মাস তিনেক আগে সঞ্জয়কুমার সাউ নামে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তি জেরক্সের কাজ করবেন বলে গোডাউন ভাড়া নেন। সেখানে তাঁরা কী করতেন, তা আমি জানি না। পুলিশের অভিযানের পরই বিষয়টি জানতে পারলাম। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তবে, ঝাড়খণ্ডের একজন অপরিচিতকে কেন ঘর ভাড়া দিতে গেলেন, সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বড় মাপের লটারির টিকিট বিক্রেতা এই ভুয়ো টিকিট ছাপিয়ে বহু টাকা বাজার থেকে তুলে নিচ্ছেন। আর এই জাল টিকিট কেটে কেউ কোনও পুরস্কারও পেত না। পুরো জালিয়াতি করে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সহ আশপাশের জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দশমীর রাতেই দলীয় কাউন্সিলারের বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Murshidabad: দশমীর রাতেই দলীয় কাউন্সিলারের বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। তবে, দশমীর মাঝরাতে এভাবে প্রকাশ্যেই তৃণমূলের কাউন্সিলারের বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গুরুপদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    বুধবার মাঝরাতে ঠিক যখন ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন, সেই সময় আচমকা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গুরুপদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। কাউন্সিলারের বাড়িতে এই হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অপর এক ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামীই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামনে এল সেই শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল। দুই পক্ষের অনুগামীদের হাতাহাতি এতটাই চরমে পৌঁছায় যে পুলিশকে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মাঝরাতে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর তাণ্ডব দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পাড়ার লোকজন।

    কেন হামলা?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সুকন্যা দত্ত ঘোষের স্বামী সুপ্রিয় ঘোষের নেতৃত্বে গুরুপ্রসাদের বাড়িতে এই হামলা চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত এলাকা দখল নিয়েই এই লড়াই বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, নির্দল থেকে জয়ী হয়ে কাউন্সিলার হয়েছিলেন গুরুপ্রসাদবাবু। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর থেকেই বিবাদ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই বিবাদ পুজোর মধ্যে আরও তীব্র হয়। তবে, ঠিক কী বিষয় নিয়ে এই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছায় তা জানা যায়নি। সুপ্রিয় ঘোষের লোকজন এসে মাঝরাতে এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দলের মধ্যে গন্ডগোল থাকতে পারে। তাই বলে এভাবে মাঝরাতে বাড়িতে এসে হামলা চালানোর ঘটনা ঠিক নয়। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: পুজোর মধ্যেই নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, পুলিশ কী করছে?

    Murshidabad: পুজোর মধ্যেই নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোধনের রাতেই বিষাদের সুর। গ্রাপ পঞ্চায়েতের এক নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দির নতুনগ্রাম এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পাওয়ার হোসেন(৩৫)। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাওয়ারের স্ত্রী নার্সিদা খাতুন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দির নতুনগ্রামে নির্দল হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে জিততে পারেননি। শুক্রবার রাতে নার্সিদার স্বামী পাওয়ারসাহেব পাড়ার একটি মাচায় বসেছিলেন। সেই সময়েই একদল দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায় পাওয়ারের উপরে। পঞ্চায়েত প্রার্থীর স্বামীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। হামলার পরই গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে। কান্দি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। যদিও কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই পরিবার কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। অতীতে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। এরপর এবারের পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

    নির্দল প্রার্থীর কী বক্তব্য?

    নির্দল প্রার্থী নার্সিদা খাতুন বলেন, সন্ধে সাতটার সময়েও আমার সঙ্গে স্বামীর ফোনে কথা হয়েছে। মাচায় বসে মিটিং করছিল। আধ ঘণ্টা পর ও ফোন করার কথা বলেছিল। তারপর আর ফোন এল না। পরে, প্রতিবেশীর কাছে ওকে খুন করার বিষয়টি জানতে পারলাম। কিন্তু, ওর সেরকম শত্রু ছিল না। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লালবাগ ধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন শাস্তির নির্দেশ, পুজোর মুখে খুশি নির্যাতিতা

    Murshidabad: লালবাগ ধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন শাস্তির নির্দেশ, পুজোর মুখে খুশি নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দুই বছর ধরে মামলা চলছিল। অবশেষে চার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করলেন আদালত। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) গণধর্ষণ মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গত দুই বছর আগেও এমন সময় ছিল পুজোর সময়, দুষ্কৃতীরা দাঁতের আচর দিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে কার্যত জীবনকে অন্ধকারের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। এই অত্যাচারে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু এতো কিছুর পরেও নির্যাতিতা কোন ভাবেই হার মানেন নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিন লালাবাগ মহকুমা আদালতে বিচারেকের শুনানিতে এই শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ২ বছর আগে ঘটেছিল ধর্ষণের ঘটনা (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের দুর্গা পুজোর আগে লালবাগ (Murshidabad) এলাকায় একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। নির্যাতনের কথা সামজিক মাধ্যমে তুলে ধরে ভাইরাল করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল এই দুষ্কৃতীরা।কিন্তু ঘটনার পরে ভয় পাননি নির্যাতিতা নারী। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর পুলিশ ৪ জন প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকে মামলা চলে কোর্টে। দীর্ঘদিন কোর্টে মামলার শুনানিও চলছিল। ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে মোট ১২ জন সাক্ষী প্রদান করেন। অবশেষে মহকুমা আদালতের বিচারক, দোষীদের ২ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং যাব্বজীবন শাস্তির রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে নির্যাতিতাকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    এই মামলার আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল বৃহস্পতিবার দোষীদের আদলাত (Murshidabad) শাস্তি ঘোষণা করেছেন। তবে দোষীদের ১৪ বছর সাজা হয়নি। আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দোষীরা যতদিন বেঁচে থাকবেন, ঠিক ততদিনই জেলে থাকবেন। দোষীদের যে টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে, সেই টাকা নির্যাতিতাকে প্রদান করার স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share