Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আগেই খোলা হল বহরমপুর বাইপাস

    Murshidabad: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আগেই খোলা হল বহরমপুর বাইপাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির উদ্যোগে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে সারাদেশে। পুজোর আগেই এই রাজ্যের কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়ির অন্যতম প্রধান জাতীয় সড়ক ৩৪ নম্বর সম্প্রসারণের কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রীকে আবেদন করেছিলেন। আর তার ফলে মহালয়ার দিনে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে শহরের যানজট কমাতে বাইপাস খুলে দেওয়া হল। রাস্তা সম্পূর্ণ না হলেও একটা অংশ খুলে উদ্বোধন করলেন এলাকার সাংসদ। পুজোর আগে বহরমপুরবাসীর কাছে এক আনন্দের খবর। এলাকাবাসী বলছেন, যানজটের কবল থেকে শহরের মানুষ অনেকটাই মুক্তি পাবে।

    খোলা হল বহরমপুর বাইপাস (Murshidabad)

    উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সংযোগকারী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর শহরের মধ্যপথ দিয়ে গিয়েছে। শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। তাই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ এবং পুনঃনির্মানের মধ্যে দিয়ে বহরমপুর শহরের বাইরে দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তা করা হয়। যদিও, এখনও জাতীয় সড়কের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু এই উৎসবের মরশুমে শহরবাসী তথা সারা বাংলার সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এবং অধীর চৌধুরীর অনুরোধে জাতীয় সড়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পুজোর কিছুদিন সাময়িক ভাবে বাইপাস খোলা হল। রাস্তা চালু হওয়ায় উপকৃত হলেন অগণিত মানুষ।

    বাইপাসের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক

    কেন্দ্রীয় সরকার ১৪ বছর আগে বহরমপুর বাইপাস রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু জমিজট এবং নানা জটিলতা মিটিয়ে শেষ হওয়ার পথে। বাইপাস সড়কটি সারগাছি থেকে বহরমপুরের দিকে এসে, বলরামপুর থেকে মানকরা হয়ে ভাগীরথীর উপর দিয়ে বাসুদেবখালি হয়ে খাগড়াঘাট স্টেশনের পশ্চিম দিক দিয়ে ফতেপুরের কাজ পর্যন্ত, প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য ২০০৯ সালে বাইপাস রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ত দপ্তর। এই দপ্তরের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী বহরমপুর বাইপাসের কাজ শুরু হওয়ার বরাত দেন।

    সাংসদের বক্তব্য

    সাংসদ (Murshidabad) অধীর চৌধুরী নিজেই, ওই রাস্তায় নিজের সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেল চালালেন এবং সেই সঙ্গে বাইকে হাত ছেড়ে সোজা হয়ে একপ্রকার চমক দেখালেন। আজ বলেন তিনি, “পুজোর আগে বহরমপুরকে যানজট মুক্ত করা আমার লক্ষ্য, সেজন্য আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিনজির কাছে গিয়েছিলাম এবং সরকারি আধিকারিক, ঠিকাদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে, আজ মহালয়ার দিনে খুলে দেওয়া হল নতুন বাইপাস ও দ্বিতীয় সেতু।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েতে অফিসের মধ্যে দুর্নীতি-স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে ঘেরাও করে, বিক্ষোভ করল বিজেপি জয়ী সদস্যরা। প্রথমে বিজেপির জয়ী সদস্যরা, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানান। এরপর ক্রমেই বচসার জেরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে এই নিয়ে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় সাহোড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানকে কার্যত পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ১০ টি গ্ৰামের জয়ী বিরোধী সদস্যরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছে বড়ঞা থানার পুলিশকে।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপি জয়ী পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অমর দেবংশী বলেন, “আমাদের প্রধান অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত প্রধান, বিরোধী দলের সদস্যদের মতামতের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করেই বিলি করছে ত্রিপল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সাহোড়া (Murshidabad) গ্ৰাম পঞ্চায়েতে নবনিযুক্ত প্রধান, নিজের মতো করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্যকারীদের তালিকা তৈরি করছেন। ফলে সেগুলি শুধুমাত্র তৃণমূলেরাই পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সরকারি সাহায্যে থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কথায় কাজ না হলে, আজ সন্ধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রায় ৯ জন বিজেপি সদস্যরা একত্রিত হয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।

    তৃণমূল প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান গোষ্ঠ গোপাল ঘোষ বলেন, বিরোধী দলের জয়ী সদস্যদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সরকারি সুবিধা পায়, সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সদস্যরা তা করতে দিচ্ছেন না।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় পুলিশ

    শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এতটাই চাঞ্চল সৃষ্টি হয় যে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বড়ঞা থানার (Murshidabad) পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘক্ষণ কার্যত প্রধানকে পঞ্চায়েত দফতরে নিরাপত্তা দিয়ে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির,  কী করছে পুলিশ?

    Bomb Blast: মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ফের বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় আরও একজন জখন হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হরিহরপাড়া থানার খলিলাবাদ মাঠে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাজিজুল শেখ (৪২)। জখম ব্যক্তির নাম লালন মণ্ডল। তাদের বাড়ি হরিহরপাড়া থানার লোচনমাটি গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিহরপাড়া থানার খলিলাবাদ মাঠে কলার বাগানে সাজিজুল, মিলে বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন। সেখানে আর কে কে ছিল তা জানা যায়নি। আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তাতে সাজিজুল সহ দুজন গুরুতর জখম হন। সাজিজুল সহ দুজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিছুটা দূরে গিয়ে তার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাজিজুলের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এই জেলায় একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। রেজিনগরেও একই ঘটনা ঘটে। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়। বোমা বাঁধার ঘটনার পাশাপাশি বল ভেবে বোমা ফেটে সূতিতে এক কিশোর জখম হন। ভরতপুরেও এক কিশোর বোমা ফেটে জখন হন। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরও রমরমিয়ে বোমা তৈরির কারবার চলছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কারা বোমা বাঁধার কাজ করছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠের কলাবাগানে বোমা তৈরির কাজ করছিল। ফলে, তাদের বাইরে থেকে কেউ দেখতে পায়নি। আচমকা  বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। এরপরই মাঠের মধ্যে গিয়ে দেখি, দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একজনের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, বোমা বিস্ফোরণ কেন ঘটল তা পুলিশ প্রশাসনের দেখা দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। তবে, কারা এই ধরনের অসামাজিক কাজ করছিলেন তা খতিয়ে দেখছি। এই এলাকায় এসব চলতে পারে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পায়ের তলায় জল। স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হাতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। এমনই চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের নয়নশুক পঞ্চায়েতের দীপচন্দ্রপুর হাজারপুর জুনিয়র হাইস্কুলে। রাজ্যে ‘কন্যা’দের পড়াশোনার অগ্রগতির জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই পড়ুয়াদের স্কুলের বেহাল রাস্তা ও নিকাশি সংস্কারের দাবিতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ এলাকার মানুষ কখনও দেখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেয় পড়ুয়ারা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অতিবৃষ্টির পর থেকে রাজ্যের একাধিক স্কুলের ভেতর জলা জমার চিত্র উঠে এসেছে। অনেক জায়গায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের বেহাল দশার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও। এই স্কুলের ভিতরে হাঁটু সমান জমা জল। সেই জমা জল দিয়েই স্কুলে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে ছাত্র- ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকেই।  প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। আর ঠিক তারই প্রতিবাদে হাতে ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের। সঙ্গে জমা জলে ছোট নৌকা চালিয়ে মাছ ধরে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখাল স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

    স্থানীয় অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অভিযোগ, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে স্কুলের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক জল জমে রয়েছে। ফলে ওই জল পেরিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ওই জল পেরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই, রাস্তা নেমে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় ছিল না। আর পড়ুয়াদের সমস্যা বলে তাঁরা নিজেরা পোস্টার নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়।

     বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কী বলেন?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের এরকম বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকারাও। তাঁদের বক্তব্য, এরকম জল জমলে তো আমাদের আসা যাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। এমনিতেই জেলায় ডেঙ্গি বাড়ছে। স্কুলের ভিতরে এবং রাস্তায় জমা জল থাকলে ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি অবিলম্বে দেখা দরকার। কিন্তু, সব জায়গায় জানিয়েও আমরা লাভ পায়নি। তাই, এইভাবে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরুণময় দাস বলেন, বৃষ্টির কারণেই এই জল জমার সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখানে নিকাশি ব্যবস্থার কিছু সমস্যা আছে। সেই কারণেই জল জমে থাকছে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করলে অনেকটা সমস্যা মিটবে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রধানের কাছে ত্রিপল চেয়ে তৃণমূল কর্মীর জুটল মার, শাসক দলের কীর্তি দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী

    Murshidabad: প্রধানের কাছে ত্রিপল চেয়ে তৃণমূল কর্মীর জুটল মার, শাসক দলের কীর্তি দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রধানের কাছে ত্রিপল চাইতে গিয়ে এরকম ভয়ানক পরিণতি হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকে গোবর্ধনডাঙা এলাকার বাসিন্দা শিলু মণ্ডল। যারা ভোট দিয়ে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এনেছিলেন, সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দলের পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে এভাবে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটবে তা এলাকার মানুষও ভাবেননি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোবর্ধনডাঙা অঞ্চলের কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শিলু মণ্ডলকে বিষয়টি জানান। তিনি প্রধানকে ফোন করে ত্রিপলের জন্য আবেদন জানান। প্রধানের স্বামী স্বপন হাঁসদা ফোন তুলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। এরপরই প্রধান ও তাঁর স্বামী দলবল এনে ওই তৃণমূল কর্মীকে পাড়ার সকলের সামনে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর স্ত্রী মমতা মণ্ডল স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক পেটানো হয়।

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী শিলু মণ্ডল বলেন, সামান্য ত্রিপলের জন্য এভাবে প্রধান দলবল নিয়ে এসে হামলা চালাবে তা ভাবতে পারিনি। এলাকার মানুষের জন্য আমি কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ। যাদের ভোট পেয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করল তারা এভাবে হামলা চালাল। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।

    অভিযুক্ত প্রধানের কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত প্রধান পার্বতী হাঁসদা বলেন, আমি টোটো করে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তা আটকে আমাকে ওরা ত্রিপল চাওয়ার কথা বলে। আমি পঞ্চায়েতে আবেদন জানাতে বলি। কিন্তু, ওরা তা না শুনে আমার উপর চড়াও হয়। আমার স্বামী বাধা দিতে গেলে তাঁকে ওরা মা়রধর করে। আসলে ওরা মদের ঠেক চালায়। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ওরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train accident: রেলে কাটা পড়ে দুই খণ্ড দেহ, তবুও কথা বলছেন! তীব্র চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে

    Train accident: রেলে কাটা পড়ে দুই খণ্ড দেহ, তবুও কথা বলছেন! তীব্র চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের কাটা পড়ার কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার ট্রেনে কাটা (Train accident) পড়ার পরও অদ্ভূত ঘটনা ঘটল। শুনেই অবাক কাণ্ড! ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ে শরীর দুই টুকরো হয়ে গেছে। এই অবস্থায়ও দুর্ঘটনায়গ্রস্ত ব্যক্তি দিব্যি কথা বলেছেন। এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে এসে ভিড় জমান, এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এই রেলে কাটার পরও বেঁচে থাকার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে।

    ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানার বাসুদেবপুর স্টেশনে। তবে ব্যক্তির পরিচয় কী তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আশ্চর্য ব্যাপার যে রেলে কাটা পড়ার পরেও সেই ব্যক্তি বেঁচে রয়েছেন। খবর পেয়ে ওই স্থানে দ্রুত পুলিশ পৌঁছায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

    কীভবে ঘটল ঘটনা (Train accident)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে চাপতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান রেলের লাইনে এক ব্যক্তি। জামালপুর থেকে কাটোয়াগামী ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। এরপর ট্রেনের চাকায় দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল ব্যক্তির দেহ। তাঁর কোমরের উপর দিয়ে চলে যায় রেলের চাকা। লাইনের একপাশে পড়ে যায় দুই পায়ের অংশ এবং অপর দিকে পড়ে যায় কোমরের উপরের অংশ। তবুও ব্যক্তি কথা বলছিলেন!

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি কামাল মণ্ডল বলেন, “ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ পা ফস্কে স্টেশন থেকে লাইনে পড়ে যান। শরীর দুই খণ্ড (Train accident) হয়ে যায়। ট্রেন চলে গেলে, আমরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে, তাঁর কথাও শুনতে পাই। এরপর উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথেম স্থানীয় সামশেরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে  যাওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতির কথা ভেবে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানেই তাঁর বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো, কিন্তু ডেঙ্গির ভয়াবহতা কমছে না। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue Death) নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক দিন এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই। সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভাগুলি কার্যত মুখে কুলুপ দিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ। ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য যেমন নেই, তেমনি রোগ সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। নেই কোনও সামজিক দায়িত্ব। তাই সাধারণ মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছে প্রশাসনের নিরুদ্ধে।

    গত ৫ অক্টোবর নদিয়ায় মাত্র পনেরো বছরের এক কিশোরের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়। বিষয়টি গতকাল প্রকাশ্যে এসেছিল। ইতিমধ্যে আজ মুর্শিদাবাদে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। রাজ্য জুড়ের ডেঙ্গির থাবায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে বার বার উঠছে প্রশ্ন।

    মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গিতে মৃত্যু (Dengue Death)

    মুর্শিদাবাদের সুতি দফাহাট এলাকায় ডেঙ্গিতে (Dengue Death) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ৫০-এর আরতি সাহা নামে এক গৃহবধূর। জানা গেছে, গত ৩ দিন আগে শরীরে অসহ্য ব্যথা ও জ্বর নিয়ে আরতি সাহাকে মহিশাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে পরিবার। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার পর ধরা পড়ে ডেঙ্গি পজেটিভ। কিন্তু রোগীর অবস্থার অবনতি হতেই গতকাল স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর হাসপাতালে। এরপর গভীর রাতে চিকিইসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এখনও শরীরে জ্বর ও ব্যথা নিয়ে মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ফলে পুজোর আগে নতুন ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও হেলদোল নেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের। দেখা মেলেনি প্রশাসনের কোনও জনপ্রতিনিধিদের। তাই এলাকার মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    নদিয়ায় কিশোরের মৃত্যু ডেঙ্গিতে

    সূত্রে জানা গেছে, নদিয়ার গাংনাপুরে পশ্চিম গোপীনগরের বাসিন্দা রনি দেবনাথের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে (Dengue Death)। গত ৩ অক্টোবর তার ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। শরীরে সেই সঙ্গে ছিল প্রচুর জ্বর। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে চাকদা, এরপর বনগাঁ হাসপাতাল এবং শেষে বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্লেটলেট নামতে থাকায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। আর এরপর মৃত্যু হয় তার।

    বেসরকারি সূত্রে খবর

    বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার জন মানুষ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮। অধিকাংশ পুরসভা কোনও রকম হেল্প লাইন প্রকাশ করেনি। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীদের বদলে নতুন কর্মী নিয়োগ করেনি। ফলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে লোকের অভাবে সঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনও সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ভারতীয় জনতা পার্টির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উদ্বোধনের পর তিনি বললেন যে নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে মুর্শিদাবাদ পর্যটক কেন্দ্রের আদর্শ স্থানে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তৃণমূলের দিল্লি যাত্রাকে নিশানা করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন।”

    জেলা কার্যালয় উদ্বোধন (Murshidabad)

    সুকান্ত মজুমদার বহরমপুর (Murshidabad) থেকে লালবাগ রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে, পায়ে হেঁটে লালবাগ সিরাজদৌলা রোড সংলগ্ন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় গিয়ে ফিতে কেটে, প্রদীপ প্রজ্জলন করে জেলার সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন যে আপনারা জানেন বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদ এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র, তাই সাংগঠনিক ভাবে একসাথে ছিল। কিন্তু পরে সাংগঠনিক ভাবে আলাদা জেলার সিদ্ধান্তের কথা আগেই ঘোষণা হয়েছে। জঙ্গিপুর নিয়ে এই জেলায় বিজেপির সংগঠনিক জেলা মোট তিনটি। ফলে বিজেপি আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। 

    মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এই দিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সব জায়গার উন্নতি হচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ একটু কম হচ্ছে। তার কারণ, এখানে স্পিড ব্রেকার মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। এখানে উন্নয়ন করার জন্য জমি পাওয়া যায় না, তার মধ্যেও আমরা নসিপুর ব্রিজ এবং তার প্রস্তাবিত লাইন সেটা সম্পূর্ণ করেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ট্রেন রুট চালু করা হবে। মুর্শিদাবাদ স্টেশন এবং আজিমগঞ্জ স্টেশন এই দুটি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পে স্থান পেয়েছে । এখানে আমাদের সাংসদ নেই কিন্তু কোনরকম বৈমাত্রিক সুলভ আচরণ করিনা, কেন্দ্রীয় সরকার সব জায়গাকে সমান চোখে দেখছেন। আর তার উদাহরণ হচ্ছে এই জেলা। কিছুদিনের মধ্যেই নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে, মুর্শিদাবাদ পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ থেকে (Murshidabad) তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, “একশ দিনের টাকা হোক বা আবাস যোজনার টাকা হোক, যারা চুরি করতো তারাই দিল্লি যাচ্ছে।” তিনি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সাবধান করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন। বাড়িঘর তালা মেরে সাবধানে রাখবেন, না হলে চুরি হয়ে যেতে পারে। ইডি শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন করেনি, লিপস এন্ড বাউন্স কোম্পানিতে যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, সিইও ছিলেন এবং ওনার বাবা-মাকেও সমন করেছে । আপনি চুরি করবেন আর বেঁচে যাবেন, এটা নরেন্দ্র মোদির আমলে হবে না। চুরি করলে অবশ্যই তার শাস্তি ভোগ করতে হবে।”

    কর্ণসুবর্ণতে আমার মাটি আমারদেশ

    সুকান্ত মজুমদার শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণতে (Murshidabad) আমার দেশ আমার মাটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৩ টের সময় বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে বিজেপির জনসভায় যোগদান করেন। এছাড়াও সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ, রাজ্য কমিটির সদস্য দীপঙ্কর চৌধুরী, সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সৌমেন মন্ডল এবং বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক সুব্রত মৈত্র এবং কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন উপস্থিতিতে সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার কার্য্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘৮ ইঞ্চির বদলে রাস্তায় ৪ ইঞ্চির ঢালাই’, পূর্তের কাজ নিয়ে প্রশ্ন খোদ তৃণমূল বিধায়কের

    Murshidabad: ‘৮ ইঞ্চির বদলে রাস্তায় ৪ ইঞ্চির ঢালাই’, পূর্তের কাজ নিয়ে প্রশ্ন খোদ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই মেলা খেলায় কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পুজো কমিটিগুলিকে ঢালাও টাকা দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। আর পুজোর মুখে খানাখন্দে ভরে রয়েছে রাস্তাঘাট। নজর নেই সরকারের। আর যেখানে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, সেখানে গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর এলাকা। হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন খোদ তৃণমূলের বিধায়ক জাকির হোসেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বিধায়ক বাঁধ ভেঙে যাওয়া দেখতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার এর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় শুরু হয়। সেই সময় বিধায়ক বলেছিলেন, কোনওরকম কাজের দুর্নীতি মানব না। প্রয়োজন হলে মানুষ গাছে বেঁধে রাখবে। এবার জঙ্গিপুর হাসপাতালে রাস্তার কাজ নিয়ে পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। আচমকা জঙ্গিপুর হাসপাতালে ওই রাস্তা পরিদর্শনে যান তিনি। কংক্রিট রাস্তা হাত দিলেই ভেঙে যাচ্ছে, চাঙড় উঠে আসছে, বিধায়ককে এলাকার মানুষ তা দেখান। চোখের সামনে এসব দেখে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাস্তার কাজের বেনিয়ম নিয়ম নিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে নালিশ জানান। তাঁরা রাস্তা খুঁড়ে দেখান যেখানে ৪ ইঞ্চি ঢালাই করার কথা থাকলেও রাস্তার পাশে দেখা যাচ্ছে দুই ইঞ্চি ঢালাই।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, পূর্ত দফতর যে রাস্তা তৈরি করেছে তাতে সিডিউলে আছে ৮ ইঞ্চি পুরু রাস্তা তৈরি করার। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে মাঝখানে ৪ ইঞ্চি পুরু রাস্তা তৈরি করেছে। রাস্তার দু’পাশের দুই ইঞ্চি করে রাস্তা হয়েছে। হাসপাতালের সুপারকে ঠিকাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, আমি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে এবং পূর্ত দফতরের মন্ত্রীকে অভিযোগ করব। কোনওমতেই এই রাস্তা আমরা মেনে নেব না।

    কী বললেন পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার?

    পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, রাস্তা ঠিক হয়েছে, আমি এখনও এই অবস্থায় বলছি।  চেয়ারম্যান সাহেব দেখে গিয়েছেন, তিনি বলেছেন ঠিক আছে। বিধায়কের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি তো অভিযোগ করতেই পারেন, তাঁরা আমাদের মাথার উপরে আছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                     

  • Murshidabad: সামান্য সোনার জন্য একরত্তি শিশুকে গলা টিপে ছুড়ে ফেলল গঙ্গায়! তীব্র চাঞ্চল্য

    Murshidabad: সামান্য সোনার জন্য একরত্তি শিশুকে গলা টিপে ছুড়ে ফেলল গঙ্গায়! তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বছর দুই মাসের এক শিশু কন্যার সোনার কানের দুল ও চাঁদির মালা খুলে নিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হল। এরপর মৃতদেহ গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় প্রতিবেশী এক মহিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মহিলাকে বন্দনের ঋণ দেওয়ার জন্য অর্থ প্রয়োজন ছিল, আর তাই শিশু কন্যার সোনা খুলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুরাতন শিকদারপুর গ্রামে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবার। এখনও পর্যন্ত গঙ্গায় ওই শিশু কন্যার দেহ তলিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। 

    কীভাবে ঘটল খুনের ঘটনা?

    স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বাড়ির পাশে খেলা করছিল দুই বছরের একরত্তি শিশু কন্যা সাহানা খাতুন। সেই সময় প্রতিবেশী এক মহিলা নায়েমা খাতুন, সাহানাকে কোলে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে আদর করছে ভেবে পরিবারের সদস্যরা কিছু বলেননি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই শিশু কন্যাকে দেখতে না পেয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে, ওই প্রতিবেশী মহিলাকে জিজ্ঞেস করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।

    মৃত শিশুর আত্মীয়ের বক্তব্য

    মৃত শিশু কন্যার পিসি সুমা খাতুন বলেন, “বন্ধনের ঋণ দেওয়ার জন্য সাহানাকে খুন করেছে নায়েমা খাতুন। আমার ভাইঝির পড়নে সোনার কানের দুল ও চাঁদির গহনা খুলে, গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে এই মহিলা। খুন করে ভাইঝিকে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ এখনও নদীর তলায় রয়েছে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে ওই খুনির কঠিন শাস্তি চাই।

    খুনের তদন্তে পুলিশ

    খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি থেকে সোনার কানের দুল ও চাঁদির মালা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফুসছেন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত মহিলার ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ডুবুরি টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share