Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Vivek Agnihotri: ‘বাংলা কি নতুন কাশ্মীর’? মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    Vivek Agnihotri: ‘বাংলা কি নতুন কাশ্মীর’? মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে যে তাণ্ডব দেখেছিল শহর, তা নিয়েই ‘কলকাতা না কাশ্মীর?’ প্রশ্ন তুলেছিল ‘মাধ্যম’। এবার বাংলাকে অশান্ত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন (Anti Waqf Protests in Murshidabad) ঘিরে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। আদালতের নির্দেশে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার মুর্শিদাবাদ নিয়ে গলা চড়ালেন বলিউডের এই নামী পরিচালক। বাংলা কি নতুন কাশ্মীর? প্রশ্ন তুললেন তিনি। ‘দ্য দিল্লি ফাইলস: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ ছবির শ্যুটিং করতে তিনি মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন, এবং তখনই বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন বলে সোশ্য়াল মিডিয়ায় দাবি করেছেন বিবেক।

    বাংলাকে কেন কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা

    ওয়াকফ সংশোধনী আইন চালু হওয়ার পর থেকেই অশান্তির আগুন জ্বলতে শুরু করেছে বাংলায়। কিছুদিন আগেই খাস কলকাতার পার্ক সার্কাসের মোড় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল। সেই উত্তাপ পরবর্তীতে ছড়ায় জেলায় জেলায়। বিগত কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে অগ্নিগর্ভ। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো অশান্তির খবর আসছে সেখান থেকে। বিবেকের (Vivek Agnihotri) কথায়, ‘‘বাংলা কি নতুন কাশ্মীর? মুর্শিদাবাদে যখন ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’-এর গল্পের প্রেক্ষাপট গড়ে তুলি, তখনই সেখানকার জনবিন্যাসে পরিবর্তন অনুভব করতে পারি। বুঝতে পেরেছিলাম, ওই পরিবর্তন বিরাট হিংসা ডেকে আনবে কোনও দিন। বুঝতে পারিনি এত তাড়াতাড়ি হবে, ছবিতে ঠিক যেমন ভাবে দেখানো হয়েছে? ’’ এখানেই থামেননি বিবেক। যুক্তি দিয়ে বিবেক বলেন, ‘‘বাংলাকে নয়ের দশকের কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করলাম কিছু কারণে, ১) সীমান্ত এলাকায় জনবিন্যাসের পরিবর্তন, ২) লক্ষ্যনির্ভর রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা, ৩) মত প্রকাশের স্বাধীনতা, অভিবাসন এবং নিরাপত্তা জনিত উদ্বেগ, ৪) ছোটখাটো ঘটনা বিরাট অশান্তিতে পরিণত হওয়ার ইতিহাস, ৫) কাশ্মীরের মতো বাংলার কিছু জেলা, মুর্শিদাবাদ বা উত্তর ২৪ পরগনায় নজরদারিহীন অভিবাসন, জনবিন্যাসের পরিবর্তন, রাজনৈতিক মেরুকরণ, চরমপন্থা, পরিচয়ের রাজনীতি। বাংলা এখনও কাশ্মীর হয়নি, কিন্তু আমার আশঙ্কা, গুরুত্ব না দিলে একই পরিস্থিতি তৈরি হবে: গণপ্রস্থান, দমন, দীর্ঘমেয়াদী অশান্তি। ’’

    মনে হচ্ছিল ওটা অন্য দেশ

    মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি থমথমে। কেন্দ্রীয় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের এই জেলা। পুলিশের গুলিতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাজুড়ে চলছে ধরপাকড়, এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ১১৮ জন। বাধ্য হয়ে মূর্শিদাবাদে ছবির শুটিং বন্ধ করেন বিবেক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের নতুন ছবি ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’-এর গল্প মুর্শিদাবাদ নির্ভর। ওখানে শ্যুটিং করা অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। সরকার, পুলিশ কেউ সাহায্য় করেনি। মনে হচ্ছিল অন্য দেশে গিয়ে পড়েছি যেন। বাধ্য হয়ে মুম্বইয়ে সেট তৈরি করে শ্যুটিং সারতে হল আমাদের। জনবিন্যাসের ভারসাম্যহীনতাই আসল বিপদ। ’’

    বাংলা এখন কোথায়

    মুর্শিদাবাদ তথা বাংলাকে চৈতন্য মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি এবং রবীন্দ্রনাথের জন্মভূমি বলে দাবি করে বিবেক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘বাংলা সত্যি কী মহান নবজাগরণের জমি? এটা তো বাংলা মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে যেন নতুন কাশ্মীর।’’ এরপর এক্স হ্যান্ডেলে ওয়াকফ প্রতিবাদের একটি ভিডিও শেয়ার করে নিজের আসন্ন ছবির (The Delhi Files) ঘোষণা করেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। বিবেকের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাসের মাথায় উঠে হাতে প্যালেস্টাইনের পতাকা ওড়াচ্ছেন একজন। রাস্তায় মানুষে মানুষে ছয়লাপ। কয়েকজনের হাতে তেরঙা, কয়েকজনের হাতে দেখা গেল প্যালেস্টাইনের পতাকা।

    উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মূর্শিদাবাদে

    ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ। সমস্যার আঁচ টের পেয়েছে মালদহ, নদীয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষেরাও। মুর্শিদাবাদের কঠিন পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, অশান্ত এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় আধাসেনা মোতায়েন করতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর ও উদ্বেগজনক। আদালত চোখ বন্ধ রাখতে পারে না।’’ উল্লেখযোগ্যভাবে, পরিস্থিতি এতটাই ঘনিভূত যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন ভিডিও কনফারেন্স করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-র সঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মুর্শিদাবাদে পাঠানো হয়েছে। মূর্শিদাবাদের গোটা পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি বিধায়ক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো পশ্চিমবঙ্গে আফস্পা জারির দাবিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন।

     

     

     

  • Murshidabad: মনে করাচ্ছে ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’, জীবন বাঁচাতে ভিটে ছাড়ছেন মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত হিন্দুরা

    Murshidabad: মনে করাচ্ছে ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’, জীবন বাঁচাতে ভিটে ছাড়ছেন মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে মৌলবাদীদের তাণ্ডবে অশান্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। অভিযোগ, বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দু বাড়িগুলিকে। পরিবার নিয়ে হিন্দুরা নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নিচ্ছেন। এমন চিত্র সারা দেশ দেখেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে। গত শুক্রবার ১১ এপ্রিল থেকে এই জেলার সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান প্রভৃতি স্থানে হিন্দু সমাজের ওপর আক্রমণ নেমে আসে বলে অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা জানাচ্ছেন, বেছে বেছে হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। তাঁদের বাড়িঘর দোকান মন্দির এই সমস্ত কিছু কিছুতেই হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় যে বিক্ষোভ শুরু হয় তা শুক্রবার ঠিক নামাজের পরেই শুরু হয়। শনিবার পর্যন্ত এই তাণ্ডব অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে শয়ে শয়ে হিন্দুকে মুর্শিদাবাদে নিজেদের ভিটেমাটি- এই সমস্ত সমস্ত কিছু ত্যাগ করে নৌকায় চড়ে পার্শ্ববর্তী মালদা জেলায় পালিয়ে যেতে হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরবর্তীকালেও ঠিক এমনটাই হয়েছিল। যখন তাঁদেরকে এভাবে পালিয়ে যেতে হয়।

    কী বলছেন হিন্দু ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঞ্জু ভগত?

    এ নিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তক-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হিন্দু ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঞ্জু ভগত বলেন, ‘‘তারা অর্থাৎ মৌলবাদীরা আমাদের বাড়ির সামনে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। তখন তারা পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এর পরেই তারা আমাদের বাইক ভাঙচুর। বাড়ি ভাঙচুর করে। চেয়ার, গদি টিভি থেকে শুরু করে দামি জিনিসপত্র সমস্ত কিছু তারা লুট করে।’’ ওই হিন্দু মহিলা আরও বলেন, ‘‘মৌলবাদীদের ভয়ে আমাদের পুরো পরিবার তখন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছিলাম। আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। আমরা তখন ভগবানের নাম জপ করছিলাম এবং প্রার্থনা করছিলাম যে এই উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা যেন আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সেই সময় আমার মেয়ের যদি কিছু একটা ঘটত! তখন আমি কি করতে পারতাম।’’ ওই মহিলা আরও জানান, স্থানীয় দোকানগুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। একজন হিন্দু দোকানদার এরপরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন,‘‘চা, বিস্কুট, সিগারেট সহ আমি যা যা বিক্রি করতাম সবই শেষ হয়ে গেল।’’ ভাঙচুরের সময় পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী।

    উন্মত্ত মৌলবাদীরা বলছিল, এটা একটা ট্রেলার সিনেমা এখনও আসেনি!

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা নারায়ণ সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরও দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি কী বলব আর কি করব কিছুই জানিনা। এখানে আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ স্থানীয় সুজিত সাহা নামের এক হিন্দু ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘উন্মত্ত মৌলবাদীদের ভিড় যখন হামলা করছিল, তখন তারা বারবার বলছিল এটা একটা ট্রেলার সিনেমা এখনও আসেনি।’’ হিংসা কবলিত ওই এলাকাতেই ছিল শুভ স্মৃতি হোটেল। যার মালিকের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার এখানে এই দোকান ছিল। যা ভাঙচুর করা হয়েছে। তারা আমার সমস্ত জিনিসপত্র লুট করেছে। দোকানের ভেতরে থাকা নগদ টাকা পয়সা কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কিভাবে খাব?’’

    মৌলবাদীদের (Murshidabad) তাণ্ডবে পুলিশ লুকিয়ে ছিল

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোজ ঘোষ নামের এক ব্যক্তি জানান, সমস্ত ঘরবাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। চারপাশে তাকিয়ে আপনারা নিজেরাই দেখতে পারেন। কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল হিন্দুরা। ওই মনোজ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে আরও দাবি করেন, ‘‘শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এখানে একটি স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প চাই।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘যখন মৌলবাদীদের এমন তান্ডব চলছিল, তখন কোনও পুলিশ ৪ ঘণ্টা ধরে ধারে কাছে ছিল না।’’ মনোজ ঘোষ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘পুলিশ স্টেশনটি আমাদের বাড়ি থেকে ২০০ মিটারের দূরত্বের মধ্যে ছিল কিন্তু আমাদের উদ্ধারে কেউ আসেনি।’’

    পুলিশ নিজেই তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল

    এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে (Murshidabad) অপর এক স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু বলেন, ‘‘ওরা বাইক ভাঙচুর করেছে। আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করেছে। দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি রাতে ঘুমোতে পারিনি। আমরা জেগে ছিলাম এবং সারারাত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ছিলাম। এখানে যখন হিংসা চলছিল তখন কোনও পুলিশ বাহিনীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ নিজেই তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল। দেখা যাক সরকার আমাদের কোনও ক্ষতিপূরণ (Waqf Law) দেয় কিনা!’’ মৌলবাদীদের তাণ্ডবের শিকার এক হিন্দু এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি করছি। কারণ এখানে যেহেতু কেবল অরাজকতা এবং গুন্ডামি চলছে। শুক্রবারে নামাজের পর থেকেই মিছিল বের হয় এবং তারপর থেকে এই তাণ্ডব চলতে থাকে।’’

    জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ (Murshidabad)

    অন্যদিকে, একটি ভাইরাল ভিডিওতে (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যাচ্ছে এক মধ্যবয়সি হিন্দু মহিলাকে। তিনি বলছেন, ‘‘মৌলবাদীরা তাদের জলের ট্যাঙ্ক গুলিতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেই জল খেতে পারিনি। কারণ তা বিষ মিশ্রিত ছিল।’’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে যে ভিডিওগুলি দেখানো হচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহিলারা মুর্শিদাবাদ থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে আসছেন। এমনকি মাত্র ছয় দিনের বাচ্চাকে নিয়েও পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন হিন্দুরা।

    মোদি ওয়াকফ আইন এনেছে, কোনও হিন্দুকে থাকতে দেব না এমনটাই বলছিল মৌলবাদীরা, দাবি স্থানীয়দের

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে অজস্র হিন্দু ধুলিয়ান থেকে গঙ্গা পার হয়ে মালদা জেলায় যাচ্ছেন। সেখানে হিন্দু পুরুষ এবং মহিলা প্রত্যেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। তাঁরা নিজেদের ওপর হওয়া সন্ত্রাসের কথাগুলিকে বলছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা করা হয়েছে। একজন মহিলা বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে ব্যাপক বোমাবাজি চলছে। যার ফলে আমরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি।’’ আর একজন মহিলা বলেন, ‘‘তারা আমাদের এখানে বলে দিয়েছে যে নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফ বিল পাস করেছে। তাই আমরা এখানে কোনও হিন্দুকে থাকতে দেব না। সোনার অলংকার এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, মৌলবাদীরা অনেক বাড়িতে আগুনও লাগিয়েছে আমাদের শিশুরা খেতে পাচ্ছে না এবং মহিলাদেরকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’

    মুর্শিদাবাদের ঘটনাকে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য

    মুর্শিদাবাদের এই ঘটনায় এক্স মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। নিজের পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি লেখেন, ‘‘১১ এপ্রিল হল বাঙালির ইতিহাস একটি কালো দিন। কারণ এই দিনই বাঙালিকে মনে করিয়ে দিল ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর কথা। মুর্শিদাবাদে যেখানে ভিটেমাটি ছাড়তে হচ্ছে হিন্দুদের এবং মৌলবাদীরা ধুলিয়ান শামসেরগঞ্জ সুতি প্রভৃতি জায়গায় তান্ডব চালাচ্ছে।’’

  • Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Act Violence) আন্দোলনের জেরে মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলায় মোতায়েন করা (BJP) হয়েছে প্রায় ৮ কোম্পানি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে ডিজি স্তর থেকে অতিরিক্ত এসপি পর্যন্ত পদস্থ কর্তাদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তবে শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

    হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ (Anti Waqf Act Violence)

    কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দেরিতে সাড়া দেওয়ার সমালোচনা করে হাইকোর্ট বর্তমান পরিস্থিতিকে “গুরুতর ও অস্থিতিশীল” বলে অভিহিত করেছে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের।

    বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদারেরও দাবি, হিংসার মধ্যেই ধুলিয়ানের একাধিক পরিবারকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে একাধিক পরিবারকে চরমপন্থী মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের হয়রানির কারণে মালদার পার্লালপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। হিন্দুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এই সময়েও স্থানীয় তৃণমূল প্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকা ছেড়ে যেতে হুমকি দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে (BJP)। স্বাধীন ভারতের মাটিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বিভীষিকাময় দেশভাগের ইতিহাসের সাক্ষী বানাচ্ছেন (Anti Waqf Act Violence)।”

  • Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন নিরো! আর হিংসার আগুনে যখন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) পুড়ছে, তখন চা পানে ব্যস্ত মুর্শিদাবাদেরই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তৃণমূলের ইউসূফ পাঠান। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বাংলার রাজনীতিতে (BJP)।

    জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াকফ সংশোধিত আইন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশ। খুন হয়েছেন তিনজন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টহল দিচ্ছে বিএসএফও। এমতাবস্থায় রবিবার বহরমপুরের সাংসদ ইউসূফ পাঠানের ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়, তিনি মনের সুখে চা পানে ব্যস্ত। পোস্টে লিখেছেন, “আরামদায়ক বিকেলে চায়ে চুমুক, শান্তি। এই মুহূর্তে ডুবে আছি।”

    পদ্মের নিশানায় তৃণমূল

    একজন সাংসদের এহেন পোস্টে যারপরনাই চটেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে ভোটব্যাংকের অঙ্কে ইউসূফকে জিতিয়ে দিয়েছেন। তবে জেতার পর প্রাক্তন এই ক্রিকেটার নিজের সাংসদের দায়িত্ব ভুলে মজা করছেন।” যদিও হিংসা কবলিত এলাকার সিংহভাগ অংশই ইউসূফের নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে সেই জায়গাগুলো তাঁর কেন্দ্র লাগোয়া। তার জেরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও থেকে ইউসূফ পাঠান নামে একজন ক্রিকেটারকে তুলে এনে টিকিট দিয়েছিলেন। তাঁর ভোটব্যাংক ইউসূফকে বহরমপুরে (Murshidabad Violence) জয়ী করেছিল। আজ যখন বাংলা জ্বলছে, হিন্দুদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে, ইউসূফ পাঠান চা খেয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন…এটাই তৃণমূলের অগ্রাধিকার…দাস পরিবারকে হত্যা করা হল, বাংলা জ্বলছে আর পাঠান সাহেব চা পান করবেন এবং আনন্দ উপভোগ করবেন।”

    এর আগে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শেহজাদ পুনাওয়ালা লিখেছিলেন, “বাংলা জ্বলছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারছেন না এবং তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। পুলিশ নীরব থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারিভাবে হিংসাকে উৎসাহিত করছেন! আর ইতিমধ্যে ইউসূফ পাঠান – এমপি চায়ে চুমুক দিচ্ছেন এবং হিন্দুদের হত্যার মুহূর্তটি উপভোগ করছেন…এটাই টিএমসি।”

    রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইউসূফ পাঠান একজন ক্রিকেটার। কোনও রাজনীতিক নন। তাঁকে বহরমপুরে তৃণমূল কেন টিকিট দিয়েছিল শুধু তাঁর ধর্মীয় পরিচয়টাকে ব্যবহার করার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ইউসূফের সঙ্গে রাজনীতির বা মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ মানুষের জীবনের তাপ-উত্তাপের কোনও সম্পর্কই নেই। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট হাওয়া ছবি থেকেই সেটা পরিষ্কার।” তিনি বলেন, “তৃণমূল শুধু মুসলমান ভোটব্যাংক সংহত রাখতে রাজনীতি করে। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য রাজনীতি করে না (BJP)। তারই প্রমাণ হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদের এই ছবি (Murshidabad Violence)।”

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Incidents) ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। সেখানেই মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের যেখানে তাণ্ডব চলছে, সেখানে ঠিক থানার উল্টোদিকের একটি বড় হলে অস্ত্রশস্ত্র, বোমা ও বারুদ মজুত রেখেছে তাণ্ডবকারীরা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে সনাতনীদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না। একটা সময় সনাতনীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন।” এদিন সুকান্ত মজুমদার কয়েকটি বাস এবং মোটরবাইকে গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেন। শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে হাজির ছিলেন কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি চণ্ডীচরণ রায়, যুব নেতা জয় সাহা প্রমুখ।

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব (Sukanta Majumdar)

    ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধীরা জলঙ্গিতে বিডিও অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত এই নিয়ে লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তথাকথিত ‘শান্তির দূত’রা – তোষণের পতাকাতলে লালিত সংখ্যালঘুরা চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে তাদের রোষে পুলিশ বাধ্য হয়েছিল পিছু হটতে। যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে এবং মুহূর্তের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ বিডিও অফিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই বিডিও অফিসাররা, যাঁরা একসময় নির্বাচনের সময় এবং পরে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজ করতেন, তাঁরা এখন হতবাক – আইনশৃঙ্খলা ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। এই আধিকারিকরা যে রাজ্যের সেবা করেন, সেই রাজ্যই তাঁদের নিরাপত্তা বা মর্যাদা দেয় না (Sukanta Majumdar)।”

    কী লিখলেন সুকান্ত?

    সুকান্ত আরও লেখেন, “এটা কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয় – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির বেদিতে যখন শাসনব্যবস্থাকে বলি দেওয়া হয়, তখন এটাই ঘটে। অফিসগুলি অনিরাপদ। সরকারি আধিকারিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবুও শাসকগোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বিশৃঙ্খলাকে আড়াল করছে। বাংলার রক্ত ​​ঝরছে। আর যারা একসময় এটা সম্ভব করেছিল, এই পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করেছিল, তারাই এখন সেই নৈরাজ্যের শিকার। এটি নির্লজ্জ তুষ্টিকরণের মূল্য। এটাই ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রাজনীতির ব্র্যান্ডের উত্তরাধিকার।”

    প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়ল পুলিশ!

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে ফের একবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Incidents) বিস্তীর্ণ এলাকা। এর আগে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল জঙ্গিপুরে। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল সামশেরগঞ্জও। প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন একাধিক পুলিশ কর্মী (Sukanta Majumdar)।

    সড়ক অবরোধ  

    শুক্রবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ানোর পর থেকেই সতর্ক ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। নয়া আইন অনুসারে, এলাকায় জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। যদিও শুক্রবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড় থেকে সুতির সাজুর মোড় পর্যন্ত অংশে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয় যান চলাচল। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এই সময় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।

    ইটের ঘায়ে জখম পুলিশ কর্তা

    বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ফরাক্কার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ একাধিক পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাটাতে হয় কাঁদানে (Murshidabad Incidents) গ্যাসের সেল। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। ততক্ষণে বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আকার নিয়ে নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাস। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শেষমেশ নামানো হয় বিএসএফকে (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আন্দোলনের নামে গুন্ডারা মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই কাজ করছে। এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও, তিনি। আর পুলিশ (Murshidabad Incidents) দর্শকের মতো আচরণ করছে।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। মুর্শিদাবাদের সুতিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতার নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    ব্যর্থ মমতার সরকার, আক্রান্ত পুলিশও

    সাংবাদিক বৈঠক করে শুক্রবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘দুপুর আড়াইটের পর থেকেই রাজ্যে বেশিরভাগ জায়গায় জঙ্গিপুর কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, আমতলা সব জায়গায় একই রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ। পুলিশও আক্রান্ত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা।’’ শুভেন্দুর দাবি, বেছে বেছে হিন্দুদের ওপরই আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহতও হয়েছে।

    বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব

    গত কয়েকদিনের মতো এদিনও ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। তার জেরে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। ফলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন রেল স্টেশনে আরপিএফ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার তাণ্ডবের ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জে পরপর বোমার শব্দ শোনা যায় শুক্রবার বিকেলে। তাণ্ডবের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোর সহ দুজন। এদিকে, আমতলায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। শুধু সামসেরগঞ্জই নয়। একই কারণে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সুতির সাজুর মোড়। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসে।

    পরিস্থিতি বাংলাদেশের থেকেও খারাপ 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের (Mamata Govt)। কড়েয়া থানা এলাকায় জলযাত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। চাঁপদানিতে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হিন্দুদের পতাকা নামানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামণ্ডপ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়ি ও দোকান তছনছ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ধূলিয়ান লাগোয়া সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাকবাংলো মোড়, কাঞ্চনতলাতে ৩০টা হিন্দু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ, উমরপুর, নিমতিতাতে ৬৮টা দোকান ভাঙা হয়েছিল, লুঠ করা হয়েছিল। ধূলিয়ান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দির ভাঙা হয়েছে।’’

    ভোগান্তির শিকার অসংখ্য রেলযাত্রী

    স্থানীয় সূত্রের খবর, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে মিছিল করছিল একটি গোষ্ঠী। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশের কর্মীরাও। অভিযোগ, মিছিল থেকে আচমকা পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মডেল, যিনি ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছেন, তাঁর এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত।’’ হুগলির চাঁপদানীতেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার জেরে নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি ও নিমতিতা স্টেশনে আপ ও ডাউনের বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ে। আন্দোলনের নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মুর্শিবাবাদের ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে যে ৪৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় রেলের রিলে রুমে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, লিফটিং ব্যারিয়ার সহ একাধিক সম্পত্তি। ভোগান্তির শিকার হন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেল জানিয়েছে, দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দু’টি ট্রেনকে গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। পাঁচটি ট্রেন চালাতে হয়েছে ঘুরপথে।

    একজোট হন, প্রতিরোধ গড়ুন

    প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে বারবার বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিন। মোথাবাড়িতে ৮৬ জন নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একই ভাবে সামসেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে যা করেছেন বর্বরোচিত। রাজীব কুমারের তৈরি ফর্মুলা আছে। প্রথমে যা হওয়ার হয়ে যাবে। তার পর ফোন – ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। জেলাশাসকের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হবে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া বন্ধ হবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Govt) শাসনে বারবার নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু ধ্বজকে। যা রাজনৈতিক পতাকা নয়। হিন্দু মন্দিরকেও নিশানা করা হচ্ছে। আমি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করছি। সম্ভব হলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আর নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন। আর কোনও উপায় নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুরা একজোট হয়ে নিরাপদে থাকুন। ভাঙচুর যা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আমরা করব।’’

  • Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে ‘জাহা ইন্ডিয়া’ নামে (Jaha India) একটি সংগঠন। বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। মাসখানেক ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংগঠন। আর এই জেলায় সদ্য গজানো মৌলবাদী এই সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের মিলেছে। মূলত, ইউনূস সরকারের আমলে নতুন করে যে জঙ্গি কার্যকলাপ মাথা চাড়া দিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও রকম দ্বিমত রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। পালাবদলের পর থেকে ভারতে নিজেদের জাল ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল এই সংগঠন। এখন কারা এই সংগঠনের সদস্য, কারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। এমনকী এই সংগঠন কীভাবে কাজ করে চলেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

    চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ জেএমবির! (Jaha India)

    বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের (Jaha India) প্রশিক্ষণ জেএমবি (JMB) নেতার। নতুন সংগঠনের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মাস কয়েক ধরে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর ইউনূসের বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনকে মদত জোগাচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি সংগঠন। সেদেশ থেকে চোরা পথ হয়ে ভারতে এসে ঝাড়খণ্ডের একটি গোপন ডেরায় দিন কয়েক আগেই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বৈঠক চালিয়েছে তারা। গত ৩ জানুয়ারি লালগোলায় এই প্রসঙ্গে জাহা ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক দফা বৈঠকও চলে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএমবি-র সদস্যরাও। এরপরই প্রকাশ্যে আসে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, একা জেএমবি নয়। এই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র দোসর হয়েছে ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে বাংলাদেশের আরও একটি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন। মূলত, ‘জাহা ইন্ডিয়া’র হাত ধরেই ভারতে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে চায় তারা। মূলত, ভারতে নিজেদের শাখা খুলতে চায় এই ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে মৌলবাদী সংগঠনটি। আর সেই কাজে ‘জাহা ইন্ডিয়া’কেই নিজেদের সঙ্গী হিসাবে চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় কীভাবে সংগঠন গড়ে তোলা যায় তার পরিকল্পনা নেওয়া শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হবে জাল বিস্তার?

    জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি স্তরে ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের জাল বিস্তার করতে আগ্রহী এই জঙ্গি সংগঠনটি (Jaha India)। আর মুর্শিদাবাদ হবে সেই পরিকল্পনার এপিসেন্টার। ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একটি বৈঠক হয়েছে। জেএমবি-র নেতা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় এই বৈঠক করেছে। দু’দিন ধরে চলেছে সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ওই জঙ্গি নেতা ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ছ’জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের পাঁচ ও উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতা। এদের আবার একজন মিডিল ম্যানও রয়েছে। বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফের জিএমবি নেতা রুট বদলে আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদে সক্রিয় এই সংগঠন, এমনই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই কারণে, এখন বাংলাদেশি জঙ্গিদের টার্গেটে ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবমিলিয়ে কারা কারা প্রশিক্ষণ পেল তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। আর এই সংগঠনের মধ্যে অন্য কোন কোন জেলার লোকজন জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

    প্রাক্তন এনএসজি কর্তা কী বললেন?

    এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এক এনএসজি কর্তা বলেন, ‘‘এই খবর শুধু গোয়েন্দাদের কাছেই ছিল। ‘জাহা ইন্ডিয়ার’ নাম কেউ জানত না। বারবার আমি বলেছি, ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারকে টার্গেট করে আল-কায়দা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন, সেই নেত্রীর স্বামীকে দেশ-বিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে এইগুলো হল জমি দখলের প্রক্রিয়া। এইভাবে বিনা রক্তপাতে ভারত দখল বা জমি দখল করে ওরা। তারপর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পুরো ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন করে। তারপর সেখান থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দেশের লোকসভা বা বিধানসভায় যায় তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে ‘জাহা ইন্ডিয়া’ নামে (Jaha India) একটি সংগঠন। বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। মাসখানেক ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংগঠন। আর এই জেলায় সদ্য গজানো মৌলবাদী এই সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের মিলেছে। মূলত, ইউনূস সরকারের আমলে নতুন করে যে জঙ্গি কার্যকলাপ মাথা চাড়া দিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও রকম দ্বিমত রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। পালাবদলের পর থেকে ভারতে নিজেদের জাল ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল এই সংগঠন। এখন কারা এই সংগঠনের সদস্য, কারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। এমনকী এই সংগঠন কীভাবে কাজ করে চলেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

    চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ জেএমবির! (Jaha India)

    বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের (Jaha India) প্রশিক্ষণ জেএমবি (JMB) নেতার। নতুন সংগঠনের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মাস কয়েক ধরে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর ইউনূসের বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনকে মদত জোগাচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি সংগঠন। সেদেশ থেকে চোরা পথ হয়ে ভারতে এসে ঝাড়খণ্ডের একটি গোপন ডেরায় দিন কয়েক আগেই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বৈঠক চালিয়েছে তারা। গত ৩ জানুয়ারি লালগোলায় এই প্রসঙ্গে জাহা ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক দফা বৈঠকও চলে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএমবি-র সদস্যরাও। এরপরই প্রকাশ্যে আসে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, একা জেএমবি নয়। এই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র দোসর হয়েছে ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে বাংলাদেশের আরও একটি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন। মূলত, ‘জাহা ইন্ডিয়া’র হাত ধরেই ভারতে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে চায় তারা। মূলত, ভারতে নিজেদের শাখা খুলতে চায় এই ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে মৌলবাদী সংগঠনটি। আর সেই কাজে ‘জাহা ইন্ডিয়া’কেই নিজেদের সঙ্গী হিসাবে চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় কীভাবে সংগঠন গড়ে তোলা যায় তার পরিকল্পনা নেওয়া শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হবে জাল বিস্তার?

    জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি স্তরে ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের জাল বিস্তার করতে আগ্রহী এই জঙ্গি সংগঠনটি (Jaha India)। আর মুর্শিদাবাদ হবে সেই পরিকল্পনার এপিসেন্টার। ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একটি বৈঠক হয়েছে। জেএমবি-র নেতা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় এই বৈঠক করেছে। দু’দিন ধরে চলেছে সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ওই জঙ্গি নেতা ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ছ’জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের পাঁচ ও উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতা। এদের আবার একজন মিডিল ম্যানও রয়েছে। বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফের জিএমবি নেতা রুট বদলে আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদে সক্রিয় এই সংগঠন, এমনই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই কারণে, এখন বাংলাদেশি জঙ্গিদের টার্গেটে ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবমিলিয়ে কারা কারা প্রশিক্ষণ পেল তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। আর এই সংগঠনের মধ্যে অন্য কোন কোন জেলার লোকজন জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

    প্রাক্তন এনএসজি কর্তা কী বললেন?

    এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এক এনএসজি কর্তা বলেন, ‘‘এই খবর শুধু গোয়েন্দাদের কাছেই ছিল। ‘জাহা ইন্ডিয়ার’ নাম কেউ জানত না। বারবার আমি বলেছি, ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারকে টার্গেট করে আল-কায়দা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন, সেই নেত্রীর স্বামীকে দেশ-বিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে এইগুলো হল জমি দখলের প্রক্রিয়া। এইভাবে বিনা রক্তপাতে ভারত দখল বা জমি দখল করে ওরা। তারপর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পুরো ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন করে। তারপর সেখান থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দেশের লোকসভা বা বিধানসভায় যায় তারা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share