Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: নাবালিকার বিয়ে দিয়ে বই পুড়িয়ে দিলেন মা! মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ কি নামেই?

    Murshidabad: নাবালিকার বিয়ে দিয়ে বই পুড়িয়ে দিলেন মা! মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ কি নামেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবানগোলায় (Murshidabad) জোর করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দিয়ে দিলেন মা-বাবা। আর তারপর মাসখানেক যেতে না যেতেই মেয়ের পড়া বন্ধ করতে চাপ তৈরি করা হল। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।

    অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প কতটা কাজে লাগছে গ্রামগঞ্জে, তারই প্রতিচ্ছবি ভগবানগোলায় (Murshidabad)। ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রী বিয়ের পরেও পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার মা বই পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে ওই নাবালিকা ছাত্রী। প্রতিবাদ করতে গেলে নাবালিকাকে মারধর করা হয়। পড়াশোনা নয়, সংসার করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। প্রত্যেক দিন নানা অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে নাবালিকা ছাত্রীকে। এমন অভিযোগে সরব নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। 

    কন্যাশ্রীর বাস্তব চিত্র

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে যেমন কন্যাশ্রী প্রকল্পের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন, ঠিক তেমনি আবার এই রাজ্যের মেয়েরা পড়াশুনা করতে না পারার বাস্তব চিত্রের সাক্ষ্য বহন করছে। এ যেন একই বঙ্গে দুই রকম চিত্র। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলায় ঘটল উল্টো ঘটনা! নাবালিকা মেয়ের দাবি, তার মা-বাবা বারবার নানা ধরনের কথা বলেন এবং তাকে কার্যত অন্ধকারে রেখে জোর করে এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিয়ে দেওয়ার পরেও নাবালিকা শ্বশুরবাড়ি যেতে চায়নি। বাপের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতে চাইছিল সে। এমনকি মেয়ের বাবা-মা জোর করে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সব বইপত্র পুড়িয়ে দেয়।

    পুলিশের ভূমিকা

    এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ভগবানগোলা (Murshidabad) থানার পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর নেয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নাবালিকা মেয়ে তার সঙ্গে ঘটা নানা ঘটনার কথা স্পষ্ট ভাবে পুলিশকে জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Book of Records: ৫ মিনিটে ইংরেজি থেকে বাংলায় তর্জমা ১৫৮ টি! খুদের কীর্তিতে গর্বিত পরিবার

    India Book of Records: ৫ মিনিটে ইংরেজি থেকে বাংলায় তর্জমা ১৫৮ টি! খুদের কীর্তিতে গর্বিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির এক প্রাইমারি শিক্ষকের ছেলে সৌম্যজিৎ রবিদাস। বয়স ৫ বছর ১০ মাস। কিন্তু এই বয়সেই বাজিমাত করেছে সে। ছোট্ট শিশুটি নাম তুলেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ (India Book of Records)। সৌম্যজিতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সে যখন কথা বলা শুরু করল, সেই সময় থেকেই ওর স্মরণশক্তির প্রখরতা খুব বেশি। ওকে কোনও কিছু একবার বলে দেওয়ার একমাস পর জিজ্ঞেস করলেও সেটা বলে দিতে পারত। গত জুলাই মাসের ২৬ তারিখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ আবেদনপত্র জমা দেন তাঁর বাবা। তারপর ভিডিও মারফত ইংরেজি থেকে বাংলায় পাঁচ মিনিটে ১৫৮ টি তর্জমা করে জমা দেওয়া হয়। এরপর গত ২৮ শে অগাস্ট ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে জানানো হয়, সৌম্যজিৎ রবিদাসের  নাম বুক অফ রেকর্ডস-এ স্থান পেয়েছে। ২৮ শে অগাস্ট ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড-এর শংসাপত্র সহ মেডেল আসে সৌম্যজিতের বাড়িতে।

    ছোট থেকেই শখ বই পড়ার (India Book of Records)

    সৌম্যজিৎ রবিদাসের মা’র ইচ্ছা, তাঁর ছেলে ডাক্তার হোক। বাবা পেশায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক। তিনি বলেন, প্রত্যেক মা-বাবাই সন্তানদের দেখভাল করেন এবং তাদের কীসে ভাল হবে, সে বিষয়ে সব কিছু ত্যাগ করে সন্তানের পিছনে পড়ে থাকেন। এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ও যখন কথা বলতে শিখলো, তখন ওকে যা বলা হত ও সেটা অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারতো। ছোট থেকেই ওর শখ বই নিয়ে নাড়াচাড়া করা। ফোনের প্রতি সৌম্যজিতের প্রচণ্ড অনীহা। ছোট থেকেই পাশাপাশি দুটো জিনিস ফোন এবং বই রেখে দিলেও বইটা নিয়েই পড়াশোনা করতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়তো। জানার আগ্রহ প্রবল। কোনও নতুন ইংরেজি শব্দ শুনলেই মায়ের কাছে ছুটে চলে যেত তার বাংলা তর্জমা কী হবে, জানার জন্য। কোনও কারণে মায়ের বলতে অসুবিধা হলেও, ও কিন্তু ছাড়ার পাত্র নয়। অভিধান দেখেও ওর মাকে বলতে হতো, ইংরেজি থেকে ওই বাক্যের তরজমা (India Book of Records)।

    ডাক্তার হিসাবে দেখতে চায় পরিবার (India Book of Records)

    খুশি সৌম্যজিতের পরিবারের লোকজন সহ সাগরদিঘির মানুষজন। বাড়ির সকলের ইচ্ছে, যদি সৌম্যজিৎ পড়াশোনা ঠিকমত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে তাঁরা তাকে ডাক্তার হিসেবে দেখতে চাই। সেই কারণে আজ সৌম্যজিতের বাবা-মা সমস্ত মানুষের আশীর্বাদ চাইলেন যাতে তাঁর ছেলে শিক্ষার আলোয় প্রভাবিত হয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। এই আশায় সৌম্যজিতের (India Book of Records) পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ডেঙ্গিতে মৃত্যু বধূর, টনক নড়ল পঞ্চায়েতের, এতদিন কী করছিল, প্রশ্ন এলাকাবাসীর

    Murshidabad: ডেঙ্গিতে মৃত্যু বধূর, টনক নড়ল পঞ্চায়েতের, এতদিন কী করছিল, প্রশ্ন এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার ঔরঙ্গাবাদ দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক গৃহবধূ। গৃহবধূর নাম চামেলি খাতুন (৩২)। জেলাজুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তবে, এতদিন জেলায় কোনও মৃত্যু হয়নি। এই প্রথম জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় জেলাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানা এলাকার ওই বধূকে দিন পাঁচেক আগে গায়ে জ্বর নিয়ে মহিষা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেড না থাকার কারণে আহিরণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আহিরণ হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করার পর জানতে পারা যায়, চামেলি বিবি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাস্তায়, ড্রেনে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪০০ জন। জেলাবাসীর ভয় ছিল, ডেঙ্গি যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে এবার শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। সূতি থানার ওই বধূ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার পর এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এতদিন স্বাস্থ্য দফতর বা পঞ্চায়েত থেকে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই পঞ্চায়েত এখন নড়েচড়ে বসেছে। আশপাশের পঞ্চায়েতও এদিন থেকে ড্রেন পরিষ্কার করে ব্লিচিং দেওয়া শুরু করেছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, আগে থেকে পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগ নিলে ওই বধূর এভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হত না। আগামী দিনে ডেঙ্গিতে যেন আর কারও প্রাণ না যায় সেদিকে প্রশাসন নজর দিলে ভাল হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: যোগীর ‘অপারেশন বুলডোজার’ বহরমপুরে! সদরের রাস্তায় ভাঙা হল অবৈধ নির্মাণ

    Murshidabad: যোগীর ‘অপারেশন বুলডোজার’ বহরমপুরে! সদরের রাস্তায় ভাঙা হল অবৈধ নির্মাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা প্রশাসন, বহরমপুর পুরসভা ও পুলিশের উদ্যোগে বহরমপুরের মোহনা বাসস্ট্যান্ড থেকে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী পর্যন্ত রাস্তায় অবৈধ দোকানঘর ভেঙে ফেলা হল। প্রশাসন থেকে আগেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল, সমস্ত অবৈধ নির্মাণ রাস্তা থেকে সরাতে হবে। অপারেশন বুলডোজারের ফলে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দোকানদাররা পড়েছেন সমস্যায়।

    সমস্যা কী (Murshidabad)?

    অবৈধ নির্মাণ ভাঙার জন্য আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন “বাংলা বরং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের থেকে কয়েকটা বুলডোজার ভাড়া করে নিয়ে আসুক”। বহরমপুরের রাস্তায় বেআইনি নির্মাণ সরাতে প্রশাসন বুলডোজার দিয়ে অভিযান শুরু করছে বৃহস্পতিবার। এই খবর পেয়ে রাস্তার দোকানদাররা ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে এটাই প্রথম নয়, ইতিপূর্বে কান্দি এবং ভরতপুরে বেআইনি বড় বড় নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    বহরমপুরের (Murshidabad) এসডিও প্রভাত চ্যাটার্জি জানান, এই দোকানপাটের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ড্রেনের উপর সরকারি জায়গার উপর স্ল্যাব বসিয়ে রীতিমতো ব্যবসা চলছিল। কেউ কেউ আবার সরকারি জায়গার উপর লোহার রেলিং লাগিয়ে সরকারি জমি দখল করে বসে রয়েছেন। প্রতিদিন রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    অন্যদিকে দোকান ভাঙা পড়ায়, স্থানীয় (Murshidabad) দোকানের মালিকরা জীবিকা চালানোর জন্য অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন। তাঁরা আরও বলেন, পরিবারের মুখে কীভাবে অন্ন জোগাবেন, তাই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দোকান ব্যবসায়ীরা। সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কাছে তাঁরা আর্জি জানাবেন বিকল্প কোনও ব্যবস্থার জন্য। বিকল্প কাজের জোগাড় হলে দুমুঠো অন্ন যোগাতে সক্ষম হবেন তাঁরা। অন্যথায় আবারও ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যেতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের তিনটি জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের তিনটি জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান। পুলিশি অভিযানেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) একাধিক জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণে উদ্ধার হল বোমা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    কত বোমা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় প্রায় দিনই বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবারই সূতির শাহজাদপুরে একটি বাড়ির পিছন থেকে বালির স্তূপের মধ্যে চার জার ভর্তি বোমা উদ্ধার  করে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা যায়। বোমা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এছাড়াও সালার এবং ভরতপুরে বুধবার সকালে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। লোহাদা গ্রামের ঘোষ পুকুরে পাড়ে জঙ্গলের ভিতর একটি ব্যাগের মধ্যে থেকে প্রায় ৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এই বোমাগুলি ব্যাগের ভিতর কাঠের গুঁড়ো দিয়ে ঢাকা ছিল বলে জানা যায়। একই দিনে সালারের ধনডাঙা গ্রামের পুকুর পার থেকে পুলিশ আটটি বোমা উদ্ধার করে। এই বোমগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম স্কোয়ার্ডকে ডাকা হয়েছে বলে জানা যায়। মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকে প্রতিনিয়ত চলছে বোমা উদ্ধার, বোমাবাজি এবং এই বোমের আঘাতে মানুষের মৃত্যুও ঘটেছে। দুদিন আগেই খড়গ্রামের তেজপাড়া মাঠে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এরপরে আরব শেখ নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরই জেলায় বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কিছুদিন আগে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা বারুদের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, তৃণমূলের দৌলতেই এসব বোমা মজুত রয়েছে। শুধু বোমা উদ্ধার করলেই হবে না, বোমা মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ফের ফরাক্কা ব্যারাজের উপর দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস

    Murshidabad: ফের ফরাক্কা ব্যারাজের উপর দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফরাক্কা ব্যারাজে (Murshidabad) ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সোমবার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যারাজের গার্ড রেলিং ভেঙে রেল লাইনে ঢুকে গেল একটি মালবাহী ট্রাক। সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ। অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। যাত্রীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছে মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন।

    কীভাবে বিপত্তি (Murshidabad)?

    নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালবাহী ট্রাকটি গার্ড ভেঙে ঢুকে পড়ে রেল লাইনে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় (Murshidabad)। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ব্যারাজে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। বন্ধ হয়ে যায় রেলের যোগাযোগ মাধ্যমও। দুর্ঘটনার জেরে ফরাক্কা ব্যারাজের উপরে ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। ফরাক্কা ব্যারাজে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিআইএসএফ জওয়ান ও পুলিস প্রশাসন। এদিকে দুর্ঘটনার পরেই ট্রাকটিকে রেল লাইন থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে রেল পুলিশ। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত সপ্তাহে ফরাক্কা ব্যারাজে একই রকম একটি দুর্ঘটনা ঘটে।

    গত সপ্তাহেও ঘটেছে দুর্ঘটনা

    গত সপ্তাহে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটায় ফরাক্কা ব্যারাজের (Murshidabad) ৬২ নম্বর গেটের কাছে ট্রাক দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয় উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ। উল্লেখ্য একটি ট্রাক মালদা থেকে আসার পথে ব্রিজের রেলিং ভেঙে রেল লাইনের দিকে চলে যায়। ব্রিজের ওপরে থাকা কর্মরত সিআইএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় ওই মাল গাড়িটিকে দাঁড় করানো হয়। বড়সড় দুর্ঘটনার থেকে রেহাই পায় গাড়ির চালক। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে ফরাক্কা থানার পুলিশ ও মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকটিকে উদ্ধার করার কাজে হাত লাগান ব্রিজে থাকা কর্মরত সিআইএসএফ জওয়ানরা। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। কিছুক্ষণের জন্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে আস্তে আস্তে তা স্বাভাবিক করে তোলে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Murshidabad: ভাগীরথীতে নতুন ব্রিজ সহ জাতীয় সড়ক চালু হওয়া নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    Murshidabad: ভাগীরথীতে নতুন ব্রিজ সহ জাতীয় সড়ক চালু হওয়া নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের নব নির্মিত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির কাজের তদারকি করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। শনিবার সাত সকালে বহরমপুরের আগে বলরামপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নবনির্মিত জাতীয় সড়কের কাজ কেমন হচ্ছে তা ঘুরে দেখেন।

    মুর্শিদাবাদে নবনির্মিত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের রুট কেমন জানেন? (Murshidabad)

    এতদিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ভিতর দিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ভাগীরথী নদীর উপর রামেন্দ্রসুন্দর সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গে চলে যেত। এটাই এতদিন ছিল চেনা রুট। আর বহরমপুরের মতো ব্যস্ত শহরের ভিতর দিয়ে জাতীয় সড়ক যাওয়ার কারণে ব্যাপক যানজট হয়। ফলে, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোগান্তি হত। এবার কেন্দ্রীয় সরকার বহরমপুর শহরকে বাদ রেখেই বাইপাসের মতো নতুন রাস্তা তৈরি করেছে। বহরমপুর শহর ঢোকার আগে সারগাছির পর পর বলরামপুর থেকে রাস্তাটি বাঁদিকে ঢুকে হরিদাসমাটি দিয়ে ভাগীরথীর উপর দিয়ে শিয়ালমারা হয়ে গঙ্গার ওপারে খাগড়ার কাছে মেহেন্দিপুরে জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিশছে। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার। এরমধ্যে ভাগীরথী নদীর উপর ৪৫০ মিটার ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। সেই ব্রিজ তৈরির কাজও শেষের দিকে। এই রাস্তা চালু হয়ে গেলে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ যেতে হলে আর বহরমপুর শহরে ঢুকতে হবে না। সোজা এই রাস্তা ধরে গেলে অনেক কম সময়ে লাগবে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এদিন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) জাতীয় সড়কের কাজ তদারকি করতে আসেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,  সড়ক যোজনার উন্নয়ন হলে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা সংস্কৃতি সমস্ত কিছুর উন্নতি হবে। এই কাজের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন তৈরি এই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু হয়ে যাবে। এই বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বললেন, রাস্তাটার এক দিক তৈরি হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকটা বাকি থাকায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে,একদিক চালু করার জন্য উচ্চ আধিকারিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশ এলেই রাস্তার একটা দিক চালু করে দেওয়া যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সিজগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল সভাপতি

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সিজগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় তৃণমূল নেতা পলাশ কবিরাজের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর থানার সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনগড়িয়া কবিরাজপাড়ায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর-১ নং ব্লকের ১৬ নং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন পলাশ কবিরাজ। তিনি পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তবে, স্থানীয় নেতৃত্ব হিসেবে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সদস্য তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। শত্রুতার সূত্রপাত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে পলাশ কবিরাজের অনুগামীরা তাঁর পক্ষে দাঁড়ায়নি। সেই কারণেই সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রাসমিনা বিবির স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আমীর হামজা বোর্ড গঠনের পর থেকে তাঁকে ফোনে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী বাইকে করে পলাশ কবিরাজের বাড়িতে চড়াও হয়। সকলেই তৃণমূল নেতা আমীর হামজার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়়া হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা?

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতা পলাশ কবিরাজ বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে চেয়েছিলাম। তাই, ঝর্ণা মণ্ডলকে প্রধান করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। আমীর ওর স্ত্রীকে পঞ্চায়েত প্রধান করেছে। বোর্ড গঠনের পর থেকে হুমকি দিচ্ছিল। এবার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে হামলা চালাল। বিষয়টি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার নেতৃত্বকে জানাব।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আমীর হামজা বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। পলাশ কবিরাজ ঋণে জর্জরিত, পাওনাদাররা বহুবার তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। হামলা চালালে তার দায় আমি নেব না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পলাশ থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক। আমরা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: রঘুনাথগঞ্জে আইসিডিএস কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ, উড়ল ছাদ, ভাঙল ইটের দেওয়াল

    Bomb Blast: রঘুনাথগঞ্জে আইসিডিএস কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ, উড়ল ছাদ, ভাঙল ইটের দেওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক ব্লকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বেলডাঙ্গায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এবার ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। রবিবার সাত সকালেই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের লক্ষ্মীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে লক্ষ্মীজোলায় এলাকায় আইসিডিএস কেন্দ্রটি তৈরি হয়। তৈরি হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়নি। তবে, আইসিডিএস সেন্টারটির মূল ভবনটি বন্ধ থাকলেও বাইরে শিশুদের ক্লাস হয়। এদিন রবিবার বলে সেন্টার বন্ধ ছিল। আচমকাই বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) তীব্রতায় আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ইটের দেওয়াল। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আচমকাই বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি, পাড়ার মধ্যে থাকা আইসিডিএস কেন্দ্রটি ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এবং সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। অন্যদিন, সেখানে শিশুরা পড়াশুনা করে। বড় বিপর্যয় হতে পারত। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান?

    ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান নাসিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আইসিডিএস কেন্দ্রটি চালু হয়নি। সেখানেই কেউ বা কারা অনেক বোমা মজুত করে রেখেছিল। সেই বোমা থেকেই কোনওভাবেই বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তবে, ঘটনার সময় আশপাশে কেউ ছিলেন না। তাই, কেউ জখম হয়নি। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে তৃণমূল বোমা, গুলি নিয়ে খেলা করছে। আইসিডিএস কেন্দ্রকেও এরা বাদ দিচ্ছে না। এসব জায়গায় শিশুরা থাকে, সেটাও ওরা ভুলে গিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। অন্যদিকে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সামিরুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াই, আক্রান্ত পড়ুয়া, বোমাবাজি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াই, আক্রান্ত পড়ুয়া, বোমাবাজি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা পঞ্চায়েত এলাকায়। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সেকেন্দ্রায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল দীর্ঘদিনের। এদিন দুপুরে সেকেন্দ্রা হাইস্কুলে নবম শ্রেণির দুই ছাত্র স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে খেজুরতলা মহিপাড়া সাঁকোর কাছে ওই দুই ছাত্রের পথ আটকায়। তারপর তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দুই পক্ষের মধ্যে ফের এলাকায় গণ্ডগোল হয়। ওই তৃণমূল নেতা বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে তৃণমূলের সেকেন্দ্রার অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণার পর থেকেই নতুন ও পুরানো পন্থিদের মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। তাদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রঘুনাথগঞ্জ থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীরা নেতারা?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, ওরা দলকে ভালোবাসে না। নিজেদের আখের গোছাতেই ওরা দল করত। ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনার বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। দুটি ছাত্রকে মারধর করেছে। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা সরজেম শেখ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ -২ ব্লকের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা অসীলা বিবির আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। সরজেম শেখ বলেন, এলাকায় কী ঘটেছে জানিনা। আমি বহুদিন ওই এলাকা ছেড়ে শহরে বসবাস করি। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের সাজা দিক।

    কী বললেন পঞ্চায়েতের প্রধান?

    সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান পারভিন খাতুন বলেন, দুই ছাত্রের মধ্যে গণ্ডগোল। সেটাকেই কেন্দ্র সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। বোমাবাজি হয়নি। দু-একটি ড্যামেজ বোমা উদ্ধার হয়েছে মাত্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share