Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Bomb Blast: গণনার দিনেও মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল বাড়ি, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: গণনার দিনেও মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল বাড়ি, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদের একের পর এক এলাকা। ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এই জেলায় একাধিক বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে বেলডাঙায় এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কান্দি, খড়গ্রাম থেকে সালার, ভরতপুর, বেলডাঙা, রানিনগর, হরিহরপাড়া, ডোমকল সহ একাধিক জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। এই জেলার ভরতপুর বিধানসভার আমলাই গ্রামে মজুত থাকা সকেট বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের আমলাই গ্রামে মজুত থাকা সকেট বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু সকেট বোমা একটি পরিত্যক্ত জায়গাতে রাখা ছিল। মূলত একটি বাড়ি লাগোয়া পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে বোমা মজুত রাখা ছিল। সেই পরিত্যক্ত ঘরটি এলাকার মানুষ শৌচাগার হিসাবে ব্যবহার করত। পাশেই রাস্তা রয়েছে। সেই ঘরে বোমাগুলি মজুত ছিল। সেখানেই এদিন আচমকা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির কিছু সরঞ্জাম। বোমা বিস্ফোরণের ফলে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে ভরতপুর থানার পুলিশ আমলাই গ্রামে পৌঁছায়। এরপর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার করে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের গ্রাম শান্তিপূর্ণ। এখানে কোনও গণ্ডগোল হয় না। এদিন আচমকা বিকট আওয়াজে গোটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। সকলেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখি, পরিত্যক্ত ওই ঘরটির অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। রাস্তা দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করেন। বিস্ফোরণে (Bomb Blast) বড় বিপদ হতে পারত। লোহাদহ গ্রামের বাসিন্দা শরদিন্দু মণ্ডল বলেন, আমলাইয়ের মতো গ্রামে এত বোমা কারা মজুত করল। পুলিশের তদন্ত করা দরকার। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, রানিনগরে ফের তৃণমূল কর্মী খুন

    Panchayat Poll: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, রানিনগরে ফের তৃণমূল কর্মী খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হলেন আরও  এক তৃণমূল (Panchayat Poll) কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিরাজুল শেখ। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ভোটের দিন গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গত ৮ জুলাই ভোটের দিন রানিনগরে ভোট (Panchayat Poll)  দিয়ে আসার পথে তৃণমূল কর্মী সিরাজুলের উপর হামলা চালানো হয়। কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।  হামলাকারীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হন ওই তৃণমূল কর্মী। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তাঁর অবস্থা সেখানে আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে বেলডাঙায় কংগ্রেসের রাস্তা অবরোধের জেরে ফের বহরমপুরে ফিরে আসে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের নিয়ে এলে রবিবার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের আত্মীয় আসারুদ্দিন মণ্ডল বলেন, সিরাজুল এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ভোট (Panchayat Poll) দিয়ে ফেরার পথেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। সিপিএম সহ বিরোধীরা জোটবদ্ধ হয়ে এই হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘটনার পূর্ণ দাবি করছি। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন,  এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমরা কোনওভাবেই জড়িত নয়। আসলে বোমাবাজি, খুনখারাপির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। নিজেদের কোনও গণ্ডগোলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন আমাদের উপর তার দায় চাপাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সালার, সামশেরগঞ্জে তৃণমূল-নির্দলের ব্যাপক বোমাবাজি! তীব্র উত্তেজনা

    Murshidabad: সালার, সামশেরগঞ্জে তৃণমূল-নির্দলের ব্যাপক বোমাবাজি! তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। শাসক-বিরোধী মিলে ভোটের দিনই ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মনোনয়ন থেকে ভোট প্রদানের দিন পর্যন্ত সালার, ডোমকল, ভারতপুর, বেলডাঙা, কান্দি, নবগ্রামে শাসক দল বনাম নির্দল, তৃণমূল বনাম তৃণমূল, তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। জেলা জুড়ে ভোটের আগে থেকেই দেশি বোমা, সকেট বোমা উদ্ধারে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। তাই ভোটদানের পরেও এই জেলা ভীষণ ভাবে উত্তপ্ত। ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত সালার। চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সামশেরগঞ্জের হিরানন্দপুর ভাঙা লাইনে বোমাবাজি, নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ।

    সালারে (Murshidabad) ব্যাপক বোমাবাজি

    সালারের চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থক অনুগামীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ শুধু নয়, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত নেমেছে সালার থানার পুলিশ। আক্রান্ত নির্দল সমর্থক নাজিয়া বিবি বেলন, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করে, তারাই আমাদের বাড়িতে বোমাবাজি করেছে। আমার স্বামী বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় আমাদের দুষ্কৃতীদের হুমকি, বোমা-বন্দুকের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ যদি তৃণমূলের হয়ে বাড়িতে অত্যাচার চালায়, তাহলে তদন্ত করবে কে?

    সামশেরগঞ্জে বোমাবাজি?

    ভোটের পরের দিনই নির্দল এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার হিরানন্দপুর ভাঙা লাইন এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে চলল বোমাবাজি। এলাকায় মুহূর্মুহূ বোমা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বোমাবাজির পাশাপাশি ইট-পাটকেলও চলে দুই পক্ষের মধ্যে।

    সামশেরগঞ্জে বিধায়ক কী বললেন?

    সাংবাদিক বৈঠকে সামশেরগঞ্জের (Murshidabad) বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, নমিনেশন পর্ব থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে সংগঠিত হয়েছে। সারা বাংলায় গণতন্ত্রের উৎসব পালিত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাত পর্যন্ত ভোট হয়েছে। বিরোধীরা বলেছিল ভোট করতে দেবে না। কিন্তু সামশেগঞ্জেও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। তিনি আরও বলেন, পঞ্চগ্রাম আইএএস স্কুলে সকাল থেকেই নজু খানের নেতৃত্বে ভোট কর্মীদের সঙ্গে যুক্তি করে প্রায় ২০০ ব্যালট লুট করে ছাপ্পা মারে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি-নির্দল এবং দুষ্কৃতীরা ব্যালট বক্স ভাঙচুর করে। 

    আক্রান্তদের বাড়িতে গেলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী

    আবার নওদায় (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে একজন কংগ্রেস কর্মী ও সমাজসেবী আনন্দ হালসানার বাড়িতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা হামলায় চালিয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আজ বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের দিনও গুলি চলল সামশেরগঞ্জে, বেলডাঙায় এলোপাথাড়ি বোমা

    Murshidabad: ভোটের দিনও গুলি চলল সামশেরগঞ্জে, বেলডাঙায় এলোপাথাড়ি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের দিন রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এই নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় বুথগুলিকে সব থেকে বেশি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ভোটের দিন সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ উত্তপ্ত। সামসেরগঞ্জের শুলিতলা এলাকায় ১৬ নম্বর বুথে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। বেলডাঙ্গা, ডোমকলে ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষকে মারধর করে বের দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই ডোমকলে বোমাবাজির ঘটনায় জখম ৪। জেলা জুড়ে তীব্র আতঙ্ক।

    সামশেরগঞ্জে (Murshidabad) কী ঘটেছে?

    ভোটের দিন সকালে শুলিতলায় (Murshidabad) এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই সেই যুবকের নাম জানা গিয়েছে সানাউল শেখ, বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার শুলিতলা এলাকায়। ঘটনায় খবর পেয়ে পৌঁছেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও কী কারণে গুলি করা হল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

    ডোমকলে বিরোধী এজেন্টদের মারধর

    ডোমকল (Murshidabad) ব্লকের গড়াইমারী অঞ্চলে সিপিএম এজেন্টদেরকে বুথেরর ভেতর ঢোকার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। এরপর তাঁদের লাঠি, কিল, ঘুষি মেরে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বোটারডাঙায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব

    বোটারডাঙায় (Murshidabad) ভোট দিতে যাওয়ার সময় ২ জন তৃণমূল কর্মীকে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। আহতের নাম নাসিম শেখ ও সাদিকুল শেখ।

    বেলডাঙায় বোমাবাজি

    বেলডাঙার (Murshidabad) ২ ব্লকের নওপুকুরিয়া এলাকায় ভোট দিতে যাওয়ার সময় বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় এক ব্যক্তি। ভোট দিতে যাওয়ার সময় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি বোমা ছোড়ে। আর সেই বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় একজন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সেই ব্যক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদ ঘুরে মানুষের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের যে সন্ত্রাস চলছে সেইসব আক্রান্ত পরিবারদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় কলকাতা থেকে হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেসে গিয়ে পৌঁছান। হিংসা কবলিত এলাকা এবং আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসা মুক্ত করার আহ্বান জানান রাজ্যপাল।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী, শাসক-নির্দল এবং শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সংঘর্ষে হিংসা কবলিত এলাকা হিসাবে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পৌঁছালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে বহরমপুর রোড স্টেশনে নামেন এবং সেখান থেকে নবগ্রামে নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে যান। রাজ্যপাল মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নিহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ঘটনার বিবরণ শোনেন, কীভাবে গত ১৫ ই জুন পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশন করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা রড বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করে হত্যা করেছিল। পরিবার রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন, দোষীদের যেন অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হয়। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল এবং পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কোনও সমস্যা হলে রাজ্যপালকে অবশ্যই যেন জানান পরিবার।

    রাজ্যপাল কী বললেন? 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্যানিং, ভাঙর, বাসন্তী, দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচিতে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন। সর্বত্র রাজ্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনকে বার বার আইনের শাসন প্রয়োগের কথা বলেন। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা বলেন। ঠিক একই ভাবে নবগ্রামে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস এবং হিংসা চলছে। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পদে থেকে বাংলার মানুষের জন্য কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল।   

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    এক দিকে যেমন রাজ্যের জুড়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হচ্ছে তেমনি উত্তর থেকে দক্ষিণ হচ্ছে রক্তাক্ত। নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত সময়ের মধ্য দিয়ে এখনও পর্যন্ত শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আগামীকাল নির্বাচন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় সবথেকে বেশী স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত হয়েছে। ভোট পূর্ববর্তী কালে সবথেকে বেশী ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে এই জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন মুর্শিদাবাদে রাজ্যপালের যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখা, প্রশাসনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্যপালের এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা, হাঁসুয়ার কোপ, অভিযুক্ত সিপিএম

    TMC: ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা, হাঁসুয়ার কোপ, অভিযুক্ত সিপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দুদিন আগেও উত্তপ্ত রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটায় ৩ জন বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতেই তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রথমে প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। পরে, ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম প্রার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের গড়াইমারি পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস দুবারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। এবারও তিনি প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ভোটের প্রচার করছিলেন। আচমকাই দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। পরে, তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয়। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে থাকা এক তৃণমূল কর্মী বলেন, প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথেই হামলা চালানো হয়। হঠাৎ আমাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারপরে আমরা ছুটে পালিয়ে গিয়ে পাটের জমিতে আশ্রয় নিই। দলীয় প্রার্থীকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। তারপর হামলাকারীরা পালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ডোমকল সুপার ষ্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলেন, সাইফুলসাহেব এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি দুবার জয়ী হয়েছেন। এবারও তিনি জিতবেন। এটা এই এলাকার সিপিএম তথা জোটের কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। তাই, পরিকল্পিতভাবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, বোমা, গুলির কারবার তৃণমূলরাই (TMC) শুধু করছে। গোটা রাজ্যে তারা বিরোধীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএম কোনওভাবেই জড়িত নয়। এটা ওদের নিজেদের গণ্ডগোল। এরসঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: জোট প্রার্থীকে কুপিয়ে গুলি করে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Poll: জোট প্রার্থীকে কুপিয়ে গুলি করে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন পরই হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll)। তার আগেই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সাদিকপুরে এক জোট  প্রার্থীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর ছেলে মকবুল শেখকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত জোট প্রার্থীর নাম বদর শেখ। তিনি সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য ও রঘুনাথগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমতিরি এবারের জোট প্রার্থী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) নিয়ে এলাকা সরগরম। বৃহস্পতিবার জোট প্রার্থী বদরসাহেব  হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতেই তৃণমূলের লোকজন পথ আটকায়। প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। পরে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে। পরে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রার্থী ছেলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও আক্রান্ত হন। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। এরপরই জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, এদিন সাদিকপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে জোট প্রার্থী সাহিদা খাতুন বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। হামলার জেরে চারজন জখম হয়েছেন।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহরায়ের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার ভোরে এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। দুষ্কৃতীরা প্রথমে দলীয় প্রার্থী বদরের পরিবারের লোকজনের মোবাইল কেড়ে নেয়। তারপর ওই প্রার্থীর উপর হামলা চালায়। এলাকায় পঞ্চায়েতের প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে। প্রায় দু’ঘণ্টা পর পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। ওরা ভাবছে এসব করে মানুষকে আতঙ্কিত করবে। ভয়ে কেউ ভোট দিতে যাবে না। আর ওরা ভোট লুট করবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন, হামলা চালানো বা  বোমাবাজি করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে জোট প্রার্থীদের এলাকায় কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই, এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে তারা খবরের শিরোনামে আসতে চাইছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে গুলি সহ দেশি পাইপগান উদ্ধার! কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    Murshidabad: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে গুলি সহ দেশি পাইপগান উদ্ধার! কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বলছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামান্য এক-দুটো জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা এবং দেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সমালোচনায় বিদ্ধ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার প্রশাসন। আর মাত্র মাঝে তিন দিন! তারপর ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বেলডাঙা, কান্দি, হরিহরপাড়া, খড়গ্রামে বোমা উদ্ধার এবং ভাঙ্গনপাড়ায় গুলিসহ দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্তে নেমেছে জেলার পুলিশ। সাধারণ মানুষ ভোটের আগে ব্যাপক আতঙ্কিত।

    বেলডাঙা, হরিহরপাড়া এবং খড়গ্রামে (Murshidabad) বোমা উদ্ধার!

    পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিভিন্ন জায়গায় বোমা উদ্ধার হয়। বেলডাঙার কাজিশা এলাকায় মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ৩ ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। এই এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তবে কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আবার মঙ্গলবারই সাত সকালে হরিহরপাড়াতেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। কলাবাগান পাড়া এলাকায় পাটের জমির পাশে ঝোপের মধ্যে রাখা ছিল এক ব্যাগ ভর্তি বোতল বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোমার হদিশ পায় এই পাটের জমিতে। এছাড়া খড়গ্রামেও উদ্ধার হয়েছে আরও প্রচুর বোমা। এই এলাকার সাদল অঞ্চলের শঙ্খপুর গ্রামে মাঠের ধারে বালতির মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল বলে জানা গেছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।

    কান্দিতে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কান্দি (Murshidabad) মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত শংকরপুর গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠ থেকে এক ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। আবার লালগোলা থানার ডিহিপাড়ারের ভুট্টার ক্ষেত থেকে একটি ব্যাগে ছটি সকেট বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

    দেশি পাইপ গান উদ্ধার

    সোমবার রাতে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে, কাটাবাড়ি ভাঙ্গনপাড়া (Murshidabad) এলাকা থেকে ফরিদুল শেখ ও সাজিরুল সেখ নামে দুই দুষ্কৃতীকে আটক করে পুলিশ। এই ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপ গান এবং দু রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ তাদেরকে বহরমপুর আদালতে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী কারণে তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছিল সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাগরপাড়া থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    Panchayat Poll: সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ জেলা। এই জেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। এবার কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল বিধায়ক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মীর নাম আনিস খান। ঘটনার প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জের পুরাতন ডাকবাংলায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে কংগ্রেসের সভা ছিল। সেই সভা শেষ হওয়ার পর পরই তৃণমূল বিধায়ক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ। প্রকাশ্যে সকলের সামনেই তৃণমূল বিধায়ক কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। প্রত্যক্ষদর্শী এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, দলীয় সভা শেষ হওয়ার পর আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা তৃণমূল বিধায়ক এসে আমাদের উপর চড়াও হন। গণ্ডগোল বা বচসা কোনও কিছুই হয়নি। আচমকা তিনি দলীয় ওই কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ইমাম শেখ বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) জন্য তিনপাকুরিয়া এলাকায় আমাদের সভা ছিল। সেই সভার পরই তৃণমূল বিধায়ক এসে হামলা চালান। দলীয় কর্মীকে তিনি গুলি করেন। একজন বিধায়ক গুলি করতে পারেন, তা ভাবতেই পারছি না। দলীয় কর্মীরা সকলেই বিধায়ককে গুলি চালাতে দেখেছেন। বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানাব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লকের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, বিধায়ক সহজ-সরল মানুষ। তিনি নিরাপত্তারক্ষী নেন না। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে বিধায়ক ও আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতেই ওরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে। এই ঘটনায় বিধায়ক কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ছাড় নেই নির্দলেরও! লাঠি এবং রড দিয়ে আঘাত, ফাটিয়ে দেওয়া হল মাথা

    Murshidabad: ছাড় নেই নির্দলেরও! লাঠি এবং রড দিয়ে আঘাত, ফাটিয়ে দেওয়া হল মাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালার (Murshidabad) থানার মালিহাটি গ্রামে নির্দল সমর্থককে মারধরের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। ঘটনাস্থলে সালার থানার পুলিশ। এই ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এলাকায় বেশ উত্তেজনা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে এক দিকে যেমন বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণ, আবার অন্য দিকে হামলা। সব মিলিয়ে সরগরম জেলা।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    নির্দল সমর্থক নুরেল শেখ (Murshidabad) বলে এক ব্যক্তিকে এদিন প্রচণ্ড মারধর করে তৃণমূল সমর্থকরা। তারপর থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে পরিবার। নির্দল প্রার্থীর স্ত্রী একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁর স্বামীকে, লাঠি এবং রড দিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কোমরে বেশ আঘাত করা হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই যাতে তৃণমূল একক ভাবে জয়ী হয়, সেই প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে এই হামলা চক্রে। এমনই মন্তব্য করে পরিবার।

    মেয়ের দাবি

    নির্দল সমর্থক নুরেল শেখের মেয়ে বলেন, বাবাকে নান্টু, সান্টু নামের তৃণমূল কর্মীরা আক্রমণ করে। প্রথমে ফোন করে ডাকে। তারপর বাড়ির কাছেই লোহার রড নিয়ে মাথায় আঘাত করে। আমি ছুটে বাবাকে বাঁচাতে গেলে উপর থেকে সোহাগী নামে এক মহিলা ছাদ থেকে ইট দিয়ে আঘাত করে। এরপর বাবাকে টানতে টানতে ওরা নিয়ে চলে যায়। পরে অবশ্য হাসপাতালে গিয়ে আহত নুরেল শেখের (Murshidabad) সন্ধান পাওয়া যায়।

    আহত নির্দল সমর্থকের বক্তব্য

    নুরেল শেখ (Murshidabad) বলেন, আমি বাড়ি (Murshidabad) থেকে ফিরছিলাম। আমি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করি না। কিন্তু নির্দলকে সমর্থন করায় আমাকে আঘাত করে ওরা। আমার মাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমরা সব মিলিয়ে প্রায় ৮ জন আহাত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পুলিশ আসে এবং দুষ্কৃতীদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পর এবার থানায় অভিযোগ করতে যাবেন বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share